Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Amit Shah Mamata Banerjee: নবান্নের চোদ্দতলায় মমতা-শাহ একান্তে বৈঠক, কী আলোচনা হল?

    Amit Shah Mamata Banerjee: নবান্নের চোদ্দতলায় মমতা-শাহ একান্তে বৈঠক, কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্নের চোদ্দতলায় মমতা-শাহ (Amit Shah Mamata Banerjee) বৈঠক। বৈঠক হয় মিনিট পনের ধরে। সূত্রের খবর, শনিবারের বারবেলায় ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের বাকি টাকা মেটানোর দাবিতে দেওয়া হয় স্মারকলিপিও। এদিন মমতা-শাহ বৈঠকের আগে দুজনে উপস্থিত ছিলেন নবান্ন সভাঘরে, ইস্টার্ন সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা আমরা কিছুই পাচ্ছি না। এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়ে দেন, কীজন্য টাকা আটকে ছিল। তিনি বলেন, আপনাদের নিয়মকানুনে কিছু সমস্যা ছিল। তার জন্যই আপনাদের সমস্যা হচ্ছে। তখনই রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেন, আমরা সব পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের যা ভুলত্রুটি ছিল, সেগুলো ঠিক করে আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। মমতা ফের বলেন, বিষয়টি আপনারা দেখুন।

    শাহি বৈঠক…

    জানা গিয়েছে, এদিন পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পরেই লাঞ্চ করতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তা শেষ করেই চলে যান নবান্নের ১৪ তলায়। তার পরেই হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। তবে এই বৈঠকে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে রা কাড়েননি মমতা কিংবা শাহ কেউই। তবে জানা যাচ্ছে, এক দেশ এক পুলিশ নীতি নিয়ে নয়া বিল আনছে কেন্দ্র। ওই বিল পাশ হলে রাজ্যের অধিকার কিঞ্চিত খর্ব হতে পারে। এই বিষয়েই শাহের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    ইস্টার্ন সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে মমতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বিহার থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। এদিনের ওই বৈঠকে বিএসএফের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগে সরব হয় রাজ্যের শাসক দল। বিএসএফের অতিসক্রিয়তার জেরে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে রাজ্য। কোনও কোনও জায়গায় বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তার জেরে চোরাচালান হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে রাজ্য। মমতা-শাহ বৈঠক প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিএসএফের ৭২টি আউটপোস্টের জন্য জমি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়াটা মজবুত করাটাও প্রয়োজন। তা বলতেই বিশেষ করে মমতার সঙ্গে আলাদা করে কথা হয়েছে, দাবি শুভেন্দুর। বিএসএফকে সবরকমভাবে রাজ্যের সাহায্যের কথাও জানিয়েছেন শাহ, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Amit Shah Mamata Banerjee: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    Amit Shah Mamata Banerjee: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত বিজেপি (BJP)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একশো দিনের কাজের মতো কয়েকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়েও চলছে কেন্দ্র-রাজ্য চাপান-উতোর। পঞ্চায়েত নির্বাচনও দোরগোড়ায়। বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফজতে রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এহেন আবহে আজ, শনিবার নবান্নে (Nabanna) বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Amit Shah Mamata Banerjee)। উপলক্ষ, পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের বৈঠক। তবে মমতা-শাহ বৈঠক নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।

    কৌতূহল তুঙ্গে…

    যদিও প্রশাসনের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক একান্তভাবেই প্রশাসনিক। শাহের সঙ্গে এই বৈঠকে মমতা ছাড়াও থাকার কথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবেরও। ওড়িশা থেকেও থাকবেন সে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি। শাহের সঙ্গে সঙ্গে এই বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা এবং অন্য আধিকারিকরা। ৫ নভেম্বর এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যস্ততা থাকায় সেদিন বৈঠক হয়নি। সেই বৈঠকই হচ্ছে শনিবার। বৈঠক হবে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত, নবান্ন সভাঘরে।

    এর আগে বিভিন্ন সময় কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক সচেতনভাবেই এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও ব্যস্ততার কারণে, কখনও অন্য কোনও অছিলায়। শেষমেশ এবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই ভিন্ন মেরুর রাজনৈতিক দলের দুই শীর্ষ নেতা (Amit Shah Mamata Banerjee)। তাই মমতা-শাহ একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি নিয়ে রাজ্যের কী অবস্থান, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে বেশ কিছু দাবিপত্র তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের কাজ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে রাজ্যকে বলেছে কেন্দ্র। সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে এই আর্জি জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। প্রসঙ্গত, জমি না পাওয়ায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৭০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যকে এই জমি অধিগ্রহণ করে দিতে হবে।

