Tag: modi govt

modi govt

  • Aadhaar Card: আপনার আধার কার্ডটি জাল না আসল বুঝবেন কীভাবে?

    Aadhaar Card: আপনার আধার কার্ডটি জাল না আসল বুঝবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ইউআইডিএআই অনুমোদিত আধার কার্ডের গুরুত্ব ও ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে এ সংক্রান্ত জালিয়াতিও। তাই জাল আধার কার্ড (Aadhaar Card) ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে বড়সড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Govt)। জেনে নিন কীভাবে চিনবেন জাল আধার কার্ড। এখন প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে কীভাবে জাল আধার কার্ড বানিয়ে উপভোক্তার নামে ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে নেওয়া হচ্ছে। কিংবা অন্য কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপে আপনাকে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে ইউআইডিএআই (UIDAI) আধারে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। এরই একটি হল আধার কার্ডে সুরক্ষিত কিউআর কোড।

    ইউআইডিএআইয়ের অফিসিয়াল কিউআর স্ক্যানার অ্যাপ ব্যবহার (Aadhaar Card)

    এখন থেকে ব্যবহারকারীরা ইউআইডিএআইয়ের অফিসিয়াল কিউআর স্ক্যানার অ্যাপ ব্যবহার করে এই কিউআর কোড স্ক্যান করতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গই যাচাই করতে পারেন কার্ডধারীর নাম, জন্ম তারিখ এবং ছবি। যদি এই তথ্য মিলে না যায় বা কিউআর কোড না থাকে, তাহলে সেই আধার কার্ডটি জাল হওয়ার সম্ভাবনাই। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আধার ডেটাবেসের যথার্থতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউআইডিএআই ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে ১.৫৫ কোটি মৃত ব্যক্তির নথিপত্র সংগ্রহ করেছে (Aadhaar Card)। তাঁদের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করতেই এটা করা হয়েছে।

    সরকারি বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে

    এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর পর তাঁর আধার নম্বরের অননুমোদিত ব্যবহার রোধ করতে সংশ্লিষ্ট আধার নম্বরধারীকে মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মৃত্যু শংসাপত্র পাওয়ার পর মাই আধার পোর্টালে সেই মৃত্যুর তথ্য রিপোর্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কোনও আধার নম্বর কখনওই অন্য কোনও ব্যক্তিকে ফের দেওয়া হয় না। তাই (Modi Govt) কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাঁর আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা অত্যন্ত জরুরি যাতে পরিচয় চুরি বা অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করা যায় (Aadhaar Card)।

  • PM Modi: ২১ জুলাই সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, মোদি সরকার পেশ করবে ৮টি বিল

    PM Modi: ২১ জুলাই সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, মোদি সরকার পেশ করবে ৮টি বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২১ জুলাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকার অধিবেশনে আয়কর বিলের জন্য সংসদের অনুমোদন চাইবে। আটটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে সুশাসন ব্যবস্থার (New Bills) মাধ্যমে খেলাধুলোয় নৈতিক অনুশীলন নিশ্চিত করার একটি বিল এবং ভূ-ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য আরও একটি বিল। মঙ্গলবার লোকসভার একটি অভ্যন্তরীণ বুলেটিনেই এ খবর জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই অধিবেশনে পেশ হবে মোট ১২টি বিল।

    বিলের অবস্থা (PM Modi)

    এর মধ্যে কয়েকটি বিল ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ হয়েছে। কয়েকটি বিল এখনও সংসদীয় কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে। সেগুলি সরকার পক্ষের আইন প্রণয়নের কর্মসূচির অংশ হিসেবেই বাদল অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে। ২১ জুলাই শুরু হওয়া এই অধিবেশন শেষ হবে ২১ অগাস্ট। জানা গিয়েছে, এই অধিবেশনে সরকার মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য উভয় কক্ষের অনুমোদন চাইবে। উত্তর-পূর্বের ওই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি। সংসদে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ‘ইমপিচমেন্ট মোশান’ও উঠতে পারে।

    জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল, ২০২৫

    প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, “জিওহেরিটেজ সাইটস ও জিও-রেলিকস বিল, ২০২৫”-এর লক্ষ্য হল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ জিওহেরিটেজ সাইট ও জিও-রেলিকসগুলিকে ঘোষণা, সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পরিকাঠামো দেওয়া যাতে করে ভূতাত্ত্বিক গবেষণা, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। এই অধিবেশনেই পেশ হবে জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল, ২০২৫। এই বিলের উদ্দেশ্য হল, “ক্রীড়ার বিকাশ ও প্রচার, ক্রীড়াবিদদের কল্যাণমূলক ব্যবস্থাগুলির প্রসার, এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে নৈতিকতা রক্ষার জন্য সুশাসনের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়া, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন পরিচালনার জন্য এমন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও বিধিসম্মত মানদণ্ড গঠন করা, যা অলিম্পিক ও ক্রীড়া আন্দোলনের নৈতিকতা, ন্যায্যতা ও সুশাসনের সর্বজনীন মৌলিক বিধিগুলির ওপর ভিত্তি করে গঠিত।

