Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সময় ঘনিয়ে এলেই স্বৈরাচারীদের বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পায়…’’, রাজ্য সরকারকে নিশানা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সময় ঘনিয়ে এলেই স্বৈরাচারীদের বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পায়…’’, রাজ্য সরকারকে নিশানা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের অনশন আন্দোলন (TET Agitation) গতকাল রাতে জোর করে ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। এবার এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে তিনি লেখেন, “ভয়ানক দৃশ্য! চাকরিপ্রার্থীদের উপর এই নির্মম অত্যাচার গোটা বাংলা দেখছে। আজ যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের লেডি হিটলার মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে লেলিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্ণামঞ্চ ভাঙলেন ঠিক একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঘাড় ধাক্কা দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট দুর্নীতিপরায়ণ সরকারকে চেয়ার থেকে ছুঁড়ে ফেলবে।সময় ঘনিয়ে এলেই স্বৈরাচারীদের বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পায়। বাংলার মানুষ সবকিছুর সাক্ষী থাকলো।”

    প্রসঙ্গত, কাল রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় করুণাময়ীর আন্দোলন মঞ্চ। গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদ চত্বের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আর এরপরেই বাড়তে থাকে পুলিশের সক্রিয়তা। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে অনশন স্থলে। আন্দোলনকারীদের সরাতে প্রচুর পুলিশ জমায়েত হতে থাকে। এরপর আন্দোলনকারীদের জমায়েতকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় প্রথমে। তারপর তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয় দুই মিনিট। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি ও আন্দোলনে অনড় থাকে। ফলে আন্দোলনকারীরা না সরলে কার্যত তাঁদের জোর করে টেনে-হিঁচড়ে জায়গা থেকে সরানো হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আবার ২০ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউন থানায়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তিন দিন ধরে অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই ধস্তাধস্তির মধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারান৷

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

    চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তোলেন, “আমরা কি চোর? শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার মাঝে রাতের অন্ধকারে পুলিশ কেন তুলে দিল?” পুলিশের বর্বরোচিত আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। কেউ কেউ বললেন, ‘আমাদের ন্যায্য চাকরি ঘুষের টাকায় বিক্রি করে দিয়ে পুলিশ দিয়ে জোর করে মধ্যরাতে তুলে দিচ্ছে আমাদের।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর (CM) বিজয়া সম্মিলনীতে যেসব ক্লাব ৬০ হাজার করে টাকা পেয়েছিল, তাদের ওই সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে বলে বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং জেলাশাসক (DM)! সরকারি একটি পদে বসে জেলাশাসক এমন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    বামেদের হঠিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যের তখতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকার। তার পরেই একের পর এক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রাজ্য সরকারের নাম। রাজ্য সরকারের এহেন অনিয়মের অভিযোগে বারংবার সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার এরকমই একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা ট্যুইট করে জানালেন শুভেন্দু। ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা তাঁদের অধস্তন এডিএম, এসডিও এবং বিডিওদের প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, দুর্গাপুজো উপলক্ষে যেসব ক্লাবকে ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে, ওই সব ক্লাবের সদস্যদের আগামিকাল শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে বাধ্যতামূলকভাবে হাজির করাতে হবে। সরকারি পদে বসে জেলাশাসকের মতো একজন পদাধিকারী এহেন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

    তবে প্রশ্ন উঠলেই বা কী হবে? এমন নজির রয়েছে আরও। এবং তা তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে সাজ সাজ রব। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গের একটি রিসর্টে গিয়েছিলেন তিনি। রিসর্টটি উত্তর ২৪ পরগনার মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি এই রিসর্ট সংস্কার করা হয়েছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। সাজানো হয়েছে রিসর্ট চত্বর। রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, এসবই হয়েছে সরকারি টাকা খরচ করে। মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন ভেবে সরকারি টাকায় একটি বেসরকারি রিসর্ট সাজানো যায় কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। রিসর্ট বিতর্কের রেশ মেলানোর আগেই এবার জেলাশাসকদের বার্তা নিয়ে সরব হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।   প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীকে কর্পোরেট সম্মিলনী বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের কর্পোরেট সম্মিলনীর কোনও মূল্য সাধারণ মানুষের কাছে নেই। এই ধরনের সম্মিলনীতে সাধারণ মানুষ থাকে না। এখানে থাকে শুধু তোলামূল পার্টির সদস্য আর পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি টাকায় এক তৃণমূল বিধায়কের রিসর্ট সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর আটচল্লিশ ঘণ্টাও কাটেনি, ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের (Sand Smuggling) একটি ভিডিও শেয়ার করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফরে তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই ওই জেলায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার।

