Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর, কী লিখলেন তিনি?

    Sukanta Majumdar: রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর, কী লিখলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) দ্বারস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নালিশ জানালেন তিনি। রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন সুকান্ত। সেখানে এসএসসি কাণ্ড (SSC scam) ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে গরুপাচারকাণ্ড (Cattle smuggling) ও অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)-সহ একাধিক ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্মারকলিপি দেন সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত বলেছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠর বাড়ি থেকে বিপুল নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। গরু পাচার মামলায় সিবিআই তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। 

    চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দুর্নীতি ও বেআইনি কার্যকলাপের জেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী, শওকত মোল্লার মতো তৃণমূলের একাধিক নেতা রয়েছেন সিবিআই বা ইডি-র রাডারে। একইসঙ্গে ১৯ জন নেতার সম্পত্তি সংক্রান্ত যে মামলায় ইডি-কে পার্টি করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট, সেই প্রসঙ্গও চিঠিতে উল্লেখ করেন দেন সুকান্ত।

    চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসতে চাইছেন। এ সব বিষয় উল্লেখ করে সুকান্ত মজুমদারের আর্জি, যাতে রাষ্ট্রপতি এ রাজ্যের পরিস্থিতির ওপর নজর দেন।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?

  • Bengal Cabinet Reshuffle: রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় হল কী কী পরিবর্তন? দেখুন এক নজরে

    Bengal Cabinet Reshuffle: রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় হল কী কী পরিবর্তন? দেখুন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল হয়েছে। মমতার মন্ত্রিসভায় এলেন ৮ জন নতুন মুখ। মমতা মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক। পূর্ণমন্ত্রী হলেন উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন বীরবাহা হাঁসদা। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন বিপ্লব রায়চৗধুরী। শুধু প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে সত্যজিত্‍ বর্মন, তাজমুল হোসেন ।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় কী কী পরিবর্তন হল—

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— মখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, তাঁর অধীনে রয়েছে স্বরাষ্ট্র ও পাহাড় বিষয়ক দফতর, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতর, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান এবং প্রকল্প নিরীক্ষণ দফতর।

    মানস ভুঁইঞা— পূর্ণমন্ত্রী, জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর এবং পরিবেশ দফতর।

    মলয় ঘটক— পূর্ণমন্ত্রী, আইন ও বিচারবিভাগীয় দফতর ও শ্রম দফতর।

    অরূপ বিশ্বাস— পূর্ণমন্ত্রী, বিদ্যুৎ দফতর, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর, হাউসিং দফতর।

    উজ্জ্বল বিশ্বাস— পূর্ণমন্ত্রী, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বায়ো-টেকনোলজি দফতর।

    ফিরহাদ হাকিম— পূর্ণমন্ত্রী, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

    আরও পড়ুন: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি

    শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়— পূর্ণমন্ত্রী, কৃষি দফতর, পরিষদীয় দফতর।

    পুলক রায়— পূর্ণমন্ত্রী, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, পূর্ত দফতর।

    শশী পাঁজা— পূর্ণমন্ত্রী, নারী, শিশুকল্যাণ ও সমাজ কল্যাণ দফতর, শিল্প ও বাণিজ্য দফতর।

    বিপ্লব মিত্র— পূর্ণমন্ত্রী, ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক দফতর।

    বাবুল সুপ্রিয়— পূর্ণমন্ত্রী, তথ্যপ্রযুক্তি দফতর ও পর্যটন দফতর।

    স্নেহাশিস চক্রবর্তী— পূর্ণমন্ত্রী, পরিবহন দফতর।

    পার্থ ভৌমিক— পূর্ণমন্ত্রী, সেচ দফতর, জলপথ দফতর।

    আরও পড়ুন: দফতর বণ্টনও সম্পন্ন, পার্থর হাতে থাকা তিন দফতরের দায়িত্বে এবার তিনজন

    উদয়ন গুহ— পূর্ণমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর।

    প্রদীপ মজুমদার— পূর্ণমন্ত্রী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর।

