Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: ‘‘দেশবাসীর কাছে আমি ঋণী’’, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, জয়ের পর বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘দেশবাসীর কাছে আমি ঋণী’’, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, জয়ের পর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের হ্যাটট্রিক। পরপর তিনবার। ১৪, ১৯-এর পর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) জয়কে ‘মানুষের আশীর্বাদ’ বলে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার গণনার শেষ আপডেট অনুযায়ী, ২৯৩ আসনে এগিয়ে এনডিএ। বিজেপি এগিয়ে ২৪১ আসনে। সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যা ২৭২ পেরিয়েছে এনডিএ। সেখানে ইন্ডি জোট ২৩৩-এ আটকে। টানা তিন বার ক্ষমতা দখলের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, “গণতন্ত্রের জয় হল, এই সরকার সমাজের প্রতিটি স্তরের জন্য কল্যানমূলক কাজ করতে অঙ্গিকারবদ্ধ।”

    দেশবাসীর কাছে ঋণী

    নয়াদিল্লিতে দলীয় সদর দফতর থেকে সফল নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন এবং নিরাপত্তা কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “দেশের জনগণ এনডিএ-কে তিন বার সরকার গড়ার রায় দিয়েছে। এর জন্য দেশবাসীর কাছে আমি ঋণী। এটা দুনিয়ার সবথেকে বড় গণতন্ত্রের জয়। এটা ভারতের সংবিধানের জয়। এটা বিকশিত ভারতের জয়। এটা ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ মন্ত্রের জয়। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের জয়।” মোদির কথায়, “২০১৪ সালে দেশবাসী পরিবর্তনের জন্য ভোট দিয়েছিল। সেইসময় নিত্যদিন খবরের শিরোনামে উঠে আসছিল দুর্নীতি এবং কেলেঙ্কারি। ২০১৯ সালে জয় এল। ২০২৪ সালে, এই গ্যারান্টি নিয়ে আমরা জনগণের কাছে গিয়েছিলাম। এনডিএ-র প্রতি দেশবাসীর আশীর্বাদের জন্য আমি জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।”

    দেশের সেবা করার অঙ্গীকার

    ১৯৬২ সালের পর প্রথমবারের মত কোনও সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে। জয়ের পর মোদি (PM Modi) বলেন, “আগামী বছর সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি হবে। এই সন্ধিক্ষণে দেশের সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে এগিয়ে যাবে এনডিএ সরকার। বিভিন্ন রাজ্যে যে দলেরই সরকার থাকুক না কেন, তাতে কিছু এসে যায় না। আমরা এক সঙ্গে কাজ করে দেশের সেবা করব। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এটা গণতন্ত্রের শক্তি। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে চাই।” ওড়িশা, কেরলে ভাল ফলের জন্য মোদি বলেন, “জগন্নাথদেবের আশীর্বাদে এবার ওডিশায় বিজেপির সরকার হবে। কেরলেও আমরা আসন জিতেছি। অসংখ্য কেরলবাসীর বলিদানের ফলে এটা হয়েছে।” চন্দ্রবাবু নাইডু আর নীতীশের প্রশংসাও করেন নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুন: বার বার তিনবার! বারাণসীতে ফের জিতলেন মোদি

    বিকশিত ভারতের স্বপ্ন

    মায়ের মৃত্যুর পর মোদির (PM Modi) এটি প্রথম নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। মোদির কথায়, “জনগণ আমায় মায়ের অভাব বুঝতেই দেননি।” তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসে বিকশিত ভারতের কাজ সম্পন্ন করার কথা বলেছেন। ভারতের অর্থনীতিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি বানানোর সংকল্পের কথা জানিয়েছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এনডিএ সরকার দৃঢ় থাকবে সেই বার্তাও দিয়েছেন মোদি। বলেছেন, “সরকার আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে অবিচল থাকবে, ততদিন থামবে না যতদিন না দেশের প্রতিরক্ষা সেক্টর সম্পূর্ন স্বনির্ভর হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Results 2024: বার বার তিনবার! বারাণসীতে ফের জিতলেন মোদি

    Lok Sabha Results 2024: বার বার তিনবার! বারাণসীতে ফের জিতলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার তিনবার! ফের বারাণসী কেন্দ্রে (Lok Sabha Results 2024) জয়ী হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি পেয়েছেন ৬ লাখ ১২ হাজার ৯৭০টি ভোট। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের অজয় রাই। তিনি রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান। অজয় পেয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৭ ভোট। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কংগ্রেস প্রার্থী পিছিয়েছিলেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৫১৩ ভোটে। এনিয়ে পর পর তিনবারই প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন অজয়।

