Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Suvendu Adhikari: “রামাতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রামাতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রভু রামের জন্মস্থান দখল করতে ১ দিনে ১ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করেছে মোঘল সম্রাট বাবর। রামাতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”এমন ভাবেই কটাক্ষ করে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দী গ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে যোগদান করে রাজ্যের তৃণমূলনেত্রীকে তোপ দাগলেন।

    ঠিক কী বলেলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নিজের বিধানসভা ক্ষেত্র নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা দেখতে দেখতে চেয়েছিলেন এই রাজ্যের সনাতন ধর্মের ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে হিন্দুরা নিজের নিজের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সাক্ষী হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। আর তাই কেন্দ্রের মোদি সরকারের তরফ থেকে বেলা হয় ২টো ৩০ মিনিটের পর যেন অফিস বা দফতরে যান। উল্লেখ্য এই দিন তো ইতিহাসে বার বার আসবে না। ৩ লক্ষ রাম ভক্ত হিন্দু প্রাণ দিয়েছেন রাম মন্দিরের আন্দোলনে। একদিনে মুসলমান শাসক বাবর ১ লক্ষ হিন্দুকে কেটেছেন, রামের জন্মস্থান দখল করার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামাতঙ্করোগে ভুগছেন। তাই তিনি ছুটি না দিয়ে বাংলার হিন্দুদের মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকতে দেননি। সবটাই চক্রান্ত।”

    নেতাজি সম্পর্কে কী বললেন?

    মমতা বারবার অভিযোগ করেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে কেন্দ্র সরকার ভুলে গিয়েছে। আর এই কথাকে লক্ষ্য করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নেতাজিকে সব থেকে বেশি সম্মান যদি কেউ করে থাকেন তাহলে করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লির প্রাণ কেন্দ্র ইন্ডিয়া গেটের কাছে কর্তব্য পথে বসানো হয়েছে নেতাজির মূর্তি। একই ভাবে কংগ্রেস সরকার যা করেনি বিজেপি সরকার নেতাজির সম্পর্কে ভারত সরকারের গোপন তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে।”

    সংহতি যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে পালটা মমতার সংহতি যাত্রার পার্কসার্কাসের ভাষণকে সমালোচনা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গতকাল মমতা হিন্দুদের কাফের বলেছেন, মুসলমানরা সহ্য করছেন কীভাবে? বলছেন আল্লহর কসম! আল্লাহকে রাস্তায় নামিয়ে এনেছেন। উনি সব পারেন। নন্দী গ্রামের মানুষ চিনেছে। কলকাতার মানুষ এবার ভালো করে চিনুক।” তিনি মমতাকে চোর সম্বোধন করে আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারকে চোর বানিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। এখন শুধু জেলে যাওয়া টাই বাকি। চোর মমতাকে আমরা জেলে দেখতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram temple: অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে মুসলিম সদ্যোজাতের নাম রাখা হল ‘রাম রহিম’ 

    Ram temple: অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে মুসলিম সদ্যোজাতের নাম রাখা হল ‘রাম রহিম’ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram temple) উদ্বোধনের দিনে জন্ম নেওয়া নিজের সদ্যোজাত সন্তানের নাম ‘রাম রহিম’ রাখলেন উত্তরপ্রদেশের এক মুসলিম মহিলা। ২২ জানুয়রি দিনটি ছিল এক ঐতিহাসিক ‘শুভ মুহূর্ত’। প্রায় ৫০০ বছরের আন্দোলন-সংঘর্ষের পর রাম জন্মভূমিতে পুনর্নির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল। এই মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করতে এমন এক পবিত্র দিনকেই বেছে নিয়েছিলেন অনেক মা। তাঁদেরই একজন ফিরোজাবাদের ফারজানা।

    ফিরোজাবাদের ডাক্তারের বক্তব্য(Ram temple)

    মন্দিরে (Ram temple) রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের দিনেই সোমবার ফিরোজাবাদে ফারজানা নামে এক মুসলিম মহিলা হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের বার্তা দিতে তাঁর সন্তানের নামের সঙ্গে প্রভু রামের নাম জুড়ে দিলেন। জেলা মহিলা হাসপাতালের ইনচার্জ ডাঃ নবীন জৈন জানান, “সোমবার ফারজানা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এখন মা এবং সন্তান উভয়েই ভালো রয়েছেন। এই সন্তানের ঠাকুরমা হোসনা বানু জানান, “মায়ের ইচ্ছায় সদ্যোজাতের নাম রাখা হয়েছে রাম রহিম। এই নামের মধ্যে রয়েছে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের প্রতীক।”

