Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Narendra Modi: “ছোট বয়সে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম”, জীবন-যুদ্ধের কাহিনি শোনালেন মোদি

    Narendra Modi: “ছোট বয়সে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম”, জীবন-যুদ্ধের কাহিনি শোনালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিয়ে থাকেন। কিন্তু বারাসতের সভায় নিজের পরিবার নিয়ে মুখ খুললেন, প্রকাশ করলেন আসল সত্য। সারা দেশের মানুষ তাঁর পরিবার, একথা তিনি এর আগেও একাধিকবার বলেছেন। তবে, কেন সারা দেশের ১৪০ কোটি মানুষ তাঁর পরিবার, বারাসতের সভা থেকে সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মোদি।

    গোটা দেশবাসী কেন মোদির পরিবার? (Narendra Modi)

    বারাসতের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, কিছু মানুষের মনে হয়, কোনও রাজনৈতিক নেতা আমাকে গালি দিয়েছে, তাই আপনাদের সবাইকে নিজের পরিবার বলছি। আসলে আজ সত্যিটা বলছি। আমি অনেক ছোট বয়সে ঘর থেকে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। পরিবার ছেড়ে দেশের কোণায় কোণায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। কিছু খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। আমার পকেটে কখনও এক পয়সাও ছিল না। অনেক জায়গার ভাষাও আমি জানতাম না। কিন্তু, আপনার জেনে গর্ব হবে, আমার পকেটে পয়সা ছিল না, না কোনও মাথার ওপর ছাদ ছিল। শুধু আমার কাঁধে ঝোলা ছিল। কোনও না কোনও মা-বাবা, কোনও বোন, আমাকে প্রশ্নটা করেই ফেলত, ‘বাবা তুমি কি কিছু খেয়েছো?’ আমি আজ বলছি, সালের পর সাল আমি পরিবার ছেড়ে ছিলাম। আমার পকেটে পয়সাও ছিল না। কিন্তু আমি এক দিনও খালি পেটে থাকিনি। সেই সময় আমার কোনও পরিচয় ছিল না। কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরতে থাকা এক যুবক ছিলাম আমি। সেই সময় দেশের অনেক গরিব পরিবারও আমার চিন্তা করেছে। আর তাই আজ আমি দেশের গরিব, মা-বোনেদের জন্য কাজ করছি। কারণ, আমি সেই ঋণ শোধ করছি। তাই আমি বলি, এটাই আমার পরিবার। ১৪৪ কোটি দেশবাসী আমার পরিবার।

    ‘আমার জন্য বাংলার মা-বোনেরা দুর্গার মতো উঠে দাঁড়ায়’

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, ‘আমার জন্য বাংলার মা-বোনেরা দুর্গার মতো উঠে দাঁড়ায়। আজকে দেশের সব পরিবার নিজেদের মোদির পরিবার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। আজকে দেশের সব গরিব বলছে, আমরা মোদির পরিবার।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বিয়েবাড়িতে যোগদান করে মোদির প্রশংসা লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার

    Cooch Behar: বিয়েবাড়িতে যোগদান করে মোদির প্রশংসা লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে (Cooch Behar) বিয়েবাড়িতে এসে মোদির প্রশংসা করলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। এই জেলার গোপালপুরের ইকরচালা গ্রামের বাসিন্দা দীনবন্ধু প্রায় পনেরো বছর ধরে ওম বিড়লার পার্সোনাল অ্যাটেন্ড্যান্ট হিসাবে কাজ করছেন। তাঁর আমন্ত্রণে লোকসভার অধ্যক্ষ এদিন বিয়েবাড়িতে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার বিজেপির কর্মীরা সাক্ষাৎ করেন তাঁর সঙ্গে। 

    বিয়েবাড়িতে লোকসভার অধ্যক্ষ (Cooch Behar)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভার অধ্যক্ষের পার্সোনাল অ্যাটেন্ড্যান্ট হিসাবে কাজ করেন দীনবন্ধু বর্মণ। তাঁরই নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আসেন ওম বিড়লা। এই কোচবিহারের বিয়ে বাড়িতে যোগদান করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাজের ব্যাপক প্রশংসা করেন তিনি। তিনি জোরালো ভাবে বলেন, “দেশে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

    ঠিক কী বললেন ওম বিড়লা? (Om Birla)

