Tag: mohan bhagwat

mohan bhagwat

  • Mohan Bhagwat: “কারণ ছাড়াই টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “কারণ ছাড়াই টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও কারণ ছাড়াই টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, “তাঁরা যাতে কোনও (Bangladesh Crisis) অবিচার ও নৃশংসতার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করার দায় রয়েছে আমাদের দেশেরও।”

    হিন্দুরাই টার্গেট (Mohan Bhagwat)

    এদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল নাগপুরের মহল এলাকায়, আরএসএসের সদর দফতরে। সেখানেই তিনি বলেন, “আগামী প্রজন্মের কর্তব্য হল ‘স্বতন্ত্রে’র (স্বাধীনতা) ‘স্ব’ (নিজের)-কে রক্ষা করা। কারণ পৃথিবীতে এমন অনেক লোক আছে, যারা সব সময় অন্য দেশকে ডমিনেট করতে চায়। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যত্নবান হতে হবে। তাদের হাত থেকে আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে।” সরসঙ্ঘচালক বলেন, “পরিস্থিতি যে সব সময় একই রকম থাকবে, তা নয়। কখনও কখনও এটা ভালো, অন্যের পক্ষে সেটা ভালো নাও হতে পারে। এই উত্থান-পতন চলতেই থাকবে।” ভাগবত বলেন, “আমরা এখন এই পরিস্থিতিই দেখতে পাচ্ছি। প্রতিবেশী দেশে প্রচুর হিংসার ঘটনা ঘটছে। সেখানে যেসব হিন্দু বাস করেন, কোনও কারণ ছাড়াই তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে।” ভাগবত (Mohan Bhagwat) এক বারের জন্যও বাংলাদেশের নাম না নিলেও, তাঁর আক্রমণের অভিমুখ যে বাংলাদেশের দিকেই, তা স্পষ্ট।

    ভারতের ঐতিহ্য

    আরএসএস প্রধান বলেন, “অন্যদের সাহায্য করার ঐতিহ্য রয়েছে ভারতের। আমরা গত কয়েক বছরে দেখেছি, ভারত কখনও কাউকে আক্রমণ করেনি। তারা আমাদের সঙ্গে যেমনই আচরণ করুক না কেন, তাদের সাহায্য করেছে। এই পরিস্থিতিতেও আমরা দেখেছি, আমাদের দেশ নিরাপদেই রয়েছে। একই সঙ্গে অন্য দেশকে সাহায্য করছে।” এর পরেই সরসঙ্ঘচালক বলেন, “আমাদের দেশের দায়িত্ব রয়েছে তাদের বাঁচানোর, যাঁরা ভিন দেশে নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন।” তিনি বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে তার নিজের লেভেলে দেখতে হয়। তবে এটি তখনই শক্তি পায় যখন সমাজ তার দায়িত্ব পালন করে। দেশের প্রতি অঙ্গীকার প্রদর্শন করে।”

    আরও পড়ুন: “বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবশ্যই বাঁচাতে হবে”, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। অশান্তির আঁচ থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর আগে-পরে বাংলাদেশে ব্যাপক অত্যাচার হয় হিন্দুদের ওপর। সেই প্রসঙ্গেই এদিন (Bangladesh Crisis) ভাগবতের এহেন মন্তব্য বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Mohan Bhagwat)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।      

  • Mohan Bhagwat: “সনাতন ধর্ম বিশ্বাস করে মানব কল্যাণে”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “সনাতন ধর্ম বিশ্বাস করে মানব কল্যাণে”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উন্নয়নের শেষ বলে কিছু হয় না।” ঝাড়খণ্ডের গুমলায় ‘বিকাশ ভারতী’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “মানুষের লক্ষ্যই হল নিরন্তর উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাওয়া। তাই সে সব সময় উন্নয়নের পেছনে ছোটে।” সরসঙ্ঘচালক বলেন, উন্নয়নের কি কোনও শেষ আছে? যখন আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছই, তখন আমরা দেখি, আমাদের আরও যেতে হবে। মানুষ দেবতাকে ছাপিয়ে গিয়ে সুপারম্যান হতে চায়।”

    কী বললেন আরএসএস কর্তা? (Mohan Bhagwat)