    কানপুরে ২৫ শিশুর জন্ম

    রামলালার (Ram temple) অভিষেকের দিন কানপুরেও জন্ম নেওয়া শিশুদের ঘিরে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। কানপুরের গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সীমা দ্বিবেদী জানিয়েছেন, “গতকাল প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার ‘শুভ মুহূর্তে’ এই হাসপাতালে মোট ২৫টি শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে ২৫টি শিশুর মধ্যে ১০টি মেয়ে এবং বাকিরা ছেলে। এখন সকলেই সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছে।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ভারতী মিশ্র নামে যিনি একটি ছেলের জন্ম দিয়েছেন, তার নাম রাখা হয়েছে রাম। তাঁদের বিশ্বাস এই দিনে জন্মের ফলে নবজাতক শিশুর ব্যক্তিত্বের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মায়েরা তাঁদের সদ্যজাত সন্তানদের নাম রেখেছেন প্রভু রামের নামানুসারে। তাদের নামকরণ হয়েছে নাম রাঘব, রাঘবেন্দ্র, রঘু ইত্যাদি। একই ভাবে মেয়ে সদ্যজাতদের নাম রাখা হয়েছে জানকী বা সীতা।

    ভাদোহিতে ৩৩ শিশুর জন্ম

    অনেক মা নিজেদের সন্তান প্রসবের জন্য রামলালার (Ram temple) প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনকেই বেছে নিয়ে ডাক্তারদের অনুরোধ করেছিলেন। ডাঃ বন্দনা সাক্সেনা নামক এক নার্সিংহোমের মালিক বলেছেন, “অযোধ্যায় ভগবান শ্রীরামের অভিষেকের দিনে আমার নার্সিং হোমের ডেলিভারি রুম এবং নবজাতক শিশুর ঘরটিকে গেরুয়া রঙে সাজিয়ে ছিলাম। প্রভু রামের আশীর্বাদ আমাদের কাম্য ছিল।” পাশাপাশি ভাদোহিতে মোট মন্দির উদ্বোধনের দিনে ৩৩টি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে হাসপাতালে। ভাদোহির চিফ মেডিক্যাল অফিসার সন্তোষ কুমার চাক বলেছেন, “এই মায়েদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে ২২ জানুয়ারী অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই তাঁদের সন্তানের জন্ম দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাম-লক্ষ্মণ-সীতা-হনুমানের মূর্তি নির্মাণ করে পুজো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সনাতনী সমাজের

    Murshidabad: রাম-লক্ষ্মণ-সীতা-হনুমানের মূর্তি নির্মাণ করে পুজো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সনাতনী সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দিরের উদ্বোধন হল। এই উপলক্ষে বহরমপুরের গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে শ্রীরাম পুজোর আয়োজন করা হয় মহা সাড়ম্বরে। সোমবার সকালে এই পুজোকে কেন্দ্র করে হাজির হন সনাতনী সমাজের প্রত্যেক সদস্য, বহু ভক্ত এবং শহরের বহু সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে গঙ্গার জল আনতে যাওয়া হয় বহরমপুরের গোরাবাজার ঘাটে। আজকের দিনে বহরমপুরে (Murshidabad) গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে এই শ্রীরাম পুজোর আয়োজনে নেতৃত্ব দেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র কাঞ্চন।

    শ্রীরাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তিতে পুজো (Murshidabad)

    অযোধ্যায় আজ মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে মন্দিরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা ভারতবর্ষের সনাতনীরা এই দিনটির জন্যই অপেক্ষায় ছিল। আজ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যার সঙ্গে বাংলাও শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি নির্মাণ করে পুজোতে মেতেছে। বহরমপুর (Murshidabad) সায়দাবাদে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তি তৈরি করে পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে চলেছে আগত ভক্তদের মধ্যে লাড্ডু ও ভোগের প্রসাদ বিতরণ। পাশাপাশি চলে ভজন-কীর্তন। একই সঙ্গে আয়োজকদের উদ্যোগে ২০০ জন গরিব মানুষকে প্রদান করা হয় শীতবস্ত্র।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বহরমপুরের (Murshidabad) বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “রামায়ণে প্রভু রামের ১৪ বছর বনবাস হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সনাতনীদের কাছে ৫০০ বছর ধরে অজ্ঞতাবাসে রাখা হয়েছে রামলালাকে। আজ অযোধ্যায় যুগাবতার রামচন্দ্রের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই মন্দিরের জন্য অনেক রাম ভক্তদের রক্ত ঝরেছে। দেশে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু কেউ প্রভু রামের মন্দির নির্মাণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেনি। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একান্ত চেষ্টায় মন্দির নির্মাণ-উদ্বোধন হয়। আজ আমরা সকল হিন্দু সংগঠন হিসাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, সনাতনী সমাজের পক্ষ থেকে প্রভু রামের পুজো করছি। আজকের দিন আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের এবং গৌরবের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনেই সাত সকালে রাম মন্দিরে পুজো দিলেন সস্ত্রীক তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু

    Ram Temple: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনেই সাত সকালে রাম মন্দিরে পুজো দিলেন সস্ত্রীক তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে সাত সকালে কাঁথির রাম মন্দিরে পুজো দিলেন সস্ত্রীক তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আজ ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Temple) গর্ভগৃহে শ্রী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এদিন সকালে কাঁথির রাম মন্দিরের সামনে থেকে পুজোর উপাচার কিনে পুজো দিলেন এবং সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এভাবেই সারা দেশ আজ রাম নামে মেতে উঠেছে।

    সাংসদের স্ত্রী পুজো দিলেন (Ram Temple)