    সোমবার উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়া দশমীর দিন মালবাজারে মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আচমকাই জলপাইগুড়ির ওই নদীতে চলে আসে হড়পা বান। বানের জলে ভেসে যান বেশ কয়েকজন। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের দেহ। এদিন উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে দশমীর দিনের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যখন ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করছেন, ঠিক তখনই উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ নদী তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার ভিডিও শেয়ার করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    ২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি শেয়ার করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফর করছেন, তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই জেলায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। নন্দীগ্রামের বিধায়েকর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই চলছে বালি পাচার। পাচারের কাজ চলছে রাজগঞ্জ বিধানসভার পাহাড়পুর এলাকায়।

    আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রবিবারই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেছিলেন, সরকারি ব্যয়ে উত্তরবঙ্গে একটি বেসরকারি রিসর্ট সংস্কার করা হচ্ছে। রিসর্টটি মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। কেবল ওই রিসর্টটি নয়, তার আশপাশের এলাকা এবং রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন একবার ওই রিসর্টে গিয়েছিলেন। সরকারি অর্থ ব্যয়ে কেন চলছে ব্যক্তিগত রিসর্ট সংস্কারের কাজ, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণে মালবাজারের তেসিমলা পঞ্চায়েতের একটি  রিসর্ট সংস্কার করা হচ্ছে। রিসর্টটি মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের বলে দাবি শুভেন্দুর। সরকারি খরচে একটি ব্যক্তিগত রিসর্ট ঢেলে সাজানোর তৎপরতাকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী।

    সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মালবাজারে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর সময় বিসর্জন দিতে গিয়ে মাল নদীতে হড়পা বানের জলে ভেসে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। এই সফরে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিতে পারেন প্রশাসনিক বৈঠকেও। পরে যেতে পারেন মালবাজারের ওই রিসর্টে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী রিসর্টটিতে যেতে পারেন, তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেটি সংস্কার করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কেবল ওই রিসর্টটিই নয়, তার আশপাশের এলাকাও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সংস্কার করা হচ্ছে রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও। প্রসঙ্গত, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন একবার এই রিসর্টে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, রিসর্টটি দুলাল দাসের। সরকারি টাকা খরচ করে সাজানো হচ্ছে সেটি। রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে এদিন ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেন শুভেন্দু। লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। সরকার ডিএ দিতে ব্যর্থ। রাস্তা সংস্কার করতে পারছে না। পারছে না কর্মসংস্থান করতে। এমতাবস্থায় জনগণের টাকা খরচ হচ্ছে তৃণমূল নেতা দুলালচন্দ্র দাসের একটি ব্যক্তিগত রিসর্ট সংস্কারে। কারণ ভিভিআইপি গেস্ট আসছেন। শুভেন্দুর খোঁচা, লেডি কিম কি সেখানে থাকতে যাচ্ছেন? অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, এখন জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনিক সভাগুলিতে উন্নয়নের কাজের জন্য তহবিল চাওয়ায় ক্রমাগত মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। ৩০ লক্ষেরও বেশি সরকারি চাকরি খালি পড়ে রয়েছে। কারণ, নিয়োগ করা হলে সরকার বেতন দিতে পারবে না। এই অবস্থায় এই ধরনের ব্যয় কি ন্যায়সঙ্গত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Amit Malviya: গোষ্ঠী হিংসা এখন রাজ্যে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা! মোমিনপুর-কাণ্ডে মমতার সরকারকে দুষলেন অমিত মালব্য

    Amit Malviya: গোষ্ঠী হিংসা এখন রাজ্যে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা! মোমিনপুর-কাণ্ডে মমতার সরকারকে দুষলেন অমিত মালব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র  আক্রমণ করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস থেকে যাঁরা শিক্ষা নেয়নি তারাই এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।’ উল্লেখ্য, রবিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ কলকাতার ইকবালপুর থানার অন্তর্গত মোমিনপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এই ঘটনায় আহত হন অনেকে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু দোকানপাট, বাইক। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ঠুটো জগন্নাথের মতো দাঁড়িয়েছিল। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে এত ক্ষয়ক্ষতি হত না।

