Tag: Nadia

Nadia

  • BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্ত্রী। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুদীপ ঘোষ। তাঁর বাড়ি হুগলির গুড়াপে। ধনেখালি-২ মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন তিনি। ৫ অগাস্ট নদিয়ার কল্যাণীর একটি হোটেল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    গত ৪ অগাস্ট চুঁচুড়ায় বিজেপির (BJP) হুগলি জেলা কার্যালয়ে নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুদীপ। ৩ অগাস্ট বিকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনকে ফোনে ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন মগরায় রয়েছি। ৫ অগাস্ট বাড়ি ফিরব। সেদিনই পরিবারের লোকজনের কাছে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সুদীপের দুই সন্তান আছে। সুদীপের স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ বলেন, ‘যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে, তারা শাস্তি পাক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুক। শ্বশুর-শাশুড়ি সহ আমি অনেকবার বলেছিলাম পার্টি ছেড়ে দিতে। শুধু দলকে ভালবাসত বলে বিজেপি করত। দলকে ভালবাসতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই চলে গেল। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা যেই হোক না কেন, যেন শাস্তি পায়। সুদীপের বাবা সুফল ঘোষ বলেন, ‘ছেলে বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী। এলাকায় ভাল সংগঠন তৈরি করেছিল। আর তার এই উত্থানে শাসকদল বিপদে পড়ে যাচ্ছিল। তাদের সংগঠনের লোক কমে যাচ্ছিল। তাই ছেলেকে সরিয়ে দিতে পারলে শাসকদলের সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আমার ধারণা। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুগলি জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘পুলিশকে না জানিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ নামিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেও তার মাথায় একটি দাগ ছিল, পায়েতেও কালশিটে দাগ। তাই আমরা কোনওভাবে মনে করছি না এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে দলের রাজ্য নেতৃত্বেকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে।’

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির (BJP) কোনও মণ্ডল সভাপতিকে মারতে যাবে। এসব ফালতু কথা। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) বোর্ড গঠন করতে হলে একজন বিরোধী প্রার্থীর সমর্থন প্রয়োজন। সেই কারণে বিনা অপরাধে নির্দল প্রার্থীকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দলের জয়ী প্রার্থী গোপাল ঘোষ। ওই এলাকার এর আগে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৫ বছর ধরে তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন এবং পাঁচ বছরের জন্য প্রধান ছিলেন তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল টিকিট দেয়নি তাঁকে। সেই কারণে তিনি নির্দলের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোট গণনার পর দেখা যায় প্রচুর ভোটে তিনি জয়লাভ করেন। হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২২ টি। এবার তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ১১ টি আসন, ৮ টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছে এবং ৩টি নির্দল প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে গেলে এখনও একটি আসন প্রয়োজন তৃণমূলের। অভিযোগ রবিবার গোপাল ঘোষ তাঁর পরিবারের এক ব্যক্তির অসুস্থতার কারণে কলকাতায় একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি যখন বাড়িতে ফিরছিলেন রানাঘাটে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। তাঁর গাড়ি সহ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তিন দিন থানায় থাকতে হবে এমনটাই তাঁকে জানানো হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। তবে, তাঁকে আটকে রাখার কারণ হিসেবে কিছুই জানায়নি পুলিশ বলে অভিযোগ।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে এলাকাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নির্দল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে তাঁকে ছেড়ে না দিলে এবং বোর্ড গঠনের দিন তাঁকে অংশগ্রহণ করতে না দিলে পথ অবরোধ করে আরও বড়সড় বিক্ষোভে নামব। এ বিষয়ে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের এক সদস্য অপর্ণা ঘোষ বলেন, যেহেতু দুদিন পরেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন, সেই কারণে তাঁকে শাসকদলের (TMC) নির্দেশে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। অবিলম্বে হয় তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে, না হলে বোর্ড গঠনের দিন পুলিশকে পঞ্চায়েত অফিসে তাঁকে নিয়ে আসতে হবে। বোর্ড গঠনের ভোটাভুটিতে তিনি যেন অংশগ্রহণ করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: শান্তিপুরে বিজেপি করার অপরাধে পুকুরে বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: শান্তিপুরে বিজেপি করার অপরাধে পুকুরে বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) কর্মীর পুকুরে বিষ মিশিয়ে মাছ মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুকুরের অধিকাংশ মাছ মরে গিয়েছে। শনিবার সাত সকালে পুকুরের এই অবস্থা দেখে চরম ভেঙে পড়েন বিজেপি কর্মী। এদিন  ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার পুমলিয়া এলাকায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই  রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    শান্তিপুর বেলঘড়িয়া এলাকার বাসিন্দা অমল বিশ্বাস এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে তিনি প্রচুর খেটেছিলেন। অমলবাবুর বক্তব্য, আমার দেড় বিঘা জায়গার উপরে একটি পুকুর রয়েছে। দেড় থেকে দু কুইন্টাল মাছ ছেড়েছিলাম। এদিন সকালে পুকুরে গিয়ে দেখি, পুকুরের ধারে একাধিক মাছ মরে জলে ভাসছে। এদিন দুপুরের মধ্যে পুকুরের অধিকাংশ মাছ মরে গিয়েছে। পুকুরে বিষ দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। আসলে আমি এলাকায় সক্রিয়ভাবে বিজেপি (BJP) করি। সেটাই অপরাধ। তাই, আমাকে শিক্ষা দিতেই তৃণমূল এই কাজ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার এত বড় সর্বনাশ করা হয়েছে। আমার পুকুরের সব মাছ মরে গিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) শান্তিপুর মণ্ডলের সভাপতি প্রদীপ সরকার বলেন, অমলবাবু আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। তৃণমূলের লোকজন পুকুরে বিষ মিশিয়ে চরম অন্যায় কাজ করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের শান্তিপুর ব্লকের সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, এই ধরনের জঘন্য কাজের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। বিজেপি (BJP) আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলব অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ পার, জেলাজুড়ে আতঙ্ক

    Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ পার, জেলাজুড়ে আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়াতে (Nadia) আবারও ডেঙ্গির বলি হলেন একজন। এই নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। আক্রান্ত প্রায় ১৫০০-র উপরে। আতঙ্কে গোটা জেলাবাসী। গোটা রাজ্যজুড়ে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। নদীয়া জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বছরের তুলনায় এবছর রেকর্ড মাত্রা ছাড়িয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত। যত দিন যাচ্ছে ততই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার। যার কারণে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রতন কর্মকার। তাঁর বাড়ি নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটের নন্দীঘাট এলাকায়। বয়স আনুমানিক ৭০ বছর। প্রায় ৭-৮ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। প্লেটলেট অনেকটা কমে যাওয়ায় অবশেষে তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গি পজিটিভ-এর কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মৃত রতনবাবুর বউমা বিথীকা কর্মকার বলেন, বাড়িতেই চিকিৎসা করা হচ্ছিল। তিন-চার দিন চিকিৎসার পর অনেকটা সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। স্যালাইন চলছিল, কিন্তু, প্লেটলেট কমে যাওয়ার কারণে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি করার পরই তাঁর মৃত্যু হয়।

    কী বললেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক?

    এই প্রথম নয়, এর আগেও ডেঙ্গির বলি হয়েছেন আরও পাঁচজন। নদিয়া (Nadia) জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বিভিন্ন হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী বেডের পরিমাণ অনেকটা কম থাকায় মেঝেতে শুয়েই চলছে চিকিৎসা। ‌যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মাইক প্রচার করে চালানো হচ্ছে সচেতনতা বার্তা। পঞ্চায়েত এবং স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ দমনে চলছে কীটনাশক স্প্রে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকদলের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নদিয়ার (Nadia) বিডিও গণনা কেন্দ্রে রুখে দিয়েছিলেন ভোট চুরির কারচুপি। সেই কারণেই বোর্ড গঠন হওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গে ট্রান্সফার করে দেওয়া হল। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ এলাকায় কেন বিজেপি জয়ী হয়েছে! আর তাই বিডিওকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অভিযোগের তির সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধেই। তবে যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হলে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি।

