Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    Murshidabad: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটকর্মীদের ট্রেনিং সেন্টারে এসে বিক্ষোভ দেখাল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ট্রেনিংয়ে আসা ভোটকর্মীরা বলেন, ‘কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, আর কেউ নয় রাজকুমার’। এরপর বিশেষ চিঠিও লেখা হয় কমিশনকে।

    কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি?

    ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল এক দফায়। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির এক স্কুল শিক্ষক ছিলেন রাজকুমার রায়। বুথের প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায় ভোট করতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গিয়েছিল রেল লাইনের ধারে। তাঁর মৃত্যুকে প্রশাসন সেই সময় আত্মহত্যা বললেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এই ঘটনাকে রাজনৈতিক দুষ্কৃতীদের দ্বারা বিশেষ হত্যাকাণ্ড বলেই দাবি করেছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা থেকে পরীক্ষা পর্যন্ত ভোটের আবহে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা সুস্থ নয় বলে মনে করছে যৌথমঞ্চ। দিকে দিকে বোমাবাজি, রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তাই ভোটকর্মী হিসাবে, ভোট করাতে গেলে তাঁদের জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নে আজ বহরমপুরে (Murshidabad) পঞ্চায়েত নির্বাচনের ট্রেনিং সেন্টারে আসা সমস্ত ভোটকর্মী কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে স্লোগান শুরু করেন। তাঁরা স্পষ্ট দাবি রাখেন, হাইকোর্টের অর্ডার অনুযায়ী প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। যদি প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়া যায়, তাহলে আমরা ভোট নিতে যাব না। এভাবেই সোচ্চার হন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মীরা।

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষে তাপস মণ্ডল বলেন, যদি রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়া হয়, তাহলে কেউ ভোট করতে যাবেন না। প্রত্যেক ভোট কর্মীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়। যাতে বলা হয়, আমরা কেউ রাজকুমার হতে চাই না! আজ পর্যন্ত রাজকুমারের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হল না। আমরা সকলেই গণতন্ত্র প্রেমী, শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন চাই। সাংবিধানিক ভাবে আমাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে বলে চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়। হিংসা মুক্ত নির্বাচন এবং রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করার দাবি রাখা হয় ওই চিঠিতে। যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ভোট কর্মী এই চিঠি মেল করবেন কমিশনকে। কয়েক লক্ষ মেল যাবে কমিশনের কাছে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়, আজ বিভিন্ন জেলার প্রতিটি ট্রেনিং সেন্টারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ হবে। সেই সঙ্গে গণস্বাক্ষর এবং ডেপুটেশন দেওয়া হবে। পাশাপাশি কমিশন যে ভাবে বাহিনী না নেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেছে, তাতে সমাজের কাছে ভালো বার্তা যায়নি বলে মনে করে যৌথ মঞ্চ। বাহিনী না দিলে এরপর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়েই শাসক দলের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। শনিবার রাতে বহরমপুরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রাম জুড়ে একটি পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রামে তৃণমূলের নামে দেওয়া পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার সকালে বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে যদি কেউ ভোট করার চেষ্টা করিস, তাহলে তোদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব। মা-বোনেদের তুলে নিয়ে যাব। আর তোদের গ্রামছাড়া করব। কোনও পুলিশ তোদের বাঁচাতে পারবে না।’ অন্য একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘টিএমসির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিস, সাদা কাপড় পাঠালাম, মা বোনেদের পরিয়ে দিস।’ এরকম একাধিক  বাড়িতে পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের এলাকায় কোনও গণ্ডগোল হয় না। কিন্তু, এই ধরনের হুমকি পোস্টার দেখে আতঙ্ক লাগছে। ভোটে ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা লাল্টু দাস বলেন, এই ধরনের হুমকি পোস্টার তৃণমূলই (TMC) দিতে পারে। কারণ, তারা বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে। আমরা এই ধরনের পোস্টারের তীব্র বিরোধিতা করছি। যে বা যারা এই ধরনের হুমকি পোস্টার ওই গ্রামে দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট হওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের হুমকি পোস্টারে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের প্রার্থী দিবাকর দাস বলেন, আমি এদিন সকালে এই পোস্টার দেখতে পাই। আমি নিজে অবাক হয়ে যাই। এই ধরনের কাজ তৃণমূল করেনি। আসলে দলের মধ্যে প্রার্থী হতে না পেরে আমারই বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন এই কাজ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ব্যালট পেপারের যে যুদ্ধ হতে চলেছে ৮ জুলাই, তার আগে বুলেটরাজ দেখছে বাংলা। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন বাংলায় ৭ জন খুন হয়েছেন। মনোনয়ন শুরু হওয়ার দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ফুলচাঁদ শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছিলেন। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নবগ্রামে গুলিবিদ্ধ হন এক কংগ্রেস প্রার্থীর বাবা। অন্যদিকে তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোজাম্মেল শেখ (৪২)। তিনি হজবিবিডাঙা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে। শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে রমজান শেখের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মাহারুল্লা শেখ। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি করা হয়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের কর্মীকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহেব। নবগ্রাম থানার হজবিবিডাঙা গ্রামে প্রচারে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় মারপিট। এরপরই দু রাউন্ড গুলি চলে। তৃণমূলের (TMC) এই অঞ্চল সভাপতিকে মারধর এবং গুলি করে করে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় মোজাম্মেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। হামলা চালানোর অভিযোগ  উঠেছে কংগ্রেস-সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘দলীয় ওই নেতা প্রচারে বেরিয়েছিলেন। রাস্তাতে তাঁদের আটকে কংগ্রেস এবং সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। নবগ্রামে আগে কোনও রাজনৈতিক খুন দেখা যায়নি। শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বন্‌ধ ডেকেছি।’ নবগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অঞ্চল সভাপতি প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন। তখন কংগ্রেস-সিপিএমের হার্মাদরা ওঁর উপরে হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ-লোহার রড-গুলি করে খুন করা হয়।’