    মোদির জয় (Lok Sabha Results 2024)

    ২০১৪ সালে (Lok Sabha Results 2024) এই কেন্দ্রে প্রথমবার প্রার্থী হন মোদি। ২০১৯ সালে সমাজবাদী পার্টির শালীনি যাদবকে প্রধানমন্ত্রী পরাস্ত করেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৫ ভোটে। সেবার মোদি পেয়েছিলেন ৬৩.৬ শতাংশ ভোট। উত্তরপ্রদেশের আরও একটি কেন্দ্রের দিকে নজর রয়েছে দেশবাসীর। এই কেন্দ্রটি হল রায়বরেলি। এখানে বিজেপির প্রার্থী দিনেশ প্রতাপ সিংহকে ধরাশায়ী করেছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। এই কেন্দ্রে রাহুল এগিয়ে রয়েছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ ভোটে। 

    কিশোরীর কাছে হার স্মৃতির

    উত্তরপ্রদেশেরই আমেঠিতে দেড় লাখের বেশি ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন কিশোরী লাল শর্মা। তিনি এগিয়ে রয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪০ ভোটে। অথচ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই আসনেই কংগ্রেসকে গোহারা হারিয়েছিলেন স্মৃতি। মৈনপুরে জয়ী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব। এক সময় এই কেন্দ্রে জয়ী হতেন মুলায়ম সিংহ যাদব। বিজেপির ঠাকুর জয়বীর সিংহকে ডিম্পল পরাস্ত করেছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৬৩৯ ভোটে।

    আর পড়ুন: পদ্মময় জগন্নাথের রাজ্য, ভেঙে চুরমার নবীনের স্বপ্ন?

    মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, অযোধ্যা লোকসভা কেন্দ্রে পিছিয়ে রয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী লাল্লু সিংহ। সমাজবাদী পার্টির আদেশ প্রসাদ এগিয়ে রয়েছেন ৪৯ হাজার ২৩৩ ভোটে।বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র। এগুলি হল, রোহানিয়া, বারাণসী উত্তর, বারাণসী দক্ষিণ, বারাণসী ক্যান্ট এবং সেবাপুরী। বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায়। ভোট পড়েছে ৫৬.৩৫ শতাংশ। এই দফায় সব মিলিয়ে নির্বাচন হয়েছে দেশের ৫৭টি লোকসভা কেন্দ্রে।

    প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি জয়ী হয়েছেন তাঁর সেনাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। গুজরাটের গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রে রেকর্ড মার্জিনে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সোনাল রামভাই প্যাটেলকে আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী করেছেন শাহ (Lok Sabha Results 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের উন্নয়নের গতিপথ আমাদের অহংকার ও গর্বের স্বপ্ন পূরণ করেছে।” ভারতবাসীর উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নির্বাচনী প্রচারের শেষে দেশের দক্ষিণতম বিন্দু কন্যাকুমারীতে গিয়ে টানা ৪৫ ঘণ্টা ধ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধি (PM Modi)

    কন্যাকুমারীর ধ্যান মণ্ডপে (যেখানে বসে স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যান করেছিলেন) প্রায় দু’দিন ধরে ধ্যান করার পর তাঁর উপলব্ধি, “এই দু’দিন বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম আমি।” চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমাদের দেশে আজই (পয়লা জুন) শেষ হচ্ছে গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসব। এই দেশ গণতন্ত্রের মাতৃস্বরূপা। কন্যাকুমারীতে তিনদিনের আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষে আমি এই মাত্র দিল্লির উড়ান ধরলাম। এই দিনে কাশী এবং আরও কয়েকটি আসনে ভোট গ্রহণ-পর্ব চলছে। আমার মনে অনেক অভিজ্ঞতা, আবেগ সঞ্চিত হয়েছে।” তিনি (PM Modi) লিখেছেন, “আমি নিজের মধ্যে অপার শক্তির প্রবাহ অনুভব করেছি। এই সময় নির্বাচনের কোনও তাপ-উত্তাপ, কূট-কচালি আমায় স্পর্শ করেনি।”

