Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: কমিশনের ওয়েবসাইটে জয়ী দেখালেও সার্টিফিকেট পাননি বিজেপি প্রার্থী, তীব্র চাঞ্চল্য

    Murshidabad: কমিশনের ওয়েবসাইটে জয়ী দেখালেও সার্টিফিকেট পাননি বিজেপি প্রার্থী, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৬ ভোটে জিতলেও এখনও দেওয়া হয়নি সার্টিফিকেট! ঠিক এমনই অভিযোগ করলেন ফরাক্কা ব্লকের নয়নসুখ পঞ্চায়েতের ১২২ নং বুথের গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থী মাধবী মণ্ডল। নির্বাচন মিটে গিয়ে ফলাফল ঘোষণার পরেও কেন জয়ী প্রার্থীরা সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না এখনও? এই অভিযোগে শোরগোল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায়।

    কী অভিযোগ (Murshidabad)?

    ভোটের গণনার পর বুথের (Murshidabad) বিজেপি প্রার্থী মাধবী মণ্ডলের স্বামী অভিযোগ করে বলেন, গণনার দিন বিজেপি প্রার্থী ৯৬ ভোটে জিতেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও বিজয়ী হিসাবে মাধবী মণ্ডলের নাম রয়েছে। কিন্তু সার্টিফিকেট চাইতে গেলে জানতে পারেন, তৃণমূল প্রার্থী শিলা মণ্ডল জয়ী হয়েছেন। এরপর আর সার্টিফিকেট পাননি। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়। অবশেষে ফরাক্কার বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানান এই বিজেপি প্রার্থী।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী মাধবী মণ্ডল বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জানতে পারি আমি জয়ী হয়েছি। সার্টিফিকেট চাইতে গেলে বিডিও বলেন, এক ঘণ্টা পর নিয়ে যেতে। এরপর আবার সার্টিফিকেট নিতে গেলে বিডিও (Murshidabad) বলেন, আমি ২ ভোটে পরাজিত হয়েছি! অথচ ওয়েবসাইটে জয়ী প্রার্থী হিসাবে আমার নাম রয়েছে। তাই আমি বিডিওর কাছে সার্টিফিকেট না পাওয়ার অভিযোগ করলাম। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল প্রার্থী চক্রান্ত করে ভোটের ফলাফলকে বদলে দিয়েছে।  

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের এক স্থানীয় (Murshidabad) নেতা বলেন, ভোট গণনা হয়েছে ১১ তারিখ। কিন্তু অভিযোগ করছেন সাতদিন পরে আজ! এত দিন কী করছিলেন? যদি তাঁর গণনা নিয়ে সমস্যা থাকে তাহলে গণনার পর সঙ্গে সঙ্গেই কেন বলেননি। ফলাফল ঘোষণার পর ভুল করে বিজেপি প্রার্থীর নাম দেওয়া হয়েছে। আসলে তৃণমূলের ভোট বিজেপির বলে ঘোষণা হয়েছিল। সব ব্যালট রাখা আছে, মনে হলে আরেকবার গুণে নিতে পারেন। আসলে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ভুল করে নাম উঠে গিয়েছিল এই বিজেপি প্রার্থীর। মূলত এটা সাইটের গোলমাল হয়েছিল। এখন হেরে যাওয়ায় বিজেপি নাটক করছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কনেকে লিপস্টিক পরানো যাবে না! বর পক্ষের দাবি ঘিরে সংঘর্ষ, আহত ৫

    Murshidabad: কনেকে লিপস্টিক পরানো যাবে না! বর পক্ষের দাবি ঘিরে সংঘর্ষ, আহত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনেপক্ষের দাবি, তারা মেয়েকে মেক-আপ করাবে, মানতে নারাজ বরপক্ষ। এই নিয়ে বচসা, তারপর হাতাহাতি, পরে মাথা ফাটল বরের। বিয়েবাড়িতে লেগে গেল মারামারি, যার জেরে আহত পাঁচজন। সকলেই হাসপাতালে ভর্তি।

