Tag: mohan bhagwat

mohan bhagwat

  • Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার চেষ্টায় খামতি নেই আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। দিন দুই আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের এই প্রধান বৈঠক করেছিলেন মুসলমান (Muslims) সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। এবার তিনি পরিদর্শন করলেন দিল্লির একটি মসজিদ। সেখানে বৈঠক করেন ইমামের সঙ্গে। ঘটনায় যারপরনাই খুশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও।

    মুসলমান সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এদিন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত যান দিল্লির একটি মসজিদে। সেখানে তিনি অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম উমের আহমেদ ইলিয়াসির সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন তিনি দিল্লির যে মসজিদে গিয়েছিলেন, সেটি সরকারি ও রাজনৈতিক দলগুলির কার্যালয় থেকে বেশি দূরে নয়। সূত্রের খবর, ভাগবতের সঙ্গে উমের আহমেদ ইলিয়াসির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে ঘণ্টাখানেক ধরে। ইলিয়াসির ছেলে সুহাইব ইলিয়াসি বলেন, এটা দেশের পক্ষে একটি ভাল বার্তা দেবে। একটি পারিবারিক আবহে আমাদের বৈঠক হয়েছে। এটা আনন্দের খবর যে তাঁরা আমাদের আমন্ত্রণে এখানে এসেছেন।  

    জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। সুপ্রিম কোর্টে চলছে হিজাব বিতর্ক নিরসনের চেষ্টাও। এহেন আবহে ঐক্যের বার্তা দিতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শক্তপোক্ত করতে দিন দুই আগে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। এই দুই বিতর্কের মাঝেই হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ। সেই আবহেই সংঘ প্রধানের মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর বলেন, আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এটা জেনারেল সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ইলিয়াস সাহেব (ইমাম) তাঁকে (মোহন ভাগবতকে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। তাই তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটা সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের?

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের?

    শাহাবুদ্দিন ইয়াকুব কুরেশি: যেই না মুসলিম সম্প্রদায়ের পাঁচজন সদস্য আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) সঙ্গে ২২ অগাস্ট সাক্ষাৎ করেছেন, তার পর থেকে নানা ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। যে পাঁচজন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাঁরা হলেন দিল্লির প্রাক্তন লেফটেনেন্ট গভর্নর নাজীব জং, সাংবাদিক শাহিদ সিদ্দিকি, হোটেলিয়ার সঈদ শেরভানি, লেফটেনেন্ট জেনারেল জামিরউদ্দিন শাহ এবং এই লেখক। 

    আমাদের এই পাঁচজনের এহেন উদ্যোগের ব্যাখ্যা আমি দেব। আমরা এই পাঁচজন— আমাদের মধ্যে একটা উদ্বেগ রয়েছে। আর সেই উদ্বেগের কারণ মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতা। একইসঙ্গে এই বিশ্বাস যে আলোচনার মাধ্যমেই একমাত্র সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেই না ভাগবতের সঙ্গে বৈঠকের খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে, আমরা অসংখ্য মেসেজ পেয়েছি। এঁদের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। 

    আমরা অনেক সমালোচনা মূলক মন্তব্যও পেয়েছি। যেমন, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার কে আমাদের দিয়েছে। কেউ কেউ আবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্য একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছি ভেবে। এতে আমাদের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হতে পারে। কেউ কেউ আবার ফাঁদে পড়ে যাচ্ছি ভেবে সতর্ক করে দিয়েছেন। তবে, কথপোকথনই যে একমাত্র পথ, তা নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেননি। এঁদের প্রত্যেকের কণ্ঠেই শোনা গিয়েছে একই সুর। তা হল, কথপোকথনই একমাত্র এগিয়ে চলার পথ।

    আমাদের একাধিকবার প্রশ্ন করা হয়েছে, যে এই কথোপকথন চালিয়ে কী হাসিল করলাম। এই বৈঠক করতে কে উৎসাহ জুগিয়েছিল? ইদানিং যেসব চলছে, তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নানা ঘটনার জেরে বিশেষত উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নিরীহদের গণধোলাইয়ের শিকার হওয়া, এবং সমাজের প্রতিক্ষেত্রে এই সম্প্রদায়ের মানুষজনে প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হওয়া। 

    বৈঠকটি কেমন সম্পন্ন হয়েছিল? প্রথমত, আরএসএস প্রধানের সারল্য ও বিনয়ীভাব দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছিলাম। তারপর তাঁর সময়ানুবর্তিতা। তিনি ঘড়ি ধরে ১০টার সময় বৈঠকে এসেছিলেন। তাঁর ধৈর্যও ছিল। গভীর মনযোগ দিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে তিনি আমাদের সমস্ত কথা শুনেছেন। এই সময় তিনি আমাদের একবারের জন্যও থামাননি। ভাগবতের সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণণ গোপাল। অবশ্যই আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে ভাগবত একটি কর্তৃত্বের জায়গা থেকে কথা বলছিলেন। 

