Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi Ukraine Visit: ‘শান্তির সেতুবন্ধনই লক্ষ্য ভারতের’, কিয়েভে বার্তা মোদির, আজই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক

    PM Modi Ukraine Visit: ‘শান্তির সেতুবন্ধনই লক্ষ্য ভারতের’, কিয়েভে বার্তা মোদির, আজই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোল্যান্ড সফর শেষে ১০ ঘণ্টার ট্রেন সফর করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Ukraine Visit)। এই প্রথম পূর্ব ইউরোপের এই দেশে পা পড়ল কোনও ভারতীয় রাষ্ট্রনেতার। শুক্রবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi Zelenskyy Meet)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে সেই বৈঠকে জেলেনস্কিকে কী বার্তা দেন মোদি তার দিকে তাকিয়ে সারা বিশ্ব। অতীতে, বারবার রাশিয়া ও ইউক্রেন, দুই দেশকেই যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনার টেবিলে বসার বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। 

    জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক (Modi Zelenskyy Meet)

    ইউক্রেনে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে চলমান যুদ্ধ ছাড়াও বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জনগণের মধ্যে ভাব বিনিময়, মানবিক সহায়তা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে ফের একবার আলোচনা এবং কূটনীতির পথে দ্বন্দ্বের মীমাংসার বার্তা দেবেন মোদি, এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকরা। প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Ukraine Visit) ইতিমধ্যেই এই সংঘাতের দ্রুত সমাধানের জন্য ভারত বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন (Modi Zelenskyy Meet)। মোদির কথায়, ‘‘ভারত শান্তির সেতু হতে চায়, কোনও পক্ষ নিতে নয়।’’

    শান্তিই সমাধান (PM Modi Ukraine Visit)

    টানা ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রার শেষে সাত ঘণ্টার কিয়েভ সফর। আবার ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রায় প্রত্যাবর্তন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পূর্ব ইউরোপ সফরের তৃতীয় দিন কাটতে চলেছে এই নিয়মেই। জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়রমাক সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘‘মোদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।’’ যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে না ভারত (PM Modi Ukraine Visit)। তবে শান্তি ফেরানোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বার্তা সমন্বয়ের দায়িত্ব নিয়ে রাজি নয়াদিল্লি (Modi Zelenskyy Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi Ukraine Visit: বিমানে নয়, ১০-ঘণ্টা ট্রেনে চেপে ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি, জানেন এর বিশেষত্ব?

    PM Modi Ukraine Visit: বিমানে নয়, ১০-ঘণ্টা ট্রেনে চেপে ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি, জানেন এর বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশ পথে নয়, পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে ইউক্রেনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Ukraine Visit)। দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ড থেকে দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছবেন মোদি। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনের কূটনৈতিক পরিবহণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেল পথই। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে সব থেকে নিরাপদ পরিবহণ ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ (Rail Force One)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এই ট্রেনে সফর করেছেন।

    রেলফোর্স ওয়ান কী

    বিলাস বহুল পর্যটনের জন্য ২০১৪ সালে চালু হয় এই ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ (Rail Force One)। তবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রনেতা ও কূটনীতিকদের ইউক্রেন যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হচ্ছে ‘রেল ফোর্স ওয়ান’। এই ট্রেনের ভিতরে যা রয়েছে তা কোনও বিলাসবহুল বিমানের থেকে কম নয়। বিশেষ ভাবে তৈরি এই ট্রেনে রয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাই প্রোফাইল যাত্রীর যাত্রা সুখকর করতে রয়েছে নানা সামগ্রী। কাঠের প্যানেল-সহ কেবিনে বিশ্রাম করতে পারবেন যাত্রীরা। বৈঠক করার জন্য রয়েছে প্রশস্ত টেবিল। ট্রেনে সোফা, টিভি ছাড়াও ঘুমনোর জন্য আরামদায়ক বিছানাও রয়েছে।

    আয়রন বা লৌহ-কূটনীতি (PM Modi Ukraine Visit)

