Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: “এতদিন শাহি জাদুগর কোথায় লুকিয়েছিলেন?”, রাহুলকে নিশানা মোদির

    PM Modi: “এতদিন শাহি জাদুগর কোথায় লুকিয়েছিলেন?”, রাহুলকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ‘শাহি জাদুগর’ আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক ধাক্কায় দেশ থেকে দারিদ্র হঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাহুল। রবিবাসরীয় দুপুরে তারই জবাব দিতে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিলেন মধ্যপ্রেদেশের হোসাঙ্গাবাদের জনসভাকে। এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী রাহুলকে ‘শাহজাদা’ আখ্যাও দেন। রাহুলের প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গোটা দেশ বিস্মিত হয়েছিল তখন, যখন কংগ্রেসের শাহজাদা ঘোষণা করেছিলেন তিনি এক ধাক্কায় দেশ থেকে দারিদ্র দূর করে দেবেন। দেশ জিজ্ঞাসা করছেন এতদিন শাহি জাদুগর কোথায় লুকিয়েছিলেন।”

    কী বলেছিলেন রাহুল? (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজস্থানের এক নির্বাচনী প্রচার সভায় রাহুল বলেছিলেন, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হলে দেশ থেকে এক ধাক্কায় দ্রারিদ্র দূর করা হবে।” তিনি বলেছিলেন, “আপনি যদি দারিদ্র সীমার নীচে থাকেন, তাহলে প্রতি বছর এক লাখ করে টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এভাবে এক ধাক্কায় আমরা ভারত থেকে দারিদ্র দূর করব।” প্রসঙ্গত, মহালক্ষ্মী প্রকল্পে দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মহিলারা প্রতি বছর এক লাখ করে টাকা পাবেন।

    মোদির বাণে বিদ্ধ কংগ্রেস

    এদিন হোসাঙ্গাবাদের জনসভায় কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “একটা দলের একটা পরিবারই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে স্বাধীনতার পর থেকে কয়েক দশক ধরে দেশ চালিয়ে গিয়েছিল। এই পরিবারই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। দেশের বিভিন্ন অংশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে তারা যখনই চেয়েছে, জরুরি অবস্থা জারি করেছে।” তিনি বলেন, “২০১৪ সালের আগে দশ বছর তারা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে দেশ চালিয়েছে। বলেছে, তারা পেয়ে গিয়েছে ঝটকা ভালা মন্ত্র। এই মন্ত্র তারা কোথা থেকে পেল? আপনারা আমায় বলুন, এটা কি গরিবদের উপহাস করা নয়? এটা কি দরিদ্রদের অপমান করা নয়?”

    বিরোধীদের ইস্তাহারকেও এদিন আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ইন্ডিয়া ব্লকের নেতারা এখনও স্থিরই করে উঠতে পারলেন না যে একটা ইস্তাহার একটা দায়িত্ব, দেশবাসীর প্রতি দায়বদ্ধতা। কংগ্রেসের ওই ইস্তাহারে অনেক ভয়ঙ্কর প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। তাদের ইস্তাহার দেশকে আর্থিকভাবে দেউলিয়া করে দেবে (PM Modi)।”

    আরও পড়ুুন: সলমনের বাড়ির সামনে চলল গুলি, দায় স্বীকার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Subhas Sarkar: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    Subhas Sarkar: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (lok sabha vote 2024), হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই রবিবার বাংলা নববর্ষের দিনেও চুটিয়ে ভোট প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। জনসংযোগ বাড়াতে এবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ করতে দেখা গেল বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে (Subhas Sarkar )। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

    জুতো পালিশ করে প্রচার (Subhas Sarkar)

    রবিবার ডক্টর বি.আর.অম্বেডকরের (B.R Ambedkar) জন্মদিন উপলক্ষে বাঁকুড়ার মাচানতলা থেকে লালবাজার পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রায় অংশ নেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। সেখানেই হুড খোলা গাড়িতে চড়ে নিজের জুতো পালিশ করলেন তিনি। মিছিলে প্রচার চালাতে চালাতে হঠাৎই তিনি নিজের হাতে তুলে নেন নিজের জুতো। গাড়িতে দাঁড়িয়েই ব্রাশ দিয়ে সেই জুতো পালিশ করতে শুরু করেন তিনি।

    সুভাষ সরকারের বক্তব্য (Subhas Sarkar )

    বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar ) বলেন, “নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে কোনও কাজই ছোটো নয়। ডক্টর বি.আর.অম্বেডকর দলিত ও অত্যন্ত নিম্নবর্গ থেকে উঠে এসে সংবিধান প্রণয়নের মতো মহান কাজ করেছিলেন। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নাম করে তিনি বলেন, “অম্বেডকরের স্বপ্ন আজ পূরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। ডক্টর বি.আর.অম্বেডকরের সেই ভাবনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আজ জুতো পালিশ করলাম।”

    তৃণমূলের কটাক্ষ

    জুতো পালিশের বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এটা কি জনগণের জুতো পালিশ হচ্ছে। সেটা তো হয়নি। জনগণকে তো ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। এসব করে নাটক করছেন সুভাষবাবু (Subhas Sarkar )। এতে কি ভোট বাড়ে।”

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    নানা প্রচারের প্রার্থীরা

    যদিও এমন ঘটনা আশ্চর্যের নয়। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এর আগে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে কখনও চুল কাটতে দেখা গিয়েছে ,কখনও আবার দেখা গেছে চা, চপ, পাঁপড় ভেজে তা বিক্রি করতে। কোনও প্রার্থীকে আবার দেখা গেছে টোটো চালাতে, কাউকে আবার দেখা গেছে সবজি বিক্রি করতে। তাই এই কাজকে জনগনের হয়ে  অম্বেডকরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ছাড়া আর কিছুই না বলে মনে করেন না সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar )।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bjp Manifesto: দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, প্রতিশ্রুতি বিজেপির ইস্তাহারে

    Bjp Manifesto: দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, প্রতিশ্রুতি বিজেপির ইস্তাহারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গরিব, যুব সমাজ, কৃষক ও মহিলাদের লক্ষ্যেই মূলত ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইস্তাহারে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিজেপির ইস্তাহারের নাম ‘সঙ্কল্প পত্র’। রবিবার ইস্তাহার (Bjp Manifesto) প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এবার দেখা যাক, ইস্তাহারে কী কী রয়েছে।

    দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ (Bjp Manifesto)

    দুদিন আগেই বাংলা সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ইস্তাহারেও সেই কথা উল্লেখ রয়েছে। ইস্তাহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। দেশের স্বার্থে কড়া পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না সরকার। গরিবদের যারা লুট করেছে, তারা জেলে যাচ্ছে। এছাড়া ইস্তাহারে উল্লেখ রয়েছে, আমরা কোটি কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। এবার আমরা কোটি কোটি পরিবারের বিদ্যুতের বিল শূন্য করে দেওয়া এবং বিদ্যুৎ থেকে উপার্জনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। ১ কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই নাম রেজিস্টার করেছেন। আমরা সস্তায় বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস পৌঁছে দিয়েছি। এবার আমরা সস্তায় পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। দেশে গ্রিন জব তৈরি করা হবে। দেশে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বিক্রি বাড়ানো হবে। মহাকাশ ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে। সামাজিক, ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। উড়ান ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে। ড্রিম সেন্টার তৈরি করা হবে।

     বুলেট ট্রেন চালু

    ইস্তাহারে বলা হয়েছে, আরও বন্দে ভারত ট্রেন চালু হবে। তিনটি মডেল চলবে-বন্দে ভারত স্লিপার, বন্দে ভারত চেয়ারকার ও বন্দে ভারত মেট্রো। বুলেট ট্রেন চালু হবে দক্ষিণ, উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম ভারতে। দেশের সব থেকে পুরনো ভাষা তামিল। তামিল ভাষার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠার জন্য বিজেপি প্রচার করবে। জনজাতীয় গৌরব দিবস পালন করা হবে। ২০২৫ সালে বীরসা মুন্ডার ১৫০ তম জন্মজয়ন্তী। এটা রাষ্ট্রীয় স্তরে পালিত হবে। ডিজিটাল জনজাতি কলা অ্যাকাডেমি তৈরি করা হবে। ৭০০-রও বেশি একলব্য স্কুলের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ন্যাচরাল ফার্মিংয়ে জোর দেওয়া হবে। ভারতকে ফুড প্রসেসিং হাব বানানো হবে। ভারতকে গ্লোবাল নিউট্রিশন হাব বানানোর জন্য শ্রীঅন্নের উপরে জোর দেওয়া হবে। ২ কোটিরও বেশি কৃষক উপকৃত হবেন। ফিশারি ও স্টোরেজের উন্নয়ন করা হবে। পিএম কিষান সম্মাননিধিতে ১০ কোটি কৃষক উপকৃত। এই প্রকল্প চালু থাকবে। দেশে ডেয়ারি বাড়ানো হবে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    ৩ কোটি বোনকে লাখপতি দিদি