    বেচারাম মান্না— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কৃষি বিপণন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন।

    অখিল গিরি— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কারা দফতর।

    ইন্দ্রনীল সেন— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি।

    বিপ্লব রায়চৌধুরী— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) মৎস্য দফতর।

    বীরবাহা হাঁসদা— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) স্বনির্ভর ও স্ব-রোজগার দফতর। প্রতিমন্ত্রী, বন দফতর।

    শ্রীকান্ত মাহাতো— প্রতিমন্ত্রী, ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।

    তাজমুল হোসেন— প্রতিমন্ত্রী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর, বস্ত্র দফতর।

    সত্যজিৎ বর্মন— প্রতিমন্ত্রী, স্কুল শিক্ষা।

  • WB Cabinet Reshuffle: মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯ 

    WB Cabinet Reshuffle: মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা মতো বুধবারের বারবেলায় মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিন কয়েক আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তখনই জানিয়েছিলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভার চার পাঁচজনকে দলের কাজে লাগানো হবে। আসবেন পাঁচ ছ জন নতুন মুখ। সেই মতো এদিন শপথ নিয়েছেন মোট ন’ জন। রাজভবনে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন।

    দলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতির দাবি উঠেছিল অনেক আগেই। এই দাবি উঠে এসেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গলায়ই। প্রথম দিকে অভিষেকের দাবিকে আমল না দিলেও এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হতেই আমূল বদলে যায় পরিস্থিতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মন্ত্রিসভায় রদবদল।

    আরও পড়ুন : মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    এদিন যে নজন শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আটজনই নতুন। আর প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দফতরের দায়িত্ব পেলেন বীরবাহা হাঁসদা। এদিন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সত্যজিৎ বর্মন এবং তাজমূল হোসেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে যাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবুল যে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাবেন, তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। কারণ মন্ত্রিত্ব খোয়া যাওয়ায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল। এদিন তিনি তারই পুরস্কার পেলেন। পুরস্কার পেয়েছেন আরও একজন। তিনি উদয়ন গুহ। দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষাধিক ভোটে হারানোর পুরস্কার পেয়েছেন তিনিও। এক সময় ফরওয়ার্ড ব্লক করলেও, পরে ভিড়ে যান তৃণমূলে। দলবদল এবং বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষাধিক ভোটে পরাস্ত করার পুরস্কারই এদিন তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব রইল উত্তরবঙ্গেরও।

    আরও পড়ুন : জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখেই মমতা মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সেই কারণেই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন মালদহের তাজমূল হোসেন। এই তাজমূলও ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বেরিয়ে ভিড়েছিলেন তৃণমূলের ছাতার তলায়। তাই পুরস্কার পেয়েছেন তিনিও। ‘পদোন্নতি’ হয়েছে বীরবাহা হাঁসদারও।

    ভোট যে বড় বালাই!

     

  • Niti Aayog Meet: নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    Niti Aayog Meet: নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে হয়ে গেল নীতি আয়োগের সপ্তম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক (Niti Aayog Meet)। রবিবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি (Rastrahpati) ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হয় এই বৈঠক। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে করোনা অতিমারির (Covid-19) পর এই প্রথম সশরীরে বৈঠক হল নীতি আয়োগের পরিচালন সমিতির।

    দেশের আর্থিক যোজনা সমূহের প্রতি লক্ষ্য রেখে ও রাজ্যের আয়ের উপায় খুঁজতে গঠন করা হয় এই আয়োগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এই আয়োগ পরিচালনা করেন। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি নীতি আয়োগ গঠিত হয়। প্রথম বৈঠক হয় ওই বছরেরই ৮ ফেব্রুয়ারি। আয়োগের আধিকারিকরা সর্বজনীনভাবে প্রকাশ করেন নীতি আয়োগের যোজনা সমূহ।