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল (TMC) ভোট বানচাল করে দিতে চাইছে। আমাদের এক দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই খুনের ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, “একজনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বদলে দেওয়া হল পার্টি অফিস। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর গ্রামের তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। অফিস থেকে খুলে ফেলা হল পতাকা এবং ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স। মুছে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপগঞ্জ (Murshidabad) অঞ্চলের যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দেখা যায়, চূড়ান্ত তালিকায় জাহাঙ্গিরের বদলে অন্য একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তাই কার্যত তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। বৃহস্পতিবার সকালেই কোহেতপুর গ্রামে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা সহ যাবতীয় ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস্টুনও। মুছে দেওয়া হয় দেওয়াল লিখন এবং তৃণমূলের প্রতীক। তৃণমূলের যাবতীয় পতাকা সরিয়ে কংগ্রেসের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় স্লোগান তোলেন স্থানীয়রা। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করার কথা ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ।

    কী বললেন এলাকার মানুষ?

    যুব সভাপতি (Murshidabad) মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ অনেক দিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, আমরা এই এলাকায় ২০০৯ থেকে তৃণমূল করি। এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে বাইরের ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষকে এলাকার কাজ করার কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? বহিরাগত কোনও লোককে আমরা নেতা বলে মানতে পারব না। জাহাঙ্গির শেখ বলেন, এই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা আজ পদত্যাগ করে, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এলাকার সমস্ত তৃণমূল অফিসকে আজ থেকে কংগ্রেসের পার্টি অফিস বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। অথচ বৃহস্পতিবার দেখা গেল, দলেরই সিম্বলে মনোনয়নপত্র জমা করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরী সাহা। আর এর পরই বিরোধীরা ‘চোর চোর’ স্লোগানে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিধায়ক-পত্নীকে।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে কী ঘটল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ইতিমধ্যেই সর্বত্র মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। মনোনয়নকে ঘিরে কোথাও চলেছে বোমা, আবার কোথাও চলেছে গুলি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীকে দেখা গেল মনোনয়নপত্র জমা করতে। উল্লেখ্য, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা করে বেরিয়ে আসছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্লক অফিসের ভিতরেই মনোনয়ন দাখিলের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিরোধী দলের বিজপি প্রার্থীরা বিধায়কের স্ত্রী টগরী সাহাকে দেখেই চোর চোর স্লোগান তোলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিরোধী প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে মনোনয়নপত্র জমা করতে পারছিলেন না। অথচ বিধায়ক-পত্নী কোনও লাইন না দিয়েই নিজের মনোনয়ন জমা করেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিধায়ক-পত্নী মনোনয়ন জমা করতে এসে থেমে থাকেননি। তিনি সুযোগ পেয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিতরেই বিরোধীদের কুকুর-ছাগলের মতো আচরণ করেন বলে অভিযোগও শোনা গেছে। আর এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগও করা হয়।

