Tag: modi govt

modi govt

  • West Bengal: কোথায় বঞ্চনা? ইউপিএ’র তুলনায় মোদির আমলে বাংলার বরাদ্দ বেড়েছে ২১৮ শতাংশ!

    West Bengal: কোথায় বঞ্চনা? ইউপিএ’র তুলনায় মোদির আমলে বাংলার বরাদ্দ বেড়েছে ২১৮ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছরের বাজেটে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিহারের উল্লেখ থাকায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। তাদের বক্তব্য, সরকার জোট শরিকদের পাইয়ে দিতেই এমন বাজেট করেছে। বিরোধীরা ভুলে যাচ্ছে কোনও কোনও রাজ্যের কথা বাজেটে বলা হলেও তার অর্থ এই নয় যে অন্য কোনও একটি বিশেষ রাজ্যের দিকে নজর দেওয়া হয়নি বা ওই রাজ্যের অনুকূলে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, ইউপিএ সরকারের ২০০৯-১০-এর অন্তর্বর্তী বাজেটে উত্তরপ্রদেশ ও বিহার–শুধুমাত্র এই দুটি রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। অথচ, সেই সময় পক্ষপাত নিয়ে কোনওরকম হইচই বা সমালোচনা করা হয়নি।
    এবারের বাজেটে বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘পূর্বোদয়’ নামে এক বিশেষ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলি পূর্ব ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে। ঐতিহাসিকভাবে পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যগুলি উন্নয়নের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।  রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ‘পূর্বোদয়’ কর্মসূচি নিয়ে কিছু বলছে না, অথচ পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনার অভিযোগও তুলেছে। এমন অভিযোগ যে ভিত্তিহীন, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে পরিসংখ্যানেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এইভাবে বিরোধীরা বিভেদকামী রাজনীতির আশ্রয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০০৯-১৪ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ যা বরাদ্দ পেত, তা ২১৮ শতাংশ বেড়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মোদি জমানায় (Modi Government)।

    চলতি অর্থ বছরে বাংলার (West Bengal) জন্য ৩৪,৬৮৪ কোটি টাকার সংস্থান

    পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি খাতে কেন্দ্রীয় সরকার নানাভাবে অর্থ বরাদ্দের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অনুকূলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের পরিমাণ যথেষ্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোট সংগৃহীত করের মধ্যে ৯৩,৮২৭.৭০ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গের বাজেট বরাদ্দ হিসেবে ধরা হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে। চলতি অর্থ বছরে মঞ্জুরিকৃত অনুদান হিসেবে ৩৪,৬৮৪ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে পশ্চিমবঙ্গে ইউপিএ মেয়াদকালের তুলনায়  বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে বেশ কয়েকগুণ। এনডিএ সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের অনুকূলে রেকর্ড পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্তমান আর্থিক বছরে অর্থাৎ, ২০২৪-২৫ সালে পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র রেল প্রকল্প রূপায়ণে অনুমোদিত বরাদ্দের পরিমাণ ১৩,৯৪১ কোটি টাকা। ২০০৯-১৪ সময়কালে প্রতি বছর বরাদ্দের গড় পরিমাণ ছিল ৪,২৮০ কোটি টাকা। সেই অর্থে এবারের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ তিনগুণ। ২০১৪-২৩ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১,১০০ কিলোমিটার রেল সেকশন চালু হয়েছ, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ২০১৪-২৪ সময়কালে রেল প্রকল্প

    -১,২৬১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ

    – ১,৫৭৬ কিলোমিটার রেল বৈদ্যুতিকীকরণ অর্থাৎ, প্রতি বছর গড়ে ১৫৮ কিলোমিটার যা কিনা ২০১৪ সালের গড় ৩২ কিলোমিটারের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি।

    – ৪৪৩টি রেল ফ্লাইওভার ও আন্ডারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

    -৪৩টি প্রকল্পের কাজ চলছে মোট ৪,৪৭৯ কিলোমিটার যার জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ৬০,১৬৮ কোটি টাকা।

    -১০০টি স্টেশনকে অমৃত স্টেশন রূপে চিহ্নিত করা হবে :

    পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রের বঞ্চনা, এ যে সর্বৈব মিথ্যা তত্ত্ব, তা পরিষ্কার নীচের পরিসংখ্যানে

    জনধন যোজনা

    সর্বভারতীয় স্তরে ৫২.৫ কোটি জন ধন অ্যাকাউন্ট রয়েছে (৫৬% মহিলা)

    পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ক্ষেত্রে ৫ কোটিরও বেশি জন ধন অ্যাকাউন্ট (৫৭% মহিলা)

    পিএম মুদ্রা যোজনা

    সর্বভারতীয় স্তরে ২৮.৯ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, ৪৮.৬ কোটিরও বেশি সুফলভোগী (৬৮% মহিলা; ২৩% তফশিলি জাতি/তফশিলি উপজাতি)

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ২.৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি দেওয়া হয়েছে, ৪.৭ কোটি সুফলভোগী (৭৬% মহিলা; ২০% তফশিলি জাতি/তফশিলি উপজাতি)

    স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া
     
    সর্বভারতীয় স্তরে ২.৩ লক্ষ উদ্যোগপতিকে ২৯,০০০ কোটি টাকারও বেশি দেওয়া হয়েছে (৭৮% মহিলা)

