Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Sukanta Majumdar: ‘‘এত দামী উকিল রাখা কেন?’’, মমতার ‘‘মামলায় টাকা শেষ’’ মন্তব্যের জবাবে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘এত দামী উকিল রাখা কেন?’’, মমতার ‘‘মামলায় টাকা শেষ’’ মন্তব্যের জবাবে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এমন এক মন্তব্য করে বসলেন যে, যা নিয়ে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিতে গিয়ে বললেন, “মামলা লড়তে গিয়ে শূন্য হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের ভাঁড়ার।” আর এই মন্তব্যের পরেই সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর সমস্যার সমাধান দিলেন।

    মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    এর আগেই শিক্ষক নিয়োগে কেন্দ্রীয় তদন্তের মধ্যেই নতুন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনি বাধা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। তাঁর কথায়, সরকারের বিভিন্ন কাজে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ এনে বাধা তৈরি করা হচ্ছে। ফলে নিয়োগ বা অন্যান্য কাজে সেই আইনি লড়াই চালাতেই সরকারের সব অর্থ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি বিধানসভায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আদালতের কাছেও আবেদন জানাব, বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই আমরা লোক নিতে চাই বা রেশনের (দুয়ারে রেশন) মত প্রকল্প নিই, তখনই আদালতে যায়। আর স্থগিতাদেশ নিয়ে চলে আসছে। আদালতে লড়তে লড়তেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’ কিন্তু এসব বলেও কটাক্ষের হাত থেকে রেহাই পেলেন না মমতা ব্যানার্জি। বরং সমালোচনা আরও বেড়ে গেল।

    আরও পড়ুন: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মন্তব্যে প্রশ্ন করেছেন সুকান্ত মজুমদার

    মামলা লড়তে লড়তে সরকারের ভাঁড়ার শূন্য হয়ে যাচ্ছে, এই মন্তব্যে পরেই সুকান্তর (Sukanta Majumdar) প্রশ্ন, “রাজ্য সরকার কেন এত দামী উকিল নিচ্ছে? যখন মামলা দুর্বল হয়, তখনই তো দামী উকিল নিতে হয়।” শুক্রবার মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গী হয়ে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে দলীয় কর্মসূচি সারেন সুকান্ত। সেখানেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। সুকান্তর দাবি, দুর্বল মামলায় লড়তে দামী দামী আইনজীবী নিয়োগ করছে রাজ্য। আর তাতেই বাড়ছে খরচ।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, ‘‘খুঁত রেখেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছেন। যাতে কেউ না কেউ আদালতে যান আর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে যায়। তা হলে রাজ্য সরকারকে আর মাইনে দিতে হবে না! মাইনে দেওয়ার টাকা কোথায়?’’

    তিনি কটাক্ষের সুরে আরও বলেন, ডিএ-র মত বিষয় সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার। কেনই বা তা নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। রাজ্য সরকারকে তাই তিনি পরামর্শ দেন, কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে, নয় সরকারী কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়।

    এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে। ওই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যে উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে। প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল নেত্রীকে ‘লেডি কিম’ বলে উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। সেগুলি তিনি পুস্তিকাকারে প্রকাশ করবেন বলেও জানান বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) সরকারের হাতে রাজ্য পচছে। বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি। শনিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন একটি ট্যুইট করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে একাসনে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর শুক্রবার সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় ভাষণ দেন শুভেন্দু। পরে মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা। তার পরেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ ভেবেছিলেন, যে শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন এবং স্নেহের ভাই সম্বোধন করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’-এর কারণেই শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন করেন মমতা।

    ট্যুইট-বাণ

    তবে চায়ের নেমতন্ন করে যে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) বাগে আনা যাবে না, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাক্ষাৎকার পর্ব চব্বিশ ঘণ্টার চৌকাঠ পেরনোর আগেই রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি লেখেন, দুর্নীতি করে কেনা অবৈধ নিয়োগকে যেভাবে মন্ত্রিসভা বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা যদি সাংবিধানিক সঙ্কট না হয়, তাহলে আর কী হবে? এর পরেই তিনি লেখেন, তৃণমূল সরকারের হাতে বাংলা পচছে। বাংলায় এক আল্ট্রা ইমার্জেন্সির পরিস্থিতি।

