Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হল শহর কলকাতা। চাকরির ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের কামড় খেলেন এক চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এর মাঝেই চাকরির দাবিতে বুধবার আন্দোলনে নামেন কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী। আর সেই নিয়েই উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যামাক স্ট্রিট। চাকরির দাবিতে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। আর সেই আন্দোলন থামাতে গিয়েই এক আন্দোলনকারী মহিলার হাতে কামড়ে দিলেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী। সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরাবন্দি হল সেই ভিডিও।  

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    শুভেন্দুর কটাক্ষ 

    এই কামড়কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে (Twitter) লিখেছেন, “এই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুলিশ। এক্সাইড মোড়ে একজন শিক্ষিত, বেকার, যোগ্য, ইচ্ছাকৃত এবং বেআইনিভাবে বঞ্চিত শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীকে কামড়াচ্ছে। লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসে নৃশংস ঘটনা।”

     



    ঠিক কী হয়েছিল?

    ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই নৃশংস ঘটনা। দেখা যায়, ক্যামাক স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভে অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবল ছুটে যাচ্ছে। সোজা গিয়েই এক মহিলার হাতে বসালেন কামড়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলেই। ওই মহিলা পুলিশ সরে যেতেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে চাকরিপ্রার্থী ওই মহিলার হাতে কামড়ের দাগ।

    পরবর্তীতে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী দাবি করেন, তিনি কামড়াননি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও ক্যামেরার ছবি বলছে অন্য কথা। প্রসঙ্গত, পরবর্তীতে আক্রান্ত মহিলার বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
     
  • Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভিআইপি-দের গাড়িতে করে চলছে অস্ত্র পাচার। লেনদেন হচ্ছে টাকার। প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশকে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেই পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেলন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও যেন নজরদারির আওতায় থাকে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেই কনভয়ও যেন বাদ না পড়ে।

    ভিডিওগ্রাফি করে চেকিংয়ের দাবি শুভেন্দুর

    নন্দীগ্রামে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এক  কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “একবার নয়, ১০০ বার চেকিং করতে পারে। শুধু চেকিং করাই নয়, ভিডিওগ্রাফি করে চেকিং করতে হবে। আর অবশ্যই এই নজরদারি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখতে হবে। নাকা চেকিং চালু হলে নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কারণ উনিও (মুখ্যমন্ত্রী) তো ভিআইপি।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, “ভিআইপি’দের গাড়িতে যেন অস্ত্র আমদানি না হয়। ভিআইপি’দের স্পেশাল প্রটোকশনের নাম করে অনেকে অস্ত্র ও নোট ক্যারি করে। তাই নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একবার নয়, পুলিশ একশো বার বিরোধী দলনেতার গাড়িতে তল্লাশি করতে পারে। তবে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে আইপিসি এবং সিআরপিসি মেনেই তল্লাশি করতে হবে। আর পুলিশকে তৃণমূল বেতন দেয় না। তারা সরকারের টাকায় বেতন পান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার দাবি-পাল্টা দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মমতার দাবি, সুকান্তের অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,“একটা চক্রান্ত চলছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলো দেখে রাখুন। বিহার থেকে হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে। ও-পার থেকে চলে আসছে। এখান-সেখান থেকে চলে আসছে। এগুলো সামলাতে হবে।” অশান্তির আশঙ্কা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘উনি ভয় পেয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। আমরা তো শুধু বলেছি ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, ওঁর সরকার কাঁপবে। আর তো কিছু বলিনি। বাকি কথা তো উনিই বলছেন। বাংলার মানুষ ২ মে ২০২১ থেকে শান্তি দেখেছে। উনি কি সেই শান্তির কথা বলছেন? শ্মশানের শান্তি?’’ 