    ভাগবতের আচার আচরণ খারাপ লাগেনি। তাঁর আচরণে এমন কিছু ছিল না, যা অস্বস্তিকর বলে মনে হয়। তাঁর মন্তব্যে তিনি তিনটি জিনিসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। হিন্দুত্ব একটি পূর্ণতার ধারণা, যাতে সব সম্প্রদায়ের জন্য সমান জায়গা রয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন, দেশ এগোতে পারে কেবলমাত্র তখন, যখন বিভিন্ন সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয়। একটি তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতীয় সংবিধান পবিত্র এবং গোটা দেশকে তা মেনে চলতে হবে। আরএসএস সংবিধান পরিত্যাগ করতে চাইছে এবং মুসলমানদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে, এই ভয় দূর করতে চেয়েছিলেন তিনি। 

    তারপর ভাগবত বলেছিলেন, হিন্দুরা দুটি বিষয়ে খুবই সংবেদনশীল। প্রথমটি হল, গরু। আমরা বলেছিলাম মুসলিমরা এটা ভাল মতোই বোঝেন। ভারতের অধিকাংশ জায়গায় গোহত্যা বন্ধ হয়েছে। আইনভঙ্গকারীদের ইতিমধ্যেই আইন মেনে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। যে সব রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ হয়নি, সেখানে মুসলমানদের স্বেচ্ছায় গোমাংস পরিত্যাগ করা উচিত। এটা যদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তবে এটা করা উচিত। 

    আর একটি সংবেদনশীল বিষয়ের উল্লেখ করেন তিনি। সেটা হল হিন্দুদের (Hindu) ‘কাফের’ বলা হয়। আমরা বলেছিলাম আরবি শব্দ কাফের-এর আক্ষরিক অর্থ হল অ-বিশ্বাসী। যদি এটা অপমানজনক হয়, তবে মুসলমানদের এটা পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। খুব সহজ। খুব সম্ভব। কোরানে বলা হয়েছে, আল্লাহ হলেন রাব্বুল আলামিন, রাব্বুল মুসলিমীন নন। বিশ্বজগতের ঈশ্বর, কেবল মুসলমানদের নন। কোরান বলে, তোমার কাছে তোমার ধর্ম, আমার কাছে আমার।

    আমরা তাঁকে বলেছিলাম, একই ভাবে প্রতিটি মুসলমানের কাছে জেহাদি এবং পাকিস্তানি শব্দদুটিও অপমানজনক। এগুলি এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে তিনি সম্মত হয়েছিলেন। আমরা তাঁকে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাঁর কোনও সহযোগীর নাম বলুন যাঁর সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি। তিনি চারজনের নাম বলেছিলেন। প্রয়োজনে তাঁকেও জানাতে বলেছিলেন। আমি আমার সহকর্মীদের সম্মতিতে ভাগবতকে আমার বই ‘দ্য পপুলেশন মিথ: ইসলাম, ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড পলিটিক্স অফ ইন্ডিয়া’ উপহার দিই। 

    বৈঠকে আমি চারটি বিষয়ের উল্লেখ করেছি। এক, মুসলিমদের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সব চেয়ে বেশি বলে যা বলা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত। তিরিশ বছর আগে হিন্দু এবং মুসলমানের জন্মহারের অনুপাত ছিল ১:১। এখন তা নেমে হয়েছে ০.৩, যেহেতু মুসলমানরা এখন হিন্দুদের চেয়েও দ্রুত ফ্যামিলি প্ল্যানিং করছে। দুই, সাধারণ ধারণার বিপরীতে গিয়ে বলি, মুসলিমদের মধ্যে বহু বিবাহের ঘটনা খুবই কম অন্তত ভারত সরকারের রিপোর্ট এবং সেনসাস অনুযায়ী। তিন, বহুল প্রচলিত বহুবিবাহ ভারতে সম্ভবও নয়। নারী-পুরুষের অনুপাতের কারণেই তা সম্ভব নয়। প্রতি হাজার পুরুষে মহিলার সংখ্যা ৯৪০ জন। যার অর্থ ৬০ জন পুরুষ বউই পাবেন না। এটা শুনে ভাগবত প্রাণখোলা হাসি হেসেছেন। চার, অঙ্কের মডেলেই দেখা যাচ্ছে গত হাজার বছরে মুসলিমরা হিন্দুদের ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। আমার অনুরোধে এই মডেল তৈরি করেছিলেন অঙ্কের অধ্যাপক দীনেশ সিং এবং অজয় কুমার। 

    এই বৈঠক নিয়ে মিডিয়া অক্সিজেন পেয়েছে। তাই খবর করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। প্রতিক্রিয়া? দারুণভাবে পজিটিভ। সংরক্ষণ? আরএসএস বদলাবে না। হতে পারে, নাও হতে পারে। সমালোচনা: আমরা তাদের বৈধতা দিচ্ছি। যদিও, বৈধতাদানের প্রয়োজন ওদের নেই। তারা ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হয়ে উঠেছে। আর আমরা? এক ঝাঁক অবসরপ্রাপ্ত লোক যাঁরা কর্মজীবনে সফল ছিলাম এবং এখন সমাজ এবং দেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন। 

