Tag: mohan bhagwat

mohan bhagwat

  • Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের (Brahma Kumari) কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী প্রয়াত হলেন। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ছিলেন দাদি রতন মোহিনী (Dadi Ratan Mohini)। সমাজ সংস্কার তথা সমাজ গঠনে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। গভীর আধ্যাত্মিকতা, সহানুভূতির সঙ্গে নেতৃত্ব দান করতেন রতন মোহিনী। তিনি দেশ-বিদেশে আধ্যাত্মিকতা তথা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারে অসংখ্য কাজ করেছেন বলে জানা যায়। ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের দাদি রতন মোহিনী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ১০১ বছর বয়সে। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্ত হল একটি যুগ। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ভক্ত তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। রতন মোহিনীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আরএসএস প্রমুখ মোহন ভাগবত।

    শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির

    দাদি রতন মোহিনীর (Dadi Ratan Mohini) প্রয়াণের খবর সামনে আসতেই এক্স মাধ্যমে শোক জ্ঞাপন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রতন মোহিনীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে নিজের পোস্টে রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘আমি গভীরভাবে দুঃখিত এই খবর জানতে পেরে যে দাদি রতন মোহিনী পরলোকগমন করেছেন। ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা ছিল। এই সংগঠন আমার ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক অবদান রেখেছে।’’ হিন্দিতে লেখা পোস্টে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, সমাজের সম্প্রীতি, শান্তি এবং জনগণের কল্যাণের জন্য দাদির ভূমিকা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শোক জ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর (Brahma Kumari)

    অন্যদিকে, ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের (Brahma Kumari) কর্ণধারের প্রয়াণে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাদি রতন মোহিনীকে তিনি নিজের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। দাদি রতন মোহিনীকে (Dadi Ratan Mohini) বিশ্বাস ও সরলতা ও নিঃস্বার্থপরতার প্রতীক হিসেবে নিজের পোস্টে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘‘তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) ব্যক্তিত্বের ভিত্তি ছিল গভীর বিশ্বাস, সরলতা এবং সমাজসেবা। তিনি অসংখ্য মানুষের কাছে প্রেরণা ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের জন্যই ব্রহ্মা কুমারী আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা ও মানবিকতার পাঠ শেখায় এই সংগঠন।’’

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নিজের পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দাদি রতন মোহিনী তাঁর সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন জনগণকে দিশা দেখাতে এবং আধ্যাত্মিকতার উন্নতির সাধনে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তদের কাছে আজও তিনি প্রেরণা হয়ে থাকবেন।’’ অমিত শাহ আরও লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনী আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে অন্তরের শক্তিকে জাগ্রত করার পাঠ শেখাতেন। তিনি আমাদের কাছে প্রেরণা। তাঁর প্রয়াণ অত্যন্ত যন্ত্রণার। আমি তাঁর ভক্তদেরকে এই দুঃখের মুহূর্তে সমবেদনা জানাই।’’

    শোক প্রকাশ করেন লোকসভার স্পিকার

    ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের কর্ণধারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শোক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন যে আধ্যাত্মিকতার আলোকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দাদি রতন মোহিনী। স্পিকারের মতে, ‘‘অগণিত মানুষ তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) দেখানো পথেই চলছেন। দাদি রতন মোহিনী সত্য শান্তি এবং জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

    শোকবার্তা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

    দাদি রতনমোহিনীর মৃত্যু মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনীর মহাপ্রয়াণে প্রত্যেকেই খুব দুঃখিত। তিনি বৈকুণ্ঠ ধামে যাত্রা করেছেন। পরম পূজ্য রাজযোগিনী রতনমোহিনী দাদিজিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই। তিনি ছিলেন ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের কর্ণধার। সমাজ গঠনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। হাজার হাজার মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন আধ্যাত্মিকতার। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ও ভারতীয় মূল্যবোধের আজীবন প্রচার করে গিয়েছেন তিনি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁকে মোক্ষ দেবে এই আশা করি।’’

    দাদি রতন মোহিনীর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ

    প্রসঙ্গত, দাদি রতন মোহিনী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ। বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদে। জানা যায়, দাদি রতন মোহিনী ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। ৮৮ বছরের এই আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষ হল তাঁর প্রয়াণে। এভাবেই তিনি মানুষের মঙ্গল এবং কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন সারাজীবন। আধ্যাত্মিকতার প্রচার ও ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশনাতেই এই সংগঠন চলত। সামাজিকভাবে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করত এই সংগঠন। সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি মহিলা সশক্তিকরণ, যুব সমাজের উন্নয়ন, নেশা মুক্ত সমাজগঠন, পরিবেশের সংরক্ষণ, এর সঙ্গে সঙ্গে যোগাভ্যাস- এই সমস্ত কিছুতেও তিনি অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর এই উদ্যোগগুলির জন্য তিনি বারবার প্রশংসিত হয়েছেন জাতীয় স্তরের নানা অনুষ্ঠানে। মিলেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও। ২০১৪ সালে গুলবার্গ ইউনিভার্সিটি নাকে ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে। রতন মোহিণীর প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যেমন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।