    এদিন কোচবিহারের বিয়েবাড়িতে গিয়ে ওম বিড়লা বলেন, “গত দশ বছরে আর্থিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। দেশের মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং ভরসা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের প্রান্তিক এলাকার মানুষের জীবনের মান বদলে অনেক সক্রিয় হয়েছে সরকার। গরিব এবং বঞ্চিত মানুষের জন্য সরকারের বহু নীতি, যোজনা এবং পরিকল্পনাকে ব্যাপক ভাবে বাস্তবায়নের কাজ করতে সার্থক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। আজ দেশে তীব্র গতিতে বেড়ে চলছে অর্থ ব্যবস্থার গতি-প্রকৃতি, ফলে সামাজিক এবং আর্থিক পরিসরে নতুন ভারত নির্মাণের লক্ষ্যে ভারত উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে বিকশিত ভারতের যাত্রা সুদূর প্রসারী হবে।”

    দীনবন্ধুর পরিবারের বক্তব্য (Cooch Behar)

    কোচবিহারে (Cooch Behar) দীনবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা বলেন, “দীনবন্ধুর বাবা এবং মা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন জয়পুরে। সেই সময় ওম বিড়লার কাছে কাজের সুযোগ রয়েছে জানতে পেরে ছেলেকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান। এরপর থেকে দীনবন্ধু ওম বিড়লার বাড়িতে কাজ শুরু করেন। স্পিকার যেখানে যেখানে যান, সেখানে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে থাকেন দীনবন্ধু।” এদিন বিয়েবাড়িতে অধ্যক্ষের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি ঘণ্টা খানেক উপস্থিত থাকেন, তারপর বেরিয়ে যান। এদিকে তাঁকে দেখার জন্য গ্রামের মানুষ ভিড় করেন। জেলার বিজেপির নেতৃত্বরা পৌঁছালে, তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন স্পিকার।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে’, বারাসতে বললেন মোদি

    Narendra Modi: ‘সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে’, বারাসতে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-বোনেদের সঙ্গে অত্যাচার করে তৃণমূল ঘোর পাপ করেছে। সন্দেশখালিতে যা যা হয়েছে, তাতে যে কারোর মাথা লজ্জায় ডুবে যাবে। সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে। বারাসতের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি বলেন, আপনাদের দুঃখে তৃণমূলের সরকারের কিছু যায় আসে না। বাংলার তৃণমূল সরকার দোষীদের বাঁচাতে পুরো শক্তি লাগিয়েছে। কিন্তু, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য।

    সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে সন্দেশখালির ঝড় (Narendra Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরিব, দলিত আদিবাসী মহিলাদের তৃণমূলের নেতারা জায়গায় জায়গায় অত্যাচার করছে। কিন্ত, তৃণমূল সরকারের ভরসা রয়েছে অত্যাচারী নেতার ওপর, বাংলার মা-বোনেদের ওপর এই সরকারের কোনও ভরসা নেই। এই কারণেই বাংলার মেয়েরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। মহিলাদের সেই আক্রোশ শুধু সন্দেশখালি পর্যন্তই সীমিত নেই, সারা বাংলাতেই সন্দেশখালির ঝড় আছড়ে পড়বে। আমি দেখছি তৃণমূলের মাফিয়ারাজ ধ্বংস করতে বাংলার নারীশক্তি জেগে উঠবে। তুষ্টিকরণ আর তোলাবাজদের জন্য রয়েছে তৃণমূল সরকার। এই সরকার মা-বোনেদের রক্ষা করবে না। সন্দেশখালির মহিলারাই দেখিয়েছেন, তাঁদের আওয়াজ শুনবে কেবল বিজেপি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে সন্দেশখালির মানুষ বারাসতের সভায় এসেছিলেন। সন্দেশখালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কড়া বক্তব্য শুনে তাঁরা খুশি। সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের হয়ে মোদি তৃণমূলকে আক্রমণ করায় বেজায় খুশি হয়েছেন নির্যাতিতারা।

    মহিলাদের জন্য হেল্পলাইন রাজ্যে চালু হতে দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, তোলাবাজদের হয়ে কাজ করা তৃণমূল সরকার মেয়েদের কথা শুনবে না। কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ষণের মতো অভিযোগের জন্য ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করেছে। মহিলারা যাতে অভিযোগ জানাতে পারে, তাই মহিলা হেল্পলাইন বানিয়েছে। কিন্তু এখানে এই সুবিধা লাগু হতে দিচ্ছে না। তৃণমূল সরকার মহিলা বিরোধী। মহিলাদের ভালো করতে পারে না এই সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat PM Modi Meeting: বারাসতে মোদির জনসভায় বিজেপি কর্মীদের জন্য থাকছে নিরামিষ থালি