    এই ট্রেন পথ ‘আইরন কূটনীতির’ অংশ। ইউক্রেন পরিচালিত এই ট্রেনে বিশ্বনেতারা সওয়ার হয়ে ইউক্রেনের প্রতি নিজেদের সহমর্মিতা দেখান। বসার জায়গা থেকে শুরু করে নিরাপত্তার দিক থেকে এই ট্রেন অন্য ট্রেনের থেকে একেবারেই আলাদা। ট্রেনে কনফারেন্স রুম পর্যন্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই ট্রেন কখন ছাড়বে এবং কখন নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছবে তাও গোপন রাখা হয়। ট্রেনের পাশাপাশি রেললাইনের নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজর থাকে ৷ দিনের বিভিন্ন সময়ে এই রেল লাইনের প্রতিটি অংশে নজরদারি চলে। নিরাপত্তার ভার থাকে সেনার হাতে। রাশিয়া হামলা শুরু করার পর পাল্টা কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে এই রেলপথ শুরু করে ইউক্রেন (PM Modi Ukraine Visit)। বিশ্বের তাবড় নেতাদের ট্রেনে পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেনে নিয়ে গিয়ে রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করাই এই কূটনীতির লক্ষ্য। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অস্ত্র বা অন্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ট্রেন লাইনের ব্যবহার করে ইউক্রেন সেনা।

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধে কোনও সমস্যার উত্তর মেলে না’’, ইউক্রেন সফরের আগেই বার্তা মোদির

    কেন ট্রেন সফর মোদির

    রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইউক্রেনের আকাশ এখন বিপজ্জনক। আকাশপথে বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ। ফলে বিমানে চেপে কিয়েভে পৌঁছনোর উপায় নেই। তাই ট্রেনই (Rail Force One) ভরসা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Ukraine Visit) এর আগেও বেশ কয়েকবার ট্রেনে সফর করেছেন। ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় জুরিখ থেকে দাভোস পর্যন্ত ট্রেনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সে বছর অক্টোবর মাসে জাপানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে সঙ্গে নিয়ে বুলেট ট্রেনে সফর করেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI: ভারতে দৈনিক ইউপিআই লেনদেন এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনসংখ্যার সমান

    UPI: ভারতে দৈনিক ইউপিআই লেনদেন এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনসংখ্যার সমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে দৈনিক ইউপিআই (UPI) লেনদেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) জনসংখ্যার সমান। বুধবার ওয়ারশ-তে ভারতীয় প্রবাসীদের সম্মেলন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি তুলনা করে ডিজিটাল লেনদেনের তাৎপর্যকে তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করে বলেন, দৈনিক ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল ভারতের পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে দেশ।

    ভারতে ৯,৮৪০.১৪ মিলিয়ন ইউপিআই লেনদেন (UPI)

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ভারতের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের একটি ক্লিপ পোস্ট করে বলেন, “৪৪৮ মিলিয়ন হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) মোট জনসংখ্যা। একই ভাবে ভারতের দৈনিক ইউপিআই লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬৬ মিলিয়ন। সারা দেশে নগদহীন এই লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের ডিজিটাল (UPI) অর্থনীতির ভিত্তিস্বরূপ এটি একটি মাইলফলক পদক্ষেপ। এনপিসিআই (NPCI)-এর মতে, ইউপিআই পেমেন্ট বছরে ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই লেনদেনের মোট মূল্য ২০.৬৪ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ফের সক্রিয় রাজনীতিতে, ভূস্বর্গের ভোটে বিজেপির দায়িত্বে রাম মাধব

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বক্তব্য

    এই বছরের জুন মাসে ইউপিআই (UPI) লেনদেন ছিল ২০.০৭ ট্রিলিয়ন এবং মে মাসে ছিল ২০.৪৪ ট্রিলিয়ন। জুলাই মাসে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪৬৬ মিলিয়ন বা প্রায় ৬৬,৫৯০ কোটি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) তার মাসিক বুলেটিনে ইউপিআই-এর অসাধারণ বৃদ্ধির কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, লেনদেনের পরিমাণ ২০১৯-২০-এর ১২.৫ বিলিয়ন থেকে ২০২৩-২৪-এ ১৩১ বিলিয়ন, অর্থাৎ দশ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) লেনদেনগুলি আর্থিক বছরে ৫৭ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে ডিজিটাল পেমেন্টের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৩ সালে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (BCG) ব্যাঙ্কিং সেক্টর রাউন্ডআপ অনুসারে ফোন পে (PhonePe) এবং গুগুল পে (Google Pay) বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi:‘‘যুদ্ধে কোনও সমস্যার উত্তর মেলে না’’, ইউক্রেন সফরের আগেই বার্তা মোদির