    বিজেপির অভিযোগ

    ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় বুথ সহ সভাপতি ইলিয়াস শেখ বলেন, এতকাল এই তৃণমূল বিধায়ক (Murshidabad) কেবল চুরিই করে গেলেন, প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করলেন! আজ সেই বিধায়কের পত্নী পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করলেন। আমরা সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমাদের সময়ের কোনও দাম নেই। অথচ একজন বিধায়কের পত্নীর জন্য সব সুবিধা প্রশাসন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বললেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়কের পত্নীকে মনোনয়ন জমা করতে এসে লাইনে দাঁড়াতে হল না। ব্লক অফিসের আধিকারিকরা বিরোধী দলের প্রতি অসহযোগিতা করছেন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ করেন ইলিয়াস শেখ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রার্থী পছন্দ নয়! জেলায় জেলায় দলের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা

    Panchayat Election 2023: প্রার্থী পছন্দ নয়! জেলায় জেলায় দলের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে বহু জায়গায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নব্য তৃণমূল এবং আদি তৃণমূলের দ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে আসছে। এরকমই বিক্ষোভের চিত্র দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। 

    টিকিট না পেয়ে কালনায় বিক্ষোভ

    গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এল। বুধবার বিকেলে হাট কালনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধর্মডাঙ্গা এলাকায় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভে সরব হল দলেরই একাংশ। এঁদের দাবি, নির্মল বৈদ্য এবং শোভা রায় দুজনই তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন এই এলাকায়। কিন্তু এই প্রার্থীদের মেনে নিতে চাইছেন না এলাকার তৃণমূলের একাংশ। আর তাই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার আদি তৃণমূল কর্মীরা। এলাকার এক তৃণমূল কর্মী অরুণ মণ্ডল বলেন, আমরা এলাকায় ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করছি। বহু সময় ধরে আমরা অত্যাচার সহ্য করে সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এলাকায় রাজনীতি করছি। আজ আমাদের উপেক্ষা করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য লোককে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করলে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। কালনা ছাড়া মুর্শিদাবাদেও টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভের চিত্র নজরে আসে।

    লালগোলায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী তালিকায় নাম নেই তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য হজরত উমরের। তাঁর বদলে নাম রয়েছে মোতাহার হোসেনের। আর তার জেরেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানালেন তৃণমূলের নশিপুর এলাকার নেতা ও কর্মীরা। ক্ষোভে গত বুধবার পথ অবরোধও করেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের সমর্থকরা। এদিন লালগোলার তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় কর্মীরা। অপর দিকে মোতাহার হোসেন রিপন নামক ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রার্থী হলেও তাঁর স্ত্রীকে আবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী করা হয়েছে। এক পরিবার থেকে এত প্রার্থী কেন? এই নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে উঠেছে প্রশ্ন! আর তাই শাসক দলের প্রার্থী তালিকায় নাম দেখেই এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এখানকার তৃণমূল বিধায়ক এবং সাংসদ টাকা নিয়ে প্রার্থী ঠিক করে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি যাদের প্রার্থী করা হয়েছে তারা এই অঞ্চলের বাসিন্দা নয়। কোনও বহিরাগত লোককে অঞ্চলের পদপ্রার্থী হিসাবে মানতে নারাজ তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই  এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া মোড়ে রীতিমতো রাস্তায় নেমে, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধের আন্দোলন করতে দেখা যায়। প্রতিবাদীদের একটাই দাবি, কেন তৃণমূল কর্মীদের টিকিট না দিয়ে সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের টিকিট দেওয়া হল।

    কী ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে

    কান্দির (Murshidabad) দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার যাঁদের মনোনয়ন করার কথা ছিল, সকালে হঠাৎ তাঁরা জানতে পারেন, নাম বাদ গিয়েছে। আর তার পরিবর্তে সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করেছেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ করেন কান্দি ব্লক মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় বর্তমান বিধায়ক এবং তাঁর ভাই মিলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। টিকিট না পেয়ে আরেক প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা এই এলাকায় ২০০১ সাল থেকে তৃণমূল দল করি। অত্যাচার সহ্য করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, এই এলাকা থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা বগবুল হোসেন। আজ পুরাতন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা বগবুল হোসেনের অনুগামী হওয়ার জন্য আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই দ্বন্দ্ব?