  • Mohan Bhagwat: “ভারত মাতা কি জয় বললেই সংঘের শাখায় স্বাগত,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “ভারত মাতা কি জয় বললেই সংঘের শাখায় স্বাগত,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শাখায় সব ভারতীয়কে স্বাগত জানানো হয়। একমাত্র শর্ত হল শাখায় যোগ দিতে আসা প্রত্যেকের ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে কোনও দ্বিধা থাকবে না এবং গেরুয়া পতাকাকে শ্রদ্ধা করতে হবে।” রবিবার বারাণসীতে কথাগুলি বললেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। চারদিনের সফরে বারাণসীতে গিয়েছেন সরসংঘচালক।

    ভারত মাতা কি জয় (Mohan Bhagwat)

    এদিন তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন লাজপত নগর কলোনির একটি শাখায়। সেখানে তিনি বর্ণ বৈষম্য দূর করে একটি শক্তিশালী সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পরিবেশ, অর্থনীতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করছিলেন সংঘপ্রধান। তখনই একজন স্বয়ংসেবক জানতে চান, মুসলমানরা কি সংঘের শাখায় যোগ দিতে পারবেন? তারই উত্তরে ভাগবত বলেন, “যারা ভারত মাতা কি জয় স্লোগান ও গেরুয়া ঝান্ডাকে শ্রদ্ধা করে, শাখা তাদের সবাইকে স্বাগত জানাবে।”

    শাখায় সবাই স্বাগত

    ভাগবত বলেন, “যদিও ভারতীয়দের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ভিন্ন ছিল, তাদের সংস্কৃতি একই ছিল। তাই ভারতের সমস্ত ধর্ম, সম্প্রদায় ও বর্ণের মানুষ শাখায় স্বাগত।” লাজপত নগরের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে শনিবার সন্ধ্যায় ভাগবত কাশীর বৈদিক পণ্ডিতদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে তিনি তাঁদের ভারতকে বিশ্বগুরু বানানোর লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করেন।

    ‘হিন্দু’ যে কোনও উপাসনা পদ্ধতি নয়, তা নানা সময় বলতে শোনা গিয়েছে ভাগবতকে। চলতি বছরের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় পূর্ব বর্ধমানের তালিতের সাইয়ের ময়দানে ‘মধ্যবঙ্গ প্রদেশের একত্রীকরণ’ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন সরসংঘচালক। সেই সময় ‘হিন্দু’ শব্দের সংঘীয় ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন (Mohan Bhagwat), “হিন্দু কোনও উপাসনা পদ্ধতি বা কোনও সম্প্রদায় নয়। হিন্দু হল ভারতীয়দের পরিচয়।” ভাগবত বলেন, “ভারতের নানা প্রান্তে নানা ভাষা, নানা রীতি, নানা সম্প্রদায়, নানা খাদ্যাভ্যাস। কিন্তু তবুও তাদের মধ্যে একটা সাংস্কৃতিক মিল রয়েছে। একটা অভিন্ন সংস্কৃতি। এটাই (RSS) ভারতের স্ব-ভাব। আর এর নামই হিন্দুত্ব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই যে কোনও হিন্দুই সংঘের শাখায় স্বাগত বলে ভাগবত (Mohan Bhagwat) জানিয়েছেন।

  • PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও আরএসএসের সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই অভিন্ন আদর্শ ও গভীর পারস্পরিক শ্রদ্ধার। আরএসএসের প্রবীণরা প্রায়ই বলেন, তাঁরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন। বৃহত্তর লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ ভাইদের মতোই তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন। রবিবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে (Mohan Bhagwat) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁদের যুগলবন্দি— স্মৃতি মন্দিরে পাশাপাশি হাঁটা, মঞ্চে হালকা মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া এবং সহজ-সরল সৌহার্দপূর্ণ আচরণ—এই সম্পর্কের একটি বিরল প্রকাশ যা জনসমক্ষে দেখা যায় না।

    বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত (PM Modi)

    যাঁরা ভিজ্যুয়ালি দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁরা খুব কমই জানতেন যে তাঁরা কী নিয়ে কথা বলেছেন। তবে এটি স্পষ্ট যে দুজনের মধ্যে বন্ধন— বৃহত্তম হিন্দুত্ব শক্তির প্রধান ও দেশের সবচেয়ে প্রতিভাধর মুখ— রাজনীতি, নিয়মিত বিষয় এবং সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ২০০০ সালে ভাগবতকে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। আর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মোদি। একজন পদস্থ আরএসএস কর্মী বলেন, “যদিও তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবুও তাঁরা সবসময় একটি বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।”

    কী বলছে আরএসএস?

