Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • IAF Agnipath Recruitment: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    IAF Agnipath Recruitment: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারের অর্থাৎ ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) আবেদন জমা করার তিন দিনের মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) অফিসে জমা পড়ল ৫৬ হাজার ৯৬০টি আবেদন। রবিবার এই বিষয়টি বায়ুসেনার তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়। ট্যুইটে লেখা আছে ‘৫৬,৯৬০! অগ্নিপথ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতের ‘অগ্নিবীর’দের (Agniveer) তরফে এতগুলো আবেদন পাওয়া গেছে।‘

    [tw]


    [/tw]

    গত ১৪ জুন অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর পরেই একাধিক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্র সরকারকে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় যুবকরা। তার মধ্যেই ২৪ জুন থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় বায়ুসেনায় অগ্নিবীর নিয়োগের জন্য প্রথম প্রক্রিয়া শুরু হয় অনলাইনে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়সীমা ৫ জুলাই পর্যন্ত। রবিবার পর্যন্ত অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের অধীনে ৫৬,৯৬০টি আবেদন জমা পড়েছে। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ভারতীয় সেনার, নিয়োগের প্রক্রিয়া কী?

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এই অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন এবং এর অধীনে সমস্ত সেনাদের অগ্নিবীর (Agniveer) বলা হবে জানিয়েছেন তিনি। ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের অধীনে  স্থলসেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনা— এই তিন বিভাগেই আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সিদের চার বছরের জন্য সেনায় নিয়োগ করা হবে। চার বছর পর তাঁদের মাত্র ২৫ শতাংশকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য সেনায় চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। এই ঘোষণায় বিক্ষোভ শুরু হতেই বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে ২৩ করে দেয় কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর বায়ুর রেজিস্ট্রেশন শুরু, কীভাবে করবেন আবেদন?

    অগ্নিবীরদের বায়ুসেনাতে ভর্তি হতে হলে বিভিন্ন যোগ্যতার সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতাও গুরুত্বপূর্ণ। আগ্রহী অগ্নিবীরদের দশম শ্রেণীর ও দ্বাদশ শ্রেণীর সার্টিফিকেট দরকার ও সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমার ফাইনাল বছরের সার্টিফিকেটও লাগবে।

    বায়ুসেনাতে যোগদান করতে প্রথমে অনলাইন টেস্ট, অ্যাডাপটিবিলিটি টেস্ট দিতে হবে, এছাড়াও ফিজিক্যাল ফিটনেস দেখা হবে। এছাড়াও সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, অগ্নিবীরদের চাকরির মেয়াদ শেষ হলে তাঁদের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় আধা সামরক বাহিনী ও নিরাপত্তার বিভিন্ন বিভাগের চাকরিতে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো তাঁদের পুলিশে চাকরির ক্ষেত্রেও বিশেষ সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন।

  • Quad Summit: শুভেচ্ছা-স্মারক হিসেবে রাষ্ট্রনেতাদের বিশেষ উপহার মোদির

    Quad Summit: শুভেচ্ছা-স্মারক হিসেবে রাষ্ট্রনেতাদের বিশেষ উপহার মোদির

    কোয়াড সম্মেলনের শেষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা,অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয়দের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা-স্মারক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গন্ড আর্ট পেইন্টিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে রোগান পেইন্টিং সহ এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে সাঁঝি আর্ট উপহার দিয়েছেন মোদি।

    অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে মোদির উপহার: গন্ড আর্ট পেন্টিংপ্রসিদ্ধ আদিবাসী শিল্পগুলির মধ্যে একটি হল গন্ড পেইন্টিং। ‘গন্ড’ শব্দটি এসেছে ‘কন্ড’ শব্দ থেকে যার অর্থ ‘সবুজ পাহাড়’। বিন্দু এবং রেখা দিয়ে তৈরি এই ছবিগুলি পাহাড়ের দেওয়ালে লাগানো থাকে। এই আদি চিত্রশিল্পে মাটি,গাছের রস,পাতা,গোবর,চুন পাথরের গুঁড়ো ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

    গন্ড শিল্পকে অস্ট্রেলিয়ার আদিম শিল্পের অনুরূপ বলে মনে করা হয়। গন্ডদের সৃষ্টি সম্পর্কে আদিবাসীদের নিজস্ব গল্প আছে। এই শিল্পের মাধ্যমে স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির দূরত্ব কমে। অস্ট্রেলিয়দের কাছে এর এক বিশেষ অনুভূতি আছে।

    মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার: সাঁঝি আর্ট- সাঁঝি,কাগজে হাতে কাটা নকশার শিল্প। উত্তর প্রদেশের মথুরায় এই বিশেষ শিল্পরীতি চোখে পড়ে। ভগবান কৃষ্ণের বাড়ির গায়ে এই শিল্পকর্ম দেখা যেত। এখন এর ঐতিহ্য ধরে রাখতে ভগবান কৃষ্ণের গল্পের মোটিফগুলি স্টেনসিলে তৈরি করা হয়। এই স্টেনসিলগুলি কাঁচি বা ব্লেড ব্যবহার করে কাটা হয়। সূক্ষ্ম সাঁঝি প্রায়ই কাগজের পাতলা শিট দ্বারা একসাথে রাখা হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে উপহার: রোগান পেইন্টিং-সহ কাঠের বাক্স- এই শিল্পটি দুটি ভিন্ন শিল্পের সংমিশ্রণ-রোগান পেইন্টিং এবং কাঠের কাজ। রোগান পেইন্টিং হল গুজরাটের কচ্ছ জেলার শিল্প। সাধারণত কাপড় মুদ্রণের ক্ষেত্রে এই শিল্প ব্যবহার করা হয়।  এক্ষেত্রে উদ্ভিজ তেল এবং উদ্ভিজ্জ রঞ্জকগুলি থেকে তৈরি রঙটি একটি ধাতব ব্লক (প্রিন্টিং) বা স্টাইলাস (পেইন্টিং) ব্যবহার করে ফ্যাব্রিকের উপর স্থাপন করা হয়। ২০ শতকের শেষের দিকে কারুশিল্পটি প্রায় শেষ হয়ে যায়।  শুধুমাত্র একটি পরিবারই এখনও রোগান চিত্রকর্মটি বজায় রেখেছে।

    ‘রোগান’ শব্দটি এসেছে ফার্সি থেকে, যার অর্থ বার্নিশ বা তেল। রোগান পেইন্টিং তৈরি করতে খুবই পরিশ্রম করতে হয়। দক্ষ শিল্পী ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়। কাঠের উপর হাত দিয়ে খোদাই করাও একটি জটিল শিল্প। এই কারুকার্যের বিষয়বস্তু ভারতের বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভগুলি থেকে নেওয়া হয়।

    উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ আগেও নজর কেড়েছে। এবারও তাঁর অভিনব উপহারে আপ্লুত রাষ্ট্রনেতারা।

  • Modi in Europe: ইউরোপ সফরে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কী উপহার দিলেন মোদি?

    Modi in Europe: ইউরোপ সফরে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কী উপহার দিলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফর শেষ। এবার দেশের ফেরার পালা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে দিল্লি রওনা হয়েছেন তিনি।  

    দু’বছর পরে ফের বিদেশ সফরে গিয়ে জার্মানি, ডেনমার্ক এবং ফ্রান্সে ২৫টি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক-সহ কথা বলেছেন মোট সাত জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে। পাশাপাশি, ওই দেশগুলিতে বসবাসকারী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সভাতেও যোগ দেন তিনি। 

    বিদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকে বরাবরই জোর দেন মোদি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। খালি হাতে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি প্রধানমন্ত্রী। দুহাত ভরে উপহার তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রনেতাদের হাতে, যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্প। পশমিনা শাল, ডোকরার কাজ করা নৌকা, রোগান পেইন্টিং কী নেই সেই তালিকায়!

    সোমবার জার্মানিতে গিয়ে সে দেশের চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী জুন মাসে মিউনিখের বাভারিয়ায় জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষবৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মোদিকে আমন্ত্রণ জানান স্কোলজ।   

    মঙ্গলবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে যান মোদি (Modi)। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। পাশাপাশি, স্ক্যান্ডিনেভীয় (নর্ডিক) দেশ, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রনেতাদের একটি আলোচনা সভাতে অংশ নেন। বুধবারের এই সভাতেই বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু শিল্প নিদর্শন উপহার (Gifts) দেন মোদি। 