    এ নিয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের লেটারহেডে মে মাসের একটি লেখাও নিজের ট্যুইটারে তুলে ধরেছেন তিনি। প্রতিলিপিগুলির একটি পাতায় লেখা রয়েছে, ৫ হাজার ২৬১টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির প্রস্তাব। এর মধ্যে নবম দশমের জন্য ১ হাজার ৯৩২টি পদ, একাদশ-দ্বাদশের জন্য ২৪৭টি পদ।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীকে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দুজনের মুখ দেখাদেখি। শুক্রবার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক স্বয়ং!

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে। বুধবার পুরুলিয়ার লোধুড়কায় বিজেপির পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে ফের বিজেপি-র  (BJP) হয়ে রাজ্যে ভোটের ময়দানে নেমেছেন মহাগুরু। বাঙলায় বিজেপির বাজিও তিনি। সেই মতোই বাঙালি আবেগে শান দিয়ে পুরুলিয়া থেকে প্রচার শুরু করলেন বঙ্গসন্তান মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন মিঠুন চক্রবর্তীর সাংগঠনিক বৈঠক ও পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন রয়েছে বাঁকুড়ায়। তাঁকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। গঙ্গাজলঘাঁটির দুর্লভপুরে আজ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। এরপর শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন মিঠুন। মেনুতে রয়েছে ভাত-ডাল, সবজি, আলু পোস্ত, মাছ। নিজেই রান্না করেছেন বিধায়ক। বিকেলে মেজিয়া কলেজ মাঠে মিঠুনের সভা। আগামীকাল বিষ্ণুপুরের সোনামুখীতে কর্মসূচি রয়েছে মহাগুরুর।

    কী বললেন

    বুধবার পুরুলিয়ার জনসভায় আগাগোড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদলকে নিশানা করে যান মিঠুন। এ দিন কর্মী সম্মেলন চলাকালীন এক বিজেপি কর্মী প্রশ্ন ছোড়েন, “আমার চপ বিক্রি হচ্ছে না। কোনও কাজও হচ্ছে না, তাহলে আমি কী করব দিদি? ” সত্যিই চপ বিক্রি হচ্ছে না নাকি, তাঁর কাছে জানতে চান মিঠুন। জবাবে ওই কর্মী বলতে শুরু করেন, “দিদি বলেছিলেন চপ বিক্রি করে…।” কথা শেষ করার আগে তাঁকে থামিয়ে মিঠুন বলে ওঠেন, “এ বার আমি একটা কথা বলি, কাউকে ছোট করে কোনওদিন কথা বলি না। আজও বলছি না। যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে।”

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জিএসটি বাবদ প্রাপ্য থেকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে বলে  অভিযোগ  তৃণমূলের। সেই নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মিঠুন। আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগ জানান বিজেপি কর্মীরা। জবাবে মিঠুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই ঘর যোজনার জন্য অনেক টাকা দিয়েছেন। সেটা দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে। ব্যাঙ্কে তার একটা নাম থাকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু টাকাটা কোথায় যাবে? এখানে তো অলরেডি তার উপরে পোস্টার মেরে দিয়েছে! বাংলা আবাস যোজনা করে দিয়েছে! সেন্টার বলছে, আগে হিসেব দিন। টাকাটা কিছুদিনের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। এটা সরকারের পয়সা। পাবলিকের পয়সা। এটা তোমার আমার পয়সা। সবাইকে হিসেব দিতে হবে।”

    বাঙালি খাবার ভীষণ প্রিয়

    পুরুলিয়ায় এদিন কাঁসার বাসনে বাঙালি খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ডিস্কো কিং। একেবারে বাঙালি মেনু। মাছ-ভাতে বাঙালি। এ প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, ‘‘বাঙালি খাবার আমার ভীষণ প্রিয়।  আমরা খাবার নিয়ে কথা বলব না তো কি বালি, কয়লা, গরু নিয়ে কথা বলব!’’ 

  • Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের লুকোচুরির রোগ যেন কিছুতেই সারছে না। ডেঙ্গি আক্রান্ত আর ডেঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে যেন বিস্তর গোলমাল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রাজ্য সরকারের তথ্য গোপনের রোগ মুক্তি না ঘটলে, রাজ্যবাসীর ডেঙ্গি থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। 

    বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এ বছর ডেঙ্গিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চলতি বছরে একাধিকবার স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কমবেশি ৮০ জন মারা গিয়েছেন। কিন্তু বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১১। তথ্যের এত ফারাক কেন? এ প্রশ্নের অবশ্য উত্তর নেই রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে। 

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পুজোর পরে ডেঙ্গির গ্রাফ মারাত্মক বাড়তে শুরু করে। প্রতি সপ্তাহে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলোতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। কিন্তু এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শীত আসছে, ডেঙ্গি নিয়ে আর উদ্বেগ বিশেষ নেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস পরের বছরের জন্য আরও বড় বিপদ তৈরি করবে না তো? 

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত সংক্রমক রোগের মোকাবিলা বছরভর করতে হবে। তাই শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা কমলেও প্রশাসনের কাজ থামালে চলবে না। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এ বছরে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পুর কর্মীর অভাব। নজরদারি করার জন্য পর্যাপ্ত পুর কর্মী ছিল না। তাছাড়া, প্রশাসনের একাধিক বিভাগের সমন্বয়ের অভাব, একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে গেলে চলবে না। শীতের দাপটে ডেঙ্গির গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডেঙ্গি কমার আশ্বাসে, সেই কাজে ভাটা পড়বে কিনা সে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গির তথ্য গোপনের রোগ না সারলে রাজ্যবাসীর ডেঙ্গির থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। কারণ, ডেঙ্গির ভয়াবহতা মানুষকে বোঝাতে হলে, সচেতন করতে হলে সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে। ডেঙ্গি নিয়ে এই লুকোচুরির প্রবণতা থাকলে, সেই কাজ সম্ভব নয়। চিকিৎসক শারোৎদ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে বোঝানোর আগে সরকারের বোঝা দরকার প্রত্যেক বছর রাজ্যের মানুষকে কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ, কয়েকটা কথা বলে দায় এড়াতে চাইছে প্রশাসন। ডেঙ্গি মোকাবিলার সদিচ্ছা আদৌও রাজ্য সরকারের আছে কি? ” 

    চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে সরকারের স্বচ্ছতার বড় অভাব। মানুষ ভুগছে, অথচ মানুষকে বুঝতে দেওয়া চলবে না। জানানো যাবে না। সত্যি এভাবে গোপন করা যায় না। এতে সমস্যা বাড়ে। জনস্বাস্থ্যের মতো বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করতে সরকারের নূন্যতম স্বচ্ছতা প্রয়োজন। ডেঙ্গির ক্ষেত্রে যে রাজ্য সরকারের তা নেই, সেটা প্রমাণিত।” বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেদের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমানো যাবে না। কোনও ভাবেই যাতে মশা জন্মাতে না পারে, সেটা সাধারণ মানুষকে দেখতে হবে। পাশপাশি পুরসভাকেও বারবার জানাতে হবে। যাতে ডেঙ্গি রোধে পুরসভা সক্রিয় থাকে, সে নিয়েও নাগরিক সমাজকেই সজাগ থাকতে হবে।

  • Mamata Banerjee: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তাই কি ‘সেটিং’ তত্ত্ব খারিজ করতে তৎপর মমতা?