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ১২,৮০০-রও বেশি উদ্যোগপতিকে ১,৩৬৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে (৭৪% মহিলা)

    পিএম স্বনিধি (যোগ্য রাস্তার হকারদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সহায়তা)

    সর্বভারতীয় স্তরে ৬৪ লক্ষেরও বেশি রাস্তার হকার সুফল পেয়েছেন (৪৪% মহিলা; ৪৩% অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং ২২% তফশিলি জাতি/উপজাতি)

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সুফল পেয়েছেন ১.৯২ লক্ষ রাস্তার হকার (৪৫% মহিলা; ৩% অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং ১২% তফশিলি জাতি/উপজাতি)

    পিএম জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা (বছরে ৪৩৬ টাকা প্রিমিয়ামে জীবন বিমা)

    সর্বভারতীয় স্তরে ২০.২ কোটি নাম নথিভুক্ত (৫৩% মহিলা)

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ১ কোটিরও বেশি নথিভুক্ত (৫৮% মহিলা)

    পিএম সুরক্ষা বিমা যোজনা (বছরে ২০ টাকা প্রিমিয়ামে দুর্ঘটনা বিমা) 

    সর্বভারতীয় স্তরে ৪৪.৫ কোটি নথিভুক্ত (৫০% মহিলা)

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ২.৯ কোটি নথিভুক্ত (৫৫% মহিলা)

    অটল পেনশন যোজনা (Modi Government) 

    সর্বভারতীয় স্তরে ৬.৫ কোটি গ্রাহক

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৫০ লক্ষেরও বেশি গ্রাহক 

    জল জীবন মিশন–সবার জন্য পানীয় জল

    সর্বভারতীয় স্তরে ১১.৭ কোটি নলবাহিত জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৮৭ লক্ষের মতো নলবাহিত জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে

    পিএম আবাস যোজনা

    সর্বভারতীয় স্তরে ২.৯৪ কোটিরও বেশি গৃহ নির্মাণে মঞ্জুরি

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৪৫.৬৯ লক্ষ গৃহ নির্মাণে মঞ্জুরি

    পিএম আবাস শহরাঞ্চল

    সর্বভারতীয় স্তরে ১.১৮ কোটি গৃহ নির্মাণে মঞ্জুরি

    পশ্চিমবঙ্গে ৬.৬৮ লক্ষ গৃহ নির্মাণে মঞ্জুরি 

    স্বচ্ছ ভারত মিশন

    সর্বভারতীয় স্তরে ১১ কোটিরও বেশি বাড়িতে শৌচালয় নির্মিত

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৮১.৯৪ লক্ষ বাড়িতে শৌচালয় নির্মিত

    স্বচ্ছ ভারত মিশন (শহরাঞ্চল)

    সর্বভারতীয় স্তরে ৬২.৮ লক্ষ বাড়িতে শৌচালয় নির্মিত

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ২.৭৮ লক্ষ বাড়িতে শৌচালয় নির্মিত

    আয়ুষ্মান ভারত
     
    সর্বভারতীয় স্তরে ৩৪ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগী

    রাজ্য সরকার ২০১৯-এ এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছে

    জন ঔষধি কেন্দ্র (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত)

    সর্বভারতীয় স্তরে ১২,৬০০-রও বেশি কেন্দ্র

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৩৪২টি কেন্দ্র

    এলপিজি সিলিন্ডার–উজ্জ্বলা মিশন
     
    সর্বভারতীয় স্তরে উজ্জ্বলা সুবিধাভোগী ১০.৩২ কোটি

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ১.২৩ কোটি

    পিএম গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা

    সর্বভারতীয় স্তরে ৮০ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগী

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৬ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগী

    পিএম কিষাণ-এর আওতায় সুফলভোগী

    সর্বভারতীয় স্তরে ৮.৭ কোটিরও বেশি কৃষক (২২% মহিলা) 

    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৪২.৩৫ লক্ষ কৃষক (১৮% মহিলা)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: মমতার ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস! পাঁচ বছরে রাজ্য পেয়েছে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা!

    West Bengal: মমতার ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস! পাঁচ বছরে রাজ্য পেয়েছে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

    কেন্দ্রের মোদি সরকার রাজ্যকে (West Bengal) বঞ্চনা করছে, এমন অভিযোগ তুলে প্রায়ই সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে একেবারে উল্টো কথা। দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ মোদি সরকারের তথ্য সিলমোহর দিচ্ছে মমতার মিথ্যাচার ও কেন্দ্রের উন্নয়নকেই, এমনটাই বলছে অভিজ্ঞ মহল।

    গ্রামোন্নয়নে বিপুল টাকা! (West Bengal)

    পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, খাদ্যে ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং সারের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্রীয় ভর্তুকিতে উপকৃত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী (West Bengal)। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যাচ্ছে, বিগত ৫ বছরে ৯৩ হাজার ১৭১ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ উন্নয়নে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে দিয়েছে ১১,৭৯২ কোটি টাকা, যা একটি অর্থবর্ষে দেওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ। উল্লেখ্য, গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবারই সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর পাশাপাশি স্বচ্ছ ভারত মিশনে বিগত পাঁচ বছরে দেওয়া হয়েছে ২,১৫১ কোটি টাকা। নগর উন্নয়নে দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। শুধুমাত্র শহরের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ঘরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৫৯টি। 