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক হলেন প্রণয় মুখার্জি। প্রায় তিন বছর ধরে শান্তিপুর ব্লকের কাজ সামলাচ্ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শক্ত হাতে কাজ করেছিলেন তিনি। এমনকি গণনার দিন কেন্দ্রে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বারবার ব্যালট বাক্স লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল শাসক দল। একমাত্র ব্লক আধিকারিক নিজে শক্ত হাতে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই এলাকায় বিজেপি জয়ী হওয়ায়, তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বিডিও, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। প্রণয় মুখার্জিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিএম-ডিসি করে পাঠানো হলো। অন্যদিকে নদীয়ার ডিএম- ডিসি মোহাম্মদ সাব্বির আহমেদ মোল্লাকে শান্তিপুরের বিডিও করে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপি মন্ডল সভাপতি (Nadia) তথা নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন যে বিষয়টি পুরোটাই প্রশাসনের। আমরা নতুন ব্লক আধিকারিককে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে তৃণমূল এই বিডিওকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেননা। গণনার দিনে হয়তো পছন্দের তৃণমূল প্রার্থীদের জোর করে সার্টিফিকেট লিখিয়ে নিতে পারেননি তৃণমূল আর তাই এই বিডিও শাসক দলের কোপের মুখে পড়েছেন। বোর্ড গঠনের আগে এই ট্রান্সফার অত্যন্ত সন্দেহ প্রবন। ফলে এই ট্রান্সফার যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকে, তাহলে আমরা পথে নামতে বাধ্য হব। তিনি আরও বলেন, গণনার দিনেও বিজেপি রাজপথে ছিল, প্রশাসন যদি রাজনীতি করে সরকারি আমলাদের নিয়ে, তাহলে রাস্তায় ফের আন্দোলন হবে।   

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ে এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট এবং পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত পাঁচজনের মধ্যে চার জনই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে দুজন মহিলা রয়েছেন। আর নদিয়ার রানাঘাটেও বাজ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার দেভোগ অঞ্চলের বড়বাড়ি গ্রামে বাজ পড়ে দুই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম পিন্টু বেরা (৫০) এবং সমরেশ বেরা (৪৫)। পাশাপাশি, হলদিয়ার সুতাহাটা থানার কসবেড়িয়া গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মামণি মালি নামে এক মহিলার। তাঁর বয়স ৪০ বছর। রাধারানি ভৌমিক নামে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, রানাঘাটে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে অপর্ণা বিশ্বাস নামে ৩২ বছরের এক মহিলার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকেলে সমরেশের জমিতে ধান রোয়ার কাজ চলছিল। সেই সময় মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে মাঠের পাশের একটি বড় গাছের তলায় আশ্রয় নেন দু’জন। কিন্তু, ওই গাছেই বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পরে গ্রামবাসীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকেলেই থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে গিয়েছিলেন সুতাহাটার কসবেড়িয়ার বধূ মামণি । তিনি বাসন মেজে বাড়িতে ফেরার সময়ই বাজ পড়ে। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুতাহাটার হোড়খাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুনাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাধারানিদেবী তুমুল বৃষ্টির মধ্যে চাষের জমিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। মাথায় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানা এলাকায় কাজ করে থেকে ফিরছিলেন বছর ৩২-এর বধূ অপর্ণা বিশ্বাস। সে সময় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়ির কিছুটা আগে আচমকা বাজ পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: শান্তিপুরে মধুচক্রের আসরে তৃণমূল নেতা, লজে হানা দিয়ে আটক করল পুলিশ

    TMC: শান্তিপুরে মধুচক্রের আসরে তৃণমূল নেতা, লজে হানা দিয়ে আটক করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধুচক্রের আসর থেকে মহিলা সহ হাতেনাতে ধরা পড়ল তৃণমূল (TMC) নেতা অসিত ঘোষ। তিনি নদিয়ার শান্তিপুর ব্লক তৃণমূলের  সদস্য। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে একটি বেসরকারি লজ থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুর এলাকার একটি বেসরকারি লজে দীর্ঘদিন ধরেই মধুচক্রের আসর বসত। এবার সেই সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই লজে হানা দেয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। সেখানেই অর্ধনগ্ন অবস্থায় তৃণমূল (TMC)  নেতা সহ মহিলাদের দেখা যায়। প্রশাসন হাতেনাতে তাদের ধরে ফেলে। এরপরই তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অসিত ঘোষ শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর মতো দাপুটে নেতা মধুচক্রের আসরে কী করছিল তা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় সকলেই হাসাহাসি শুরু করেছেন। তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বের করে দেওয়ার দাবি তুলেছেন একাংশ। তবে, এ বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে উঠে এসেছে নিন্দার ঝড়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?  