    আরএসএসের আর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “তাঁদের প্রায়ই জনসমক্ষে এক সঙ্গে দেখা যায় না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাঁরা (PM Modi) কথাবার্তা বলেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং বিভিন্ন স্তরে তাঁরা যোগাযোগ রাখেন। আমরা প্রায়ই তাঁদের জয়-বীরু বলে ডাকি, যদিও আমাদের কাঠামোয় আমাদের সর্বদা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হয়, এমনকি কথাবার্তাতেও। কিন্তু আমরা তাঁদের বন্ধুত্ব, তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আশ্চর্যজনক সংগঠনিক কাজের সমীকরণের কথা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। গত তিন দশক ধরে, আমরা সেখানে কোনও ফাটল দেখিনি (Mohan Bhagwat)।” আরএসএস সূত্রে খবর, শনিবার মোদি-ভাগবতের এই মঞ্চ শেয়ার কোনও আকস্মিক সাক্ষাতের উদাহরণ নয় এটি ছিল একটি বন্ধনের পুনর্নিশ্চয়তা, যা দশকজুড়ে সাধারণ মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা এবং সেবার প্রতি সমর্পণের মধ্যে প্রোথিত। রবিবার নাগপুরে দেশ যখন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল, তখন এই বন্ধনটি ফের একবার প্রমাণিত হয়েছিল।

    আরএসএসের সদর দফতরে মোদি

    রবিবারই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে পা রাখেন। কেবল পা রাখাই নয়, এদিন মোদি ভাগবতের সঙ্গে, আরএসএসের ভরকেন্দ্র স্মৃতি মন্দির পরিদর্শনও করেন। স্মৃতি মন্দির— যেটি রেশিমবাগে হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির নামে বেশি পরিচিত— সংঘের কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ড. হেডগেওয়ার এবং এমএস গোলওয়ালকরের (যিনি সংঘের মধ্যে ‘গুরুজি’ নামে খ্যাত) উত্তরাধিকার ও স্মৃতি বহন করে চলেছে। এটি সর্বদাই সংঘের সব স্তরের স্বয়ংসেবকদের জন্য তাত্ত্বিক চিন্তা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের কেন্দ্রস্থল। ভাগবতের সঙ্গে মোদির রেশিমবাগে উপস্থিতি ভারতের পুনরুত্থানের লক্ষ্যে আরএসএস ও সরকারের মধ্যে চিন্তার ধারাবাহিকতাকে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করেছে। এটি সমগ্র সংঘ পরিবার, যার মধ্যে বিজেপিও অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় (Mohan Bhagwat)।

    “হম স্বয়ংসেবক”

    এদিন, স্মৃতি মন্দির থেকে মোদি ও ভাগবত মাধব নেত্রালয়ে পৌঁছান। এটি একটি প্রতিষ্ঠান যা আরএসএসের সেবা ধর্মের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দশকের পর দশক ধরে দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে তাদের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন, সংগঠনের কাজ এবং আরএসএসের বৃহত্তর মিশনের প্রশংসাও করেন। সমাজে শারীরিক ও আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গি দুইই আনার কথাও বলেন তিনি। তাঁর বক্তৃতায়, মোদি একজন বহিরাগতের মতো নয়, বরং তাঁদেরই একজন হিসেবে কথা বলেন। তিনি বারবার “হম স্বয়ংসেবক” শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে তাঁর আরএসএসের ঐতিহ্যকে পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, এক সময় আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন প্রধানমন্ত্রী। এই আনুষ্ঠানিকতার বাইরে যা চোখে পড়ল তা হল অকৃত্রিম কিছু মুহূর্ত— মোদি ও ভাগবতের সাবলীল কথোপকথন (Mohan Bhagwat), তাঁদের হাসি-ঠাট্টা এবং প্রাঞ্জল আলাপচারিতা।

    সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা বন্ধন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদি-ভাগবতের এসব (PM Modi) আচরণ লোক দেখানোর জন্য নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বন্ধন, একটি সম্পর্কের প্রতিফলন। তাঁদের মধ্যে যে আন্তরিকতা বিভিন্ন টুকরো টুকরো দৃশ্যের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে, তা প্রায় সমস্ত অভিযোগমূলক বিভেদের ধারণা বা কোনও বিবাদের জল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছে। আরএসএসের কর্তাদের একাংশের মতে, এদিনের এই অনুষ্ঠানটি একটি সুসময়ের সংযোগ, সযত্নে তৈরি একত্রীকরণের একটি মুহূর্ত। এটি আরএসএস ও সরকারের মধ্যে আদর্শিক সেতুকে আরও শক্তিশালী করেছে। নাগপুরে (PM Modi) এই অনুষ্ঠানের মূল বার্তা স্পষ্ট— একটি ঐক্যবদ্ধ সংঘ পরিবারের প্রতিচ্ছবি (Mohan Bhagwat)।

    এক দেশ, এক ভারত!

  • RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করলেই কারও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় না”। কথাগুলি বললেন (Hindu) আরএসএস (RSS) নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাঁদের ধর্মীয় অনুশীলন পরিবর্তন করলেও, হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়”।

    “হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ” (RSS)

    প্রসঙ্গত, আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবতও বলেছিলেন, হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ। তিনি এও বলেছিলেন, সমস্ত ভারতীয় একই ডিএনএ শেয়ার করে। তাই উপাসনার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। তারও আগে ভাগবত বলেছিলেন, “হিন্দু শব্দটি আমাদের মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সমতুল্য এবং প্রতিটি ভারতীয় একজন হিন্দু।” হোসাবলের গলায়ও শোনা গেল প্রায় সেই একই সুর। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্যকে সমর্থন করে হোসাবলে বলেন, “দেশের মানুষ বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত নয়”।

    ‘এটি আদতে মানব ধর্ম’

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হোসাবলে (RSS) বলেন, “এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, ভারতের মানুষ, তাঁদের ধর্ম, ভাষা বা ঐতিহ্য নির্বিশেষে, বিভিন্ন জাতির অন্তর্গত নয়। বাবাসাহেব আম্বেডকর তো নিজেই এটি বলেছেন। হিন্দু হওয়া একটি ধর্মীয় পরিচয় নয়। এটি একটি জীবনধারা। এস রাধাকৃষ্ণন এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।” আরএসএসের এই নেতা বলেন, “হিন্দুদের দ্বারা পালন করা ধর্মকে সাধারণত হিন্দু ধর্ম বলা হয়।  কিন্তু এটি আদতে মানব ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধের সার্বজনীন নীতি। হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। এটি কোনও সম্প্রদায়গত বা কঠোর ধর্মীয় ধারণা নয়।” তিনি বলেন, হিন্দু ধারণাটি কখনওই একটি মাত্র ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেউ অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে তার জাতীয় পরিচয় হারায় না (Hindu)।”

    হোসেবলে বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারে। একজন বৌদ্ধ কি কালই লিঙ্গায়ত হতে পারবে না? একজন ব্রাহ্মণ, যদি তিনি চান, বৌদ্ধ হতে পারবেন না? একই পরিবারের ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে শৈব ও বৈষ্ণব মত অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে এক সঙ্গে বসবাস করেন — এর অসংখ্য উদাহরণ আছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায় বা ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। শুধুমাত্র অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার অর্থ সাংস্কৃতিক ও জাতীয় পরিচয় ছিন্ন করা উচিত নয় (Hindu)। এটিই সংঘের (RSS) অবস্থান।”

  • Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস

    Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস-এর (RSS) সভার শুরুতেই চমক। মনমোহন সিং, জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। তা-ও আবার সাধারণ কোনও সভায় নয়, অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha)। বেঙ্গালুরুর সেই অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও (Mohan Bhagwat) ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, তবলা বাদক জাকির হুসেন, চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, বিবেক দেবরায়, প্রাক্তন মন্ত্রী দেবেন্দ্র প্রধান এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ প্রমুখ ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এঁরা প্রত্যেকেই সম্প্রতি পরলোক গমন করেছেন। আর সেই কারণেই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। আরএসসকে চরম হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্ট করে কংগ্রেস, তৃণমূলের মত বিরোধী দলগুলি। অথচ কংগ্রেসের নেতা মনমোহন সিং এবং ভারতের গর্ব মুসলমান পরিবারের সন্তান জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধা জানানোয় আরএসএস (RSS) কী ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠন হওয়ার দিকে পা এগিয়ে দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন আজ সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে।

    ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উদ্বোধন

    এদিন আরএসএস সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং সহকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) ২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন। তিন-দিন ব্যাপী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক শুরু হওয়ার প্রাক্কালে, শুক্রবার সকালে ভারত মাতার ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত ও সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে। এরপর বৈঠকের শুভারম্ভ হয়। এই বছরের অক্টোবর মাসে আরএসএস ১০০ বছর (RSS 100 Years) পূর্ণ করবে। তাই আরএসএস-এর শতবর্ষ সম্পর্কিত সমস্ত কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে।