    তিনি বলেন, “অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন হোক কিংবা বাহ্যিক, উন্নয়নের কোনও শেষ নেই।” আরএসএস কর্তা বলেন, “উন্নয়ন একটা লাগাতার প্রসেস। তাই আমাদের কোনও না কোনও কাজ সমাধানহীন হয়ে থাকে।” তিনি বলেন, “দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এখনও অনেক বাকি রয়েছে। একজন কার্যকর্তার সব সময় ভাবা উচিত, তিনি অনেক করেছেন, তবে বাকি রয়ে গিয়েছে ঢের বেশি। কারণ সব সময়ই কিছু না কিছু করার থাকে। যদি উন্নয়ন নিরন্তর চলতেই থাকে, তাহলে সমাধানও খুঁজে পাওয়া যাবে।”

    বিশ্ব চিনেছে ভারতকে

    দ্রুত বদলে যাওয়া বিশ্বের প্রেক্ষিতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তারও উল্লেখ করেন সরসঙ্ঘচালক (Mohan Bhagwat)। ভাগবত বলেন, “গত দু’হাজার বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। তবে সেগুলো আমাদের সুখ-শান্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এগুলো আমাদের জীবনের অঙ্গীভূত ছিল। করোনার পরে বিশ্ব চিনেছে ভারতকে। তারা এও জেনেছে সুখ-শান্তির রোডম্যাপও রয়েছে ভারতের হাতেই।” তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম সর্বদাই বিশ্বাস করে মানব কল্যাণে।”

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    সরসঙ্ঘচালক বলেন, “সনাতন সংস্কৃতি এবং ধর্ম রাজপ্রাসাদ থেকে আসেনি, এসেছে আশ্রম এবং বনজঙ্গল থেকে। বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পোশাক বদলেছে। কিন্তু আমাদের (পড়ুন, সনাতনীদের) প্রকৃতি বদলায়নি।” দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি যে আদৌ চিন্তিত নন, তাও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন আরএসএস (RSS) প্রধান। বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। ভালো ভালো কাজই হবে। কারণ যা হচ্ছে, তা ভালোর জন্যই হচ্ছে। আমরা ভালো করারই চেষ্টা করে চলেছি (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Population Day: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব

    World Population Day: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১১ জুলাই ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ডে বা বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day)। সারা পৃথিবীতে প্রায় প্রতিনিয়তই দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা। এর ফলে একদিকে যেমন স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে তেমনই বাড়ছে উদ্বেগ। এর ভালো মন্দ দু’রকমের প্রভাবই পড়ছে। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই পালিত হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।

    বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের ইতিহাস (World Population Day)

    এই দিনটি পালন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ড. কিসী। ১০০০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৪০ কোটি এবং ১৮০৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা পৌঁছেছিল ১ বিলিয়নে। এরপর ১৯৬০ সালে এই সংখ্যাটি পৌঁছায় ৩ বিলিয়ন এবং ১৯৮৭ সালে এই সংখ্যাটি পৌঁছায় ৫ বিলিয়নে। বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮ বিলিয়নেরও বেশি। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির তৎকালীন গভর্নিং কাউন্সিল এই দিনটি পালন করার কথা বিবেচনা করেন। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথম এই দিনটি পালন করা হয়। প্রথম বছরই বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশ এই দিনটি পালন করে। তারপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day)।

    কেন পালন করা হয় (World Population Day)

    এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার নেতিবাচক প্রভাব পরছে পরিবেশের ওপর। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার কারণে দ্রুত পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে এবং যার ফলে প্রভাব পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষার ওপর। এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়।

    আরও পড়ুন: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    ভারতে এর গুরুত্ব (World Population Day)