    বিল পেশের কারণ

    যেমন, অলিম্পিক চার্টার, প্যারালিম্পিক চার্টার, ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট প্র্যাকটিসেস, এবং এস্টাবলিশ লিগ্যাল স্ট্যান্ডার্ড। এছাড়াও, ক্রীড়া সংক্রান্ত অভিযোগ ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ন্যায্য ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা (New Bills) গঠন করাই এই বিলের অন্যতম লক্ষ্য।” জানা গিয়েছে (PM Modi), এই বিলটি শীঘ্রই সংসদে উপস্থাপন করা হবে। বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে সম্প্রতি কিছু বিতর্ক উঠেছে। উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। সেই প্রেক্ষাপটেই আনা হয়েছে এই বিল।কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুর পণ্য ও পরিষেবা কর (সংশোধন) বিল, ২০২৫-কে একটি অর্ডিন্যান্সের পরিবর্তে পাস করার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে বলেও খবর। এই বিলের লক্ষ্য হল, কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে কোনও বিরোধ এড়ানো। সহজে যাতে ব্যবসা করার পরিবেশ তৈরি ও জীবনযাপন সহজতর করা যায় তাই সংশোধন আনা হবে “জন বিশ্বাস বিলে”।

    লোকসভা বুলেটিন

    লোকসভা বুলেটিন (New Bills) অনুযায়ী, “ভূ-ঐতিহ্য স্থান ও ভূ-অবশেষ (সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিল, ২০২৫” অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হবে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, “এই বিলের উদ্দেশ্য হল ভূ-তাত্ত্বিক গবেষণা, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করতে জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন ভূ-ঐতিহ্য স্থান ও ভূ-অবশেষগুলির ঘোষণার মাধ্যমে সেগুলিকে সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের আইন করা (PM Modi)।” সরকারের আরও পরিকল্পনা, “খনিজ ও খনি (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী বিল, ২০২৫” এবং “জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং আইনে” আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিসগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশোধন আনার।

    আয়কর বিল, ২০২৫

    লোকসভার বুলেটিন অনুযায়ী, খনিজ সংক্রান্ত বিলটির উদ্দেশ্য হল – সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ খনিজের কার্যকর পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা, গভীরে থাকা খনিজের বৈজ্ঞানিক ও সর্বোত্তম খনন নিশ্চিত করতে পার্শ্ববর্তী এলাকা লিজে অন্তর্ভুক্ত করা, জাতীয় খনিজ অনুসন্ধান ট্রাস্টের কাজের পরিসর বাড়ানো, এবং সেই খনিজের পুরানো মজুত যেগুলি ব্যবহারের উপযুক্ত নয়, সেগুলির বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ (New Bills) রাখা। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হয়েছিল আয়কর বিল, ২০২৫। এটি আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ভাষা ও কাঠামো সহজতর করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বিলটি বর্তমানে রয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির পর্যালোচনার আওতায়। এই কমিটি বুধবার তাদের রিপোর্ট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার বাদল অধিবেশনেই বিলটি পাসের জন্য উপস্থাপন করতে পারবে।

    প্রসঙ্গত, প্রথমে ঠিক ছিল বাদল অধিবেশন চলবে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। পরে সেটাই বাড়িয়ে করা (New Bills) হয় ২১ অগাস্ট পর্যন্ত। অর্থাৎ এবার অধিবেশনের মেয়াদ হবে পুরোপুরি এক মাস (PM Modi)।

  • Indian social security: ২০১৫ সালে ছিল ১৯%, ২০২৫ সালে ৬৪%! সামাজিক সুরক্ষায় ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল ভারত

    Indian social security: ২০১৫ সালে ছিল ১৯%, ২০২৫ সালে ৬৪%! সামাজিক সুরক্ষায় ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর আদর্শে চালিত হয়ে ভারত সামাজিক সুরক্ষায় (Indian social security) ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল। সারা বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সম্প্রসারণ উল্লেখযোগ্য। ইন্টার ন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (ILO)-এর আইএলওস্ট্যাটের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী ভারতের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় থাকা জনসংখ্যা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) প্রকাশিত ‘বিশ্ব সামাজিক সুরক্ষা প্রতিবেদন’-এ উঠে এসেছে যে, ভারত সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে এক বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে যেখানে মাত্র ১৯% জনসংখ্যা এই সুরক্ষার আওতায় ছিল, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩ শতাংশে। অর্থাৎ, বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৪ কোটি মানুষ কোনো না কোনো সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন।

    উন্নত ভারতের দিকে এক ধাপ

    ভারতের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, “বিশ্বের মধ্যে ভারতই সামাজিক সুরক্ষার (Indian social security) ক্ষেত্রে সবচেয়ে দ্রুত অগ্রগতি করেছে।” তিনি জানান, দেশে কোটি কোটি মানুষ আজ বিভিন্ন খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করছেন, যা সরকারের প্রতিশ্রুতি ও অন্তর্ভুক্তিকরণের উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে। মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের ১১৩তম অধিবেশনে আইএলও-র ডিজি গিলবার্ট এফ. হৌংবো-র সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে মোদি সরকার দরিদ্রদের জন্য একাধিক কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাতীয় স্তরে সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়েও আইএলও-র ডিজিকে অবহিত করেন। আইএলও-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার এই তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছে আইএলও?

    রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে কর্মরত এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রম অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর কাজ করে। তারা ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ মূল্যায়ন করে থাকে — যার মধ্যে রয়েছে বেকার ভাতা, পরিবার ও শিশু সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বার্ধক্য ভাতা, কর্মসংস্থানকালীন দুর্ঘটনা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, অসুস্থতা ভাতা এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য সুবিধা। আইএলও (ILO)-র স্বীকৃতি পেতে হলে, কোনো দেশের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পকে আইনি স্বীকৃতি, কার্যকর বাস্তবায়ন এবং গত তিন বছরের রিপোর্ট পেশ করতে হয়। এইসব প্রয়াসের উল্লেখ করে আইএলও ভারতের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং নিজের ড্যাশবোর্ডে সরকারিভাবে জানিয়েছে যে, ভারতের জনসংখ্যার ৬৪.৩% অর্থাৎ ৯৪ কোটির বেশি মানুষ বর্তমানে অন্তত একটি সামাজিক সুরক্ষা সুবিধার আওতায় আছে। ২০১৫-য় এই হার ছিল মাত্র ১৯%। সুবিধাপ্রাপকের হিসাব অনুসারে ভারত এখন বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে। প্রায় ৯৪ কোটি নাগরিক সামাজিক সুরক্ষার (Indian social security) আওতায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গরীব এবং শ্রমিক শ্রেণীর জন্য কল্যাণকর নীতির ওপর ভারতের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন আইএলও-র ডিজি।

    ভারতের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

    ভারত সরকার ‘আয়ুষ্মান ভারত’, ‘ই-শ্রম পোর্টাল’, ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা’, ‘অটল পেনশন যোজনা’সহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রকল্প দেশের গরিব ও প্রান্তিক জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আইএলও (ILO) প্রাথমিকভাবে ৪৮.৮% কভারেজ মূল্যায়ন করেছে। তারা জানিয়েছে, এটি এখনো অসম্পূর্ণ। এখনো দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ বাকি রয়েছে। যখন তা সম্পূর্ণ হবে, তখন ভারতের সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ ১০০ কোটিরও বেশি নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    ডিজিটাল শক্তি ও স্বচ্ছতার দিকেও জোর

    ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক ভারতের সামাজিক সুরক্ষা তথ্য সংকলনের প্রথম পর্যায় চালু করে। এই পর্যায়ে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক ও গুজরাট রাজ্যের কেন্দ্রীয় ও নারী-কেন্দ্রিক প্রকল্পভুক্ত উপভোক্তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্ত্রী মাণ্ডব্য বলেন, “ভারত ২০২৫ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা তাদের সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ ডিজিটাল মাধ্যমে নথিভুক্ত করেছে। এটি ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তি এবং কল্যাণমূলক প্রকল্পে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রতিফলন।” এই উল্লেখযোগ্য সাফল্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সামাজিক সুরক্ষা পরিমণ্ডল তৈরি করতে সরকারের লাগাতার প্রয়াসের প্রমাণ, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

     

     

  • AC Temperature: ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা, কেন জানেন?

    AC Temperature: ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে আর ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা (AC Temperature)। চড়া গরমেও এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামানো যাবে না। আবার ২৮ ডিগ্রির ওপরেও করা যাবে না। এমনই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তিনি (Modi Govt) জানান, এটা আপাতত একটা পরীক্ষামূলক ভাবনা।

    বিশ্ব উষ্ণায়ণ কমানোই লক্ষ্য! (AC Temperature)

    এই নিয়ম শুধু বাড়ি, অফিস বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়, এমন এসির জন্য প্রযোজ্য হবে, তা নয়। গাড়ির এসির তাপমাত্রাও ২০ ডিগ্রির নীচে নামানো যাবে না। বাড়ানো যাবে না ২৮ ডিগ্রির ওপরেও। কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়ণ বা জলবায়ুর পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির ওপর রাশ টানতে ছোট ছোট পদক্ষেপ করছে ভারত সরকার। আর আমরা তো জানি, বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু হয়।” জানা গিয়েছে, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুতের অপচয় কমবে। এ ছাড়াও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের যে হঠাৎ চাহিদা বাড়ে, তাও কমে যাবে। ফলে গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল কমবে।

    এসির তাপমাত্রা

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাজারে যে এসি পাওয়া যায়, তা সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কাজ করে। যদিও ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি বলছে, এসি সর্বোত্তম কাজ (AC Temperature) করে যদি তা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করা থাকে (Modi Govt)। এ ছাড়াও এসির তাপমাত্রা যদি ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তাহলে তা ব্যবহারকারীর আরাম ও বিদ্যুৎ খরচের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখে। মন্ত্রী জানান, ইচ্ছে মতো আর এসির তাপমাত্রা কমানো বা বাড়িয়ে দেওয়া যাবে না। শীঘ্রই এসির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সীমা বেঁধে দিতে চলেছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাও জারি করা হবে।

    ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি আগেই জানিয়েছিল, বিদ্যুতের সর্বাধিক সাশ্রয়ের জন্য ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই থাকা উচিত এসির তাপমাত্রা। তাপমাত্রা তার যত নীচে নামানো হবে, ততই বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে। প্রতি এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ বাঁচে। বিদ্যুৎ বাঁচার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণও কম হবে। ফলে কমবে (Modi Govt) পরিবেশ দূষণ (AC Temperature)।

  • Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর ২০১৯ ও ২০২৪ সালেও তিনিই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। সোমবার হল মোদি সরকারের (Modi Govt) ১১ বর্ষ পূর্তি। এদিনই মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, সুসংহত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে গত ১১ বছরে মোদি সরকার একগুচ্ছ সাহসী ও সুদূরপ্রসারী সংস্কারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতি পরিবর্তন করেছে। বিজেপির তরফে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারতের উন্নয়নের পথে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।

    ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। সরকারের এই কর্মসূচি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ, স্বদেশি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্পক্ষেত্রে নয়া গতি এনেছে। এটি বিধিনিষেধ সহজতর করেছে, উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিয়েছে এবং ভারতকে বিশ্বের দ্বিতীয় সব চেয়ে আকর্ষণীয় উৎপাদন গন্তব্যে পরিণত করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’য় রূপান্তর আত্মনির্ভরতা ও বৈশ্বিক শিল্পক্ষেত্রে ভারতের আস্থা বৃদ্ধির প্রতীক।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Modi Govt)