    ডেনমার্কের যুবরাজ ফেডরিককে ছত্রিশগড়ের ৪০০০ পুরনো ডোকরা শিল্পের কাজ করা একটি নৌকো উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। আর রানী মার্গেটকে উপহার দেন গুজরাতের কচের রোগান সেলাই করা একটুকরো কাপড়। যুবরানীকে উপহার দেন বেনারসের ৫০০ বছর পুরনো শিল্প মিনেকারী করা রুপোর একটি পাখি।

    ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধিকে ‘Tree of life’ উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। এই গাছ বৃদ্ধি এবং বিকাশের প্রতীক। গাছটি পিতলের তৈরি। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীকে দেন রাজস্থানের বিখ্যাত কোফতগিরি কাজ করা একটি ঢাল। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনকে উপহার দেন গুজরাতের কচ্ছের এমব্রয়ডারি করা একটি ওয়াল হ্যাঙ্গিং। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে দেন পশমিনা শাল। কাশ্মীরের এই পশমিনা শাল ভারতীয় আভিজাত্যের প্রতীক। 

     

     

     

  • Modi:  “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    Modi: “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Elections) কী নিজেকে দেশের মসনদে দেখতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে একটি গোপন কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, ”সম্প্রতি এক বিরোধী নেতার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের বিরোধিতা করলেও আমি তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করি। উনি আমায় বলেন, মোদিজি, এই দেশের মানুষ আপনাকে দু’বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে। আর কী চান আপনি। এই সাফল্যই যথেষ্ট।”

    গুজরাত সরকার প্রবীণ ও দরিদ্র বিধবাদের জন্য যে প্রকল্প চালু করেছে সেই প্রকল্প গ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে গল্পের ছলে বৃহস্পতিবার একথা জানান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ওই সাংসদের মতে কেউ যদি দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান, তবে তাঁর সমস্ত সাফল্য অর্জন করা হয়ে যায়। কিন্তু, তিনি জানেন না মোদি অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি। এই গুজরাতের মাটি আমায় তৈরি করেছে। আমি কোনও কিছুকেই হালকাভাবে নিই না। এখন আমার বিশ্রাম নেওয়ার সময় নয়। আমার স্বপ্ন হল উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে ১০০ শতাংশ সফল করে তোলা।”

    “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    যদিও সেই বিরোধী নেতার নাম প্রকাশ্যে আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে অনেকেরই ধারণা ওই নেতা আর কেউ নন, শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। আসলে এপ্রিল মাসেই এনসিপি (NCP) প্রধান দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। শিবসেনা (Shivsena) নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগও জানান তিনি। ফলে তাঁদের মধ্যে হওয়া বৈঠকে শরদ পাওয়ারই প্রধানমন্ত্রীকে একথা বলেছিলেন কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার টানা আট বছর রয়েছে। এই আট বছর ধরে সেবা, গরিবদের কল্যাণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা একটা বহমান প্রক্রিয়া। উন্নয়নের কাজ ১০০ শতাংশ করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানান মোদি।

  • Sukanta Attacks Mamata: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Attacks Mamata: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে (MGNREGA) যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, এবং একের পর এক তৃণমূল (TMC) নেতার পকেটে টাকা ঢুকেছে, তার জন্য অডিট হয়েছে এবং চরম দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের অডিট টিম দেখেছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা বন্ধ করেছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঞ্চনার অভিযোগের জবাব এভাবেই দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চিঠি লেখেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না, তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সব রাজ্যে  ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ হয়। সেই কাজ করায় বিভিন্ন রাজ্য সরকার। প্রকল্পের পুরো টাকাই দেয় কেন্দ্র। মমতার দাবি, গত চারমাস ধরে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ওই প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, দেরি না করে অবিলম্বে ১০০ দিনের প্রকল্প  ও আবাস যোজনার (pm awas yojana fund) টাকা দিয়ে দিন।