    ইতিমধ্যেই মোমিনপুর কাণ্ডে রাজ্য বিজেপি নিতেরা সরব হয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরারী থেকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে ট্যুইট করেছেন। মোমিনপুর কাণ্ডের ভয়বহাতার আরও ছবি ফুটে উঠেছে অমিত মালব্যের ট্যুইটে। তিনি লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানায় শুধু সাধারণ মানুষ নয়, পুলিশও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তার জ্বলন্ত উদাহরণ মোমিনপুর কাণ্ড। বিশেষ একটি সম্প্রদায় ইকবালপুর থানায় বিক্ষোভের নামে রীতিমতো লুঠতরাজ চালায়। টেবিলের নীচে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচানোর ঘটনা বাংলায় নতুন নয়। এক্ষেত্রে পুলিশ অসহায়তার ছবি ফুটে উঠেছে। ইকবালপুর থানায় যেভাবে ভাঙচুর, লুঠের ঘটনা ঘটেছে, তা গণতন্ত্রের কালো দিন। পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না।’

    ১৯৪৬ সালের নোয়াখালি হিংসার কথা উল্লেখ করে মালব্য বলেন, “যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না তারা এর পুনরাবৃত্তি করতে পারে।” অতীতে কোজাগরী পূর্ণিমার রাতেই নোয়াখালিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল কলকাতায়। মালব্যের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। রাজ্য বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এই ঘটনায় পুলিশ শুধু নিষ্ক্রিয় ছিল না, ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কীভাবে গণ্ডগোল লাগল, কারা এর পিছনে রয়েছে, সব তথ্য প্রকাশ্যে আনা উচিত।’

  • Jagdeep Dhankhar: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি হয়েও বাংলার মানুষের দুর্দশার কথা ভুলতে পারছেন না জগদীপ ধনখড়। যখন শাসকের শাসন আইনের শাসনকে ছাপিয়ে যায়, তখন কী পরিস্থিতি হয় তা প্রতিনিয়ত দেখছে বঙ্গবাসী। এমনই দাবি করলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। বুধবার রাজধানী দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি। মানবাধিকার কমিশনের অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি অভিযোগ করেন,পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক দাঙ্গা ক্রমশ বাড়ছে। মোমিনপুর কাণ্ডের পর বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উপরাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?

    ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। তারপর থেকেই রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ শুরু। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বারংবার আওয়াজ তুলেছিলেন ধনখড়।  রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়েও সরব ছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তাঁর সংঘাত এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন তিনি  ট্যুইটারে রাজ্যপাল ধনখড়কে ব্লক করে দিয়েছেন। এখনও তাঁর রেশ বর্তমান।

    আরও পড়ুন: কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    এদিন অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি তিনবছর বাংলার রাজ্যপাল ছিলাম। আমি যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলাম তখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। রিপোর্টের প্রথম বাক্যটা আমি কোনওদিনও ভুলব না। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বাংলায় আইনের শাসন চলে না। শাসকের আইন চলে।’ এদিন পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ধনখড়। তিনি বলেন, “মানবধিকার লঙ্ঘন যাঁরা সহ্য করেন, তাঁরাও সমান অপরাধী। যেখানে শাসকের আইন নয়, আইনের শাসন চলে সেখানেই মানবধিকার রক্ষিত হয়।” তাঁর মতে, “স্বাধীনতার সবচেয়ে ভাল সংজ্ঞা হল, সর্বত্র মানবধিকার রক্ষা এবং সংবিধানের সারমর্ম এবং সমস্ত ধর্মের মূলসত্ত্বাই হল, সবার ঊর্দ্ধে মানবধিকার রক্ষা করা।” তিনি আরও জানান, “রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা, বংশপরিচয়, জাতি বা ধর্মের নিরিখে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রক্ষা করা যায় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue West Bengal: তথ্য গোপনের খেসারত দিচ্ছে রাজ্যবাসী, ছ’বছরে সর্বোচ্চ ডেঙ্গি আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গে

    Dengue West Bengal: তথ্য গোপনের খেসারত দিচ্ছে রাজ্যবাসী, ছ’বছরে সর্বোচ্চ ডেঙ্গি আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগ চিহ্নিত করে দাওয়াই নয়, বরং তথ্য গোপন করে রোগ ধামাচাপা দিতেই বেশি সক্রিয় প্রশাসন। আর প্রশাসনের রোগ লুকোনোর অসুখের জেরে ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। গত ছ’বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) আক্রান্ত হয়েছে এবছর। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যা রেকর্ড সংখ্যা বলে মনে করছেন খোদ স্বাস্থ্য কর্তারাই।