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামলা করে টাকা ও সময় দুই নষ্ট করছে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য টাকা দিতে গেলেই যত সমস্যা। ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার শুধু সময় নষ্ট করছে, বকেয়া ডিএ দিতে পারবে না। এই সরকার দেউলিয়া সরকারে পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ হচ্ছে তাদের অধিকার, হকের টাকা। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সঠিক  রায় দেবে বলেই আমাদের বিশ্বাস”।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে যাবে, তা আগে থেকেই অনুমান করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেইমতো প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন তাঁরা। আগে থেকেই তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখা হয়েছে। নিজেদের প্রাপ্য অধিকার পাওয়ার খাতিরে লড়াইয়ের জন্য তৈরি আছেন, বলে জানান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে  নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভিখারির সরকার, স্যাটে হেরেছে, সিঙ্গল বেঞ্চে হেরেছে, ডিভিশন বেঞ্চে হেরেছে, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। যাওয়ার কথাই ছিল। এর পিছনে কয়েক কোটি টাকা ধ্বংস হবে। তাতে রাজ্যের লক্ষ্য নেই। সরকারি কর্মীদের টাকা দিতে গেলেই সমস্যা।”

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, “দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে সরকার। উন্নয়নমূলক কাজে নজর না দিয়ে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থে  ব্যবহার করছে। বিজেপি সরকারে এলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি কর্মীদের ডিএ-সহ সমস্ত বকেয়া একসঙ্গে মিটিয়ে দেওয়া হবে”। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ মামলা চলছে। একবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে (স্যাট) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিপক্ষে রায় গিয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিবার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় তা সময় বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Malbazar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ‘অস্থায়ী’ চাকরি ফিরিয়ে দিলেন মালবাজারে নিহতের ভাই

    Malbazar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ‘অস্থায়ী’ চাকরি ফিরিয়ে দিলেন মালবাজারে নিহতের ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীর রাতে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল মাল নদীতে (Malbazar)। সেদিন মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছিল সুস্মিতা পোদ্দার নামে এক তরুণীর। আর সেই তরুণীর ভাইকে চাকরি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এবারে সেই চাকরিই ফিরিয়ে দিলেন সুস্মিতার ভাই সুদীপ। তবে কেন? অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে হোমগার্ডের চাকরি অর্থাৎ অস্থায়ী চাকরি দিয়েছেন। আর তার ফলেই সুদীপ সেই চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    মাল নদীতে হড়পা বান

    দশমীর রাতে আচমকাই হড়পা বান আসে মাল নদীতে (Malbazar)। প্রবল স্রোতে ভেসে যান বহু মানুষ। দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান শিশু-সহ ৮ জন। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর ৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে প্রত্যেক পরিবারের এক জনকে স্থায়ী চাকরির প্রস্তাবও দেন তিনি। পরের দিন, ১৮ অক্টোবর মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় তাঁদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন চাকরিতে যোগও দিয়েছেন। কিন্তু এদের মধ্যে সুদীপ পোদ্দার নামে ওই যুবক চাকরি প্রত্যাখান করলেন।

    আরও পড়ুন: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    স্থায়ী চাকরির আবেদন

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুদীপ যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী চাকরির আর্জি জানিয়েছিলেন (Malbazar)। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের স্থায়ী সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পর দেখি চাকরিটা স্থায়ী নয়। তাই এই চাকরিতে যোগ দেব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ সুদীপের এক দাদা সঞ্জয় পোদ্দার জানান, যেদিন তাঁর ভাইয়ের হাতে এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট আসে, তাঁরা বুঝতেই পারেননি, এটি কী চাকরি। পরে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, এটা অস্থায়ী হোমগার্ডের চাকরি। তাই এই চাকরি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুদীপ।

    রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ বিজেপির

    মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অস্থায়ী চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠলে বিজেপির নেতারা রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। মালবাজার (Malbazar) টাউনের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি নবীন সাহা বলেন, ‘‘সরকারের দেওয়া এই চাকরিতে নো ওয়ার্ক নো পে। অস্থায়ী চাকরি দিয়ে আদতে মানসিক চাপ দেওয়া হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একটা আইওয়াশ।’’

  • 100 Days Work: বন্ধ ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, নেই বিকল্প কাজ, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিপাকে রাজ্য সরকার

    100 Days Work: বন্ধ ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, নেই বিকল্প কাজ, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিপাকে রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় হয়েছে খয়রাতি। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজ (100 Days Work) প্রকল্প। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে চাপ। বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করছেন, বিকল্প কাজ দেওয়া হচ্ছে। তবে তা যে নিছকই ফাঁকা আওয়াজ মাত্র, সরকারি নির্দেশেই তা স্পষ্ট।