    প্রায় ৫০০ বছরের ঐতিহাসিক আন্দোলনের সময় অতিক্রম করে আজ সেই শুভ মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হয়। নিজের জন্মভূমিতে নির্মিত মন্দিরের (Ram Temple) গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক আজকের দিনেই সাত সকালে প্রবল শীতকে উপেক্ষা করে মন্দিরে গেলেন সাংসদ দিব্যন্দু অধিকারী এবং তাঁর স্ত্রী। আজকের শুভক্ষণে প্রভু রামকে পুজো করলেন তাঁর স্ত্রী। আর অপর দিকে সাংসদ মন্দিরের ঘণ্টা বাজিয়ে প্রভু রামের চরণে ভক্তি অর্পণ করলেন। পাশাপাশি একই ভাবে মন্দিরের শিবের মাথায় জল ঢেলে পুজো দিলেন। অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে বাংলার অলিগলি, গ্রামগঞ্জের মন্দিরগুলি অপূর্ব সাজে সজ্জিত হয়ে উঠেছে। অযোধ্যার সঙ্গে বাংলাও রাম নামে আজ মুখরিত।

    কী বললেন সাংসদ দিব্যেন্দু?      

    এদিন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “এখন সকালে পুজো দিয়ে গেলাম। আবার প্রাণ প্রতিষ্ঠার (Ram Temple) অনুষ্ঠান শুরু হলে পুজো দিতে আসব। সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করছি। বিশ্ববাসীর জীবন শান্তিময় এবং সুখকর হোক। আজ রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর ঐতিহাসিক দিনের সূচনা হবে। দেশের উন্নয়ন এবং কল্যাণে শ্রী রামচন্দ্রের আশীর্বাদ বর্ষিত হোক।” অপর দিকে আজ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেলে হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন। এই সংহতি মিছিল সম্পর্কে সাংসদে দিব্যন্দু আরও বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশে এই মিছিল হবে। সবার নিজের কাজ করার অধিকার রয়েছে। নির্দেশ মেনেই করতে হবে, তাই আমি স্বাগত জানাই।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ধ্বংসের উপর ভক্তির জয়, রাম মন্দিরের এক নির্মাণের ইতিহাস

    Ram Mandir: ধ্বংসের উপর ভক্তির জয়, রাম মন্দিরের এক নির্মাণের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বিক্রম সংবত ২০৮০, পৌষ মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বাদশী। আজ রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হোল। দেশজুড়ে এখন রাম নামের মাতোয়ারা। অযোধ্যা সেজে উঠেছে রামলালার আগমনে। দেশজুড়ে রাম ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস এখন তুঙ্গে। প্রায় ৫০০ বছরের দীর্ঘ আন্দোলনের পর রামলালা নিজভূমে (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা পেলেন। সম্পন্ন হোল অভিষেক প্রক্রিয়া। কিন্ত এই মন্দির নির্মাণের পথ এত সহজ ছিল না। আসুন জেনে নিই রাম মন্দির পুনর্নির্মাণের ইতিহাস।

    শ্রীরামের জন্ম এবং প্রাচীন মন্দির (Ayodhya Ram Mandir)

    অযোধ্যা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বৈবশ্বত মনু। তিনি ভগবান মৎস্যাবতারের আশীর্বাদ ও সাহায্যে মহাপ্রলয় থেকে পৃথিবীতে জীবন রক্ষা করেছিলেন। আনুমানিক ২১০০ বছর আগে অযোধ্যার শ্রী রাম জন্মভূমিতে সম্রাট বিক্রমাদিত্য নির্মাণ করেন ৮৪টি কালো টাচস্টোন স্তম্ভের উপর একটি সুবৃহৎ মন্দির (Ayodhya Ram Mandir)।

    মন্দিরে বহিরাগত আক্রমণ (Ayodhya Ram Mandir)

    প্রায় ৫০০ বছর আগে ১৫২৮ সালে মুসলিম আক্রমণকারী বাবরের সেনাপতি মীর বাকি শ্রীরামের হাজার হাজার বছরের পুরাতন মন্দিরকে (Ayodhya Ram Mandir) ধ্বংস করেছিলেন। মুসলমান আক্রমণকারীদের হাত থেকে মন্দিরকে বাঁচাতে ১৫ দিন ধরে শ্রী রামভক্তদের প্রথম যুদ্ধ সংগঠিত হয়। মন্দিরকে ধ্বংস করে একটি মসজিদের কাঠামো নির্মাণ করা হয়। ১৫২৮ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত রাম মন্দিরকে উদ্ধার করতে আনুমানিক ৭৬ বার রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এই মহান সংগ্রামে গুরু গোবিন্দ সিং, মহারানি রাজ কুনওয়ার এবং আরও অনেক মহান ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