    জনজাতি উন্নয়ন

    পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী জনজাতিদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র বিগত ৬ বছরে বাংলাকে দিয়েছে ৮৩৪ কোটি টাকা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতি পড়ুয়াদের বৃত্তি প্রদান করেছে ২১ কোটি টাকারও বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃত স্টার্ট আপ বিগত ৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে, ৪ হাজার ২৬টি, এর মধ্যে মহিলা পরিচালিত স্টার্ট আপের সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ৪১৫ কোটি টাকা।

    স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও ঢেলে অনুদান  

    স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত পাঁচ বছরে ইএসআইসি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আয়ুষ্মান যোজনার অধীনে হেলথ অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে ৩.২৪ কোটি। প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি প্রকল্পের মাধ্যমে অতি সুলভে উন্নতমানের ঔষধ প্রদানের কাজ চলছে বাংলায়। রাজ্যে এমন জন ঔষধি দোকান রয়েছে ৩৫৯টি। এই জন ঔষধির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের সাশ্রয় হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে ১,১৪৬ কোটি টাকা। সম্প্রতি, ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কল্যাণীতে অবস্থিত এইম্‌সটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে কেন্দ্রের অনুমোদিত কর্মসূচি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ১১টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এই কলেজগুলি হবে বীরভূম (রামপুরহাট), কোচবিহার, ডায়মন্ড হারবার, পুরুলিয়া এবং রায়গঞ্জে (উত্তর দিনাজপুর)। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই কলেজগুলি হবে বারাসত, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম এবং তমলুকে।

    বিপুল অর্থ কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে

    কৃষি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে তিরিশ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি শুধুমাত্র সারে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৮,৪৯২ কোটি টাকা মোদি সরকার রাজ্যকে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার অধীনে। এর পাশাপাশিকিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১০ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা মূল্যের ঋণ ধার্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদ যোজনায় ২৩০ কোটি টাকার সহায়ক অনুদান দেওয়া হয়েছে। বিগত ৬ বছরে ২৮৩ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছে মোদি সরকার পশপালন ক্ষেত্রের উন্নয়নে। এর পাশাপাশি নীল বিপ্লব ও প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় ৭৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    নারীশক্তির উন্নয়নে বিপুল টাকা

    নারীশক্তি উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গকে বিপুল অনুদান দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত ৬ বছরে নারীশক্তির বিকাশে পশ্চিমবঙ্গকে মোদি সরকার দিয়েছে ৫,৭৪৪ কোটি টাকা। ১৭১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে মিশন বাৎসল্য যোজনায়। অন্যদিকে মিশন সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি ও পুষ্টি যোজনায় বাংলা পেয়েছ ৫,২৩৯ কোটি টাকা। মিশন শক্তি যোজনায় কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে ৩৩৪ কোটি টাকা। জল জীবন মিশনের দ্বারা প্রতি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে বিগত ছয় বছরে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ১৯,৫৯৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে রাজ্য থেকে ১৪ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে অটল পেনশন যোজনায় যুক্ত হয়েছেন ৪৮ লাখেরও বেশি মানুষ।

    ৭ লাখেরও বেশি আবেদন বিশ্বকর্মা যোজনায়, কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বেলুর মঠেও

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় আবেদনপত্র সংগৃহীত হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪টি, যার মধ্যে মহিলা আবেদনকারী সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ৫৩০ জন। কেন্দ্রীয় সরকারের স্ফূর্তি যোজনায় ১৯টি নির্বাচিত গোষ্ঠী পেয়েছে ৪৫.৪৫ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় সহায়তা। এর পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানের উন্নতিতেও নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বেলুড় মঠের উন্নয়ন প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ করেছে ৩০.০৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ‘ইন্ট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটির’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

    উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের জীবনের মানোন্নয়ন, উন্নয়ন পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও

    উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে রাজ্যকে দিয়েছে ৬৭.৯ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা বাড়ানো হবে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে রাজ্যকে বিপুল অর্থ বরাদ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫,৬৭৫ কোটি টাকা। ২,২১৬ কিলোমিটারেরও বেশি জাতীয় মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ভারতমালা পরিযোজনায় বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা এবং খড়্গপুর-শিলিগুড়ি গ্রিনফিল্ড করিডর নির্মিত হচ্ছে। ভারতমালা পরিযোজনার প্রথম পর্যায়ের আওতায় পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আনুমানিক ৩২,৯৩৭ কোটি টাকার মূলধনী ব্যয়ে ৮৭৪ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ অনুমোদন করা হয়েছে। রেলওয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯,৪৮৩ কোটি টাকা।

    সাগরমালা প্রকল্পে ১৬,৩০০ কোটি টাকা

    সাগরমালা প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে ১৬,৩০০ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গের সামুদ্রিক পরিকাঠামো নির্মাণেও বিপুল টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। বর্তমানে ৫৫৪৫.১ কোটি টাকা মূল্যের ৩৯টি প্রকল্পের কাজ চলছে সামুদ্রিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে। এর মধ্যে রয়েছে হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত জাতীয় জলপথ তৈরি করার প্রকল্পও। যার দৈর্ঘ্য হল ১,৩৯০ কিলোমিটার। পণ্য সম্ভার পরিবহণে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরেরও ক্ষমতা বেড়েছে। অন্যদিকে ৩৭৪.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ফরাক্কায় নতুন নেভিগেশন লক গেট-এর উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

    ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও শিক্ষার উন্নয়নেও বিপুল টাকা

    রাজ্যের ঐতিহ্য সংরক্ষণেও ব্যাপক জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত পাঁচ বছরে ৫৮.১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে গুরু-শিষ্য পরম্পরা প্রচারের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে ৩৪.৩০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থাকে। বিজ্ঞানের প্রচারের জন্য ১৫.৬২ কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র। রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনে প্রদান করা হয়েছে ৫.০৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তরুণ শিল্পীদের বৃত্তি দেওয়া হয়েছে ৩.০৯ কোটি টাকা। বারাকপুরে গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়ের উন্নতি প্রকল্পে প্রদান করা হয়েছে ১৬.৩২ লাখ টাকা। শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৬৪৯ কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে। তফসিলি পড়ুয়াদের ৬৯ লাখ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে ১,৯১৬ কোটি টাকা।

    এতকিছুর পরেও মমতা বলছেন, রাজ্য বঞ্চিত!!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: সরকারি কর্মীদের আরএসএস করতে রইল না বাধা, কংগ্রেস-আমলের আদেশনামা বাতিল কেন্দ্রের

    RSS: সরকারি কর্মীদের আরএসএস করতে রইল না বাধা, কংগ্রেস-আমলের আদেশনামা বাতিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মীরা আরএসএস (RSS) করতে পারবেন না, এই বিষয়ে ৫৮ বছর আগে ১৯৬৬ সালে আদেশনামা জারি করেছিল কংগ্রেস সরকার। অবশেষে সেই নির্দেশকে তুলে দিল মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, এর আগে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গত ২০১৮ সালেই আবেদন করেছিল যে সরকার যেন বিষয়টি ফের বিবেচনা করে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে বলা হয়েছিল যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক যেন আগের সরকারি নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়। কারণ সরকারি চাকরিরতরাও চান যাতে তাঁরাও দেশ গঠনের কাজে অংশ নিতে পারেন।

    কী বলছেন আরএসএস-এর (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর

    আরএসএস-এর সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে আগের সরকার সঙ্ঘের মতো একটি গঠনমূলক সংগঠনের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে নিষেধ করেছিল সরকারি কর্মীদের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) গত ৯৯ বছর ধরে জাতির পুনর্গঠনে এবং সমাজের সেবায় নিযুক্ত রয়েছে।’’ সুনীল আম্বেকর আরও উল্লেখ করেন, ‘‘জাতীয় সুরক্ষা, ঐক্যের ক্ষেত্রে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সাহায্য করার জন্য বারবার প্রশংসিত হয়েছে আরএসএস।’’

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ৫৮ বছর আগে করা ‘অসাংবিধানিক’ একটা নিষেধাজ্ঞা অবশেষে তুলে নিল মোদি সরকার।

    ১৯৬৬ সালে কংগ্রেসের সরকারের আদেশনামা

    প্রসঙ্গত ১৯৬৬ সালের ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যাতে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হতে না পারেন, সেই নির্দেশ দিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। এমনকি সেই সময় আরএসএসের সঙ্গে মিটিং করা ও এমন ধরনের মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যে কোনও ধরনের আরএসএস-এর (RSS) সংষ্পর্শে না যাওয়ার ক্ষেত্রে আদেশ জারি করেছিল কংগ্রেস সরকার। পরে জনতা সরকারের আমলে এই নিষিদ্ধকরণ সাময়িকভাবে তোলা হয়েছিল। ফের ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্দেশ পুনরায় লাগু করে। ২০০০ সালে গুজরাটের বিজেপি সরকার এই নিষেধাজ্ঞা তুলেছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amarnath Yatra: সন্ত্রাস রুখতে অমরনাথ যাত্রায় কড়া নিরাপত্তা! চলবে ড্রোনে নজরদারি

    Amarnath Yatra: সন্ত্রাস রুখতে অমরনাথ যাত্রায় কড়া নিরাপত্তা! চলবে ড্রোনে নজরদারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল এ বছরের অমরনাথ তীর্থযাত্রা (Amarnath Yatra)। এবার ভক্তরা অতি উৎসাহের সঙ্গে এই তীর্থযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বেস ক্যাম্প থেকে অমরনাথ যাত্রার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে প্রথম দল৷ অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, মাঝে মধ্যেই হচ্ছে তুষারপাত। এমনকি বাদ নেই তুষারঝড়েরও। এসবের মধ্যে দিয়েই যাত্রা শুরু করলেন তীর্থযাত্রীরা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তীর্থযাত্রীদের জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
    এ প্রসঙ্গে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছেন, “অমরনাথের গুহা মন্দিরে পৌঁছনোর পথ নিরাপদ ও মসৃণ করতে এবং আনন্দদায়ক তীর্থযাত্রা (Amarnath Yatra) নিশ্চিত করতে মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভক্তরা যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত সম্ভাব্য ব্যবস্থা করছে মোদি সরকার।”

