Tag: mohan bhagwat

mohan bhagwat

  • Mohan Bhagwat: ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন মোহন ভাগবত, থাকছে কী কী কর্মসূচি?

    Mohan Bhagwat: ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন মোহন ভাগবত, থাকছে কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে রাজ্য সফরে আসছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসার কথা তাঁর। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় থাকবেন সংঘ প্রধান। হাজির হবেন একাধিক কর্মসূচিতে। এর পরে ১১ তারিখেই বর্ধমানে যাবেন তিনি। সেখানে ১৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবেন। শেষ দিনে জনসভা করবেন। আগামী মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রদর্শন কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত কলকাতায় সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) পাঁচদিন থাকবেন। এর বেশিরভাগ সময়ই চলবে অভ্যন্তরীণ কর্মসূচি ও সাংগঠনিক। মাঝে তিনি একদিন বিশ্রাম নেবেন। সংঘ সূত্রে খবর, ওইদিনেই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন সংঘপ্রধান। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বিজয়া দশমীতে আরএসএস পা দিচ্ছে ১০০ বছরে। এই আবহে সারা দেশেই সফর করছেন মোহন ভাগবত। শতবর্ষকে সামনে রেখে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে আরএসএস। সেই অনুষ্ঠানগুলির পরিকল্পনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যে-রাজ্যে।

    বৈঠক করবেন মধ্যবঙ্গের ৮টি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে  

    প্রসঙ্গত, সাংগঠনিকভাবে রাজ্যে সংঘের তিনটি বিভাগ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ। বর্ধমান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সাংগঠনিকভাবে মধ্যবঙ্গে পড়ে। এই শহরেই মধ্যবঙ্গের ৮টি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মোহন ভাগবতের। এর আগে সাম্প্রতিককালে আরজি কর কাণ্ডে কড়া নিন্দা করে সরব হয়েছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এবারের বাংলা সফরে তিনি কী বলেন সেটাই দেখার।

    বাংলাদেশ নিয়ে দিতে পারেন বার্তা, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল 

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হিন্দুদের পর চলছে একের পর হামলা। এই আবহে বাংলাদেশে হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা করে কড়া বার্তা দিয়েছিল আরএসএস। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বার্তা দেবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, ’ নাগপুরে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, ’ নাগপুরে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান (RSS Chief) মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার বলেছেন যে ব্রিটিশরা সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। মানুষের মন মিথ্যা দিয়ে পূর্ণ করেছিল। তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশরা তাদের ক্ষমতা এবং আমাদের অজ্ঞতার কারণে মিথ্যা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল।

    ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে দিয়েছিল! (Mohan Bhagwat)

    নাগপুরে সোমালওয়ার এডুকেশন সোসাইটির ৭০ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) একুশ শতকে শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন আরএসএস প্রধান। তিনি বলেন, “ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল। আমাদের দেশের মানুষের মনকে অনেক মিথ্যা দিয়ে পূর্ণ করেছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যা ছিল যে ভারতের বেশিরভাগ লোক বাইরে থেকে এসেছিল। ভারতকে আর্যরা আক্রমণ করেছিল, তারা দ্রাবিড়দের সঙ্গে লড়াই করেছিল ইত্যাদি। তারা প্রচার করেছিল যে নিজের দ্বারা শাসন করা ভারতীয়দের রক্তের মধ্যে নেই এবং এখানকার লোকেরা ধর্মশালায় থাকা লোকদের মতো জীবনযাপন করে।” তিনি আরও বলেন, “ব্রিটিশ শাসকদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের তাদের ইতিহাস, পূর্বপুরুষ এবং গর্বিত ঐতিহ্য ভুলিয়ে দেওয়া। এই উদ্দেশ্য কার্যকরী করতে ব্রিটিশরা তথ্যের আড়ালে আমাদের মাথায় বেশ কিছু অসত্য বসিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ডিএমকে পরাস্ত না হওয়া পর্যন্ত জুতো পরব না’’, সংকল্প তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের