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কাজ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে দেওয়ার কথা। তবে গত চার মাস ধরে ওই প্রকল্পে টাকা দেয়নি কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই মজুরি পাননি প্রকল্পে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা। আবাস যোজনায়ও রাজ্যের পারফরমেন্স ভাল বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, আবাস যোজনায় এ রাজ্যের পারফরমেন্স ভাল। তারপরেও ওই প্রকল্পে কেন নতুন করে বরাদ্দ হয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    মমতার এই দাবির তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলের মতে, ভোট কুড়োতে নানা প্রকল্পে খয়রাতি করছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যুবশ্রী সহ নানা প্রকল্পে জলে যাচ্ছে রাশি রাশি টাকা। প্রকৃত উপভোক্তারা টাকা পাচ্ছেন না। টাকা ঢুকছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। যার জেরে তৃণমূলের বহু ছোট-বড়-মেজ-সেজ নেতা রাতারাতি বড়লোক বনে গিয়েছেন।

    ১০০ দিনের কাজেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, এবং একের পর এক তৃণমূল নেতার পকেটে ঢুকেছে, তার জন্য অডিট হয়েছে এবং চরম দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের অডিট টিম দেখেছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা বন্ধ করেছে।

    আরও পড়ুন : অভিষেক-জায়া রুজিরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি দিল্লির আদালতের

     

  • Thanjavur Temple News: তামিলনাড়ুতে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় তড়িদাহত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

    Thanjavur Temple News: তামিলনাড়ুতে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় তড়িদাহত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথে করে দেবীর মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রায় বেরিয়ে তড়িদাহত হয়ে মারা গেলেন ১১ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। বুধবার ভোরে তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

    প্রতি বছরই এই সময়ে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিপদ এড়ানোর জন্য ওই রথযাত্রা চলাকালীন সাধারণত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা থাকে৷ কিন্তু এবার রথের উচ্চতা বেশি না হওয়ায় সেটি তার পর্যন্ত পৌঁছবে না ভেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি৷ কিন্তু রথ সাজানোর সময় সেটির উচ্চতা বেড়ে যায়৷ যার পরিণতিতে সেটি বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে৷ দুর্ঘটনার সময়ের একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এসে গোটা রথটিই পুড়ে গিয়েছে৷

    পুলিশ সূত্রে খবর, ভোররাতে কালিমেড়ু গ্রামের আপ্পার মন্দিরের কাছে গলির মুখে বাঁক নেওয়ার সময় একটি হাইটেনশন বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে ঘষা লাগে শোভাযাত্রা নিয়ে বেরনো রথটির। মুহূর্তে পুরো রথটি তড়িদাহত হয়ে পড়ে।

    [tw]


    [/tw]

    রথের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিছু ভক্ত। শিশু-সহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয় ওই ঘটনায়। আহতের সংখ্যা ১৫। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের থাঞ্জাভুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিজনকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে৷ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন নিহতদের পরিবার পিছু পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা জানান। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।

     

  • 2002 Gujarat Riots Case: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    2002 Gujarat Riots Case: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট হিংসার ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (CM)নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ক্লিনচিট (Clean Chit)দিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। সিটের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদিকে নির্দোষ রায় দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া। সেই আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অমদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে হিংসায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এহসান। তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছিল। তথ্যপ্রমাণের অভাবে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ ৬৪ জনকে ক্লিনচিট দেয় সিট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন জাকিয়া।

    জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের সপক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি  এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারেরর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলা ভিত্তিহীন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের পর গুজরাট সরকারের পক্ষের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিচারপতিদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।

    আরও পড়ুন: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরই কংগ্রেস, বাম দলগুলো-সহ বিরোধীদের একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “বিরোধীরা গত কুড়ি বছর ধরে মোদিজিকে মিথ্যা দোষারোপ করে গিয়েছেন। ২০০২-গুজরাত হিংসাক ঘটনায় রাজনীতির রঙ লাগিয়েছেন। আজ সত্যি প্রমাণিত হল। আইনের চোখে সবাই সমান। ভারতীয় আইন নির্দোষকে শাস্তি দেয় না।” বিরোধীরা আর কতদিন এই ঘটনায় বিজেপিকে দোষ দেবে, অভিমত রবি শঙ্করের।  তিনি বলেন,”যাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের মোদিজির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” বিজেপি এবার কলঙ্কমুক্ত হল বলেও দাবি করেন তিনি।

     

  • Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এই প্রথম সীমান্তাঞ্চল বাদ দিয়ে জম্মুর লোকালয়ে আসছেন মোদী। জম্মু থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সাম্বা জেলার পালি গ্রামে তাঁর সভা করার কথা। পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখার কথা তাঁর। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি ও নৌসেরা সেক্টরে  সেনা ছাউনিতে দীপাবলি পালন করেন মোদী। তবে, এই প্রথম সেনা ছাউনির বাইরে কাশ্মীরিদের মাঝে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

