Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: “আত্মনির্ভর হোন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন”, মুসলিমদের উদ্দেশে বললেন মোদি

    PM Modi: “আত্মনির্ভর হোন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন”, মুসলিমদের উদ্দেশে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনারা আত্মনির্ভর হোন। আপনাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের উদ্দেশে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “আজ আমি এই প্রথমবারের জন্য আপনাদের বলছি, আমি ভারতীয় মুসলমানদের বলছি, দয়া করে আত্মনির্ভর হোন। এ ব্যাপারে ভাবুন। দেশ দ্রুত এগোচ্ছে। কী কারণে ভারতীয় মুসলমানরা অগ্রগতির সঙ্গে পা মেলাতে পারছেন না? কেন কংগ্রেসের শাসনকালে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা আপনারা নেননি? কংগ্রেসের রাজত্বকালে আপনারা কি এর শিকার হয়েছিলেন? আত্মমন্থন করুন। এখনই সিদ্ধান্ত নিন। সবার কথা ভাবুন।”

    ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন! (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন। যাঁরা ক্ষমতার অলিন্দে রয়েছেন, তাঁরা অন্যদের দমন করছেন। তামাম বিশ্বেই মুসলমান সম্প্রদায় নিজেদের বদলাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন আমি গলফ দেশগুলিতে যাই, ব্যক্তি মানুষ হিসেবে তখন তাঁরা আমায় ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। সৌদি আরবের সিলেবাসে যোগা রয়েছে। আমি যদি ভারতে যোগা নিয়ে আলোচনা করি, তখন তাকে মুসলমান-বিরোধী বলে দেগে দেওয়া হয়।” তিনি (PM Modi) বলেন, “গলফ দেশগুলিতে আমি ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাঁরা আমায় প্রায়ই জিজ্ঞাসা করেন লাঞ্চ না ডিনারের পর কখন তাঁরা যোগা করবেন? কখনও কখনও তাঁরা আমায় জিজ্ঞাসা করেন যোগার কোনও একটি নির্দিষ্ট ফর্ম শেখার জন্য কোনও ট্রেনিং হয় কিনা। ওঁদেরই কেউ কেউ আমায় বলেন তাঁদের স্ত্রীয়েরা যোগা শিখতে ভারতে যেতে চান। যোগা শেখার জন্য তাঁরা ভারতে এক মাস থাকতে চান। আমি বলছি, আরব আমিরশাহির আমিরদের (শাসক) স্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের কথা।”

    আরও পড়ুুন: সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়! মুখ্যমন্ত্রীর মিম-বিতর্কে পিছু হটল কলকাতা পুলিশ

    হিন্দু-মুসলিম বিতর্কের জন্ম

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর এখানে, ভারতে যোগার ধারণা হিন্দু-মুসলিম বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যাঁরা এটা করছেন, আমি সেই সব মুসলমানদের বলছি, আপনারা আপনাদের এবং আপনাদের শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন।” তিনি বলেন, “আমি চাই না কোনও সম্প্রদায় এভাবে ক্রীতদাসের মতো বাঁচুক। এর একমাত্র কারণ কেউ একজন তাদের ভয় দেখাতে চাইছে। দ্বিতীয়ত, অনেক মুসলমান রয়েছেন যাঁরা বিজেপিকে ভয় করেন। আমি তাঁদের বলছি, যান বিজেপির ৫০জন কর্মীর সঙ্গে বসুন। তাঁরা কী আপনাদের সেখান থেকে ছুড়ে ফেলে দেবে? আমি বলছি, আপনারা বিজেপির হেড কোয়ার্টারে যান, কেউ আপনাদের আটকাবে না (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024 Phase 3: গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভোট দিলেন, সঙ্গে বার্তাও

    Lok Sabha Election 2024 Phase 3: গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভোট দিলেন, সঙ্গে বার্তাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে চলছে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024 Phase 3)। আজ, মঙ্গলবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ১০ রাজ্য এবং ১ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এদিন সকালেই গুজরাটের গান্ধিনগরের নিশান হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi Casts Vote)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷

    মোদির বার্তা

    এদিন সকালে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024 Phase 3) পর্বে দেশবাসীক রেকর্ড সংখ্যক ভোটদানের আহ্বান জানান মোদি৷ লেখেন, ‘আজ যাঁরা ভোট দেবেন, তাঁদের সবাইকে রেকর্ড সংখ্যক ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি৷ তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অবশ্যই নির্বাচনকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে৷’

