Tag: mohan bhagwat

mohan bhagwat

  • RSS: ১৪-১৬ সেপ্টেম্বর পুণেতে সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠক, কোন কোন ইস্যুতে আলোচনা?

    RSS: ১৪-১৬ সেপ্টেম্বর পুণেতে সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠক, কোন কোন ইস্যুতে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় সমন্বয় বৈঠক, চলবে ১৬ তারিখ পর্যন্ত। মহারাষ্ট্রের পুণেতে হতে চলা সঙ্ঘের এই সমন্বয় বৈঠকে ৩৬টি শাখা সংগঠন অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে। মোট ২৬৬ জন সাংগঠনিক পদাধিকারী সমন্বয়ে বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন সঙ্ঘের সর্বভারতী প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সুনীল আম্বেকর জানান, মোট পাঁচটি প্রধান ইস্যুতে সমন্বয়ে বৈঠকে (RSS) আলোচনা চলবে। এগুলি হল, পরিবেশ বান্ধব জীবনযাপন, মূল্যবোধের পরিবার ব্যবস্থা, সামাজিক সম্প্রীতির ওপর জোর, স্বদেশিয়ানা এবং নাগরিক কর্তব্য। সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘আমাদের অর্থনৈতিক নীতি স্বদেশিয়ানার ওপর তৈরি করা উচিত এবং জাতিভেদ প্রথা বন্ধ করতে সম্প্রীতি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’

    শাখার কাজের মাধ্যমে দেশের প্রতি কর্তব্যপালন করেন স্বয়ংসেবকরা 

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সুনীল আম্বেকর জানান, শাখার কাজের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দেশের প্রতি কর্তব্যপালন করে চলেছেন স্বয়ংসেবকরা (RSS)। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নতি সাধনই স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশ্য। প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) এমন রুটিন সমন্বয় বৈঠক হয়ে থাকে। সঙ্ঘ পরিবারের প্রতিটি সংগঠন তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। সাধারণভাবে এই সমন্বয় বৈঠকে জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ  ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনাচলে এবং দেশের বিভিন্ন সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানের ওপরেই জোর দেওয়া হয়। সঙ্ঘের প্রতিটি শাখা সংগঠনই আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে কাজ করে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলির কাছ থেকে রিপোর্টও নেওয়া হয়। বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলি তাদের কাজের পরিধির ওপর বিস্তৃত বিবরণ দেয়। 

    সমন্বয় বৈঠকে কারা হাজির থাকছেন?

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, সমন্বয় বৈঠকে হাজির থাকবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে, সহ-সরকার্যবাহ ড. কৃষ্ণগোপাল, ড. মনমোহন বৈদ্য, অরুণ কুমার সমেত অন্যান্যরা। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে এই বৈঠকে যোগ দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। এর পাশাপাশি বিশ্বহিন্দু পরিষদ, এবিভিপি, বিদ্যাভারতী, বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের নেতৃত্বকেও দেখা যাবে সমন্বয় বৈঠকে (RSS)। প্রসঙ্গত, গত বছর সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠক বসেছিল ছত্তিশগড়ের রায়পুরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘অখণ্ড ভারতের ভাবনাও আগামী দিনে সত্যি হবে’’, মন্তব্য সঙ্ঘ প্রধানের

    Mohan Bhagwat: ‘‘অখণ্ড ভারতের ভাবনাও আগামী দিনে সত্যি হবে’’, মন্তব্য সঙ্ঘ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অখণ্ড ভারতের ভাবনাও আগামী দিনে সত্যি হবে, বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সঙ্ঘ প্রধানের দাবি, অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে আগামী দিনেই। প্রসঙ্গত, নাগপুরে এদিন সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন একটি অনুষ্ঠানে। যেখানে তাঁকে অখণ্ড ভারতের বিষয়ে প্রশ্ন করে একজন ছাত্র। সে বিষয়ে উত্তর দিতে গিয়েই সঙ্ঘ প্রধান অখণ্ড ভারত কবে হবে, তার ব্যাখ্যা দেন।

    কী বললেন সঙ্ঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)?