    আমরা কি গোটা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছি? আমাদের কেউই নির্বাচিত কিংবা মনোনীত নন। কিন্তু আমরাও এই সম্প্রাদায়ের অংশ। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পর্যবেক্ষণের জায়গা রয়েছে। এটা আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। আমরা কি এলিটিস্ট? সম্ভবত। কিন্তু আমাদের অভিযোগকারী যাঁরা, তাঁরা রাজপ্রাসাদে বসবাস করেন, যাঁদের বাড়িঘর আমাদের বাড়িঘরের চেয়ে ১০-১৫ গুণ বড়। 
    আমরা অশিক্ষিত নই। আমরা বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন: গণধোলাই, গণহত্যা, ধর্ষণ, অর্থনৈতিক বয়কট, ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন, বাড়িঘর এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য। আমাদের দ্বন্দ্ব: আমরা মিডিয়ার কাছে কতটা এক্সপোজ করব? আমরা প্রথমে তাদের কাছে যেতে চাইনি। কিন্তু যখন তারা অ্যাপ্রোচ করেছিল, তখন আর আমরা তাদের কাছ থেকে নিজেদের লুকিয়ে রাখিনি। 

    সর্বোপরি, আমরা এক মাস ধরে মিডিয়ার কাছে বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিলাম। যখন আমরা ডজন ডজন বন্ধুদের কাছে মুক্তভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম। এটা সেই নিন্দুকদের জবাব দেবে, যারা বলেছিল আমরা প্রচার পাওয়ার জন্য এটা করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই কথোপকথন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমাদের হারানোর কিছু নেই। কিন্তু লাভ করার জন্য সব কিছু আছে। আমরা আমাদের ফিলিংসের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি। আমরা আশা করি, তিনি আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন।

    লেখক দেশের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। প্রবন্ধটি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে অনুবাদ করা হয়েছে।

  • Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার চেষ্টায় খামতি নেই আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। দিন দুই আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের এই প্রধান বৈঠক করেছিলেন মুসলমান (Muslims) সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। এবার তিনি পরিদর্শন করলেন দিল্লির একটি মসজিদ। সেখানে বৈঠক করেন ইমামের সঙ্গে। ঘটনায় যারপরনাই খুশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও।

    মুসলমান সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এদিন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত যান দিল্লির একটি মসজিদে। সেখানে তিনি অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম উমের আহমেদ ইলিয়াসির সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন তিনি দিল্লির যে মসজিদে গিয়েছিলেন, সেটি সরকারি ও রাজনৈতিক দলগুলির কার্যালয় থেকে বেশি দূরে নয়। সূত্রের খবর, ভাগবতের সঙ্গে উমের আহমেদ ইলিয়াসির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে ঘণ্টাখানেক ধরে। ইলিয়াসির ছেলে সুহাইব ইলিয়াসি বলেন, এটা দেশের পক্ষে একটি ভাল বার্তা দেবে। একটি পারিবারিক আবহে আমাদের বৈঠক হয়েছে। এটা আনন্দের খবর যে তাঁরা আমাদের আমন্ত্রণে এখানে এসেছেন।  

    জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। সুপ্রিম কোর্টে চলছে হিজাব বিতর্ক নিরসনের চেষ্টাও। এহেন আবহে ঐক্যের বার্তা দিতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শক্তপোক্ত করতে দিন দুই আগে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। এই দুই বিতর্কের মাঝেই হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ। সেই আবহেই সংঘ প্রধানের মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর বলেন, আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এটা জেনারেল সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ইলিয়াস সাহেব (ইমাম) তাঁকে (মোহন ভাগবতকে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। তাই তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটা সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের?

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের?

    শাহাবুদ্দিন ইয়াকুব কুরেশি: যেই না মুসলিম সম্প্রদায়ের পাঁচজন সদস্য আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) সঙ্গে ২২ অগাস্ট সাক্ষাৎ করেছেন, তার পর থেকে নানা ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। যে পাঁচজন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাঁরা হলেন দিল্লির প্রাক্তন লেফটেনেন্ট গভর্নর নাজীব জং, সাংবাদিক শাহিদ সিদ্দিকি, হোটেলিয়ার সঈদ শেরভানি, লেফটেনেন্ট জেনারেল জামিরউদ্দিন শাহ এবং এই লেখক। 

    আমাদের এই পাঁচজনের এহেন উদ্যোগের ব্যাখ্যা আমি দেব। আমরা এই পাঁচজন— আমাদের মধ্যে একটা উদ্বেগ রয়েছে। আর সেই উদ্বেগের কারণ মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতা। একইসঙ্গে এই বিশ্বাস যে আলোচনার মাধ্যমেই একমাত্র সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেই না ভাগবতের সঙ্গে বৈঠকের খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে, আমরা অসংখ্য মেসেজ পেয়েছি। এঁদের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। 

    আমরা অনেক সমালোচনা মূলক মন্তব্যও পেয়েছি। যেমন, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার কে আমাদের দিয়েছে। কেউ কেউ আবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্য একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছি ভেবে। এতে আমাদের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হতে পারে। কেউ কেউ আবার ফাঁদে পড়ে যাচ্ছি ভেবে সতর্ক করে দিয়েছেন। তবে, কথপোকথনই যে একমাত্র পথ, তা নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেননি। এঁদের প্রত্যেকের কণ্ঠেই শোনা গিয়েছে একই সুর। তা হল, কথপোকথনই একমাত্র এগিয়ে চলার পথ।