    বিজেপির নদিয়া দক্ষিণের সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, গোটা বাংলার পরিবেশকে নষ্ট করছে রাজ্যের শাসক দল। চোলাই মদের ঠেক  থেকে শুরু করে প্রশাসনের নজরদারিতে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি ব্যবসা। বাংলার যে সংস্কৃতি, কৃষ্টি সব পথে নামিয়ে এনেছে তৃণমূল (TMC)। মধুচক্রের আসরে তৃণমূল নেতা থাকার ঘটনা নতুন কিছু নয়। আসলে এসবই তৃণমূলের কালচার। অবিলম্বে গোটা সমাজের মানুষকে এই সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতে হবে। না হলে গোটা রাজ্যটাই ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভয় দেখাতেই কি বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির পিছনে সকেট বোমা? অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nadia: ভয় দেখাতেই কি বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির পিছনে সকেট বোমা? অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর ঘরের পিছন থেকে ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধার। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপিকে ভয় দেখাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে শাসক দল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার গোবিন্দপুর এলাকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর থানার পুলিশ। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই এলাকার বিজেপির জয়ী প্রার্থী ভক্ত বিশ্বাস প্রতিদিনকার মতো আজও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কাজে বেরিয়ে যান। এরপর তাঁর মেয়ে সকালে বাড়ির কাজ করার সময় পিছনে একটি বাজার করার ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই বাজারের ব্যাগে কিছু রয়েছে বলে সন্দেহ হয় এবং এরপর তিনি বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। বাড়ির লোকজন প্রাথমিকভাবে ব্যাগটি খুলতেই দেখেন, ভিতরে সকেট বোমা জাতীয় কিছু রয়েছে! এরপরেই খবর দেওয়া হয় ভীমপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ওই জায়গাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরবর্তীকালে বোম নিষ্ক্রিয় করার আধিকারিকরা এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    বিজেপির জয়ী প্রার্থীর মেয়ের বক্তব্য

    ব্যাগে বোমার ঘটনায় বিজেপির জয়ী প্রার্থীর মেয়ে প্রীতি বিশ্বাস বলেন, সকালে কাজ করার সময় ওই ব্যাগটি আমার নজরে পড়ে। প্রথমে দেখে বুঝতে পারিনি। কিন্তু পরে দেখি ব্যাগে লোহার গোলাকার বস্তু! এরপর বাড়ির (Nadia) অন্যরাও দেখে বলেন এগুলি সকেট বোমা। এরপর বাড়ির সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    ব্যাগে বোমার বিষয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থী ভক্ত বিশ্বাসের দাবি, যেহেতু গোটা এলাকায় বিজেপি আধিপত্য বিস্তার করেছে, সেই কারণেই ভয় দেখানোর জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। আমি নিজেও একজন বিজেপি জয়ী প্রার্থী। সেই কারণেই দুষ্কৃতীরা চাইছে আমাদের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে। কিন্তু এভাবে দমানো যাবে না। 

    লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ৫৫ দিন উপাচার্যহীন! বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকে বিক্ষোভ, উত্তাল ক্যাম্পাস

    Nadia: ৫৫ দিন উপাচার্যহীন! বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকে বিক্ষোভ, উত্তাল ক্যাম্পাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দ্বিতীয় দিন। মোহনপুর (Nadia) বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন চলছে। গেটের বাইরে আটকে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। প্রায় ৫৫ দিন উপাচার্যহীন হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অধিকাংশ বিভাগ খোলা থাকলেও ক্লাস হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনকে স্বাভাবিক করতে ছাত্রদের দাবি ঘিরে উত্তাল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

    কেন অচলাবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Nadia)?