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ ভোট দেওয়ার জন্য গুজরাটের রাজভবন থেকে বের হন প্রধানমন্ত্রী৷ গান্ধিনগরের বুথের বেশ কিছুটা দূরেই থেমে যায় তাঁর কনভয়৷ সেখান থেকে খালি পায়ে হেঁটেই বুথের ভিতরে প্রবেশ করেন মোদি৷ সেখানে আগে থেকেই পৌঁছে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷  প্রধানমন্ত্রী পৌঁছনোর পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই দু’জনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে যান। সকাল  ৭টা বেজে ৪৩ মিনিটে ভোট দান (Narendra Modi Casts Vote) করেন প্রধানমন্ত্রী৷ 

    বিলোলেন অটোগ্রাফ

    প্রধানমন্ত্রী ভোট (Lok Sabha Election 2024 Phase 3) দিতে যাওয়ার পথে নিশান হাইস্কুলের বাইরে থাকা আমজনতার ভিড় থেকে বারবার আওয়াজ উঠছিল ‘ওয়ান অটোগ্রাফ প্লিজ’৷ প্রধানমন্ত্রী তাতে সাড়া দিয়ে আমজনতার থেকে দেওয়া এক সাদা পেপারে নাম লিখলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি’৷ পাশে ছিলেন অমিত শাহ ৷

    ভোট দেওয়ার পর মোদি বুথ কেন্দ্রের বাইরে বেরিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের প্রমাণও দেখান৷ ভোট দেওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন,“আজ লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট। আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তাঁরা যেন বেশি সংখ্যায় ভোট দেন। সকলে মিলে গণতন্ত্রকে উৎসবের ন্যায় পালন করুন৷ আমাদের দেশে ‘দান’-এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং সেই চেতনাকে সঙ্গী করেই যথাসম্ভব বেশি ভোটদানের আহ্বান রাখছি দেশবাসীর কাছে। ৪ দফা ভোট এখনও বাকি। গুজরাটের একজন ভোটার হিসেবে, এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আমি নিয়মিত ভোট দিযে আসছি এবং অমিত ভাই এখান থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন… ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মানুষের চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার করছি”, ঝাড়খণ্ডে বললেন মোদি

    PM Modi: “মানুষের চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার করছি”, ঝাড়খণ্ডে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষের কাছ থেকে চুরি করা টাকা উদ্ধার করছি আমি ও আমার সরকার।” সোমবার ঝাড়খণ্ডে ইডি বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করার পর এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার নবরঙ্গপুরে বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অবধারিতভাবেই উঠে আসে ঝাড়খণ্ডে নগদ টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ (সোমবার) ঝাড়খণ্ডে টাকার পাহাড়ের খোঁজ মিলেছে। মোদি জনগণের চুরি যাওয়া এই টাকা উদ্ধার করছে। যখনই আমি এই লুট বন্ধের চেষ্টা করি, কিছু লোক আমায় গালাগালি দেয়। কিন্তু আপনারা আমায় বলুন, মোদির কি এভাবে আপনাদের টাকা উদ্ধার করা উচিত নয়?”

    রাঁচিতে হানা ইডির (PM Modi)

    এদিনই রাঁচির একাধিক জায়গায় হানা দেয় ইডি। বাজেয়াপ্ত করে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। সব (PM Modi) মিলিয়ে টাকার পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগির আলমের পিএ সঞ্জীব লালের সহায়তায় ওই টাকা উদ্ধার করে ইডি। বছর সত্তরের আলমগির কংগ্রেস নেতা। তিনি ঝাড়খণ্ডের রুরাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী। পাকুড় কেন্দ্রের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: ভারত জেনোফোবিক! মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মুখের মতো জবাব দিলেন জয়শঙ্কর