    ঘটনার বিবরণ

    ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার সন্তোষপুর দেওয়ানপাড়া এলাকায়। বরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ মাস আগে বিয়ে হয়। মঙ্গলবার সন্তোষপুরে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত হয় বরপক্ষ। অভিযোগ, কনেকে সাজাতে গিয়ে লিপস্টিক ও টিপ পরানো হয়। যা মেনে নিতে পারেনি বরপক্ষ। প্রতিবাদ করতে গেলে বরের দিদিকে মেরে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কনের পরিবারের বিরুদ্ধে! তারপরে শুরু হয় তুমুল বচসা। বচসা এক পর্যায়ে গিয়ে সংঘর্ষে পরিণত হয়, সেখানেই আহত হয় পাঁচজন। সকলেই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন! আহতরা সকলেই সাগরদিঘি থানার সেখদিঘি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    কী বলছেন বর?

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন বর মিনহারুল সেখ। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম কনেকে যেন টিপ না পরানো হয়। কিন্তু জোর করে এই কাজ করে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাধা দিতে গেলে আমার শ্বশুর, শালা সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার দিদির ওপর। মারা হয় আমার ভাগ্নেদেরকেও। তখন আমরা দাবি করি, চড়ের বদলা চড় লাগবে। ওরা সেটা মানতে চায়নি বলে সংঘর্ষ শুরু হয়, বাঁশ, লাঠি এইসব দিয়ে।’’ 

    পাঁচজন বেশি কনে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য বরপক্ষ-কন্যাপক্ষের মধ্যে মারামারি বীরভূমে

    উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বরপক্ষের বাড়ির লোকজন। কিন্ত, কনেপক্ষ পাঁচ জন বেশি নিয়ে গিয়েছিল। এটাই অপরাধ। আর তাই প্যান্ডেলে বসে ভুরিভোজ খাওয়ার বদলে জুটল উত্তম-মধ্যম। বরপক্ষের হামলায় কনেপক্ষের বাড়ির বেশ কয়েকজন জখম হন। সোমবার ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের দুবরাজপুরের শিমুলডিহি গ্রামে। আহত হয়ে বেশ কয়েকজন ভর্তি সিউড়ি হাসপাতালে। অন্যদিকে কনের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বউভাতের দিন বর সহ বরপক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: বল ভেবে খেলতে গিয়ে দৌলতাবাদে বোমা বিস্ফোরণে জখম তিন স্কুল পড়ুয়া

    Bomb Blast: বল ভেবে খেলতে গিয়ে দৌলতাবাদে বোমা বিস্ফোরণে জখম তিন স্কুল পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পঞ্চায়েত ভোট থেকে মুড়ি মুরকির মত আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকছে বোমা। প্রতিদিনই প্রশাসন বোম উদ্ধার করছে এবং এই বোমের আঘাতে অনেকে জখমও হচ্ছে। সোমবারই ফের বোমা বিস্ফোরণ ঘটল মুর্শিদাবাদে। বল  ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হল তিন স্কুল পড়ুয়া। সোমবার ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার দৌলতাবাদের গুরুদাসপুর গ্রামে। জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। বোমা মজুতকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানা তাঁরা।

    কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন পড়ুয়া দৌলতাবাদের গুরুদাসপুর প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র। এদিন স্কুল থেকের ফেরার পর পরই তারা তিনজনে মিলে খেলা করতে যায়। বাড়ির কাছে সাঁকোর নীচে বলের মতো একটি বস্তু দেখে তারা খেলা করতে যায়। সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। আর তিনজন ছিটকে পড়ে। বিকট শব্দ শুনে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত ১৫ জুলাই সালার থানার কাগ্রামে দুজন শিশু কৌটো বোমাকে খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তাতে দুজনই জখম হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    জখম পড়ুয়ার পরিবারের এক সদস্য বলেন, আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়া আমার ভাগ্নে হয়। এভাবে যেখানে  সেখানে বোমা ফেলে রাখা অন্যায়। আরও হয়তো অনেক বোমা গ্রামে পড়ে রয়েছে। যে বা যারা বোমা রেখেছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। কারণ, পুলিশের উদাসীনতার কারণেই এত বোমা রাস্তাঘাটে পড়ে থাকছে। আরও অনেকের বিপদ হতে পারে। এভাবে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাই কঠিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভোটের দিন বুথে তৃণমূলের সন্ত্রাস, হরিহরপাড়ায় ফের খুন হলেন সিপিএম কর্মী