    উপাচার্য নেই, তাই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (Nadia)। ক্যাম্পাস খোলা থাকলেও উপাচার্য না থাকায় কোনও বিভাগের ক্লাস ঠিকঠাক হচ্ছে না। তাই গতকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা উপাচার্য নিয়োগ এবং আরও একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করেছেন। আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের কাছে অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান ছাত্ররা। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু আধিকারিক, শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীরা অংশ গ্রহণ করেছেন। ছাত্ররা যখন ক্যাম্পাসের গেটের কাছে অবস্থান করছিলেন, সেই সময় অন্য কেউই ভিতর থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে ভিতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। আর তার ফলেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ছাত্রদের দাবি, যতক্ষণ না লিখিত আকারে আশ্বাস দেওয়া হবে এবং দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

    ছাত্রদের মূল দাবি

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের নেতা বিবেকান্দ মাইতি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nadia) প্রত্যেক ছাত্রই সর্ব ভারতীয় পরীক্ষা দিয়ে এখানে পড়াশুনা করতে এসেছেন। এই বছর যাঁরা ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁরা ঠিক সময়ে মার্কশিট পাচ্ছেন না। বিভিন্ন বিভাগে প্রত্যেক দিনের গবেষণার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। গবেষণাগারে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। হস্টেলের পরিকাঠামো ঠিকঠাক নেই। তাই অবিলম্বে এই অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যপালের কাছে আমরা উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাই।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nadia) এক সরকারি আধিকারিক বলেন, সত্যি অনেকদিন ধরে ক্যাম্পাসে উপাচার্য নেই। প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে একপ্রকার অসুবিধাই হচ্ছে। আমরাও সরকারকে বলেছি, দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রতিবাদী কবিতা লিখে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত নদিয়ার সাহিত্যিক, সর্বত্র নিন্দার ঝড়

    Nadia: প্রতিবাদী কবিতা লিখে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত নদিয়ার সাহিত্যিক, সর্বত্র নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল নদিয়ার শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এলাকার নিজের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কবি কল্লোল সরকারের ওপর আক্রমণ চালায়। কবির দোষ, কেন সরকারের বিরুদ্ধে কবিতা লিখলেন! আর তাই আক্রান্ত কবি কল্লোল সরকার আজ শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন। এরপর থানায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় সাহিত্যিক মহলে তীব্র নিন্দার ঝড়।

    কবির ঠিক অভিযোগ কী (Nadia)?

    শান্তিপুরের (Nadia) কবি কল্লোল সরকার জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কিছু দিন আগেই একটি প্রতিবাদী কবিতা প্রকাশ করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজ্যের ধর্ষণ, হিংসা, হানাহানির কথা বলে সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। আর তাই নিয়েই শোরগোল পড়ে যায়, এমনকি তাঁকে একাধিকবার শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল, বিকেলে কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার পথে শান্তিপুরের গলায়দড়ি বটতলা এলাকায় বেশ কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়। তাঁকে একাধিকবার চড়, কিল, লাথি মারা হয়। এরপর এলাকাবাসী সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পরেই কবি কল্লোল সরকার শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

    কবিতায় কী লিখেছেন?

    কবি কল্লোল সরকার (Nadia) বলেন, তাঁর কবিতার মধ্য দিয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরার কারণেই দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর কবিতায় রয়েছে, “বুদ্ধিজীবী তকমা নিয়ে/উল্লাসে চিৎকার করে/যারা বাংলাকে ধর্ষণ করে চলে!/আমি ঘৃণা করি,/আমি ঘৃণা করি যারা সরকারের পা চেটে চলে”। যারা এই রাজ্যে ধর্ষণ দেখে চুপ থাকে, সেইসব বুদ্ধিজীবী এবং চটিচাটা মানুষকে ঘৃণা করেন কবি। অরাজক রাজ্যের পরিস্থিতিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কলরবের কথা বলেছেন। স্বপ্ন দেখার মানুষগুলি শকুনের চঞ্চুতে বন্দি হয়ে রয়েছেন। চারিদিকে বিষাদ আর বিষাদে কবি স্তব্ধ। এই ভাবেই বর্তমান সময়কে তুলে ধরেন কবিতায়। যারা কবিকে মারধর করল, তারা প্রত্যেকে তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত। এই ঘটনায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share