    বিশ্বে অন্যান্য দেশের তুলনায় জনসংখ্যার দিকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত (India), জনসংখ্যা প্রায় ১৪১.৭২ কোটি। সব থেকে কম জনসংখ্যা রয়েছে ভ্যাটিকান সিটির, জনসংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। তবে প্রতিবছর দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। এর ভালো মন্দ দুইই রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, ২০৫০ সালে চিনের সম্ভাব্য জনসংখ্যা হবে ১৩১ কোটিরও বেশি। ওই সময়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ভারত সম্ভাব্য জনসংখ্যা ১৬৬ কোটিরও বেশি। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের মনে। এক্ষেত্রে দেশে পরিবার পরিকল্পনা বা জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রকল্প আবশ্যিক ভাবে কার্যকর করা উচিত বলে অভিমত অনেকের। খাদ্য, বাসস্থান এবং কর্মসংস্থান নিয়ে এমনিতেই রয়েছে নানা সমস্যা। দেশে কমছে চাষযোগ্য জমির পরিমাণও। জন বিস্ফোরণ হলে, সেক্ষেত্রে খাদ্য সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    মোহন ভাগবতের মত

    এ বিষয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জনসংখ্যার স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে কথা বলেন। তিনি জানান, জনসংখ্যার ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের সকলের জন্য জনসংখ্যা নীতি প্রযোজ্য হওয়া উচিত, বলে মনে করেন তিনি। জনসংখ্যা (India) ভারসাম্য হারালে ভৌগলিক সীমারেখার ওপর প্রভাব পড়বে। ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এই বিষয়টি আর অগ্রাহ্য করা উচিত হবে না বলেও তাঁর মত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: “রটনায় নাম জড়ানো হচ্ছে আরএসএসের, এটা ঠিক নয়”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “রটনায় নাম জড়ানো হচ্ছে আরএসএসের, এটা ঠিক নয়”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রযুক্তির সাহায্যে মিথ্যে রটিয়ে নির্বাচনের সঙ্গে যে আরএসএসের নাম জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।” সোমবার নাগপুরে কথাগুলি বললেন আরএসএস কর্তা মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ১০ জুন, সোমবার এখানেই বসেছিল কার্যকর্তা বিকাশ বর্গের বিদায়ী অধিবেশন। প্রধান অতিথি ছিলেন গোদাবরী ধামের রামগিরি মহারাজ, আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ সর্দার ইকবাল সিং।

    কী বললেন রামগিরি মহারাজ? (Mohan Bhagwat)

    রামগিরি মহারাজ বলেন, “সঙ্ঘে আপনারা সংস্কার শেখেন, অনুকূল হোক কিংবা প্রতিকূল যে কোনও পরিস্থিতিতে কীভাবে মূল্যবোধ বজায় রাখা যায়, সেই শিক্ষাও দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “যখন আপনি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হন, তখন আপনি ডেডিকেশন শেখেন, সামাজিক ঐক্য কীভাবে বজায় রাখতে হয়, তা-ও শেখেন।” আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “আজ পঞ্চম গুরু অর্জুন দেবজি মহারাজের বলিদান দিবস। তিনি দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করেছিলেন।” তিনি বলেন, “গ্বালিয়র দুর্গে গুরু অর্জুন দেবকে অনেক নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও স্রেফ ধর্মের কারণে তিনি হাসতে হাসতে জীবন বলিদান দিয়েছিলেন।”

    ভাগবত উবাচ…

    আগের দিন মহারাণা প্রতাপের জন্মজয়ন্তী ছিল। এই দিনটিতেই আত্ম-বলিদান করেছিলেন বিরসা মুন্ডাও। এই দুই প্রসঙ্গের অবতারণা করে ভাগবত বলেন, “এই প্রশিক্ষণ শিবিরে আমরা জেনেছি কীভাবে একদল মানুষ দেশের স্বার্থে নিজেদের জীবন বলিদান দিয়েছিলেন।” লোকসভা নির্বাচনের শেষে যেভাবে আরএসএস সম্পর্কে মিথ্যে কথা রটানো হয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গেরও উল্লেখ করেন সরসঙ্ঘচালক। বলেন, “নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। নয়া সরকার শপথও নিয়ে নিয়েছে। তাই আর নির্বাচনের ফল নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই।”

    আর পড়ুন: নিজেদেরই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে পেটাল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা

    তিনি বলেন, “মানুষ তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তার ফলও বেরিয়ে গিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্ঘের কোনও যোগ নেই।” বলেন, “প্রতিটি নির্বাচনে সঙ্ঘ জনমত পরিশুদ্ধ করে, যেমন এই নির্বাচনেও করেছিল। যদিও ফলের কোনও বিশ্লেষণ সঙ্ঘ করেনি।” ভাগবত বলেন, “সঙ্ঘ সব সময় মর্যাদা রক্ষা করে চলে। কখনও তার সীমা ছাড়িয়ে যায় না (Mohan Bhagwat)।”