    TMC: ভোটের দিন বুথে তৃণমূলের সন্ত্রাস, হরিহরপাড়ায় ফের খুন হলেন সিপিএম কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের জেরে মুর্শিদাবাদের আরও একজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রিন্টু শেখ। তাঁর বাড়ি হরিহরপাড়া ব্লকের নিয়ামতপুর গ্রামে। তিনি সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে  ভোট লুটের চেষ্টা করে। তাতে এই সিপিএম কর্মী বাধা দেন। এরপরই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে এতদিন ভর্তি ছিলেন। এদিন দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) হামলায় দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ভোটে তৃণমূল লুট করেছিল। সেটা বাধা দিতে গিয়ে আমাদের আরও এক কর্মীকে প্রাণ হারাতে হল।

    দৌলতাবাদে ও বড়ঞায় উদ্ধার হল বোমা

    দৌলতাবাদ থানার গৌরীপুর এলাকায় পাটের জমিতে তিনটি সকেট বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। জমিতে পাট কাটতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন বোমাগুলি দেখতে পান। তারপর দৌলতাবাদ থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বোমা তিনটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিন  বড়ঞায় দুই জার ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, নিমা গ্ৰামের মাঠ থেকে এদিন সকালেই এলাকার বাসিন্দারা একটি জার দেখতে পেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, পরে পুলিশ গেলে সেটি বোমা বলে জানানো হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই বড়ঞার সুন্দরপুর সংলগ্ন  হাতিশালা গ্রামের মাঠেও উদ্ধার হয়েছে আরও একটি জার ভর্তি তাজা বোমা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটের জন্য বোমা মজুত করেছিল। তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে সালারে বোমা বিস্ফোরণে জখম দুই শিশু

    Bomb Blast: খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে সালারে বোমা বিস্ফোরণে জখম দুই শিশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলনা ভেবে একটি কৌটো নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হল হল দুই শিশু। শনিবার সকালে ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার কাগ্রাম অঞ্চলের বাবলা গ্রামে। জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সাহিল শেখ এবং সাকিব শেখ নামে দুই শিশু বাড়ির কাছেই খেলা করছিল। রাস্তার পাশেই প্লাস্টিকে মোড়া কৌটো বোমা ছিল। তবে, কতগুলি বোমা ছিল তা জানা যায়নি। দুই শিশু সেটিকে খেলনা ভেবে কৌটো বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। বিস্ফোরণের  জেরে গুরুতরভাবে দুজন জখম হয়। দুজনকেই চিকিৎসার জন্য সালার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাবলা গ্রামে প্রায় পাঁচটি কৌটো বোমা পড়েছিল। আর সেই কৌটো বোমাকে খেলনা ভেবে খেলতে যাই দুই শিশু। একটি কৌটো বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে ওই এলাকায় আরও চারটি কৌটো বোমা পড়ে আছে। ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছই সালার থানার পুলিশ। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে ওই বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    জখম শিশুর এক পরিবারের সদস্য বলেন, আক্রান্ত শিশু আমার ভাইপো। এভাবে যেখানে  সেখানে বোমা ফেলে রাখা অন্যায়। আরও হয়তো অনেক বোমা গ্রামে পড়ে রয়েছে। পুলিশ তল্লাশি করলে খুঁজে পাবে। আমাদের দাবি, যে বা যাদের জন্য আমাদের বাড়ির দুই সন্তান এভাবে জখম হল, তাদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: এবার বিরোধীদের বাড়িতে পুলিশি তাণ্ডবের অভিযোগ! ইসলামপুরে শোরগোল