    আমাদের একাধিকবার প্রশ্ন করা হয়েছে, যে এই কথোপকথন চালিয়ে কী হাসিল করলাম। এই বৈঠক করতে কে উৎসাহ জুগিয়েছিল? ইদানিং যেসব চলছে, তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নানা ঘটনার জেরে বিশেষত উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নিরীহদের গণধোলাইয়ের শিকার হওয়া, এবং সমাজের প্রতিক্ষেত্রে এই সম্প্রদায়ের মানুষজনে প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হওয়া। 

    বৈঠকটি কেমন সম্পন্ন হয়েছিল? প্রথমত, আরএসএস প্রধানের সারল্য ও বিনয়ীভাব দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছিলাম। তারপর তাঁর সময়ানুবর্তিতা। তিনি ঘড়ি ধরে ১০টার সময় বৈঠকে এসেছিলেন। তাঁর ধৈর্যও ছিল। গভীর মনযোগ দিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে তিনি আমাদের সমস্ত কথা শুনেছেন। এই সময় তিনি আমাদের একবারের জন্যও থামাননি। ভাগবতের সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণণ গোপাল। অবশ্যই আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে ভাগবত একটি কর্তৃত্বের জায়গা থেকে কথা বলছিলেন। 

    ভাগবতের আচার আচরণ খারাপ লাগেনি। তাঁর আচরণে এমন কিছু ছিল না, যা অস্বস্তিকর বলে মনে হয়। তাঁর মন্তব্যে তিনি তিনটি জিনিসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। হিন্দুত্ব একটি পূর্ণতার ধারণা, যাতে সব সম্প্রদায়ের জন্য সমান জায়গা রয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন, দেশ এগোতে পারে কেবলমাত্র তখন, যখন বিভিন্ন সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয়। একটি তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতীয় সংবিধান পবিত্র এবং গোটা দেশকে তা মেনে চলতে হবে। আরএসএস সংবিধান পরিত্যাগ করতে চাইছে এবং মুসলমানদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে, এই ভয় দূর করতে চেয়েছিলেন তিনি। 

    তারপর ভাগবত বলেছিলেন, হিন্দুরা দুটি বিষয়ে খুবই সংবেদনশীল। প্রথমটি হল, গরু। আমরা বলেছিলাম মুসলিমরা এটা ভাল মতোই বোঝেন। ভারতের অধিকাংশ জায়গায় গোহত্যা বন্ধ হয়েছে। আইনভঙ্গকারীদের ইতিমধ্যেই আইন মেনে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। যে সব রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ হয়নি, সেখানে মুসলমানদের স্বেচ্ছায় গোমাংস পরিত্যাগ করা উচিত। এটা যদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তবে এটা করা উচিত। 

    আর একটি সংবেদনশীল বিষয়ের উল্লেখ করেন তিনি। সেটা হল হিন্দুদের (Hindu) ‘কাফের’ বলা হয়। আমরা বলেছিলাম আরবি শব্দ কাফের-এর আক্ষরিক অর্থ হল অ-বিশ্বাসী। যদি এটা অপমানজনক হয়, তবে মুসলমানদের এটা পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। খুব সহজ। খুব সম্ভব। কোরানে বলা হয়েছে, আল্লাহ হলেন রাব্বুল আলামিন, রাব্বুল মুসলিমীন নন। বিশ্বজগতের ঈশ্বর, কেবল মুসলমানদের নন। কোরান বলে, তোমার কাছে তোমার ধর্ম, আমার কাছে আমার।

    আমরা তাঁকে বলেছিলাম, একই ভাবে প্রতিটি মুসলমানের কাছে জেহাদি এবং পাকিস্তানি শব্দদুটিও অপমানজনক। এগুলি এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে তিনি সম্মত হয়েছিলেন। আমরা তাঁকে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাঁর কোনও সহযোগীর নাম বলুন যাঁর সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি। তিনি চারজনের নাম বলেছিলেন। প্রয়োজনে তাঁকেও জানাতে বলেছিলেন। আমি আমার সহকর্মীদের সম্মতিতে ভাগবতকে আমার বই ‘দ্য পপুলেশন মিথ: ইসলাম, ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড পলিটিক্স অফ ইন্ডিয়া’ উপহার দিই। 