    PM Modi:‘‘যুদ্ধে কোনও সমস্যার উত্তর মেলে না’’, ইউক্রেন সফরের আগেই বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। ভারত মনে করে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও সমস্যার সমাধান হওয়া অসম্ভব। ইউক্রেন সফরের (Modi Ukraine Visit) আগে পোল্যান্ড থেকে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউরোপে যুদ্ধের আবহের মধ্যেই পোল্যান্ডে সরকারি সফরে গিয়েছেন মোদি৷ প্রায় ৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পোল্যান্ড সফরে গিয়েছেন৷ ওয়ারশ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়৷ 

    এটা যুদ্ধের সময় নয়

    ইউক্রেন সফর (Modi Ukraine Visit) শুরুর আগে ফের প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) মুখে শোনা গেল, “দিস ইজ নট অ্যান এরা অব ওয়ার” (এটা যুদ্ধের সময় নয়)। তিনি পোল্যান্ডের মাটিতে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেছেন। মোদি বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট৷ আমরা কখনওই যুদ্ধকে সমর্থন করি না৷ যুদ্ধ সবসময়ই মানবতার পরিপন্থী। আমরা পৃথিবীতে শান্তি-মানবতা স্থাপনে বিশ্বাসী৷ পৃথিবী জুড়ে সংঘাতের আবহে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য একজোট হয়ে লড়াই করা জরুরি৷’’ সুন্দর আতিথেয়তার জন্য পোল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি৷ গৌতম বুদ্ধের অহিংসার দর্শনের তুলনা টেনে মোদি বলেন, “ভারত বুদ্ধের ঐতিহ্যে বিশ্বাসী। তাই ভারত শান্তিতে বিশ্বাস রাখে, যুদ্ধে নয়।” উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে এসসিও সামিটেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে এই কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    সহানুভূতি ভারতীয়দের বৈশিষ্ট্য

    মোদি (PM Modi) পোল্যান্ডে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “সহানুভূতি ভারতীয়দের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যখনই কোনও দেশ সঙ্কটে পড়েছে, প্রথম দেশ হিসেবে ভারত সাহায্য করেছে। যখন কোভিড এল, তখন ভারত বলেছিল, আগে মানবিকতা।” পোল্যান্ড থেকে মোদি দেশের বিদেশনীতিতে বদল আসার ইঙ্গিতও দেন। তিনি বলেন, “কয়েক দশক ধরে বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভারত অন্য দেশগুলির থেকে দূরত্ব বজায় রাখত। পরিস্থিতি এখন বদলে গিয়েছে। আজ ভারতের নীতি হল সব দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা। 

    ইউক্রেন সফর মোদির

    পোল্যান্ড সফর শেষে আগামিকাল, ২৩ অগাস্ট ইউক্রেনে (Modi Ukraine Visit) যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পশ্চিম) তন্ময় লাল জানিয়েছেন, জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে প্রাধান্য পাবে কৃষি, পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পোল্যান্ড সফরে মোদি, গুজরাটের রাজার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ, বৈঠক প্রবাসীদের সঙ্গে

    PM Modi: পোল্যান্ড সফরে মোদি, গুজরাটের রাজার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ, বৈঠক প্রবাসীদের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৫ বছরে প্রথমবার পোল্যান্ড সফরে গিয়েছেন কোনও  ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বুধবার পোল্যান্ডের (Poland) রাজধানী ওয়ারশে পৌঁছে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ভারত এবং পোল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সাত দশকের পুরানো। সেই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার এই সফরের উদ্দেশ্য।’’ দু’দিনের পোল্যান্ড সফরের প্রথম দিনে অর্থাৎ বুধবারে নওয়ানগরের মহারাজা দিগ্বিজয় সিংহজি রঞ্জিত সিংহজি জাডেজার (জামসাহেব নামে যিনি পরিচিত) স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতেই পোল্যান্ডের ওপর আক্রমণ চালায় জার্মানি। হিটলারের জার্মানি সে সময় দখল নিয়েছিল পোল্যান্ডের। ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলাকালীন ভারতের মুম্বইয়ে প্রায় ৭০০ জন পোলিশ শরণার্থীর আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন জামসাহেব। তাঁর এই কৃতিত্বের জন্য পোল্যান্ডে নির্মিত হয়েছে রাজার স্মৃতিসৌধ। সেখানেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোদি। পোল্যান্ডের সঙ্গে গণতন্ত্র থেকে শুরু করে বহুত্ববাদ সংক্রান্ত ভাবনায় ভারতবর্ষের বহু মিল রয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷

    ভারত স্থায়ী শান্তির পক্ষে

    পোল্যান্ডে (Poland) প্রবাসী ভারতীয়দের (PM Modi) সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ভারত স্থায়ী শান্তির পক্ষে। আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট- এটা যুদ্ধের সময় নয়। এই সময় হল এক সঙ্গে এগিয়ে এসে মানবতাকে চ্যালেঞ্জ করে এমন প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করার। তাই ভারত কূটনীতি ও আলোচনাতেই বিশ্বাস করে।’’ প্রসঙ্গত, ২৩ অগাস্ট ইউক্রেন সফরে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় আড়াই বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, সেই আবহে পোল্যান্ডে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির এমন বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    আজ বিশ্ব ভারতকে বিশ্ব বন্ধু হিসেবে সম্মান করে

    দেশের পরিবর্তিত বিদেশনীতি নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। অনাবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে  তিনি বলেন, ‘‘বহু দশক ধরে ভারতের নীতি ছিল সমস্ত দেশের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। আজ ভারতের নীতি হল সমস্ত দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। আজকের ভারত সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায়। আজকের ভারত সকলের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলে এবং সকলের লাভের কথা ভাবে। তাই আজ বিশ্ব ভারতকে বিশ্ব বন্ধু হিসাবে সম্মান করে।’’

    ট্রেনে করে ইউক্রেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথম ইউক্রেনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক করবেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। প্রায় ২০ ঘণ্টা ট্রেন সফর করে কিভে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই ট্রেনের পোশাকি নাম হল ‘রেল ফোর্স ওয়ান’। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইউক্রেনের আকাশ এখন বিপজ্জনক। সে কারণেই এই ট্রেনযাত্রা বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পোল্যাল্ড পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, শান্তি ফেরানোর আশায় যাবেন ইউক্রেনেও

    PM Modi: পোল্যাল্ড পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, শান্তি ফেরানোর আশায় যাবেন ইউক্রেনেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৫ বছরে প্রথম। পোল্যান্ডে পা দিলেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১৯৭৯ সালে পোল্যান্ড গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই। তার পর কেটে গিয়েছে ৪৫ বছর। এবার গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     রাজধানী ওয়ারশর বিমানবন্দরে নামতেই রাজকীয় অভ্যার্থনা জানানো হয় নমোকে। বুধবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওয়ারশর বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান। সেখানে তাঁকে উষ্ণ অভ্যার্থনা জানানো হয়। এর পর হোটেলে পৌঁছে পোল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয়দের অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

     

    পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে এদিন বেলায় ২ দেশের সফরে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরের বিশেষ আকর্ষণ অবশ্যই তাঁর ইউক্রেন সফর। ২৩ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী যাবেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। বুধবার রওনা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে নিজের ভাবনাচিন্তা ভাগ করে নেওয়ার জন্য উন্মুখ।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    এদিন সকালে জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র ও ইউক্রেনে একটি আনুষ্ঠানিক সফর শুরু করছি। আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমার পোল্যান্ড সফর। পোল্যান্ড মধ্য ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের প্রতি আমাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। আমাদের অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি আমার বন্ধু প্রাইম মিনিস্টার ডোনাল্ড টাস্ক ও প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উন্মুখ। আমি পোল্যান্ডের প্রাণবন্ত ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করব।”

    ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান!