    তবে, প্রশাসনের লুকোচুরির জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির (Dengue West Bengal) মতো সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে তথ্য গোপন ভয়ঙ্কর। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকার লাগাতার তথ্য গোপন করেছে। এমনকি ডেঙ্গি তথ্য জানানো নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য জটিলতাও হয়েছে। কেন্দ্রকে ঠিকমতো তথ্য না দেওয়ায় কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি তথ্য আপডেট করা যায়নি। ডেঙ্গি তথ্য জানার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। 

    আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তথ্য গোপন করতে গিয়ে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা নিজেরাও জানেন না কোন জেলার পরিস্থিতি কেমন। এক চিকিৎসক বলেন, “ডেঙ্গি হচ্ছে, এটা জানানোই একটা অপরাধ। প্রশাসনিক বৈঠকে ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) প্রসঙ্গ তুললেই সর্বস্তরে অস্বস্তি। কিন্তু কথা না বললে বা তথ্য সামনে না আনলে তো সত্যি বদলে যাবে না। এই আন্ডার রিপোর্টিং প্রবণতা বিপদ আরও বাড়িয়ে দিল।” 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) পরিস্থিতি সম্পর্কে বাস্তব তথ্য না থাকলে কাজের প্রয়োজনীয়তা ঠিকমতো বোঝা যায় না। আর এবছরেও তাই হয়েছে। গত বছরে যেমন তথ্য গোপন হয়েছে, এ বছর সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে। কিন্তু এই গাফিলতির খেসারত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এক চিকিৎসক জানান, অনেক জায়গায় ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলে রিপোর্ট দেরিতে পাঠানো হচ্ছে। এতে রোগীর ক্ষতি হচ্ছে। চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের এই লুকিয়ে রাখা মানসিকতা থেকে মুক্তি না ঘটলে, ডেঙ্গি থেকে রেহাই নেই।

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি ও মুর্শিদাবাদ এই পাঁচ জেলার ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক। জেলায় যে ভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা চলতি সপ্তাহে বেড়েছে, তা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর চব্বিশ পরগনায় এক সপ্তাহে ১২৩৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম সর্বত্র ডেঙ্গি ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে। কিন্তু যে তথ্য সামনে আসছে, পরিস্থিতি তার থেকেও ভয়ানক বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    গত কয়েক বছরে সপ্তাহে দু থেকে তিন হাজার মানুষ ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এক সপ্তাহে সাড়ে পাঁচ হাজার আক্রান্তের নজির অতীতে ছ’বছরে নেই। ডেঙ্গি পজিটিভিটি রেট গত এক সপ্তাহে ১২ শতাংশ হয়েছে। এই তথ্য স্পষ্ট করছে, পুজোর মরশুমে রাজ্য সরকার কার্যত কোনও কাজ করেনি। ডেঙ্গি মোকাবিলায় একেবারেই হাত গুটিয়ে ছিল প্রশাসন।
     
    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা ও প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব এ বছরের ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে।

  • Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik hattacharya) বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্দেশে লেখা চিঠি। আদালতে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মানিকের বাড়ি থেকে একটি চিঠি মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিটি একটি অভিযোগপত্র। চিঠিতে কেউ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন যে, ৪৪ জনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে। চাকরির বিনিময়েই এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, এই চিঠি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করা হলে, তিনি পরস্পরবিরোধী উত্তর দেন। মানিকের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মঙ্গলবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতেই এই চিঠির কথা জানান ইডির আইনজীবী। তিনি জানান, এই টাকা যুব তৃণমূলের কোনও একজন সাধারণ সম্পাদক সংগ্রহ করছিলেন। ইডির হাতে পাওয়া নথি থেকে জানা যাচ্ছে, মানিক ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরের লোকেদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অপরিচিতদের সঙ্গেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে প্রচুর টাকা রয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এবং কীভাবে এসেছে তা খতিয়ে দেখছে ইডি।  