    Mamata Banerjee: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তাই কি ‘সেটিং’ তত্ত্ব খারিজ করতে তৎপর মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এ রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিই (BJP)। অথচ জি-২০ (G-20) সম্মেলন উপলক্ষে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এনিয়ে ‘দিদি-মোদি সেটিং’য়ের তত্ত্ব খাড়া করতে পারে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সহ অন্যান্য দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্কালে যা তৃণমূল নেত্রীর পক্ষে খুব একটা সুখকর হবে না। সেই কারণে এবার দিল্লি যাওয়ার আগেই তৃণমূল নেত্রী খোলসা করে দিলেন, কী কারণে এবার তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাইবা করবেন কেন?

    দিল্লি যাত্রার উদ্দেশ্য…

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে ডিসেম্বরের ৫ তারিখে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। এর আগে একাধিকবার নানা অছিলায় প্রধানমন্ত্রীকে এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তবে এই যে ৫ তারিখে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি, তার আগে যেবার তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছিলেন, সেবার সেটিং তত্ত্ব তুলে তাঁকে বিঁধেছিল বিজেপি সহ একাধিক দল। এবার যাতে বিরোধীরা সেই তত্ত্ব খাড়া করতে না পারে, তাই কী উদ্দেশ্যে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার তা খোলসা করলেন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লিতে যাব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী নিয়ে আলোচনা হবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, জি-২০ সম্মেলন নিয়েই আলোচনা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সনদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আমিও দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    এর আগের বার বিরোধীদের সেটিং তত্ত্বের জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী ((Mamata Banerjee))। বলেছিলেন, আমি রাজ্যের প্রাপ্য চাইতে গিয়েছিলাম। সেটাকে নাকি সেটিং বলে। ভিক্ষা চাইতে যাইনি, নিজেদের প্রাপ্য চাইতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমি কারও সঙ্গে সেটিং করতে যাই না। সবাই আমার সঙ্গে সেটিং করতে আসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক যাতে বিরোধীদের হাতিয়ার হয়ে উঠতে না পারে, তাই আগেভাগেই গেয়ে রাখলেন তৃণমূল নেত্রী।  বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আটকে রয়েছে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা। অথচ পঞ্চায়েত ভোটে ১০০ দিনের কাজ বড় ইস্যু। কারণ, অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে অনেকে আয় করে থাকেন। ফলে, সেই টাকা আটকে যাওযায় বিপাকে পড়েছে রাজ্য। সম্প্রতি, ওই টাকা পেতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দল। কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই টাকা পেতেই দিল্লির দরবারে ছুটছেন মমতা।  

    প্রসঙ্গত, আগামী বছর ভারতেই হবে জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলন সফল করতে কোমর কষে নেমেছে মোদি সরকার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে ওই সম্মেলন কীভাবে সফল করা যায়, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। শপথবাক্য পাঠে বাংলার মানুষের ভালো-মন্দের দেখভালের প্রতিশ্রুতি দিলেন নয়া রাজ্যপাল। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ রাজভবনে হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়,পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। তবে সংঘাতের আবহে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বসার জন্য আসনবিন্যাস নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এদিন সকালে ট্যুইটও করেন তিনি। নয়া রাজ্যপালের সময় অনুযায়ী, তিনি পরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসার কথা জানান।

    রসগোল্লা উপহার

    আগের রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না রাজ্যের।  সিভি আনন্দ বোসের পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন নবান্ন ও রাজভবনের সংঘাত প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এবারের নয়া রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক সুমধুর করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য। তাই শপথ গ্রহণের দিন সকাল সকাল এক হাড়ি রসগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নয়া ফার্স্ট সিটিজেনকে বিশেষ উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। সি ভি আনন্দ বোসের জন্য নীল হাঁড়িতে ১০০টি রসোগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই তিক্ততা ভুলে মিষ্টি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে নবান্ন। এমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মিষ্টি খাইয়ে লাভ নেই, তাঁর যোগ্যতা-অভিজ্ঞতাকে যেন কাজে লাগায় রাজ্য সরকার’। তিনি আরও বলেন,“আমরা চাইব এরকম একজন বিদ্বান, দূরদর্শী মানুষকে আমরা রাজ্যপাল হিসাবে পেয়েছি, তার যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা, সেটা যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায় ।” 