    ধর্মের নামে পৃথিবীতে নিপীড়ন-নৃশংসতা চলছে

    এর আগে সোমবার মহানুভব আশ্রমের শতকপূর্তি সমারোহে ভাষণ দিয়ে, আরএসএস প্রধান ভাগবত (Mohan Bhagwat) বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার এবং তাদের ধর্ম তাদের অনুসারীদের কাছে ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কারণ ধর্ম সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি বিশ্বকে নৃশংসতার দিকে পরিচালিত করে। তিনি বলেছিলেন যে ধর্মের ভুল বোঝাবুঝির কারণে পৃথিবীতে নৃশংসতার ঘটনা ঘটে। ধর্মকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে এমন সমাজের প্রয়োজন। ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সঠিকভাবে শেখানো উচিত। ধর্মকে বুঝতে হবে, সঠিকভাবে না বুঝলে ধর্মের অর্ধেক জ্ঞান ‘অধর্ম’ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে ধর্মের অনুপযুক্ত এবং অসম্পূর্ণ জ্ঞানই ‘অধর্ম’-এর দিকে নিয়ে যায়। ধর্মের নামে পৃথিবীতে যত নিপীড়ন ও নৃশংসতা চলছে তা ধর্ম সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: “দেশের ঐতিহ্য হল সবাই নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন”, বার্তা মোহন ভাগবতের

    RSS: “দেশের ঐতিহ্য হল সবাই নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন”, বার্তা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নানা প্রান্তে রাম মন্দিরের মতো মন্দির উদ্ধারের ভাবনা পোষণ নিয়ে সতর্ক করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। অতি উৎসাহীর বশে এই ধরনের কাজ সমাজের কাছে খারাপ বার্তা দেবে বলে মনে করেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় এদিন পুণের ‘ইন্ডিয়া-দ্য বিশ্বগুরু’-এর একটি আলোচনা চক্রে যোগদান করে বলেন, ‘‘সব কিছুর মধ্যে মন্দির খোঁজার কর্মকাণ্ডগুলি গ্রহণযোগ্য নয়, অনেকই নেতা হইতে চাইছেন। সকলে নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন, এটাই দেশের ঐতিহ্য।’’ তিনি এদিন ভারতকে বিশ্ব গুরু হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেন।

    রামকৃষ্ণ মিশনে ক্রিসমাস উদযাপন হয় (RSS)

    ভারতবর্ষের নাগরিকদের উচিত বিশ্বের সামনে সবসময় ভারতকে সম্প্রীতির মহামিলন কেন্দ্র হিসেবে মেলে ধরা। এই জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী হিন্দুদের সংযত হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। সমাজতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) একটি দায়িত্বশীল সামাজিক সংগঠন। হিন্দুত্বের বিষয়কে সবচেয়ে বেশি প্রাথমিকতা দেওয়া হয় আর তাই সমাজে ধ্বংসাত্মক ভাবনাকে কখনই গ্রহণ করা হয় না। তাই সঙ্ঘের সর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “ভারত বহুত্ববাদী দেশ। আমরা শুধু দিয়েই থাকি না, সাদরে গ্রহণও করি, কারণ আমরা হিন্দু। স্বামী বিবেকানন্দের রামকৃষ্ণ মিশনে ক্রিসমাস উদযাপন হয়। এটা আমাদের জোরের জায়গা, কারণ আমরা হিন্দু বলেই পারি।”