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    এছাড়াও ইডির তরফে জানানো হয়, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি ফোল্ডার। যারমধ্যে ৬১ জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে। যারমধ্যে ৫৫ জনের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। পাশপাশি,মানিক ভট্টাচার্যের মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। অনুমান এই মোবাইল থেকেই মিলতে পারে প্রাইমারি টেট দুর্নীতির নানান তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে বিতর্কিত সেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। ‘RK’ নামে সেভ থাকা একটি নম্বর থেকে সেই মেসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল, চূড়ান্ত লিস্টে অনুমোদন দিয়েছেন ‘DD’। এই ‘RK’ ও ‘DD’কে তা জানতে চায় ইডি। এর উত্তর মিললেই অনেক প্রশ্নের জট খুলে যাবে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর এনে দিয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ একদিকে যেমন ৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার, অন্যদিকে তেমনি রাজ্য সরকার ডিএ-এর (DA Case) দৌঁড়ে অনেকটা পিছিয়ে গেল। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ব্যবধান আরও বাড়ল। ডিএ-ব্যবধান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ শতাংশ।

    এর আগেই ডিএ (DA Case) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। সেদিন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার।  

    আরও পড়ুন: প্রাক-পুজো উপহার! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদির মন্ত্রিসভা

    এবারে কেন্দ্রের তরফে নতুন ডিএ ঘোষণার পরে রাজ্যের বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনগুলোও আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কর্মী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্র ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন হারে ডিএ দিতে শুরু করে। তার পরে জুলাই ও জানুয়ারি, বছরে দু’বার রীতি মেনে ডিএ বাড়াতে থাকে তারা। বুধবার কেন্দ্র যে-ডিএ ঘোষণা করেছে, তা কার্যকর হবে গত জুলাই থেকে। ফলে এখন কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণ বেড়ে হচ্ছে ৩৮%। বাংলায় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ২০২১-এর ১ জানুয়ারি মাত্র ৩% ডিএ চালু হওয়ায় বাস্তবে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সেই ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ শতাংশে।   

    কর্মী সংগঠন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কয়েক বছর ধরে সর্বনিম্নের বেতনে চাকরি করা কর্মচারীদের অনেক টাকার লোকসানও হচ্ছে। যারা গ্রুপ ডি-তে কাজ করেন তাঁদের প্রায় ৭০০০ টাকাকর মত লোকসান হচ্ছে ও যাঁরা গ্রুপ সি-তে চাকরি করেন তাঁদের প্রায় ১০০০০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

    মামলাকারী কর্মী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আদালত ডিএ (DA Case) মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও রাজ্য সরকার এই বিষয়কে এড়িয়ে চলেছে। তবে তাঁরা এই রাজ্য সরকারের থেকে ডিএ আদায় করেই ছাড়বে ও দরকার পড়লে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাস্তায় আন্দোলনো বসবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল অভিযোগ করেছেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা চরম আর্থিক বঞ্চনার শিকার। প্রতারণা করছে তৃণমূল সরকার। পুজোর ছুটির পরে ফের রাস্তায় নামব আমরা।’’ তবে এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ের পরে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেবে সেটার অপেক্ষায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারী।  

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছে রাজ্য, অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছে রাজ্য, অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) টাকা দিচ্ছে রাজ্য। শনিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ন মাস ধরে চুরি করছে। হিসাব দিতে না পারায় বন্ধ ১০০ দিনের টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, কেন্দ্রের জল প্রকল্পের টাকাও পাবে না। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এদিন নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বলেন, জাতীয় শিক্ষা মিশনের টাকা থেকে ভাইপো, পার্থরা কাটমানি খেয়েছেন। এঁদের টাকা খাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে আসছে।

    এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই রাজ্য সরকার এবং অভিষেক-পার্থকে লক্ষ্য করে তোপ দাগেন তিনি। পরে নিক্ষেপ করেন ট্যুইট-বাণও। শুভেন্দু লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ বিভাগ, বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলের ব্যবহার অন্যত্র করছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে।

    অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, আমি এটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইসিডিএসের মতো কেন্দ্রীয় তহবিলগুলিকে অস্থায়ীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে তহবিল দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছে। কেন্দ্রীয় তহবিল যেমন মিড-ডে মিলের অর্থেরও ব্যবহার হচ্ছে। এটা একটার কাছ থেকে আর একটা দিতে ধার নেওয়ার মতো। এটা বন্ধ করতে হবে।

    আরও পড়ুন :বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    এর আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের টাকা আটকে যায় বলেও সূত্রের খবর। এবার শুভেন্দুর অভিযোগ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তহবিল নিয়ে। তার পরেই উঠছে প্রশ্ন, এবার কি তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে তৃণমূল নেত্রীর সাধের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পও?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share