    মহিলা খেলোয়াড়দের জন্য ইস্তাহারে জানানো হয়েছে, বিশেষ প্রোগ্রাম ও ব্যবস্থা করা হবে। মহিলাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য সার্ভাইক্যাল ক্যানসার নিয়ে প্রচার চালানো হবে। আগামী ৫ বছর নারীশক্তির ভিত্তি হবে। ১০ কোটি বোনকে আমরা আইটি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রিটেলের কাজ করার জন্য আমরা প্রশিক্ষণ দেব। ৩ কোটি বোনকে লাখপতি দিদি বানানোর গ্যারান্টি দিচ্ছে মোদি। গ্রামের মেয়েরা ড্রোন পাইলট দিদির পরিচিতি দেওয়া হবে। সরকার ড্রোন দেবে।

    আগামী ৫ বছরও বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা

    ট্রান্সজেন্ডারদেরও স্বীকৃতি দিয়েছে বিজেপি সরকার। ইস্তাহারে বলা হয়েছে, রূপান্তরিতদেরও আয়ুষ্মান ভারতের অন্তর্গত করা হবে। ঠেলাগাড়ি চালান যারা, তাদেরও ব্যাঙ্ক আজ ঋণ দিচ্ছে। বিজেপি স্বনিধি যোজনাকে আরও বাড়াবে। ৫০ হাজার টাকা অবধি ঋণের সীমা বাড়ানো হবে। যোজনা গ্রামেও পৌঁছে দেওয়া হবে। উদ্যোগপতিদের সাহায্য করেছে মুদ্রা যোজনা। এই সফলতাকে মাথায় রেখে বিজেপি মুদ্রা যোজনার অধীনে উদ্যোগপতিদের সাহায্য করা হবে। যুবশক্তিকে নিজের পছন্দের কাজ করার জন্য আর্থিক সাহায্য করা হবে। বিজেপি সরকার ৪ কোটি পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। আমরা আরও ৩ কোটি পাকা বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। মোদির গ্যারান্টি হল, জনঔষধি সেন্টারে ৮০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে ওষুধের দামে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা অবধি বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু থাকবে। ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল বয়স্ক ব্যক্তিকে আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে আনা হবে। গরিব, মধ্যবিত্ত- সকলেই ৫ লক্ষ টাকা অবধি বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। সংকল্প পত্রে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, আগামী ৫ বছরও বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা জারি থাকবে।কংগ্রেস দেশের জন্য চিন্তিত ছিল না, রামলালার কথা ভাবেনি। ওরা শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছে এবং বাধা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ঘরে ফিরেছেন রামলালা। তৈরি হয়েছে রাম মন্দির।

    ১০ বছরে সব প্রতিশ্রুতি রেখেছে বিজেপি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ বাবাসাহবে আম্বেদকরের জন্মদিন। এই শুভদিনে বিজেপি ইস্তাহার  (Bjp Manifesto) প্রকাশ করল। দেশ জুড়ে লাখো মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি অসীম আস্থা প্রকাশ করেছেন। এর জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই। পুরো দেশ অপেক্ষা করছিল বিজেপির ইস্তাহারের। এর কারণ হল বিগত ১০ বছরে বিজেপি প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।

    ইস্তাহার কমিটিতে কারা রয়েছেন?

    বিজেপির এই ইস্তাহার (Bjp Manifesto) কমিটিতে রয়েছেন ২৭ জন। কমিটির আহ্বায়ক নির্মলা সীতারামন। সহ-আহ্বায়ক পীযূষ গয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে কমিটিতে জায়গা হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং ভূপেন্দ্র যাদবের। ইস্তাহার কমিটির মাথায় রয়েছেন রাজনাথ। ইতিমধ্যেই এই কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে দু’বার। ইস্তাহার তৈরিতে বিজেপি দেড় মিলিয়নেরও বেশি প্রস্তাব পেয়েছে জনগণের কাছ থেকে। সমৃদ্ধশালী ভারত, মহিলা, যুব, গরিব এবং কৃষকের জন্য কী কী উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা উল্লেখ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bjp Manifesto: দেশের গরিব, যুব সমাজ ও মহিলাদের উন্নয়নই লক্ষ্য, নববর্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি

    Bjp Manifesto: দেশের গরিব, যুব সমাজ ও মহিলাদের উন্নয়নই লক্ষ্য, নববর্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা নববর্ষের দিনই ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি। রবিবার সকালে বিজেপির সদর দফতর থেকে ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন ইস্তাহার (Bjp Manifesto) প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপির ইস্তাহারের নাম ‘সঙ্কল্প পত্র’।

    কী রয়েছে ইস্তেহারে? (Bjp Manifesto)

    বিজেপির এই ইস্তাহার (Bjp Manifesto) কমিটিতে রয়েছেন ২৭ জন। কমিটির আহ্বায়ক নির্মলা সীতারামন। সহ-আহ্বায়ক পীযূষ গয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে কমিটিতে জায়গা হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং ভূপেন্দ্র যাদবের। ইস্তাহার কমিটির মাথায় রয়েছেন রাজনাথ। ইতিমধ্যেই এই কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে দু’বার। ইস্তাহার তৈরিতে বিজেপি দেড় মিলিয়নেরও বেশি প্রস্তাব পেয়েছে জনগণের কাছ থেকে। সমৃদ্ধশালী ভারত, মহিলা, যুব, গরিব এবং কৃষকের জন্য কী কী উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা উল্লেখ রয়েছে। যেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যাবে, সেগুলির ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। মূলত দেশের গরিব, যুব সমাজ, কৃষক ও মহিলাদের লক্ষ্যেই এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। ইস্তেহারের ট্যাগলাইন দেওয়া হয়েছে, “মোদি কি গ্যারান্টি”। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ১০ বছর ধরে দেশ অনেকটা এগিয়েছে। দেশের সব দেশে আজ পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে। আবাস যোজনায় ৪ কোটি পাকা বাড়ি তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবায় যুক্ত হয়েছে পঞ্চায়েত। ২ লক্ষ পঞ্চায়েত ইন্টারনেট পরিষেবায় যুক্ত। গ্রামেও ফাইবার অপটিক্স বসেছে। এসবের পাশাপাশি এই ইস্তাহারে মূলত ২৫টি বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশে বিপুল উন্নয়ন

    রাজনাথ সিং বলেন, “আমি খুব খুশি ও সন্তুষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমরা সমত প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। আজ সংকল্প পত্রের মাধ্যমে বিজেপি আত্মসম্মান ও দক্ষ ভারতের রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।” জেপি নাড্ডা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির লক্ষ্য সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশে বিপুল উন্নয়ন হয়েছে। মোদির সরকার হল গরিবের সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনারা শুধু রাজনৈতিক দুর্নীতির কথাই শোনেন। যাঁরা তদন্তকারী সংস্থার নজরে পড়েছেন, তাঁরাই সেগুলো ছড়িয়ে থাকেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ।” এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি জানান, ইডির মোট মামলার মাত্র তিন শতাংশ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।

    ইডির হাতে গ্রেফতার অফিসারও (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধীদের দমন করতে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এই প্রসঙ্গেরই জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইডি বহু দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে গ্রেফতার করেছে। সেই সব অফিসার, অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ীর কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি রেয়াত করেনি কংগ্রেস, কেজরিওয়াল এবং কবিতাকেও।” তিনি (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সালের আগে ইডি মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। গত ১০ বছরে সেটাই এক লাখ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালের আগে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল নগদ ৩৪ লাখ টাকা। সেখানে আমার আমলে উদ্ধার হয়েছে ২২০০ কোটিরও বেশি টাকা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থায় যারা মুনাফা দেখেছে, তারাই অন্যায় হয়েছে বলে গোল বাঁধিয়ে মানুষের কাছে ভুল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছে।”

    ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবেই’

    দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইডির হাতেই গ্রেফতার হয়েছেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির এমএলসি কে কবিতা, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে আয়কর দফতর। এর পরে পরেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার সরকারের লড়াই চলবেই। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেই ফের চলবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান।” প্রধানমন্ত্রী আরও একবার মনে করিয়ে দেন, “গত দশ বছর ধরে আমাদের সরকারের প্রধান ফোকাসই হল সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা। বিভিন্ন স্তরে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি আমরা।”

