Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালের সঙ্গে মেশানো হয়েছে ঘি এবং হলুদ। ‘অক্ষত’ নামের এই চাল এসেছে সরাসরি অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে। এর সঙ্গে থাকবে রাম মন্দিরের ল্যামিনেশন করা ছবি এবং রাম মন্দিরের ইতিহাস তুলে ধরা লিফলেট। এসব নিয়েই বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে। আগামী ২২ জানুয়ারি সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন, যেদিন রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই মেগা উদ্বোধন কর্মসূচির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল, সেখানে হাজির থাকবেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা অযোধ্যা সেই উপলক্ষে নতুনভাবে সেজে উঠছে। দেশের মানুষও সেই শুভক্ষণের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। আর এর ঠিক আগেই ১ জানুযারি থেকে টানা ১৫ দিন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরের মহিমাকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই কাজে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন আরএসএস তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও।

    কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক (Ram Mandir)

    আগামী বছরই লোকসভার ভোট। তার প্রস্তুতিও বিভিন্ন দল শুরু করে দিয়েছে। এরকম একটা মোক্ষম সময়ে রাম মন্দিরের উদ্বোধন যে বিজেপির কাছে তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের ধর্মীয় আবেগ এবং রামের প্রতি শ্রদ্ধার কথা তাদের অজানা নয়। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এই ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপি ভোটের আগে জনসংযোগের কাজেও অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। এই কর্মসূচি যাতে সার্থক হয়, তার জন্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন দলের নতুন পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায়ও এ নিয়ে অজস্র বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাড়ি বাড়ি অক্ষত চাল পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ২২শে জানুয়ারি উদ্বোধনের দিন কী করণীয়, তার একটি নির্দেশিকা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) যাওয়ার জন্য সমর্থক ও রাজ্যবাসীকে আমন্ত্রণও জানাবেন বিজেপি নেতারা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্যের মতে, এই রাম মন্দির (Ram Mandir) আদপে দেশের পরিচয়ই বহন করছে। রামলালা এবং রাম মন্দিরের মাহাত্ম্য সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই দলের মূল লক্ষ্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিজেপি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল এবং তারা সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। তাদের এই চিন্তাভাবনা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়াটাও অন্যতম কাজ। তাঁর আশা, সারা দেশ ভেসে যাবে রামের জোয়ারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বাংলার প্রদীপ জ্বলবে অযোধ্যায়! সাইকেলে রাম মন্দিরের উদ্দেশে পাড়ি তিন যুবকের

    Ram Mandir: বাংলার প্রদীপ জ্বলবে অযোধ্যায়! সাইকেলে রাম মন্দিরের উদ্দেশে পাড়ি তিন যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে এখন সাজো সাজো রব। হোটেল বুকিং অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। রামলালাকে নিয়ে চলছে এলাহি আয়োজন। আর ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ সাইকেল চালিয়ে রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে অযোধ্যার মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানো নিয়ে বড় উদ্যোগ গ্রহণ করলেন বীরভূমের তিন যুবক। এই জেলার নলহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং পুরসভার হিন্দ ক্লাবের সদস্য তিন যুবক নীতেশ সাহানি, সুদীপ মাল ও রাজ মাল একসঙ্গে সাইকেল চালিয়ে রওনা দিলেন অযোধ্যার উদ্দেশে। তাঁদের উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানালেন এলাকাবাসী।

    সতীপীঠে পুজো দিয়ে রওনা দিলেন তিন যুবক (Ram Mandir)

    এত দূর পথ অতিক্রম করার আগে নলহাটি শহরের রাম মন্দির এবং ৫১ সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ নলহাটির নলহাটেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে তাঁরা এই যাত্রার সূচনা করেন। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। নিজের হাতেই রামলালাকে নতুন মন্দিরে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! পুজোর আয়োজনের অনেকটাই তিনি নিজে হাতে করবেন বলে জানা গিয়েছে। রামলালার ৫ ফুটের মূর্তিটি প্রায় ৫০০ মিটার কোলে নিয়ে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই কর্মযজ্ঞে সামিল হতে পাড়ি দিয়েছেন বীরভূমের তিন যুবক। নলহাটি শহর থেকে প্রায় ৮০৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আগামী বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করতে চান তাঁরা। আর সেই ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সাইকেলে করে রাম নাম করতে করতে অযোধ্যার মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। তিন যুবকের ইচ্ছে, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের সন্ধ্যায় তাঁরা সেখানে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করবেন। নলহাটি থেকে সাইকেলে করে রওনা হওয়ার সময় দীর্ঘ প্রায় দু কিলোমিটার পথ হেঁটে তাঁদের উৎসাহিত করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita: রবিবার লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ ব্রিগেডে, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঞ্চস্থলে শুভেন্দু 