    Barasat PM Modi Meeting: বারাসতে মোদির জনসভায় বিজেপি কর্মীদের জন্য থাকছে নিরামিষ থালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভায় ডিম ভাত নয়, থাকছে নিরামিষ থালি। বিজেপি কর্মীদের বারাসতের (Barasat) সভায় থাকছে এই খাবারের মেনু। আজ সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাকে ঘিরে জেলার নানা প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মীদের আসার ঢল নেমেছে। সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মোদি তোপ দাগবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    তালিকায় থাকছে ডাল, ভাত ও সবজি (Barasat)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজকের প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) জনসভায় কর্মীদের জন্য থাকবে নিরামিষ থালি। মধ্যাহ্ন ভোজনের তালিকায় থাকছে ডাল, ভাত এবং সবজি। রাজ্যে যেকোনও বড় রাজনৈতিক জনসভায় নানা খাবারের তালিকা লক্ষ্য করা যায়। তৃণমূলের রাজনৈতিক সভা মানেই ডিম ভাত, আবার বামেদের সভায় থাকে রুটি আলুর দম। এই ক্ষেত্রে বিজেপির তালিকা একটু অন্যরকম।

    লোকসভার আগেই ভোটের প্রস্তুতি

    এদিকে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ইতিমধ্যে একাধিক সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা, শিলান্যাস এবং বড় বড় জনসভা করছেন। এই রাজ্যে গত ১ এবং ২ মার্চ আরামবাগ-কৃষ্ণনগরে রাজনৈতিক সভা করেছিলেন তিনি। তিনি ঘোষণা করেছেন রাজ্যের জন্য একাধিক বড় প্রকল্প। আবার আজ বুধবার ইষ্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে এসপ্লেনেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো রেলের সূচনা করেছেন। ইতিমধ্যে রাজ্যের ২০ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বিজেপির। প্রার্থীরা নিজের নিজের কেন্দ্রে দেওয়াল লিখন, মন্দিরে পুজো দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।

    কাছারি ময়দান সংলগ্ন এলাকায় খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা (Barasat)

    মোদির (Narendra Modi) সভাকে ঘিরে বারাসতের (Barasat) সভায় প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। দলের তরফ থেকে আগত কর্মী-সমর্থকদের জন্য খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাছারি ময়দান সংলগ্ন এলাকায় সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সভাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যানজটের সম্ভাবনাও তৈরী হয়েছে। দলের তরফ থেকে গতকাল দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বারাসতে গিয়েছিলেন সভাস্থল পরিদর্শন করতে। সেখানে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে যে দেশের রাজনীতিতে মোদিই একমাত্র ভরসা। আগামী দিনে মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে মোদির গ্যারান্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সারা দেশে মোদিই একমাত্র বিকল্প।       

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে বাধা! সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সমন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে বাধা! সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সমন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতের কাছারি ময়দানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাঁচ নির্যাতিতাকে সাক্ষাৎ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে বঙ্গ বিজেপির। সেই সভায় যাওয়া থেকে নির্যাতিতাদের আটকাতে আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছিল। এবার একই অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ, যাঁদের মোদির সভায় যাওয়ার কথা, বেছে বেছে সেই মহিলাদের সমন পাঠিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ (Sandeshkhali)

    তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন মহিলারা। তৃণমূল নেতাদের তাড়া করেছিলেন। বেছে বেছে আন্দোলনকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করলে মহিলারা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি দায়ের হওয়া একটি মামলায় বয়ান রেকর্ডের জন্যই এই সমন। এর জন্য ৬ মার্চ, বুধবার সকাল ১০টায় তাঁদের থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। ঘটনাচক্রে ওইদিন ঠিক ওই সময়ই বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। ফলে মোদির সভায় যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও নির্যাতিতারা জানিয়েছেন, যত বাধাই আসুক, প্রধানমন্ত্রীর সভায় তাঁরা যাবেনই। পাশাপাশি এই নোটিস জারি করার পরই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা।