    বগবুল হোসেন বলেন, আমার অনুগত কেউ নন, সবাই আমরা দলের অনুগত। কে বা কারা বিক্ষোভ করছেন, আমার জানা নেই। তবে সবাইকে বলব, দলের হাত শক্ত করুন। অপরদিকে পাশেই রয়েছে ভরতপুর (Murshidabad) বিধানসভা এবং বিধায়ক হলেন হুমায়ন কবীর। উল্লেখ্য, অঞ্চলে ভোটের আগেই প্রায় ৪১ জনকে নিয়ে একটি বিশেষ অঞ্চল কমিটি গঠন করেন বিধায়ক হুমায়ন কবীর। কিন্তু কান্দি তৃণমূল ব্লক সভাপতি বগবুল হোসেন এবং তাঁর অনুগামীদের কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি। ফলে কীভাবে নির্বাচন হবে এবং কারা দলের হয়ে কাজ পাবেন, তাও স্পষ্ট হয় এই কিমিটিতে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাওয়াটা দলের অন্দরে কোন্দলেরই ফল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Bomb: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। শনিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিন। রাজ্যজুড়ে বিজেপি সহ বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে সন্ত্রাস করতে চাইছে তৃণমূল। তাই, বোমা (Bomb) মজুত করা হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদে ব্যাগ ভর্তি বোমা বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনা সেকথায় প্রমাণ করছে।

    কী করে উদ্ধার হল বোমা (Bomb)?

    শুক্রবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার উত্তর অন্তরদীপা গ্রামে পুকুরের পাড় থেকে তাজা বোমা (Bomb) উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সামশেরগঞ্জের উত্তর অন্তরদীপা গ্রামে একটি ঢালাই রাস্তা তৈরির কাজ হচ্ছিল। সেসময় রাস্তার পাশে থাকে একটি সিঁড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। গণ্ডগোল থেকে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। তাতে জখম হন তিনজন। জখমদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, গণ্ডগোলের সময় অলিউল এবং সেনারুল নামে দুই ব্যক্তি বোমা নিয়ে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তখনই বোমা রেখে পালায় অভিযুক্তরা। পরে, এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে।

    ক্যানিংয়ে উদ্ধার হল ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb)

    দক্ষিন ২৪ পরগনার ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার ঘুটিয়ারিশরিফ সুভাষপল্লি এলাকায় শনিবার সকালে দু ব্যাগ তাজা বোমা (Bomb)  উদ্ধার হয়। একটি ফাঁকা এলাকা থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্যই এই বোমা মজুত করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। এই ঘটনায় একজনকে তৃণমূল কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আটক হওয়া তৃণমূল কর্মীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তাঁর দলের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর লোকজনই পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই কাজ করেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বোমাগুলি (Bomb) কেন মজুত করা হয়েছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন পত্র জমা ঘিরে রণক্ষেত্র, আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক তৃণমূল নেতা

    Murshidabad: মনোনয়ন পত্র জমা ঘিরে রণক্ষেত্র, আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন পত্র জমাকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলে। বিরোধীদেরকে মনোনয়নপত্র জমা করতে বাধা দেওয়া হয় এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুরো বিডিও অফিস চত্ত্বর ঘিরে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। এরপর তৃণমূল এবং সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কারণে তৃণমূলের সারাংপুরের অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লাকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর প্রথম দিনেই উত্তপ্ত ডোমকল ব্লকের ইসলামপুর (Murshidabad)। শনিবার দিন সকাল থেকেই সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরা পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে, তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী গোটা এলাকা ঘিরে রাখে এবং মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয়। আর তারপর সেখান থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা। সিপিএম কর্মীরা নমিনেশন পত্র নিতে এলে মারধর শুরু হয়। শাসক দলের কর্মীরা রীতিমত কিল-ঘুষি মারতে থাকে তাঁদের। এরপর ব্লক অফিস থেকে বের করে দেয় তাঁদের। কোনও রকমে পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দিলেও কিছুক্ষণ বাদে ফের শুরু হয় অশান্তি। এবারে একপক্ষ সিপিএম-কংগ্রেস এবং অপর পক্ষ শাসক দল তৃণমূল। এরপর চলে দুই পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি। উভয় পক্ষ পরস্পরকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ডোমকল থানার বিশাল পুলিশ। উত্তেজিত জনতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করা হয় বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সারাংপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লাকে কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার জন্য আটক করে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। আপাতত তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    সিপিএমের প্রতিক্রিয়া