    বুধবার মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘আমি বলতে পারব না সঠিক কবে অখণ্ড ভারতের নির্মাণ হবে, তবে ভবিষ্যতে তা নিশ্চয়ই হবে। যদি কাজে লেগে থাকা হয়, তাহলে আমরা বৃদ্ধ হওয়ার আগেই স্বপ্নপূরণের সাক্ষী থাকতে পারবো। অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার অন্যতম যুক্তি হল যে যারা আমাদের থেকে পৃথক হয়েছিল, তারা এখন উপলব্ধি করছে যে সেটা ভুল ছিল এবং তাদের উপলব্ধি এটাও যে আমাদের ভারতের সঙ্গে পুনরায় থাকা উচিত।’’

    গুয়াহাটিতে দিন কয়েক আগেই সর্বত্র ‘ভারত’ ব্যবহার করতে বলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) 

    প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই সঙ্ঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) মন্তব্য করেছিলেন, ইন্ডিয়ার বদলে আমরা সব জায়গায় ভারত ব্যবহার করব। তাঁর এই বক্তব্যকে নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ারও করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। দিল্লিতে বসতে চলেছে জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলন, সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নামের নিচে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য সঙ্ঘ প্রধানের (Mohan Bhagwat) ভাবনাতেই সিলমোহর দিচ্ছে। তাঁদের যুক্তি, ‘‘ভারত এই নামকরণ অতীতে বিভিন্ন হিন্দু পুরাণে যেমন উল্লেখ রয়েছে, তেমনই ভারতবর্ষের ভাষার বৈচিত্রের মধ্যেও এই নামটা বদলায়নি এবং অনেক প্রাচীন যুগ থেকেই ভারত নামটি প্রচলিত রয়েছে।’’ প্রসঙ্গত দেশের সমস্ত দাসত্বের চিহ্ন মুছে ফেলতে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারকে। এবার দেখার  ইন্ডিয়া নাম সরকারিভাবে বদলায় কিনা!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করলেন জামাতের জাতীয় সভাপতি, কী বললেন তিনি?

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করলেন জামাতের জাতীয় সভাপতি, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) মুসলমানদের কোনও ভয় নেই। মঙ্গলবারই একথা বলেছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর এই বক্তব্যে শিলমোহর দিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের জাতীয় সভাপতি মওলানা সাবাবউদ্দিন রাজভি বেরেইলভি। তিনি বলেন, আমি তাঁর (মোহন ভাগবত) বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করি। এবং এটা ঘটনা যে ভারতে মুসলমানেদের প্রতি শ্রদ্ধা অটুট রয়েছে। ভারতে মুসলমানেরা গর্বের সঙ্গে বসবাস করছেন।

    জামাতের জাতীয় সভাপতি বলেন…

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের জাতীয় সভাপতি বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারে মুসলিমদের প্রতিনিধি কম। তাঁদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, তবে সরকারে মুসলমানদের প্রতিনিধি কতজন থাকবেন, তাঁদের কবে জায়গা দেওয়া হবে, তা স্থির করবেন হায়ার লেভেলের লোকজন। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের চাকরিতে মুসলমানদের ব্যালেন্সড শেয়ারও চাইছেন মওলানা সাবাবউদ্দিন রাজভি বেরেইলভি। তিনি বলেন, ভারতে প্রচুর সংখ্যক সুন্নি সুফি বেরেইলভি মুসলমান রয়েছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁরাই সিংহভাগ। তাই তাঁদেরই কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের চাকরিতে ব্যালেন্সড শেয়ার থাকা উচিত।