    চিঠিতে কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমার মধ্যে বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্নতার একটা ভাব এসেছিল…আমার মন বর্হিজগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এত বিশাল দায়িত্বের মধ্যে ধ্যান করে যাওয়াটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কন্যাকুমারীর ভূমি এবং স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরণা আমার কাজকে অনায়াস করে দিয়েছিল।” তিনি লিখেছেন, “আমি নিজেও একজন প্রার্থী, আমার প্রচারের ভার আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম আমার প্রিয় কাশীবাসীর ওপর। তাঁদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে আমি এখানে চলে এসেছিলাম। আমি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ এই ভেবে যে আমার জন্মের সময় থেকে তিনি আমার মধ্যে এই মূল্যবোধ গেঁথে দিয়েছিলেন। আমি আজীবন এটাকেই লালন-পালন করেছি। চেষ্টা করেছি এই মূল্যবোধ নিয়েই বেঁচে থাকতে।”

    আর পড়ুন: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    তিনি লিখেছেন, “বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও, অপার শান্তি এবং নীরবতার মধ্যে থাকলেও আমার মন নিরন্তর ভেবে গিয়েছে উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে, ভারতের লক্ষ্য নিয়ে। কন্যাকুমারীর উদীয়মান সূর্য আমার চিন্তা-ভাবনাকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র আমার ধারণাকে প্রসারিত করেছে। মহাবিশ্বের মধ্যে নিহিত ঐক্য এবং একত্ব আমায় উপলব্ধি করিয়েছে আকাশ আর সমুদ্রের মিলনরেখা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: কুর্সিতে ফিরছে বিজেপি-ই, রবিবার টানা সাতটি বৈঠকে যোগ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: কুর্সিতে ফিরছে বিজেপি-ই, রবিবার টানা সাতটি বৈঠকে যোগ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের পর্ব শেষ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষে বিভিন্ন সমীক্ষার ফল বলছে তৃতীয় বারের জন্য দিল্লির মসনদে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-ই (PM Modi)। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই যে ক্ষমতায় ফিরবে, সে বিষয়ে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তাই ভোট মিটতেই ২ জুন রবিবার ম্যারাথন বৈঠকে বসছেন তিনি। এদিন তিনি সব মিলিয়ে বৈঠক করবেন সাতটি। এর মধ্যে যেমন তাপপ্রবাহ এবং রেমাল ঘূর্ণঝড়-উত্তর পরিস্থিতি রয়েছে, তেমনি রয়েছে একশো দিনের কাজের অ্যাজেন্ডার পর্যালোচনাও।

    আলোচ্যসূচি (PM Modi)

    রেমাল-উত্তর পরিস্থিতিতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে। এর মধ্যে বানভাসি হয়েছে অসম। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে কিছু এলাকা। এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) প্রথমে এই ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা করবেন। তারপরের বৈঠকে আলোচ্য বিষয় তাপপ্রবাহ। দিল্লিতে এবার রেকর্ড গরম পড়েছে। তাপমাত্রার পারা ছাড়িয়েছে ৫২ ডিগ্রির চৌকাঠ। এর পরের বৈঠক হবে বৃহৎ পরিসরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে। তার পরে হবে একশো দিনের কাজের এজেন্ডা পর্যালোচনা। সব মিলিয়ে এদিনই তিনি করবেন সাতটি বৈঠক।

    রোডম্যাপের বৈঠক

    লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, নয়া সরকারের প্রথম একশো দিনে কী কাজ হবে। মন্ত্রীদের প্রতি তাঁর নির্দেশ, মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দু’টি রোডম্যাপ বানাতে হবে। একটি প্রথম একশো দিনের কাজ, আর দ্বিতীয়টি দীর্ঘ মেয়াদি রোডম্যাপ। প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকই বলে দিয়েছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির কেন্দ্রে ফেরাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায়ই তিনি বলেছিলেন, বিজেপি পাবে ৩৭০টি আসন। এনডিএর আসন মিলিয়ে পদ্ম পার্টির ঝুলিতে আসবে ৪০০টি আসন। বিভিন্ন সংস্থার করা এক্সিট পোলেরও পূর্বাভাস, ৪০০ না হলেও, ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ-ই।

    আর পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রামকৃপাল

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে গোটা দেশ চষে বেড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই প্রচার শেষ হতেই তিনি উড়ে গিয়েছিলেন দেশের দক্ষিণতম বিন্দু কন্যকুমারিকায়। সেখানে ধ্যান মণ্ডপে টানা দু’দিন ধরে ধ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর ফেরেন দিল্লিতে। এনডিএ সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে ধরে নিয়েই রবিবার ম্যারাথন বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP slams INDI Alliance: মোদির ধ্যানকে কটাক্ষ করায় ইন্ডি-জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি, কী বলল?