    Murshidabad: এবার বিরোধীদের বাড়িতে পুলিশি তাণ্ডবের অভিযোগ! ইসলামপুরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার নানা ঘটনার কথা শোনা গেলেও এবারের ছবিটা অন্য রকম। বাড়ি ভাঙচুর ও মহিলাদের গালিগালাজের অভিযোগ এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ইসলামপুর থানার হেরামপুর নতুনপাড়া গ্রামে।

    মূল অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    গ্রামবাসীদের (Murshidabad) অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের দিন তৃণমূল কংগ্রেস হেরামপুর নতুনপাড়া বুথ দখল করতে গিয়ে বোম ও গুলি চালিয়েছিল। আর তাতেই জখম হয় সিপিএমের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। অথচ সিপিএমের নামেই এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। আর তার ফলে আসামি তুলতে গিয়ে তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বাড়িতে থাকা প্রতিবন্ধী মহিলার উপরও অত্যাচার চালায় পুলিশ। মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পুলিশের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ নাজেহাল।

    আক্রান্ত মহিলার বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলা রোশনা বিবি বলেন, পুলিশ আমাদের বাড়িতে (Murshidabad) এসে বোমা, গুলি, বন্দুক উদ্ধারের নামে প্রচুর অত্যাচার চালায়। তৃণমূল না করে কেন সিপিএম করি! সেই জন্য আমাদের উপর চড়াও হয় পুলিশ। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ এসে হুমকি দিয়ে বলে মহিলা হয়ে কেন রাজনীতি করছিস? রাজনীতি বার করে দেবো!’ এই প্রসঙ্গে রোশনা বিবি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি সিভিকদেরও প্রচুর দৌরাত্ম্য! বাড়িতে এসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বাড়িতে থাকতে পারছি না আমরা।

    সিপিএমের বক্তব্য

    এলাকার (Murshidabad) সিপিএম নেতা নাসিরুদ্দিন শেখ বলেন, আমরা মনোনয়নের দিনে মনোনয়ন করতে গেলে আমাদের বোমা মেরে ভয় দেখিয়ে বের করে দেয়। এরপর তৃণমূলের কথায় পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। গতকাল রাতে থানার ওসি সঞ্জীববাবু এবং বাকি আরও ৫ জন সিভিক এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। একটা বাক্স, চেয়ার, আলমারি, দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। শুধু তাই নয়, বাড়ির গয়না, টাকা, দলিল পর্যন্ত নিয়ে চলে যায়। কেন তাঁরা সিপিএম পার্টি করেন! এটাই তাদের মূল আক্রোশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: হিংসা অব্যাহত! মুর্শিদাবাদে ভোটের বলি ১, হামলায় জখম আরও ১

    Panchayat Vote: হিংসা অব্যাহত! মুর্শিদাবাদে ভোটের বলি ১, হামলায় জখম আরও ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দিন হামলায় জখম আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদে। শুক্রবার সকালে মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই রঘুনাথগঞ্জের চর বাজিতপুরের চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সইবুর রহমান(৬০)। তিনি এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বড়োশিমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের চর বাজিতপুরে। এদিন সকালেই কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গত শনিবার ভোটের (Panchayat Vote) দিন দুষ্কৃতীরা প্রথমে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, সোমবার মৃতের আরও এক ভাই মইদুল শেখের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী  আকরুজ্জামান বলেন, ‘‘সকালেই আমি এই দুঃসংবাদ পেয়েছি। ভোটের দিন ওখানে আমাদের দলীয় কর্মীদের বেধড়ক মারা হয়। একজনের মৃত্যু হল। সাতজন এখনও হাসপাতালে রয়েছে। আমি প্রশাসনকে বলেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।’’ 