    আরও পড়ুুন: ‘আমরা ফের এই দেশ শাসন করব’, মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে, বললেন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, এদিন একটি অনুষ্ঠানে ভারতে মুসলমানেরা সুরক্ষিতই রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, আসল সত্যটা হল এই হিন্দুস্তান হিন্দুস্তানই থাকবে। তবে ভারতে যে মুসলমানরা বসবাস করছেন, তাঁদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের দেশের মুসলমানেরা নিরাপদে এবং সুরক্ষিতই রয়েছেন। আজকের ভারতে তাঁদের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। তিনি বলেছিলেন, তাঁরা (মুসলমানেরা) যদি চান, তবে তাঁরা তাঁদের ধর্ম পথে থাকতে পারেন। সংঘ প্রধান আরও বলেন, তাঁরা যদি তাঁদের পূর্ব পুরুষের ধর্মপথে যেতে চান, তবে তাঁরা তা পারেন। তিনি (Mohan Bhagwat) বলেছিলেন, এটা তাঁদের পছন্দের ব্যাপার। হিন্দুদের এ ব্যাপারে কোনও জেদ নেই। মোহন ভাগবত বলেন, ইসলামের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে একই সঙ্গে মুসলমানদের আধিপত্যের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই”, সাফ জানালেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই”, সাফ জানালেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আকণ্ঠ দেশপ্রেম ছিল ওঁর জীবনের মূল মন্ত্র”। মঙ্গলবার নেতাজির ১২৭তম জন্মবার্ষিকীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বারাসতের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বলেন, “অনেক জাতি-উপজাতি-ভাষা-ধর্ম রয়েছে। তবে দেশ এই সব কিছুর ওপরে, এমনই মনে করতেন। নেতাজি জাতি, ধর্ম, বর্ণের ওপরে এগিয়ে রাখতেন দেশকে।”

    নেতাজির স্বপ্ন অধরা

    সংঘ প্রধান বলেন, “আমরা জানি, নেতাজির স্বপ্ন অধরা রয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন কে পূরণ করবে? উনি জানতেন এই স্বপ্ন একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছি।” তিনি বলেন, “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই।” সংঘচালক বলেন, “এটা দেখলে সমাধান আসবে। নেতাজি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা অসম্পূর্ণ রাখতে দেননি। উনি জানতেন, এটা একটা প্রজন্মের কাজ নয়। অবিরত করে যেতে হবে। এই কাজের জন্য আমার জীবনও হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্ত কোনও সমস্যা নেই। আমি এমনই প্রেরণা দিয়ে যাব যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজ করে যাবে। আত্মদর্শন সম্পন্ন, চারিত্রিক গুণে ভরা প্রজন্ম দেশের জন্য জীবন-মৃত্যুতে উঠে দাঁড়াবে।”

    আরএসএসের নেতাজি-স্মরণ

    আরএসএসের নেতাজি-স্মরণের কারণও (Mohan Bhagwat) ব্যাখ্যা করেছেন ভাগবত। বলেন, “ওঁর জীবন থেকে উঠে আসা প্রেরণা, আমাদের জীবনে পরিবর্তন এনে চলেছে। এই জন্য ওঁকে স্মরণ করা হয়। ওই কার্যক্রমগুলিকে উৎকৃষ্ট করা হবে। কোনও ভুল না করেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই।”

    আরও পড়ুুন: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর নেতাজিকে যথাযথ মর্যাদা দিতে চেষ্টার কসুর করেনি নরেন্দ্র মোদির সরকার। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রস আইল্যান্ডের নামকরণ করেন নেতাজির নামে। ২০২১ সালে নেতাজির জন্মদিবসকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২ সালে নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত প্রসারিত কর্তব্য পথে নেতাজির বিশাল মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন (Mohan Bhagwat) প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই অযোধ্যা পৌঁছন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। রামনগরীতে (Ram Mandir) পা রেখেই মোহন ভাগবত জানান, অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ভারতবর্ষের ‘পুনর্নির্মাণ’ অভিযানের সূচনা হতে চলেছে। এর পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘দ্বন্দ্ব এবং তিক্ততা’-র অবসান হওয়া উচিত।

    গোটা সমাজের কাছে রাম হল আদর্শ

    প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায়ের ভিত্তিতে নির্মাণ হয়েছে রাম মন্দির। আজ সোমবার সেই মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার বিগ্রহের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে সমাজমাধ্যমের পাতায় মোহন ভাগবত লেখেন, ‘‘গোটা সমাজের কাছে রাম হল আদর্শ। যে বিতর্ক, যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল, তা এখন শেষ হওয়া উচিত। সেই নিয়ে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা-ও শেষ হওয়া উচিত। সমাজের আলোকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এ বার দেখা উচিত, যাতে ওই বিতর্ক নির্মূল হয়।’’

    রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’

    প্রসঙ্গত, ৫০০ বছরের লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির (Ram Mandir)। মন্দিরের নির্মাণকে ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’ বলে উল্লেখ করেন মোহন ভাগবত। তিনি লিখেছেন, ‘‘রাম জন্মভূমিতে রামলালার প্রবেশ এবং তার প্রাণপ্রতিষ্ঠা আদতে ভারতবর্ষের পুনর্নির্মাণ অভিযানের সূচনা, বৈরিতা ছাড়া সকলকে গ্রহণ, সম্প্রীতি, ঐক্য, উন্নয়ন, শান্তির পথ দেখানোর সূচনা।’’ মোহন ভাগবতের কথায় উঠে এসেছে বিদেশি আক্রমণকারীদের প্রসঙ্গও। তিনি লিখেছেন, ‘‘বিদেশি আক্রমণকারীরা ভারতে মন্দির ধ্বংস করেছে। এক বার নয়, বার বার। ওদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সমাজকে মনোবলহীন করে তোলা, যাতে ওরা দীর্ঘ সময় বাধাহীন ভাবে ভারতে রাজত্ব করতে পারে।’’

    ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস, নীতি, অঙ্গীকার কখনওই নত হয়নি

    প্রসঙ্গত, ১৫২৮ সালে রাম মন্দির (Ram Mandir) ধ্বংস করে সেই স্থানে বাবরি মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। একথাও উল্লেখ পেয়েছে মোহন ভাগবতের লেখায়। তবে ভারতের ক্ষেত্রে বিদেশি আক্রমণকারীদের কৌশল খাটেনি বলেই মনে করেন মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, ‘‘ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস, নীতি, অঙ্গীকার কখনওই নত হয়নি। প্রতিহত করার লড়াই এখানে ক্রমাগত চলেছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এই কারণেই বার বার জন্মভূমি (রাম)-র দখল নিয়ে সেখানে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা হয়েছে। তার জন্য অনেক যুদ্ধ, লড়াই, আত্মত্যাগও হয়েছে। রাম জন্মভূমি ইস্যু ভারতবাসীর মর্মে প্রবেশ করেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগেই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে বসল সোনার ফটক

    Ayodhya Ram Temple: প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগেই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে বসল সোনার ফটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে দেশজুড়ে রামভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে রামলালার (Ayodhya Ram Temple) প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সপ্তাহব্যাপী ধর্মীয় আচার। তার আগে, মন্দিরের গর্ভগৃহে বসল স্বর্ণফটক। এই গর্ভগৃহে রামলালা বিরজমান হবেন।  নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে এই ছবি শেয়ার করে ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। আরও জানা গিয়েছে, গর্ভগৃহে কোনও জানলা নেই। সর্বক্ষণ আলোয় সজ্জিত থাকবে গৃহ। ভক্তদের নিষ্ঠায় যাতে কোনও প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহ পশ্চিমমুখী করা হয়েছে। যার এক দিকে দরজা এবং বাকি তিন দিকে দেওয়াল দিয়ে ঘেরা রয়েছে।

    ১০০ কেজির সোনার প্রলেপ দরজায় (Ayodhya Ram Temple)

    এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে বলা হয়েছে, “ভগবান শ্রী রামলালার (Ayodhya Ram Temple) গর্ভগৃহে সোনার দরজা স্থাপনের পাশাপাশি নিচুতলার আরও ১৪টি সোনার দরজা স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রভু রামের এই ভব্য মন্দিরে মোট ৪৬টি দরজা স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪২টি দরজায় মোট ১০০ কেজি সোনা দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়েছে।

    একইসঙ্গে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেছেন, “অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য সব রকম প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রভু রামের ৫ বছরের বাল্যকালের শিশুসুলভ সরল রূপের মূর্তিটি স্থাপন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। থাকবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং আরএসএস প্রধান মোহন রাও ভাগবত।”