    BJP slams INDI Alliance: মোদির ধ্যানকে কটাক্ষ করায় ইন্ডি-জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি, কী বলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষে কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে (PM Modi’s meditation) বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই ঘটনাকে ইস্যু তৈরি করেছে কংগ্রেস এবং ইন্ডি-জোট। আর এবার কংগ্রেস এবং ইন্ডি-জোটের এই আচরণের নিন্দা (BJP slams INDI Alliance) করলেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কংগ্রেস এবং ইন্ডি-জোটের সমস্যাটা কি? প্রধানমন্ত্রী যদি কিছু বলেন, তাতে তাদের সমস্যা হয়। তিনি যদি কিছু না বলে ধ্যানের জন্য বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে যান, তাহলেও তাদের সমস্যা হয়।” 

    ইন্ডি-জোটের অভিযোগ 

    আসলে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের ৫৭ আসনের ভোট রয়েছে আগামী ১ জুন। আর তার আগে লোকসভা ভোটের প্রচারপর্ব শেষ করে কন্যাকুমারীতে ধ্যানে (PM Modi’s meditation) বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীরা মনে করছেন, ভেবেচিন্তেই মোদি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে শেষ পর্বের ভোট গ্রহণের সময়ও তিনি প্রচারের আলোয় থাকতে পারেন। কংগ্রেস মনে করছে, এটা হলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন (BJP slams INDI Alliance)। কারণ, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ মে সন্ধ্যা থেকেই শুরু হচ্ছে নীরবতা পর্ব বা সাইলেন্স পিরিয়ড। ওই সময়টুকু দেওয়া হয় প্রচার শেষে ভোটাররা যাতে ভোটদান নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ইন্ডি জোটের দাবি,  মোদি ধ্যান বসলে দেশের সব টেলিভিশন তা নিয়ে হইচই করবে। প্রত্যক্ষ না হলেও সেটা হবে পরোক্ষ প্রচার। তাতে ভোটাররা প্রভাবিত হবেন। চিন্তা করার অবকাশ পাবেন না। উল্লেখ্য মোদি নিজেই এবারের পর্বে বারানসিতে প্রার্থী। সেখানকার ভোটও হবে শেষ দফায়। কাজেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হবেন। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ২৮ জন বিজেপি নেতাকে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা! অনুমোদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    পুনাওয়ালার মন্তব্য

    আর ইন্ডি-জোটের এই মন্তব্যের পরেই এদিন পুনাওয়ালা বলেন, “এটি বিরোধীদের হতাশা এবং “সনাতন বিরোধী” (BJP slams INDI Alliance) মানসিকতার পরিচয়। এই বিরোধীরা রাম মন্দিরেরও বিরোধিতা করেছিল, বলেছিল যে এখানে ভগবান রামের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।” পাশাপাশি এদিন তিনি আরও জানান যে, প্রধানমন্ত্রী কেবলমাত্র ধ্যানেই (PM Modi’s meditation) বসেছেন। না তো কোনও রাজনৈতিক প্রচার করছেন না তো জনসংযোগ করছেন। সুতরাং তাঁর এই ধ্যানে বসাকে কেন্দ্র করে ইন্ডি-জোটের দাবিগুলি স্পষ্টতই “সনাতন বিরোধী” মানসিকতার পরিচয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA:  “ভগবানতুল্য মোদি সরকার”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন ঠাকুরনগরের শান্তিলতা

    CAA: “ভগবানতুল্য মোদি সরকার”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন ঠাকুরনগরের শান্তিলতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে প্রকাশ্য সভায় বার বার ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে সিএএ-তে (CAA) আবেদন করেছিলেন শরনার্থীরা। শেষ দফা ভোটের আগেই বাংলায় ৮ জনকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এই সিএএ নিয়ে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর জোর সওয়াল করেছিলেন। এবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার তালিকায় বনগাঁর ঠাকুরনগরের একজন রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে চরম খুশি পরিবারের সদস্যরা।

    কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী, ভগবানতুল্য মোদি সরকার (CAA)