    পুলিশের সমন নিয়ে কী বললেন নির্যাতিতা?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারাসতের সভায় যাওয়ার কথা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সন্দেশখালির এক মহিলার কাছে পুলিশ আসে। তাঁর বক্তব্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে আচমকাই হাজির হয় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার পুলিশ। আমাকে একটি কাগজ দিয়ে তাতে সই করে দিতে বলে পুলিশ। কাগজে কী লেখা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করি। কিন্তু, তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, কাগজে কী লেখা আছে, তা পড়ার সময়টুকুও দেওয়া হয়নি। একপ্রকার জোর করে কাগজে সই করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে, আইনজীবীকে বিষয়টি জানাই। তাঁর মাধ্যমে জানতে পারি, ১০ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা বয়ান রেকর্ডের জন্যই পুলিশের এই সমন। এসব বাধা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমরা যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বারাসত কাছারি ময়দানে মোদির সভাস্থলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: বারাসত কাছারি ময়দানে মোদির সভাস্থলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসাতে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পৌঁছে গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আজ বিকেলে রাজ্যে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাত্রি বাস করবেন রাজভবনে। আগামীকাল কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত রোড শো করবেন তিনি। এরপর কাছারি ময়দানে জনসভা করবেন। এই সভার প্রস্তুতিকে ঘিরে বিজেপির ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। একাধিক বিষয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি।

    কী বলেলেন অভিষেক সম্পর্কে (Sukanta Majumdar)?

    বারাসতে পৌঁছে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “প্রত্যেকবার আমেরিকা বা ইউরোপে যেতে গেলে দুবাই হয়ে কেন যান? সন্দেহ তৈরি হয়েছে। দুবাই কানেকশন কেন বার বার আসে? টাকা রাখতে গেলে দুবাই, বান্ধবী রাখতে গেলে রাশিয়ান বান্ধবী। বাংলা-ভারতের কথা কেন আসেনা? এক একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী ভারতীয়। তৃণমূলের মধ্যে এখন শ্যাম এবং অর্জুন নিয়ে বিবাদ চলছে। ওরিজিনাল শ্যাম বা কৃষ্ণ বিজেপিতে আছে, তাই সকলকে বিজেপিকে বেছে নিতে হবে।”

    কটাক্ষ মমতার গ্যারান্টিকে

    মমতাকে আক্রমণ করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “মোদি, রাজনীতিতে এমন একটি নাম, যাঁকে সকলে অনুসরণ করেন। তাঁর দেখানো গ্যারান্টির কথাই বলছেন মমতা। গত ১৩ বছরে মমতার গ্যারান্টি হল দুর্নীতির গ্যারান্টি। বাংলায় এতো দুর্নীতি এবং চুরি হয়েছে যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সক্রিয় হবেই। নির্বাচনের সময়ে সক্রিয় অবশ্যই হবে, কারণ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। দুর্নীতিগ্রস্থ লোকদের গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। প্রাক্তন সংসদ মহুয়াকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকে ঠিক করেছে। সাংসদ পদ গেলেও এলাকায় নীল বাতির গাড়ি করে ঘুরছেন। মমতাকে উপদেশ দিচ্ছেন, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোটে জয়ী হতে হবে। এই কথার ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশিত হবে। তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘কেউ বারণ করলেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব’, বললেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    Sandeshkhali: ‘কেউ বারণ করলেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব’, বললেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বারাসতে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সভায় রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে মহিলারা অংশগ্রহণ করবেন। আর ভার্চুয়ালি দেশের কোটি কোটি মহিলাদের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। বারাসত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। প্রধানমন্ত্রীর সভায় নির্যাতিতারা যাবেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কথা জানাবেন বলে ঠিক করেছেন।

    কী বললেন নির্যাতিতা? (Sandeshkhali)

    প্রায় দু’মাস ধরে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) উত্তপ্ত ছিল। জমি দখল, বাড়ি ভাঙচুর, মহিলাদের ধর্ষণ, শ্লীলতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ঝাঁটা হাতে পথে নেমেছিলেন গ্রামের মেয়েরা। কখনও রাজ্যপালের কাছে, কখনও মহিলা কমিশন বা এসসি-এসটি কমিশনের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। আগামী ৬ মার্চ বুধবার বারাসতে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্দেশখালির পাঁচজন নির্যাতিতাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারাসতের সভায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই পরিকল্পনা বানচাল করতে চাইছে তৃণমূল। যদিও সে কথা উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সন্দেশখালির এক নির্যাতিতা বলেন, “এতদিন মুখ বুঝে অত্যাচার সহ্য করেছি। থানায় গিয়েছি, আমাদের অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের জেলায় প্রধানমন্ত্রী আসছেন। সেই সুযোগ হাতছাড়া করব না।” আরও এক নির্যাতিতা জানালেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব। কেউ বারণ করলেও যাব। এমনকী আমাদের কাছে চাপ এলেও যাব। এত বছর ধরে আমাদের মতো মহিলাদের সঙ্গে কী কী হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীকে বলব।”