    শুরু হল ৫২ দিনের দীর্ঘ অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)

    এবার ৫২ দিনের অমরনাথ দর্শন চলবে দুটি যাত্রাপথে। অনন্তনাগের ৪৮ কিলোমিটার মুমওয়ান-পহেলগাঁও এবং গান্ডেরওয়ালের ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পুরনো বালতালের পথে। আগামী ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে এই তীর্থযাত্রা। ইতিমধ্যেই তীর্থযাত্রীদের প্রথম দল জোড়া বেস ক্যাম্প নুনওয়ান পহেলগাঁও থেকে চন্দনওয়াড়ি ও সোনামার্গের দিকে রওনা দিয়েছে৷ তাঁদের মুখে মুখে ‘হর হর মহাদেব, বম বম বোলে’ স্লোগান৷ এই স্লোগান দিতে দিতেই তীর্থযাত্রীরা ভগবান শিবের আবাসস্থল অমরনাথ গুহার দিকে যাত্রা শুরু করেছেন ৷

    আরও পড়ুন: জলের তলায় রাজধানী! বৃষ্টির জমা জলে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা

    অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর কেন্দ্র

    সম্প্রতি বৈষ্ণোদেবীর মন্দির ফেরত তীর্থযাত্রীদের বাসে জঙ্গি হানার ঘটনার পর থেকেই অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra) নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর হয় কেন্দ্র। অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উপর জোর দেওয়া হয়। অতীতে এখানে জঙ্গি হানা হয়েছে তীর্থযাত্রা চলাকালীন। ফলে সব মিলিয়ে এবার নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, আধাসেনা এবং সেনা। নিরাপত্তার জন্য কাজে লাগানো হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিকেও। গোটা যাত্রাপথে নজর রাখা হবে ড্রোনের মাধ্যমে। এছাড়াও বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত সারমেয় বাহিনীকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। এছাড়াও পূণ্যার্থীদের প্রতিটি ক্যাম্পে থাকছে সিসি ক্যামেরা। জানা গিয়েছে এছাড়াও যাত্রাপথে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। যাত্রীদের কনভয়ের নিরাপত্তার জন্য সিআরপিএফ কমান্ডো স্কোয়াডও থাকবে। নিরাপত্তাবাহিনী জম্মু থেকে কাশ্মীরের অমরনাথ বেসক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তায় কঠোর নজরদারি চালাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • KGF: ধূলোয় উড়ত সোনা! কোলারে ফের সোনার খনি চালুর চিন্তা কেন্দ্রের

    KGF: ধূলোয় উড়ত সোনা! কোলারে ফের সোনার খনি চালুর চিন্তা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনার ‘খনির শ্রমিক হয়েও কানাকড়ি নাই’! একদা সোনার আঁতুরঘর কর্নাটকের কোলার গোল্ড ফিল্ড (KGF) এখন শূন্য-মরুপ্রায়। যেখানে একদা সোনালি আভা চিকচিক করত সেখানে এখন শুধুই অন্ধকার। সোনার খনির লক্ষাধিক শ্রমিকের ঘরে এখন ‘নুন আন্তে পান্তা ফুরোয়’। কাজ নেই, খাবার নেই, জল নেই, জীবনধারণের নূন্যতম পরিষেবা পেতে তাঁদের যেতে হয় ১০০ কিলোমিটার দূরে বেঙ্গালুরুতে। ২০০১ সালে বন্ধ হয়েছিল সোনার খনি। কেটে গিয়েছে দু দশকের বেশি সময়। প্রতিদিন অবহেলাই সঙ্গী হয়েছে কোলারের। ক্ষমতায় এসেই কোলার নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। অবশেষে তা বাস্তব রূপ পেতে চলেছে। কোলারে ফের সোনার খনি চালু করার কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কর্নাটক (Karnataka) সরকার।

    কোলারে সোনার খনি নিয়ে প্রস্তাব

    সুপারস্টার যশের কেজিএফ (KGF) সিরিজের দুটি ছবি কর্নাটকের কোলারে অবস্থিত সোনার খনির উপর ভিত্তি করে তৈরি। সেখানকার অতীত ও বর্তমানের কিছু অংশ ফুটে উঠেছিল সিনেমায়। বাস্তবের সেই ‘সোনার শহর’-কে ভুলতেই বসেছিল মানুষ। এবার তার পুনরুত্থানের স্বপ্ন দেখছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কোলারে সোনার খনি আবার নতুন করে চালু করার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। গত সপ্তাহে কেজিএফ-এর খনি নতুন করে খোলার কেন্দ্রীয় প্রস্তাবে সায় মিলেছে কর্নাটক সরকারের তরফে। পাশাপাশি কেজিএফ-এর হাজার একর জুড়ে থাকা ১৩টি খনি বর্জ্যের পাহাড় নিলামে তোলার প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে ওই রাজ্যের সরকার। অনুমান করা হয়, কোলারে (KGF) এর ১৩টি বর্জ্য পাহাড়ে প্রায় ৩.৩০ কোটি টন নিষ্কাশিত বর্জ্য পড়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রতি এক হাজার বর্জ্যের পক্রিয়াকরণ করলে এক গ্রাম করে সোনা মিলবে।