    ২০১৫ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলিকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেয়।২০২৫ সালের শুরু পর্যন্ত এই যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৩২.৪ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিলি করা হয়েছে। সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারী, এবং প্রায় অর্ধেক ঋণ দেওয়া হয়েছে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির লোকজনকে। সর্বোচ্চ ঋণ বিলি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে (BJP)।

    বিমুদ্রাকরণ

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর কালো টাকা সাদা করতে, জাল নোটের রমরমা ঠেকাতে, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে (Modi Govt) এবং ডিজিটাল লেনদেনে দেশবাসীকে উৎসাহিত করতে ভারত সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। এর ফলে আয়কর রিটার্ন দাখিল বেড়েছে ২৪.৭ শতাংশ এবং অগ্রিম কর সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে ৪১.৮ শতাংশ। ‘অপারেশন ক্লিন মানি’র মাধ্যমে ১৮ লাখ সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যার ফলে ১৭,৫২৬ কোটি টাকার অবৈধ আয়ের সন্ধান মিলেছে। সরকারের এই পদক্ষেপে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

    জিএসটি

    ২০১৭ সালের ১ জুলাই চালু হওয়া জিএসটি বিভিন্ন পরোক্ষ করের পরিবর্তে একটি একক কর ব্যবস্থা চালু করে। এটি করের বাধা দূর করেছে, ইনপুট ক্রেডিটের সুবিধা এনেছে এবং আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যকে উন্নত করেছে। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে দেশে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ পৌঁছেছে ২০.১৮ লাখ কোটি টাকায়, যা তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১১.৭ শতাংশ বেশি। এই সংস্কার কর দেওয়া সহজ করেছে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছে এবং অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করেছে।

    ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং ইউপিআই

    বিএইচআইএম, আধার এবং ইউপিআইয়ের মতো উদ্যোগগুলি ভারতের পেমেন্ট ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ইউপিআই মাসে ১৭৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন করেছে, যার আর্থিক মূল্য ২২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে। ২০১৯ সালে ডিজিটাল পেমেন্টে ইউপিআইয়ের অংশ ছিল ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশে। মোদি সরকারের এই ব্যবস্থা ডিজিটাল ফিনান্সে ভারতকে বিশ্বনেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে (BJP)।

    আয়ুষ্মান ভারত

    ২০১৮ সালে শুরু (Modi Govt) হওয়া আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (PM-JAY) প্রতি পরিবারে সেকেন্ডারি ও তৃতীয় স্তরের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কভারেজ প্রদান করে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩৬.৯ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। যার ফলে প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এখন ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিক এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সরাও অন্তর্ভুক্ত।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়ে যায় এবং এটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত হয়। এই অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ায় সমান নাগরিকত্বের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে এবং জাতীয় ঐক্য মজবুত হয়েছে।

    উরি, বালাকোট, অপারেশন সিঁদুর ও ব্ল্যাক ফরেস্ট  

    ২০১৬ সালে উরির হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার প্রতিক্রিয়ায় বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালায় মোদি সরকার। ২০২৫ সালে হয় অপারেশন সিঁদুর। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানে দেশীয় সামরিক সক্ষমতা ও মহিলা অফিসারদের নেতৃত্বের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়, যা আদতে আত্মনির্ভরতা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হয় অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট (BJP)। ২১ দিন ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের ১০,০০০-এর বেশি কর্মী অংশ নেন ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টালু পাহাড়ে মাওবাদী ঘাঁটি ও তাদের নেতৃত্ব কাঠামো ধ্বংস করতে। অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিকেশ হয়, যাদের মধ্যে ছিল সিপিআই (মাওবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও (বাসবরাজু)-এর মতো শীর্ষ নেতাও (Modi Govt)।

    আত্মনির্ভর ভারত

    কোভিড অতিমারী-উত্তর পর্বে শুরু হওয়া আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের লক্ষ্য হল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং বিশেষ করে এমএসএমইদের জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো। মোদি সরকারের এই উদ্যোগ ব্যাপক সাফল্য পায়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিরক্ষা রফতানি ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষে ৬৮৬ কোটি টাকা থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ২১,০৮৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০ গুণ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানি ৪,৩১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮,৩১৯ কোটি টাকায়।

    অগ্নিপথ স্কিম

    ২০২২ সালের জুনে চালু হওয়া অগ্নিপথ স্কিম অনুযায়ী ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের চার বছরের জন্য ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়, যাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে রাখা হয়। এই স্কিমটি শৃঙ্খলা গড়ে তোলে এবং বার্ষিক ৪.৭৬ লক্ষ টাকা বেতন, ১১.৭১ লক্ষ টাকা ‘সেবা নিধি’ এক্সিট প্যাকেজ এবং ৪৮ লক্ষ টাকার জীবন বীমা দেয়। প্রতিরক্ষা সেবার বাইরেও এটি যুবকদের ভবিষ্যতের (BJP) কেরিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জনেও সহায়তা করে। অপারেশন সিঁদুরে এই অগ্নিবীরদের অনেকেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন (Modi Govt)।

    সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

    কিছু যুগান্তকারী প্রকল্পের মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। ২০২৪ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বহু প্রতীক্ষিত একটি সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে। কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রকল্প বারাণসীর মন্দির চত্বরে এক নতুন রূপ এনে দিয়েছে, আর মহাকাল লোক করিডর উজ্জয়নের মহাকালেশ্বর মন্দিরকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এই সমস্ত উদ্যোগই ঐতিহ্য ও আধুনিক পরিকাঠামোর এক অসাধারণ সমন্বয়, যা ধর্মীয় পর্যটন ও সভ্যতাগত গর্বকে উৎসাহিত করছে। এই যুগান্তকারী কীর্তিগুলির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এবং বৈদেশিক নীতিতেও নিজস্ব ছাপ রেখেছে। এমনই একটি সাফল্য হল ভারতে (BJP) সফলভাবে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন। এছাড়াও, নানা সময় বিভিন্ন দেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত মানবিক সাহায্য দিয়েছে। যার ফলে ভারত অর্জন করেছে বিশ্বনেতার সম্মান (Modi Govt)।

  • Ayurveda Day: ধনতেরাসে নয়! প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে আয়ুর্বেদ দিবস, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    Ayurveda Day: ধনতেরাসে নয়! প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে আয়ুর্বেদ দিবস, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুর্বেদ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার (Modi government)। এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে “আয়ুর্বেদ দিবস” (Ayurveda Day)। এতদিন আয়ুর্বেদ দিবস ধনতেরস উপলক্ষে পালিত হত, যা হিন্দু চন্দ্র ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পড়ে। তবে এবার থেকে একটি নির্দিষ্ট দিনে আয়ুর্বেদ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেশি করে তুলে ধরা হবে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে, ধনতেরস-এর তারিখ প্রতিবার তিথি ও নক্ষত্র মেনে পরিবর্তিত হওয়ায়, আয়ুর্বেদ দিবসের (Ayurveda Day) উদযাপন নিয়মিত ও সুসংগঠিতভাবে করা যাচ্ছিল না। ২০২৫ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ধনতেরসের তারিখ ১৫ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে—এই অনিশ্চয়তা কাটাতেই এই বড় সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যারা বিকল্প তারিখ খুঁজে বার করেন। তাদের পরামর্শে চারটি সম্ভাব্য তারিখ বিবেচনা করা হয়। সব দিক বিচার করে ২৩ সেপ্টেম্বরকে চূড়ান্ত করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ও রাত প্রায় সমান। এই দিনটি প্রকৃতির ভারসাম্যের প্রতীক। আয়ুর্বেদের (Ayurveda Day) মূল দর্শনও এই ভারসাম্য—মন, শরীর ও আত্মার মধ্যে সুষম অবস্থান বজায় রাখা। এই দৃষ্টিকোণ থেকে এই তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছে একটি পরম্পরাগত এবং বিজ্ঞানের সমন্বিত সিদ্ধান্ত হিসেবে।

    আয়ুর্বেদে গুরুত্ব সরকারের

    আয়ুষ মন্ত্রক বলেছে, এই নতুন তারিখ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আয়ুর্বেদকে নতুন পরিচয় দেবে। ভারতের প্রাচীন জ্ঞান-ভাণ্ডারকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। এখন থেকে দেশজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা সংস্থা, গবেষণা কেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকে ২৩ সেপ্টেম্বর আয়ুর্বেদ দিবস পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। মোদি সরকার বরাবরই আয়ুর্বেদ ও অন্যান্য প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচার ও প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যেই দেশে ও বিদেশে একাধিক আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চ সেন্টার ও হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। ‘আয়ুষ’ শিল্পও গত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বিকশিত হয়েছে।

  • India Turkey Relation: অকৃতজ্ঞ! কেন্দ্রের আতসকাচের তলায় ভারতে ‘পাক-প্রেমী’ তুরস্কের বহু প্রকল্প

    India Turkey Relation: অকৃতজ্ঞ! কেন্দ্রের আতসকাচের তলায় ভারতে ‘পাক-প্রেমী’ তুরস্কের বহু প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পাহেলগাঁও হামলার পর ভারতের (India Turkey Relation) ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তুরস্কের সঙ্গে একাধিক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তি এখন সঙ্কটে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তুরস্কের সঙ্গে সব প্রকল্পের ওপরই কঠোর নজরদারি করছে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, টানেল নির্মাণ, মেট্রো রেল, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিমান পরিবহণসহ বিভিন্ন খাতে চলমান তুরস্কের বিনিয়োগ পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে কেন্দ্র। এই পর্যালোচনার পেছনে রয়েছে তুরস্কের ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তান-প্রীতি বক্তব্য ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান।

    প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন

    তুরস্ক (India Turkey Relation) প্রাথমিকভাবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে “সন্ত্রাসী কার্যকলাপ” হিসেবে নিন্দা জানিয়েছিল, পরে তাদের অবস্থান ভারতীয় কূটনীতিক মহলে সন্দেহ সৃষ্টি করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোগান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে পাহেলগাঁও হামলার পরে সাক্ষাৎ করেন। নয়াদিল্লির মতে এই সাক্ষাত পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্যে তুরস্কের সংহতির বার্তা বহন করে। তুরস্ক অপারেশন সিঁদুরকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর “অন্যায্য আঘাত” হিসেবে অভিহিত করে। এর পরপরই ৮–৯ মে রাতে পাকিস্তান তুরস্ক-নির্মিত ড্রোন দিয়ে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ও অসামরিক স্থাপনায় নজিরবিহীন হামলা চালায়। লেহ থেকে গুজরাটের স্যর ক্রিক পর্যন্ত ৩৬টি স্থানে হামলা চালানো হয়। এই হামলায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি পরিবারের তিন সদস্য আহত হন। এই ঘটনার জেরে মোদি সরকার এখন ভারতের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত তুরস্কের কোম্পানিগুলোর ভূমিকা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা শুরু করেছে। প্রায় ১০.৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

