Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বাজিমাত মাত্র ১৭ কোটিতেই! জলে গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) ৪৭ কোটি টাকা। হ্যাঁ, গোয়া (Goa) বিধানসভা নির্বাচনে জলের মতো টাকা খরচ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেও মেলেনি সাফল্য। সম্প্রতি এমনই খবর মিলেছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

    গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারাতে উঠেপড়ে লাগে তৃণমূল। আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যের রশি হাতে নিতে একাধিকবার গোয়া উড়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকবার গোয়া উড়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোয়ার মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, বাবুল সুপ্রিয় সহ একঝাঁক নেতানেত্রী। ভোটে বিজেপিকে মাত দিতে কংগ্রেসের ঘর ভাঙাতে শুরু করে তৃণমূল। তার পরেও ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, শেষ হাসি হেসেছে বিজেপি-ই। আরব সাগরের তীরের এই ছোট্ট রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই ফুটেছে পদ্ম।

    জানা গিয়েছে, গোয়ায় ঘাসফুল আঁকা ঝান্ডা ওড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়ে তৃণমূল ব্যয় করেছে ৪৭.৫৪ কোটি টাকা। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে ধরাশায়ী করে গোয়ার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। গোয়া দখল করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের খরচ হয়েছে মাত্র ১৭.৭৫ কোটি টাকা। বড় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে কম খরচ করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টি। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খরচ করেছে মাত্র ৩.৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে ভোটের খরচের হিসাব দাখিল করেছে। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য।

    আরও পড়ুন :বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    দীর্ঘদিন গোয়ার কুর্সিতে ছিল কংগ্রেস। তবে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খুব বেশি টাকা খরচ করতে পারেনি। ওই নির্বাচনে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি খরচ করেছে মাত্র ১২ কোটি টাকা। আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বিজেপি মায় তৃণমূলের চেয়েও ঢের বেশি টাকা খরচ করেছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। তারা তাদের ১১ জন প্রার্থীর প্রত্যেককে দিয়েছে ২৫ লক্ষ করে টাকা। এছাড়াও প্রচারের খরচ দিয়েছে দল। ওই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনাও। ১০ প্রার্থীকে জেতাতে তারা খরচ করেছিল ৯২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন, পুলিশ পিসি-ভাইপোর দাস নয়’’, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন, পুলিশ পিসি-ভাইপোর দাস নয়’’, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) পর রাজ্য সরকারকে নিশানা করে একের পর এক ট্যুইট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী৷  রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য প্রশাসন, রাজ্যের পুলিশকে নিশানা করে ট্যুইট করেন তিনি৷ মঙ্গলবার রাত থেকেই তিনি পরপর ট্যুইট করতে থাকেন, সেখানে ক্ষুরধার আক্রমণ শানান শাসক দলকে।

    নবান্ন (Nabanna) অভিযানের আগে গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু। একটি ভিডিও পোস্ট করে বিরোধী দলনেতার ট্যুইট,’ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রকাশ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে অবজ্ঞা করছেন। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Justice Rajsekhar Mantha) রায় অমান্য করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও যে রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি, তাকে অবজ্ঞা করেছে রাজ্যের প্রশাসন। এটাই প্রমাণ করে বাংলায় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন নাগরিকের মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করছে।’

    পুলিশের (West Bengal Police) স্বাধীনতাও খর্ব করা হচ্ছে, বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইট বার্তায় দাবি করেন, ‘পুলিশ-প্রশাসনকে স্বাধীনতা দিন, নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দিন। তাঁরা মানুষ, পিসি-ভাইপোর ব্যক্তিগত দাস নয়।’