    করোনা অতিমারির পর এই প্রথম সশরীরে বৈঠক হলেও, এদিন হাজির ছিলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। নীতি আয়োগের এই বৈঠকে যে যোগ দেবেন না, তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বিষয়ে একটি চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। চন্দ্রশেখর রাওয়ের সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেয় নীতি আয়োগ। বিবৃতি জারি করে তারা জানায়, ৭ অগাস্ট নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলরের বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক।

    আরও পড়ুন : কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রশেখর রাও বৈঠকে যোগ না দিলেও, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সহ অন্যরা। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়গুলি ছিল শস্য বৈচিত্র্য, তৈলবীজ, ডাল এবং কৃষিক্ষেত্রে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন এবং নগর প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আর কী কী করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয় এদিন।

    এদিকে, এদিন এই বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য না করেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যের পাওনা গন্ডা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। পরের দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন কমিটির বৈঠকে দেন মমতা। এদিন যোগ দেন নীতি আয়োগের বৈঠকে। তার পরেই ধরেন কলকাতার উড়ান।

  • Bengal Cabinet Reshuffle: দফতর বণ্টনও সম্পন্ন, পার্থর হাতে থাকা তিন দফতরের দায়িত্বে এবার তিনজন

    Bengal Cabinet Reshuffle: দফতর বণ্টনও সম্পন্ন, পার্থর হাতে থাকা তিন দফতরের দায়িত্বে এবার তিনজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল (Bengal Cabinet Reshuffle) করলেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব ঘোষণামতো, এদিন শপথগ্রহণ হয়ে গিয়েছিল বিকেলেই। সন্ধ্যায় হয়ে গেল দফতর বণ্টনও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় বুধবার যাঁরা শপথ নিলেন, তাঁরা কে কোন দফতর পেলেন দেখে নেওয়া যাক—

    পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee)। এর আগে এই দফতর সামলাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নারী শিশুকল্যাণের সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী হলেন শশী পাঁজা (Sashi Panja)। শিল্প-বাণিজ্য দফতর ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) অধীনে। 

    এছাড়া, রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন মন্ত্রী হলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তথ্যপ্রযুক্তির দফতরও সামলাতেন পার্থ। পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী হলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হলেন প্রদীপ মজুমদার। এই দফতর ছিল প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। সেচ ও জলপথ মন্ত্রী হলেন পার্থ ভৌমিক।

    আরও পড়ুন: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি

    স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হলেন সত্যজিৎ বর্মন। এই দায়িত্বে ছিলেন এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) জড়িত পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary)। অন্যদিকে, বন দফতরের সঙ্গে স্বনির্ভর-স্বনিযুক্তি গোষ্ঠীর প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ রাজভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন। এদিন যে নজন শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আটজনই নতুন। আর প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দফতরের দায়িত্ব পেলেন বীরবাহা হাঁসদা। এদিন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সত্যজিৎ বর্মন এবং তাজমুল হোসেন।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯

    এদিকে, রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীদের আমরা ল্যাম্পপোস্ট মন্ত্রী বলতে পারি। বঙ্গের মন্ত্রীদের অধিকার, মর্যাদা, কাজ করার সুযোগ, ক্ষমতা ইত্যাদি কতটা, তা আমার থেকে ভাল কেউ জানে না। এখানে সবটাই একজন করেন, অন্য কারও কোনও ভূমিকা থাকে না। অন্তত আমার সাড়ে ৪ বছরের অভিজ্ঞতায় বাস্তব তাই দেখেছি।’ 

     

  • Bengal Cabinet Reshuffle: এসএসসি বিতর্কের মাঝেই আজ রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, বিকেলে শপথগ্রহণ, জল্পনায় কারা?