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    কালীঘাট মন্দির দর্শন

    শপথগ্রহণের আগের দিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে গিয়ে মায়ের দর্শনও করেন নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কালীঘাটে আসেন সি ভি আনন্দ বোস। প্রথমে কালীঘাট প্রসাদের দোকানগুলির সামনে দেখা যায় তাঁকে। তারপর মায়ের পুজো দেন। মায়ের পুজো দেওয়া পর গোটা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। পুরোহিতদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান,মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন । বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন কালীঘাট মন্দিরে। তবে মায়ের আরতির আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। ৭১ বছর বয়সি মালয়ালি, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার আনন্দ বোসের প্রশাসক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদেও তিনি কাজ করেছিলেন। সূত্রের খবর, শীঘ্রই আনন্দ বোস দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ-পর্ব সেরে আসবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভা ভোটের পর ২৬টি মিথ্যা মামলা! নিজের বই ‘১৯৫৬’ প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিধানসভা ভোটের পর ২৬টি মিথ্যা মামলা! নিজের বই ‘১৯৫৬’ প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা ছিল আগেই। সেই মতোই মঙ্গলবার নিজের লেখা বই প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বইয়ের নামও আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, ‘১৯৫৬’। মঙ্গলবার তিন ভাষায় প্রকাশিত হল সেই বই। শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘এই প্রথম একই কেন্দ্র থেকে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

    বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করা হচ্ছে, সেই অভিযোগ তুলে এ বার পুস্তিকা বার করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয়ের ব্যবধান ছিল ১৯৫৬, সেটাই বইয়ের শিরোনাম। মামলার তথ্য দিয়ে এবং নানা জায়গায় বিরোধী দলনেতাকে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের ছবি-সহ ঘটনা উল্লেখ করে তিন ভাষায় লেখা ওই পুস্তিকা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    বইপ্রকাশের পর বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের গণতন্ত্র কেমন? আমি ১৯৫৬ নামে তিন ভাষায় একটি বই প্রকাশ করেছি। আমাকে কীভাবে দিনের পর দিন আটকানো হয়েছে তার ছবি দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৫ মে-র পর থেকে ২৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।  ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে আগে কোনও মামলা ছিল না। সব হয়েছে ৫ মে’র পরে। যেগুলো হাইকোর্ট গিয়েছে, সেগুলি তুলে ধরেছি।” আগেই বইপ্রকাশের কথা বলে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) তাঁকে যে উপহারগুলি দিয়েছেন, সেগুলি পুস্তক আকারে তিনি প্রকাশ করবেন। 

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “৫-৭ বছরের পুরনো মামলাও রয়েছে। এমনকি হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ছাড়াও বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এবং অন্যান্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে পাঠাব এই বই।” এই বইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলির কথা তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু স্মৃতিচারণ করে  বলেন, “প্রায় দশটির বেশি জায়গায় রাস্তায় শয়ে শয়ে পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়েছে, সেই ছবিগুলি আমি দিয়েছি। আমি কয়েকটি ছবি দিতে পেরেছি। অত ছাপানোর আর্থিক ক্ষমতা আমার নেই।”

    আরও পড়ুন: ডিএলএডের প্রশ্ন ফাঁস, ‘বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে’ দাবি পর্ষদ সভাপতির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চায়ের নেমতন্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)! তার পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ‘ডিসেম্বর সিনড্রোমে’র ভয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম…

    বুধবার শপথ নিয়েছেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে এক পঙক্তিতে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর আজ, শুক্রবার বিধানসভায় সাক্ষাৎ হয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর। মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পরে তিনি বলেন, শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম। আর শুভেন্দুর দাবি, চা খাওয়া হয়নি। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের চা খেতে বলেছিলেন। কিন্তু বিধানসভায় অধিবেশন চলায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদেরও ব্যস্ততার কারণে চা খাওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা।