    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিজেপি (BJP)-এর নবান্ন অভিযানের সময়, সাঁতরাগাছি যাওয়ার পথে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর (Vidyasagar Setu) মুখেই পুলিশ আটক করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও রাহুল সিনহাকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhiyan) থেকেই পরের নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। এদিন লালবাজার (Lalbazar) থেকে ফেসবুক লাইভের (Suvendu Facebook Live) মাধ্যমে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘লেডি কিম’ উল্লেখ করে তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, ক্ষমতায় এলে ভাইপো সহ-আইপিএসদের ভিতরে ঢোকানো হবে।

    রাজ্যে ক্রমবৃদ্ধিমান দুর্নীতির (West Bengal Corruption) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল বিজেপি (BJP)। ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan)। সেখানই, আলিপুর পিটিএসে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ ওয়ের কাছে আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। একইসঙ্গে আটক করা হয় লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও রাহুল সিনহাকে। তাঁদের সকলকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। সেখান থেকে ফেসবুক লাইভ করেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক বলেন, ‘‘আজকে আমার দায়িত্ব ছিল আমাদের যে মিছিল সাঁতরাগাছি থেকে বের হবে, তার নেতৃত্ব দেওয়া। জগিং করার পোশাক পরে কিছু মহিলা পুলিশ কর্মী ছিলেন ওখানে। পোশাক নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। সাধারণ ভাবে আমরা যাদের গুন্ডা বলি। লিঙ্গ পরিবর্তন করলে হয় গুন্ডি। তারা রাহুল সিনহাকে চোখে, হাতে আঁচড়ে দিয়েছে। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী বা শ্বশুর-বউমা ঝগড়া হলে যেমন হয় তেমন ভাবে আঁচড়ে দিয়েছে।’’

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে এক দশকের বেশী সময় ধরে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সেই দুর্নীতির যিনি কিংপিন তাঁকে আজ আমি নতুন নাম দিয়েছি লেডি কিম। পার্টির ক্যাডাররা ঘরে ঢুকে গেছে। পুলিশগুলোকে বাধ্য করা হয়েছে রাস্তায় নামতে। আর জ্ঞানবন্ত সিংয়ের (Gyanwant Singh) মতো কিছু বাছাই করা আইপিএস অফিসারদের ব্যবহার করা হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ক্ষমতায় এলে আজকে যে আইপিএস-রা শাসকের দলদাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তাঁদের ভেতরে ঢোকানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘কোনও প্ররোচনায় পা দেবে না। দীর্ঘমেয়াদি লড়াই হবে। ডিসেম্বরের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাতে পারবে না। এই আইপিএসগুলোকে ভেতরে ঢোকাবো। ভাইপোতো যাবেই। একদম প্ররোচনায় পা দেবেন না। আইনি লড়াই করবই। কোন কর্মী যেন লস না হয়।

    এদিন আটক হওয়ার আগে, শুভেন্দু বলেছিলেন, রাজ্যবাসীর সমর্থন হারিয়ে এখন উত্তর কোরিয়ার মতো পশ্চিমবঙ্গে স্বৈরতন্ত্র স্থাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে রাখেন, সোমবার থেকে পুলিশ যেভাবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার করেছে, তার ফল ভুগতে হবে। তিনি জানিয়ে রাখেন, ‘‘বিজেপি আসছে…।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Child Marriage: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    Bengal Child Marriage: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের (TMC Government) ভোট অস্ত্র। শহর থেকে গ্রাম এই সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন ঢেকে গিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও সভা মঞ্চে সাফল্যের তালিকা তুলে ধরলেই সেই প্রকল্পের কথা সব্বার প্রথমে বলেন। কিন্তু তারপরেও যেন বাস্তবে বড় ধাক্কা খেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) স্বপ্নের প্রকল্প।

    রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে। প্রশ্ন উঠছে কন্যাশ্রী কি শুধুই বিজ্ঞাপনে আটকে? বাস্তবের ছবি কি আলাদা? ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (NFHS) ২০১৯-২০ সালের রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গে নাবালিকা বিয়ে (Child Marriage) বেড়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের সংখ্যা ২০১৫-১৬-র তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ সালের এনএফএইচএস রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪১ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু ২০১৯-২০ সালের এনএফএইচএস রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৪৮.১ শতাংশ গ্রামীণ মেয়ের নাবালিকা বিয়ে হয়। শহরে সেই সংখ্যা ২৬.২ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    কেন্দ্রের এই পরিসংখ্যান কন্যাশ্রীর (Kanyashree) সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছেন একাংশ। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই কন্যাশ্রী প্রকল্প শুরু করে। মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প। ১৮ বছর পর্যন্ত মেয়েরা পড়াশোনা করবে এবং নাবালিকা বিয়ে আটকানো যাবে, এই দুইয়ের বাস্তবায়ন কন্যাশ্রীর উদ্দেশ্য। কিন্তু বাস্তবে কন্যাশ্রী আদৌও কার্যকরী হচ্ছে কি? সেই প্রশ্ন জোরালো করছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান।

    প্রশাসনের অন্দরের একাংশ জানাচ্ছেন, কন্যাশ্রী নিয়ে প্রচার যতখানি হচ্ছে, সুফল ভোগ কত মেয়ে করছে, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। অনেকেই কন্যাশ্রীর টাকা ঠিক মতো পাচ্ছে না। শুধু টাকা নয়, সরকারের তদারকিরও অভাব থাকছে। মেয়েদের বিয়ে রুখে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। কিন্তু অনেক জায়গায় অভিযোগ উঠছে, নাবালিকা বিয়েতে স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলরদের ও ইতিবাচক ভূমিকা থাকছে। ফলে, হোর্ডিংয়ের মতো বাস্তবে কন্যাশ্রী জ্বলজ্বল করছে না। 

    প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়া নিয়েও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনেক এলাকায় কন্যাশ্রীর টাকার একাংশ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা কাউন্সিলরকে দিতে হয়। কন্যাশ্রীর টাকার ‘ভাগ’ না পেলে প্রয়োজনীয় নথিতে সই করতে চান না সংশ্লিষ্ট মহল। তার উপরে কে কন্যাশ্রী পাবে, সে নিয়েও চলে নানান রাজনৈতিক জটিলতা। এলাকার শাসক দলের নেতার সুনজরে না থাকলে অনেকেই ফর্ম পূরণ করেও কন্যাশ্রীর সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে, যাদের এই প্রকল্পের প্রয়োজন, তাঁরা অনেকেই আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগ কত? ১৩ হাজারের নামের তালিকা পর্ষদের!

    যদিও কন্যাশ্রীর জন্য পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী যে সফল, তা শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্বীকৃতি পেয়েছে। নাবালিকা বিয়ের মতো সমস্যা একদিনে মিটবে না। প্রশাসন এ নিয়ে তৎপর। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে এই ঘটনা আরও বেশি হচ্ছে।”
     
    তবে, খামতি যে থাকছে সে কথা স্বীকার করছে রাজ্য শিশুর অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়, নাবালিকা বিয়ে একটা সামাজিক সমস্যা। একে পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে আরও সক্রিয় হতে হবে। সব মহলকেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি মেয়েদের সতর্ক ও করতে হবে। বাড়ির লোক জোর করলেও যাতে মেয়েরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়, অভিযোগ করে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। সেটা হচ্ছেও। অনেক জায়গায় মেয়েদের সাহসের জোরেই নাবালিকা বিয়ে আটকানো যাচ্ছে।

  • Amit Malviya: কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার মন্তব্যে মমতাকে মোক্ষম জবাব মালব্যর

