Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: ‘‘পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত’’, ইউনূসকে স্পষ্ট বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত’’, ইউনূসকে স্পষ্ট বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ মুখোমুখি বৈঠক হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। তাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে হল পার্শ্ববৈঠক।

    বৈঠকে রাজি হলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    গত বছরের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশের রাশ নেয় ইউনূস প্রশাসন। তারপর এই প্রথম হল মোদি-ইউনূস বৈঠক। বৃহস্পতিবার বিমস্টেক সম্মেলনের নৈশভোজে সাক্ষাৎ হয় দুই নেতার। সেই সময়ও দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার হয় মুখোমুখি বৈঠক। ব্যাংককের শিংরিলা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজের পর শুরু দয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারতের কাছে একাধিকবার আর্জি জানানো হয়েছিল। প্রথমে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী। শেষমেশ অনেক অনুরোধ করায় রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী নিয়ে হল আলোচনা?

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি মোদির সঙ্গে ইউনূসের সাক্ষাত্কার সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘মোদি বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কিত ভারতের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন। বিদেশ সচিব জানান, বৈঠকে ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত। গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে ভারতের সমর্থনের কথাও ফের জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সীমান্ত আইনের কঠোর প্রয়োগ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ নিয়েও আলোচনা করেন।’’

    এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে জনগণ-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী। দীর্ঘ সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে। বাস্তবতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। এদিনের বৈঠকে ইউনূস হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে মিস্রি সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি শুধু বলেন, এই মুহূর্তে এই বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না, এবং আগেই বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের (Bangladesh) কাছ থেকে একটি অনুরোধ পেয়েছে (PM Modi)।

  • Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Lok Sabha)পর রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। তার পরেই এই ঘটনাকে ‘এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেওয়ার জন্য সাংসদ এবং সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই বিল পাশ হওয়াকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন মোদি।

    স্বচ্ছতার লক্ষ্যেই নয়া বিল

    বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে এখন তাইল্যান্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখান থেকেই শুক্রবার সকালে সমাজমাধ্যমে মোদি লেখেন, “সংসদের দুই কক্ষে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার ঘটনা আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা, সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত।” প্রধানমন্ত্রী জানান, এত দিন যাঁরা প্রান্তিক এবং বঞ্চিত ছিলেন, ওয়াকফ সংক্রান্ত নতুন আইন তাঁদের সাহায্য করবে। ওয়াকফ ব্যবস্থার ‘ত্রুটি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বহু দশক ধরে ওয়াকফ ব্যবস্থা আর স্বচ্ছতার অভাব কার্যত সমার্থক ছিল। এই কারণে মুসলমান মহিলা, গরিব মুসলমান এবং পসমন্দা মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংসদে পাশ হওয়া এই বিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখবে।”

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বর

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হবে এই ওয়কফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill), আশা প্রধানমন্ত্রীর। মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই বিল পাশ মোদি সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রয়াস। প্রথমটি ছিল তিন তালাক। উল্লেখ্য, দু’দিন ধরে সংসদে ম্যারাথন বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার রাতে পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। এ বার রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা। তার পরই তা আইনে পরিণত হবে। ওয়াকফ বিল অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা করবে। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিল, ২০২৫ অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিলের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে, এই বিলকে সমর্থন করার জন্য সমস্ত দল এবং সংসদ সদস্যদের আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’

  • PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও আরএসএসের সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই অভিন্ন আদর্শ ও গভীর পারস্পরিক শ্রদ্ধার। আরএসএসের প্রবীণরা প্রায়ই বলেন, তাঁরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন। বৃহত্তর লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ ভাইদের মতোই তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন। রবিবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে (Mohan Bhagwat) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁদের যুগলবন্দি— স্মৃতি মন্দিরে পাশাপাশি হাঁটা, মঞ্চে হালকা মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া এবং সহজ-সরল সৌহার্দপূর্ণ আচরণ—এই সম্পর্কের একটি বিরল প্রকাশ যা জনসমক্ষে দেখা যায় না।

    বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত (PM Modi)

    যাঁরা ভিজ্যুয়ালি দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁরা খুব কমই জানতেন যে তাঁরা কী নিয়ে কথা বলেছেন। তবে এটি স্পষ্ট যে দুজনের মধ্যে বন্ধন— বৃহত্তম হিন্দুত্ব শক্তির প্রধান ও দেশের সবচেয়ে প্রতিভাধর মুখ— রাজনীতি, নিয়মিত বিষয় এবং সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ২০০০ সালে ভাগবতকে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। আর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মোদি। একজন পদস্থ আরএসএস কর্মী বলেন, “যদিও তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবুও তাঁরা সবসময় একটি বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।”

    কী বলছে আরএসএস?