    কংগ্রেসকে নিশানা

    তাঁর সরকার যে দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবে না, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “এই সরকার (মোদি সরকার) দুর্নীতিগ্রস্তদের গারদে পুরবে।” প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, “কংগ্রেস দুর্নীতিকে জলভাত করে ফেলেছে। চল্লিশ বছর আগে একজন প্রধানমন্ত্রী ওড়িশায় এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি যদি দিল্লি থেকে এক টাকা পাঠান, গরিবদের কাছে পৌঁছায় তার মাত্র ১৫ পয়সা। এর অর্থ হল, একশো পয়সার মধ্যে ৮৫ পয়সা লুট হয়েছিল কংগ্রেসের হাতে।” খানিক আবেগ-তাড়িত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এই দরিদ্র মায়ের সন্তানকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, আমি যদি একটা টাকাও পাঠাই (কেন্দ্র থেকে), আমি কাউকে সেই টাকার এক কানাকড়িও খেতে দেব না। আর যে খাবে, তাকে জেলের ভিতরে গিয়ে রুটিও চিবোতে হবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP West Bengal: এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন করা হল লিগ্যাল সেল

    BJP West Bengal: এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন করা হল লিগ্যাল সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যোগ্য অথচ চাকরি হারাদের পাশে বিজেপি (BJP West Bengal)। যোগ্য শিক্ষক কিন্তু নিজের চাকরি খুইয়েছেন, এমন শিক্ষকদের আইনি সহায়তা দেবে রাজ্য বিজেপি। আদালতে আইনি লড়াই করার জন্য বিজেপির তরফে তৈরি করা হল লিগ্যাল সেল। পাঁচ সদস্যকে নিয়ে এই সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী বুধবার থেকে চালু করা হবে একটি বিশেষ পোর্টাল।

    করা কারা রয়েছেন এই সেলে (BJP West Bengal)?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসসিতে চাকরি হারা শিক্ষকদের মধ্যে যোগ্য শিক্ষকদের আইনি সাহায্য দিতে বিজেপি (BJP West Bengal) রাজ্য স্তরে পাঁচ সদস্যের লিগ্যাল সেল গঠন করেছে। এই সেলের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী তীলক মিত্র, রাহুল সরকার, কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়, সহশ্রাংশু ভট্টাচার্য এবং সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়। আগামী বুধবার থেকে যোগ্য শিক্ষকদের জন্য একটি পোর্টাল খোলা হচ্ছে। নিজের নিজের অভিযোগের কথা জানিয়ে আইনি সহায়তা পেতে পারেন ভুক্তভুগীরা। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপির (BJP West Bengal) যে লিগাল সেল রয়েছে, তার পক্ষ থেকে আমরা আজ পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছি। একটি পোর্টাল আগামী বুধবার থেকে খোলা হবে। যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে এবং যাঁরা নিজেদের যোগ্য মনে করছেন তাঁরা সকলে এই পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। নিজের নিজের নাম নথিভুক্ত করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। দরকার হলে আমরা হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে সকলকে সহযোগিতা করব। তবে আইনি খরচ বিজেপির পক্ষ থেকে বহন করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    মোদি সহায়তা কেন্দ্রের কথা বলে ছিলেন

    রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ায় সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি রাজ্যের নির্বাচন প্রচারে এসে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থী মুশকিলে পড়েছেন। বাংলার বিজেপি (BJP West Bengal) সভাপতিকে বলেছি যোগ্যদের সহযোগিতা করতে জেলা স্তরে লিগাল সেল এবং একটি সোশ্যাল মিডিয়ার টিম এবং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে।” এবার প্রধানমন্ত্রীর কথায় এই পরিষেবা চালু করল বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: ফের রাজ্যে মোদি! সভা করবেন হাওড়া ও সিঙ্গুরে

    PM Narendra Modi: ফের রাজ্যে মোদি! সভা করবেন হাওড়া ও সিঙ্গুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে ভোটপ্রচারে (Lok Sabha Election 2024) আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সঙ্গে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সবে লোকসভা ভোটের দুদফা মিটেছে। বাংলার ৪২ টি আসনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ৬ কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আগামী ৭ মে উত্তরে দুই আসনের সঙ্গে ভোটগ্রহণ শুরু দক্ষিণবঙ্গেও। আর তার আগে ফের বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। 

    হাওড়ায় জনসভা মোদির (PM Narendra Modi)

    রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী শনিবার হাওড়ায় জনসভা করবেন মোদি। ওই দিন মোদির সভামঞ্চে উপস্থিত থাকবেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী এবং উলুবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় চৌধুরী। 