    অকৃতজ্ঞ তুরস্ক

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই তুরস্ক পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে।

    কোন কোন চুক্তিতে প্রশ্নচিহ্ন

    বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ফাউন্ডেশনের (IBEF) ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তুরস্ক থেকে ভারতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) এসেছে ২৪০.১৮ মিলিয়ন ডলার। এই বিনিয়োগ মূলত নির্মাণ, উৎপাদন, বিমান চলাচল, মেট্রো রেল এবং শিক্ষা ও গণমাধ্যমের মতো জ্ঞানভিত্তিক খাতে কেন্দ্রীভূত। গত এক দশকে ভারত ও তুরস্কের মধ্যে বহু সমঝোতা চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আফিম বীজের বাণিজ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও কূটনৈতিক সহযোগিতা। তবে এখন এই সম্পর্কে চির ধরছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “তুরস্ক প্রতিষ্ঠান যুক্ত সব প্রকল্প এখন সরকারের বিশেষ পর্যালোচনার আওতায়। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সব চুক্তির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।” এই পর্যালোচনায় রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের অটল টানেলের ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল অংশে ২০২০ সালে যুক্ত তুরস্কের একটি কোম্পানি এবং ২০২৪ সালে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (RVNL) সঙ্গে একটি মেট্রো প্রকল্পে তুরস্কের অংশীদারিত্ব।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    তুরস্কের (India Turkey Relation) কাশ্মীর ইস্যুতে বারবার হস্তক্ষেপ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফলে এই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলগত পুনর্মূল্যায়ন আরও জোরালো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লি – অন্তত পাঁচটি রাজ্যে তুরস্কের বিনিয়োগ রয়েছে। এইসব রাজ্যে মেট্রো প্রকল্প, বিমানবন্দর পরিচালনা এবং উৎপাদন কেন্দ্রের মতো উচ্চ-প্রোফাইল প্রকল্পে তুরস্কের অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভারত সফরকালে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো এখন অনেকটাই অর্থহীন হয়ে উঠেছে। সরকারি সূত্র মতে, এখন পর্যন্ত কোনও প্রকল্প বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও, স্পষ্ট যে ভারত ধীরে ধীরে তুরস্কের অংশীদারিত্ব থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। “ভারত এখন বৈশ্বিক অবস্থান স্পষ্ট করছে। যে কোনও অংশীদারিত্ব ভারতের কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে তা আস্তে আস্তে বাতিলের পথে যেতে পারে” বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। ভারত-পাক ‘যুদ্ধ’-এ সংঘর্ষবিরতির চার দিন পর পাঞ্জাবের আদমপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন, ‘সন্ত্রাস এবং আলোচনা’, ‘সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য’ একসঙ্গে চলতে পারে না।

    তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ চুক্তি বাতিল

    ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে সম্প্রতি তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ চুক্তি বাতিল করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ৷ জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে তুরস্ক ও চিনের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ৷ যদিও তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সেনাবাহিনী ৷ পাকিস্তানের ছোড়া সশস্ত্র ড্রোন, ইউএভি-র বেশ কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে ৷ সেগুলি পরীক্ষা করে ভারত জানতে পেরেছে, ওই ড্রোনগুলি পাকিস্তানকে সরবরাহ করেছে তুরস্ক ৷ তুরস্কের এই ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছে পর্যটন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যবসায়ী সংগঠন ৷ কার্যত একই পথে হেঁটেছে জেএনইউ ৷

    মার্বেল ব্য়বসায়ীরা মুখ ঘোরাচ্ছে

    জেএনইউ-এর এক শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমরা তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে করা মৌ চুক্তি বাতিল করেছি ৷ এই চুক্তির আওতায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অধ্যাপক আদান-প্রদানের পরিকল্পনা ছিল ৷ পাশাপাশি দুই দেশের পড়ুয়ারা দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগও পেতেন ৷ কিন্তু এখন আর তা হবে না ৷” চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এই চুক্তি হয় ৷ দুই দেশের সাংস্কৃতিক গবেষণা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে ভারত-তুরস্কের এই চুক্তি হয়েছিল ৷ ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ছিন্ন করল জেএনইউ ৷ অন্যদিকে, রাজস্থানের মার্বেল ব্য়বসায়ীরা তুরস্কর থেকে মার্বেল পাথর আনতে চাইছেন না ৷ আপেল ও শুকনো ফলের ব্যবসায়ীরাও একই পথে হেঁটেছেন ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল- তিন মাসে ভারত-তুরস্কের মধ্যে ৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি বাণিজ্য হয়েছে ৷ কিন্ত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় তুরস্কের ভূমিকার জন্য এবার বাণিজ্যের পরিমাণ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের ৷

  • Bangladesh: হিংসার বাংলাদেশে নেই শ্রমিক নিরাপত্তা! ৫ হাজার কোটির রেল প্রকল্প বন্ধ করল মোদি সরকার

    Bangladesh: হিংসার বাংলাদেশে নেই শ্রমিক নিরাপত্তা! ৫ হাজার কোটির রেল প্রকল্প বন্ধ করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাসেই বিএনপি ও জামাত অগণতান্ত্রিকভাবে দখল করে বাংলাদেশের (Bangladesh) গণভবন। দেশ ছাড়া হন শেখ হাসিনা। পতন হয় তাঁর সরকারের। এরপর থেকেই ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বাড়াতে থাকে অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকার। দিল্লির সঙ্গে বাড়তে থাকে কূটনৈতিক টানাপোড়েন। অবনতি হয় সম্পর্কের। এই আবহে নরেন্দ্র মোদি (Modi Govt) নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের নির্মাণ এবং অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লির তরফ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তিত ভারত। তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বেশ কতকগুলি সংবাদমাধ্যম। জানা যাচ্ছে, অর্থ বরাদ্দ বন্ধের ফলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্প— আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্প, খুলনা-মোংলা বন্দর রেল লাইন এবং ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রেল সম্প্রসারণ— স্থগিত করা হয়েছে।