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত ১১ কিমি রোড শো করবেন মোদি

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি যদি চাপ দেয়, তাহলে তাঁরা যাবেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা কোনও ভয় দেখাইনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মোদির বারাসতের সভাকে জাতীয় কর্মসূচি বানানোর লক্ষ্য বিজেপি-র, হল ভূমি পুজো

    Narendra Modi: মোদির বারাসতের সভাকে জাতীয় কর্মসূচি বানানোর লক্ষ্য বিজেপি-র, হল ভূমি পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী আগামী ৬ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বারাসতের কাছারি ময়দানে সভা করবেন তিনি। সেই সভার মঞ্চ তৈরির আগেই সোমবারব ভূমি পুজোর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মঙ্গল কামনা করে শুরু হল প্রস্তুতিপর্ব।

    প্রস্তুতি বৈঠক করা হয় (Narendra Modi)

    সভাস্থলে বোম্ব স্কোয়াড ও পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। বারাসত থানার পক্ষ থেকে গোটা কাছারি মাঠটিকে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দু-দিনের বঙ্গ সফর করেছেন নরেন্দ্র মোদি। ১ তারিখ আরামবাগ ও ২ তারিখ কৃষ্ণনগরে সভা করেন তিনি। ৬ মার্চ বুধবার বারাসতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তার প্রস্তুতি বৈঠকে মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা, রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ‍্য মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনি পাত্র সহ একাধিক মহিলা সংগঠকরা ছিলেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভার আগে বারাসত কাছারি ময়দানে খতিয়ে দেখেন রাজ্য নেতৃত্ব। মহিলাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে যে সব প্রকল্প রয়েছে  সেই বিষয়ে সভায় আলোচনা হবে বলে জানালেন  মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা। সাংবাদিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের কয়েক কোটি মহিলাদের বিশেষ আর্থিক সুবিধার কথা জানাবেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের।

     প্রধানমন্ত্রী এসে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা (Narendra Modi)

    বারাসতের পাশের লোকসভা বসিরহাট। বসিরহাট কেন্দ্রের মধ্যেই রয়েছে সন্দেশখালি। এই সন্দেশখালির মাটিতে শাহজাহান বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছিল। সুন্দরী মহিলাদের পার্টি অফিসে ডেকে নির্যাতন চালানো হত। বুধবারে প্রধানমন্ত্রী বারাসতে সভা করতে এসে সন্দেশখালি নির্যাতিতা মহিলাদের জন্য কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন। নির্যাতিতাদের অনেকে সভায় আসতে পারেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ১০ বছরে রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশে মহিলাদের যে উন্নয়ন হয়েছে। সেই বিষয় তুলে ধরা হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে মহিলারা এই সমাবেশে যোগ দেবেন। ভার্চুয়ালি সারা দেশের মহিলারা যুক্ত হবেন এই সভায়। তাই, মহিলাদের জন্য মোদি কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা বলেন, গত ১০ বছরে মোদিজীর নেতৃত্বে মহিলাদের জন্য যা কাজ করা হয়েছে, এর আগে কোনওদিন হয়নি। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, ‘লাখপতি দিদি’-মতো অভিনব প্রকল্প রয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক। এই রাজ্যের মহিলাদের কাছে আবেদন এই সভায় সকলেই আসার অনুরোধ রইল। ভার্চুয়ালি কোটি কোটি মহিলা এই সভায় যোগ দেবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও দূরপাল্লার ট্রেন চালু হল

    Siliguri: শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও দূরপাল্লার ট্রেন চালু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী চালু হল ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সে যোগবাণী থেকে শিলিগুড়ি (Siliguri) টাউন এক্সপ্রেস চালু করেন। সোমবার থেকে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন পর্যন্ত এই ট্রেনটির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হল যোগবাণী থেকে। সপ্তাহে পাঁচদিন সোম, মঙ্গল বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার করে চলবে এই ট্রেন। যোগবাণী থেকে সকাল ৫:৪০ মিনিটে ছেড়ে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে পৌঁছবে দুপুর দেড়টায়। ওইদিনই শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে বিকেল ৪ :৫০ মিনিটের ছেড়ে যোগবাণীতে পৌছবে রাত্রি ১২ টা ১৫ মিনিটে। 