    সামশেরগঞ্জে হামলায় গুরুতর জখম সিপিএম প্রার্থীর শ্বশুর সহ দুই

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের উত্তপ্ত হল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ। এখানকার নিমতিতা অঞ্চলের দুর্গাপুর গ্রামে সিপিএম প্রার্থী মাস্তুরা খাতুনের শ্বশুরের ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়। সন্ধ্যায় স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো সামশেরগঞ্জেও ভোটের (Panchayat Vote) দিন ছাপ্পা চলছিল, সেসময় তা দেখে সরব হয় বিরোধীরা। তখনই সিপিএমের প্রার্থী মাস্তুরা খাতুনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় তৃণমূল প্রার্থী। রেজাল্ট বের হতে দেখা যায় ওই বুথে জিতেছে তৃণমূল। ভোটে (Panchayat Vote) জিতেই প্রাণঘাতি হামলা চালায় তৃণমূল প্রার্থী ও তার দলবল। এমনটাই অভিযোগ সিপিএম প্রার্থীর শ্বশুর সাহেব শেখের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    শুক্রবার আহতের অবস্থার অবনতি হলে জঙ্গিপুরে স্থানান্তর করা হয়

    গুরুতর আহত অবস্থায় অনুপনগর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় সিপিএম প্রার্থীর শ্বশুর সাহেব শেখকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার তাঁকে স্থানান্তর করা হয় জঙ্গিপুরে। ঘটনাস্থলে এখনও মোতায়েন  রয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। হাসপাতাল চত্বরে শুক্রবার মাস্তুরা খাতুন বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতা আনসার ও তার দলবলেরা আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়। আমার শ্বশুর এবং ভাইকে মারধর শুরু করে তারা। আমাকেও বেধড়ক মারে ওরা। এই ঘটনায় আমরা বিচার চাইছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিজয় মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: বিজয় মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী প্রকাশ্যে চলে এল। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর করার পাশাপাশি বোমাবাজি করার ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরতলা মাঠপাড়া এলাকায়। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এক মহিলা সহ ১০ জন জখম হয়েছেন।

    কী কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে?

    রঘুনাথগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরতলা মাঠপাড়া এলাকায় বরাবরই তৃণমূলের (TMC) দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। এবার মহিউদ্দিন সেখকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়। তাঁর অপর গোষ্ঠীর লোকজন তা মেনে নিতে পারেননি। তাঁকে হারানোর জন্য অপর গোষ্ঠীর লোকজন সবরকম চেষ্টা করেন। কিন্তু, বুধবার গণনা শেষ হতে দেখা যায়, মহিউদ্দিন সাহেব ভাল ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। এর পরই তাঁর অনুগামীরা এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন। সেই মিছিল শেষ হওয়ার পর দলীয় কর্মীরা নিজের বাড়ি চলে যান। আচমকা দলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণকারী সকলের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বোমোবাজিও করা হয়। সোনার গয়না এবং লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করা হয় বলে অভিযোগ। একাধিক মোটর বাইক, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। বোমার আঘাতে একাধিক কর্মী জখম হন।

     কী বললেন আক্রান্ত এক তৃণমূল (TMC) কর্মী?

    বোমার আঘাতে তৈমুর হক নামে এক তৃণমূল (TMC) কর্মী জখম হন। তিনি বলেন, বিজয় মিছিল শেষ হওয়ার পর পাড়াতেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। তখন ফোন করে হামলা চালানোর বিষয়টি জানানো হয়। আমি ছুটে ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়েছে। আসলে ওরা আমাদের প্রার্থীকে হারানোর অনেক চেষ্টা করেছিল। সেটা করতে পারেনি। এরপর বিজয় মিছিল দেখার পরই ওরা এই হামলা চালিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নবগ্রামে দুধ ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    Murshidabad: নবগ্রামে দুধ ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খুন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। এবার খুনের ঘটনা ঘটল নবগ্রামের মাঝিগ্রাম এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গৌর ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই জেলায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিনই সাগরদিঘি এলাকায় এক কংগ্রেস এজেন্টকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজেশ সেখ নামে কংগ্রেসের সেই এজেন্ট এতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবারই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের জেলায় খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সূত্র পাওয়া যায়নি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের মাঝিগ্রাম এলাকার দুধ ব্যবসায়ী গৌর ঘোষ প্রতিদিনের মতো দুধ দিতে জারুলিয়া গ্রামে যান। বুধবার রাতে তিনি সেই গ্রামে গিয়েছিলেন। রাতে জারুলিয়া থেকে ফেরার পথে মাঝিগ্রাম গ্রামে ঢোকার রাস্তায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। কে বা কারা তাঁকে খুন করেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। এমনকী কারও সঙ্গে বিবাদও ছিল না তাঁর। তা সত্ত্বেও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য নবগ্রামের মাঝিগ্রাম এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে নবগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে, ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃতের দাদার বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। আমার ভাই কেমন তা এলাকার মানুষ জানেন। কারও সঙ্গে কোনও বিবাদ ছিল না। তারপরও এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই, যে বা যারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ৩ জনের!