    সিপিএমের এক প্রার্থী বলেন, আমি মনোনয়ন জমা দিতে এসেছি, কিন্তু লাইন থেকে আমাকে মেরে বার করে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আবার এক মহিলা প্রার্থী রিনা খাতুন বলেন, পুলিশ আমাদেরকে কোনও সহযোগিতা করছে না, তৃণমূলের গুন্ডারা কেন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে? এই কথা বলে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যের কাছে জবাব চান তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, যতদিন বাঁচব এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই করব। 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই শুরু অশান্তি

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার প্রথম দিন থেকেই ডোমকলে (Murshidabad) অশান্তির বাতাবরণ। গতকাল, শুক্রবার ডোমকল বিডিও অফিসে ডিসিআর আনতে গিয়ে সিপিএমের কর্মীরা রীতিমত লাঠি হাতে আক্রমণ করে তৃণমূল কর্মীদের। ভাঙা হয় বাইক, ক্যাম্পে থাকা চেয়ার। এরপর শনিবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত ডোমকল। দেখা গেল বিপরীত চিত্র, এইদিন সকাল থেকে রীতিমতো সিপিএম দলের পক্ষ থেকে আসা কর্মীদের বেধড়ক মারতে থাকে শাসক তৃণমূলের কর্মীরা। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয় যে পুলিশের সামনেই চলে মারামারি। দুই পক্ষের মধ্যে হয় ইট বৃষ্টি। প্রথমে পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও, পুনরায় কিছুক্ষণ পর শুরু হয় অশান্তির ঘটনা। এবার সিপিএম এবং কংগ্রেস যৌথ ভাবে লাঠি হাতে আক্রমণ করে শাসক দলের কর্মীদের। চলে ইটবৃষ্টি। পরে র‍্যাফ নামে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।  

    এলাকার সাধারণ মানুষের বক্তব্য, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের চিত্র যা উঠে আসছে, তাতে ভোট আসতে আসতে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, তা নিয়েই রয়েছে অনেক সংশয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ঘটনায় আহত প্রায় ১৪ জন। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর দুই ব্লকের অন্তর্গত সালারে তৃণমূলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল আবার। পুরো এলাকা ঘিরে দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কী হয়েছে?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী কারা হবেন এবং মনোনয়নপত্র জমা কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় এবং আহত প্রায় ১৪ জন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক চলছিল সালারে। সেই সময় এলাকার শিরিষতলায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং তারপরই তা ব্যাপক সংঘর্ষের রূপ নেয়। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও সালারের ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিবাদ বাধে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সালার ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা এসে ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হাতে গোনা কয়েকদিন বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগেই সালারে ফের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

    কী বলেন বিধায়ক

    সালারের (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি মিটিং-এ গিয়েছিলাম। যতটা সময় আমি উপস্থিত ছিলাম, কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, দলের নেতৃত্বে সরকার চলছে। সরকারের নেতৃত্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাইব পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। দলের জন্য কোন্দল কাম্য নয়, আমাদের দলের প্রতি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সকল কর্মীকে বলব এই সময়ে নিজেদের সংযত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সকলের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনও অসুবিধা হবে না কারও। আইনশৃঙ্খলা ঠিক যাতে থাকে, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখবো। অপর দিকে সালার তৃণমূল ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেছন, বক্ল অফিসে মিটিং-এর পরে আমি চলে আসি, বিধায়কের সঙ্গে আমার কোনও মতভেদ নেই। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে তিনি জানান। 

    তৃণমূলই যদি তৃণমূলের কাছে সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কতটা গণতান্ত্রিক মত প্রকাশ করতে সুরক্ষিত থাকবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share