    নিয়ম অনুযায়ী, ‘ধর্মীয় শরণার্থী’ বলে ভারতে আশ্রয়প্রার্থী হলে তবেই সিএএ (CAA) মারফত নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা। সেই মতো নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটার ঠাকুরনগরের শান্তিলতা বিশ্বাস। তাঁর স্বামী তারক বিশ্বাস মাস দেড়েক আগে হৃদয়পুরের এক সাইবার ক্যাফে থেকে অনলাইন আবেদন করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের বাংলাদেশের খুলনায় বাড়ি। তারকবাবু বলেন, “হিন্দুদের ওপর সেখানে অত্যাচার হত। হিন্দু মেয়েদের কোনও নিরাপত্তা ছিল না। স্বাধীনভাবে আমরা চলাফেরা করতে পারতাম না। আমাদের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। চরম আতঙ্কে ছিলাম। মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ৩৭ বছর আগে আমরা খুলনা ছেড়ে ভারতে চলে আসি। মোদিজির ভাষণ শুনে দেড় মাস আগে পোর্টালে আবেদন করি। বারাসত মুখ্য ডাকঘরে শুনানি হয়। আমার স্ত্রী শংসাপত্র পেলেও আমি এখনও তা পাইনি। আসলে শুনানির সময়ে অফিসার বলেছেন, বাংলাদেশে জন্মের নথি জমা দিলেই নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে যাব। সেটা জমা দেওয়ার চেষ্টা করছি।” নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়ে শান্তিলতা বিশ্বাস বলেন, “এতদিন আমরা উদ্বেগে ছিলাম। মোদিজি কথা রেখেছেন। ভগবানতুল্য মোদি সরকার। আমার মতো যারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছে তাঁদের সকলকে আবেদন করতে বলব।”

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    কী বললেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি?

    অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বিদায়ী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলার অনেক উদ্বাস্তু মানুষ ইতিমধ্যে নাগরিকত্বের (CAA) শংসাপত্র পেয়েছেন। বাকিরাও পাবেন। প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দেন, তা পালন করেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: নিউ বারাকপুরের হিন্দু শরণার্থী সিএএ-তে নাগরিকত্ব পেয়ে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে

    CAA: নিউ বারাকপুরের হিন্দু শরণার্থী সিএএ-তে নাগরিকত্ব পেয়ে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর উদ্বাস্তু বাংলাদেশী হিন্দুদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ হয়। এরপর ২০২৪ সালে এই আইনের বাস্তবায়ন শুরু হয়। লোকসভা ভোটের মধ্যেই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের ভারত সরকার সিএএতে নাগরিকত্ব প্রদান করা শুরু করেছে। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থী উদ্বাস্তুদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এবার নাগরিকত্ব পেলেন নিউ বারাকপুরের বাসিন্দা।

    কেন বাংলাদেশ থেকে আসতে হয়েছিল (CAA)?

    নাগরিকত্ব পেয়ে হিন্দু যুবক বলেন, “আমি দেবপ্রসাদ গাইন, নিউ বারাকপুর লেনিনগড়ে থাকি। ২০০৫ সালে আমি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে চলে এসেছিলাম। ২০০৪ সালে তৎকালীন বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃত্বে একটি সরকার ক্ষমতায় আসে। এই সরকার এসে দেশে ব্যাপক হিংসা শুরু করে। নির্বিচারে শুরু হয় হিন্দু নিধন। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হিন্দুদেরকে ফাঁসিয়ে অত্যাচার করা হত। নিজের জন্ম ভিটায় ছিল না নিজের ধর্মপালনের অধিকার। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের চরমপন্থী হিসাবে চিহ্নিত করে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হত। তাই আমি দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু পালিয়ে আসার পরও আমাদের সুখ ছিল না। সবসময় মনে হতো এই বুঝি ভারতের পুলিশ আমাদের ধরে নিয়ে চলে যাবে। এই বুঝি আবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এই রকম দিনের পর দিন ২০ বছর ধরে আমরা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) মাধ্যমে আমাদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছেন। আমি ধন্যবাদ জানাই।”

    আরও পড়ুনঃ “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    নাগরিকত্ব পাওয়ার পর কী বললেন?