    এদিকে, শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগেই শুক্রবার শাহ বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। বিজেপির রাজ্য দফতরে ওই বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ শীর্ষ নেতারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    Amit Shah: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার রাতেই শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামিকাল, শনিবার নবান্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের হিমন্ত সোরেন ও ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকও। 

    রাতের কর্মসূচি

    জানা গিয়েছে, রাত ৯.২০ মিনিটে বিএসএফের বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসবেন শাহ। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন রাজ্য দলীয় নেতৃত্ব। বাইপাসের ধারে পাঁচতারা হোটেলে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রে খবর, রাতে শহরে পৌঁছে বিজেপির রাজ্য দফতরে বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ দলের ৫ সাধারণ সম্পাদককে। 

    আরও পড়ুন: সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! অনুব্রতর হয়ে মামলার খরচ চালাচ্ছে কে? তদন্তে ইডি

    কালকের কাজ

    শনিবার, পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মূলত ৪ রাজ্যের নিরাপত্তা বিষয়ক পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমস্যা নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার প্রয়োজনীয় সমাধান ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ৪ রাজ্যের সীমানা এবং সীমান্ত বিষয়ক সমস্যা প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। আলোচ্যসূচিতে রয়েছে সীমান্ত সংক্রান্ত ৪০টি সমস্যা। হাইভোল্টেজ এই বৈঠকের নিরাপত্তা নিয়ে তাই সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। তবে মূল বৈঠকের পরে অমিত শাহ ও মমতার আলাদা বৈঠকও হতে পারে বলেও খবর। সূত্রের খবর, বৈঠকে গোরুপাচার ও বিএসএফ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। রাজ্যের নাম বদলের প্রস্তাবে কেন এখনও অনুমোদন মিলল না? সেই প্রসঙ্গও তুলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অমিত শাহ-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠক হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নবান্ন সভাঘরের পাশে সচিবালয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ছাড়াও তিনি বিএসএফ ক্যাম্পে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। সেক্টর ফাইভে অ্যানথ্রোপলজি ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। শনিবার বিকেলেই দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বিএসএফ নয়, সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহাররে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাবদ এবং ওড়িশার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে আন্তর্দেশীয় সীমান্ত ছাড়াও আন্তর্রাজ্য সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    কী বললেন অমিত

    বিশেষ সূত্রে খবর, এদিন অমিত শাহ বৈঠকে বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব যতটা বিএসএফের, ঠিক ততটা রাজ্যেরও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। আগের সরকারের খামতি ছিল। আমরা তা অনেকটা পূরণ করেছি। আরও উন্নয়নের জন্য এগোচ্ছি।” পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের চার রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড এই কাউন্সিলের সদস্য। মূলত প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ আলোচনা ও সমাধানের পথ খুঁজতেই সদস্য রাজ্যগুলিতে ঘুরে ঘুরে এই কাউন্সিলের বৈঠক বসে প্রতি বছর। 

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সীমান্ত নিরপত্তায় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অর্থ দাবির পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের পাওনা টাকার কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার নামে বিএসএফের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানরা এই বৈঠকে ছিলেন। সদস্য রাজ্যগুলির সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। নবান্নে শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর শহরে আরও কয়েকটি কাজ সেরে বিকেলেই দিল্লি উড়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • 100 Days Work: একশো দিনের কাজে বকেয়া পাওনা নিয়ে ‘মিথ্যা’ দাবি রাজ্যের, তথ্য দিয়ে জানাল গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক

    100 Days Work: একশো দিনের কাজে বকেয়া পাওনা নিয়ে ‘মিথ্যা’ দাবি রাজ্যের, তথ্য দিয়ে জানাল গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজে (100 Days Work) বকেয়া পাওনা নিয়ে রাজ্যের দাবি খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক (Central Rural Development Ministry)। অগাস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছিলেন একশো দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। সোমবার লোকসভা সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় দাবি করেছিলেন, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। রাজ্যের এসব দাবিই যে অসার, তা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। লোকসভায় মন্ত্রক জানিয়েছে, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে মজুরি বাবদ রাজ্যের পাওনার পরিমাণ ২ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য।