    কোলার ঘিরে নতুন আশা

    কেজিএফের (KGF) খনিগুলি ‘ভারত গোল্ড মাইনস লিমিটেড’ (বিজিএমএল) সংস্থার মালিকানাধীন। বিজিএমএল একটি সরকারি সংস্থা, যা ১৯৭২ সালে কেজিএফে তৈরি করা হয়েছিল। তবে কেজিএফ খনির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই গুরুত্ব হারায় এই সংস্থা।সোনার অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০১৫ সালে কেন্দ্রের তরফে বিজিএমএল-সহ পুরনো খনিগুলি আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সেই মতোই কেন্দ্রের তরফে কেজিএফ চালু করতে কর্নাটক সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্র। কর্নাটকের (Karnataka) আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এইচকে পাতিল জানিয়েছেন, কেজিএফ খনি নতুন করে চালু হলে বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকরির সুযোগ পাবেন। 

    আরও পড়ুন: বালিকা বধূ রূপা এখন ডাক্তার! মাত্র ৮ বছরে বিয়ে, দুই সন্তানের মা অবশেষে স্বপ্নপূরণ

    কীভাবে বন্ধ হল কোলার

    ১৮৭৫ সালে কোলারে সোনার খনি (KGF) গড়ে তোলে ব্রিটিশরা। ১৯৩০ সালে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কোলার গোল্ড ফিল্ডে কাজ করতেন। ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতার পর কেন্দ্রীয় সরকার এটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সময়ে বেশির ভাগ খনির মালিকানা তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের হাতে। কিন্তু ব্রিটিশরা বিপুল পরিমাণ সোনা দ্রুত তুলে নেওয়ায় ধীরে ধীরে কোলারে সোনার পরিমাণ কমতে থাকে। এককালে যেখানে এক টন আকরিক থেকে অন্তত ৪৫ গ্রাম সোনা পাওয়া যেত, সেখানে প্রতি টনে তিন গ্রাম করে সোনা মেলে। পরিকল্পনার অভাবে বিপুল পরিমাণ লোকসানের পর কর্নাটকের (Karnataka) কোলার গোল্ড ফিল্ড ২০০১ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তরপর থেকে ভারতের উপর সোনার আমদানির বোঝাও বেড়ে যায়। এবার সেই খনির হৃত গৌরব ফেরানোর চেষ্টায় কেন্দ্র সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    Nirmala Sitharaman: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত দশ বছরে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় বাজেটের পুনঃসংস্কার করেছে। এতদিন বাজেট বলতে ছিল কেবল খরচের খতিয়ান। মোদি সরকার তাকে পরিণত করেছে সমবণ্টনের ব্লপ্রিন্টে। ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে করা হয়েছে এই সংস্কারের পদক্ষেপ।” সোমবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। তিনি জানান, মোদি সরকার করদাতাদের কষ্টার্জিত প্রতিটি পাই পয়সার মূল্য যাতে ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগানো যায়, নিরন্তর সেই চেষ্টাই করে চলেছে। সরকারের সেই কাজের সুফলও যাতে সকলের কাছে পৌঁছায়, সেই ব্যবস্থাও করছে। বাজেটে স্বচ্ছতাই যে মোদি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, তা-ও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)।

    কী বললেন সীতারামণ? (Nirmala Sitharaman)

    তিনি বলেন, “দেশে যে স্বচ্ছ বাজেট পেশ করা হচ্ছে গত দশ বছর ধরে, তার প্রশংসা শোনা গিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের কণ্ঠে। এর ফলে দেশ তামাম বিশ্বের বিশ্বাস অর্জন করতে পারছে।” এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, “ইন্ডিয়ান জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার বারংবার বাজেট পরবর্তীকালে ধার করে বাজেটের ঘাটতি লুকিয়ে রাখত। তারা ওয়েল বন্ড ইস্যু করত। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘাড়ে চাপত ঋণের বোঝা। আমাদের আমলে এসব হয় না। বাজেট কীভাবে ফেভারেবল হয় ইউপিএ সরকার সর্বদাই তার চেষ্টা করত’।

    বাজেটের বিশ্বাসযোগ্যতা

    তিনি বলেন, “গত দশক দেখেছে কেন্দ্রীয় বাজেটের পবিত্রতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। অতীতের ধারা বদলে এই নয়া ট্রেন্ড শুরু করেছে মোদি সরকার।” এর পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার বাজেটের পুনঃসংস্কার করেছে। বাজেটে বজায় রাখা হচ্ছে স্বচ্ছতা। বাজেটে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে বাজেটারি প্রসেসেও।” তিনি জানান, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষ থেকে বাজেট পেশ হয়ে আসছে পয়লা ফেব্রুয়ারি। তার আগে বাজেট পেশ হত ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে। এতে ব্যয়-চক্র (এক্সপেন্ডিচার সাইকেল) দু’মাস এগিয়ে এসেছে। ট্রেজারি সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট (টিএসএ) নিয়ে এসে সরকার ব্যয়ে সংস্কার সাধন করেছে বলেও জানান সীতারামণ। তিনি (Nirmala Sitharaman) জানান, টিএসএ চালু হওয়ায় আজ পর্যন্ত বেঁচেছে ১৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকা।