    স্বামী বিবেকানন্দ, বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন (Siliguri)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) তথা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগের দার্জিলিং মেল স্বাধীনতার আগে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে চলত। ১৮৮১ থেকে দার্জিলিং মেল চালু হয়। তখন থেকেই দেশ বিদেশের স্বনামধন্য অনেক মানুষ এই শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে এসেছেন। ওয়েটিং রুমে কিছু সময় কাটিয়ে টয়ট্রেনে চেপেছেন। কে নেই সেই তালিকায় কোচবিহারের মহারাজা থেকে শুরু করে নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  এই স্টেশনে অনেকবার এসেছেন বিশ্বকবি। আমেরিকার বিশ্ব বরেণ্য সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন, স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, বাঘাযতীন এই স্টেশন দিয়েই দার্জিলিং ও কার্শিয়াঙে গিয়েছেন। গান্ধীজীও এসেছেন। এই তালিকা আরও দীর্ঘ।

    অবহেলায় ছিল টাউন স্টেশন!

    অনেক বরেণ্য ব্যক্তির স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই স্টেশনের সঙ্গে। কিন্তু, দীর্ঘ উপেক্ষা ও অবহেলায় সেই কৌলিন্য হারিয়ে টাউন স্টেশন চত্বর দুষ্কৃতী ও নেশাখোরদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে। শহরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভ্রমণ লেখক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, যে স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাতে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনের এই ভগ্নদশা দু:খজনক। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েও টাউন স্টেশনকে হেরিটেজ ও সংরক্ষণ করতে পারেননি। যোগবাণী- শিলিগুড়ি (Siliguri) টাউন স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালু হওয়ায় আমরা আলো দেখতে পাচ্ছি। এবার হয়ত এই ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্টেশন তার কৌলিন্য ফিরে পাবে।

    কী বলছে বিজেপি?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন জবর দখলে ধুঁকছে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা এই স্টেশনের কথা ভাবেননি। বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ ও পরিষেবার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে রেল মন্ত্রক শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনকে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এই স্টেশনটি মহিলা পরিচালিত হয়েছে ২০১৯ সালে। এবার দূরপাল্লার ট্রেন চলবে এখান থেকে। আগামীতে আরও উন্নতি হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য আমেথি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য তিনি ভোটে দাঁড়ান একদা কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত আমেথি কেন্দ্র (Loksabha Vote) থেকে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সেবার জোর টক্কর দেন তিনি। হারেন অল্প ব্যবধানে। ২০১৯ সালে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পরাস্ত হন স্মৃতি ইরানির কাছে, আমেথি কেন্দ্র থেকে। প্রসঙ্গত, আমেথিতে নিজের জন্য একটি বাড়িও তৈরি করেছেন স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি সেই বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন স্মৃতি।

    একদা কংগ্রেসের গড় আমেথির পতন

    জানা যায়, ১৯৬৭ সালে আমেথি লোকসভা কেন্দ্র তৈরি হয়। পরবর্তীকালে যা হয়ে ওঠে গান্ধী নেহেরু পরিবারের ঘাঁটি। ইন্দিরাপুত্র সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী প্রত্যেকেই আমেথি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু ২০১৯ সালেই সেই গড় মোদি ঝড়ে কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হন রাহুল গান্ধী।  রাহুল গান্ধী প্রথমবার জন্য আমেথিতে আত্মপ্রকাশ (Loksabha Vote) করেন ২০০৪ সালে। এবং সে বছর ভালো ব্যবধানে জেতেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রথম বারের জন্য তাঁর জয়ের মার্জিন অনেকটাই কমে যায়। পরাস্ত হন ২০১৯ সালে। তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় (Loksabha Vote) ফেরা সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে দেশজুড়ে বইছে গেরুয়া ঝড়। এক্ষেত্রে আমেথি কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    শনিবার বিজেপি প্রকাশ করে ১৯৫ প্রার্থীর নাম

    বিজেপি শনিবার যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ঠাঁই হয়েছে ৩৪জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। প্রার্থী করা হয়েছে ৪৭ জন তরুণ তুর্কিকেও। এদিন গেরুয়া শিবিরের যে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২৮ জন মহিলাও রয়েছেন। এই ১৯৫ জন প্রার্থী ১৬টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share