    বৃহৎ আন্দোলনের পরিণাম ছিল অযোধ্যা

    আরএসএস (RSS)-এর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) রামজন্মভূমি আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “এই ভারতের মধ্যে আমরা একটি দীর্ঘ সময় ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছি। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে একটা ঐক্যভাব রয়েছে। আমরা যদি বিশ্বে একটি বিশেষ মডেল নির্মাণ করতে চাই তাহলে আমাদের আরও সংযত এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। রাম মন্দির নির্মাণের পর থেকেই অনেকে মনে করছেন দেশের নানা জায়গায় মন্দির উদ্ধার করে একই ধরনের ইস্যু তুলে ধরলেই হিন্দুদের নেতা হওয়া যাবে, কিন্তু এই কর্মের মধ্যে তলে তলে একটি বিরূপ ভাবনাকেও প্রচার করা হচ্ছে। এই মত একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রীরামের জন্মস্থান এবং মন্দির, একটি সামজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ভাবে আস্থা-বিশ্বাস-অস্তিত্বের প্রমাণ নিয়ে বৃহৎ আন্দোলন ছিল। দেশব্যাপী মানুষের চাহিদাও ছিল। সেই সঙ্গে জনমতও ছিল। সামাজিক ভাবে একটি বৃহৎ আন্দোলনের পরিণাম ছিল অযোধ্যার রামমন্দির।”

    সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলছে

    এই প্রেক্ষিতে নতুন নতুন মন্দির পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে আরএসএস (RSS) প্রধান ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “সংবাদপত্রে প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে একটা একটা করে বিবাদ হচ্ছে। এই ভাবনাকে বা উদ্দেশ্যকে কোনও ভাবেই অনুমোদন দেওয়া যাবে না। ভারতকে আগের ভুলগুলি থেকে বেরিয়ে নতুন ভাবে ভাবতে হবে। দেশকে কীভাবে বিশ্বের কাছে বিশ্বগুরু করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। দেশে বহিরাগতরা আক্রমণ করেছে, এরপর মূল সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যেতে পারিনি তারা, জোর পূর্বক ধর্মান্তরণ করেছে তারা। তাই এখন আধিপত্যের সময় চলে গিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলছে। তাই তাকে গুরুত্ব দিয়ে সেই রূপ কাজ করতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ নতুন বছরের গোড়াতেই উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি আইন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির

    ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র ছিল

    ভাগবত (RSS) ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কথা বলে বলেন, “মুঘল আমলে ১৮৫৭ সালে বাহাদুর শাহ গোহত্যা নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু ঔরঙ্গজেব তা মানেননি। হিন্দুদের মনে দাগ কাটতে অকাতরে উল্টোকাজই করে গিয়েছেন এই মুসলমান শাসক। অযোধ্যায় রামমন্দির আগেই হিন্দুদের হাতে দেওয়ার কথা হয়েছিল, কিন্ত ব্রিটিশরা আরও বেশিদিন শাসন করার জন্য হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভেদের দেওয়ালকে আরও শক্তপোক্ত করেছিল। এতে সেই সময় থেকে আরও বিরাট ফাটল তৈরি হয়েছিল দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে। এখান থেকেই বিছিন্নতাবাদ এবং পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান নির্মাণ হয়। সবটাই ছিল গভীর ষড়যন্ত্র। কে সংখ্যাগরিষ্ঠ আর কে সংখ্যালঘু সবাই সমান। দেশের ঐতিহ্য হল সকলে নিজ নিজ উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবেন। এটাই ভারতীয়দের আসল পরিচয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘কমপক্ষে তিন সন্তান নিন’, নিদান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘কমপক্ষে তিন সন্তান নিন’, নিদান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভারতীয় পরিবারগুলিকে কমপক্ষে তিন সন্তান নেওয়ার নিদান দিলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। জন্মহার ২.১ এর নীচে নেমে গেলে কোনও জাতির অবলুপ্তি ঘটে। এমনই নাকি দাবি করা হয়েছে গবেষণায়। তাই তিন সন্তান নেওয়ার পরামর্শ সরসংঘ চালকের।

    ভাগবত উবাচ (Mohan Bhagwat)