    নাগরিকত্ব পেয়ে এই হিন্দু যুবক আরও বলেন, “ভারত সরকার আমাদের জন্য একটা সুন্দর ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থা হল সিএএ (CAA)। এর মাধ্যমে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্সিদের জন্য নাগরিকত্বের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই পাঁচটি ধর্মের মানুষ, যাঁরা কেবলমাত্র ইসলাম ধর্মপ্রধান দেশ বাংলদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্কটের জন্য ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আমরা ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছি। রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে নদীতে সাঁতার কেটে সীমান্ত পার হয়ে এই পশ্চিমবঙ্গে এসেছি। সেই দিন কিছুটা মুক্তি পেলেও আজ নাগরিকত্ব পেয়ে সম্মান ফিরে পেলাম। তবে অনেকে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন। আদতে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল হবে না। সিএএতে আমি আবেদন করেছি কিন্তু আমার ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড বাতিল হয়নি। আমরা এবার সরকারি মান্যতায় নাগরিকত্ব পেয়েছি। সব কাগজপত্র ঠিক থাকবে, শুধু অতিরিক্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতায় সনদপত্র পাওয়া যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন বিকাশ মণ্ডল নামে নদিয়ার এক যুবক। লোকসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিল পাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় বাংলায় সিএএ (CAA) হতে দেব না বলে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সব কিছুকে ফুৎকারে উড়়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নির্দেশ মতো বুধবার থেকেই বাংলায় সিএএ চালু হয়ে গেল। রাজ্যের ৮ জন নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবার (CAA)

    বেশ কিছুদিন আগে নদিয়ার বিকাশ মণ্ডল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে নদিয়া কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশাননগর এলাকায় পরিবার নিয়ে চলে আসেন বিকাশবাবু। এরপরে যখন নাগরিকত্ব আইন পাস হল তারপর থেকেই তিনি চেষ্টায় ছিলেন এ দেশের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার জন্য। এরপর তিনি এপ্রিল মাসে অনলাইনে আবেদন করেন। ২৭ মে তাঁকে ভেরিফিকেশনের জন্য কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে তাঁকে ডাকা হয়। এরপর তিনি সমস্ত কাগজপত্র জমা করার পর বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পান। মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা।

    রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে চোরা পথে ভারতে চলে আসি

    এই বিষয়ে বিকাশ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশে সাইবার ক্যাফে ছিল আমার। সেখানে হিন্দুদের কোনও গুরুত্ব নেই। ওরা অত্যাচার করত। অল্প জমি ছিল। জলের দরে জমি বিক্রি করি দিই। মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে চোরা পথে আমরা এই দেশে চলে আসি। নাগরিকত্ব কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। মাথা উঁচু করে বাঁচব। আর এটুকু বলতে পারি, সিএএ (CAA) নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, আবেদন করলে সবাই নাগরিকত্ব পাবে। আর কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ভারতবর্ষে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই, মোদিজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, বসবাস করা যায় না বাংলাদেশে

    বিকাশবাবুর স্ত্রী সাথী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে। সেখানে হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, সেখানে বসবাস করা যায় না। বাইরে বের হলে অভিভাবকদের সঙ্গে যেতে হত। সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আর অত্যাচার তো ছিলই। সেই অত্যাচার থেকে বাঁচতেই ২০১২ সালে সপরিবারে আমরা নদিয়ায় চলে আসি। এই দেশে আসার পর নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে অধীর আগ্রহে ছিলাম। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি আমরা। মোদিজির প্রতি ভরসা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মহিলাদের ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: মহিলাদের ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের ফোন নম্বর জোগাড় করতে সরকারি প্রকল্পে ফর্ম ফিলআপ করাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর সেই নম্বর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে আইপ্যাকের কাছে। রাজ্যে সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ইতিমধ্যে রাজ্যে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে নারী নির্যাতন নিয়ে তৃণমূল সরকার চাপের মধ্যে রয়েছে। বিজেপি নেতার এই অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “মহিলাদের তৃণমূল কুপ্রস্তাব যে দেবে না তার কী নিশ্চয়তা? দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে সরকারি প্রকল্পে ফর্ম ফিলাপের নামে মহিলাদের ফোন নম্বর এবং ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার কাজ করছে তৃণমূল। এই তথ্য এরপর তুলে দেওয়া হবে আইপ্যাকের কাছে। এই নম্বর এবং তথ্যকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের জনমতকে প্রভাবিত করবে তৃণমূল। তথ্যপাচারের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে তৃণমূল।”