    সংঘের গত বছরের (২০২৪-২৫) বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বৈঠকে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, আরএসএস সহ-সরকার্যবাহ সিআর মুকুন্দ বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংঘ এবং বিবিধ ক্ষেত্রের মোট ১,৪৮২ জন প্রতিনিধি এই সভায় অংশগ্রহণ করছেন এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে সম্পাদিত কাজের প্রতিবেদন তাঁরা উপস্থাপন করবেন। এতে উদ্যোগের বিবরণ, বিশেষ কর্মসূচি এবং গৃহীত কাজের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন

    প্রসঙ্গত বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ক্রমাগত হামলা, নিপীড়ন এবং খুন-ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস। এবার সংঘের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সভা অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। প্রসঙ্গত এবছর অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার ৩ দিনের বৈঠক বসছে বেঙ্গালুরুতে। আরএসএস-এর (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর সাংবাদিকদের জানান আসন্ন বৈঠকে দুটি প্রস্তাবের উপর আলোচনার পর মতামত নেওয়া হবে। প্রথম প্রস্তাবে থাকছে বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা, নির্যাতন নিয়ে বিশদে আলোচনা। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে থাকছে আরআসএস-এর শতবর্ষ পালন কী করে হবে তা নিয়ে আলোচনা।

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে বিধানসভা ভোট। তার আগে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই দুই রাজ্যে সংগঠন জোরদার করতে পাখির চোখ করেছে আরএসএস। অতীতে বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের কাছে একাধিকবার দরবার করেছে আরএসএস। এবার পদ্মা পারে হিন্দু নিপীড়ন প্রশ্নে পথে নামতে চলেছে তারা।

    আরএসএস-এর (RSS) মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর জানিয়েছেন, “বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, হামলা, হুমকি, নিপীড়ন বন্ধ করতে আমাদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে বিশদে আলোচনার পর প্রস্তাব অনুমোদিত হলে কোর কমিটির কাছে তা পেশ করা হবে।” প্রেস ব্রিফিংয়ে আরএসএসের সহ-সরকার্যবাহ সিআর মুকুন্দ জানিয়েছেন, এই বৈঠকে কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উত্তপ্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে৷ সেই সঙ্গে এই সব জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, এবিপিএস-এর বৈঠকে (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) আরএসএসের ৩২টি সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকছেন, যাদের মধ্যে দেশের নানা স্থানে কার্যরত সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

  • RSS: “শিক্ষার উচিত মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনে ভূমিকা রাখা”, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: “শিক্ষার উচিত মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনে ভূমিকা রাখা”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শিক্ষার উচিত নয় কেবলমাত্র বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা, তার উচিত মূল্যবোধ, চরিত্র এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনেও ভূমিকা রাখা।” এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পালিত হল বিদ্যা ভারতী অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থান কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে যোগ দেন ভাগবত।

    সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে

    তিনি বলেন, “আমাদের কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা গোষ্ঠীর কল্যাণে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। আমাদের সমগ্র সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের শক্তি এবং সম্পদের উচিত সকলের অগ্রগতিতে অবদান রাখা।” এদিনের কর্মসূচিতে ভাগবত আহ্বান জানান, সামগ্রিক সামাজিক অগ্রগতি ও সমন্বিত শিক্ষার। আরএসএস কর্তা বিভিন্ন মতাদর্শের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন। বলেন, “যাঁরা আমাদের মতের সঙ্গে একমত নন, তাঁদেরও আমাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।”

    শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

    ভবিষ্যৎ গঠনে শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি (RSS) বলেন, “বিদ্যা ভারতী শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য নয়, এটি জীবনের মূল্যবোধ এবং চরিত্র গঠনে কাজ করে। বিশ্ব এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আমাদের মানবতার সঠিক পথনির্দেশনা দেওয়া উচিত।” প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাগবত এর ব্যবহার পরিচালনা করার জন্য নৈতিক কাঠামোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি সমাজের প্রতিটি দিককে গঠন করছে। আমরা যখন অগ্রগতিকে গ্রহণ করছি, তখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এটি মানবকল্যাণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে আমরা বর্জন করব।”

    ভারতীয় অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শনের উল্লেখ করে ভাগবত সমষ্টিগত সম্প্রীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি সবসময় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যকে লালন করে এসেছে। আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সামাজিক পরিবর্তন ব্যক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই শুরু হয়।” প্রসঙ্গত, আরএসএসের সহযোগী বিদ্যা ভারতী আয়োজন করেছে পাঁচ দিনের সর্বভারতীয় পূর্ণকালীন কর্মী প্রশিক্ষণ (Mohan Bhagwat) কর্মসূচি। এটি হচ্ছে ভোপালের শারদা বিহার আবাসিক স্কুল ক্যাম্পাসে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মোহন ভাগবত (RSS)।

  • RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে পাঁচ পরিবর্তনের কথা শোনালেন মোহন ভাগবত

    RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে পাঁচ পরিবর্তনের কথা শোনালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত আরএসএসের পঞ্চ পরিবর্তন নীতিকে ব্যাখ্যা করলেন। প্রসঙ্গত, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠন বলে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে আরএসএসের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অধীনে কাজ করছে ৬৩টিরও বেশি শাখা সংগঠন। হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে প্রত্যেক জায়গাতেই রয়েছেন রাষ্ট্রের স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রচারকরা। ব্যক্তি নির্মাণের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র নির্মাণ- এই তত্ত্বে বিশ্বাস রাখা আরএসএস পঞ্চ পরিবর্তনের কথা বলছে। এরই ব্যাখ্যা গতকাল রবিবার অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটিতে দিয়েছেন সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত অসমের গুয়াহাটি মহানগর শাখার পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রবিবারই। সেখানেই হাজির ছিলেন সংঘপ্রধান (Mohan Bhagwat)।

    পঞ্চ পরিবর্তন নীতি

    এই অনুষ্ঠানে হাজারেরও বেশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বয়ংসেবককে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। তাঁরা সমবেত হয়েছিলেন গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া সাউথ পয়েন্ট স্কুলের মাঠে। সেখানেই বক্তব্য রাখেন সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। তাঁর বক্তব্যেই উঠে আসে সমাজ পরিবর্তনের নানা বিষয়। সামাজিক সম্প্রীতি কিভাবে রক্ষা হবে, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য আমাদের ভূমিকা কী এবং সাংস্কৃতিক পুনরুত্থানের জন্য আমরা ঠিক কী কী করব। এই সমস্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। গতকাল রবিবার তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রাখেন । তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পঞ্চ পরিবর্তনের কথা। এই পঞ্চ পরিবর্তন হল-

    – সামাজিক সম্প্রীতি
    -পারিবারিক মূল্যবোধ
    -পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা
    – স্বদেশিয়ানার অভ্যাস
    -নাগরিক কর্তব্য

    কী বললেন মোহন ভাগবত?

    নিজের বক্তব্যে সংঘ প্রধান জোর দেন ভারতবর্ষের ঐক্য এবং বিবিধতার ওপরে। এদিন তিনি ডাকও দেন ভারতবর্ষের জাতপাত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে একত্রিত হওয়ার। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সম্প্রীতির পরিবেশ যখন সমাজে গড়ে ওঠে, তখন সেটা পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার জায়গা থেকেই তৈরি হয়। আমাদেরকে অন্য জাতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানাতে হবে। সমস্ত হিন্দু মন্দির, যে জায়গাগুলো আমরা জল সংগ্রহ করছি সেগুলি, যেখানে হিন্দুদের মৃতদেহ সৎকার করা হয় সেই মাঠগুলি- এই সব কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য প্রয়োজন এবং পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’’

    গুরুত্ব দিতে হবে পারিবারিক সম্পর্কের ওপর

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালকের বক্তব্যে এদিন উঠে আসে পারিবারিক মূল্যবোধের কথা। প্রকৃতিকে রক্ষা করার কথা। প্রতিটি পরিবারকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে কথা। প্রসঙ্গত সংঘের সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর দিন কয়েক আগেই বলেছিলেন, ‘‘যে কাজ ব্যক্তি তাঁর পরিবারের জন্য করেন, সেই কাজই যখন তিনি সমাজের জন্য করতে শুরু করেন, তখনই তাঁকে স্বয়ংসেবক বলা হয়।’’ পারিবারিক মূল্যবোধের মাধ্যমে সমাজ গঠন। সেই তত্ত্বই এদিন যেন প্রতিফলিত হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সর সংঘচালকের ভাষণে। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সর্বদাই আমাদের চিন্তা করতে হবে, সামাজিক সুখের কথা। সর্বদাই আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে পারিবারিক সম্পর্কের ওপর। সেখানে যেন আমরা একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে পারি। আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে পারিবারিক মূল্যবোধের ওপরেও। কারণ এই পারিবারিক বন্ধন ও মূল্যবোধ থেকেই তৈরি হয় একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ সমাজ।’’