    বন্ধ হওয়া প্রধান প্রকল্পগুলি (Bangladesh)

    ১. আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্প 

    জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পটি ভারত সরকারের প্রায় ৪০০ কোটির অনুদানে বাস্তবায়িত হচ্ছিল। ১২.২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেলপথের মধ্যে বাংলাদেশের অংশ ৬.৭৮ কিলোমিটার ও ত্রিপুরার অংশ ৫.৪৬ কিলোমিটার। এতে ত্রিপুরা ও অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সংযোগ বাড়ার কথা ছিল।

    ২. খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্প (Bangladesh)

    এই প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা ভারতের ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারত। এই প্রকল্পের আওতায় মোংলা বন্দর ও খুলনার মধ্যে ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রড গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছিল।

    ৩. ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রেল সম্প্রসারণ প্রকল্প

    এই প্রকল্পটি আর মাত্র ২ বছর পরে ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তায় চলছিল কাজ। জানা যাচ্ছে, এইগুলি ছাড়া আরও বেশ কতকগুলি প্রকল্পের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।

    ভারত সরকার কোনও বিবৃতি দেয়নি

    যদিও ভারত সরকার এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে এর মধ্যেই বাংলাদেশে রেল সংযোগ একাধিক প্রকল্পে ভারতের অর্থ বরাদ্দ বন্ধের খবরটি নতুন করে সামনে এসেছে। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম এই বিষয়টি তুলে ধরেছে বলেও জানা যাচ্ছে। দিল্লির এমন পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের রেলপথের মাধ্যমে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য বা ‘সেভেন সিস্টার্স’কে যুক্ত করার পরিকল্পনা ব্যাহত হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের একাধিক কট্টরপন্থী নেতার মুখে ‘সেভেন সিস্টার্স’ ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি শোনা গিয়েছে।

    শ্রমিকদের নিরাপত্তাই উদ্বেগের কারণ

    যদিও সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন নামের একটি সংবাদপত্র। ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh), সেই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। ঠিক এই কারণেই রেল প্রকল্পগুলির তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খবর। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ও তাদের একের পর এক ভারত বিরোধী অবস্থানের ফলে প্রকল্পগুলি বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হল।

    বিকল্প রুটের সন্ধান নয়াদিল্লির

    একাধিক রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার কারণে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারত বিকল্প রাস্তার সন্ধানও পেয়েছে। ভুটান ও নেপালের মতো অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির মাধ্যমে বিকল্প একটি ট্রানজিট রুট কিভাবে নির্মাণ করা যায় সেই পরিকল্পনায় করছে ভারত। অর্থাৎ ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্ক রাখতে চায় না মোদি সরকার।

    শিলিগুড়ি গুরুত্বপূর্ণ করিডর, উত্তরপূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার

    জানা যাচ্ছে এই আবহে ভারতীয় রেল বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে পরিকাঠামো সম্প্রসারণের দিকেই নজর দিয়েছে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল শিলিগুড়ি করিডর। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বারও বলা হয়ে থাকে। শিলিগুড়ি করিডরকে পশ্চিমবঙ্গে চিকেন নেকও বলা হয়ে থাকে। শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করেই লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলবে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন রেলওয়ে আধিকারিকরা। এক উচ্চপদস্থ রেল আধিকারিকের মতে, রেল লাইনের সম্প্রসারণের জন্য সার্ভের কাজ চলছে। ভারতীয় রেল নেপাল ও ভুটানের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে করিডর তৈরির পরিকল্পনা করছে।

    বাংলাদেশের সঙ্গে এমন তিক্ত সম্পর্ক আগে দেখা যায়নি

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার প্রাক্তন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পরে এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন থেকেই ক্ষমতায় এসেছে তখনই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সবচেয়ে অবনতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এমন সম্পর্কের অবনতি কখনও দেখা যায়নি। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। ভারত কড়া বিবৃতি জারি করেছে একাধিকবার। সে দেশের হিন্দুদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে বলেছে ইউনূস সরকারকে। একইসঙ্গে নয়া দিল্লি অভিযোগ তুলেছে যে ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ না করার জন্যই এসে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর উগ্র মৌলবাদীদের হামলা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এমন তিক্ত সম্পর্কই এবার প্রভাব ফেলল দিল্লির এমন সিদ্ধান্তে।

    চিন সফরে গিয়েও উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে মন্তব্য করেন ইউনূস

    প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেসময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কথাতেও সেভেন সিস্টার্স–এর উল্লেখ ছিল। সেখানে তিনি বাংলাদেশ হয়ে ভারতে চিনা বাণিজ্যের প্রসার সম্পর্কে বলতে গিয়ে দাবি করেছিলেন। তাঁর মতে, সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশই হলো গার্ডিয়ান অফ দ্য ওশন। ভারতের বর্তমান সিদ্ধান্তে ইউনূসের এমন ভাবনা ধাক্কা খেল।

    চিকেন নেক এলাকায় চিনকে ঘাঁটি বানাতে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ!