    প্রথম এফআইআর

    ১৮৫৮ সালে মসজিদের এক মৌলবি মসজিদ ই জন্মস্থান বলে ফৈজাবাদ একটি এফআইআর দায়ের করেন। এরপর ১৮৮৫ সালে ফৈজাবাদ কোর্টে শ্রী রাম জন্মভূমি (Ayodhya Ram Mandir) মামলার প্রথম শুনানি শুরু হয়। ১৯১২ সালের নভেম্বর ২০, ২১ তারিখে গোহত্যার বিরুদ্ধে ঈদের সময় অযোধ্যায় প্রথম দাঙ্গা শুরু হয়। উল্লেখ্য, ১৯০৬ সাল থেকে পৌর আইনের অধীনে অযোধ্যায় গরু জবাই করা নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৩৪ সালের মার্চ মাসে ফৈজাবাদের শাহজাহানপুরে গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে হিন্দুরা প্রবল আন্দোলন করে। পরিণামে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষুব্ধ হিন্দুরা বিতর্কিত মসজিদের কাঠামোর দেয়ালে আক্রমণ করে। পালটা ইংরেজ সরকার সেই সময় বিতর্কিত মসজিদের কাঠামোর মেরামত করে দেয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর, ১৯৪৯ সালের মধ্যরাতে বিতর্কিত মসজিদ কাঠামোর মূল গম্বুজের নীচে রাম লালার জন্মস্থানে রাম লালা নিজেকে প্রকাশ করেন। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পন্ডিত গোবিন্দ বল্লভ পন্ত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেরালার শ্রী কে কে নায়ার ছিলেন ফৈজাবাদ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট। ১৯৫০ সালে রামের জন্মস্থানের মালিকানা দাবি করার জন্য ফৈজাবাদ আদালতে একটি মামলা শুরু হয়। এই মামলার অন্যতম নেতা ছিলন হিন্দু মহাসভার গোপাল সিং বিশারদ, দিগম্বর আখাড়ার মহন্ত এবং পরমহংস রামচন্দ্র দাস। ১৯৫৯ সালে নির্মোহি আখাড়া মসজিদের বিতর্কিত স্থানের উপর তাদের অধিকার দাবি করে আরো একটি পিটিশন দাখিল করে এবং সেই সঙ্গে তারা নিজেদেরকে রাম জন্মভূমির অভিভাবক বলে দাবি করে। ১৯৬১ সালে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড বিতর্কিত কাঠামোতে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে পালটা একটি পিটিশন দাখিল করে এবং দাবি করে যে এর চারপাশের জমি সহ কাঠামোটি একটি কবরস্থান ছিল। পুরো জমিটাই তাঁদের। ১৯৮৩ সালে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের একজন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শ্রী দাউ দয়াল খান্না, ওই বছরের মার্চ মাসে মুজাফফরনগরে অযোধ্যা পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করেন। নেহরুর মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রী গুলজারি লাল নন্দা, তিনিও ওই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ১৪৫ সিআরপিসির মাধ্যমে বিতর্কিত কাঠামোটির জন্য প্রিয়া দত্ত রামকে রিসিভার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ধর্মীয় আস্থা এবং বিশ্বাসের কথা মাথায় রেখে নামাজ পড়া বন্ধ করে এলাকাকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাম জন্মভূমির তালাবদ্ধ গেটের সামনে স্থানীয় মানুষ ও সাধুরা চালাতে থাকেন অখন্ড নাম সংকীর্তন।

    প্রথম ধর্মসভা এবং রাম শিলান্যাস

    ১৯৮৪ সালের এপ্রিল মাসে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি (Ayodhya Ram Mandir) পুনরুদ্ধার বিষয়ে নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্তৃক প্রথম ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে সারা দেশে গণজাগরণের জন্য সীতামারি থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রাম-জানকী রথযাত্রা শুরু হয়। রথযাত্রার প্রভাব এতটাই জোরাল ছিল যে হিন্দু সমাজের চাপে ফৈজাবাদ জেলা আদালত ১লা ফেব্রুয়ারী ১৯৮৬ তারিখে তালা খোলার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, সেই সময়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের বীর বাহাদুর সিং এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধি। ৯ নভেম্বর ১৯৮৯ সালে, তৎকালীন সরকারের যথাযথ অনুমতি নিয়ে বিহারের একজন তপশীলি সামজের মানুষ কামেশ্বর চৌপাল মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সমগ্র ভারত ও বিদেশ থেকে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার ইট (শ্রীরাম শিলা) ১৯৮৯ সালের অক্টোবরের শেষ নাগাদ অযোধ্যায় পৌঁছায়। আনুমানিক ৬ কোটি মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় এই প্রস্তাবিত মন্দিরের জন্য একটি মন্দিরের মডেল তৈরি করেছিলেন গুজরাটের সুপরিচিত মন্দির স্থপত্য শিল্পী শ্রী চন্দ্রকান্ত সোমপুরা। ৩০ অক্টোবর ১৯৯০ সালে মন্দিরের পুনর্নির্মাণের জন্য করসেবা শুরু করার জন্য সাধুসন্তরা একটি ঘোষণা পত্র প্রকাশ করেন। এরপর এই ১৯৯০ সালেরই অক্টোবর মাসে হাজার হাজার রামভক্তরা মুলায়ম সিং যাদবের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন উত্তর প্রদেশ সরকারের দ্বারা তৈরি করা সকল বাধা অতিক্রম করে অযোধ্যায় পৌঁছান।