    ৭১ একর জমির মধ্যে মন্দির

    মন্দির (Ayodhya Ram Temple) সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৭১ একর জমির মধ্যে এই মন্দির গড়ে উঠেছে। গর্ভগৃহ সহ পাঁচটি মণ্ডপ মিলে ছয়টি অংশে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগের মধ্যে প্রত্যেকটিতে এক একটি মন্দির থাকবে। এই ভাগগুলি হল- গান মণ্ডপ, রঙ মণ্ডপ, নৃত্য মণ্ডপ, কীর্তন মণ্ডপ, প্রার্থনা মণ্ডপ। মন্দিরের মোট উচ্চতা ১৬১ ফুট। মন্দিরে তিনটি তলা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • World Hindu Congress: ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে’’, তাইল্যান্ডে বললেন সঙ্ঘ প্রধান

    World Hindu Congress: ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে’’, তাইল্যান্ডে বললেন সঙ্ঘ প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে (World Hindu Congress) শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ‘যত মত তত পথ’-এর কথাই শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের মুখে। এদিন তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মে অনেক মত রয়েছে, উপাসনার পদ্ধতি রয়েছে, এবং এর প্রত্যেকটিই হল ধর্মের উদাহরণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।’’ বসুধৈব কুটুম্বকমের কথাও শোনা যায় এদিন মোহন ভাগবতের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘সমগ্র বিশ্ব হল একটি পরিবার। প্রত্যেককে আর্য তৈরি করতে হবে আমাদের।’’ সত্য এবং অহিংসা ব্রতের কথাও এদিন বলেন সঙ্ঘ প্রধান। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমরা সর্বত্র যাব, আমরা প্রত্যেক জনের হৃদয় স্পর্শ করার চেষ্টা করব। তাঁরা আমাদের সঙ্গে সহমত হতেও পারেন অথবা নাও হতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেকের সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ রাখব।’’

    ধন বিজয় ও অসুর বিজয় কী জিনিস?

    প্রসঙ্গত প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাইল্যান্ডের রাজধানীতে। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) উদ্যোগ নেয় ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন এবং তা চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে ধর্মই যে হল কর্তব্যবোধ সেকথা আবারও বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে স্মরণ করান মোহন ভাগবত। এদিন মোহন ভাগবত আবারও একবার বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ সাক্ষী থেকেছে ধন বিজয়ের অর্থাৎ (বস্তুগত দখলের) এবং অসুর বিজয়ের অর্থাৎ আগ্রাসনের।’’ সঙঘ প্রধান বলেন, ‘‘কোনও কিছু দখল করার উদ্দেশ্য হল পার্থিব সুখ এবং এই কারণেই জনগণ একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে। আমরা এর সাক্ষী রয়েছি। আমরা অসুর বিজয়েরও (আগ্রাসন) সাক্ষী রয়েছি। যা ভারতীয় সমাজকে পাঁচ হাজার দুশো বছর ধরে শাসন করেছে। তারা আমাদের ভূমিকে ধ্বংস করেছে। আমরা আড়াইশো বছর ধরে সাক্ষী রয়েছি ধন বিজয়ের (বস্তুগত দখল) যখন আমাদের দেশকে লুট করা হয়েছে।’’

    ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান কী বললেন

    আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। সে নিয়েই বক্তব্য রাখেন স্বামী বিজ্ঞানানন্দ, যিনি কিনা ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যানও বটে। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) প্রধান উদ্যোক্তাও তিনি। এদিনের ভাষণে বিজ্ঞানানন্দ বলেন, ‘‘রামমন্দির উদ্বোধনের ওই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ব্যাংককে এবং সারা পৃথিবীতে যত হিন্দু রয়েছেন, প্রত্যেকেই সাক্ষী থাকবেন ওই অনুষ্ঠানের। সেদিন কীর্তন, ভজন, পুজো এবং মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে পবিত্র মুহূর্তটি পালন করা হবে।’’ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বামী বিজ্ঞানানন্দ বলেন, ‘‘অযোধ্যা থেকে আমাদের জন্য প্রসাদও আসবে ওইদিন। রামমন্দিরের ছোট রেপ্লিকা এখানে (ব্যাঙ্ককে) স্থাপন করা হবে। প্রসঙ্গত, ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে এবং এর সদর দফতর হল নয়াদিল্লিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান। সংগঠনের কাজে এসেছিলেন কলকাতায়। ছিলেন আরএসএসের দফতর কেশব ভবনে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্বের হেনস্থার প্রতিবাদে রাত ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখানো হয় কেশব ভবনের সামনে। এখানেই তখন ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকে।

    কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ

    সোম ও মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ধর্না দেয় তৃণমূল। সেখানে অভিষেক সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জিনগর থানায়। তার জেরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় কেশব ভবনের সামনেও। মোহন ভাগবত (যে ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ ছিল না) যেখানে রয়েছেন, সেই কেশব ভবনে বিক্ষোভের খবর পৌঁছায় কলকাতায় থাকা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের কাছে। দ্রুত রিপোর্ট তলব করে অমিত শাহের মন্ত্রক।

    দ্রুত রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই নির্দেশে বলা হয়, ওই রাতেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। নির্দেশ পেয়ে রাতেই গোয়েন্দা আধিকারিকদের কয়েকজন চলে যান কেশব ভবনে। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। কেশব ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁরা যেমন কথা বলেন, তেমনি কথা বলেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও। রাতেই দিল্লিতে পাঠানো হয় বিস্তারিত রিপোর্ট। উল্লেখ্য, হাতে গোণা য়ে কয়েকজন ভিভিআইপির নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদা সতর্ক থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তাঁদেরই একজন হলেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই রাতে ভাগবতের নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে রাতেই তলব করা হয়েছিল রিপোর্ট। 

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালকে ‘পর্যটক’ খোঁচা তৃণমূলের, পাল্টা খেললেন আনন্দ বোস, কী বললেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন ভাগবত। তা সত্ত্বেও কীভাবে মধ্য রাতে কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিক্ষোভ অথবা হামলা হলে আমরা প্রতিরোধ করব। কোনও বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় তৃণমূলের। রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা কিংবা বিক্ষোভ প্রদর্শন রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র”, নাগপুরের অনুষ্ঠানে আবারও দাবি মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র”, নাগপুরের অনুষ্ঠানে আবারও দাবি মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র।” ফের একবার দাবি করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর মতে, সমস্ত ভারতীয় হিন্দু ও ভারত হিন্দুত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। শুক্রবার নাগপুরে ‘তরুণ ভারত’ নামে একটি দৈনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই মত পোষণ করেন ভাগবত।

    হিন্দুস্তানের অর্থ

    সরসংঘচালক বলেন, “হিন্দুস্তান মানে হচ্ছে হিন্দু রাষ্ট্র। আর এটা ধ্রুব সত্য। সেই কারণে বর্তমানে যাঁরা দেশে বসবাস করেন, তাঁদের আমি হিন্দু বলে মনে করি। এঁরা সকলেই হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত। এঁদের পূর্বসূরিরাও হিন্দু ছিলেন। বিশ্বজুড়ে হিন্দুত্বের কদর বেড়েছে।” ভাগবত বলেন, “কিছু মানুষ এটা বুঝতে পেরেছেন। অনেকে আবার বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। এর কারণ তাঁদের অভ্যাস এবং স্বার্থপরতা। আবার কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা বুঝতে পারছেন না কিংবা ভুলে গিয়েছেন।” স্বদেশি, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং শৃঙ্খলার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন ভাগবত।

    হিন্দুত্বের কদর বাড়ছে

    সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের নিজস্ব আদর্শ অক্ষুণ্ণ রেখে ন্যায্যভাবে এবং সত্যের ভিত্তিতে কোনও কাজ করা উচিত। আমাদের আদর্শের মতো সারা বিশ্বে আর কিছু নেই। এর বিকল্পও নেই। সবাই এটা বুঝতে পেরেছে। কেউ এটা স্বীকার করে, কেউ করে না।” আরএসএস প্রধান বলেন, “আমরা সেই ১৯২৫ সাল থেকেই বলে আসছি যে ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেকেই হিন্দু। যারা ভারতকে তাদের মাতৃভূমি বলে মনে করে এবং বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচতে চায় এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভাস এবং আদর্শ যাই হোক না কেন, এই পথে এগোনোর চেষ্টা করে, তারা সকলেই হিন্দু।”