    Amit Malviya: কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার মন্তব্যে মমতাকে মোক্ষম জবাব মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) কোনও নেতা মায় প্রধানমন্ত্রীরও প্রয়োজন নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) শংসাপত্রের। এমনই জানিয়ে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। সিবিআই (CBI) এবং ইডি (ED) এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার যথেচ্ছ ব্যবহারের বিরুদ্ধে এক সময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি এ ব্যাপারে ক্লিন চিট দেন প্রধানমন্ত্রীকে। যদিও তিনি এজন্য দোষারোপ করেন বিজেপি নেতৃত্বকে। তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য জানিয়ে দেন বিজেপির কোনও নেতা মায় প্রধানমন্ত্রীরও প্রয়োজন নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শংসাপত্রের।

    রাজ্যে একাধিক কেলেঙ্কারির তদন্তের দায় বর্তেছে ইডি এবং সিবিআইয়ের ওপর। তদন্তে নেমে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পরেই  একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধীদের দমাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে সোমবার এ ব্যাপারে তিনি ক্লিনচিট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরাও দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। তাঁরা পালাচ্ছেন ইডি এবং সিবিআইয়ের অপব্যবহারের ভয়ে। আমি মনে করি না যে মোদি এটা করেছেন। মমতা বলেন, আপনারা অনেকেই জানেন না যে সিবিআই প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট করে না। এরা রিপোর্ট করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। মমতা বলেন, কিছু বিজেপি নেতা ষড়যন্ত্র করছে এবং তাঁরা প্রায়ই নিজাম প্যালেসে যাতায়াত করেন। প্রসঙ্গত, কলকাতায় সিবিআই দফতর রয়েছে এই নিজাম প্যালেসেই।

    আরও পড়ুন : কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে আসছে ‘প্রধানমন্ত্রী প্রণাম’ প্রকল্প

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মোদি-স্তুতি ও বিজেপি নেতাদের দোষারোপ করাকেই নিশানা করেছেন পদ্ম নেতা অমিত মালব্য। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, বিজেপির কোনও নেতা মায় প্রধানমন্ত্রীরও প্রয়োজন নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শংসাপত্রের। তাঁর পুরো সরকার, পদস্থ মন্ত্রীরা, দলের ওপরতলার নেতারা এবং গোটা পরিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রাডারে রয়েছেন। কারণ আদালতের নির্দেশে চলছে তদন্ত। একের পর এক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীর নাম। লুঠ হয়েছে গরিব মানুষের টাকা। এই লুঠ, এই দুর্নীতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • WB Govt Soft on PFI: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    WB Govt Soft on PFI: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উগ্রপন্থা এবং নাশকতার কাজে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে পিএফআই (PFI Banned) ও তাদের বেশ কয়েকটি শাখা সংগঠন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি জারির পর বিভিন্ন রাজ্য পদক্ষেপও করেছে। এমনকি কেরল (Kerala) সরকারও কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে সে রাজ্যে ব্যাপক ধরপাকড় এবং পিএফআইয়ের (Popular Front of India) কার্যকলাপ বন্ধে নেমেছে। ব্যতিক্রম শুধু পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) পিএফআই নিয়ে কোনও সক্রিয়তা চান না। ফলে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ, এসটিএফ কিংবা সিআইডি পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় পিএফআই শাখাগুলোর কাজকর্ম বন্ধ করতে কোনও কিছুই করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কলকাতা (Kolkata) শহরে বেনিয়াপুকুর এবং কড়েয়া থানা এলাকায় পিএফআই সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। দলীয় অফিস রয়েছে তিলজলাতে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে নেপথ্যে আসল শক্তি ছিল পিএফআই। সংগঠনের মূল কর্মকাণ্ড অবশ্য মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্র করেই চলছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক থেকে পদাধিকারীদের অধিকাংশই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলার। এই সব জেলাগুলিতেই ১৭টি শাখা খুলে গত পাঁচ-ছয় বছরে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংগঠনটি। বেশ কয়েকটি জঙ্গি কার্যকলাপে অভিযুক্তের আইনি সহায়তা দিচ্ছে পিএফআই। বাংলাদেশ এবং নেপাল সীমান্তে পিএফআই নেতাদের গতিবিধিও চিন্তাজনক। এনআইএ এবং ইডি পিএফআইকে রাষ্ট্রবিরোধী সংস্থা হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও এজেন্সি ব্যবস্থা নিলে আমরা সাহায্য করব। কিন্তু পিএফআই নেতাদের রাজ্য পুলিশ আগ বাড়িয়ে গ্রেফতার করবে না, তাদের দফতরে তল্লাশি চালাতে যাবে না।