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: জাতিভেদ প্রথা দূর করতে ফের সরব হলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: জাতিভেদ প্রথা দূর করতে ফের সরব হলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে ফের সরব হতে দেখা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকে। রবিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন গুজরাটের ভদোদরার একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি সামাজিক সদ্ভাবনার মাধ্যমে জাতিভেদ প্রথা দূর করার কথা বলেন। ভদোদরার ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার জন্ম শতাব্দী সেবা সমিতির উদ্যোগে প্রবুদ্ধ নাগরিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়েই একথা বলেন মোহন ভাগবত। 

    ভারতীয় মূল্যবোধ ও প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি

    সঙ্ঘ প্রধানের মতে, ‘‘ভারতীয় মূল্যবোধ ও দেশের প্রাচীন সংস্কৃতির প্রতি গর্ববোধ – এর মাধ্যমে একটি জাতিভেদহীন সমাজ গঠন সম্ভব। মোহন ভাগবতের সঙ্গে এদিন গুজরাটের ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা যায় ডক্টর জ্যোতি পান্ডিয়াকে। যিনি ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রাক্তন জাতীয় সহ-সভাপতি। গুজরাটের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের একাংশও হাজির ছিলেন প্রবুদ্ধ নাগরিক সম্মেলনে। স্থানীয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নেতৃত্বকেও সেখানে দেখা যায়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু, ব্যবসায়ী, ডাক্তার এবং বিভিন্ন পেশার মানুষরা প্রবুদ্ধ নাগরিক সম্মেলন উপস্থিত হয়েছিলেন।

    সামাজিক সদ্ভাবনা সঙ্ঘের উদ্দেশ্য

    এর আগে শনিবারই মোহন ভাগবত বক্তব্য রাখেন ভারুচে। সেখানে ত্রি রেবা সেবা সমন্বয় সমিতির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। প্রসঙ্গত, রবিবারই গুজরাটের ভদোদরাতে পা রাখেন সঙ্ঘ প্রধান। সারা বছর ধরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অসংখ্য কর্মসূচি চলে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশ কিছু কর্মসূচি সামাজিক সদ্ভাবনার ওপরে নেওয়া হয়ে থাকে। বাবা সাহেব আম্বেদকরের জন্ম ও প্রয়াণ বার্ষিকী সাড়ম্বরে পালন করতে দেখা যায় আরএসএস-কে। সামাজিক সদ্ভাবনার ওপর কাজ করার জন্য আরএসএস-এর শাখা সংগঠন বনবাসী কল্যাণ আশ্রম সর্বদাই সক্রিয় রয়েছে। শুধু এদিনই প্রথম নয়, সঙ্ঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও বৈঠকে জাতিভেদহীন সমাজের ওপর বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে মোহন ভাগবতকে।

    আরও পড়ুুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ‘‘বর্তমান প্রজন্ম ভাগ্যবান, তাঁরা রামলালাকে মন্দিরে দেখতে পেলেন’’, মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Ram Mandir: ‘‘বর্তমান প্রজন্ম ভাগ্যবান, তাঁরা রামলালাকে মন্দিরে দেখতে পেলেন’’, মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ভগবানের আশীর্বাদ বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত ৫০০ বছরের সংঘর্ষের পর অযোধ্যায় স্থাপিত হয়েছে রাম মন্দির (Ram Mandir) । এই ঘটনাকে সর্বশক্তিমানের ইচ্ছা বলেও মন্তব্য করেন মোহন ভাগবত। সোমবারই মোহন ভাগবত হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের পুনেতে। গীতা ভক্তি অমৃত মহোৎসব নামের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি জানান, ভারতবর্ষের উত্থান হতেই হবে,  সারা পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য। তিনি আরও বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি রাম লালা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মন্দিরে, বহু সংঘর্ষের পরে এই সফলতা মিলেছে। বর্তমান প্রজন্ম ভাগ্যবান, তাঁরা রাম লালাকে মন্দিরে দেখতে পেলেন।’’

