Tag: Mamata govt

Mamata govt

  • Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীরা হাসপাতালে যান চিকিৎসা করে সুস্থ হতে। কিন্তু তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়া এই বাংলায় এমনও হাসপাতালের (Hospital) খোঁজ মিলল, যেখানে গিয়ে রোগীরা আধমরা হয়ে ফিরছেন। কেন এই শোচনীয় অবস্থা, তার উত্তর অবশ্য অনেকের কাছেই সহজ। রাজ্যজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে দুঃসহ অবস্থা মানুষের। বাড়িতে পাখার হাওয়া গায়ে লাগিয়েও তা থেকে যেন নিস্তার মিলছে না। এরকম একটা অবস্থায় কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশাল সংখ্যক রোগীর জন্য যদি গুটিকয়েক পাখা থাকে, তাহলে কী অবস্থা হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। ফলে প্রচণ্ড গরমে রোগীরা অসহনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রোগী এবং তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। এই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।

    কোন পোস্টার ঘিরে শোরগোল?

    “ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Hospital) করুণ দশা। রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা বা ফ্যান আনিবেন।” হাসপাতালের বাইরে কে বা কারা এরকমই পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। আর এটা নিয়েই এখন শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। কিন্তু কে এই পোস্টার লাগালো, তার হদিশ এখনও মেলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব, তারা এ ধরনের কোনও পোস্টার লাগায়নি। 

    পাখা নিয়ে কী জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

    হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি মাত্র পাখা আছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হাসপাতালে যতগুলি পাখার পয়েন্ট রয়েছে, সবকটিতেই পাখা লাগানো আছে। হাসপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা হল ৬০ এবং ফ্যান রয়েছে ১২টি। অর্থাৎ এক একটি ফ্যানের জন্য পাঁচজন রোগী রয়েছেন। ফলে সেই হওয়া যে সব রোগীর গায়ে লাগে না, সেকথা তারা স্বীকার করেছে। এই সমস্যা কাটাতে কিছু দেওয়াল ফ্যানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছে।

    কী জানালেন চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের বিডিও? 

    ক্ষীরপাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি (Hospital) চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের মধ্যে পড়ে। এখানকার বিডিও জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও অভিযোগপত্র পাননি। তবে এই ঘটনার কথা তাঁর কানে পৌঁছেছে। সেই কারণে বিষয়টি দেখার জন্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Donation: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের  মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    Durga Puja Donation: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা (DA)বকেয়া নেই। মঙ্গলবার পুজো অনুদান মামলায় হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে আসন্ন পুজো উপলক্ষে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এ প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের তরফে এদিন হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করা হয়। 

    রাজ্যের কাছে কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। তাই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতাও নেই। কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ন আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। অনুদান নিয়ে এদিন আদালতে রাজ্য বেশ কয়েকটি যুক্তি দিয়েছে। রাজ্যের মতে, কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। রাজ্য সরকার পূজো কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না। পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই “পুলিশ ” অনুশীর্ষে অর্থাৎ ” সেফ ড্রাইভ ও সেভ লাইফ” খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোনও বাধা নেই। ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপূজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজ্যের তথা দেশের জন্যও গর্বের বিষয়।  সংবিধানের 51A ধারা অনুযায়ী হেরিটেজ রক্ষা করার দ্বায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে এবং রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন তারা এগুলিকে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে। তাই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ হয় না। তাই সব দিক বিবেচনা করলে এই মামলা করার কোনও গ্রহণযোগ্য অবস্থান মামলাকারীর নেই।

  • BJP Rally Kolkata: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চার অভিযানে ধুন্ধুমার, মিছিল রুখতে ব্যারিকেড-জলকামান পুলিশের

    BJP Rally Kolkata: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চার অভিযানে ধুন্ধুমার, মিছিল রুখতে ব্যারিকেড-জলকামান পুলিশের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (BJP Youth wing) বিকাশ ভবন (Bikash Bhawan) অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকের (Salt Lake) করুণাময়ী। স্কুল সার্ভিস কমিশনে (SSC) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Teachers recruitment scam) প্রতিবাদে পথে নেমেছিল বিজেপি। কর্মসংস্থানের দাবি তুলে এবং পুলিস নিয়োগ-সহ একাধিক সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল।

    প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের (heatwave) মধ্যেও মঙ্গলবার দলের যুব মোর্চার তরফে বিকাশ ভবন অভিযান শুরু হয়। কলকাতা ও সল্টলেকের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের  পাশাপাশি লাগোয়া জেলাগুলি থেকেও বিজেপির বহু কর্মী এসে ভিড় জমিয়েছিলেন করুণাময়ী চত্বরে। 

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির মিছিলে যোগ দেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP Youth national President) তেজস্বী সূর্য (Tejasvi Surya), মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ছিলেন দলীয় নেত্রী তথা মহিলা বিজেপির রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।

    বিকাশ ভবনের আগেই যুব মোর্চা কর্মীদের মিছিল ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। প্রচুর সংখ্যক পুলিশ বিকাশ ভবনের আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছিল। যুব মোর্চা কর্মীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের তুমুল বচসা শুরু হয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। সেই সময়ই আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।

    এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP State President)। সুকান্ত মজুমদার বলেন,  কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে বহু পরীক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। নবান্নের ১৪ তলায় বসে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। পুলিস-সিআইডি সবটা জেনেও চুপ করে বসেছিল। কোর্টের নির্দেশে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চের দয়ায় ‘বেঁচে’ রয়েছেন বলেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    [tw]


    [/tw]

    অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Pal) নিশানা করেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “একটা মিথ্যা কথা ঢাকতে গিয়ে উনি আর একটা মিথ্যা কথা বলছেন। এবার বললেন, ৪০ লক্ষ চাকরি হয়েছে! কোথায় চাকরি? শ্বেতপত্র বার করুন। আমরা খুশি হব। চাকরি কেউ পাচ্ছে না। যারা যোগ্য, তারা ওই গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অনশন করছে। আর যারা অযোগ্য, তারা টিএমসির সাপোর্টার, পিছনের দরজা দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার মাধ্যমে চাকরি পাচ্ছে। এটা চলতে পারে না।”

     

LinkedIn
Share