    আরও পড়ুুন: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “ক্রিকেট হোক বা রাজনীতি, ব্যাটসম্যান ভালো হলেই জয় নিশ্চিত”, ব্যাট হাতে নিয়ে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “ক্রিকেট হোক বা রাজনীতি, ব্যাটসম্যান ভালো হলেই জয় নিশ্চিত”, ব্যাট হাতে নিয়ে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে ব্যাট হাতে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামে নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেললেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বললেন, ছোটদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে ছোটবেলার স্মৃতি ফিরে এল। ক্রিকেটের ময়দান হোক বা রাজনীতির ময়দান ব্যাটসম্যান ভালো হলেই জয় নিশ্চিত।

    প্রচারের ফাঁকে ক্রিকেট খেললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদীপুর, আলিপুর, দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেঁটে প্রচার করলেন বালুরঘাট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি বিভিন্ন দোকানে গিয়েও তিনি জনসংযোগ সারেন। সুকান্তর সমর্থনে আগামী ১৬ই এপ্রিল বালুরঘাটে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনসভায় এলাকার মানুষদেরকে আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। এদিন প্রচারে ফাঁকে মাঠের মধ্যে কয়েকটি বাচ্চাকে ক্রিকেট খেলতে দেখে তিনি সোজা সেখানে চলে যান। এরপরই ব্যাট হাতে নিয়ে খেলাও করেন।

    আরও পড়ুন: এনআইএ-র ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ জামিনযোগ্য ধারা পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমি আজ নির্বাচনী প্রচারে বালুরঘাট ব্লকের কয়েকটি গ্রামে এসেছি। ভোট প্রচারে ভালো সারা পাচ্ছি। বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে তৃণমূল। একটা ভোটও যেন অন্য কোথাও না যায় বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওরা তো আমাদের ডায়লগ চুরি করে বলছে। চুরি করা তো তৃণমূলের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। আমরা বলতাম, বাংলাতে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি। এখন দেখছি তৃণমূল সেটাও নকল করছে। মুখ্যমন্ত্রীর কি নিজের ডায়লগ শেষ হয়ে গেছে নাকি? বাংলায় সরকার বদলের শাহের হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব আগে ২০০ টি আসনে জিতে দেখাক বলে খোঁচা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এইটা লোকসভা ভোটের কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়ে শপথ নেওয়া হয়ে গিয়েছে ধরে নিন। বিদেশ সহ অন্যান্য দেশ থেকে ওনাকে আমন্ত্রণ জানানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন।” বুধবার এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের কঠিন কাজগুলি করতেই যে ঈশ্বর তাঁকে বেছে নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভগবানের দান (PM Modi)

    তিনি বলেন, “শোনার ক্ষমতাটাও নেতৃত্ব দেওয়ার একটা বড় গুণ। ভগবান আমায় এই গুণটি দিয়েছেন। আমি নিয়মিত এর চর্চাও করি। আরও একটি গুণ আমায় ভগবান দিয়েছেন, সেটি হল আমি সব সময় কাজেই রয়েছি। ফোন কল করে কিংবা মেসেজ করে বা অন্য কিছু করে সময় নষ্ট করি না। যখনই আমি কিছু করি, তখনই আমি তাতে একশো শতাংশ নিয়োজিত হই, সেই কাজের সাগরে ডুবে যাই।”

    আদর্শ নেতার গুণ

    একজন ভালো নেতার কী কী গুণ থাকা উচিত, এই সাক্ষাৎকারে তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তাঁর মতে, নেতার ওপরতলা থেকে নিচুতলা পর্যন্ত সমস্ত খবরাখবর নখদর্পনে থাকবে। তৃণমূল স্তরেও থাকবে তাঁর নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ। সেই যোগাযোগ এমনই হবে, যে যখনই কোনও ঘটনা ঘটবে, তখনই সেটি সরাসরি তাঁর কানে পৌঁছবে।

    আরও পড়ুুন: ভারতে আসছেন টেসলা কর্তা, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরেই লগ্নির ঘোষণা মাস্কের!