    শীঘ্রই শুরু হবে রামের দরবার নির্মাণের কাজ

    শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজ। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে রামের দরবার-এর প্রথম এবং দ্বিতীয় তলের নির্মাণকাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। জানা গিয়েছে, প্রভু রামের দরবারে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ। নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র শনিবারই মন্দির চত্বর (Ram Mandir) পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে, ‘পরকোটা’-র কাজও শেষ করতে হবে। ৭৯৫ মিটার দীর্ঘ পরিক্রমা প্রাচীরের কাজও তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথম ১১ দিনে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের

    প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ৮ হাজার অতিথি সামিল হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তারপর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। হিসাব বলছে, প্রথম ১১ দিনে ২৫ লাখ ভক্তের পা পড়েছে রাম জন্মভূমিতে এবং মোট প্রণামী সংগৃহীত হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এসেছে শুধু প্রণামী বাক্স থেকেই এবং অনলাইনের মাধ্যমে প্রণামী পাঠানো হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: শহরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, কোন কোন বিশিষ্টজনের বাড়িতে গেলেন?

    Mohan Bhagwat: শহরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, কোন কোন বিশিষ্টজনের বাড়িতে গেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় দু’দিনের জন্য এসেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘ চালক ডক্টর মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি গতকাল শনিবার দেখা করলেন সর্ব ভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবের সঙ্গে। সঙ্ঘচালক অবশ্য নিজে থেকেই গিয়েছেন বলে খবর। তবে জানা গিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। এরপর তিনি যান প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের বাড়িতে। পাশপাশি আজ রবিবার তিনি যান অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এরপর যান বিখ্যাত তবলা বাদক বিক্রম ঘোষের বাড়িতেও। লোকসভা ভোটের আগে সরসঙ্ঘ চালকের এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    কী বললেন কল্যাণ চৌবে (Mohan Bhagwat)?

    সঙ্ঘ মানুষ তৈরির কাজ করে। কল্যাণ চৌবে সঙ্ঘচালক সম্পর্কে বলেন, “সরসঙ্ঘ চালকজি প্রতি বছর রাজ্যে দু’বার করে আসেন। সমাজের মানুষের সঙ্গে বার্তালাপ করেন। আমাদের বাড়িতে সঙ্ঘের কাজ নিয়েই আলোচনা হয়। ২০১৭ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন নাগপুরে গিয়েছিলেন, তখন থেকেই সঙ্ঘের কাজ সম্পর্কে অনুভব করতে পেরেছিলাম। সঙ্ঘ সমাজে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে শেখায়। সমাজ, ধর্ম, রুচি, সংস্কৃতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। খেলোয়াড়দের চরিত্র গঠন নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা সামজিক কাজের জন্য নিজেদের নিবেদন করে থাকেন। তবে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করা হয়নি।”

    কী বলেন দিলীপ ঘোষ?

    বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বছরে বেশ কয়েকবার বঙ্গে আসেন। সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করা এবং বাড়িতে যাওয়া আরএসএস-এর একটি বিশেষ কাজের পদ্ধতি। এটা খবর হয়, তাই সবাই জানতে পারেন।”

    দু’দিনের সফর

    শনিবার দুপুরে এসেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান (Mohan Bhagwat)। আজ রবিবার কলকাতা থেকে ফেরার কথা। এর মধ্যে বেশ কিছু সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। একই সঙ্গে আরএসএস-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলেও রাজ্যে এসেছেন। তিনি অবশ্য রয়েছেন দুর্গাপুরে। তবে সঙ্ঘের এই উচ্চপদস্থ কর্তাদের সাংগঠনিক বৈঠক থাকলেও লোকসভার আগে বাংলার লোকসভার আসনকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অনেকে মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: ভারত ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারার রক্ষাকর্তা, জানালেন আরএসএস প্রধান

    RSS: ভারত ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারার রক্ষাকর্তা, জানালেন আরএসএস প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ শেখানোর প্রয়োজন নেই, কারণ স্বাভাবিকভাবেই এদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারার রক্ষাকর্তা। এ কথা শোনা গেল আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের মুখে। রবিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন গ্রেটার নয়ডাতে। সেখানে সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্ব-আধারিত ভারত’ শীর্ষক একটি সেমিনারে যোগদান করেন তিনি। তখনই তাঁকে এই কথাগুলি বলতে শোনা যায়ে।