    বৈঠকে আমি চারটি বিষয়ের উল্লেখ করেছি। এক, মুসলিমদের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সব চেয়ে বেশি বলে যা বলা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত। তিরিশ বছর আগে হিন্দু এবং মুসলমানের জন্মহারের অনুপাত ছিল ১:১। এখন তা নেমে হয়েছে ০.৩, যেহেতু মুসলমানরা এখন হিন্দুদের চেয়েও দ্রুত ফ্যামিলি প্ল্যানিং করছে। দুই, সাধারণ ধারণার বিপরীতে গিয়ে বলি, মুসলিমদের মধ্যে বহু বিবাহের ঘটনা খুবই কম অন্তত ভারত সরকারের রিপোর্ট এবং সেনসাস অনুযায়ী। তিন, বহুল প্রচলিত বহুবিবাহ ভারতে সম্ভবও নয়। নারী-পুরুষের অনুপাতের কারণেই তা সম্ভব নয়। প্রতি হাজার পুরুষে মহিলার সংখ্যা ৯৪০ জন। যার অর্থ ৬০ জন পুরুষ বউই পাবেন না। এটা শুনে ভাগবত প্রাণখোলা হাসি হেসেছেন। চার, অঙ্কের মডেলেই দেখা যাচ্ছে গত হাজার বছরে মুসলিমরা হিন্দুদের ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। আমার অনুরোধে এই মডেল তৈরি করেছিলেন অঙ্কের অধ্যাপক দীনেশ সিং এবং অজয় কুমার। 

    এই বৈঠক নিয়ে মিডিয়া অক্সিজেন পেয়েছে। তাই খবর করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। প্রতিক্রিয়া? দারুণভাবে পজিটিভ। সংরক্ষণ? আরএসএস বদলাবে না। হতে পারে, নাও হতে পারে। সমালোচনা: আমরা তাদের বৈধতা দিচ্ছি। যদিও, বৈধতাদানের প্রয়োজন ওদের নেই। তারা ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হয়ে উঠেছে। আর আমরা? এক ঝাঁক অবসরপ্রাপ্ত লোক যাঁরা কর্মজীবনে সফল ছিলাম এবং এখন সমাজ এবং দেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন। 

    আমরা কি গোটা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছি? আমাদের কেউই নির্বাচিত কিংবা মনোনীত নন। কিন্তু আমরাও এই সম্প্রাদায়ের অংশ। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পর্যবেক্ষণের জায়গা রয়েছে। এটা আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। আমরা কি এলিটিস্ট? সম্ভবত। কিন্তু আমাদের অভিযোগকারী যাঁরা, তাঁরা রাজপ্রাসাদে বসবাস করেন, যাঁদের বাড়িঘর আমাদের বাড়িঘরের চেয়ে ১০-১৫ গুণ বড়। 
    আমরা অশিক্ষিত নই। আমরা বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন: গণধোলাই, গণহত্যা, ধর্ষণ, অর্থনৈতিক বয়কট, ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন, বাড়িঘর এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য। আমাদের দ্বন্দ্ব: আমরা মিডিয়ার কাছে কতটা এক্সপোজ করব? আমরা প্রথমে তাদের কাছে যেতে চাইনি। কিন্তু যখন তারা অ্যাপ্রোচ করেছিল, তখন আর আমরা তাদের কাছ থেকে নিজেদের লুকিয়ে রাখিনি। 

    সর্বোপরি, আমরা এক মাস ধরে মিডিয়ার কাছে বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিলাম। যখন আমরা ডজন ডজন বন্ধুদের কাছে মুক্তভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম। এটা সেই নিন্দুকদের জবাব দেবে, যারা বলেছিল আমরা প্রচার পাওয়ার জন্য এটা করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই কথোপকথন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমাদের হারানোর কিছু নেই। কিন্তু লাভ করার জন্য সব কিছু আছে। আমরা আমাদের ফিলিংসের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি। আমরা আশা করি, তিনি আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন।

    লেখক দেশের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। প্রবন্ধটি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে অনুবাদ করা হয়েছে।

  • PFI on RSS: টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    PFI on RSS: টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখতে প্রাণপাত করছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) নেতারা। উন্নততর ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন তাঁরাও। সেই তাঁদেরই ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI) নামে একটি মুসলিম সংগঠনের গুপ্তচররা। বৃহস্পতিবার দিনভর দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালান গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় প্রায় দুশো পিআইএফ নেতাকর্মীকে। ধৃতদের জেরা করেন গোয়েন্দারা। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় পিএফআই। ২০০৬ সালে কেরলে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী কালে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ তিনটি সংগঠন মিলিত হয়ে তৈরি হয় পিএফআই। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার এনআইএ এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, আসাম, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। গ্রেফতার করা হয় ১৯৬ জনকে। এদের মধ্যে ৪৫ জন নেতাও রয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, আরএসএস নেতাদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিএফআইয়ের গুপ্তচর শাখা তাহলিলকে। তারাই আরএসএসের নেতা, বাড়ির লোকজন, গাড়ির চালক মায় পরিচারকদের গতিবিধির ওপরও নজরদারি চালাত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরএসএসের যত শাখা রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কেও বিস্তারিত খোঁজখবর রাখত তাহলিল।  

    আরও পড়ুন : খুন, বিস্ফোরক রাখা, সন্ত্রাসবাদে মদত— কী কী অভিযোগ পিএফআই-এর বিরুদ্ধে?