    সম্প্রতি একটি সার্কুলার জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দফতরের তরফে জবকার্ড (Job Card) হোল্ডারদের যে কাজ দেওয়া হচ্ছে, তা সন্তোষজনক নয়। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সার্কুলারের নীচেই কী কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে।

    প্রথম করণীয় কর্তব্য হিসেবে বলা হয়েছে, যে সব অদক্ষ শ্রমিকের জবকার্ড রয়েছে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কেবল তাঁদেরই নিযুক্ত করতে হবে। দ্বিতীয় কর্তব্য হল, যাঁরা কোনওভাবে কাজে নিযুক্ত হয়েছেন, অথচ জবকার্ড নেই, জেলা প্রশাসনের উচিত তাঁদের তা অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া। মুখ্য সচিবের জারি করা ওই নির্দেশিকায় হইচই রাজ্যজুড়ে। 

    একশো দিনের কাজ প্রকল্পে জবকার্ড হোল্ডাররা যাতে কাজ পান, তার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। গরিব মানুষ যাতে উপকৃত হন, সেজন্য একাধিক প্রকল্পও চালু করেছে মোদি সরকার। অভিযোগ, সেই সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজ্যের প্রকল্প বলে চালানো হচ্ছিল। একশো দিনের কাজেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় হয়েছে খয়রাতি। শেয়ালকে কুমির ছানা দেখানোর মতো একই কাজকে বিভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে। সেই ‘চুরি’র পর্দা ফাঁস হয়ে যেতেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। 

    পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প খরচে অনিয়মের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বকেয়া টাকা দিতে দিল্লি যে নারাজ, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধিকর্তা ধরমবীর ঝা রাজ্যের পঞ্চয়েত সচিব পি উল্গানাথনকে চিঠি দিয়ে এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যে গ্রামান্নোয়ন প্রকল্পে খরচের অনিয়ম নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল যে সব প্রশ্ন তুলেছিল তা কার্যকর করা নিয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে দিল্লি যে সন্তুষ্ট নয়, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে এই চিঠিতে।

    প্রায় ২ কোটি টাকা ভুয়ো খরচ হয়েছে বলে কেন্দ্রকে পাঠানো অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। পরের চিঠিতে কেন্দ্রীয় অধিকর্তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল বাংলায় এসে মাটি ফেলার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেই সব কাজে খরচ হওয়া সমস্ত টাকা উদ্ধার করতে হবে। এই কাজে যে সব সরকারি কর্মচারি বা পঞ্চায়েত কর্মী টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন্দ্রের মতে, চালু রাস্তার ওপর মাটি ফেলার নাম করে তহবিল তছরুপ করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এঁরা সবই অদক্ষ শ্রমিক। রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, ১৬টি সরকারি দফতর থেকে জবকার্ড হোল্ডার এই অদক্ষ শ্রমিকদের বিকল্প কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে। কিন্তু, গত মে মাস থেকে এই দফতরগুলি মাত্র ২৮ লক্ষ ৪৪ হাজার জবকার্ড হোল্ডারকে গড়ে ১৮ দিন কাজ দিতে পেরেছে। ফলে, কাজ না থাকায় জব কার্ড হোল্ডারদের একটা বড় অংশ কাজ পাচ্ছেন না। তাই এখন জবকার্ড বিলিতে কাটছাঁট করতে চাইছে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

    স্বাভাবিকভাবেই নবান্নের এখন জোড়া চিন্তা। এক, কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা পাওয়া এবং দুই, গ্রামবাংলার কর্মহীন মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থান দেওয়া। আপাতত তারই পন্থা হাতড়াচ্ছে নবান্ন। সেই কারণেই সরকারি সার্কুলার বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • WB Medical Council: মমতাকে সারদা মা বলার ‘পুরস্কার’ নির্মল মাজির, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে ছাপ্পা ভোট নিয়ে আদালতে বিরোধী শিবির 