    ভারত সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধা করে

    সঙ্ঘ প্রধানের (RSS) মতে, ‘‘ভারত সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধা করে। ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা রয়েছে। আমরা বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য-এই মতবাদে বিশ্বাস রাখি। আমরা হুন, কুষাণ, ইসলামকে দুহাত বাড়িয়ে স্বাগত জানিয়েছিলাম। আমাদের মাটি এতটাই সমৃদ্ধ যে এখানে যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরকেই স্বাগত জানাতেন এখানকার রাজা-মহারাজারা। আমাদের কোথাও কোনও সমস্যা ছিল না। এখানে যাঁরা আশ্রয় নিতে চেয়েছেন, তাঁদেরই আশ্রয় দিয়েছি আমরা। আমরা সকলকে আহ্বান করেছি, কারণ আমাদের ধর্মই আমাদের এই শিক্ষা দেয়।”

    ভারতকে অন্য দেশ থেকে কিছু নকল করার দরকার নেই

    সঙ্ঘ প্রধান (RSS) আরও বলেন, ‘‘ভারতকে অন্য দেশ থেকে কিছু নকল করার দরকার নেই। কারণ এদেশের নিজস্ব শক্তির উপর নির্ভর করে উন্নয়নের মডেলকে অনুসরণ করতে হবে। আমাদের প্রাচীন শিক্ষা থেকে সংগৃহীত জ্ঞান দিয়ে আমরা যতদিন না পর্যন্ত নিজেদের শক্তিতে বলিয়ান হতে পারছি, ততদিন পর্যন্ত এই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারব না। এদেশে চাষাবাদ করে মাটির কোনও ক্ষতি না করে আমরা ১০,০০০ বছর কাটিয়েছি। কারণ আমাদের ধর্ম বলেছে, শুধু মানুষের মঙ্গল কামনা করা নয়, পরিবেশেরও মঙ্গল কামনা করতে। তবে আমরা যদি অন্য দেশ থেকে ধার করা মডেল নিই, সেটা আমাদের সাময়িক সময়ের জন্য হবে। কিন্তু তা চিরস্থায়ী কিছু হবে না।’’ এদিন তিনি তাঁর বক্তব্যে শক্তিশালী ভারতের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘যখন চিন হামলা চালিয়েছিল তখন আমরা আমেরিকার কাছে সহায়তার জন্য গিয়েছিলাম। এ নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করত। তবে ২০১৪ সালের পর প্রয়োজন মতো পাকিস্তানে ঢুকেও আমরা যোগ্য জবাব দিয়ে এসেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ‘‘অযোধ্যায় রামের মূর্তি স্থাপিত হবে আগামী ২২ জানুয়ারি’’, বড় ঘোষণা সঙ্ঘ প্রধানের

    Ram Mandir: ‘‘অযোধ্যায় রামের মূর্তি স্থাপিত হবে আগামী ২২ জানুয়ারি’’, বড় ঘোষণা সঙ্ঘ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিজয়া সম্মেলন থেকে বড় ঘোষণা করলেন সর-সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে রামমন্দিরে মূর্তি স্থাপিত হবে রামলালার (Ram Mandir)। প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগেই ত্রিপুরাতে গিয়ে অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন অযোধ্যার মন্দিরর কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে। এবার মোহন ভাগবতের কণ্ঠেও শোনা গেল একই কথা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গতকাল দিল্লির রামলীলা ময়দানে রাবণ দহন উৎসবে একই রকমের ঘোষণা করতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও।

    নাগপুরে সঙ্ঘের বিজয়া সম্মেলন

    বিজয়া দশমীতে সঙ্ঘের বিজয়া সম্মেলনের এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার নাগপুরে উপস্থিত ছিলেন মোহন ভাগবত। বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মানচিত্রে যে ভারতের গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে, একথাও এদিন বলেন সঙ্ঘ প্রধান। তাঁর বক্তব্যে এরপরই উঠে আসে রামমন্দির (Ram Mandir) প্রসঙ্গ। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে অযোধ্যাতে। রামলালার মূর্তি সেখানে স্থাপিত হবে আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি। ঐদিন আমরা আমাদের ছোটখাট মন্দিরগুলিতে উৎসবের আয়োজন করতেই পারি।’’