    সূত্রের খবর, আরএসএসের নেতাদের অফিস ও বাড়িতে রেকিও করেছে পিআইএফের গোয়েন্দারা। এই তাহলিলের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈইবার যোগাযোগ ছিল। আরএসএস নেতাদের সম্পর্কে অনেক তথ্যই তাহলিল দিয়েছে লস্কর-ই-তৈইবাকে। পিএফআইয়ের মতে, আরএসএস নেতাদের সম্পর্কে জোগাড় করা তথ্য ফাইনাল রোডম্যাপের ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কেবল তাই নয়, তাহলিলের আরও একটি কাজ হল সমাজে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে কৌশলে বিভেদ ঘটানো। যাতে করে জনমানসে আরএসএস সম্পর্কে নঞর্থক ধারণা তৈরি হয়।

    সম্প্রতি দিল্লিতে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তার পরের দিনই তাঁকে রাষ্ট্রপিতা অভিধায় ভূষিত করেছে ভারতীয় ইমাম সংগঠন। জাতি গঠনে এই আরএসএস প্রধানের ভূমিকাও স্বীকার করেছে তারা। এহেন আবহে পিএফআইয়ের এমন তথ্য সামনে আসায় শঙ্কিত দেশবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • RSS: জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    RSS: জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কে (Gyanvapi Mosque Row) ইতি পড়েনি। থামেনি হিজাব বিতর্কও (Hijab Row)। এহেন আবহে মুসলমান বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। জানা গিয়েছে, ধর্মীয় ঐক্য বজায় রাখতেই তিনি বৈঠক করেন  মুসলমান বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, এক সময় কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙেই তৈরি করা হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। মসজিদের ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদী নানা সংগঠনের। এই বিতর্কের মীমাংসা এখনও হয়নি। আদালতে চলছে মামলা।

    কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে আসা যাবে না বলেও নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের সেই নির্দেশিকাকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। মামলা গড়ায় আদালতে। সুপ্রিম কোর্টে এখনও চলছে সেই মামলার শুনানি। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের মুসলমান বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আরএসএস প্রধানের বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সংঘ প্রধানের সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ঐক্যসাধন কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক, হিজাব বিতর্ক এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে দু পক্ষে।

    আরও পড়ুন : আদর্শ সমাজের লক্ষ্যে রায়পুরে বসতে চলেছে আরএসএস-এর বার্ষিক সমন্বয় বৈঠক

    মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আরএসএস প্রধানের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি, দিল্লির প্রাক্তন গভর্নর লেফটেন্যান্ট নাজিব জং, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামিরউদ্দিন শাহ, প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকি এবং ব্যবসায়ী সৈয়দ শেরাভানি। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সিদ্দিকি। তিনি জানান, দেশবাসীর মধ্যে শান্তি এবং সৌভ্রাতৃত্বের ভাব কীভাবে বজায় রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে যা চলছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এতে দেশের ধর্মীয় ঐক্য দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই আমরা কীভাবে দেশে শান্তি বজায় রাখা যায়, কীভাবেই বা বজায় রাখা যায় সৌভ্রাতৃত্ব, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রাক্তন এই সাংসদ বলেন, মোহন ভাগবত একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের সমর্থক বহু মানুষ। তাই আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে ধর্মীয় ঐক্য নিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat) ‘রাষ্ট্রপিতা’ (Rashtra Pita) আখ্যা দিল ভারতীয় ইমামদের সংগঠন। তাঁকে ‘রাষ্ট্রঋষি’ (Rashtra Rishi) বলেও সম্বোধন করেছে ইমামদের ওই সংগঠন। মুসলিম ইমামদের সংগঠনের তরফে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতকে এহেন অভিধায় ভূষিত করায় খুশি তামাম ভারত।

    দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার চেষ্টায় প্রাণপাত করছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। দিন দুই আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের এই প্রধান বৈঠক করেছিলেন মুসলমান সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। তার পরে পরেই পরিদর্শন করেন দিল্লির একটি মসজিদ। সেখানে ভাগবতের সঙ্গে ইমাম উমের আহমেদ ইলিয়াসির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে ঘণ্টাখানেক ধরে। ইলিয়াসির ভাই সুহাইব ইলিয়াসি বলেছিলেন, এটা দেশের পক্ষে একটি ভাল বার্তা দেবে।

    এর পরে পরেই ইমাম ইলিয়াসি বলেন, মোহন ভাগবতের আমাদের এখানে আসা বিরাট ব্যাপার। তিনি বৈঠক করতে ইমাম হাউসে এসেছিলেন। তিনি বলেন, তিনি (ভাগবত) আমাদের রাষ্ট্রপিতা এবং রাষ্ট্রঋষি। ইমাম বলেন, দেশের ঐক্য এবং একতা বজায় রাখা উচিত। আমরা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা পথে সর্বশক্তিমানের আরাধনা করতে পারি। কিন্তু তারও আগে আমরা মানুষ। আমরা ভারতে বাস করি এবং আমরা ভারতীয়। তিনি বলেন, ভারত অচিরেই বিশ্বগুরুতে পরিণত হবে। এবং এজন্য আমাদের প্রত্যেকের লড়াই করা উচিত। উমরের ভাই সুহাইব ইলিয়াসি বলেন, সংঘের সঙ্গে আমাদের বাবার একটা পুরানো সম্পর্ক রয়েছে। জামিল ইলিয়াসির মৃত্যুবার্ষিকীতে মোহন ভাগবত মসজিদে এসেছিলেন। এটা একটা পারিবারিক প্রোগ্রাম।