    আরএসএসের আর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “তাঁদের প্রায়ই জনসমক্ষে এক সঙ্গে দেখা যায় না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাঁরা (PM Modi) কথাবার্তা বলেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং বিভিন্ন স্তরে তাঁরা যোগাযোগ রাখেন। আমরা প্রায়ই তাঁদের জয়-বীরু বলে ডাকি, যদিও আমাদের কাঠামোয় আমাদের সর্বদা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হয়, এমনকি কথাবার্তাতেও। কিন্তু আমরা তাঁদের বন্ধুত্ব, তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আশ্চর্যজনক সংগঠনিক কাজের সমীকরণের কথা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। গত তিন দশক ধরে, আমরা সেখানে কোনও ফাটল দেখিনি (Mohan Bhagwat)।” আরএসএস সূত্রে খবর, শনিবার মোদি-ভাগবতের এই মঞ্চ শেয়ার কোনও আকস্মিক সাক্ষাতের উদাহরণ নয় এটি ছিল একটি বন্ধনের পুনর্নিশ্চয়তা, যা দশকজুড়ে সাধারণ মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা এবং সেবার প্রতি সমর্পণের মধ্যে প্রোথিত। রবিবার নাগপুরে দেশ যখন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল, তখন এই বন্ধনটি ফের একবার প্রমাণিত হয়েছিল।

    আরএসএসের সদর দফতরে মোদি

    রবিবারই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে পা রাখেন। কেবল পা রাখাই নয়, এদিন মোদি ভাগবতের সঙ্গে, আরএসএসের ভরকেন্দ্র স্মৃতি মন্দির পরিদর্শনও করেন। স্মৃতি মন্দির— যেটি রেশিমবাগে হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির নামে বেশি পরিচিত— সংঘের কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ড. হেডগেওয়ার এবং এমএস গোলওয়ালকরের (যিনি সংঘের মধ্যে ‘গুরুজি’ নামে খ্যাত) উত্তরাধিকার ও স্মৃতি বহন করে চলেছে। এটি সর্বদাই সংঘের সব স্তরের স্বয়ংসেবকদের জন্য তাত্ত্বিক চিন্তা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের কেন্দ্রস্থল। ভাগবতের সঙ্গে মোদির রেশিমবাগে উপস্থিতি ভারতের পুনরুত্থানের লক্ষ্যে আরএসএস ও সরকারের মধ্যে চিন্তার ধারাবাহিকতাকে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করেছে। এটি সমগ্র সংঘ পরিবার, যার মধ্যে বিজেপিও অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় (Mohan Bhagwat)।

    “হম স্বয়ংসেবক”

    এদিন, স্মৃতি মন্দির থেকে মোদি ও ভাগবত মাধব নেত্রালয়ে পৌঁছান। এটি একটি প্রতিষ্ঠান যা আরএসএসের সেবা ধর্মের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দশকের পর দশক ধরে দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে তাদের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন, সংগঠনের কাজ এবং আরএসএসের বৃহত্তর মিশনের প্রশংসাও করেন। সমাজে শারীরিক ও আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গি দুইই আনার কথাও বলেন তিনি। তাঁর বক্তৃতায়, মোদি একজন বহিরাগতের মতো নয়, বরং তাঁদেরই একজন হিসেবে কথা বলেন। তিনি বারবার “হম স্বয়ংসেবক” শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে তাঁর আরএসএসের ঐতিহ্যকে পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, এক সময় আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন প্রধানমন্ত্রী। এই আনুষ্ঠানিকতার বাইরে যা চোখে পড়ল তা হল অকৃত্রিম কিছু মুহূর্ত— মোদি ও ভাগবতের সাবলীল কথোপকথন (Mohan Bhagwat), তাঁদের হাসি-ঠাট্টা এবং প্রাঞ্জল আলাপচারিতা।

    সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা বন্ধন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদি-ভাগবতের এসব (PM Modi) আচরণ লোক দেখানোর জন্য নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বন্ধন, একটি সম্পর্কের প্রতিফলন। তাঁদের মধ্যে যে আন্তরিকতা বিভিন্ন টুকরো টুকরো দৃশ্যের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে, তা প্রায় সমস্ত অভিযোগমূলক বিভেদের ধারণা বা কোনও বিবাদের জল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছে। আরএসএসের কর্তাদের একাংশের মতে, এদিনের এই অনুষ্ঠানটি একটি সুসময়ের সংযোগ, সযত্নে তৈরি একত্রীকরণের একটি মুহূর্ত। এটি আরএসএস ও সরকারের মধ্যে আদর্শিক সেতুকে আরও শক্তিশালী করেছে। নাগপুরে (PM Modi) এই অনুষ্ঠানের মূল বার্তা স্পষ্ট— একটি ঐক্যবদ্ধ সংঘ পরিবারের প্রতিচ্ছবি (Mohan Bhagwat)।

    এক দেশ, এক ভারত!

  • PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার হিন্দু নববর্ষ। এদিনই নাগপুরে আরএসএসের (RSS) দফতরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাগপুরে কেশবকুঞ্জে একটি চক্ষু হাসপাতালের সম্প্রসারণের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকালে তিনি প্রথমে যান রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দফতরের কাছে স্মৃতি মন্দির দর্শনে। শ্রদ্ধা জানান সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে।

    আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন আরএসএসের সদর দফতরে। ২০১২ সালে শেষবারের মতো সংঘের সদর দফতরে গিয়েছিলেন মোদি। তবে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। তারপর কেটে গিয়েছে আস্ত একটা যুগ। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই পর্বে দেশজুড়ে বিজেপিকে বিপুল রাজনৈতিক মাইলেজ দিয়েছে সংঘ। তবে সেই কারণে তিনি নাগপুর যাননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন আরএসএস প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকের পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

    মোদির পাশে ভাগবত   

    এদিন মোদির শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সরসংঘচালক মোহন ভাগবতকে। আরএসএসের শ্রুতি মন্দিরে সংঘ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর দীক্ষাভূমি মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেডকরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী যান দীক্ষাভূমিতে। এখানেই হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন আম্বেডকর (PM Modi)।

    এর আগে গত বছর অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে সংঘ প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৪ সালে একবার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল মোদি ও ভাগবতকে। তার পরে আবার এদিন এক মঞ্চে দেখা গেল দুই মহীরুহকে। আরএসএসের দফতর ঘোরার শেষে ভিজিটর্স বুকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নাগপুরে স্মৃতি মন্দির দর্শন একটি অত্যন্ত বিশেষ অভিজ্ঞতা। এটি জাতির সেবা করতে প্রাণিত করে।” ভিজিটর্স বুকে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ ও সংগঠনের মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত এই পবিত্র স্থান আমাদের দেশের সেবায় প্রেরণা জোগায়। এই স্থানের সঙ্গে যুক্ত সকল মহান ব্যক্তিদের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম (RSS) জাতির সেবায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকদের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত মাতার গৌরব উজ্জ্বল হবে (PM Modi)।”

  • Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার মহান বন্ধু। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি মোদির কোনও স্তাবক নন, বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রীও নন, সাধারণ মানুষ তো ননই। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল মোদি-স্তুতি। এই বৈঠকেই তিনি ভারতের উচ্চ শুল্ক নীতির প্রতি তাঁর অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন।

    ‘তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন’ (Donald Trump)

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি এখানে এসেছিলেন, এবং আমরা সবসময় খুব ভালো বন্ধু। ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আদায়কারী দেশগুলির মধ্যে একটি। তারা খুব স্মার্ট। তিনি একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ এবং আমার একজন মহান বন্ধু। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি ভারত ও আমাদের দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালোভাবেই গড়ে উঠবে। আমি বলতে চাই, তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন।”

    ‘শুল্ক রাজা’