    কর সেবকদের উপর গুলি

    ২ নভেম্বর, ১৯৯০ সালে করসেবকদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুলায়ম সিং যাদব এবং অনেক করসেবক তাদের প্রাণ হারিয়েছিলেন। এরপর ব্যাপক আন্দোলনের চাপে তাঁকে ১৯৯১ সালের ৪ এপ্রিল পদত্যাগ করতে হয়েছিল। পরবর্তী নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির কল্যাণ সিং। দ্বিতীয়বার করসেবার ডাক দেওয়া হয় এবং ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের আঘাতে ভেঙে পড়ে বিতর্কিত মসজিদের কাঠামো। কাঠামো ভাঙতেই দেওয়াল থেকে প্রাচীন মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) নানা তথ্য বের হয়। বিতর্কিত মসজিদ কাঠামো ভাঙার দায়ভার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগ করেন কল্যাণ সিং। প্রত্নতাত্ত্বিক নমুনা থেকে পুরাতন মন্দির নির্মাণের বহু প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে আরও খনন কার্য চালিয়ে ২৫০ টির বেশি হিন্দু মন্দিরের নিদর্শন তুলে ধরা হয়। এরপর এলাহাবাদ হইকোর্টে রাম লালার পূজার জন্য আবেদন করা হলে অনুমতি পাওয়া যায়। ধ্বংসের আগে যেখানে শ্রী রাম লালা বসেছিলেন, সেই জায়গায় করসেবকেরা ত্রিপল দিয়ে একটি অস্থায়ী মন্দির তৈরি করেন। এরপর সুপ্রীম কোর্টে চলে লম্বা আইনি লড়াই।

    শুরু খনন কার্য

    ১৯৯৫ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের দুই জন হিন্দু এবং একজন মুসলমান বিচারপতি মামলার শুনানি শুরু করেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি ডঃ শঙ্কর দয়াল শর্মা প্রশ্ন তোলেন, “বিতর্কিত শ্রী রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নির্মাণের আগে কোনও হিন্দু মন্দির বা কোনও হিন্দু ধর্মীয় কাঠামো বিদ্যমান ছিল কি না?” এরপর রাষ্ট্রপতির উপদেশে ২০০২ সালের অগাস্ট মাসে ডিভিশন বেঞ্চ সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। এরপর বিশেষজ্ঞরা তাঁদের প্রতিবেদনে জানান, ধ্বংস করা কাঠামোর নীচে একটি বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সুবিশাল মন্দির কাঠামোর অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ২০০৩ সালে হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) কে বৈজ্ঞানিকভাবে জায়গাটি খনন করার এবং রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়। দুই পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে খনন কাজ চালানো হয়। ৫০টি সমান দূরত্বে অনেক দেয়াল, মেঝে, দুই সারি পিলার-ভিত্তিস্তম্ভ পাওয়া যায়। একটি শিব মন্দিরের সন্ধান মেলে। এরপর ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ তিনটি সমান পক্ষ – নির্মোহি আখড়া, শ্রীরামলালা (Ayodhya Ram Mandir) এবং উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে বিতর্কিত জায়গাটি ভাগ করার নির্দেশ দেয়। ২০১১ সালে আবার সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। ২০১৫ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রামমন্দির পুনর্গঠনের জন্য পাথর সংগ্রহের জন্য দেশব্যাপী প্রচার শুরু করে। ওই বছরের শেষের দিকে, দুই ট্রাক পাথর অযোধ্যায় এসে পৌঁছায়। 

    সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা

    অবশেষে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্ট চূড়ান্ত রায় প্রদান করে। আদালত স্পষ্টভাবে রায় দিয়ে জানায় যে বিতর্কিত জমি রামমন্দির পুনর্গঠনের জন্য হিন্দুদের দেওয়া হবে এবং পাঁচ একর বিকল্প জমি দেওয়া হবে মুসলমানদের। ২০২০ সালে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বরিষ্ঠ হিন্দু নেতাদের উপস্থিতিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত মসজিদ কাঠামো ধ্বংসের মামলায় অভিযুক্ত লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং এবং অন্যান্য ২৮ জনকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত নির্দোষ বলে মামলা থেকে মুক্ত করে। অবশেষে ২২ জানুয়ারী ২০২৪, অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রাম (Ayodhya Ram Mandir) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন স্থির হয়। শাস্ত্র মতে বিধিবিধান মেনে মন্দিরের গর্ভগৃহে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়া এদিন যজমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল, আরএসএস সর সঙ্ঘচালক মোহন রাও ভাগবত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vadnagar: মোদির হোম টাউন ভাদনগরে মিলল ২৮০০ বছরের পুরাতন সভ্যতার নিদর্শন

    Vadnagar: মোদির হোম টাউন ভাদনগরে মিলল ২৮০০ বছরের পুরাতন সভ্যতার নিদর্শন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮০০ বছরের পুরাতন সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হোম টাউন ভাদনগরে (Vadnagar)। একাধিক স্থানে এএসআই খনন কার্য চালিয়ে এই বহু পুরাতন বসতির সন্ধান পেয়েছে। শহরে নানা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মেল বন্ধনের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। বৌদ্ধ, জৈন এবং হিন্দু ধর্মের নানান সাংস্কৃতিক সূত্রের ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। হরপ্পা সভ্যতার শেষ পর্যায়ের সময়কার নিদর্শন বলে মনে করা হচ্ছে।

    খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ বছরের পুরাতন একটি সভ্যতা (Vadnagar)

    আইআইটি খড়গপুর, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই), ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি (পিআরএল), জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি (জেএনইউ) এবং ডেকান কলেজের বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত খননকার্য চালিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এরপর তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, গুজরাটের ভাদনগরের (Vadnagar) সভ্যতা হল খ্রিস্টীয় যুগের অনেক আগের সভ্যতার নিদর্শন। খনন কাজের ফলে প্রাপ্ত উপাদান থেকে গবেষণায় জানা গেয়েছে, এখানে একটি সুপ্রচীন জনবসতি ছিল। আনুমানিক প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ বছরের পুরাতন একটি সভ্যতা এখানে ছিল। গবেষকরা অনুমান করছেন, এই সভ্যতার উপর বিভিন্ন সময়ের উত্থান পতনের ক্ষেত্রে মধ্য এশিয়ায় বারংবার আক্রমণের একটি প্রভাব পড়ে থাকতে পারে। এছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন, বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা ইত্যাদির প্রভাব পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী জানালেন বিশেষজ্ঞরা

    ভাদনগরে (Vadnagar) খনন কাজের ফলে পাওয়া নিদর্শন সম্পর্কে খড়গপুর আইআইটির ভূতত্ত্ব এবং ভূ-পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ডঃ অনিন্দ্য সরকার বলেছেন, “আমরা গত ৪-৫ বছর ধরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে ভাদনগরে কাজ করছি। খননের ফলে উদ্ধার হওয়া ভূমির স্তর দেখে মনে হয়, একটি খুব পুরাতন বৌদ্ধ বিহার এখানে এক সময় ছিল। বিস্তৃত ভূমির স্তরে নানান উপাদান এখানে খুঁজে পাওয়া গেছে। ২০১৬-২০২৩ সালে খনন করে ভূ-গর্ভের মোট ২০ মিটার গভীরে যাওয়া সম্ভব পর হয়েছে। খননের ফলে জানা গিয়েছে ভাদনগরের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। এখনও পর্যন্ত ভূমির মোট সাতটি সাংস্কৃতিক স্তরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সব থেকে প্রাচীনতম স্তরটি আনুমানিক ২৮০০ বছরের পুরাতন যা ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সময়কার হতে পারে। সবটা মিলিয়ে শেষ স্তরের খনন দেখে বলা যায় আনুমানিক সাড়ে ৩ হাজার বছরের কম হবে না। এটা এক প্রকার হরপ্পা সভ্যতার শেষ সময়কালকেই ইঙ্গিত করে।” আবার এএসআই প্রত্নতত্ত্ববিদ অভিজিৎ আম্বেকর বলেছেন, “খননের ফলে চারিত্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, মৃৎপাত্র, তামা, সোনা, রুপো, লোহার বস্তু এবং জটিল নকশা করা চুড়িও পাওয়া গিয়েছে। আমরা ভাদনগরে ইন্দো-গ্রীক শাসনের সময় গ্রীক রাজা অ্যাপোলোডাটাসের মুদ্রার ছাঁচও পেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জি”, বিশাল জনসভায় তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জি”, বিশাল জনসভায় তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার মুর্শিদাবাদ সফরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে আসার পর সেখান থেকে বহরমপুর খাগড়া এলাকার স্থানীয় একটি জগন্নাথ মন্দিরে সাফাই অভিযান করেন তিনি। মন্দিরে ঢুকে নিজেই ঝাড়ু হাতে নিয়ে মন্দির চত্বর পরিষ্কারের কাজ করেন।

    এরপর বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সাটুই বাজারে বিজেপির বিশাল জনসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “ইন্ডি জোট ভারতবর্ষের পিন্ডি চটকাচ্ছে, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন আমি প্রধানমন্ত্রী হব না।” আবার অভিষেককে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, “চোরেদের এনার্জি হল অভিষেক ব্যানার্জি”। একই ভাবেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেসের মৃত কর্মীদের বাড়িতে নিয়ে যান রাহুল গান্ধীকে।”

    তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে আক্রমণ (Sukanta Majumdar)?

    মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সভায় গিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূল নেতা সুজিত বসু এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। পুজোর সময় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি অতিথি নিয়ে আসেন। এত টাকার উৎস কোথায়? একটা সময় কম বয়সে এগরোল বিক্রি করতেন। এখন এত সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন? টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন। তাই ইডি তদন্ত করছে।” পাশাপাশি মোদির চা বিক্রির প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মোদি চা বিক্রি করে লোকের টাকা চুরি করেননি। তাঁর পরিবারের লোকজন এখনও পেট্রোল পাম্পে কাজ করেন। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতারা শুধু চুরি করেন।” বালু প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বালুকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিরপাত্তায় রাখা দরকার। কারণ ওঁর কাছে অনেক তথ্য রয়েছে।”

    কংগ্রেসকে আক্রমণ

    বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরিকে আক্রমণ করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “অধীরদাকে বলব যদি এখনও লড়াই করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বাংলায় আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে যান। তৃণমূলের যে দুষ্কৃতীরা যে কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে, লুটপাট করেছে, খুন করেছে, সেই সব পরিবারে নিয়ে যান পাপ্পুকে। শুধু দিল্লিতে ইন্ডি জোটের নামে ফিস ফ্রাই খেয়ে মিটিংয়ের নামে চোরদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আপনাদের অন্যায় যাত্রা বন্ধ করুন।”

    আক্রান্ত সাধুদের সমর্থনে  কী বললেন?

    এই রাজ্যে গৈরিক বসনধারী সাধুদের আক্রান্ত হতে হয়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এই কথা বলে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “রাজ্যে পালঘরের মতো আরও একটা সাধু হত্যার ঘটনা ঘটতে চলেছিল। কিন্তু আমাদের সজাগ দৃষ্টি তা হতে দেয়নি।” আবার শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, “দিদির শাহজাহান এখন তাজমহল বানাতে গিয়েছেন। সরকার এবং পুলিশ দোষীদের আড়াল করছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দির সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোয়, রাজপথে থাকবে ৩০০টি গেট

    Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দির সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোয়, রাজপথে থাকবে ৩০০টি গেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Temple) যাওয়ার পথ সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোয়। সেজে উঠবে ফিরোজাবাদ থেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরের গোটা রাজপথ। আলোয় ফুটে উঠবে রাম-লক্ষ্মণ, সীতা, হনুমান, অশোকবন, বানর সেনা ইত্যদি। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপনা করা হবে রামলালার মূর্তি। দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে।

    মন্দির গেট পর্যন্ত থাকবে আলোকসজ্জা (Ayodhya Ram Temple)

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) গেট পর্যন্ত যেতে মোট ৩০০টি আলোর গেট থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে আলোকসজ্জা জ্বলবে টানা ১ বছর পর্যন্ত। লোহার কাঠামোর উপর নতুন ধরনের এলইডি স্ট্রিপ দিয়ে সাজানো হবে আলোকসজ্জা। আলো দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হবে রামায়ণের নানা চরিত্রকে।

    আলোকশিল্পীর বক্তব্য

    চন্দননগরের আলো নিয়ে শনিবার অযোধ্যার (Ayodhya Ram Temple) উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে শিল্পীরা। বিশেষ কিছু আলোকচিত্র এখান থেকেই তৈরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি কাজ অযোধ্যায় পৌঁছে করা হবে। শিল্পী মনোজ সাহা বলেন, “২০ তারিখের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করতে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। আলোর রোশনাইতে ভাসবে রাজনগরী। দেশ-বিদেশের অনেক রামভক্ত এই শ্রী রামের মন্দির দেখতে আসবেন। চন্দননগরের আলো দিয়ে রামনগরী সেজে উঠবে। তাই বাংলার জন্য এই প্রাপ্তি অত্যন্ত গৌরবের।”

    ১৫০ জন আলোকশিল্পী যাচ্ছেন অযোধ্যায়

    উল্লেখ্য দীপাবলির সময়েও চন্দননগরের আলোয় অযোধ্যা (Ayodhya Ram Temple) সেজে উঠেছিল। মন্দিরের বাইরের রাস্তায় সপ্তকাণ্ড রামায়ণের নানা চিত্র আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। সেই আলোতে একই ভাবে মন্দির উদ্বোধনপর্বে সাজানো হবে। রামরাজ্যে এই মুহূর্তে সজো সাজো রব। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২ কোটি টাকার বরাত এসেছে আলোকশিল্পীদের কাছে। হুগলি থেকে ইতিমধ্যে ১৫০ জন আলোকশিল্পী অযোধ্যায় যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Malda: লোকসভার আগে বিজেপির প্রচার শুরু, জেলায় ঘুরবে “মোদি গ্যারান্টি ভ্যান”

    Malda: লোকসভার আগে বিজেপির প্রচার শুরু, জেলায় ঘুরবে “মোদি গ্যারান্টি ভ্যান”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভার ভোট। ময়দানে বিজেপি নেমে পড়েছে। ভোটারদের মন জয় করতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধার কথা প্রচার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। এবার মালদায় (Malda) লোকসভা ভোটের আগে তাই সাধারণের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের প্রচার তুলে ধরতে উদ্যোগী বিজেপি। প্রতিটি লোকসভায় ঘুরবে ট্যাবলো। যার নাম দেওয়া হয়েছে “মোদি গ্যারান্টি ভ্যান”। আজ শুক্রবার মালদহ উত্তরে এই ট্যাবলোর সূচনা করেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব।

    ট্যাবলোয় পাওয়া যাবে আবেদনপত্র (Malda)

    আগামী এক মাসেরও বেশি সময় মালদার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল এবং শহরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করা হবে। একই সঙ্গে প্রচার চালানো হবে এই গ্যারান্টি ভ্যান থেকে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদনপত্র পাওয়া যাবে এই প্রচার ভ্যানেই। এর ফলে সাধারণ বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।

    কী বললেন খগেন মুর্মু?