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ব নিয়ে ভাগবতের (Mohan Bhagwat) এই দাবি এই প্রথম নয়। গত বছর নভেম্বর মাসেও ছত্তিশগড়ে গিয়ে হিন্দুত্বের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। সংঘের একটি অনুষ্ঠানেও ভারতে বসবাসকারী সবাই হিন্দু বলেও দাবি করেছিলেন আরএসএস প্রধান। ভারতে বসবাসকারী সকলের ডিএনএ এক বলেও মন্তব্য করেছিলেন ভাগবত। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কোনও পার্থক্যই নেই বলেও দাবি করেছিলেন সংঘপ্রধান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আজ আসছেন মোহন ভাগবত! ‘পঞ্চায়েত রাজ’ সম্মেলন সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে নাড্ডাও

    BJP: আজ আসছেন মোহন ভাগবত! ‘পঞ্চায়েত রাজ’ সম্মেলন সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে নাড্ডাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার রাজ্যে আসছেন বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda in Kolkata)। তাঁর ৩ দিনের রাজ্য সফরে থাকছে একাধিক কর্মসূচি। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হতেই শুরু হয়েছে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি। রাজ্যে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। সেই সূত্রেই বাংলায় আসছেন নাড্ডা। একই দিনে শহরে আসবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। শুক্রবার মোহন ভাগবতের সঙ্গেই রাজ্যে আসছেন সংগঠনের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে। শুক্র ও শনিবার কলকাতায় আরএসএস-এর পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্রের কার্যকারিনীর বৈঠকে যোগ দেবেন তাঁরা। 

    জেপি নাড্ডার একাধিক কর্মসূচি

    শুক্রবার (১১ অগাস্ট, ২০২৩) রাজ্যে আসবেন জেপি নাড্ডা। ১৩ অগাস্ট বিকেলে ফিরে যাবেন তিনি। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, আজ রাত ৯টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর একটি বেসরকারি হোটেলে রাত্রিবাস করবেন। কাল ১২ অগাস্ট পৌঁছবেন হাওড়ার বাগনানে। সেখানে সোনার বাংলা হোটেলে ‘পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে’ যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি-র কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি। ওই দিনই দুপুর নাগাদ সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি, দেউলটি পৌঁছতে পারেন। এরপর ‘আমার মাটি-আমার দেশ’ ও ‘বীর বন্ধন, বসুধা বন্ধন’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এই অনুষ্ঠান শেষের পর পুনরায় ফেরত আসবেন কলকাতায়। পৌঁছতে পারেন সায়েন্স সিটিতে। সেখানে একপ্রস্থ বৈঠক সারার পাশাপাশি জয়ী বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করবেন বিজেপি সভাপতি। এরপরের দিন অর্থাৎ ১৩ অগাস্ট জে পি নাড্ডা যেতে পারেন দক্ষিণশ্বর মন্দিরে। সেখানে পুজো দেওয়ার পর বিজেপি-র সল্টলেকের পার্টি অফিসে যাবেন। 

    আরও পড়ুন: নতুন রূপে আসছে এয়ার ইন্ডিয়া! নতুন লোগো ও রং প্রকাশ সংস্থার

    মোহন ভাগবতের কর্মসূচি

    এদিনই শহরে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্র ও শনিবার কলকাতায় আরএসএস-এর সদর দফতর কেশব ভবনে পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্র কার্যকারিনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে হাজির থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও বিহারের নেতারা। সেই বৈঠকে যোগদান করতেই কলকাতায় আসছেন আরএসএস-এর ২ শীর্ষ নেতা। সূত্রের খবর, পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে আরএসএস-এর কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা ও নতুন প্রকল্প চালুর ব্যাপারে আলোচনা হবে বৈঠকে। তবে, লোকসভা ভোটের আগে মোহন ভাগবত ও জেপি নাড্ডার সফর তাৎপর্যপূণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

LinkedIn
Share