    আরও পড়ুন : ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    আরএসএসের তরফে জানানো হয়েছে, ইলিয়াসি একটি মাদ্রাসাও চালান। সেই মাদ্রাসা দেখতে ভাগবতকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। মসজিদের পাশাপাশি সেই মাদ্রাসাও পরিদর্শন করেন সরসংঘ চালক। আরএসএসের এক নেতা জানান, মাদ্রাসায় ছাত্রদের কোরান পড়তে দেখে ভাগবত তাদের গীতা পড়ানো হয় না কেন, তা জানতে চান। তিনি বলেন, ভাগবতজি মাদ্রাসার ছাত্রদের কাছে দেশের নাম জানতে চান। বড় হয়ে তারা কী হতে চায়, তাও জানতে চান। পড়ুয়াদের তিনি বলেন, গোটা ভারতটাই এক, অখণ্ড। আসমুদ্র হিমাচল এক। প্রত্যেকের পথকে শ্রদ্ধা করা উচিত। প্রত্যেকের জীবন রক্ষা করা উচিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • RSS: আদর্শ সমাজের লক্ষ্যে রায়পুরে বসতে চলেছে আরএসএস-এর বার্ষিক সমন্বয় বৈঠক

    RSS: আদর্শ সমাজের লক্ষ্যে রায়পুরে বসতে চলেছে আরএসএস-এর বার্ষিক সমন্বয় বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজ গঠনে আরএসএসের (RSS) ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই যারা নিরলসভাবে সমাজে কল্যাণমূলক কাজকর্ম করে চলেছে, আরএসএস প্রভাবিত সেই সব সংগঠনের পদাধিকারীদের নিয়ে সমন্বয় বৈঠকে বসছে আরএসএস। সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে বৈঠক হবে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে (Raipur)। 

    সংগঠনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে সংগঠনগুলো বর্তমানে সক্রিয় এবং যারা শিক্ষা থেকে শুরু করে অর্থনীতি, সেবা, জাতীয় সুরক্ষা ক্ষেত্র এবং বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় নিয়ে কাজ করছে, তাদের সেই কাজকর্ম ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে, অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ কাজ সম্পর্কিত প্রেজেন্টেশন পেশ করবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat), সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবালে (Dattatreya Hosabale), পাঁচজন সহ সরকার্যবাহ এবং সংঘের অন্য পদাধিকারীরাও। বৈঠকে পরিবেশ, পরিবার এবং সামাজিক সমরাস্ত্র নিয়েও আলোচনা হবে। বিভিন্ন সংগঠনে সক্রিয় স্বয়ংসেবকদের সঙ্গে আরএসএস নানা বিষয়ে আলোচনা করবে।

    আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, এই সমন্বয় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় মজদুর সংঘের শ্রী হিরন্ময় পাণ্ড্যা, শ্রী বি. সুরেন্দ্রণ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শ্রী অলোক কুমার, শ্রী মিলিন্দ পারন্দে। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের শ্রী আশীষ চৌহান এবং শ্রীমতি নিধি ত্রিপাঠি। উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শ্রী জেপি নাড্ডা এবং শ্রী বি এল সন্তোষ। বৈঠকে থাকবেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের শ্রী দীনেশ কুলকার্নি, বিদ্যা ভারতীর শ্রী রামকৃষ্ণ রাও এবং শ্রী গোবিন্দ মহান্তি। এছাড়া, রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির বন্দনীয়া শ্রীমতী শান্তাক্কা এবং শ্রীমতী অন্নদানম সীতাক্কা, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম থেকে শ্রী রামচন্দ্র খারদি এবং শ্রী অতুল জোগ সহ ছত্রিশটি সংগঠনের পদাধিকারী প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

    আরও পড়ুন : সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, সব মানুষই আমার, ঘোষণা মোহন ভাগবতের

    আরএসএস যে ভারতকে বিশ্বে একটি মডেল সোসাইটি বা আদর্শ সমাজ হিসেবে তুলে ধরতে চায়, গত রবিবার দিল্লি ইউনিটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেছিলেন, সংগঠন (আরএসএস) কাজ করছে সমাজকে জাগ্রত করতে এবং সমাজকে একত্রিত করতে। যাতে গোটা বিশ্বে সেটা একটা মডেল সোসাইটি হয়ে দাঁড়ায়। ওই অনুষ্ঠানে তিনি ‘আমি’ এবং ‘আমার’ চেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন ‘আমাদের’ ওপর। 

    ভাগবতের ভাষায়, সংঘ (আরএসএস) সমাজকে জাগ্রত করার কাজ করে চলেছে, এক সুতোয় বাঁধতে চলেছে, একে আরও সংগঠিত করে একটি সত্তায় পরিণত করার কাজ করে চলেছে যাতে করে তামাম বিশ্বে ভারত একটি আদর্শ সমাজ হিসেবে উত্থিত হতে পারে। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। কিন্তু তার পরেও একটি সমাজ হিসেবে বিকশিত হতে আমাদের সময় লেগেছিল। এর পরেই সংঘ প্রধান বলেন, যখন সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করি তখন ‘আমি এবং আমার’ বদলে আমাদের প্রয়োজন ‘আমাদের’ ওপর গুরুত্ব দেওয়া। এটাই আমাদের সাহায্য করবে একটা সমাজ হিসেবে গড়ে উঠতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • RSS: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, সব মানুষই আমার, ঘোষণা মোহন ভাগবতের