    আর পড়ুন: ১১৩ পাতার চার্জশিট! জমি দখল করে কত কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Economist Surjit Bhalla: “মোদি সরকারের আমলেই সব চেয়ে বেশি চাকরি হয়েছে”, দাবি অর্থনীতিবিদের

    Economist Surjit Bhalla: “মোদি সরকারের আমলেই সব চেয়ে বেশি চাকরি হয়েছে”, দাবি অর্থনীতিবিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮-র ডিসেম্বর – ব্যবধান মাত্র ১৬ মাস। এই সময়সীমায় চাকরি হয়েছে প্রায় দু’কোটি (Economist Surjit Bhalla)। ২০১৯ সালেই এই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি যে নিছক দাবিই নয়, তা জানিয়ে দিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের (আইএমএফ) ভূতপূর্ব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরজিত ভাল্লা। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদির জমানায় ব্যাপক চাকরির সৃষ্টি হয়েছে। গত সাত-আট বছরে সংখ্যাটা ছুঁয়েছে প্রায় ১০ মিলিয়ন।

    দুই জমানার তুলনা (Economist Surjit Bhalla)

    ইউপিএ জমানার তুলনায় এনডিএ আমলে যে বেশি চাকরি হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ (Economist Surjit Bhalla)। তিনি বলেন, “২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ইউপিএ জমানায় খুব কম চাকরি হয়েছিল।” সেই সময়টাকে তিনি ভূষিত করেছেন ‘জবলেস গ্রোথ’ পর্ব হিসেবে। 

    কী বললেন অর্থনীতিবিদ?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভাল্লা বলেন, “চাকরি সৃষ্টির ক্ষেত্রে মোদি সরকার রেকর্ড ছুঁয়েছে। ভারতের ইতিহাসে এর আগে পর্যন্ত এত কর্মসংস্থানের রেকর্ড নেই।” এর পরেই তিনি বলেন, “গত সাত-আট বছরে চাকরি হয়েছে ১০ মিলিয়নেরও বেশি।” ভাল্লা প্রধানমন্ত্রীর ইকনমিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি বলেন, “অটল বিহারী বাজপেয়ীর জমানা এবং নরেন্দ্র মোদির আমল এই দুই প্রধানমন্ত্রীর কার্যকালেই দেশে সব চেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক লেবার অর্গানাইজেশনের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে ভারতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৩ শতাংশ তরুণই বেকার।

    আরও পড়ুুন: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কোথায়, কখন জানেন?

    ভাল্লা বলেন, “আপনারা যদি ২৯ বছরের ঊর্ধ্বে তরুণদের ডেটা দেখেন, ভারতে বেকারত্বের হারের দিকে তাকান, যে দেশ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ, দেখবেন যেখানে ওয়ার্কফোর্সও প্রায় এক শতাংশ, একে বেকারত্ব বলা যায় না।” তিনি বলেন, “বিশ্বের সর্বত্রই তরুণদের মধ্যে ফ্রিকশনাল বেকারত্ব উচ্চতর। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। উনিশের সাধারণ নির্বাচনেও আবারও ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার। তাঁর আমল থেকেই বাড়ছে কর্মসংস্থান (Economist Surjit Bhalla)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: “মোদি সরকারের আমলে আকাশ ছুঁয়েছে শেয়ার মার্কেট”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “মোদি সরকারের আমলে আকাশ ছুঁয়েছে শেয়ার মার্কেট”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আমলে ভারতের অর্থনীতিতে এক আমুল পরিবর্তণ এসেছে। শেয়ার বাজার আকাশ ছুঁয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য (Amit Shah)

    এদিন অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন ভারতের অর্থনীতি প্রায় ভেঙ্গে পড়েছিল। কর্মক্ষেত্রে উৎপাদন কমে গেছিল, ফলে রপ্তানীর পরিমাণও কমে গেছিল। সে সময় মুদ্রাস্ফীতি ছিল আকাশ ছোঁয়া। তবে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগিয়েছে ভারতের অর্থনীতি। 

    আরও পড়ুন: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    মোদিজির আমলের দশ বছর স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে

    এদিন সাক্ষাৎকারে তিনি  আরও বলেন, ১৩০ কোটির দেশ ভারতবর্ষ (India) বর্তমানে ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। উচ্চশিক্ষা হোক কিংবা অর্থনৈতিক দিক। ৩৭০ ধারার অবসান হোক কিংবা তিন তালাক। রামের জন্মভূমি থেকে দেশের ফৌজদারি আইনে মৌলিক পরিবর্তন। মোদিজির আমলের এই দশ বছর প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। একই সঙ্গে অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন জানিয়েছেন যদি এবার তৃতীয়বারের মতো মোদিজি ক্ষমতায় আসেন তাহলে এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই ভারত থেকে নকশালবাদ বিলুপ্ত হবে।

    ভোট প্রসঙ্গেও মত প্রকাশ শাহের 

    পাশাপাশি এদিন ভোট প্রসঙ্গেও মত প্রকাশ করেন তিনি। ৩৭০-এর লক্ষ্যে বিজেপি কি সঠিক পথে হাঁটছে? এই প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “একদম সঠিক ট্র্যাকে রয়েছে। গণনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে এনডিএ ৪০০ পেরিয়ে যাবে। মোদিজি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন”। সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমার দলের একটা টিম এবং আমি বিশদ বিশ্লেষণ করেছি। প্রথম দুই দফার ভোটে ১০০ আসন নিয়ে আমরা তৃতীয় দফার দিকে এগোচ্ছি। ৪০০-র লক্ষ্য অতিক্রম করতে কোনও সমস্যা হবে বলে মনে হচ্ছে না”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ২জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে ‘সুপ্রিম’ রায়ে পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র