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, “পোল্যান্ড থেকে আমি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আমন্ত্রণে ইউক্রেন সফর করব। এটি কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ইউক্রেন সফর। আমি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি এবং চলমান ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেব। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত প্রত্যাবর্তনের আশা করি।” প্রধানমন্ত্রীর আশা, তাঁর এই সফর দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক যোগাযোগের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা হিসেবে কাজ করবে এবং আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত সম্পর্কের ভিত্তি তৈরিতে সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: কার বিরুদ্ধে পথে? আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ মমতার, কী কী?

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী কিভ (Ukraine) সফরে (ইউক্রেনের রাজধানী) শিক্ষা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক-সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে (PM Modi)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লক্ষ্য শান্তি ফেরানো! রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদি

    PM Modi: লক্ষ্য শান্তি ফেরানো! রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধের (Russia War) আবহে শান্তির বাণী প্রেরণ করতে ইউক্রেন যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! ২১ অগাস্ট দু’দিনের সফরে পোল্যান্ড যাবেন তিনি। সেখান থেকে ২৩ অগাস্ট তিনি রওনা দেবেন ইউক্রেনের উদ্দেশে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর এই সফরসূচি চূড়ান্ত করেছে বিদেশমন্ত্রক।

    যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    আড়াই বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে যান রাশিয়া সফরে। বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে। এবার তিনি যাবেন যুদ্ধরত ইউক্রেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। মোদিই হচ্ছেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ভারত-ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম যাচ্ছেন ইউক্রেন সফরে।

    ভারসাম্যের রাজনীতি

    গত মাসে যখন প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া সফরে যান, তখন পশ্চিমের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তাঁদের বক্তব্য, ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি। বিবদমান দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্যের রাজনীতি বজায় রাখতেই তাঁর এই কিভ (ইউক্রেনের রাজধানী) সফর। যদিও বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) হওয়ার পর মোদিকে শুভেচ্ছা জানান জেলেনস্কি। তখনই তিনি কিভ সফরের আমন্ত্রণ জানান মোদিকে। সেই আমন্ত্রণই রক্ষা করতে ইউক্রেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মোদি-জেলেনস্কি

    গত জুন মাসে ইটালিতে জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত জি৭-এর সদস্য দেশ নয়। আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোদি। এই সম্মলেন জেলেনস্কির (Russia War) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে জ্বালানি কেনা বন্ধ করে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। যার জেরে বিপাকে পড়ে তেল-নির্ভর অর্থনীতির দেশ রাশিয়া। যদিও রাশিয়া থেকে নিয়মিত তেল কিনে যাচ্ছিল ভারত, পশ্চিমি বিশ্বের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই। ইউক্রেনের সঙ্গেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত। তবে ভারত যে যুদ্ধের পক্ষে নয়, রাশিয়াকে পইপই করে বলেছে নয়াদিল্লি।

    ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’’

    পুতিনকে কাছে পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’’ তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া সফরের পর ইউক্রেন সফরে গিয়ে যুদ্ধ বন্ধের বার্তা দিতে পারেন মোদি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করতে পারেন মোদি। কারণ আমেরিকা ও পশ্চিমের শান্তি আলোচনায় মস্কোকে ডাকা হয়নি। আমন্ত্রণ জানানো হলেও, পুতিন যেতেন না। তাই দৌত্যের জন্য পুতিনের প্রথম পছন্দ নয়াদিল্লি। বস্তুত, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    স্থপতি মোদিই!

    রাশিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করা হয় মোদিকে। মস্কো সফরে যাওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন পুতিন। নিজে গাড়ি চালিয়ে মোদিকে পাশে বসিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন মস্কোয় তাঁর সরকারি বাসভবন। মোদির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। স্বাক্ষর হয়েছে একাধিক মউ-ও। রাশিয়া যদি মন্ত্রমুগ্ধ হয় মোদিতে, তাহলে ইউক্রেনেরও আস্থা রয়েছে মোদির ওপর। সব মিলিয়ে রাশিয়া-ইউক্রনের মধ্যে চলা যুদ্ধ বন্ধের স্থপতি হতে পারেন মোদিই। রাশিয়া সফর সেরে দেশে ফেরার পরেই জল্পনা ছড়ায় এবার মোদি যাবেন ইউক্রেন সফরে। তখন বিদেশমন্ত্রকের তরফে অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। সোমবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে নিশ্চিত করা হয় মোদির কিভ সফর।