    সিঙ্গুরে সভা মোদির  

    বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী শনিবার কলকাতাতেই রাত্রিবাস করবেন মোদি। তার পরের দিনই হুগলি জেলার সিঙ্গুরে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। আগামী ২০ মে হুগলির তিন লোকসভা কেন্দ্রেই ভোট। ওই দিনই নির্বাচন হবে হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া কেন্দ্রেও। তার আগে জমি আন্দোলনের জন্য সংবাদ শিরোনামে থাকা সদা আলোচ্য এলাকা সিঙ্গুরে সভা করতে চলেছেন মোদি (PM Narendra Modi)। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর, হুগলির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রীরামপুরের প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু। 
    প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ আরামবাগে সভা করেছিলেন মোদি। এরপর গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। রাজভবনে রাত্রিবাস করে শুক্রবার তিনি (PM Narendra Modi) বর্ধমান, কৃষ্ণনগর এবং বোলপুরে সভা করেন। আর এর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের হাওড়ায় জনসভা করবেন মোদি।   
    উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) তুলনায় চব্বিশের নির্বাচনে বেশি আসন পেতে জোরকদমে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। চলতি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির হয়ে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ একাধিক শীর্ষ নেতারা। ভোট প্রচারে এসে একাধিক প্রচার সভা থেকে সন্দেশখালি কাণ্ড সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন মোদি। এবার উত্তরের পর দক্ষিণবঙ্গের প্রচারে আসছেন মোদি। এবারে যে পাঁচটি কেন্দ্রের প্রার্থীদের জন্য মোদি সভা করবেন, সেগুলির মধ্যে এক মাত্র হুগলি বাদে বাকি কেন্দ্রগুলিতে গত বার জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এ বার এই পাঁচটি আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে জয়ের সম্ভাবনা দেখছে বিজেপি। মোদির প্রচার ওই কেন্দ্রগুলির কর্মীদের উজ্জীবিত করবে বলেই মনে করছে বিজেপি।  

    আরও পড়ুন: ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে 

    দিলীপ ঘোষের সমর্থনে জনসভা শাহর 

    মোদির (PM Narendra Modi) পাশাপাশি রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনী জনসভা করছেন শাহও। বিজেপি সূত্রে খবর আগামী সোমবার তিনি (Amit Shah) বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সমর্থনে সভা করবেন। ওই সভায় দিলীপের পাশাপাশি উপস্থিত থাকতে পারেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী আলুয়ালিয়াও। উল্লেখ্য এর আগে গত মঙ্গলবার বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে সভা করেন শাহ। আর এবার দিলীপ ঘোষের সমর্থনে সভা করতে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে তৃতীয় দফা নির্বাচনে ফের প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন অমিত শাহ

    Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে তৃতীয় দফা নির্বাচনে ফের প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে আসছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অমিত শাহ। এবার বর্ধমান-দুর্গাপুরের আসনে আগামী ৫ মে রাজ্যে এসে প্রথমে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। এরপরের দিন ৬ তারিখ সোমবার এই কেন্দ্রে সভা করবেন। তবে ওই দিন কৃষ্ণনগরে রানিমা অমৃতা রায়ের সমর্থনে রোড শো করবেন বলে জানা গিয়েছে। ভোট প্রচারে বিজেপি ব্যাপক তৎপর। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে একাধিকবার তৃণমূল শাসনের দুর্নীতি এবং সন্দেশখালি ইস্যুতে তোপ দেগেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। 

    বর্ধমানে সভা করবেন অমিত শাহ (Lok Sabha Election 2024)

    গতকাল শুক্রবার বর্ধমানে রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সমর্থনে নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, “বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে জয়ী করুন। তাঁকে একটা ভোট মানে হল মোদিকে ভোট দেওয়া।” এবার মোদির সভার পরেই আবার অমিত শাহের সভা। ফলে এই কেন্দ্রকে হাত ছাড়া করতে নারাজ বিজেপি। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভাকে ঘিরে যে সাধারণ মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে সেই বিষয়ে বিজেপি জয় নিশ্চিত মনে করছে।

    আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুকে সঙ্গে নিয়ে তমলুকে মনোনয়ন জমা করলেন অভিজিৎ, জনজোয়ারে ভাসল গোটা শহর