    প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল থেকে আমেরিকা ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি একে ‘শুল্ক রাজা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ভারতের আমদানি শুল্ককে ‘অত্যন্ত অন্যায্য ও কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে একটি বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক আছে। ভারত সম্পর্কে আমার একমাত্র সমস্যা হল তারা বিশ্বের অন্যতম উচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ। আমি মনে করি, তারা সম্ভবত এই শুল্কগুলি যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেবে। কিন্তু ২ এপ্রিল থেকে আমরা তাদের ওপর সেই একই শুল্ক আরোপ করব, যা তারা আমাদের ওপর আরোপ করে।”

    এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “১২-১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে গভীরতর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ন্যায্যতা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন – ‘মিশন ৫০০’ – যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে পণ্য ও সেবার দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা… উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের শরৎকালের মধ্যে একটি পারস্পরিকভাবে উপকারী, বহু-ক্ষেত্রীয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (বিটিএ) প্রথম কিস্তি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন।”

    কীর্তি বলেন, “দুই সরকারই এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে এবং বিটিএ-র জন্য একটি কাঠামো (PM Modi) গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হল পণ্য ও সেবা খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা, পাশাপাশি বাজার প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধা কমানো এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের একীকরণকে গভীরতর করা (Donald Trump)।”

  • PM Modi: আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন নাগপুরে, আরএসএসের (RSS) সদর দফতরে। অথচ, স্বাধীনতার পর তিন-তিনবার নিষিদ্ধ সংগঠনের তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে আরএসএসের গায়ে। তথাকথিত উদারপন্থীদের কাছে এখনও অচ্ছুত এই সংগঠন। পাছে ভোটব্যাংকে ধস নামে, তাই আরএসএসের সংস্রব এড়িয়ে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা।

    আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন মোদি (PM Modi)

    আগামী ৩০ মার্চ সেখানে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেবি হেডগেওয়ারের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। স্থাপন করবেন মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর। হেডগেওয়ার এবং আরএসএসের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক এমএস গোলওয়ালকারের স্মৃতিসৌধগুলি নাগপুরের রেশিমবাগ এলাকায় ডঃ হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রধান চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানান, প্রধানমন্ত্রী ৩০ মার্চ এই স্মৃতিসৌধগুলি পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।

    গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়

    আরএসএসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নাড়ির টান। তিনি দীর্ঘদিন আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একবারও যাননি সঙ্ঘের সদর দফতরে। তবে আরএসএসের সদর দফতরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তা নিয়ে আগে-পরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্দরে। সেসব উপেক্ষা করেই প্রণব গিয়েছিলেন নাগপুরে। এবার যাবেন মোদি।

    এ বছর সঙ্ঘের শতবর্ষ। সেই উপলক্ষে বছরভর নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আরএসএস। প্রধানমন্ত্রী যে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, সেখানে থাকবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। ২০১৪ সালের পর এ নিয়ে তৃতীয়বার প্রকাশ্যে মঞ্চ শেয়ার করবেন গেরুয়া শিবিরের দুই ‘মহীরুহ’। আরএসএস ইতিহাসের এক স্কলার বলেন, “এটি প্রথমবার যে একজন সক্রিয় প্রধানমন্ত্রী ডঃ হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করবেন।” তিনি বলেন, “প্রয়াত বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী ২০০৭ সালে এই স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। মোদি এর আগে একজন প্রচারক হিসাবে এই স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এটি তার প্রথম দর্শন।” জানা গিয়েছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী ‘দীক্ষাভূমি’ও পরিদর্শন করবেন, যেখানে সংবিধান প্রণেতা বিআর আম্বেডকর ১৯৫৬ সালে হাজারো অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, এই নাগপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির নীতীন গডকরী। আরএসএসের সদর দফতরটি যে এলাকায় রয়েছে (RSS), সেখানকার বিধায়ক বিজেপিরই দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (PM Modi)।

  • Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” শুক্রবার রাজ্যসভায় এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন তিনি পাঞ্জাবে উগ্রপন্থী অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে তাঁর মন্ত্রক কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা দেশে সন্ত্রাসবাদকে বিকশিত হতে দেবেন না।