    নাগপুরে আয়োজিত এক সভায় আরএসএস প্রধান বলেন, “জনসংখ্যা বৃদ্ধি না হলে সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।” তিনি বলেন, “জনসংখ্যা বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, কোনও জাতির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.১ এর নীচে নেমে গেলে সেই সমাজের অবলুপ্তি ঘটে। এ জন্য বাইরে থেকে কোনও আক্রমণের প্রয়োজন নেই। একা একাই ধ্বংস হয়ে যাবে ওই জাতি। এর আগেও বহু ভাষা ও সভ্যতা এভাবে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “সেই জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কখনওই ২.১ এর কম হওয়া উচিত নয়।”

    জন্মহার ২.১ এর নীচে নামা উচিত নয়

    ভারতের জনসংখ্যা নীতির প্রসঙ্গ টেনে ভাগবত বলেন (Mohan Bhagwat), সেখানেও বলা হয়েছে কোনও জাতির জন্মহার ২.১ এর নীচে নামা উচিত নয়। তাই প্রত্যেক পরিবারের উচিত দুইয়ের বেশি অর্থাৎ কমপক্ষে তিনটি করে সন্তান নেওয়া। জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় থাকলে সমাজও স্থিতিশীল থাকবে। ভাগবতের আগেও একাধিক সন্তানের জন্ম দেওয়ার নিদান দিয়েছেন অনেকে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর পর এবার সেই একই সুর শোনা গেল সরসংঘ চালকের (Mohan Bhagwat) মুখে।

    আরও পড়ুন: “বিরোধী দল ভোটব্যাংকের রাজনীতি করে”, কংগ্রেসকে তোপ গিরিরাজের

    বছর চারেক আগেও জনসংখ্যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভাগবত। সেবার তিনি সওয়াল করেছিলেন দুই সন্তান নীতির পক্ষে। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুরু হয় বিতর্ক। পরে সেই বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে (RSS) ভাগবত বলেছিলেন, “ভারতের অবিলম্বে উচিত একটি সুচিন্তিত জনসংখ্যা নীতি চালু করা (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘ভারতের প্রাণশক্তি অন্যকে সাহায্য করার প্রেরণা দেয়’’, মূল্যবোধের কথা বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘ভারতের প্রাণশক্তি অন্যকে সাহায্য করার প্রেরণা দেয়’’, মূল্যবোধের কথা বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নিজস্ব ‘প্রাণশক্তি’ রয়েছে, তবে তা বহু মানুষের চোখে ধরা পড়ে না, কারণ ৫০০ বছরের ‘সংস্কার’ (মূল্যবোধ) আমাদের মানসিকতায় গভীরভাবে লেগে রয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেছেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, ‘‘ষোড়শ শতাব্দীর আগে পর্যন্ত ভারত বাকি বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছিলাম। কিন্তু, তারপর সব থেমে গেল এবং আমাদের সভ্যতার পতন শুরু হল। কিন্তু আমাদের প্রাণশক্তি (Pran Shakti of India) আমাদের এক সূত্রে বেঁধে রাখল।’’ 

    আধ্যাত্মিক অনুশীলনে গুরুত্ব 

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মুকুল কানিতকর রচিত ‘বনাইয়ে জীবন প্রাণবান’ বই প্রকাশ করে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ভারতের প্রাণশক্তি হল সেই শক্তি, যা অন্যকে সাহায্য করার প্রেরণা দেয়। পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় বিপর্যয় ঘটুক নাকেন, শত্রু না মিত্র তার বিচার না করেই বিপদগ্রস্ত দেশের পাশে দাঁড়ায় ভারত। ভারতের একটি ‘প্রাণশক্তি’ (Pran Shakti of India) রয়েছে, যা আমাদের সামনে রয়েছে, তবে তা দেখা যায় না, কারণ ৫০০ বছরের সংস্কার আমাদের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত রয়েছে।’’ তিনি দেশবাসীকে ভারতীয় আধ্যাত্মিক অনুশীলন অনুসরণ করতে উৎসাহ দেন। তাঁর মতে, ভারতীয় আধ্যাত্মিক অনুশীলনই মানুষকে নিজেদের এবং দেশের ‘প্রাণশক্তি’ (Pran Shakti of India)  উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: শেষ হয়ে গেল কেরিয়ার! বজরং পুনিয়াকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করল নাডা