    Gita: রবিবার লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ ব্রিগেডে, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঞ্চস্থলে শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাজির থাকার কথা থাকলেও মঙ্গলবারই জানা যায়, তিনি আসছেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী না এলেও গীতা (Gita) পাঠে রেকর্ড ভিড়ের ব্যাপারে আশাবাদী আয়োজকরা। শুক্রবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শনে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সাংবাদিক বৈঠকও করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে রবিবার, ব্রিগেডে এমন দাবিই করলেন তিনি।

    দক্ষিণবঙ্গে ১০টি ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে

    জানা গিয়েছে, প্রথমে ঠিক ছিল দুটি মঞ্চ হবে। একটি মূল মঞ্চ যেখানে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান চলবে এবং অপর মঞ্চে হাজির থাকবেন শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী ও নরেন্দ্র মোদি। তবে এখন একটি মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। পার্থ-সারথী মঞ্চ নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ। আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক দূরের জেলাগুলি থেকে মানুষজন এখন থেকেই কলকাতাতে আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে সকলে নিজেদের প্রোফাইল পিকচারও বদলে ফেলছেন এবং সেখানে গীতা (Gita) পাঠে কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে গীতা পাঠে অংশগ্রহণকারীরা এখনও পর্যন্ত দশটি ট্রেন ভাড়া করেছেন। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে এ ধরনের কোনও ট্রেন আসছে না।

    কী বলছেন আয়োজকরা?

    এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অর্থাভাবের জন্য আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় আসার কোনও ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। তা সত্ত্বেও কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ আসবেন। আর দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতা মিলিয়ে গীতাপাঠে (Gita) যোগ দেবেন ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।’’ আয়োজকদের তরফ থেকে শচীন্দ্রনাথ সিং বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচিতে গীতাপাঠই মুখ্য। প্রধানমন্ত্রী এলে আমাদের ভালো লাগত। তবে তিনি না এলেও গীতা ভক্তদের আগ্রহ একটুও যে কমেনি সেটাই দেখা যাবে রবিবার ব্রিগেড ময়দানে। কোনও রাজনৈতিক ছোঁয়া ছাড়াই অতীতে কোথাও এত বড় কর্মসূচি হয়নি। রবিবার রাজ্যের আদিবাসী সমাজের বহু মানুষও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ ডিসেম্বর নবান্নের ১৪ তলায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে হাজির হননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়। উল্লেখ্য এই দিনেই শুভেন্দু হঠাৎ নবান্নে পৌঁছে যান। তিনি নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!”। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, চন্দনা বাউরি সহ আরও দুই বিধায়ক।

    কখন পৌঁছালেন নবান্নে (Suvendu Adhikari)?

    এদিন বেলা ১১ টা ৫০ মিনিট নাগাদ পৌঁছে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নবান্নে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে নবান্নে নিরাপত্তা বলয় কম ছিল। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নবান্নে পৌঁছালে দ্রুত নিরাপত্তা বলয় বৃদ্ধি করা হয়। একদিকে আজ যখন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করছিলেন, ঠিক সেই সময় শুভেন্দু, মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে, তাই জানতে চেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    নবান্ন থেকে বের হয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিজেপির সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রের আবাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যুক্তি ও তথ্য দিয়ে আমরা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বলে গেলাম। মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেছি। আইন মেনে আমরা মোট পাঁচ জন এসেছি। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট লুট হয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দিল্লিতে ড্রামা করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শৌচালয়ের টাকা পায়নি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাই আজ এখানে প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম।”

    শুভেন্দুর হাতে পোস্টার

    সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) নিজের হাতে একটি পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন নবান্নের সামনে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা, আবাস যোজনার টাকার কথা লেখা ছিল। মোদির সময়ে যত বেশি পরিমাণে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই হিসাবও এদিন লিখে আনেন শুভেন্দু পোস্টারে। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের করা সকল অভিযোগকে খারিজ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিগত কংগ্রেস সরকারের আমল থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অনেক বেশি আর্থিক বরাদ্দ করেছ বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। পালাটা রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ করেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে ‘শোকসভা’ বলে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে ‘শোকসভা’ বলে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের ‘মেগা বৈঠক’কে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বললেন, “দিল্লির বৈঠক শোকসভা। ছত্তিসগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ-এই তিন রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলের পর ওরা সেমি ফাইনালে পরাজিত হয়েছে। সেই নীরবতা পালনের জন্য এই বৈঠক।” অপর দিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন যে বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়াই করা সম্ভবপর নয়। তাই জোটের কথা বার বার বলছেন।”