    কৃষ্ণনগরে রোড শো করবেন অমিত শাহ

    একই ভাবে গতকাল নদিয়ায় (Lok Sabha Election 2024) সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের জন্য মানুষের কাছে ভোট চান। কিন্তু মাত্র তিন দিন পরেই আবার কৃষ্ণনগরে যাচ্ছেন অমিত শাহ। বাংলার কোনও আসন যে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, এমনটা কেন্দ্রীয় নেতার মনে করেন না। তাই প্রত্যকে দফা নির্বাচনের আগে প্রচারে নেমে পড়েছেন মোদি, অমিত শাহ। আগামী ১০ মে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের রাজ্যে আসবেন। তিনি রানাঘাট, বীরভূম, এবং হাওড়ায় সভা-রোড শো করবেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলা থেকে বেশি সংখ্যায় আসনে যাতে বিজেপি জয়ী হয় সেই বিষয়কে মাথায় রেখে নির্বাচনী প্রচারে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যাপক প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান চায় রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোন”, তোপ মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান চায় রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোন”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শান্তির আশায় পাকিস্তানকে প্রেমপত্র পাঠাত কংগ্রেস। কিন্তু সেই সব চিঠির প্রেক্ষিতে আরও বেশি করে জঙ্গি পাঠাত ভারতের প্রতিবেশী দেশটি।” শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামৌয়ের নির্বাচনী জনসভায় এই ভাষায়ই কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠিত হওয়ার পর সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রতি যে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী বদলেছে, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর মোক্ষম বাণ (PM Modi)

    এর পরেই মোক্ষম বাণটি নিক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “এই লোকসভা নির্বাচনে জিতে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আশা করছেন পাকিস্তানি নেতারা। এক সময় নিরীহ পর্যটককে খুন করত সন্ত্রাসবাদীরা। তার পরেও সরকার পাকিস্তানকে প্রায়ই প্রেমপত্র পাঠাত। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান আরও বেশি করে জঙ্গি পাঠাত। কিন্তু আপনাদের মূল্যবান একটি ভোটের শক্তিতে আমি বললাম, ঢের হয়েছে। আজকের নয়া ভারত আর কোনও দলিল পাঠাবে না পাকিস্তানকে। এই হল নয়া ভারত – ‘ঘর মে ঘুষ কে মারতা হ্যায়’ (ঘরে ঢুকে গিয়ে মারছে)।” তিনি (PM Modi) বলেন, “একটা সময় ছিল যখন বিহার ও ঝাড়খণ্ডের লোকজন আমাদের দেশকে রক্ষা করতে যেতেন। সীমান্তে তাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিতেন। এ ছবি প্রায় প্রতি মাসেরই ছিল। কংগ্রেসের ভীরু সরকার গোটা বিশ্বে এনিয়ে কান্নাকাটি করত।”

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে কানাডায় ধৃত ৩ শিখ, নেপথ্যে বিষ্ণোই গ্যাং?

    দুই স্ট্রাইকের ‘গল্প’

    প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তৃতায় অনিবার্যভাবে উঠে আসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট স্ট্রাইকের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট স্ট্রাইক পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এখন পাকিস্তান বিশ্বের দরবারে গিয়ে কাঁদছে আর বলছে, বাঁচাও, বাঁচাও। তাই পাকিস্তানের নেতারা প্রার্থনা করছেন যাতে কংগ্রেসের শাহাজাদা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু শক্তিশালী ভারত এখন একটা শক্তিশালী সরকার চায়।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মন্ত্রী ফুয়াদ চৌধুরী রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করছেন এই বলে যে তাঁর মধ্যে সোশ্যালিস্টিক ইডিওলজি রয়েছে।” এদিনের জনসভায় ফুয়াদের এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে যে নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদের অবসান হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Candidate: তৃতীয় দফা ভোটের আগে সাত বিজেপি প্রার্থী পাচ্ছেন এক্স ক্যাটাগরি নিরাপত্তা

    BJP Candidate: তৃতীয় দফা ভোটের আগে সাত বিজেপি প্রার্থী পাচ্ছেন এক্স ক্যাটাগরি নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম, দ্বিতীয় দফার পর এবার তৃতীয় দফার ভোটের জন্য সেজে উঠছে গোটা দেশ। ভোটের তাপে ফুটছে বাংলাও। ৭ মে ভোট রয়েছে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণে। তৃতীয় দফা ভোটের আগে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্য সফর করে গিয়েছেন। তবে, তৃতীয় দফায় যে সব এলাকায় ভোট রয়েছে, আগেই প্রধানমন্ত্রী সভা করে গিয়েছেন। ভোটের এই আবহের মধ্যে এবার আরও সাতজন বিজেপি প্রার্থীর (BJP Candidate) নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    তালিকায় বিজেপির কোন কোন প্রার্থী রয়েছেন? (BJP Candidate)