    WB Medical Council: মমতাকে সারদা মা বলার ‘পুরস্কার’ নির্মল মাজির, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে ছাপ্পা ভোট নিয়ে আদালতে বিরোধী শিবির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক দূরত্ব তৈরির ‘নাটকে’ আপাতত ইতি। ‘পুরস্কার’ পেয়ে গেলেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। নির্মল মাজিকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের মনোনীত সদস্য করার সিদ্ধান্তকে এমনি ব্যাখ্যা করছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল গঠনে (WB Medical Council) বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। কাউন্সিলের নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট, ব্যালট চুরি, এমনকি বিরোধী প্রার্থী চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্তের নাম ব্যালট থেকে কারচুপি করে বাদ দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ উঠে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভোট গণনার দিন, একটানা গণনা না করে, সাত ঘণ্টার বিরতি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যেই রাজ্য সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে সেই বিতর্ক আরও দানা বাঁধে। 

    রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, নতুন কাউন্সিলে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়াও সরকার মনোনীত প্রতিনিধি থাকছেন। আর সেই মনোনীত প্রতিনিধি তালিকায় রয়েছেন নির্মল মাজি।তৃণমূলের বিধায়ক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ উঠেছিল কয়েক মাস আগে। তারপরেই নির্মল বাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা সারদা-র সঙ্গে তুলনা করেন মালদা মেডিক্যাল কলেজের এক সভায়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক অন্য মাত্রা নেয়। সাময়িকভাবে নির্মল বাবুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করে তৃণমূল। তাকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রার্থী হতেও নিষেধ করা হয়। 

    আরও পড়ুন: নিপীড়িতদের স্বাগত জানায় ভারত, ধর্মীয় সম্মেলনে বললেন আরএসএস নেতা

    যদিও এই সবটাই লোক দেখানো বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কালীপুজোর রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও নির্মল মাজি উপস্থিত ছিলেন। আর তারপরেই রাজ্য সরকারের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে জায়গা করে নেন নির্মল মাজি। অস্বচ্ছ নির্বাচনের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনের বিরোধী শিবির জয়েন্ট ডক্টর্স প্ল্যাটফর্ম। রাজ্যের শাসক দলের মদতে পেশি শক্তির জোরে মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে ব্যালট পৌঁছায়নি। চিকিৎসকেরা নিজেদের ভোট, নিজেরা দিতে পারেননি। এমনকি জাল ব্যালটের অভিযোগ করেছেন বিরোধী শিবিরের চিকিৎসকেরা। 

    ভোট গণনার দিন জাল ব্যালটের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গণনা কেন্দ্র থেকে বিরোধীদের বের করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারকে নিয়ে শাসক দলের প্রতিনিধিরা কয়েক ঘণ্টা বন্ধ করে মিটিং করেন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও একটানা গণনা প্রক্রিয়া চলে না। গণনায় বিরোধী শিবির এগিয়ে যেতেই সাত ঘণ্টা গণনায় বিরতি নেওয়া হয়। শাসক দলের প্রতিনিধিদের জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই সব অভিযোগ নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার তার শুনানি হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এই অভিযোগগুলো যথাযথ ভাবে যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি জানিয়েছেন। আগামী ১০ নভেম্বর বিষয়টির ফের শুনানি হবে। 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, তা নজরদারির দায়িত্ব মেডিক্যাল কাউন্সিলের। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক মজবুত করতেও কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রোগীর চিকিৎসা ও চিকিৎসক সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ বা সমস্যা থাকলে, সে কাউন্সিলের দ্বারস্থ হবেন। কিন্তু কাউন্সিল যদি অস্বচ্ছ ভাবে তৈরি হয়, তাহলে সেই কাজ কি কাউন্সিল ঠিকমতো করতে পারবে? আর দায়িত্ব পালন না হলে তার প্রভাব রোগী পরিষেবাতেও পরবে।

  • Mamata: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, বিদ্যুৎ বিলে ব্যাপক ছাড়ের নির্দেশ

    Mamata: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, বিদ্যুৎ বিলে ব্যাপক ছাড়ের নির্দেশ