    মালদা উত্তর লোকসভার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “এই গাড়ি হল মোদি গ্যারান্টি ভ্যান। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখে যা বলেন, বাস্তবে তাই করে দেখান। গত নয় বছরে কী কী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সাধারণ মানুষের কাছে কীভাবে এই সুযোগ পৌঁছাবে, সেই কথা এই গাড়িতে প্রচার করা হবে। দেশের পিছিয়ে থাকা দলিত সাধারণ মানুষ কীভাবে উন্নয়নের পথে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সেই কথাও এলাকায় এলাকায় ঘুরে প্রচার করা হবে। স্বনির্ভর ভারত, আত্মনির্ভর ভারত গড়তে গেলে এই মোদির গ্যারান্টি একান্ত প্রয়োজন। যদি কেউ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তাহলে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। আজ মালদায় দুটি গাড়ি এসেছে। আগামীতে আরও গাড়ি আসবে। সারা দেশ জুড়ে ২০০০ এর বেশি গাড়ি মোদির গ্যারান্টি নিয়ে প্রচার করছে। নয় বছরের সরকারের কাজে প্রকল্প এখনও যাঁরা জানেন না, তাঁদের কাছে পৌঁছানোই এই প্রচারের একমাত্র লক্ষ্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Airport: জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে উড়ল অযোধ্যা-দিল্লি বিমান, যাত্রীরা পড়লেন হনুমান চালিশা

    Ayodhya Airport: জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে উড়ল অযোধ্যা-দিল্লি বিমান, যাত্রীরা পড়লেন হনুমান চালিশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান টেক-অফের আগে পাইলটের মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। হনুমান চালিশা পাঠের মাধ্যমে উড়ল অযোধ্যা-দিল্লি বিমান (Ayodhya Airport)। শনিবার ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানের ক্যাপ্টেন আশুতোষ শেখর সকল যাত্রীকে স্বাগত জানান। এরপর বিমানে ওঠা সকল যাত্রী জয় শ্রীরাম নাম জপ করে প্রভু রামকে স্মরণ করলেন। জানা গিয়েছে, অযোধ্যা থেকে কলকাতা-বেঙ্গালুরু বিমান পরিষেবা চালু হবে খুব দ্রুত।

    বিমান পরিষেবার সময়সূচি (Ayodhya Airport)

    এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দিল্লি, কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু থেকে এবার সরাসরি অযোধ্যার রাম মন্দিরে আকাশপথে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাবে। ৩০ ডিসেম্বর অয্যোধ্যা বিমান বন্দর (Ayodhya Airport) থেকে দিল্লি সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হল। একই ভাবে কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু থেকে এই বিমান চালু হবে আগামী ১৭ জানুয়ায়রি। ১৭ তারিখে বেঙ্গালুরু থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে সকাল ৮ টার সময় বিমান পরিষেবা চালু হবে। এই বিমান সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে অয্যোধ্যায় পৌঁছাবে এবং এরপর একই বিমান বিকেল ৩ তে ৪০ মিনিটে ছাড়বে, যা সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছাবে। বেঙ্গালুরু থেকে অযোধ্যা যেতে সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টা। কলকাতা থেকে যে বিমান অযোধ্যা যাবে, তা ছাড়া হবে ১ টা ২৫ মিনিটে। এই বিমান পৌঁছাবে ৩ টে ১০ মিনিট সময়ে। অযোধ্যা থেকে বিমান কলকাতায় যাবে সকাল ১১ টা ৫ মিনিটে। এই বিমান পৌঁছাবে দুপুর ১২  টা ৫০ মিনিটে।

    এয়ার ইন্ডিয়ার বক্তব্য

    এয়ার ইন্ডিয়ার মুখ্য বাণিজ্যিক আধিকারিক ডা অঙ্কুর গর্গ বলেছেন, “রাজধানী দিল্লি ছাড়াও পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের তীর্থযাত্রীদের অযোধ্যায় পৌঁছানোর সুবিধা দিতে বেঙ্গালুরু, কলকাতায় বিমান বন্দর (Ayodhya Airport) থেকে একবার বিরতি দিয়ে বিমান পরিষেবা চালু করা হবে। অযোধ্যার জন্য কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু যাথক্রমে পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের প্রবেশ দ্বার হিসাবে কাজ করবে। এই দুই শহর থেকে অযোধ্যায় যাওয়ার বিমান পরিষেবা সপ্তাহে ৩ দিন করা হয়েছে।”

    আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। এর মধ্যেই উদ্বোধন হল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। সেই সঙ্গে রেলের বিষয় হিসাবে অমৃত ভারতের বিশেষ ট্রেনের শুভ সূচনা হয়েছে। অযোধ্যায় মোট ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন মোদি। আগামী লোকসভা ভোটের আগেই এই মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা যে তীব্র হচ্ছে, রামনগরীর বাসিন্দারা বুঝতেই পারছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share