    শাহ উবাচ (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা কোনও রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা চালিত সন্ত্রাসবাদকে দেশে বিকশিত হতে দেব না। এটি শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের বিচ্ছিন্নতাবাদী জার্নাল সিং ভিন্দ্রাওয়ালের পথ অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁরা এখন অসমের জেলে রয়েছেন।” প্রসঙ্গত, অমৃতপাল সিং ও তাঁর সহযোগীরা গত দু’বছর ধরে এনএসএ-র অধীনে অসমের ডিব্রুগড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। খাদুর সাহিব আসন থেকে জয়লাভও করেছিলেন।

    পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের সমালোচনা

    এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত চালানোর পর ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মোগার রোডে গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন গারদে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে নিরাপদ।” সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথাও এদিন তুলে ধরেন শাহ। তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ, বামপন্থী চরমপন্থা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি। এগুলি চার দশকে ৯২ হাজার নাগরিকের জীবন কেড়ে নিয়েছে।” শাহ (Amit Shah) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারের প্রয়োজন সাহস ও দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকা।” জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেন।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এক সময় ছিল যখন বোমা বিস্ফোরণ নিয়মিত ঘটনা ছিল। আমি দেশের মানুষকে বলতে চাই, গত ১০ বছরে, এমন বোমা বিস্ফোরণ বন্ধ হয়েছে। এখন কেউ আর বিস্ফোরণ ঘটানোর সাহস পায় না। নরেন্দ্র মোদীর অধীনে দেশ নিরাপদ। আমরা সন্ত্রাসবাদকে উৎখাত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”  তিনি (Amit Shah) বলেন, “মোদিজির দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ এখন নিরাপদ। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধী দলগুলির চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। আমরা আপনাদের (বিরোধী দল) এবং দেশকে নিরাপদ রাখব (Terrorism)।”

  • Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। শশী বলছেন, যুদ্ধের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরপেক্ষ অবস্থানের বিরোধিতা করে চরম ভুল করেছিলেন তিনি। সেকথা মনে পড়লে মাথা নত হয়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi-Sashi Tharoor) নীতি একেবারে সঠিক বলে মনে করেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। শশী সম্প্রতি ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামে একটি আলোচনা সভায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ থাকার মোদির সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেন।

    রাইসিনা ডায়লগে শশী

    রাইসিনা ডায়ালগে একটি প্যানেল আলোচনায় শশী থারুর (Shashi Tharoor) স্বীকার করেছেন যে, তিনি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভুল ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, এই অবস্থান ভারতকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করেছে, যে দুটি দেশ ২০২২ সাল থেকে যুদ্ধে লিপ্ত। শশী বলেন, “যুদ্ধ শুরুর সময় আমিই ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হানাদারি নিয়ে ভারতের নিরপেক্ষ ভূমিকার সমালোচনা করেছিলাম। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক গতিপ্রকৃতি দেখে নিজেই লজ্জিত বোধ করি সেদিনের আচরণের জন্য। সেদিন বিরোধিতার জন্য নিজেকেই ঢোঁক গিলে নিতে হচ্ছে।” শশী থারুরের এই মন্তব্য যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, এটা দেখে ভালো লাগছে যে, কংগ্রেসের নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে মান্যতা দিচ্ছেন। স্বীকার করে নিচ্ছেন। কেন্দ্রের বিদেশনীতিকে প্রশংসা করার জন্য শশী থারুরের বিরুদ্ধে তাঁর দল কোনও ব্যবস্থা নেবে না বলেও আশা বিজেপি নেতাদের।

    মোদি-নীতির প্রশংসা

    বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বুধবার বলেছেন, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুরের (Shashi Tharoor) রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির “স্বাভাবিক প্রকাশ”। দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিবেদী মোদির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন, যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, মোদি দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাক্ষাৎ করেছেন। ত্রিবেদী বলেন, “শশী থারুর আজ রাইসিনা ডায়ালগে যা বলেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের অসাধারণ বৈশ্বিক কূটনৈতিক নীতির স্বাভাবিক ফল। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যে কেউ এটি বুঝতে পারবেন। মোদি একমাত্র নেতা যিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি উভয়ের সঙ্গে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কথা বলেছেন এবং উভয়ের কাছ থেকে সমান গুরুত্ব পেয়েছেন।” ত্রিবেদী আরও বলেন, “শশী থারুরের মন্তব্য মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ।” থারুরের মন্তব্যকে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রমাণ হিসেবে দেখছে, বিশেষজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মোদির কূটনীতি ভারতকে বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় করে তুলেছে। মোদির নীতির ফলেই বিশ্বের দরবারে ভারতের ক্ষমতা ও প্রভাব বেড়েছ। থারুরের মন্তব্য ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রতিপত্তির ইঙ্গিত দেয়।