    আধ্যাত্মিকতা এবং বিজ্ঞানের বিরোধ নেই

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) মনে করেন, উন্নয়ন কেবলমাত্র আর্থিক সমৃদ্ধির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। উন্নয়ন বলতে মানসিক ও বৌদ্ধিক উন্নতিকেও বোঝায়। তাঁর মতে, বিজ্ঞান হোক বা আধ্যাত্মিকতা – দুইয়েরই উদ্দেশ্য হল, মানবকল্যাণ। ভাগবত বলেন, ‘‘ঐক্য চিরন্তন, বৈচিত্রের মধ্যেও ঐক্য আছে। আমরা অন্য কারও ময়দানে গিয়ে খেলতে চাই না। আমরা বিশ্বকে আমাদের ময়দানে নিয়ে আসতে চাই। ভারতীয় সংস্কৃতি ভালো হৃদয় এবং প্রজ্ঞা প্রদান করে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আধ্যাত্মিকতা এবং বিজ্ঞান কখনও একে অপরের বিরোধী নয়। যে কোনও বিষয় আগে জানো, তারপর বিশ্বাস করো। অন্ধবিশ্বাসের স্থান নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    RSS: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে অবশ্যই ভারত-কেন্দ্রিক হতে হবে, এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক সম্প্রীতিরও বার্তা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে, ভারতকে এমন একটা মডেল দেশে পরিণত করা হোক, যাকে অনুসরণ করতে পারে গোটা বিশ্ব। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখা সংগঠন ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের তিনদিনের ‘ভিশন ফর বিকশিত ভারত’, সম্মেলন শুরু হয়েছে গুরুগ্রামে। অংশগ্রহণ করেছেন দেশের তরুণ গবেষকরা।

    ভাগবতের ভাষণ (RSS) 

    সেই সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘শিক্ষাকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়, কিন্তু শিক্ষাকে অবশ্যই ভারত-কেন্দ্রিক হতে হবে। আমাদের উচিত সারা বিশ্ব থেকে ভালো ভালো ভাবগুলিকে সংগ্রহ করা। কিন্তু কখনও আমরা অন্ধ অনুগামী হব না। প্রত্যেক শিক্ষকের দায়িত্ব হল, তাঁর ছাত্রদেরকে দিশা দেখানো। যাতে তাঁদের গবেষণা ভারত-কেন্দ্রিক হতে পারে।’’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান আরও বলেন, ‘‘আজকে সারা পৃথিবীব্যাপী মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ, ৮০ শতাংশ সংস্থানকে ভোগ করছেন। বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এখন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বড় সমস্যার কারণ হলে দাঁড়িয়েছে।’’ মোহন ভাগবত আরও (RSS) বলেন, ‘‘সারা বিশ্বব্যাপী বিতর্ক চলছে যে তারা উন্নয়নকে নেবে নাকি পরিবেশকে রক্ষা করবে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বস্তুগত বিষয়গুলির উন্নয়ন যেমন দরকার, তেমন আমাদের মনেরও উন্নয়ন দরকার। যাতে আমাদের ভিতরে সর্বদাই সমৃদ্ধি এবং সুখী ভাবটা থাকে।’’