    Bengal Cabinet Reshuffle: এসএসসি বিতর্কের মাঝেই আজ রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, বিকেলে শপথগ্রহণ, জল্পনায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার রদবদল হবে রাজ্য মন্ত্রিসভার (Bengal Cabinet Reshuffle)। আজ বিকেল চারটেয় রাজভবনে (Raj Bhawan) শপথ নেবেন কয়েকজন নতুন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই রদবদলের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে কারা মন্ত্রী হচ্ছেন, তা জানাননি তিনি। 

    মমতা সোমবার বলেছিলেন, “সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডের প্রয়াণ এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর অনেকগুলি দফতর তাঁর নিজের হাতেই রয়েছে। সেই দায়িত্ব সামলাতে নতুন পাঁচ-ছ’জনকে মন্ত্রিসভায় আনা হবে। আর বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে চার-পাঁচজনকে দলের কাজে ব্যবহার করা হবে।” রাজ্য মন্ত্রিসভায় ৪৪ জন সদস্যের মধ্যে আপাতত তিনটি আসন শূন্য রয়েছে।

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    আজ কারা নতুন মন্ত্রী হবেন এবং কাদের দলের কাজে নিয়ে আসা হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে, এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) ছায়া যে রদবদলে পড়তে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘটনার পরে তৃণমূলের ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া তৃণমূল। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) নামও জড়িয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি খুইয়েছেন পরেশ-কন্যা। দলের ভাবমূর্তির কথা মাথায় রেখে পরেশ অধিকারীকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দফতর খালি। দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতারির পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিল্প, পরিষদীয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে সৌমেন মহাপাত্রকে। তাই তাঁকে সেচমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হতে পারে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    জল্পনা, নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জ আসনের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik) ও জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। এছাড়াও, মন্ত্রিসভায় প্রথমবার ঠাঁই পেতে পারেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy) এবং দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha)।  

  • Mamata Banerjee: বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদল, ঘোষণা মমতার, কে বাদ যাবেন, কে ঠাঁই পাবেন?

    Mamata Banerjee: বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদল, ঘোষণা মমতার, কে বাদ যাবেন, কে ঠাঁই পাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশিত ছিলই। বিশেষ করে, এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) ইডি-র (ED) হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই জোর জল্পনা ছিল। এবার আর কোনও জল্পনা নয়। মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মুখে জানিয়ে দিলেন, আগামী বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল (Bengal Cabinet Reshuffle) হতে চলেছে। 

    এদিন নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওইদিন বিকেল চারটে নাগাদ মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেছেন, “কামরাজ মডেলে মন্ত্রিসভা ভাঙার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে মন্ত্রিসভার রদবদল হবে।” একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে রাখলেন, দায়িত্বে আসছেন ৫-৬ জন নতুন মুখ। বাদ যাবেন ৪-৫ জন।

    প্রসঙ্গত, দুই বর্ষীয়ান মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় মারা গিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার পরেই মন্ত্রী পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। ফলে, জল্পনা ছিল হয়তো আজই হয়ত রদবদলের কোনও ঘোষণা হবে। এদিন সেরকম কোনও ঘোষণা না হলেও রদবদলের কথা নিজেই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    এদিন মমতা বলেন, ‘সুব্রতদা মারা গিয়েছেন। সাধন পান্ডে মারা গিয়েছেন। পার্থদা জেলে রয়েছেন। এদের কাজগুলো কে করবে। কাউকে না কাউকে তো কাজগুলি করতে হবে। অনেকগুলি দফতর ফাঁকা পড়ে রয়েছে। আমার পক্ষে একা সবটা নিজের ঘাড়ে রাখা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘পরশুদিন আমরা একটা ছোট্ট রদবদল করব। বিকেল চারটে।’

    এদিকে, একাধিক জেলায় দলের জেলা সভাপতি বদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বনগাঁয় গোপাল শেঠকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল বিশ্বজিৎ দাসকে। শ্রীরামপুরে স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হল অরিন্দম গুঁইকে। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল পার্থ ভৌমিককে। নতুন সভাপতির নাম পরে জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: গাড়ি ভর্তি টাকা! হাওড়ায় আটক ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত 

    এছাড়া, কোচবিহারে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল পার্থপ্রতিম রায়কে। পার্থপ্রতিমের বদলে নতুন জেলা সভাপতি হলেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। দক্ষিণ দিনাজপুরের নতুন জেলা সভাপতি হলেন মৃণাল সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি ছিলেন উজ্জ্বল দে বসাক। 

  • Calcutta HC on Mamata: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে…”, কী প্রেক্ষিতে বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী?