    ‘এটা কোনও শূন্য যোগ খেলা নয়’

    বিদেশমন্ত্রকের সচিব (পাশ্চাত্য বিশ্ব-বিষয়ক) তন্ময় লাল বলেন, “রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই ভারতের একটি স্বাধীন সম্পর্ক রয়েছে। দ্বন্দ্বের অবসানে ভারত বরাবরই কূটনৈতিক ও আলোচনার পথে সমস্যার সমাধানে আগ্রহী।” তিনি বলেন, “এটা কোনও শূন্য যোগ খেলা নয়। দুপক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য বিকল্পগুলির মাধ্যমেই অর্জন করা যেতে পারে স্থায়ী শান্তি। এটি নিষ্পত্তি হতে পারে একমাত্র আলোচনার মাধ্যমে।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা জারি রেখেছেন।” দুই দেশের যুদ্ধ বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ ভারত খুঁজবে বলেও জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর প্রকাশ্যেই রাশিয়ার সমালোচনা করেছিল ভারত (PM Modi)। কারণ রাশিয়াই প্রথম আঘাত হেনেছিল ইউক্রেনে। রাশিয়াকে নিরস্ত করতে একাধিকবার যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছে ভারত। যুদ্ধ যে কোনও সমস্যার সমাধান নয়, তাও (Russia War) জানিয়ে দিয়েছেন বুদ্ধ-অশোকের দেশের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bagdogra Airport: ঢেলে সাজানো হবে বাগডোগরা বিমানবন্দর, বরাদ্দ ১৫৪৯ কোটি, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Bagdogra Airport: ঢেলে সাজানো হবে বাগডোগরা বিমানবন্দর, বরাদ্দ ১৫৪৯ কোটি, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার। নতুন সিভিল এনক্লেভ নির্মাণে সিলমোহর দিল মোদি ক্যাবিনেট। যাত্রী সংখ্যার কথা মাথায় রেখে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নতুন সিভিল এনক্লেভ নির্মাণে ১৫৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    লক্ষ্য, বছরে এক কোটি যাত্রী পরিবহণ (Bagdogra Airport)

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির বৈঠক আয়োজিত হয়। ওই কমিটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর ওই বৈঠকেই উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বাগডোগরা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) রানওয়ে সম্প্রসারণ এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১৫৪৯ কোটি টাকার বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয়। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরে তৈরি হবে ৭০ হাজার ৩৯০ স্কোয়ার মিটারের নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং। ব্যস্ততম সময়ে তিন হাজার যাত্রী সামলানোর ক্ষমতা থাকবে এই নতুন টার্মিনালের। সেইভাবেই তৈরি করা হচ্ছে এই নতুন অংশকে। মনে করা হচ্ছে, এই সম্প্রসারণের পরে বছরে এক কোটি যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে এই নতুন সাজে সেজে ওঠা বাগডোগরা বিমানবন্দর। এ-৩২১ এয়ারক্রাফটের পার্কিংয়ের জন্য দশটি পার্কিং বে নির্মাণ করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। বিমান চলাচলের জন্য দুটি ট্যাক্সিওয়েও তৈরি হবে। এছাড়াও মাল্টি লেভেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে সম্প্রসারিত বাগডোগরা বিমানবন্দরে। রানওয়ের সম্প্রসারণ-সহ একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

    <p

    ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলার এই বিমানবন্দরকে (Bagdogra Airport) আন্তর্জাতিক তকমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে, যে কোনও বিমান সংস্থা আন্তর্জাতিক বিমান চালাতে পারবে বাগডোগরা থেকে। সম্প্রতি রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছিলেন বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তারপরই এবার নতুন সিদ্ধান্তে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। হিমালয়ান হসপিটাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরে উন্নতির খুব প্রয়োজন ছিল। বাগডোগরা বিমানবন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। প্রতি বছর এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ করায় আমরা খুশি।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছে। যেহেতু বাগডোগরা বিমানবন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর, সেই জন্য প্রথম থেকেই পরিকাঠামগত উন্নয়নের খুব প্রয়োজন ছিল। আগামীতে এই বিমানবন্দর আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: মোদিকে ফোন ইউনূসের, দিলেন বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস

    Bangladesh Crisis: মোদিকে ফোন ইউনূসের, দিলেন বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অবস্থিত হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ফোন করে বাংলাদেশি হিন্দুদের যথাযথ সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। এই ফোনালাপের কথা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    মোদিকে কী বার্তা ইউনূসের

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) সঙ্গে যোগাযোগ করলেন নোবেলজয়ী ইউনূস। মোদি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে। গণতান্ত্রিক, স্থায়ী, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের জন্য ভারতের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উনি আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে।’’ প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে তিনি আশা করেন হিংসা-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কারণ ১৪০ কোটি ভারতীয়রা হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    মোদিকে পাশে থাকার আর্জি

    এর আগে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর শুভেচ্ছাবার্তাতেও ইউনূসকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছিলেন মোদি (PM Modi)। তারপরই গত মঙ্গলবার ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। এরপর বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। আওয়ামি লিগ তথা হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যে বা যারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করেছে তাদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।  গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন। বর্তমানে তিনি ভারতেই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। তার পরই সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর গত কয়েক দিনে বার বার হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগেও তোলপাড় ভারতের পড়শি দেশ। এই আবহে মোদির সঙ্গে ফোনালাপ করলেন ইউনূস। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়। প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের আর্জি রেখেছেন ইউনূস। একইসঙ্গে মোদিকে আশ্বাস দিয়ে ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে সুরক্ষিত সংখ্যালঘুরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: একটানা ৯৮ মিনিট! স্বাধীনতা দিবসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়ে রেকর্ড গড়লেন মোদি

    PM Modi: একটানা ৯৮ মিনিট! স্বাধীনতা দিবসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়ে রেকর্ড গড়লেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সাল থেকে এই নিয়ে টানা ১১ বার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় ভাষণ দিলেন মোদি (PM Modi)। আর এই দিনই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতার দিবস উপলক্ষে দীর্ঘতম ভাষণ (Independence Day Speech) দিয়ে ইতিহাস গড়লেন তিনি। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে একটানা ৯৮ মিনিট ভাষণ দেন মোদি। এর আগে ২০১৬ সালে মোদি টানা ৯৬ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন। এতদিন সেটাই ছিল দীর্ঘতম ভাষণের রেকর্ড। ফলে, অতীতে নিজের গড়া নজির এদিন নিজেই ভেঙে নয়া নজির গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অন্যদিকে, ২০১৭ সালে তিনি ৫৬ মিনিট বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এটাই তাঁর সংক্ষিপ্ততম ভাষণ। গড়ে, মোদি ৮২ মিনিট বক্তব্য রাখেন— এটিও দেশের যে কোনও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে দীর্ঘতম।

    সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে মোদি (PM Modi)

    সবচেয়ে বেশিবার ভাষণ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীদের নিরিখে মোদি এখন তৃতীয় স্থানে। কারণ ২০১৪ সাল থেকে টানা ১১ বার লালকেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন মোদি। তাঁর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সবচেয়ে বেশিবার লালকেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন জওহরলাল নেহরু। লালকেল্লায় মোট ১৭ বার ভাষণ দিয়েছেন তিনি। স্বাধীন দেশের প্রথম ভাষণও দেন নেহরুই। আর তাঁর পর ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ এবং পরে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সে সময় ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোট ১৬ বার পতাকা উত্তোলনের পর দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ (Independence Day Speech)  দেন। তাঁদের পরে এতদিন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন মনমোহন সিং। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১০ বার স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। তবে এবার টানা ১১ বার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিয়ে মনমোহনকে ছাপিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীনতা দিবসে ভাষণের নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে গেলেন নরেন্দ্র মোদি।  

    আরও পড়ুন: “কারণ ছাড়াই টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বললেন মোহন ভাগবত

    উল্লেখ্য, এবারের স্বাধীনতা দিবসে  সরকারের মূল লক্ষ্যগুলিকে নতুন মোড়কে তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে  তুললেন ‘বিকশিত ভারতে’র কথা। স্বপ্ন দেখালেন ভারতকে ‘বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’ হিসাবে গড়ে তোলার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share