    অনিয়মের অভিযোগ…

    একশো দিনের কাজে (100 Days Work) পশ্চিমবঙ্গে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একশো দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা খয়রাতিতে খরচ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। রাজ্যের কুর্সি দখল করতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরই একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। অভিযোগ, এই ভাণ্ডারে টাকা দিতে নানা প্রকল্পে দেওয়া কেন্দ্রের টাকা খরচ করা হচ্ছে। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজের মতো বিভিন্ন প্রকল্প। তার পরেও প্রতিটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিয়ম করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চলেছেন। একশো দিনের কাজের টাকায় যে খয়রাতি হচ্ছে, কেন্দ্রকে তা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। একশো দিনের কাজে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিস্তর চাপের মুখে পড়ে যায় রাজ্য সরকার। শুরু হয়ে যায় দিল্লি দরবারে যাতায়াত।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকায় খয়রাতি, ‘দোষ’ ঢাকতে একশো দিনের প্রকল্প নিয়ে কী বললেন মমতা?

    এদিন লোকসভায় সাংসদ তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মোদি সরকারের রাজত্বকালে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কাঠামো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকেয়া পাওনা (100 Days Work) বিষয়ক চিঠিও তুলে ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরেই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, এই খাতে রাজ্যগুলির বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৭ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাওনার পরিমাণ ৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আরজেডির গাড়িতে গরুপাচারে মদত মমতা পুলিশের”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আরজেডির গাড়িতে গরুপাচারে মদত মমতা পুলিশের”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার নিয়ে ফের মমতা সরকারের দিকে আঙুল তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার একই অভিযোগের তির প্রতিবেশি রাজ্যের শাসকদল আরজেডির দিকেও। বিজেপি নেতার অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের মদতেই গরুপাচার চলছে। 

    কী অভিযোগ শুভেন্দুর?

    রবিবার একটি ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, “মমতার পুলিশ রাজ্যের হাইওয়ে দিয়ে আসানসোল, রায়গঞ্জ ও বাঁকুড়ায় গরুপাচার করছে। বিহারের রেজিস্ট্রেশন করা দুটি গাড়ি আসানসোল দক্ষিণের নিউ এগরাগ্রামে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। ওই গাড়িগুলিতে আরজেডির প্রতীক লাগানোছিল।” উল্লেখ্য, চলতি বছরই বিজেপি-জেডিইউ জোট ভেঙে ক্ষমতায় এসেছে আরজেডি-জেডিইউর মহাজোট। আরজেডি- তৃণমূলের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত। এর আগে নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। বরাবরই আরজেডি এবং তৃণমূল বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর সেই আরজেডির প্রতীক লাগানো গাড়িতেই এরাজ্যে গরুপাচার চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।   ইতিমধ্যেই গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সম্পাদক অনুব্রত মণ্ডল। তা সত্ত্বেও অবাধে চলছে পাচার।

    আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকার সোনা, গ্রেফতার ২

     

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করছেন শুভেন্দু। সীমান্তে গরুপাচার হলে তার দায় নিতে হবে বিএসএফকে। তৃণমূল নেতার কথায়, শুভেন্দু যদি গরুপাচার সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানেন তাহলে তা ট্যুইট না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো উচিত।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর ধামাকার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর রাজ্যে ‘পালাবদলের’ দিন। আজ, সোমবার তার শুরু। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় হাজরায় সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। 

    সুকান্ত-শুভেন্দু পাশাপাশি

    এদিন কেন্দ্রীয় নেতাদের বাদ দিয়েই বিজেপি তৃণমূলের খাস তালুক হাজরায় মেগা সমাবেশের আয়োজন করেছেন যা রাজ্য বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। এই সভায় দশ হাজার জমায়েতের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উত্তর কলকাতার জমায়েত হবে ম্যাডক্স স্কোয়ারে। দক্ষিণ কলকাতা জেলার কর্মীরা সরাসরি হাজরা মোড়ে আসবেন। আর দক্ষিণ ২৪পরগনা থেকে যাঁরা আসবেন তাঁরা দক্ষিণ শহরতলির কোথাও জমায়েত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    হটুগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে সভা