    রাহুলকে আক্রমণ

    বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দূরদৃষ্টি বিরোধী দলের নেতারাও প্রশংসা করছেন, স্বীকার করছেন। রাহুল গান্ধী, চিদম্বরমের মতো কংগ্রেস নেতা ও রঘুরাম রাজনের মতো লোকেরাও এখন তাঁদের কথা নিজেরাই গিলে নিচ্ছেন। অর্থনীতি, ইউপিআই, উৎপাদন শিল্প এবং আরও বহু কিছুতে দেশের অবস্থান নিয়ে তাঁরা অতীতের মন্তব্য নিয়ে নিজেরাই লজ্জিত। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “থারুরের একের পর এক মন্তব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, কংগ্রেসের ভিতরে বিদ্রোহের ছুরির ফলা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। যা দেখে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। কংগ্রেস এবার হয়তো দলীয়ভাবে জানাবে শশী থারুর যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। দলের অবস্থান নয়। যদিও সংসদে এই বিষয়ক আলোচনায় থারুরকেই দল দায়িত্ব দিয়েছিল।”

  • PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ ২০২৫-এর (Maha kumbh 2025) ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই মহাকুম্ভের সাফল্যের জয়গান করেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতীয় চেতনার প্রমাণ (PM Modi)

    তিনি একে ভারতের আধ্যাত্মিক ও জাতীয় চেতনার প্রমাণ বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী এই বিশাল সমাবেশের সুন্দর ব্যবস্থাপনারও প্রশংসা করেন, যা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু ও মানুষকে আকর্ষণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভকে বিভিন্ন “অমৃত”-এর উৎস বলে বর্ণনা করেন। এর মধ্যে “ঐক্য” হল সবচেয়ে পবিত্র। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভ হল সেই বিশেষ মুহূর্ত যখন মানুষ সারা দেশ থেকে একত্রিত হয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের জাত, ভাষা, অঞ্চল, লিঙ্গ এবং অন্যান্য পক্ষপাত ভুলে গিয়ে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছিলেন। এই ভাবনা প্রচার করেছিলেন যে এটি কখনও “আমি” এর জন্য নয়, বরং সর্বদা “আমরা” এর জন্য।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা মহাকুম্ভের পরিমাণ ও প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁরা তাঁদের উত্তর পেয়েছে দেশজুড়ে দেখা গেছে অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও আধ্যাত্মিক জাগরণের মাধ্যমে।”

    রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহ

    মহাকুম্ভে রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহাকুম্ভ ২০২৫-এ জাতীয় সচেতনতার একটি অসাধারণ প্রদর্শনী দেখা গিয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ প্রয়াগরাজে একত্রিত হয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্ম গভীর আবেগ নিয়ে এই অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছে, যা ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে মহাকুম্ভ আঞ্চলিক, ভাষাগত এবং সামাজিক সীমা অতিক্রম করে একটি সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের মহিমা হল ভারতের ঐক্যের ক্ষমতার প্রতিফলন, যা বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সাধারণ লক্ষ্যের দিকে কাজ করে।”

    প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণ

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর মরিশাস সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমি যখন ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র জল গঙ্গা তালাবে উৎসর্গ করেছিলাম, তখন তা প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে এক গভীর ভক্তির অনুভূতি জাগিয়েছিল।” তিনি বলেন, “ভারতের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, এবং এই একত্রিত হওয়ার চেতনাকে আরও লালন করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

    মহাকুম্ভে অমৃত স্নান

    চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভে অমৃত স্নান। শেষ হয়েছিল ৪৫ দিন পরে, ২৬ ফেব্রুয়ারি। তিন পক্ষের এই মহাকুম্ভ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি। ৬৬ কোটিরও বেশি ভক্ত গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও ৫ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে এই পবিত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানের প্রভাব ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ডকে মহাকুম্ভের গঙ্গাজল উপহার দেন। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছিলেন ৭৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতে, এটি এই গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক সমাবেশের বৈশ্বিক সচেতনতা প্রদর্শন করে।