    Calcutta HC on Mamata: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে…”, কী প্রেক্ষিতে বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে কারও মন্তব্যে ভেঙে পড়বে…।” মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা সমালোচনার প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    রবিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসেই এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam)  পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) শুনানি হয়। সেই শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ভুবনেশ্বর এইমস-এ (Bhubaneswar AIIMS) করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অন্তর্বর্তী রায়ে বিবেক চৌধুরী বলেছিলেন, ভুবনেশ্বরের এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের টিম পরীক্ষা করবেন। চিকিৎসক দলে থাকবেন, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, এন্ডোক্রিনোলজির, রেসপিরেটরি মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

    প্রসঙ্গত, তাঁর এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সোমবার সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের মহাসচিব তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিচারব্যবস্থা বিজেপি প্রভাবিত বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “পার্থকে কেন ভুবনেশ্বর এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হল? আমার লজ্জা লাগছে, বাংলায় এত ভালো ভালো হাসপাতাল থাকতেও পার্থকে ভুবনেশ্বর এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হল! কেন ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হল? কেন্দ্রের ছোঁয়া আছে বলে?”

    আরও পড়ুন: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    মমতার এই মন্তব্য আদালত অবমাননার সামিল উল্লেখ করে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আদালত এই আবেদন গ্রহণ না করলেও, বিচারপতি বিবেক চৌধুরী তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড শক্ত রয়েছে। মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে কারও মন্তব্যে ভেঙে পড়বে। ফলে কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। বিবেক চৌধুরী বলেন, “ওই মন্তব্যের কেন প্রতিবাদ করব? ওই মঞ্চে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। তিনি তো কোনও প্রতিবাদ করলেন না।”

    বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, “আদালতের বাইরে করা এই মন্তব্যকে অবমাননা বলে ধরছি না। তাছাড়া ওই মন্তব্যের জেরে রায়ের কিছু এসে যাবে না। সব মামলাকারীকে চিনিও না। আমার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেউ যদি উচ্চ আদালতে যেতে চায় যেতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমি মামলার মেরিট বিচার করি। সামনে কে রয়েছে, তা দেখি না। তাই রাতে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাতে পারি।” তবে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী মনে করেন, বিচারব্যবস্থা নিয়ে যে সৌজন্যবোধ দেখা যেত, এখন তা ক্রমশ উধাও হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আগে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে একটা সৌজন্যবোধ ছিল। বিচারব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলা হত না। এখন সেটা ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে, এখন প্রকাশ্যেই সমালোচনা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

  • SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সেই টাকার উৎস খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এদিন ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) দাবি করলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তবে টাকাটা কার, তাও খোলসা করেননি তিনি।

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এদিন পার্থ এবং অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ঢোকার মুখে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও টাকা নেই। কার টাকা?  জবাবে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, সময় এলেই বুঝবেন। বেরনোর সময় ফের উদ্ধার হওয়া টাকা সম্পর্কে একই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি  টাকার ওপর। ঘটনাটিকে পার্থ ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। হতে হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও। এসব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিলেও, টাকা নিয়ে কোনও কথা এতদিন বলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন বললেন। দু’বার দু’রকম। হাসপাতালে ঢোকার মুখে বললেন আমার কোনও টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় বললেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    পার্থের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাইপো টাকাটা রাখতে দিয়েছেন। অপা সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্দেশ দিতেন ভাইপো, কয়লা ভাইপো। শুভেন্দুর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অপা ওই টাকার কাস্টডিয়ান বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তাঁর দাবি, ভাইপোর নিজের, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বহু কালেক্টর রয়েছেন, যাঁরা টাকা সংগ্রহ করেন। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ব্যানার্জি-চ্যাটার্জির যৌথ ষড়যন্ত্র এসব।

    এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এদিন আরও ৮ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

  • Vice-President Poll: ধনখড়ের বিরুদ্ধে ভোট নয়! উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল

    Vice-President Poll: ধনখড়ের বিরুদ্ধে ভোট নয়! উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি ভোটে (Vice-President Poll 2022) তৃণমূল (TMC) কোন দিকে ঝুঁকছে তা নিয়ে বেশ কৌতুহল ছিল রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে সব জল্পনার অবসান। তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটে অংশগ্রহণই করবে না তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীঘাটের দলীয় বৈঠকের (TMC Party Meet) পরেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস সভার পরেই যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসবে তৃণমূল, সে ইঙ্গিত আগেই ছিল। আর সেই মতো সন্ধেবেলা এল এই সিদ্ধান্ত। 

    এদিন কালীঘাটে দলীয় সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সাংবাদিক সম্মেলনে দলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে দুটি কারণ দেখান। তিনি জানান, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র মনোনীত প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) কোনওভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করবে না।

    অন্যদিকে, মার্গারেট আলভাকে সমর্থন না করার বিষয়ে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, বিরোধী প্রার্থী হিসেবে কার নাম ঘোষণা করা হবে সেই সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি। যেহেতু তৃণমূলকে এই আলোচনায় রাখাই হয়নি সেই কারণে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত প্রার্থীকেও সমর্থন করার ক্ষেত্রেও বিশেষ কোনও যুক্তি দেখতে পায়নি তৃণমূল। ফলে এমতাবস্থায়, ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।

    প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    যদিও, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তৃণমূলের ভোটে অংশগ্রহণ না করা মানে বকলমে বিজেপিকেই (BJP) সাহায্য করা। কারণ, জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) বিরুদ্ধে গেল না তৃণমূলের ভোট। আখেরে লাভ হল ধনখড়ের। আর বিরোধী প্রার্থী তৃণমূলের ভোট থেকে বঞ্চিত হলেন। তাহলে কি ধনখড়ের উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পথকে আরও সহজ করতেই ঘাসফুল শিবিরের এই পদক্ষেপ? যদিও, তৃণমূল তা মানতে নারাজ।

    জগদীপ ধনখড়ের বাংলার রাজ্যপাল পদে বসা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata) সঙ্গে তিক্ততার সম্পর্ক বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি বদলেছিল সম্পর্কের সেই সমীকরণ। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই এখন শোনা যায় মমতা নরম হচ্ছেন ধনখড়ের প্রতি। কিছুদিন আগেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর জগদীপ ধনখড়ের বৈঠক হয়। মমতার দার্জিলিং সফরে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন ধনখড়। তারপরেই পাড়ি দেন দিল্লিতে।

    আরও পড়ুন: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    এরই মধ্যে বুধবার জল্পনা উস্কে দেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “জগদীপ ধনখড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় অনুরাগী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জখম হয়েছিলেন তখন তিনি দেখতে গিয়েছিলেন। উনি আমাদের বলেছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই আন্তরিক। কিন্তু প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আমার কথা শোনেন না।” কুণালের এই মন্তব্যে জগদীপ ধনখড়ের প্রতি যে তৃণমূলের সুর কিছুটা নরম তা গতকাল অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর আজ এই সিদ্ধান্ত। তাহলে কী ‘ফ্যান’ – কে তুষ্ট রাখতেই এই সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। 

    প্রসঙ্গত,  বিজেপির উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড় এবং অন্যদিকে ১৭টি বিরোধী দলের প্রার্থী মার্গারেট আলভা। ৬ অগাস্ট হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যাতে থাকবে না অন্যতম প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। 

     

LinkedIn
Share