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম (গুজরাটের), রাত তিনটেয় একজন ফোন করেছিলেন। কার্জন নামে একটি শহর থেকে কলটা এসেছিল। সচরাচর এত রাতে কেউ একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও বিষয়ে সতর্ক করেন না। কিন্তু আমার অধঃস্তনরা আমার কাজের ধরন জানতেন। তাই তাঁরা আমায় সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ওই শহরে একটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন লোকটি। তিনি বলেছিলেন, আগের দিন আমি যখন তাঁর বাড়িতে খেতে গিয়েছিলাম তখন তিনি আমায় দেখেছিলেন। তাই আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি সরাসরি আমায় ফোন করেছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কারণ কী? তিনি আমায় বলেছিলেন, তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে রেল লাইন গিয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটানো হতে পারে সেখানেই। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাটি জেলা প্রশাসনকে জানাই, রেলের আধিকারিকদের জানাই, ঘটনাটির বিষয়ে খোঁজ নিতে। তাঁরা কেউই আগে এ ব্যাপারে কোনও খবর পাননি। তার জেরেই সেবার রোখা গিয়েছিল দুর্ঘটনা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রতি মাসে হাজার হাজার চিঠি পাই। সেগুলি পড়ে দেখি আমায় নিয়ে মানুষের আবেগ-আশা-ভরসা কতখানি। মন কি বাতের অনুষ্ঠান শুনেই তাঁরা আমায় চিঠি দেন (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • NIA:  ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    NIA: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এনআইএ-র আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। হামলার ঘটনার জের থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু, এখনও পুলিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর যারা হামলা করেছিলেন, সেই হামলাকারীদের কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে, এনআইএ (NIA) আধিকারিক কতটা জখম হয়েছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল পুলিশ।

    পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (NIA)

    এমনিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে লোকসভার মুখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জলপাইগুড়ির সভায় এসে এই হামলার জন্য তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার তুলনা করে দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এনআইএ কেন গ্রামে তদন্ত করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবে, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা যখন এনআইএ-র (NIA) গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, হামলাকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। সেখানে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে গেরুয়া শিবিরের কর্তারা মনে করছেন। তাই, স্বাস্থ্য রিপোর্ট চেয়ে আদৌ হামলা হয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সন্দেশখালির পর তিন মাসের মধ্যে প্রায় একই ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগরে। এনআইএ (NIA) তাদের বিবৃতিতে দাবি করে, শনিবার অভিযানে গিয়ে তাদের এক আধিকারিক অল্প আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ,অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য যাতে থানায় যেতে তাঁরা না পারেন, তাই ওই হামলা হয়। এ নিয়ে এনআইএ একটি এফআইআর দায়ের করে ভূপতিনগর থানায়। শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ওই থানায় ফোন আসে। পুলিশ জানায়, তারা তদন্ত শুরু করেছে। এ নিয়ে এনআইএর তরফে কী প্রতিক্রিয়া এসেছে, তা জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “তদন্তের নিয়ম অনুসরণ করেই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।”

    বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে এনআইএ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে একাধিক বার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বার বারই হাজিরা তাঁরা এড়িয়ে যান। তার পরই শনিবার অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মোদিকে দেখতে জনজোয়ার, মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো

    Narendra Modi: মোদিকে দেখতে জনজোয়ার, মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসলেন, দেখলেন, সকলের মন জয় করলেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ময়নাতলিতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ছিল। তাঁর জনসভাকে কেন্দ্র করে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল ময়নাতলির মাঠ। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য সকাল থেকেই অপেক্ষা ছিলেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো (Narendra Modi)

    সভায় উপস্থিত মানুষের মধ্যে একটা বিরাট অংশ দখল করেছিলেন মহিলারা। কেউ মোদির (Narendra Modi) ছবি নিয়ে, তো কেউ আবার দলীয় প্রতীক নিয়ে এসেছিলেন। শুধু তাঁকে একবার দেখার জন্য তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষ এদিন সকাল থেকেই সভাস্থলে ভিড় জমাতে থাকেন। বেলা যত বেড়েছে, ভিড় তত বেডেছে। একটা সময় সাধারণ মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। বেলা তিনটে নাগাদ নরেন্দ্র মোদি সভাস্থলে এসে পোঁছান। আর তিনি সভা মঞ্চে পৌঁছতেই সভায় উপস্থিত সকলেই “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি এবং “মোদিজি জিন্দাবাদ” ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। মোদিও তাঁদের সকলকে প্রনাম জানিয়েছেন। প্রায় দুলক্ষ মানুষের ভিড়ে ঠাসা সভাস্থলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই তিনি বার্ণিশের ঝড়ে মৃত পরিবারগুলির প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান। এরপর তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বেশ কিছু দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। প্রথমেই সন্দেশখালির ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ধরনের জঘন্য কাজ যারা ঘটিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মোদির ভাষণ শুনতে জাতীয় সড়কে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েন