    কেন? পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, এনআইএ (NIA) এবং ইডির (ED) কাছে পিএফআইয়ের বিষয়ে যাবতীয় নথি রয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এ সবে জড়াবে না। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে গোয়েন্দাদের সমন্বয় বৈঠকে পিএফআই (PFI) সংক্রান্ত সমস্ত নথি বিনিময় করা হয়েছে। দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার আগেও রাজ্যের মতামত নেওয়া হয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার পিএফআই নিয়ে নরম মনোভাব নিলে তা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না।

    আরও পড়ুন: হিন্দু নেতাদের হত্যা থেকে হাওয়ালা কারবার! কী কী করত পিএফআই, জানেন?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করবেন। তাঁর ভাইপো বিজেপি কর্মীদের কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন। জাতীয়তাবাদী শক্তি দমনে পুলিশ এরাজ্যে সক্রিয়। কিন্তু নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বয়ানের জেরে বিক্ষোভের সময় ১৪ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হলেও মমতার পুলিশ চুপ থাকে। পিএফআইয়ের মতো নাশকতা চালানো শক্তি জানে মমতা প্রশাসন তাদের বন্ধু। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে এমন শক্তির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।

  • Abhishek Dubai Trip: ফের দুবাই গেলেন অভিষেক, যাবেন আমেরিকাও, পুজোর কলকাতা ভাল লাগে না?

    Abhishek Dubai Trip: ফের দুবাই গেলেন অভিষেক, যাবেন আমেরিকাও, পুজোর কলকাতা ভাল লাগে না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দুবাই (Dubai) গেলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বেসর্বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata International Airport) পৌঁছান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। দুবাইয়ে থেকে সেখান থেকে আমেরিকা (USA) যেতে পারেন তিনি। ফিরবেন পুজোর পর। কলকাতার পুজোর ভিড়ে কোনও দিনই থাকেন না তিনি। তবে শান্তিনিকেতন সূত্রের দাবি, অভিষেকের দুবাই-আমেরিকা সফর চিকিৎসার কারণে।

    এর আগে গত ১৪ অগাস্ট দুবাই গিয়েছিলেন অভিষেক। স্বাধীনতার অমৃৎ মহোৎসবের দিনটি তিনি আরব দেশেই কাটিয়েছেন। তবে দুবাইয়ে বসেই স্বাধীনতার মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণও দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) অবশ্য লালকেল্লায় স্বাধীনতার সকালে বক্তৃতা করেছিলেন। অভিষেক তার কয়েক ঘণ্টা আগেই দুবাইয়ে বসে ভাষণ দিয়েছিলেন। এবার পুজোর সময় ফের দুবাই হয়ে আমেরিকা গেলেন।

    আরও পড়ুন: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস…’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    তৃণমূলের সর্বেসর্বার ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, পুজোয় (Durga Puja 2022) কলকাতার ভিড়ে তেমন আগ্রহ নেই অভিষেকের। তাঁর পিসি পিতৃপক্ষ থেকেই পুজোর উদ্ধোধন, চক্ষুদান শুরু করে দিলেও অভিষেকের পুজোর সময় বরাবরই বিদেশে কাটান। ২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসায় যখন রাজ্যে একের পর এক খুন হচ্ছিল, সে সময় অভিষেক ৭ দিনের অবসরে মলদ্বীপ গিয়েছিলেন। ২০২০ সালে পুজোর সময় ১০ দিনের জন্য গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে।