    রাজ্যে বিজেপির প্রার্থী (BJP Candidate) পদ ঘোষণা হওয়ার পর পরই সন্দেশখালির রেখা পাত্রের পাশাপাশি বহরমপুরের নির্মল সাহা, মথুরাপুরের অশোক পুরকাইত, জয়নগরের অশোক কান্ডারী, রায়গঞ্জের কার্তিক পাল, ঝাড়গ্রামের প্রনথ টুডু-র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। সন্দেশখালির রেখা পাত্র প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের হামলার মুখে পড়েছিলেন। তাঁর গাড়িতেও হামলা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে রেখা পাত্র আক্রান্ত হওয়ার পর পরই তাঁর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ফলে, ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের সন্ত্রাসও চারিদিকে বাড়ছে। ফলে, প্রার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই আরও সাতজন প্রার্থীর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভোটের সুরক্ষায় মাঠে নেমে পড়েছে আধা সেনা। দিকে দিকে চলছে টহল। এদিকে শেষবেলার প্রচারে ঝাঁপিয়েছে শাসক বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই। এবার আরও সাতজন প্রার্থীর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, তালিকায় নাম রয়েছে, বোলপুরের পিয়া সাহা, আরামবাগের অরূপ দিগার, উলুবেড়িয়ার অরুণ উদয় পাল চৌধুরী, দমদমের শীলভদ্র দত্ত, কৃষ্ণনগরের অমৃতা রায়, দক্ষিণ কলকাতার দেবশ্রী চৌধুরী এবং উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে এই প্রার্থীদের। জানা যাচ্ছে, পাঁচ জন করে সিআইএসএফ জওয়ানরা ঘিরে থাকবেন বিজেপি প্রার্থীদের। শনিবার থেকেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ার কথা রয়েছে বিজেপির সাত প্রার্থীর।  

    আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, বীরভূমে যমজ ভাইয়ের মাধ্যমিকে নম্বরও সমান

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    Murshidabad: প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” বক্তব্য রেখেছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেই ভিডিও রাজ্যজুড়ে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। খোদ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে তৃণমূল বিধায়কের ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। এবার “হিন্দু বিদ্বেষমূলক” মন্তব্য করার অভিযোগে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি।

    ঠিক কী বলেছিলেন হুমায়ুন?

    পয়লা মে সন্ধ্যায় শক্তিপুরের তৃণমূলের নির্বাচী সভায় হুমায়ুন কবীরকে বলতে শোনা যায়, ‘২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে কামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি’।

    বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল

    গত ১ মে সন্ধ্যার ওই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে শুক্রবার ভোটপ্রচারে রাজ্যে এসে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘আমি কাল টিভিতে দেখলাম, এখানে বাংলায় তৃণমূলের এক বিধায়ক প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলছিলেন, হিন্দুদের ২ ঘণ্টায় ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেব। এটা কী ধরণের ভাষা? কী ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি? হিন্দুদের ভাসিয়ে দেবে? সত্যিই, কী হাল হয়েছে! বাংলায় হিন্দুদের সঙ্গে কী হচ্ছে? মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূলের সরকার দ্বিতীয় স্তরের নাগরিক করে রেখেছে’।

    হুমায়ুনের ভিডিও শেয়ার করে ট্যুইট করেছেন অমিত মালব্য

    হুমায়ুন কবীরের ভিডিও শেয়ার করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “শক্তিপুরে বুথ ওয়ার্কার সম্মেলনে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দু’ঘণ্টার মধ্যে আমি যদি বিজেপিকে ভাগীরথী নদীতে না ফেলতে পারি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি তোমাদের শক্তিপুর এলাকায় থাকতে দেব না (এই এলাকার বেশিরভাগ হিন্দুরাই উদ্বাস্তু। ধর্মীয় উৎপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা হলেন সংখ্যালঘিষ্ঠ। মাত্র ২৮%। আর তাঁদের এসব কথা বলা হচ্ছে। তাহলে ভাবুন যদি গোটা বাংলায় তাঁরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে যান, তাহলে তাঁদের সঙ্গে কী হবে। পশ্চিমবঙ্গে তোষণের রাজনীতি এখন আরও নীচে নেমে গিয়েছে। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের থেকেও খারাপ দশা বাংলার হিন্দুদের। এই বিধায়ককে দল থেকে বের করে দেওয়ার সাহস কি উনি দেখাবেন? যে সকল বুদ্ধিজীবীরা নিয়মিত হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষ ওগড়ান, তাঁরা কি এবার একটাও শব্দ বলবেন?”