    আর কী বললেন?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) একই ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “এই ভাবে এলাকায় এলাকায় মহিলাদের নম্বর নিয়ে তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণের কাজে লিপ্ত হবে না তো তৃণমূল? সন্দেশখালিতে যেমন মহিলাদের নির্যাতন করা হয়েছিল, এমন ঘটনা ঘটবে নাতো? আমার মনে হয় এইরকম ঘটনার ছক করছে তৃণমূল। আমাদের বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী রেখা পাত্রের ব্যক্তিগত তথ্য তৃণমূলের চোরেরা প্রকাশ করে সম্ভ্রমহানির মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূল নেতা দেবাশু এই কাজের নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল সরকারের তথ্য তৃণমূল নেতার কাছে কীভাবে পৌঁছাল।

    প্রধানমন্ত্রী নিশান করেছেন তৃণমূলকে

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী কিন্তু তারপরেও জেলায় জেলায় নারী দর্শন, খুন, ধর্ষণ, হত্যার ঘটনায় বিজেপি বার বার সরব হয়েছে। সন্দেশখালির মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতভর পার্টি অফিসে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এই অভিযোগে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে একাধিক সময়ে। রাজ্যে মা-বোনদের নিরাপত্তা সুরক্ষা নিয়ে বুধবার কাকদ্বীপের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিশানা করেছেন তৃণমূল সরকারকে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা ভোটের আগেই রাজ্যে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বুধবার থেকে নাগরিকত্ব (CAA) শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও অনেকে নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। যাঁরা শংসাপত্র পেয়েছেন, তাঁরা মূলত নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।

    রাজ্যে প্রথম দফায় ৮ জন নাগরিকত্ব পেয়েছেন (CAA)

    শেষ দফায় বারাসত, বসিরহাট, দমদম, জয়নগরের মতো আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। এই সব কেন্দ্রে মতুয়া পরিবারের বসবাস রয়েছে। যাদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। বুধবার এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি প্রথম দফার যোগ্য আবেদনকারীদের নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর করেছে। যোগ্যদের শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় মোট ৮ জন নাগরিকত্ব (CAA) পেলেন। তারমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৭ জন রয়েছেন। আর নদিয়া জেলায় একজন রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    প্রথম দফায় কারা পেলেন নাগরিকত্ব

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ৭ জন রয়েছেন। এরমধ্যে মৃণালকান্তি দাস ও তাঁর স্ত্রী শর্বরী দাস রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটি। অনলাইনে কিছুদিন আগেই তিনি আবেদন করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্ব পাওয়ার কাগজ তাঁরা হাতে পান। নিউ বারাকপুর লেলিনগড় এলাকার বাসিন্দা দেবপ্রসাদ গায়েনও বুধবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর কেষ্টনগরের বাসিন্দা শান্তিলতা বিশ্বাস বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পান। এছাড়া নাগরিকত্ব পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন অনির্বাণ নন্দী, নিলয় ঘোষ এবং অর্ণব ঘোষ। প্রত্যেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। আর নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশানগরের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডলও বুধবার নাগরিকত্বের (CAA) কাগজ হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানালেন সকলেই

    দেবপ্রসাদ গায়েন নামে এক যুবক বলেন, ১৫ দিন আগে আমি অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। বুধবার আমি কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। এতদিন পর এই দেশের নাগরিক (CAA) হতে পেরে আমরা চরম খুশি। মোদিজি যে গ্যারান্টি দেন, তা রাখেন। আমাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনা তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ। মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানাই। আমি সকলকেই বলতে চাই, যাঁরা এখনও সিএএ নিয়ে ভাবছেন, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করুন। মোদিজির ওপর ভরসা রাখুন, হতাশ হবেন না। ঠাকুরনগরের বাসিন্দা তারক বিশ্বাস বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে আবেদন করেছিলাম। স্ত্রী কাগজ হাতে পেয়ে গিয়েছে। আমি খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব। শান্তনু ঠাকুর আর নরেন্দ্র মোদিকে হাজার কোটি প্রণাম জানাই। তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব আমরা।

    মমতাকে আক্রমণ করলেন সুকান্ত

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যে কবে থেকে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট সিএএ (CAA) রূপায়ণ হতে দেব না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতই দাবি করুন না কেন, তিনি যে এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না তা স্পষ্ট হয়ে গেল। এক-এক করে যারা আবেদন করেছেন তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share