Tag: Maoist

Maoist

  • Kishenji: মাও ‘দমনে’ বিরাট সাফল্য, আত্মসমর্পণ কিষেনজির ভাইবউ বিমলা-সহ ১১ মাওবাদীর

    Kishenji: মাও ‘দমনে’ বিরাট সাফল্য, আত্মসমর্পণ কিষেনজির ভাইবউ বিমলা-সহ ১১ মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও ‘দমনে’ মিলল বড় সাফল্য। আত্মসমর্পণ করলেন কিষেনজির (Kishenji) ভাইবউ। বুধবার মহারাষ্ট্রের গঢ়ছিরৌলিতে বিদর্ভ অঞ্চলের যে ১১ জন মাওবাদী (CPI Maoist) নেতানেত্রী সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন, সেই তালিকায় প্রথম নাম বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কার। তিনি পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির কমান্ডার তথা দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এই বিমলাই সম্পর্কে কিষেনজির ভাইবউ।

    কিষেনজির ভাইবউ (Kishenji)

    গত ৩৮ বছর ধরে নকশালপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিমলা। ১৯৮৩ সালে সিপিআইএমএল (পিডব্লিউজি)-র হাত ধরে সশস্ত্র বিপ্লবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দ্রুত তিনি হয়ে ওঠেন কিষেনজির আস্থাভাজন। বছর পনের আগে পশ্চিমবাংলার ঝাড়গ্রামের বুড়িশোলের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল কিষেনজির। তার আগেই অবশ্য বিমলার স্বামী বেণুগোপালও সংগঠনের প্রথম সারির নেতা হয়ে গিয়েছিলেন। বিমলার বিরুদ্ধে গঢ়ছিরৌলিতে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১৮ জনকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। বিমলার সঙ্গেই এদিন আত্মসমর্পণ করেছেন আরও ১০ জন মাওবাদী।

    মাওবাদীদের মাথার দাম

    এঁদের সম্মিলিত মাথার দাম এক কোটি তিন লাখ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশের হাত থেকে ভারতীয় সংবিধান হাতে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এই ১১ জন মাওবাদী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সিপিআই মাওবাদীর গঢ়ছিরৌলি ডিভিশনের নাংশু তুমরেতি ওরফে গিরিধর ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা উসেন্দি ওরফে ললিতাও। গিরিধর ১৭০টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। তাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা (CPI Maoist)। মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি, গঢ়ছিরৌলি-সহ বিদর্ভের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ছত্তীশগড়েও একাধিক নাশকতার ঘটনায় জড়িত বিমলা-সহ আত্মসমর্পণকারী ১১ জন মাওবাদী নেতানেত্রী।

    কিষেনজির স্ত্রী

    ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন কিষেনজির স্ত্রী পোথুলা কল্পনা ওরফে সুজাতা। তেলঙ্গানা পুলিশের স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ সূত্র মারফত খবর পেয়ে গোপন ডেরা থেকে গ্রেফতার করেছিল কিষেনজির স্ত্রীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, কিষেনজির স্ত্রী সাউথ সাব জোনাল ব্যুরোর ইনচার্জ হয়ে কাজ সামলাচ্ছিলেন। কিষেনজির মৃত্যুর পর নানা রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছিলেন সুজাতা। তাঁর আদত বাড়ি তেলঙ্গনার জগুলাম্বা গাড়োয়াল জেলার পেঞ্চিকালপেট গ্রামে। কিষেনজির স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলেও, আত্মসমর্পণ করলেন তাঁর (CPI Maoist) ভাইবউ (Kishenji)।

    আরও পড়ুন: জেএমবি-র সদস্যরাই এখন এবিটি-তে সক্রিয়, কবুল করল মুর্শিদাবাদে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিরা

    মাওবাদী আত্মসমর্পণ

    এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে তিন বার বিদর্ভ এলাকায় মাওবাদী আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটল। ২৭ ডিসেম্বর মলাজখণ্ড দলাম ও ৯ নম্বর পামেড় প্লাটুনের কমান্ডার দেব ওরফে অর্জুন ওরফে রাকেশ সুমদো মুদাম গোন্ডিয়া আত্মসমর্পণ করেছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। তাঁর মাথার দাম ছিল ৭ লাখ টাকা। ডিসেম্বরেই গঢ়ছিরৌলি জেলায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন দুই মাওবাদী কমান্ডার রামাসু পয়াম ওরফে নরসিং এবং রমেশ কুঞ্জম ওরফে গোবিন্দ। রামাসুর মাথার দাম ছিল ৬ লাখ টাকা, রমেশের ২ লাখ। বুধবার আত্মসমর্পণ কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশ বলেন, “আমাদের রাজ্যে মাওবাদীদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র শীঘ্রই মাওবাদী মুক্ত হবে।” তাঁর দাবি, উত্তর গঢ়ছিরৌলি ইতিমধ্যেই মাওবাদী মুক্ত হয়েছে। 