    </


    >

    হুমায়ুনের নামে শক্তিপুর থানায় অভিযোগ বিজেপির

    বিজেপির তরফে অভিযোগ দায়ের করেছেন শক্তিপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গোকুল বিহারী ঘোষ। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, “গত ১ মে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা নাগাদ শক্তিপুর সবজি মার্কেটে এক সভায় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটতে পারে। তিনি ২ ঘণ্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগীরথীতে ফেলে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তাই অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল,” বীরভূমে ভোট প্রচারে বিস্ফোরক মোদি

    Narendra Modi: “রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল,” বীরভূমে ভোট প্রচারে বিস্ফোরক মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতারা দুর্নীতিতে রেকর্ড করেছে। শুক্রবার বোলপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা ও বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে এসে রাজ্যের শাসক দলকে এভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সন্দেশখালি যে ঘটনা ঘটেছে তা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা সবকিছু জানত।

    ছোটদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল (Narendra Modi)

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, তৃণমূলের তোলাবাজি চলতে দেব না। এটা মোদীর গ্যারান্টি। সমস্ত লুঠ, সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত হবেই। বাংলার বিকাশের জন্য সব বুথে বিজেপিকে জেতাতে হবে। প্রিয়া সাহা, দেবতনু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে। তাঁরা যে ভোট পাবেন তাতে মোদির শক্তি বাড়বে। প্রতিটা ভোট মোদির খাতায় যাবে। তিনি বলেন, শিক্ষকরা ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ তৈরি করে। তৃণমূল তাতেও দুর্নীতি করেছে। শিক্ষকদের চাকরি তো গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ছোটদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার।

    আরও পড়ুন: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    দেশে তৃণমূল ১৫টি আসন, কংগ্রেস ৫০টি আসন পাবে!

    এদিন নদিয়ার তেহট্টের শ্যামনগরে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রানিমা অমৃতা রায় ও রানাঘাটের দলীয় প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে উঠে প্রায় ২৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন মোদি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Narendra Modi) বলেন, গোটা দেশজুড়ে তৃণমূল ১৫টির বেশি আসন পাবে না। আর কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কংগ্রেসের যা অবস্থা তাতে হাফ সেঞ্চুরি পার করতে পারবে না কংগ্রেস। সেই কারণে এ বছর একমাত্র সরকার গড়তে পারে বিজেপির এনডিএ সরকার। পাশাপাশি বাম মোর্চার লাল ঝান্ডা বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ সরকার এলে দেশে আরও উন্নয়ন হবে। তৃণমূল যেভাবে তোলাবাজি করেছে আর মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে, তাতে এবার সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে সাজা দিতে চায়। গ্রাম কিংবা শহর সবাই একই কথা বলছে, এইবার মোদি সরকার। তিনি বলেন, কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাটের সাধারণ মানুষকে গ্যারান্টি দিচ্ছি, যেখানে যেখানে তৃণমূল তোলাবাজি করেছে সেই টাকার হিসাব নেওয়া হবে। সেই টাকা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিএএ নিয়েও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক সিএএ লাগু হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার পাবে। তিনি বলেন, তৃণমূল কখনও সাংবিধান মেনে কাজ করে না।

    হুমায়ুন কবীরের সমালোচনা করলেন মোদি

    দুদিন আগে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ রয়েছি। আর তোমরা ৩০ শতাংশ রয়েছ। মনে করলে দুঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীর জলে ফেলে দিতে পারি। নাম না করে হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, তৃণমূল বিধায়ক প্রকাশ্যে হিন্দুদের জলে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এই রাজ্যে হিন্দুদের কী অবস্থা। এটা একজন বিধায়কের মুখে ভাষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share