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet election) সামনে আসতেই আর এক দফা ছাড়ের সিদ্ধান্ত রাজ্যের। এবার বিদ্যুৎ বিলে (electricity bill)। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেননি, তাঁরা বিলের ওপর পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় (waiver) পাবেন। বাকি পঞ্চাশ শতাংশ যদি এককালীন মিটিয়ে দেন, তাহলে বকেয়া জরিমানা আর দিতে হবে না। পয়লা নভেম্বর থেকে যে দুয়ারে সরকার (duare sarkar) প্রকল্প চালু হচ্ছে, সেখানেই মিলবে এই সুবিধা। তবে পশ্চিমবঙ্গ যখন দিন দিন ঋণের ভারে জর্জরিত, তখন কীভাবে এই দানছত্র খুলে বসা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBSEDCL) এর অধীনে ২ কোটি ১৯ লক্ষ গ্রাহক আছে। গ্রামীণ এলাকায় অনেক গ্রাহকই সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ বিল মেটান না। কৃষির জন্য যাঁরা বিদ্যুৎ নেন, তাঁদেরও একটা অংশ এই বিল মেটাননি। এর জন্য আইন মেনেই তাদের সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। তা আদায়েরও কোনও চেষ্টা করা হয়নি। ফলে 
    ঋণের বোঝা চাপছে বিদ্যুৎ সংস্থার ঘাড়ে। এই বোঝাই আরও বাড়িয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনমোহিনী পথে হাঁটার চেষ্টায় সরকার। 

    গৃহস্থের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও এই ছাড় মিলবে। শ্যালো টিউব ওয়েল, ডিপ টিউবওয়েল,সেচের জন্য নদী থেকে যারা বিদ্যুৎ খরচ করে জল তুলেছে, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বিলের অর্ধেক তাদের মকুব করা হবে। বাকি ৫০ শতাংশ যদি এককালীন জমা দেয়, তাহলে আর জরিমানা লাগবে না। ব্যক্তিগত ক্ষেত্র ছাড়া  কৃষক কমিটিরাও এই সুযোগ পাবে। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই এর জন্য ফর্ম মিলবে। ফর্ম ফিল আপের পর তড়িঘড়ি সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জনপ্রিয়তা কুড়োতে এই দান খয়রাতি কেন! কিছুদিন আগেই রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেই লোকসানের দায় চাপবে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার উপর। এমনিতেই সংস্থাকে সময়ে টাকা মেটাতে পারে না রাজ্য। কেন্দ্রের হিসেবে, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার পাওনা মেটাতে গড়ে প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত দেরি হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের। ফলে তাদের ওপর বোঝা বাড়বে। সবমিলিয়ে বিপদ ডেকে আনবে গোটা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের। যার বিপর্যয়ে ভুগতে হবে রাজ্যের বহু কোটি মানুষকে।  

     

     

  • Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার ব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আইনের শাসনকে হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা সামান্যই। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই এই কথাগুলো বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সসের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি বলছি না যে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে এটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কান্না শুনতে হবে। মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদছে। আজকাল অনেক কিছুই চলছে। রায়ের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত করতে পারে? আমাদের সম্মান না থাকলে কিছু থাকে না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বাঁচান। অহেতুক হয়রানি চলছে, প্লিজ গণতন্ত্র বাঁচান।

    এর পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সত্য বলছেন। কারণ বিচারব্যবস্থার প্রতি তৃণমূলের (TMC) আস্থা সামান্যই। বিচারকদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাও নেই। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনের শাসনের বদলে তৃণমূলের শাসন চলছে। রিজিজু বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দুও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কথাগুলো বলছেন। এর আগেও তিনি বিচারপতিরা কীভাবে বিচার করবেন, সে পরামর্শ দিয়েছেন। এ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা অগ্রসর হয়েছে, তাতে তিনি ভীত এবং আতঙ্কিত। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত। মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, চাকরি বিক্রি সহ যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরছে, সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছেন উনি। সংবাদ মাধ্যম একের পর এক দুর্নীতি ফাঁস করাতেই মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত ও ভীত হয়েই এমন বক্তব্য পেশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কবে তৎপর হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কবে তৎপর হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও ভয়াবহ। দিনের পর দিন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। আবার এখন আবার শুধুমাত্র ডেঙ্গিই নয়, ম্যালেরিয়াও নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। ফলে এই অবস্থায় রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বললেন, “ভয়ঙ্কর অবস্থা, সরকার নেই, সরকার ছুটি কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ১১দিন, কালীপুজোয় ৮দিন, ছুটি আর ছুটি।”