    তাঁর এই সফরের ঠিক দু’দিন আগে জম্মুর সেনা ছাউনির কাছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে চলল গুলির লড়াই। মোদীর সফর বন্ধ করা বা  হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্যই জঙ্গিরা ক্রমাগত জম্মুতে হামলার ছক কষছিল বলে খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। সেই মতো জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে এক জন সিআইএসএফ কর্মী নিহত এবং আরও চার জন জওয়ান আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি মারা গিয়েছে।

    সুঞ্জোয়ান এলাকায় অন্তত দুই জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাতে সেনা জম্মু শহরের সুঞ্জোয়ান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি তল্লাশি শুরু করে। অভিযান শুরুর পরই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ও গ্রেনেড বর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। গুলির আঘাতে সিআইএসএফ-এর এক সহকারি সাব ইনস্পেক্টর নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। বাহিনীর প্রত্যুত্তরে খতম হয়েছে ২ জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র ও স্যাট ফোন।

    জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল মুকেশ সিংহ বলেন, ‘‘জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার এবং হামলার ছক কষার তথ্য পেয়ে আমরা বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করি। জঙ্গি হানার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন এবং আরও কয়েকজন জন আহত হয়েছেন।  দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলেছে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালেও জঙ্গিরা সুনজবা ক্যান্টনমেন্ট হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় বেশ কিছু সেনা নিহত হন। 

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ ইউসুফ দার ওরফে কান্ত্রু সহ ৪ জঙ্গি। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালায় বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। তিনি জানান, বদগাম জেলার সীমানায় পাহাড় ঘেরা একটি গ্রামে প্রায় এক ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। ইউসুফের সঙ্গেই গুলিতে মারা পড়েছে আরও তিন লস্কর জঙ্গি। ঘটনায় একজন অফিসার সহ চার সেনা জওয়ান ও একজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

    বিজয় বলেন, ‘‘ইউসুফের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য এবং সাধারণ মানুষকে খুনের অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে।’’ এর মধ্যে রয়েছে গত মার্চে বদগামে এসপিও (স্পেশাল পুলিশ অফিসার) মহম্মদ ইশফাক দার এবং তাঁর ভাই ওমরকে খুনের ঘটনা। গত মাসেই মহম্মদ সামির মোল্লা নামে নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান এবং তাগামুল মহিদিন নামে বদগামের এক গ্রামবাসীকেও ইউসুফ খুন করে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া গত বছর কাশ্মীর উপত্যকায় কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিককে খুনের ঘটনাতেও উঠে এসেছিল ওই লস্কর কমান্ডারের নাম। 

  • Shivkumar Sharma: কিংবদন্তী সন্তুরবাদক পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার জীবনাবসান, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর

    Shivkumar Sharma: কিংবদন্তী সন্তুরবাদক পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার জীবনাবসান, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত কিংবদন্তী সন্তুরবাদক শিবকুমার শর্মা (Shivkumar Sharma)। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ‘সন্তুর’(Santoor) নামে বাদ্যযন্ত্রটিকে সঙ্গীতের মূল ধারায় আনার কৃতিত্ব শিবকুমারের। হরিপ্রসাদের (Hariprasad Chaurasia) সঙ্গে জুটি বেঁধে শিবকুমার বলিউডের (Bollywood) একের পর এক কালজয়ী গান বেঁধেছেন। 

    ১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি জম্মুর একটি সম্ভ্রান্ত সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্ম শিবকুমারের। তাঁর বাবা উমা দত্তশর্মা ছিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই শিবকুমার তাঁর বাবার কাছ থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। উমা সন্তুর নিয়ে অনেক গবেষণা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যে, পুত্রকে তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সন্তুরবাদক বানাবেন। এই চিন্তা থেকে শিবকুমারকে তেরো বছর বয়স থেকে সন্তুরের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। পরবর্তী কালে শিবকুমার চলে আসেন মুম্বই। তাঁর বিচরণক্ষেত্র গোটা বিশ্ব হলেও মূলত তিনি কাজ করেছেন মুম্বই থেকেই।  

    সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি (Sangeet Natak Academy)-সহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কার পেয়েছেন শিবকুমার। ২০০১ সালে পান পদ্মবিভূষণ (Padma Vibhushan)। এ ছাড়াও আমেরিকার (USA) সম্মাননীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় তাঁকে।

    শিল্পীর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।  তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক জগৎ রিক্ত হল পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার প্রয়াণে। সন্তুর যন্ত্রটিকে তিনি বিশ্বের দরবারে বিশেষ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
      
    [tw]


    [/tw]

    শোকজ্ঞাপন করেছেন উস্তাদ আমজাদ আলি খান (Ustad Amjad Ali Khan) সহ আরও অনেকে। আমজাদ আলি লেখেন, “পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার প্রয়াণ একটি যুগের অবসান। তিনি সন্তুরের প্রথম সারির শিল্পী। আমার কাছে অবশ্য এটা ব্যক্তিগত শোকের মুহূর্ত। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। ওঁর সঙ্গীত বাজতে থাকুক আমাদের হৃদয়ে।”  

     

  • PM Modi: বিকাশ ও ঐতিহ্য চলবে হাত ধরাধরি করে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: বিকাশ ও ঐতিহ্য চলবে হাত ধরাধরি করে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিকাশ ও ঐতিহ্য (Development and Heritage) হাত ধরাধরি করে চলবে। মঙ্গলবার পুণের (Pune) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন মোদি। দুপুরে পুণে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উদ্বোধন করেন জগৎগুরু শ্রীসন্ত তুকারাম (Saint Tukaram) মহারাজের শিলা মন্দির। ওই অনুষ্ঠানেই বক্তৃতা করতে গিয়ে বিকাশ ও ঐতিহ্যের হাত ধরাধরি করে চলার কথা বলেন মোদি।

    এদিন প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ও মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis) সহ অন্যরা। সেখান থেকে পুণের দেহুতে জগৎগুরু শ্রীসন্ত তুকারাম মহারাজের মন্দিরে যান তিনি। পূজার্চনা শেষে উদ্বোধন করেন শিলা মন্দিরের। সেখানেই পরে একটি জনসভায় ভাষণ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন : আগামী দেড় বছরেই ১০ লক্ষ নতুন কেন্দ্রীয় চাকরি! টার্গেট বেঁধে দিলেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত শাশ্বত। কারণ ভারত সাধুদের ভূমি। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত এই ভেবে যে আমাদের সভ্যতা সবচেয়ে প্রাচীন। এর কৃতিত্ব ভারতের সন্ত পরম্পরা এবং ভারতের সাধু ও ঋষিদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শাস্ত্রে বলা আছে মানব জন্মে সব থেকে দুর্লভ সাধকদের সৎসঙ্গ। সাধকদের কৃপালাভ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভগবানের উপলব্ধি হয়। দেহুর এই পবিত্র ভূমিতে এসে আমিও তাই অনুভব করছি। তিনি বলেন, দেহুর এই শিলামন্দির শুধুমাত্র ভক্তির কেন্দ্র নয়, ভারতের সাংস্কৃতিক ভবিষ্যতের পথও প্রশস্ত করে। এই পবিত্র স্থানটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি মন্দির ট্রাস্ট ও সমস্ত ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  

    আরও পড়ুন : “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    মোদি বলেন, ভারতে প্রতিটি যুগে দিকনির্দেশনা দিতে কোনও না কোনও মহান আত্মা অবতীর্ণ হয়েছেন। সন্ত তুকারামজির দয়া, মমতা ও সেবার উপলব্ধি এখনও আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এগুলিই আমাদের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে। এদিন আরও একবার প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে সবকা সাথ, সবকা বিকাশের (Sabka Saath Sabka Vikas) মন্ত্র। বলেন, বর্তমানে দেশ সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের মন্ত্রে এগিয়ে চলেছে। বৈষম্য ছাড়াই প্রতিটি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সবাই। তিনি বলেন, দেশ এখন আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi ka Amrut Mahotsav) উদযাপন করছে। আমরা গর্বিত যে আমরা, আমাদের সভ্যতা সব চেয়ে প্রাচীন। এর কৃতিত্ব ভারতের সন্ত পরম্পরা। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, বিকাশ ও ঐতিহ্য হাত ধরাধরি করে চলবে।

LinkedIn
Share