    Supreme Court: ২জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে ‘সুপ্রিম’ রায়ে পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এক যুগ আগে দেওয়া হয়েছিল রায়। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ে কিছু পরিবর্তন চেয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পর সুপ্রিম কোর্টে মামলার পক্ষ হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। ১২ বছর আগে এই স্বামীই ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনের পদ্ধতির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

    কেলেঙ্কারির গোড়ার কথা (Supreme Court:) 

    ২০১২ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। টেলিকম মন্ত্রী ছিলেন ডি রাজা। সেই সময় এক রায়ে টেলিকম সংস্থাগুলিকে বণ্টন করা সমস্ত ২জি স্পেকট্রাম খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, স্পেকট্রামের মতো জাতীয় সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দামের নীতি নেওয়া চলবে না। বেতারতরঙ্গ নিলাম করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। শীর্ষ আদালতের এই রায়েই কিছু পরিবর্তন চেয়ে আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র।

    কেন পরিবর্তন চাইছে কেন্দ্র?

    কেন রায়ে কিছু পরিবর্তন চাইছে মোদি সরকার? শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘সুপ্রিম রায়ে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন কারণ স্পেকট্রামের অ্যাসাইনমেন্ট কেবল বাণিজ্যিক টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসের জন্য প্রয়োজন তা নয়, বাণিজ্যিক নয় এমন ক্ষেত্রেও প্রয়োজন। নিরাপত্তা, সুরক্ষার মতো জনস্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে।’ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রায়ে কিছু পরিবর্তন চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, তার সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষা, নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি জড়িত রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, মহামান্য আদালতের কাছে এজন্য (এই রায়) অনুরোধ, এই পরিস্থিতিতে রায়ে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। সরকার এবং জনস্বার্থেই এটা করা প্রয়োজন। প্রযুক্তি কিংবা অর্থনৈতিক কারণে নিলামকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুুন: আগামী বছরেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে ২জি-র লাইসেন্স বিলি শুরু হয়। পরের বছরই ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০১০ সালে ক্যাগের রিপোর্ট সামনে আসার পর লাইসেন্স বিলিতে যে গোলমাল হয়েছে, তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ২০১১ সালে রাজাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজার জমানায় দেওয়া ১২২টি ২জি স্পেকট্রাম লাইসেন্স বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nitin Gadkari: ভারতে চলবে না পেট্রল-ডিজেল গাড়ি! কী বললেন নিতিন গড়করি?

    Nitin Gadkari: ভারতে চলবে না পেট্রল-ডিজেল গাড়ি! কী বললেন নিতিন গড়করি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দিনে ভারতে পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ির সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাবে বলে বিশ্বাস করেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। ভারতকে সবুজ অর্থনীতিতে পরিণত করাটা শক্ত হলেও অসম্ভব নয় বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হাইব্রিড গাড়িতে জিএসটি কমানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ৩৬ কোটির বেশি পেট্রল-ডিজেল গাড়ি রয়েছে ভারতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, জৈব জ্বালানির উপর জোর দিয়ে জ্বালানি আমদানি কমাতে পারে সরকার। কেন্দ্রের এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

    কী বললেন গডকরি

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানিয়েছেন, জ্বালানি আমদানির জন্য ১৬ লাখ কোটি টাকা খরচ করে ভারত। এই টাকা কৃষকদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে, গ্রামগুলোকে সমৃদ্ধ করা এবং যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এখনও কোনও দিন নির্দিষ্ট করেনি কেন্দ্র। হাইব্রিড গাড়ির উপর জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। হাইব্রিড গাড়ির পাশাপাশি ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন চালিত গাড়িতে জিএসটি কমিয়ে ১২ শতাংশ করতে পারে কেন্দ্র সরকার। এই প্রস্তাব ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে এই সিদ্ধান্ত। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো-আরতি চলবে, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    জৈব জ্বালানিকে স্বাগত

    পরিবেশ দূষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সামনে রেখে দেশের গাড়ি বাজারে আমূল পরিবর্তন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানান, “এই পরিবর্তনের জন্য আমি আপনাদের কোনও তারিখ দিতে পারব না। এটা করা শক্ত তবে অসম্ভব নয়।” তিনি আশাবাদী যে হারে বর্তমানে ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আসতে শুরু করেছে তাতে আগামীদিনে বিকল্প জ্বালানি এবং জৈব জ্বালানির স্বপ্ন পূরণ হবে। তিনি আরও জানান, বাজাজ, টিভিএস, হিরো মটোকর্পের মতো সংস্থার ইতিমধ্যে ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন চালিত মোটরসাইকেল এবং রিকশা বানানো শুরু করে দিয়েছে। ফলে আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়িকে ছাপিয়ে শীঘ্রই যে ইলেকট্রিক গাড়ির দাপট শুরু হবে তা বলাই যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share