    হাজির ইসরো চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী

    প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথও। তিনি এই সম্মেলনকে সম্বোধন করে বলেন, ‘‘আমাদের চন্দ্রযান মিশন সফল হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে চাঁদে মানুষ পাঠানো ও ২০৪০ সালের মধ্যে নিজেদের নতুন স্পেস স্টেশন তৈরি করা।’’ এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন নোবেল জয়ী কৈলাশ সত্যার্থীও। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য ১,২০০ গবেষক এবং দু লাখ অংশগ্রহণকারী এক ছাদের তলায় এসে জড়ো হয়েছেন। এটা পৃথিবীর বড় ইভেন্ট বলা যেতে পারে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে।” কথাগুলি বললেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “পশ্চিমী দৃষ্টিকোণ থেকে এখন পর্যন্ত যে উন্নয়ন ঘটেছে তা অসম্পূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, ধর্ম এবং রাজনীতির ধারণাকে একসময় ব্যবসা বানানো হয়েছিল। পরবর্তীকালে, বৈজ্ঞানিক যুগের আগমনের পর এটি অস্ত্রের বাণিজ্যেও পরিণত হয় এবং দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে, এতে সুখ এবং সমৃদ্ধি আসেনি, বরং আরও বেশি ধ্বংস হয়েছে।”

    কী বললেন আরএসএস কর্তা? (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস (RSS) কর্তা (Mohan Bhagwat) বলেন, “পুরো বিশ্ব দুটি মতাদর্শে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল—নাস্তিক ও আস্তিক। পরে এটি সংঘর্ষের কারণও হয়ে ওঠে, যেখানে শক্তিশালীরা বেঁচে থাকে এবং দুর্বলরা হারিয়ে যায়।” বর্তমান সময়ে বিশ্বকল্যাণের জন্য হিন্দুত্বের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান হয়েছিল জবলপুরে। ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “গোষ্ঠীগুলির শক্তির ধারণাও সামনে আসে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সম্পদ সীমাহীন হয়ে উঠেছে। কিন্তু সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই কারণেই আজ সারা বিশ্ব আধ্যাত্মিক শান্তির প্রত্যাশায় ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।”

    ভারত তার জ্ঞান ভুলে গিয়েছে

    তিনি বলেন, “পৃথিবীর কল্যাণ প্রয়োজন। যদি তাই হয়, তবে কার ওপর এর প্রতি সর্বাধিক বৈশ্বিক দায়িত্ব বর্তায়? আজকের দিনে পৃথিবী কার কাছ থেকে এই সমস্যার সমাধান আশা করছে?” সরসঙ্ঘ চালক (Mohan Bhagwat) বলেন, “আজ বিশ্ব সম্পদে পরিপূর্ণ, জ্ঞানের কোনও সীমা নেই। কিন্তু মানবকল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় পথ নেই। এই দিক থেকে ভারত সমৃদ্ধশালী। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত তার জ্ঞান ভুলে গিয়েছে। এর অনেক কারণ আছে, যার মধ্যে একটি হল বিলাসিতা এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের প্রাপ্তি। কিন্তু আমাদের স্মরণ করতে হবে আমরা কী ছিলাম। তাই আমাদের এই বিস্মৃতির গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “ভারতীয় জীবনদর্শনে অজ্ঞতা ও জ্ঞান উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ, উভয়ের একটি সমন্বয় প্রয়োজন যাতে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। এটি হিন্দু ধর্মে গৃহীত হয়েছে, তাই হিন্দু ধর্ম অজ্ঞতা ও জ্ঞানের উভয় পথেই চলে (RSS)। যে কারণে এখানে কোনও চরমপন্থী বা উগ্রপন্থী নেই। অথচ পশ্চিমের ধারণায় চরমপন্থা ও উগ্রতা দেখা যায়। কারণ তারা তাদের স্বার্থের ক্ষতির আশঙ্কা করে, যার ফলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অসম্পূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বয়ংসেবকদের সনাতন ধর্মের মূলনীতি রক্ষা ও তাদের কাজে বাধা দিতে চাওয়া বিরোধী শক্তি থেকে সাধু-সন্তদের সুরক্ষার আহ্বান জানালেন আরএসএস (Mohan Bhagwat) প্রধান মোহন ভাগবত। চিত্রকূটে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভাগবত সনাতন ধর্ম রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ভারতকে সহিষ্ণু, ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে বর্ণনা করেন (RSS) তিনি।