    বাঁচাতে হবে প্রকৃতিকে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সামনে অনেক কিছু পরিবেশের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জলবায়ুর দূষণ থেকে প্রকৃতিকে ধ্বংস করার মতো নানা রকমের কাজ। এখন চোখের সামনে দেখা যায়। আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। জল সংরক্ষণ করতে হবে। প্লাস্টিকের ওপর যে নির্ভরশীলতা আমাদের রয়েছে তা আমাদের কমাতে হবে।’’ একইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে তুলে ধরেন বৃক্ষরোপণ। তিনি বলেন, চারা গাছ আমাদেরকে রোপণ করতেই হবে এবং এটা কোন পছন্দের বা অপছন্দের বিষয় নয়। এটা আমাদের কর্তব্য হিসেবে দেখতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করার জন্য।

    গুরুত্ব স্বদেশিয়ানায়

    এদিন নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত স্মরণ করিয়েছেন, আমাদের স্বদেশিয়ানার কথা। তিনি বলেন, ‘‘সর্বদাই আমাদের অভ্যাস করতে হবে মাতৃভাষার চর্চার। আমার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা কথা বলব মাতৃভাষায় এবং ব্যবহার করব তাঁতের তৈরি কাপড়। এর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত হবে। নাগরিক কর্তব্যের দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘সর্বদাই আমাদের মেনে চলতে হবে আমাদের সমাজে চলার জন্য যে ঐতিহ্যবাহী নিয়মগুলি রয়েছে সেগুলি। আমাদের মনে রাখতে হবে, এগুলি কোনও আইনের বইতে বলা নেই। নাগরিক কর্তব্য শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ নেই যে আমি ট্রাফিক নিয়ম মানলাম কিংবা ট্যাক্স দিলাম। এটা সম্পূর্ণটাই দাঁড়িয়ে আছে নৈতিকতার ওপরে। আমাদের সামাজিক সদ্ভাবকে বজায় রাখতে গেলে এটি ভালো করে আমাদেরকে পালন করতে হবে।’’

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী,” বর্ধমানে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী,” বর্ধমানে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী। তাই আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।” রবিবার বর্ধমানে আরএসএস (RSS) কর্মীদের সম্মেলনে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “অনেকেই আমায় প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন কেন শুধুমাত্র হিন্দু সংগঠনের ওপর এত জোর দেওয়া হয়। আমার উত্তর হল, দেশের দায়িত্বশীল সমাজ হল হিন্দু সমাজ। হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী। তাই আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।” তিনি বলেন, “আজ কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান নয়। যারা সংঘ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে। যদি আমাদের উত্তর দিতে হয় যে সংঘ কী চায়, তবে আমি বলব যে এই সংঘ হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে চায়। কারণ দেশের দায়িত্বশীল সমাজ হল হিন্দু সমাজ।”

    সংঘ প্রধানের বক্তব্য (Mohan Bhagwat)

    সংঘ প্রধান বলেন, “ভারতের একটি প্রকৃতি আছে। তারা (সমাজের একটি অংশ) সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলির সঙ্গে বসবাস করতে পারেনি। তাই তারা একটি আলাদা দেশ তৈরি করেছে। হিন্দুরা বিশ্বে বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করে জীবনযাপন করে। আমরা আজকাল বলি ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’। এবং হিন্দুরা বোঝে যে বৈচিত্র্যই ঐক্য।” ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “এখানে (ভারতে) কেউ সম্রাট বা মহারাজাদের স্মরণ করে না। কিন্তু এমন এক রাজাকে স্মরণ করে, যিনি পিতার প্রতিশ্রুতির জন্য ১৪ বছর বনবাসে গিয়েছিলেন, যিনি তাঁর ভাইয়ের খড়ম রেখে সিংহাসন ত্যাগ করেছিলেন এবং ভাই ফিরে এলে রাজত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।”

    হিন্দুর সংজ্ঞা

    তিনি বলেন, “এই বৈশিষ্ট্যগুলিই ভারতকে সংজ্ঞায়িত করে। যারা এই বৈশিষ্ট্যগুলি অনুসরণ করে, তারা হিন্দু। যা পুরো দেশের বৈচিত্র্যকে একসঙ্গে ধরে রাখে। যা কারও কষ্টের কারণ হয়, তা আমরা করব না। শাসক, প্রশাসক এবং মহান ব্যক্তিরা তাঁদের কাজ করেন। কিন্তু দেশের কাজ করার জন্য সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।”

    আরজি করকাণ্ডে যে তিনি মর্মাহত, তাও জানান ভাগবত। তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আরজি করে খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের মা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। নিহতের বিচার চান তিনি। আমি তাঁকে কথা দিয়েছি, তাঁকে সব রকম সাহায্য করব। কারণ এটাই এই মুহূর্তে সময়ের দাবি (RSS)।”

  • Calcutta High Court: পূর্ব বর্ধমানে মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: পূর্ব বর্ধমানে মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানে আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সাই কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হতে চলা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সভায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত আগামীকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওই সভা রয়েছে। রবিবার স্কুল খোলা থাকবে না। পরীক্ষাও নেই। ঠিক এই কারণে শর্তসাপেক্ষে ওই সভার অনুমতি দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তবে বিচারপতি এও নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর যাতে সমস্যা না হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব মামলাকারীর। এদিন দুটি শর্ত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমত, ৪৫ ডেসিবেলের ওপর আওয়াজ যেন না যায়। দ্বিতীয়ত, সভা চলবে সর্বোচ্চ ৭৫ মিনিট।

    কী বললেন মামলাকারীর আইনজীবী?