    সরকারি হিসাব অনুযায়ী ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’মাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৯৭৪৪ জন। আবার অন্যদিকে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। অন্তত ৬২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    ফলে এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে প্রশ্ন করেন, ‘এই মৌসুমে রাজ্যে ৪০ হাজার এরও বেশি ডেঙ্গির ঘটনার সামনে এসেছে। অক্টোবরের শেষের দিকে শহর কলকাতায় ৩৫০০ জনের বেশি কেস সামনে এসেছে। এই রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গি কেস কি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নজর এড়িয়ে গিয়েছে? কবে তৎপর হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে, সেই সব এলাকা গুলি কি স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে? কি কি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রতিদিন ডেঙ্গিতে মানুষ মারা যাচ্ছে এমনকি পুলিশকর্মীরাও সুরক্ষিত নয়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের মেজাজ থেকে বের হওয়া উচিত, কারণ ছুটি শেষ।’  

    প্রসঙ্গত, প্রতি দু’মাস অন্তর অন্তর পতঙ্গ বাহিত রোগে আক্রান্ত এবং মৃতের পরিসংখ্যান কেন্দ্রকে পাঠাতে হয়, প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে। সব রাজ্য থেকে ডেটা আসার পর সেগুলি বিশ্লেষণ করে তারপর সেগুলি প্রকাশ করে কেন্দ্র। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সারা দেশের ম্যালেরিয়া রিপোর্ট চলতি মাসে সর্বসমক্ষে এনেছে কেন্দ্র সরকার। তবে ম্যালেরিয়ার পরিসংখ্যান পাঠানো হলেও, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রকে এখনও ডেঙ্গি রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। আৎ এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পর থেকেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং মৃতের কোন তথ্য কেন্দ্র সরকারকে পাঠায়নি রাজ্য। শেষবার যখন ডেঙ্গির রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল তখন রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩৯। বর্তমানে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে। ফলে এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। ও এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন।

  • Amit-Mamata Meet: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

    Amit-Mamata Meet: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল নবান্নে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আপাতত রাজ্যে আসছেন না অমিত শাহ। রাজ্যে মূলত পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে আসার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু অন্যান্য কর্মসূচি থাকায় বাতিল করেছেন পূর্বাঞ্চলীয় রিজিওনাল কাউন্সিলের বৈঠক। কবে হবে সেই বৈঠক, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। আর সেই কারণেই এখন দেখা হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। ৫ নভেম্বর হওয়ার কথা ছিল পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের বৈঠকে।      

    আগামী ৫ নভেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। অমিত শাহে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের চেয়ারম্যান। তাই এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তাঁরই। কিন্তু ওই সময় অন্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকবেন। সেই কারণে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। পরবর্তীকালে কবে বৈঠক হবে তা অবশ্য তিনি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই স্থির করবেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: টেক অফের আগে আগুনের ঝলক, ইন্ডিগো বিমানে বিপত্তিতে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ ডিজিসিএর         

    পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের চেয়ারম্যান অমিত শাহ এবং ভাইস চেয়ারম্যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের সম্পর্কের তিক্ততার কথা কারও অজানা নয়। পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকের পাশাপাশি মমতা- অমিত শাহের একটি আলাদা বৈঠক হওয়ারও কথা ছিল। এই নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনাও হয় বিস্তর। সূত্রের খবর, নবান্নেই সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অমিত শাহর রাজ্য সফর আপাতত বাতিল হওয়ায়, বাতিল হয়েছে বৈঠকও। 

    পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের সদস্য রাজ্যগুলি হল- পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ড ও সিকিম। পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল কলকাতায়। ২০২০ সালে  এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওড়িশায়। সেই বৈঠকে অমিত শাহের মুখোমুখী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ২০১৯ সালে এই বৈঠক হয়েছিল এই রাজ্যের নবান্নে। সেই বৈঠকে তখন উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

    মূলত পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল৷ অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বৈঠকে অংশ নিতে কলকাতায় আসার কথা ছিল বিহার, ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ড এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীদেরও৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share