    লাঠি ব্যবহারের নিদান (Mohan Bhagwat)

    তাঁর মতে, ভারত নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে ন্যায়ের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরসংঘচালক বলেন, “সনাতন ধর্ম ও সাধু-সন্তদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা সব বাধা অপসারণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে তারা লাঠির ব্যবহারও করবেন।” তিনি বলেন, “সমাজের সম্প্রীতিতে হুমকি সৃষ্টি করে এমন ঘটনাগুলি প্রতিরোধ করা মূলত প্রশাসনের দায়িত্ব। তবে প্রয়োজনে নিজেদের সুরক্ষার জন্য সমাজকেও প্রস্তুত থাকতে হবে।”

    ‘আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি’

    ভাগবত বলেন, “আমাদের অবিচারের ভয় পাওয়ার বা সহ্য করার প্রয়োজন নেই। ধর্ম আমাদের কর্মের মাধ্যমে অর্জিত হয়। সৎ ও অসৎ সবসময়ই বিদ্যমান। ধর্মে প্রোথিত একটি জাতি হিসেবে আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আরএসএস ঋষিদের সেবা করে এবং ধর্মের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তারা এটা নিশ্চিত করবে যে মন্দিরে ধর্মীয় কাজকর্মে নিয়োজিত ঋষিরা যেন বাধাগ্রস্ত না হন।”

    আরএসএসের এই কর্তা নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে ভারতের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এর শক্তির ভিত্তি প্রাচীন ঋষি ও সাধুদের স্থাপিত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভাগবত বলেন, “জাতির বৈচিত্র্যের মধ্যেও, ভারত ধর্মের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে এককাট্টা। কিছু শক্তি হয়তো ভারতকে দমন করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু সত্যকে কখনও দমানো যায় না।”

    আরও পড়ুন: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    অযোধ্যার রাম মন্দিরকে সনাতন ধর্মের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে ভাগবত বলেন, “এটি সব সনাতনীর জন্য এবং তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য। যদি রাম মন্দির সনাতনের প্রতীক হয়, তাহলে সনাতনীদের কর্তব্য হল আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা ও সমুন্নত রাখা।” আরএসএসের প্রথম দিকের দিনগুলির কথা স্মরণ  করিয়ে দিয়ে সরসংঘচালক বলেন, “অসাধারণ প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি (RSS)।” সংগঠনের জাতীয় ঐক্য ও দৃঢ়তার প্রতি স্থায়ী অঙ্গীকারের ওপরও জোর দেন তিনি (Mohan Bhagwat)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS Pracharak Varg: ৩১ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রচারক বর্গ, জানালেন সুনীল আম্বেকর

    RSS Pracharak Varg: ৩১ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রচারক বর্গ, জানালেন সুনীল আম্বেকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে শুরু হতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক বর্গ (RSS Pracharak Varg)। সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আরএসএসের সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। তিনি জানিয়েছেন, প্রচারক বর্গ (RSS Pracharak Varg) শুরু হবে দীপাবলির দিন থেকে এবং চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে মোট ৫৫৪ জন প্রচারক এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। প্রসঙ্গত, প্রচারক বর্গ অনুষ্ঠিত হয় প্রতি চার-পাঁচ বছর অন্তর। ২০২৫ সালেই আরএসএস শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে। তার আগে এমন প্রচারক বর্গ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং অন্যান্য সহকার্যবাহ ও সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় স্তরের পদাধিকারীরা এই বৈঠকে যোগদান করবেন।

    কোন কোন বিষয়ে আলোচনা (RSS Pracharak Varg)?