    ৩ ডিসেম্বর, ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে, হটুগঞ্জে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ মমতার এলাকায় সভা করবেন শুভেন্দু-সুকান্ত। আগামীকাল হাজরা মোড়ে পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। এদিন হাজরার জনসভায় মঞ্চে পাশাপাশি দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। ভোটের বাংলায় দুই শীর্ষ নেতার ভোকাল টনিকের অপেক্ষায় এখন রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তবে শুধু পদ্মশিবিরই নয়, হাজরার সভায় বাড়তি নজর শাসক দলেরও। শুভেন্দুর সভা নিয়ে প্রথমে আইনি জটিলতা থাকলেও বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানায় হাজরায় ১২ ডিসেম্বর ও কাঁথিতে ২১ ডিসেম্বর শুভেন্দু সভা করতে পারবেন। তবে মেনে চলতে হবে শব্দবিধি। 

    ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি

    গত কয়েকমাস ধরেই, বারে বারে ডিসেম্বর নিয়ে নতুন নতুন সব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে ডিসেম্বর নিয়ে কৌতুহলের পারদও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে! আর এবার তো সরাসরি তারিখও বলে দিয়েছেন তিনি! এই আবহে এই দিনটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। এদিকে, আজই ৩ দিনের মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata)। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। গত ২ বছর ধরে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক শক্তি বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। এবার তাদের লক্ষ্য মেঘালয়।

    আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকার সোনা, গ্রেফতার ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘তাড়াতে হবে না, চোদ্দ তলা থেকে নিজেই পালাবে’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘তাড়াতে হবে না, চোদ্দ তলা থেকে নিজেই পালাবে’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরে কী ঘটতে চলেছে রাজ্যে? এখন এ নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। সম্প্রতি নতুন করে ডিসেম্বরের তিনটি তারিখ উল্লেখ করে সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার ‘ডি’ দিয়ে ডিএ-ডিসেম্বর যোগসূত্র তুলে ধরলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “ডি দিয়ে ডিএ, ডি দিয়ে ডিসেম্বর। ডিসেম্বর মাসে যদি ডিএ-র অর্ডারটা হয়ে যায়… হবে তো বটেই। তাহলে তো হরিবোল। তাহলে আর কাউকে তাড়াতে হবে না, ১৪ তলা থেকে নিজেই পালাবে। ২৩ হাজার কোটি টাকা এক মাসে দিতে হবে।” 

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এই পশ্চিমবঙ্গে ভিখারি সরকার চলছে। আমি ১১ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি ট্রাফিক পুলিশকে। নিয়ে যান। ডিএ তো আপনাদের দিচ্ছে না। লাগলে আরও দেব, কোনও চিন্তা করার কারণে নেই। দেউলিয়া সরকার। এবার তো আইসিডিএস কর্মীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্ধেক টাকা ঢুকেছে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন দিদি-বোনদের কাছে। বলছে, একসঙ্গে দিতে পারিনি।” 

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুর উপকূলে আছড়ে পড়েছে মন্দৌস, দুর্যোগের কবলে চেন্নাই

    কী বলেন শুভেন্দু? 

    প্রধানমন্ত্রী কৃষক ফসল যোজনা নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারের দিকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন,”কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প নাম বদল করে বাংলার নাম করেছে। সেগুলি এখন মোছা হচ্ছে। ডিভিসি জল ছাড়ে। সেই জল গড়াতে গড়াতে শেষে কংসাবতী দিয়ে পাঁশকুড়া, তমলুক, ময়না ওদিকে পটাশপুর, ভগবানপুর ভাসিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। এই আবহে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা চালু করেছেন। এই বিমা যোজনাতে ভারত সরকার দায়বদ্ধ। কৃষকদের প্রিমিয়াম দিতে হয় না। এই ভিখারি সরকার ইন্টারেস্ট সাবসিডিতে রাজ্যের ভাগ দিতে পারেনি বলে আমার কৃষক লোকেরা সুবিধা পাচ্ছে না।”

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এই বিমার ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু যেই ২০১৯ সালে বিজেপি রাজ্যে ১৮টি লোকসভা আসনে জিতে গেল, তারপর থেকে আর ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। আমফানের জন্য ইউনিট প্রতি ৬০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল, কোন কৃষক পেয়েছেন? গরু মারা যাওয়ায় দিল্লি ৩০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল, কে পেয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বন্ধ করে দিয়েছেন।” আবাস যোজনা নিয়েও রাজ্য সরকারকে এক হাত নেন শুভেন্দু। বলেন, “মোদিজি ৩৭৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন, কিন্তু ঘর আপনারা কেউ পাননি।”