    Panchayat Poll: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ৩ জনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার জেরে আজ ফের ৩ জনের মৃত্যু হল। ফলে ভোটে (Panchayat Poll) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৮। আজ যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মালদার দুজন রয়েছেন। একজন রতুয়ায়, অন্যজন চাঁচলে। এছাড়া সাগরদিঘিতে রয়েছেন একজন কংগ্রেস কর্মী। রক্তস্নাত এই নির্বাচনের মৃত্যু মিছিল যেন থামছে না। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠল সামশেরগঞ্জে।

    রতুয়া ও চাঁচলে কারা খুন (Panchayat Poll) হলেন?

    ফের রাজনৈতিক (Panchayat Poll) প্রতিহিংসার বলি মালদায়। কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মালদা জেলার রতুয়া থানার ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর এলাকায়। মৃত কংগ্রেস কর্মীর নাম ফটিকুল হক, বয়স ২৪ বছর। অভিযোগের তীর ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী রোজিনা বিবি, তাঁর স্বামী তোফাজুল হক সহ তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী রোজিনা বিবি। আর জয়ের পরেই এলাকায় বেরিয়েছিল বিজয় মিছিল। সেই মিছিলেই ফটিকুল হকের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাচ্ছিল রোজিনা বিবির স্বামী ও তাঁর দলের কর্মীরা। আর তারই প্রতিবাদ করেছিলেন ফটিকুল হক। সেই সময় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পাশাপাশি তাঁর মাথায় বাঁশের আঘাত করা হয়। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে রাতেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ফটিকুল ও তাঁর মামা হবিবুরকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন বুধবার সকালে মৃত্যু হয় ফটিকুল হকের। অন্যদিকে, চাঁচল-২ ব্লকের পরাণপুর গ্রামে তৃণমূলের বিজয় মিছিল ছিল। মিছিলে মুফিজউদ্দিন নামে এক তৃণমূল কর্মী ছিলেন। গ্রামেই জালালউদ্দিনের পারিবারিক বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদ থামাতে যান মুফিজউদ্দিন। সেখানেই তাঁকে ইটের আঘাত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।

    সাগরদিঘিতে কে মারা (Panchayat Poll) গেলেন?

    মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে মৃত (Panchayat Poll) কংগ্রেস কর্মীর নাম রাজেশ শেখ। তিনি ১২০ নং বুথের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন। মৃতের পরিবার ও কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনের দিন সাগরদিঘির কিসমতগাদি এলাকার ১২০ নং বুথে জোর করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেসের এজেন্টকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিল। এছাড়াও কংগ্রেসের ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছিল না। এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এমনকী বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল না। পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে মৃতের পরিবার। রাজেশকে রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনার দিন আহত হলেও আজ দুপুরের পরে তিনি মারা যান বলে জানা যায়। 

    কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে বোমাবাজি

    জয়ী হয়ে বিজয় উল্লাসে বাজি ফাটাকে কেন্দ্র করে ফের বোমাবাজি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। বুধবার তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি (Panchayat Poll) করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বোমাবাজির ঘটনায় হাতে বোমা লেগে জখম এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার তিনপাকুরিয়া পঞ্চায়েতের পূর্ব দেবীদাসপুর এলাকায়। আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম অসিকুল আলম (২৫)। বর্তমানে তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে  তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ করে বোমা চালানোর অভিযোগ উঠলেও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বোমাবাজির পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share