    প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) সামনে থেকে দেখার জন্য বক্তব্যের মাঝেই মাঠের বেরিকেড ভেঙ্গে প্রচুর মানুষ সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। তাদের সামলাতে পুলিশকে বেশ নাকাল হতে হয়। মানুষের উচ্ছ্বাস এমন জায়গায় পৌঁছায় যে পুলিশ তাদের ঢোকার বিষয়টিতে হাল ছেড়ে দেয়। কাতারে কাতারে মানুষ সভাস্থলে প্রবেশ করে যা সামলানো পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়নি। একদিকে সভাস্থল অন্যদিকে সভাস্থলের পাশে জাতীয় সড়কে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েন মোদির ভাষণ শোনার জন্য। প্রায় আধ ঘণ্টা মোদি তাঁর বক্তব্য রাখেন। তার বক্তৃতা চলাকালীন  কিছু প্রশ্ন তিনি সভায় আসা মানুষদের দিকে ছুড়ে দেন। যেমন সন্দেশখালির অপরাধীদের শাস্তি হওয়া উচিৎ কিনা? তার প্রত্যুত্তরে সভায় উপস্থিত মহিলারা বলেন দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিৎ। দলের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জেতানোর আহ্বান জানালে সভায় উপস্থিত দলের নেতা কর্মী সকলে সমস্বরে সম্মতি জানান তাঁরা। প্রায় আধঘন্টা বক্তব্য জুড়েই ছিল রাজ্য সরকারের অসহযোগীতার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: নির্বাচনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন জানালেন মোদি

    Narendra Modi: নির্বাচনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:“এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার।” রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির জনসভা থেকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন মোদি। সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে মিনি টর্নেডো হয়ে গিয়েছে। একাধিক প্রাণহানির খবর এসেছে। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মোদি। তিনি বলেন, ‘ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাঁরা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’

    প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন (Narendra Modi)

    এদিন দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরি টাকা পৌঁচ্ছে দিতে চাই। আর তৃণমূল বলছে, ওদের কাছে টাকা দিতে হবে। ওরা টাকা লুট করবে। আমরা এটা তো মেনে নেব না। এই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করেছে। রেশনে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আমি পরামর্শ নিচ্ছি, কী ভাবে ওই টাকা বঞ্চিতদের ফেরত দেওয়া যায়। শিক্ষকের চাকরির জন্য গরিব মানুষেরা টাকা দিয়েছেন। আমি ওঁদের টাকা ফেরত দেব।” এরপর তিনি জনগনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া খুব জরুরি। প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করতে হবে। প্রতিটি বুথে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিন। কোনও ভয় পাবেন না।”

    আরও পড়ুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    চা শিল্প নিয়ে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    উত্তরবঙ্গে চা শিল্প নষ্ট হওয়ার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড়় করান প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে ছোট-বড় তৃণমূল নেতারা বাংলোয় থাকেন। আর চা শ্রমিকদের কোনও সুবিধা নেই। এই তৃণমূলের জমানায় একের পর এক চা কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপর তিনি বলেন,সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার বিশ্বাস জিতে, সবার উন্নয়ন করাই বিজেপির লক্ষ্য। এটাই তো বিকশিত ভারতের সংকল্প। এই সংকল্পের জন্য আজ প্রত্যেক ভারতীয় সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের জন্য আমার প্রতি মুহূর্ত দেশের জন্য সঁপে দিয়েছি। সেই জন্য আমি সর্বক্ষণ ২০৪৭ সালের কথা মাথায় রেখে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, বিজেপি সরকার জি-২০-র বৈঠকের জন্য উত্তরবঙ্গকে এই কারণেই বেছে নিয়েছিল, যাতে এই এলাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জায়গা পেয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এখানে চওড়া রাস্তা বানাচ্ছে, রেল যোগাযোগ উন্নত করছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্যও জোরকদমে কাজ চলছে। এই সব উদ্যোগের মধ্য দিয়েই নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share