    মামলাকারীর আইনজীবী (Calcutta High Court) এদিন বলেন, “সাই কমপ্লেক্সের মাঠ ৫০ বিঘা জমি জুড়ে। ১-২ কিমির মধ্যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই কোনও অনুমতি চাওয়ার দরকার নেই। মোহন ভাগবত আসবেন। এসডিও-কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, লাউড স্পিকার ব্যবহার করা হবে। গতকাল জানানো হয়েছে, কোনও সাউন্ড বক্স ব্যবহার করলে সভার অনুমতি বাতিল হবে। অথচ কিছু লিখিত দেওয়া হয়নি। কোনও সাইলেন্স জোন নেই সেখানে। আমরা পরে জানাই, কোনও লাউড স্পিকার ব্যবহার করব না।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    এরপরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা জানতে চান, “কতজন আসবেন ওই সভায়। যেখানে সভা হচ্ছে, সেটা কি মার্ক করা হয়েছে?” তখন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন। যেখানে বলা হয়েছিল, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না। মোহন ভাগবতের সভার বিরোধিতা করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, দুটি স্কুল আছে ওই চত্বরের দুই কিমির মধ্যে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আরও বলেন, “৪৫টি মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে ওই সভায়। শব্দ নিয়ন্ত্রণ করবে কে?” বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা তখন বলেন, “আমি সেই জন্যই জানতে চাইছি, কত বড় সভা। মাইকে কত ডেসিবল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা দেখার দায়িত্ব কার? কে প্রয়োগ করবে? দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেখা উচিত। রেগুলেট করে দিন। যাতে শব্দ সীমার বাইরে না যায়।”

  • Mohan Bhagwat: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ আরজি করকাণ্ডে নিহত তরুণীর পরিবারের

    Mohan Bhagwat: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ আরজি করকাণ্ডে নিহত তরুণীর পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আগেই চিঠি লিখেছিলেন আরজি করকাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। এবার তাঁরা দেখা করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে (Mohan Bhagwat)। সাংগঠনিক নানা কাজের জন্য বাংলায় ১০ দিন ধরে থাকার কথা সরসংঘচালকের। শনিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাচক্রে এদিনই প্রকাশিত হয়েছে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। দিল্লিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে চলেছে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের। ঠিক সেই সময়ই নির্যাতিতার পরিবার দেখা করলেন ভাগবতের সঙ্গে।

    আরএসএস কর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ (Mohan Bhagwat)

    শুক্রবার রাতেই নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার যোগাযোগ করেন সংঘের কার্যালয়ে। ইচ্ছে প্রকাশ করেন সংঘ কর্তার সঙ্গে দেখা করার। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিউটাউনের অতিথি নিবাসে মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন ওই তরুণীর পরিবার। সূত্রের খবর, সঠিক তদন্ত করে তাঁদের মৃত কন্যা যাতে ন্যায়বিচার পায়, সেই আশায় আরএসএস কর্তার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা (Mohan Bhagwat)। এই মামলায় যাতে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করে, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়। সরসংঘ চালক তাঁদের লড়াইয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    কঠোরতম শাস্তির দাবি

    ভাগবত আগে এই নৃশংস অপরাধে জড়িতদের জন্য কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছিলেন। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের এই ঘটনা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। কলকাতার একটি আদালত চলতি বছরের শুরুতে মামলার একমাত্র দোষী সঞ্জয় রায়কে আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। শুনানির পর নিহত তরুণীর বাবা বলেছিলেন, “শুধুমাত্র একজন নয়, ডিএনএ রিপোর্টে চারজন ছেলে এবং একজন মেয়ের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তরা শাস্তি পেলে কিছুটা স্বস্তি পাব। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে থাকব, দেশের মানুষের (RSS) সমর্থনও চাইব।”

    প্রসঙ্গত, ভাগবতের সঙ্গে দেখা করার আগে নির্যাতিতার পরিবার সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। তাঁরা দেখা করেছেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র সজল ঘোষের সঙ্গেও (Mohan Bhagwat)।

LinkedIn
Share