    বড় সাফল্য

    শুধু মহারাষ্ট্র নয়, দেশজুড়ে মাওবাদী বিরোধী অভিযানের প্রেক্ষিতেও বিমলার আত্মসমর্পণ সাম্প্রতিক কালের সব চেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। গত অক্টোবরেই বস্তারে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২৮ জন মাওবাদীর। নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া আন্তঃজেলা সীমানায় আবুঝমাডে থুলথুলি ও নেন্দুর গ্রামের মাঝে জঙ্গলে দুপক্ষে গুলি বিনিময় শুরু হয়। নিহত হন ২৮ জন মাওবাদী। মৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একে ৪৭ রাইফেল এবং সেল্ফ লোডিং রাইফেল। গত ১৬ এপ্রিল কাঁকের জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন ২৯ জন মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ওয়ান্টেড মাওবাদীও ছিলেন কয়েকজন।

    শাহের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্টের শেষ দিকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে মাওবাদী (Kishenji) দমন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, “২০০৪ সাল থেকে ২০১৪-এর মধ্যে সারা দেশে যত মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেই তুলনায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মাওবাদী হামলার ঘটনা কমে গিয়েছে ৫৩ শতাংশ।” তিনি বলেছিলেন, “এবার কঠোর পরিকল্পনার মাধ্যমে মাওবাদী সন্ত্রাসের সমস্যা মোকাবিলার জন্য চূড়ান্ত আঘাত হানার সময় এসে গিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশকে মাওবাদী সন্ত্রাসের কবল থেকে মুক্ত করতে পারব।”

    দিন কয়েক আগে এসএসবির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলায় এসেছিলেন শাহ। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “মাওবাদী দমন অভিযানগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এসএসবির। তারা সিআরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযানে শামিল হয়। চার দশক পর বিহার ও ঝাড়খণ্ড এখন মাওবাদীমুক্ত হয়েছে। ছত্তিশগড়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এসএসবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে (CPI Maoist)। এবার ওই রাজ্য থেকেও মাওবাদীদের অবলুপ্তি ঘটবে (Kishenji)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: মাও-মুক্ত ছত্তিশগড়ের গ্রাম, বিজলির আলোয় ঘুঁচল ‘আঁধার’

    Chhattisgarh: মাও-মুক্ত ছত্তিশগড়ের গ্রাম, বিজলির আলোয় ঘুঁচল ‘আঁধার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী গন (Maoist Clearance), ইলেকট্রিসিটি অন! চুম্বকে এই হল খবর। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) একটি প্রত্যন্ত গ্রাম, এক বছর আগেও যেখানে সড়কপথে পৌঁছানো অসম্ভব ছিল, গোটা গ্রাম ছিল মাওবাদীদের নিয়ন্ত্রণে, সেখানে প্রথমবার বিজলি বাতি জ্বলল ঘরে ঘরে। ২৮শে নভেম্বর প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ সংযোগ পেল এই গ্রাম। রাতের ‘আঁধার’ দূর হওয়ায় যারপরনাই খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

    মাও দখলমুক্ত গ্রাম (Chhattisgarh)

    বীজাপুর জেলার সদর দফতর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছুটওয়াহি গ্রাম। এই সময় এই গ্রাম শাসন করত মাওবাদীরা। নকশাল অভিযান চালিয়ে মুক্ত করা হয় গ্রাম। তার পরে গ্রামে বয়ে যায় উন্নয়নের জোয়ার। দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগও। বনপার্টি (মাওবাদীদের এই নামেই ডাকেন স্থানীয়রা) যাতে ফের গ্রামের দখল নিতে না পারে, তাই স্থাপন করা হয়েছে নিরাপত্তা শিবির।