    বাংলাদেশ নিজেকে বঙ্গোপসাগরের ‘গার্ডিয়ান’ বলে আখ্যা দেওয়ার পরে জানা যায়, সেদেশের উত্তরে চিকেনস নেক এলাকার কাছে নাকি চিনকে ঘাঁটি বানানোর অনুমতি দিয়েছেন ইউনূস। এহেন পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভারতের রেল প্রকল্পের সব কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদশের ওপর যে ভারত কোনওভাবেই নির্ভরশীল নয়, তা বোঝাতে ভারত এবার নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে দিয়ে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপায় খুঁজছে।

  • Modi Govt: প্রতিশ্রুতি রক্ষা মোদি সরকারের, সংগ্রহ ১০০ লক্ষ বেল তুলো, প্রদান করা হল ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা

    Modi Govt: প্রতিশ্রুতি রক্ষা মোদি সরকারের, সংগ্রহ ১০০ লক্ষ বেল তুলো, প্রদান করা হল ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় (Modi Govt) তুলো চাষের ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের আগ্রহ এখানে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই আবহে ভারত সরকার তার নোডাল সংস্থা, কটন কর্পোরেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সিসিআইয়ের (Cotton Farmers) মাধ্যমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আওতায় ১০০ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে বলে খবর। ২০২৪-২০২৫ আর্থিক বছরে এই তুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ গত ৩১ মার্চের মধ্যেই ১০০ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে মোদি সরকার।

    নূন্যতম সহায়ক মূল্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা

    জানা যাচ্ছে মোট তুলো উৎপাদন হয়েছে ২৯৪.২৫ লক্ষ বেল। এই মোট উৎপাদনের ৩৪ শতাংশই কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt) নিয়ে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বস্ত্র শিল্প মন্ত্রকের বিবৃতিও সামনে এসেছে। যেখানে তারা জানাচ্ছে, যে পরিমাণ তুলা সংগ্রহ করা হয়েছে তা ৫২৫ লক্ষ কুইন্টাল তুলোর বীজের সমান। এর ফলে দেশের ২১ লাখ কৃষককে উপকৃত করা হয়েছেন। এভাবেই নূন্যতম সহায়ক মূল্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস (NACH) এর মাধ্যমে অর্থপ্রদান করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বচ্ছতা রাখতে আধারের প্রমাণপত্র এবং এসএমএস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে অর্থ প্রদানের বিষয়টি।

    কোন রাজ্যে কত তুলো সংগ্রহ করল কেন্দ্র

    যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ পরিমাণ তুলো সংগ্রহ করা গিয়েছে তেলঙ্গানায়। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪০ লক্ষ বেল সংগ্রহ করা হয়েছে, তারপরে মহারাষ্ট্রে ৩০ লক্ষ বেল এবং গুজরাট ১৪.০২ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে কেন্দ্র (Modi Govt) । অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে কর্নাটকে ৫ লক্ষ বেল। মধ্যপ্রদেশে ৪ লক্ষ বেল, অন্ধ্রপ্রদেশে ৪ লক্ষ বেল, ওড়িশায় ২ লক্ষ বেল, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, এবং রাজস্থান মিলিয়ে ১.১৫ লক্ষ বেল।এই পরিসংখ্যানগুলিই তুলে ধরছে তুলো চাষীদের স্বার্থ রক্ষায় মোদি সরকার (Modi Govt) ঠিক কতটা দায়বদ্ধ। সহজেই যাতে চাষীরা নিজেদের উৎপাদিত তুলো বিক্রি করতে পারেন, তাই কটন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া সমস্ত তুলা উৎপাদনকারী রাজ্যে ৫০৮টি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

  • Amit Shah: “সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা,” বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা,” বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা দেশের সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এই ক্ষেত্রের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।” শনিবার কথাগুলি বললেন (Modi Govt) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এদিন পুণেতে জনতা সহকারী ব্যাংক লিমিটেডের হীরক জয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সমবায় ক্ষেত্রকে বাজারের উপযোগী করে তুলেছে।” সমবায় সেক্টরকে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত তিন বছরে কেন্দ্র দেশজুড়ে সমবায় আন্দোলনকে গতি দেওয়ার জন্য কাজ করেছে। আমরা ভারতের সমবায় খাতের মডেলটিকে বাজারজাত করার উপযোগী করে তুলেছি। আমরা একটি সমবায় বিশ্ববিদ্যালয় বিল আনার মাধ্যমে সমবায় শিক্ষাকে শক্তিশালী করছি।”

    সমবায় খাতকে দিশা দেখিয়েছেন মোদি

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সমবায় খাতকে দিশা দেখিয়েছেন এবং সমবায় ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন (Amit Shah)।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতির সামনে দুটি সংকল্প নিয়েছেন – ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি সম্পূর্ণ উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলা এবং ২০২৭ সালের মধ্যে দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা। সমবায় খাতের উন্নয়ন ছাড়া এই সংকল্পগুলি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির উন্নয়ন এবং প্রতিটি ঘরের সমৃদ্ধি না হলে, এই দুটি সংকল্প বাস্তবায়িত নাও হতে পারে।”

    শাহ বলেন, “প্রতিটি ব্যক্তিকে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দেওয়া এবং দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাদের সংযুক্ত করা, যাতে প্রতিটি পরিবার সমৃদ্ধ হয়, তা কেবলমাত্র সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমেই সম্ভব।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি গত ১০ বছরে (Modi Govt) দেশের কোটি কোটি মানুষকে অনেক মৌলিক সুবিধা দিয়েছেন। এখন, এই মানুষগুলো ভারতের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান (Amit Shah)।”

LinkedIn
Share