    RSS: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, সব মানুষই আমার, ঘোষণা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও আমারই। রবিবার স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে এই কথা স্মরণ করিয়ে দেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, এই জগৎ বৈপরীত্যে ভরপুর। এর মধ্যে বিভিন্ন মতামত, আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে একসঙ্গে সামলানোর (Managing Dualities) ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে ভারতের। বৈচিত্র্যকে কীভাবে সঠিকভাবে পরিচালন করা যায়, কীভাবে তার মধ্যেও একতাকে অটূট রাখা যায়, সেই কৌশল শেখার জন্য ভারতের দিকেই তাকিয়ে তামাম বিশ্ব। কারণ সেখানেই বিরাজ করছে বৈচিত্রের সহাবস্থান।

    আরএসএ প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, এমন অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে, যেগুলি আমাদের কখনওই বলা হয়নি। ঠিকঠাক ভাবে শেখানোও হয়নি। তিনি বলেন, আমরা ভুলে গিয়েছি আমাদের নিজস্ব প্রজ্ঞা এবং জ্ঞান। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে বৈদেশিক শক্তির আক্রমণের কথা বলা হয়েছে ইতিহাসে। এই শক্তি মূলত এসেছিল উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে। আরএসএস প্রধান বলেন, আমরা অযথা সম্প্রদায় এবং এই জাতীয় বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিই। এগুলি মানুষে মানুষে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।

    আরও পড়ুন : ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    ভাগবত বলেন, মানুষে মানুষে ভাষা, পোশাক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে ছোট ছোট পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু তাঁদের একটা বড় মন থাকতে হবে, যাতে এই পার্থক্যগুলি আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে। এর পরেই সংঘ প্রধান মনে করিয়ে দেন, এই দেশের সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষই আমার। আমাদের এমন ভালবাসাই প্রয়োজন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শনিবার ভাগবত নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে তেরঙা উত্তোলন করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিলেন। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন তোলা হয় তেরঙা।

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত আরএসএসের সদর দফতরে উড়ত কেবলই গেরুয়া পতাকা। সম্ভবত এবারই প্রথম উড়ল তেরঙা। এর ঠিক একদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপিতেও গেরুয়ার বদলে তেরঙার ছবি দিয়েছিল আরএসএস। বদলেছিল সংঘ প্রধানের ডিপির ছবিও। এদিন আরএসএসের সদর দফতরে যান নাগপুর জেলা কালেক্টর আর বিমলা (R Vimla)। ভাগবতকে তিনি উপহার দেন একটি জাতীয় পতাকা।

    আরও পড়ুন : দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

  • RSS: বদলে গেল আরএসএসের ট্যুইটারের ডিপির ছবি, গেরুয়ার বদলে সেখানেও তেরঙা

    RSS: বদলে গেল আরএসএসের ট্যুইটারের ডিপির ছবি, গেরুয়ার বদলে সেখানেও তেরঙা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল আরএসএসের (RSS) অফিশিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের ডিপি (DP)। এতদিন সেখানে সংঘের গেরুয়া পতাকা ছিল। এখন সেখানেই উড়ছে তিরঙ্গা (Tricolor)। বদলেছে আরএসএসের সংঘচালক মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) ডিপির ছবিও। এর পাশাপাশি শনিবার আরএসএসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ডাক দেওয়া হয় আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে (Azadi ka Amrit Mahotsav)  অংশ নেওয়ার। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশবাসী যাতে ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা তোলেন, তাও বলা হয়েছে।

    আরএসএস  কেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা ব্যবহার করছে না? প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। তখনই তার জবাবও দিয়েছিলেন আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনার রাজনীতিকরণ করা ঠিক নয়। আরএসএস ইতিমধ্যেই ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচি সমর্থন করেছে।

    আরও পড়ুন :”রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    প্রসঙ্গত, গত মাসে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দেশবাসীকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অধীনে ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত আমরা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা ব্যবহারের অনুরোধও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার ডিপির ছবি বদলেছে আরএসএসও। শুক্রবার আরএসএসের প্রচার বিভাগের সহ তত্ত্ববধায়ক নরেন্দর ঠাকুর (Narender Thakur) বলেন, সংঘও তার প্রতিটি অফিসে স্বাধীনতা দিবস পালন করছে। উত্তোলন করছে জাতীয় পতাকাও। তিনি বলেন, আরএসএস কর্মীদেরও সক্রিয়ভাবে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি প্রচার করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    এর আগে আম্বেকরও জানিয়েছিলেন, অমৃত মহোৎসব নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিটি কর্মসূচি আমরা সমর্থন করেছি। দেশবাসী এবং স্বয়ংসেবকদের কাছেও আজাদি কা অমৃত মহোৎসব মর্যাদার সঙ্গে পালনের আবেদন জানানো হয়েছে আরএসএসের তরফে।

     

LinkedIn
Share