    কী বলছে প্রশাসন

    বীজাপুরের জেলা কালেক্টর সম্বিত মিশ্র বলেন, “স্বাধীনতার পর প্রথমবার আমরা গ্রামবাসীদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে বীজাপুরে নয়া নিরাপত্তা শিবির স্থাপনের ফলে। এসব এলাকায় যাতায়াতও সুগম হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে যেসব গ্রামে আমরা নিরাপত্তা শিবিরের মাধ্যমে পৌঁছাতে পারছি, সেখানে যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। আগামী বছরের মধ্যে আমরা এই সম্প্রদায়গুলোর জন্য সড়ক সংযোগও স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি।” তিনি বলেন (Chhattisgarh), “নিয়াদ নেলনার প্রকল্পের অধীনে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি, আমরা জল জীবন মিশনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ, মোবাইল টাওয়ার, স্কুল, আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থাপন এবং সরকারি রেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করছি।”

    আরও পড়ুন: জাল নথির চক্র ফাঁস! পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি

    প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “বীজাপুরের ১০০টিরও বেশি গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ (Maoist Clearance) সংযোগ নেই। নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের উপস্থিতি সাফ করে যখন এগিয়ে যাবে, তখন প্রশাসন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের জন্য বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য সুবিধা দিতে পারবে।” প্রসঙ্গত, চলতি বছর ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) নিরাপত্তা বাহিনী ২১০ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: মাওবাদী যোগে রাজ্যে এনআইএ তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ডডিস্ক

    NIA Raid: মাওবাদী যোগে রাজ্যে এনআইএ তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ডডিস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে মাওবাদী-যোগের (Maoist) তদন্তে আসানসোলের ডিসেরগড়, পানিহাটির পল্লিশ্রী এলাকা সহ রাজ্যের ১০টি জায়গায় হানা দিয়েছিল এনআইএ (NIA Raid) । ২০২২ সালে প্রশান্ত বসু নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবারের এই তল্লাশি অভিযান বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালানো হয়। জিজ্ঞাসবাদও করা হয় বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তল্লাশিতে কী কী মিলল তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ, মোবাইল (NIA Raid)

    প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর সোদপুরের পানিহাটি ও আসানসোলের দু’টি বাড়ি থেকে বেরোলেন এনআইএ-র (NIA Raid)  আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশির পর দু’টি বাড়ি থেকেই ফোন, ল্যাপটপ এবং হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। বেশকিছু নথি সহ মোট পাঁচটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে দুই সমাজকর্মী সুদীপ্তা পাল এবং শিপ্রা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বছর পাঁচেক আগে শিপ্রা আসানসোল থেকে চলে যান। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির পল্লিশ্রী এলাকায়। এদিন সকাল ৬টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত দু’টি ঠিকানায় তল্লাশি চলে। আসানসোলের বাড়িতে এনআইএ তল্লাশির পর সুদীপ্তা বলেন, “তল্লাশির নামে ঘর তছনছ করেছেন তদন্তকারীরা। হার্ডডিস্কটা নিয়ে যাওয়ার ফলে আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল। কারণ আমার একটাই কম্পিউটার ছিল। আমি সেখানেই লেখালিখি করতাম।” অন্যদিকে, পানিহাটিতে শিপ্রার বাড়ি থেকেও ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!

    রাঁচিতে তলব

    পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, তদন্তকারী আধিকারিকদের (NIA Raid) কথা শুনে মনে হয়েছে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তদন্ত করা হচ্ছে। ১৫ অক্টোবর রাঁচিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে, আমরা তদন্তকারী অধিকারিকদের জানিয়েছি, কলকাতায় অফিসে ডেকে পাঠালে যাবেন, রাঁচি যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

    কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত

    বেহালার ফিলিপস আবাসন বা পরমা আবাসনে ৮০ নম্বর বাড়ি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর। পেশায় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা করেন প্রসেনজিৎ। ঘটনাস্থলে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। সকাল ছয়টা নাগাদ এনআইএ (NIA Raid) আধিকারিকরা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে আসেন। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি শেষে বেরিয়ে যান এনআইএ আধিকারিকরা। যাওয়ার সময়ে কিছু কাগজপত্রও নিয়ে যান তাঁরা। প্রসঙ্গত, মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। ইতিমধ্যে রাঁচিতে এনআইএ-র পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলার তদন্তে যোগসূত্র পাওয়া যায় পশ্চিমবঙ্গে। অসমে মাওনেতা সব্যসাচী গোস্বামী গ্রেফতার হওয়ার পরে নির্মলা নামে এক মাও নেত্রী কলকাতায় এসে বৈঠক করে আবার অন্যত্র চলে যান বলে সূত্র মারফত খবর পান এনআইএ গোয়েন্দারা। পানিহাটি, বীরভূম, যাদবপুর- সহ শহর কলকাতা জুড়ে সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযানে নামে এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ভোটের আগে বিরাট সাফল্য বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম ৯ মাওবাদী, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    Chhattisgarh: ভোটের আগে বিরাট সাফল্য বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম ৯ মাওবাদী, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে বিরাট বড় সাফল্য বাহিনীর। নির্বাচনের আগে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম ৯ মাওবাদী। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলার ঘটনা। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও। গোটা জঙ্গল ঘিরে চিরুনি-তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী।

    মাওবাদীদের সমূলে উৎখাত করার বার্তা (Chhattisgarh)

    দিন কয়েক আগেই মাওবাদীদের সমূলে উৎখাত করার বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ের এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মাওবাদীদের সমূলে উৎপাটিত করা হবে।” তার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছত্তিশগড়ে মাও দমনে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। 

    মাওবাদী-বাহিনী এনকাউন্টার

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, বিজাপুরের (Chhattisgarh) লেন্দ্রা গ্রামের কাছে মাওবাদীদের জড়ো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মাওবাদী দমন অভিযানে নামে বাহিনী। সিআরপিএফের কোবরা ইউনিট, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং ছত্তিশগড় পুলিশের ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডকে নিয়ে তৈরি যৌথবাহিনী এই অভিযান অংশগ্রহণ করে। হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং অস্ত্র নিয়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে গুলি বিনিময় হয়। এর পরই জঙ্গলের ভিতর থেকে ৯ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। পাশে থেকে নিরাপত্তা কর্মীরা একটি মেশিনগান এবং অন্যান্য অস্ত্র-সহ বেশ কয়েকটি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। গোটা এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি শুরু করেছে যৌথবাহিনী।

    সাম্প্রতিক অতীতে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সাফল্য

    এর আগে ৩০ মার্চ আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। দুদিনের এই অভিযানে এনকাউন্টার হয় তিনবার। ২৬ মার্চও ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তারে বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের এনকাউন্টারে খতম হয় ছয় মাওবাদী। তাদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল বিজাপুর জেলার একটি জঙ্গলে। ওই জঙ্গলে মাওবাদীদের একটি দল লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় অভিযান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাহিনী। দু’পক্ষের লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক মহিলা সহ ছয় মাওবাদী।

    আরও পড়ুুন: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোট হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। সেদিন দেশের আরও কয়েকটি কেন্দ্রের সঙ্গে নির্বাচন হবে বস্তার যে লোকসভা কেন্দ্রের অধীন, সেখানেও। নির্বাচনে অশান্তি পাকাতেই এলাকার বিভিন্ন জঙ্গলে জড়ো হয়েছে মাওবাদীরা। মাওবাদীদের সেই চক্র দুরমুশ করতেই অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী (Chhattisgarh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maoist: মাওবাদীদের মুখের মতো জবাব নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম ৬

    Maoist: মাওবাদীদের মুখের মতো জবাব নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের (Maoist) মুখের মতো জবাব দিল নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে খতম ছয় সন্দেহভাজন মাওবাদী। জানা গিয়েছে, বুধবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার চিকুরভাট্টি ও পুসবাকা গ্রামের জঙ্গলে তল্লাশি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় গুলির লড়াই।

    কী বলছেন পুলিশ কর্তা? (Maoist)

    বস্তার রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ পি বলেন, “ওই এলাকায় মাওবাদীরা লুকিয়ে ছিল বলে বিশেষ সূত্রে খবর আসে। এর পরেই শুরু হয় অভিযানের প্রস্তুতি। সেখানে অভিযানের জন্য ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ২২৯ ইউনিট এবং তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোবরা কমান্ডোদের পাঠানো হয়। শুরু হয় দু’পক্ষে গুলি বিনিময়। পরে এক মহিলা সহ ছ’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। সন্দেহভাজন মাওবাদীদের পরিচয় জানা যায়নি।” তাদের সঙ্গে অস্ত্র ছিল কিনা, তার খোঁজ করছে পুলিশ। ওই দুই জঙ্গলে আর কোনও মাওবাদী (Maoist) গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে কিনা, তা জানতে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    লোকসভা নির্বাচনে অশান্তি পাকানোর ছক!

    দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। এই দফায় নির্বাচন হবে মাও উপদ্রুত এই এলাকায়ও। এলাকাটি বস্তার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্বাচনে অশান্তি পাকিয়ে খবরের শিরোনামে আসতে চেয়েছিল মাওবাদীরা। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় তারা স্রেফ ছবি হয়ে গেল। এ মাসেরই প্রথম দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছিল এক মাওবাদী। সেবার মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহনীর গুলির লড়াই হয়েছিল ছত্তিশগড়েরই কাকেঁড় জেলায়।

    সেবার ছোটেবেঠিয়া থানার হিদুর গ্রামের কাছের এক জঙ্গলে মাওবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। শুরু হয় অভিযান। দু’পক্ষে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। খতম হয় এক মাওবাদী। শহিদ হয়েছিলেন বস্তার ফাইটার্সের কনস্টেবল রমেশ কুরেতি। মৃত মাওবাদীর কাছ থেকে সেবার পুলিশ উদ্ধার করেছিল একটি একে-৪৭ রাইফেল। এর আগে জানুয়ারি মাসে ছত্তিশগড়-মধ্যপ্রদেশ সীমান্তের কাছে টেকালগুদিয়াম গ্রামে অপারেশন চালাতে গিয়ে শহিদ হয়েছিলেন সিআরপিএফের তিন জওয়ান। জখম হয়েছিলেন ১৪ জন। এবার অবশ্য খতম করা হয়েছে মাওবাদীদেরই (Maoist)।

    আরও পড়ুুন: ভূস্বর্গে আফস্পা প্রত্যাহারের ভাবনা, বিধানসভা ভোটই বা কবে? কী বললেন শাহ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • NIA: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    NIA: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (plfi) ডেরায় হানা এনআইএ-র (NIA)। সূত্র মারফত খবর পেয়ে চার রাজ্যে অভিযান চালায় এনআইএ। উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় সেনার উর্দি এবং আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন দুই মাওবাদীকে। ঝাড়খণ্ড লিবারেশন টাইগার্স নামে পরিচিত পিএলএফআই আদতে মাওবাদীদের দলছুট একটি গোষ্ঠী। এদের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

    কী কী মিলল?

    শুক্রবার ঘণ্টা চারেক ধরে অভিযান চলে। বিহারে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন এনআইএ-র ডিএসপি মহেন্দ্র সিংহ রানা। উদ্ধার হয় ভারতীয় সেনার একটি উর্দি, দুটি বেআইনি অস্ত্র, প্রচুর নথিপত্র, নগদ টাকা এবং সোনার গয়না। চলতি বছর ১১ অক্টোবর পিএলএফআইয়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। এর পরেই পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করে এনআইএ। সেই মতো শুক্রবার চার রাজ্যের ২৩টি জায়গায় একই সময়ে হানা দেয় এনআইএ। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে জঙ্গি কার্যকলাপ করার পরিকল্পনা করেছিল পিএলএফআই। তাদের বিরুদ্ধে জুলুম ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

    কোথায় কোথায় হানা? 

    এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর, এদিন ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লির মোট ২৩টি জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছে দুটি পিস্তল, কিছু কার্তুজ এবং বিস্ফোরকের পাশাপাশি সোনার গয়না, নগদ তিন লক্ষ টাকা, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম এবং নথিপত্র। এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের গুমলা, রাঁচি, সিমডেগা, খুঁটি, পালামু, পশ্চিম সিংভূম জেলার ১৯টি ডেরায় অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। অভিযান চালানো হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সিধি, বিহারের পাটনা এবং দিল্লির দুটি ডেরায়।