    এবার গেলেন দুবাই-আমেরিকা। আগে প্রায়ই সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ডে যাতায়াত করতেন অভিষেক। ইদানীং দুবাই করিডরে তৎপর হয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠরা অনেকেই জানাচ্ছেন, আজকাল দুবাইয়ে নাকি ভাল চিকিৎসা হচ্ছে। এবারও তিনি দুবাই-আমেরিকা যাচ্ছেন চিকিৎসার কারণেই। চোখের সমস্যার সঙ্গে অভিষেকের সাইনাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সাইনাসের চিকিৎসা করাতে সেই কারণেই আমেরিকা সফর। বিজয়া দশমীর (Vijaya Dashami) শুভেচ্ছা হয়তো মার্কিন মুলুক থেকেই দেবেন তিনি। ফিরবেন কলকাতার পুজোর (Kolkata Pujo) ভিড় কমলে। 

    আরও পড়ুন: “আমি থাকলে কপালে গুলি চালাতাম, পুলিশ সংযত ছিল”: অভিষেক

  • Suvendu Adhikari Detained: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    Suvendu Adhikari Detained: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। গণতান্ত্রিক মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে রুখতে বলপ্রয়োগ করল মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিজেপির নবান্ন অভিযানের (BJP Nabanna Abhijan) শুরুতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করল পুলিশ (Suvendu Adhikari Detained)। একইসঙ্গে আটক করা হল বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও নেতা রাহুল সিনহাকেও (Rahul Sinha)। 

    এদিন, আলিপুর পুলিশ ট্রেনিং স্কুল বা পিটিএস (Alipore PTS) থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু (Vidyasagar Setu) হয়ে নবান্ন অভিমুখে রওনা দেন শুভেন্দু, লকেট এবং রাহুলরা। কিন্ত শুরুতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সামনে পুলিশ ব্যারিকেডের কাছেই বাধা দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu)। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু, লকেটরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    শুভেন্দুর অভিযোগ, মহিলা পুলিশরা তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন। এদিন পুলিশকর্মী শুভেন্দুকে ভ্যানে তুলতে এগোলে শুভেন্দু মহিলা পুলিশকর্মীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি মহিলা। আমার গায়ে হাত দেবেন না।’ নন্দীগ্রামের বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এর পরই তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। একইসঙ্গে আটক করা হয় লকেট ও রাহুল সিনহাকেও। এই প্রেক্ষিতে পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন শুভেন্দু। তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।

    তবে শুভেন্দুকে তুললেও, তাঁর নেতৃত্বাধীনে থাকা মিছিল থেমে থাকেনি। শুভেন্দুকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ায় সাঁতরাগাছি থেকে শুরু হওয়া বিজেপির মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ()Saumitra Khan)। মিছিলে পা মেলাচ্ছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক ডিন্ডা (Ashok Dinda)। অন্যদিকে, হাওড়া স্টেশন থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে নবান্নমুখী মিছিল শুরু হয়েছে। দক্ষিণ আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Pal) রয়েছেন এই মিছিলে। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষও (Former IPS Bharati Ghosh) এই মিছিলে পা মেলাচ্ছেন। কলেজ স্ট্রিট থেকে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP Nabanna Abhijan: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    BJP Nabanna Abhijan: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক সরকারি দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এক-এক করে রাজ্যের শাসক দলের (TMC) নেতা-মন্ত্রীদের কেলেঙ্কারি ফাঁস হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে পথে বিজেপি (BJP)। প্রবল বৃষ্টি, দুর্যোগ ও প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই আজ, মঙ্গলবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নবান্ন অভিযান করছে বিজেপি (BJP Nabanna Abhijan)। দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই রাজ্য বিজেপির আজকের নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan)। 