    ডিসেম্বর রহস্য এখনও উন্মোচন করেননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে বলেছিলেন, “চলতি মাসেই আমি এখানে বিজয়া করতে আসব।” এর আগে দাবি করেছেন, “ডিসেম্বর মাসে রাজ্য়ের সব থেকে বড় চোর ধরা পড়বে।” জল্পনা আরও বাড়িয়ে শুক্রবার দাবি করেছেন, ডিসেম্বর মাসের ১২, ১৪ এবং ২১ তারিখ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ১২ তারিখ কী হয়, এখন তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G20: জি-২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে শুক্রবার ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মমতা

    G20: জি-২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে শুক্রবার ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জি-২০ (G20) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই ফের আরও একবার মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদি-মমতা। তবে এবার ভার্চুয়ালি। আগামী শুক্রবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    আরও পড়ুন: চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে ক্ষুব্ধ গিলগিট বালতিস্তানের বাসিন্দারা

    উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জি-২০-এর (G20) সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন পরিচালনা করবে ভারতই। তার আগে এই বছরের ডিসেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ২০০ টিরও বেশি জি-২০ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই কারণেই জি-২০ – এর প্রস্তুতি নিয়ে গত সোমবার একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। সর্বদলীয় বৈঠকে সরকারের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অংশগ্রহণ করেন।

    শুক্রবার এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি যোগ দেবেন বলেই খবর। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীরও জি-২০ (G20) সংক্রান্ত এই বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে।

    জি-২০ (G20) তে ভারত ছাড়াও আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য হিসেবে রয়েছে।

    বৈঠকের মূল লক্ষ্য 

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে এই বৈঠক শুরু হবে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জি-২০ (G20) সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্র প্রধানরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। যাদের সামনে দেশের উন্নতিকে তুলে ধরতে চাইছে কেন্দ্র। আর সেই কারণেই এই বৈঠক। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে জি-২০ সম্মেলনের অংশ হিসাবে একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেমন নতুন বছরের শুরুতেই একাধিক বৈঠক হবে কলকাতাতে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।       

     

     

        

  • Mamata Banerjee: দিল্লি গেলেন মমতা! দেখা হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, একান্তে কথা হবে কি?

    Mamata Banerjee: দিল্লি গেলেন মমতা! দেখা হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, একান্তে কথা হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি-২০ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকে অংশ নিতে দিল্লি গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ৪ দিনের সফরে রাজধানীতে গেলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সাক্ষাত হবে না বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি ভবনে, জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। অন্য রাজ্যের পাশাপাশি এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে একাধিক অনুষ্ঠান হবে পশ্চিমবঙ্গেও। দেশের মোট ৪০টি রাজনৈতিক দলের সভাপতিকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 

    মোদি-মমতা সাক্ষাত

    দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, বলে এদিন জানান মমতা।  কলকাতা ছাড়ার আগে মমতা বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয় তৃণমূলের প্রধান হিসাবে দিল্লিতে যাচ্ছেন তিনি। সেই মতো সোমবার দিল্লি রওনা হন মমতা। আজই জি-২০ সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে মোদি-মমতার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। তবে বৈঠকের বাইরে দু’জনের ব্যক্তিগত বৈঠক হবে কি না, সে দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক বৃত্তের অনেকেরই। মমতা অবশ্য সোমবার সকালে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মোদির আলাদা করে বৈঠক হবে না।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত। সেই উপলক্ষে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, দেশ জুড়ে মোট ২০০টি বৈঠক হবে। যার প্রথম ধাপ হিসাবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির প্রধানদের বৈঠকে ডেকেছেন মোদি।

    অজমেঢ় যাবেন মমতা

    মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজমেঢ় যাবেন। সেখানে আজমেঢ় শরিফ এবং পুস্কর মন্দির দর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজমেঢ় শরিফ থেকে পুষ্কর যাওয়ার ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিলেন। আজমেঢ় শরিফে খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় যাবেন মমতা। এর পাশাপাশি রাজস্থানের পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরেও যাবেন তিনি।  সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করেছে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। আগামিকাল মঙ্গলবার বিকেলেই দিল্লি ফিরে আসবেন মমতা। সূত্রের খবর, রাজধানীতে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। বুধবার দলের সাংসদদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন মমতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share