    আরও পড়ুুন: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে মাওবাদীদের ডেরায় ভারতীয় সেনার উর্দি মেলায় জঙ্গিরা নাশকতার ছক কষেছিল কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা (NIA)। ফি বার প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে লালকেল্লায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন দেশ-বিদেশের প্রচুর অতিথি-অভ্যাগত উপস্থিত থাকেন। তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, সেনার উর্দি পরে সেদিনই সেনার ভিড়ে মিশে গিয়ে হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হল বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী কার্যকলাপের পাশাপাশি আজাদি স্লোগানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি। ঘটনার তদন্তে এনআইএ দাবি করেছে পদ্ম শিবির।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। দেওয়া হয় মাওবাদী স্লোগানও। হামলা চালানো হয় তাঁর গাড়িতেও। এর পরেই আরএসএফের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। তাঁর (Jadavpur University) দাবি, আরএসএফ মাওবাদীদের সেই সংগঠন, যা ভারতে নিষিদ্ধ। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করার জন্যও যাদবপুর থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগ জানান শুভেন্দু।

    আদালতে মামলা

    সোমবার রাজর্ষি মামলা দায়ের করার পাশাপাশি পৃথক একটি মামলার অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। পুরো বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেন প্রধান বিচারপতি। আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, “ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে (Jadavpur University) এই অতিবাম সংগঠনগুলো কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে? তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “২০২২ সালে নদিয়া জেলা থেকে কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। যে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে, তারও বাড়ি নদিয়ায়। ছেলেটি কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কিনা, সেটা জানা জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি।”

    আরও পড়ুুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডি! ‘কালীঘাটের কাকু’র মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) আগেই এনআইএ তদন্ত চেয়েছিলেন শুভেন্দু। গ্রেফতার হওয়া ১৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে একজন জম্মু-কাশ্মীরের। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেছিলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের ছেলে যাদবপুরে ভর্তি হতে পারে না। তাঁকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিয়েছে শাসক দলের নেতা। এর সঙ্গে কাদের লিঙ্ক রয়েছে, মধ্যযুগীয় বর্বরতা কারা করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। একে একেবারে শেকড় থেকে তুলে ফেলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    Chhattisgarh: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পরে এই প্রথম ছত্তিশগড়ের বস্তারের আটটি মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামে তেরঙা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল মঙ্গলবার। গ্রামগুলি হল সিলগার, নালা, চিন্নাগেলুর, তিমেনার , মানহাকাল, হিরোলি, বেদ্রে, দুব্বামার্কা এবং টেন্ডামার্কা। গোটা দেশ যখন ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মশগুল, তখন প্রথম বার তেরঙা পতাকা উত্তোলন করল ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বলে পরিচিত বস্তার এলাকার এই গ্রামগুলি। কেন্দ্র সরকারের সক্রিয় চেষ্টায় ক্রমশ উন্নয়নের মুখ দেখছে পিছিয়ে পড়া এই গ্রামগুলি। স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনে এদিন সামিল হন সাধারণ মানুষও।

    উন্নয়নের পথে সামিল মানুষ

    পুলিশের দাবি, এই গ্রামগুলির আশপাশে নতুন ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এতেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মাওবাদীরা। ১৯৪৭-এর ১৫ অগাস্টের পর কেটে গিয়েছে প্রায় আট দশক। কিন্তু এত দিনে এক বারও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সুযোগ পাননি বিজাপুর জেলার চিন্নাগেলুর, তিমেনার এবং হিরোলি গ্রামের বাসিন্দারা। একই অবস্থা সুকমা জেলার বেদ্রে, দুব্বামার্কা এবং টোন্ডামার্কা গ্রামেরও। বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, এই গ্রামের বাসিন্দারা এবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বার এমনটা হল। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় সুকমা জেলার পিডামেল, ডুব্বাকোনটা, সিলগের এবং কুন্দেদ গ্রামেও। 

    আরও পড়ুন: ১০০ শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিন বাস! ৫ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন ‘বিশ্বকর্মা’রা

    পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, গ্রামগুলির খুব কাছাকাছি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি সুযোগসুবিধাও সরাসরি ওই অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। তাতে বঞ্চনার অভিযোগকে শূন্যে নামিয়ে আনা যাবে। যা মাওবাদীদের পিছনে ঠেলতে সাহায্য করবে। এর ফলে স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে কালো পতাকা উত্তোলনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাঁর কথায়, ‘‘এর আগে প্রতি বছরই এমন দিনগুলিতে কালো পতাকা উত্তোলন করত মাওবাদীরা।’’ প্রসঙ্গত, মাওবাদীরা মনে করেন, দেশের নিপীড়িত, শোষিত মানুষ এখনও পরাধীন। তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই বনেজঙ্গলে চলছে বলেও দাবি করে অধুনা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share