    এদিন ছিল সংবিধান দিবস। সেই উপলক্ষেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। কিন্তু শুভেন্দুর বক্তব্য শুরু হতে না হতেই তৃণমূল বিধায়কদের বসার জায়গা থেকে গোলমাল শুরু হয়। কানে আসতেই রুখে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ বাধা দেবে না। সবাই চুপ করে থাক। কোনও কোনও তৃণমূল বিধায়ক টিকা-টিপ্পনীও কাটতে শুরু করেছিলেন। মমতা তাঁদেরও কড়া ভাষায় কথা বলতে নিষেধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই থেমে যায় গোলমাল। নির্বিঘ্নে বক্তৃতা শেষ করেন শুভেন্দু। তার পরেই আসে চায়ের নেমতন্ন। নেমতন্ন রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার পর্ব জন্ম দিয়েছে একাধিক জল্পনার। নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে মমতাকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পর থেকে দু জনের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই অহি-নকুলের। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মোদির ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সেই একই কারণে শুভেন্দুকে করতে হচ্ছে চায়ের নেমতন্ন। তাঁকে সম্বোধন করতে হচ্ছে ‘ভাই’ বলে!

    একেই বলে ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেজুরিতে এখনও জীবিত আছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, দেশদ্রোহীরা সাবধান। বৃহস্পতিবার ‘হার্মাদ মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে মিছিলে যোগ দিয়ে শাসকদলকে  হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইডি ও সিবিআই-এর মতো সংস্থা রাজ্যে একাধিক মামলার তদন্ত করছে। এবার এনআইএ-এর কথা শোনালেন শুভেন্দু।

    হার্মাদ মুক্ত দিবস পালন

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর, খেজুরি থেকে সিপিএমকে ‘উৎখাত’ করেছিল তৃণমূল। সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পর থেকেই প্রতি বছর এই দিনে খেজুরিতে ‘হার্মাদ মুক্ত দিবস’ পালন করেন শুভেন্দু। তবে এখন বাংলায় বিজেপির মুখ তিনি। এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাম আমলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, একসময় বামপন্থীরা যা করেছিল, তাতে তিনি না থাকলে তৃণমূল শেষ হয়ে যেত। শুভেন্দু আরও বলেন, ‘বামপন্থীরা খারাপ নয়। এখন লজ্জা লাগে আমার। সেদিনকার বামপন্থীদের হার্মাদ বলতাম!’ তৃণমূলের নেতারা তাঁদের ছাপিয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    কী বললেন শুভেন্দু

    বৃহস্পতিবার খেজুরিতে বিশাল মিছিল করে বিজেপি। তারপরই সভা থেকে শাসক দলকে বার্তা দেন তিনি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘আমি ১ তারিখে খেজুরিতে আসছি। বুঝিয়ে দেব শুভেন্দু কে? আরে এনআইএ তো সবে শুরু করেছে কাজ। সমর মণ্ডল অপেক্ষা করুন, সবে তো ১২টা বাজে, এখনও তো সূর্য ডোবেনি।’ সম্প্রতি এখানে বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘খেজুরিতে কে এক জন শেখ ইয়াসিন ঘোলাবাড়ের বিজেপি কর্মী সুরজকে মেরেছে। মাননীয় ইয়াসিনবাবু, আপনার যা যা ওষুধ লাগবে ডাক্তারবাবু সব জানে। আমি এই দায়িত্বটা নিলাম।’’ গত ৩ জানুয়ারি পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে কঙ্কন করণ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তার জেরে মৃত্যু হয় অনুপ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মীর। বেশ কয়েক জন জখম হন। বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। এর পর স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক তা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন। তিনি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে লিখিত আবেদনও করেন। এর পর ওই বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্তভার নেয় এনআইএ। ওই ঘটনায় জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সমরশঙ্কর মণ্ডল-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর বক্তব্যে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গই।

LinkedIn
Share