    ২১ অক্টোবর রামজন্মভূমি পরিদর্শন যোগী আদিত্যনাথের

    প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর রামজন্মভূমি (Ram Mandir) প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই দিন তিনি নির্মাণকার্য তত্ত্বাবধান করেন। সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘জানুয়ারি মাসে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। আমরা এই মন্দির নির্মাণের যাবতীয় সবকিছু দীপাবলীর আগেই শেষ করতে চেষ্টা করছি। দেশবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত আসতে চলেছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।’’ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন বলেও জানান যোগী আদিত্যনাথ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই ত্রিপুরা রাজ্যে ভোট প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে।  ২০১৯ সালের নভেম্বরে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রামমন্দিরের ভূমি পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ২০২৪ সালে দরজা খুলে যাচ্ছে মন্দিরের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • RSS: ‘‘সবক্ষেত্রেই এগিয়ে চলেছে দেশ’’, মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা সঙ্ঘ প্রধানের ভাষণে

    RSS: ‘‘সবক্ষেত্রেই এগিয়ে চলেছে দেশ’’, মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা সঙ্ঘ প্রধানের ভাষণে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সবক্ষেত্রেই এগিয়ে চলেছে দেশ, আমরা সৌভাগ্যবান যারা দেশের এই অমৃতকাল দেখার সুযোগ পেয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্যই’’, মঙ্গলবার সকালে ঠিক এই ভাষাতেই মোদি সরকারে প্রশংসা শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের ভাষণে। দশমীতে সঙ্ঘের বিজয়া সম্মেলনের এক অনুষ্ঠানে এদিন নাগপুরে উপস্থিত ছিলেন মোহন ভাগবত। বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মানচিত্রে যে ভারতের গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে, একথাও এদিন বলেন সঙ্ঘ প্রধান।

    কী বললেন সঙ্ঘ প্রধান?

    এদিনের বক্তব্যে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘প্রতিবছরই জি২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রথমবার তা আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত হল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা হাজির হন ভারতে। জি২০ সম্মলেনে সারা বিশ্ব ভারতের আতিথেয়তার প্রশংসা (RSS) করেছে। এটা আমাদের বড় পাওনা। বিবিধতার মাঝে থাকা মহান ভারতীয় সংস্কৃতির তাঁরা উপলব্ধি করেছে রাষ্ট্র নেতারা। ভারতের অগ্রগতি সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে। সারা বিশ্বে ভারতের স্থান প্রথম সারিতে চলে এসেছে। আমরা আগে অর্থনীতিতে অনেক পিছিয়ে ছিলাম কিন্তু বর্তমানে আমরা ৫ নম্বরে উঠে এসেছি।’’ এশিয়ান গেমসে ভারতের ১০৭টি পদক জয়ের কথাও নিজের ভাষণে উল্লেখ করেন মোহন ভাগবত। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের জন্যই কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি গরিব মানুষের কাছ পর্যন্ত যে পৌঁছাচ্ছে সেকথাও বলেন সঙ্ঘপ্রধান (RSS)।

    গানের ভাষায় সঙ্ঘের কাজ বোঝালেন শঙ্কর মহাদেবন 

    এদিনের বিজয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক শঙ্কর মহাদেবনও। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকা, ব্রিটেন সমেত সমগ্র ইউরোপ আমি দিনকয়েক আগেই ঘুরে এলাম। প্রত্যক্ষ করলাম আগের থেকে ভারতীয়দের সম্মান অনেক বেশি বেড়েছে।’’ দেশগঠনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেব সঙ্ঘের ভূমিকা ঠিক কী? তা নিজের গানের ভাষাতেই বোঝান জনপ্রিয় এই গায়ক। তিনি বলেন, ‘‘স্বরলিপি যেমন গানের ভিত্তি হয়, যেকোনও গানকে তৈরি করে, তেমনই স্বয়ংসেবকরাও (RSS) হলেন দেশগঠনের ভিত্তি। যখনই দেশ বিপদে পড়েছে তখনই স্বয়ংসেবকরা এগিয়ে এসেছেন। অতীতে এমনটা বারবার দেখা গিয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share