    ইতিমধ্যেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতা ও হাওড়ার দিকে আসতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হাওড়ায় সকালেই এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ, তার মধ্যেই যাঁরা হাওড়া এসে পৌঁছেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন সুকান্ত।  এদিন কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে লড়াইয়ের ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘চারিদিকে পুলিশ দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ রাজ্য সরকার বিজেপির ভয়ে থরহরি কম্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। তাই বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। লড়াই হবে লড়াই!’’ পুলিশি তৎপরতা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘বিজেপি উৎশৃঙ্খলতাতে বিশ্বাসী নয়। পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন, আপনাদের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, সেটাই পালন করুন। নয়তো আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবে বিঘ্নিত হলে সেই দায় পুলিশ প্রশাসনের উপরই পড়বে।’’

    আজ বিভিন্ন দিক দিয়ে বিজেপির মিছিল নবান্নমুখী (Nabanna) হবে। এক-এক দিকের নেতৃত্ব দেবেন এক-এক জন নেতা। যেমন, হাওড়া ময়দানের দিক থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল এগোবে নবান্নর দিকে। আরেকচি মিছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu) নেতৃত্বে সাঁতরাগাছি থেকে আসবে। আবার দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে তৃতীয় মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, হাওড়া ব্রিজ অ্যাপ্রোচ রোড হয়ে এগোনোর কথা। বিজেপির নবান্ন অভিযানের আগে সোমবার রাজ্যের বাকি বিরোধী দলগুলোর উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) ঠেকাতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসক দল (TMC Government)। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি (West Bengal Corruption) এবং তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি (TMC Minister Leaders Corruption) এক এক করে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই বেকায়দায় মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 

    এই দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার, নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। প্রথম থেকেই তা বানচাল করার উদ্দেশে, পুলিশ এই গণতান্ত্রিক অভিযানের অনুমতি দেয়নি। উল্টে, দিকে দিকে থেকে নবান্নর দিকে আসা বিরোধী নেতা-কর্মীদের কোথাও আটক করা হয়েছে, তো কোথাও টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের যাবতীয় মেশানারিকে ব্যবহার করে যেনতেন প্রকারে গেরুয়া-ঝড় রুখতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে মিছিল আসবে সাঁতরাগাছি থেকে। তার আগে সকালেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। শুধু বসানো নয়, একেবারে গার্ড রেল ঝালাই করে রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মজুত রয়েছে ২টি জল কামান। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। হাওড়া ময়দান থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল আসার কথা। সেখানে জিটি রোডের ওপর তৈরি করা হয়েছে পুলিশি ব্যারিকেড। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে গুঁড়িয়ে দিতে তৎপর মমতার পুলিশ (West Bengal Police)। সাঁতরাগাছিতে ইস্পাতের ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট তিনি কতটা ভীত ও উদ্বিগ্ন। 

    অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের (Nandigram) ক্ষুদিরাম মোড়ে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তমলুক (Tamluk) টোল প্লাজার সামনেও বিজেপির মিছিল রুখে দেয় পুলিশ। নবান্ন অভিযান আটকাতে কাঁথি স্টেশনে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। পুলিশি বাধা টপকেই কাঁথি স্টেশন থেকে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    রানিগঞ্জ স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় উর্দিধারীদের। কয়েকজন জোর করে স্টেশনে ঢুকে পড়লে ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কুলটির বরাকর স্টেশনেও বিজেপি কর্মীদের দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের। একজনকে গ্রেফতার করা হয়। আবার, নবান্ন অভিযানে যাওয়ার আগে বোলপুর (Bolpur) স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাঁধে। স্টেশন চত্বর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করায় বোলপুর স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। 

    বিজেপির নবান্ন অভিযান প্রতিহত করতে শাসক শিবির যে কোনও কসুর রাখছে না, তা স্পষ্ট। বিরোধীদের কটাক্ষ, দুর্নীতি নয়, এরাজ্যের পুলিশ সদা-সক্রিয় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে। তাই তো বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে হাজারে-হাজারে পুলিশ মোতায়েন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share