    ভারতের ঐক্যের শক্তি

    বিশ্বজুড়ে চলা সংঘাতের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যের শক্তিকে প্রতিফলিত করে। বিশ্বের অনেক অংশ বিভক্ত থাকলেও, ভারত ঐক্য ও সম্মিলিত ঐতিহ্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।” তিনি বলেন, এই ঐক্যই আমাদের আশীর্বাদ ও আমাদের শক্তি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকটের সময় ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিক প্রথাগুলি ঐক্যবদ্ধকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। মহাকুম্ভ, যা বিশ্বাসীদের এক বিশাল সমাবেশ, এটি লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে ঐক্য ও বিশ্বাসের অনুভূতি পুনরায় জাগ্রত করে।” তিনি বলেন, “এই ধরনের বৃহৎ অনুষ্ঠানগুলি বিশ্বের কাছে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে এবং ঐতিহ্য রক্ষার পথে দেশকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।”

    পরিবেশগত গুরুত্বে জোর

    প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভের পরিবেশগত গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। তিনি একটি বৃহত্তর নদী সংরক্ষণ আন্দোলনের আহ্বানও জানান। জল সংরক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ‘নদী উৎসব’ প্রসারিত করার অনুরোধও জানান। তিনি (PM Modi) বলেন, “কুম্ভমেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম টেকসই উন্নয়নে জন আন্দোলনের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।” নদী দূষিত ও শুকিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি জোর দিয়েছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলাশয় সংরক্ষণের পদ্ধতি শেখানো প্রয়োজনের ওপর। তাঁর মতে, নদী উৎসবের প্রসার ভারতের বিশাল নদী ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত ও সংরক্ষণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে (Maha kumbh 2025)।

    ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড়

    এদিন তিনি ফের বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড় বুঝতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মহাকুম্ভের মতো ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” একটি ক্রমবর্ধমান আধুনিক বিশ্বে, যেখানে অনলাইন শক্তি জীবনকে রূপান্তরিত করছে, সেখানে তিনি আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি গর্বিত হয়েছেন এই ভেবে যে যখন দেখলেন তরুণরা তাদের ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে গ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মহাকুম্ভের মতো উৎসবগুলি কেবল ধর্মীয় সমাবেশই নয়, বরং ভারতের ঐতিহাসিক সহনশীলতার গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে এই ধরনের উৎসবগুলি যেন অক্ষুণ্ন রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

  • China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের মুখে রাম নাম নয়, বরং পড়ুন, চিনের (China) মুখে ভারতের নাম! এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের শি জিনপিং সরকার। আমেরিকা সফরে গিয়ে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সাক্ষাৎকারে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রশংসা করল চিন।

    হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক (China)

    এনিয়ে ফের একবার ‘হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক নৃত্যে’র প্রসঙ্গ তুলে আনল বেজিং। রাখঢাক না করেই চিনের স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদির বয়ান বাস্তববাদী। ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “আমার দেশ মোদির এই বিবৃতি শুনেছে এবং তারা এর প্রশংসা করছে।”

    ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক

    এর আগে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে পরিণত হওয়া উচিত নয় এবং মতপার্থক্যকেও বিরোধে পরিণত করা উচিত নয়।” এই আবহে মাও বলেন, “অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যের সফল বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত দিক নির্দেশনা দিয়েছে।”

    চিনের প্রশস্তি

    ফ্রিডম্যানকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি ভারতের অপর প্রতিবেশী চিনকে (China) নিয়ে তাঁর সুর ছিল নরম। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘পরিবারে’র উদাহরণ টেনেছিলেন। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের যে বিবাদ রয়েছে এবং গত কয়েক বছর ধরে যে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে, তা মেনে নিয়েছেন মোদি। তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে চিন ও বেজিংয়ের সম্পর্ক ভালো হচ্ছে।

    ভারত-চিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে তা যাতে বিবাদে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” মোদি জানান, গালওয়ান পূর্ববর্তী সমীকরণেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে ফের আস্থা ফিরবে।” ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠকের পরে সীমান্তে (China) স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে দেখছি (PM Modi)।”

LinkedIn
Share