    বৈঠকে শ্রমিক, কৃষক, ছাত্রদের বিভিন্ন ইস্যু উঠে আসবে। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, গ্রামীণ সমস্যা নিয়েও আলোচনা হবে। এর পাশাপাশি ওই বৈঠকে সমাজ জীবনের প্রয়োজনীয় কাজগুলি সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। জাতীয় স্তরের নানা ইস্যু এবং সামাজিক ইস্যুও বৈঠকে উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে (RSS Pracharak Varg) আলোচনা হবে আত্মনির্ভরতা, দেশের নিরাপত্তা, জৈব কৃষি, জল সংরক্ষণ, পরিবেশ রক্ষা সমেত আরও অন্যান্য ইসুতে।

    মথুরায় সঙ্ঘের কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার 

    মথুরায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের দুদিনের বৈঠক সমাপ্ত হয় গতকাল শনিবার ২৬ অক্টোবর। শুক্রবার ২৫ অক্টোবর এই বৈঠকের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক ডক্টর মোহন ভাগবত। মথুরার পারখম গ্রামের দীনদয়াল গাভী বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নবধা অডিটোরিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্ঘের ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রদেশ থেকে মোট ৩৯৩ জন এই বৈঠকে অংশ নেন। জম্মু ও কাশ্মীর, কেরল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল, মণিপুর, ত্রিপুরা থেকেও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। আগামী মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে পরিকল্পনা করা হয় বৈঠকে। সরসঙ্ঘচালক ডক্টর মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং সহ সরকার্যবাহ ডক্টর কৃষ্ণ গোপাল, শ্রী মুকুন্দ, অরুণ কুমার, রামদত্ত চক্রধর, অলোক কুমার, অতুল লিমায়ে হাজির ছিলেন বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল শুক্রবার মথুরায় (Mathura) শুরু হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক। এই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বঞ্চিত শ্রেণির কাছে পৌঁছানো, জাতীয় স্তরের বিভিন্ন ইস্যু, জম্মু-কাশ্মীরের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি, বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তাহীনতা, ওটিটি প্লাটফর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ— এই সমস্ত কিছুই আলোচিত হবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠকে। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে আরএসএস-এর (RSS) শতবর্ষে অনুষ্ঠিত হতে চলা নানা কর্মসূচি নিয়েও।

    সারা দেশ থেকে যোগ দেবেন ৩৯৩ জন পদাধিকারী

    জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে মোট ৩৯৩ জন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পদাধিকারী, এই বৈঠকে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়া দশমীর ভাষণেই সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বিবিধ ইস্যু স্থির করে দিয়েছিলেন, সে নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বৈঠকে।

    কী জানালেন সুনীল আম্বেকর?

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সঙ্ঘের এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে যে সমাজকে কিভাবে সংঘটিত করা যায়, একসঙ্গে সমাজে কীভাবে থাকা যায়, যে কোনও ধরনের গুজবের মোকাবিলা করে। এর পাশাপাশি, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির কন্টেন্টগুলি শিশুদের মনে যেভাবে খারাপ প্রভাব ফেলছে, সে নিয়েও আলোচনা হবে। একইসঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ কিভাবে গড়ে তোলা যায়, সে নিয়েও হবে আলোচনা। একই সঙ্গে সুনীল আম্বেকর আরও জানিয়েছেন, এই বৈঠকে আলোচনা হবে ভারতের মহান সন্তানদের জীবনী ও সে বিষয়ে সঙ্ঘের কর্মসূচি (Mathura) নিয়েও। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, বিরসা মুণ্ডা, অহল্যাবাঈ হোলকার, রানি দুর্গাবতীদের নিয়ে আলোচনা হবে। জানা যাচ্ছে, সঙ্ঘের এই বৈঠকেই আগামী বছরের বিজয়া দশমী কীভাবে উদযাপন করা হবে, সে নিয়েও আলোচনা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share