    উল্লেখ্য, পাওনা টাকার দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে গতকাল সংসদে বিরোধী দলের শতাধিক সাংসদের অভব্য আচরণের জন্য সাসপেন্ড করার ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। সেই সঙ্গে এই সপ্তাহতেই আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সব চোর। জোটের সমস্ত নেতারা দুর্নীতিগ্রস্থ। ওরা যা ইচ্ছে করুক। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৪০০ আসন অতিক্রম করবে। ওরা শুধু দেখবে, জ্বলবে আর লুচির মতো ফুলবে।” উল্লেখ্য, দিল্লীতে গিয়ে বিরোধী জোট প্রসঙ্গ নিয়ে মমতা বলেছেন, “বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতেই হবে। বাম-কংগ্রেস যদি ঠিক মনে করেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। লোকসভার ভোটে জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রীকে হবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে লোকসভা নির্বাচনের পরেই।” এরপর থেকেই রাজ্যের প্রেক্ষাপটে মমতা এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাক্যবাণে বঙ্গের রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সুর মিলিয়ে বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শাসক যখন শক্তিশালী হয় তখন দেশে এই রকম হয়। বিরোধীরা একজোট হওয়ার চেষ্টা করেন। আগামী লোকসভার ভোটকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী!

    PM Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ব্রিগেডে হবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই তিনিই থাকছেন না অনুষ্ঠানে। উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে প্রচার করছিলেন। তবে বিশেষ কারণবশত: তিনি আসছেন না বলেই খবর প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে। ব্রিগেডের এই অনুষ্ঠানের আয়োজক অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ। পরিষদের কর্তারা জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না তাঁরা। তবে বাকি কর্মসূচি হবে, পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিল হতে পারে বলে আমিও শুনেছি।” আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী বলেন, “আমাদের কাছে এখনও এ রকম কোনও খবর নেই। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দফতর থেকে কোনও কিছু জানানো হয়নি। তবে আমাদের যেমন কর্মসূচি রয়েছে, তেমনই হবে। লক্ষ মানুষের সমাগমেই হবে গীতাপাঠ। নজরুলগীতি থেকে শঙ্খবাদন কোনও কিছুই বাদ যাবে না।”

    কী বললেন শুভেন্দু? 

    লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। রাজ্য সরকারের তরফে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার করা যাবে না জানার পরে বাতিল হয়েছে রাষ্ট্রপতির সফর। এবার বাতিল হয়ে গেল অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ প্রধানমন্ত্রীর সফরও। গীতাপাঠের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গীতাপাঠের অনুষ্ঠান হবে। গত বছর মায়াপুরে পাঁচ হাজার সনাতনী গীতা পাঠ করে ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা আগামী ২৩ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী পালন করবেন। ২৩ তারিখ শনিবার হওয়ার কারণে ওই কর্মসূচি পালন করা হবে ২৪ ডিসেম্বর।”

    আরও পড়ুন: সাত সকালে বিধায়ক বাইরনের বাড়িতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    তিনি বলেন, “এই কর্মসূচি সাধু-সন্তদের। আমরা দলের লোকেরা শুধু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করব। মঞ্চে সাধু-সন্ত ছাড়া আর কাউকে দেখা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির প্রায় সাড়ে তিন হাজার মঠ ও আশ্রমের সাধু-সন্ন্যাসী ওই দিন উপস্থিত থাকবেন।” প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি অনেককেই এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁরা আসার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত জরুরি একটি কাজ রয়েছে বলে তিনি আসতে পারবেন না। তাঁর দফতর থেকে সাধু সমাজকে তিনি যে আসতে পারবেন না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের কাছ থেকেই জানতে পেরেছি।” প্রসঙ্গত, ব্রিগেডে ঘণ্টা তিনেকের ওই অনুষ্ঠানে গীতার বাছাই করা পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করবেন লক্ষ মানুষ। এই অনুষ্ঠানেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বিজেপির কিষাণ মোর্চার সভায় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “ভারতবর্ষ মূলত কৃষকদের অবদানে চলছে। বর্তমান রাজ্যের শাসক গোষ্ঠীর জন্য যেভাবে কৃষকরা বঞ্চিত, লাঞ্চিত হচ্ছেন, তার জন্য আমরা একের পর এক কর্মসূচি নিয়েছি। অবিলম্বে এমএসপি অনুয়ায়ী ধান ক্রয় করতে হবে। কোনও বাটা বাদ দেওয়া যাবে না। কোনও কাটমানি খাওয়া যাবে না।” তিনি আরও সমালোচনা করে বলেন, “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে।”

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  বলেন, “আপনারা জানেন অনুব্রত মণ্ডল চোর মণ্ডল। তিনি চালকল মালিকের সঙ্গে সাম্রাজ্য খাড়া করেছিলেন। বালু, বাকিবুর আর কেষ্ট যখন বাইরে ছিল, তখন রাজের ২৯ লক্ষ চাষি সমবায় সমিতি, রাইস মিল এবং কিষাণ মান্ডির মাধ্যমে ধান ক্রয়ের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু এবার ১১ লক্ষ রেজিস্ট্রেশন হল৷ কেন? বাকি ১৮ লক্ষ কোথায় গেল? কেন্দ্রের পাঠানো ৫ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে এই সরকার। আপনাদের আমি কথা দিতে পারি এক-দেড় বছরের মধ্যে বিজেপি সরকার করবে। আর এই অরূপ মণ্ডলকে (গোঘাট থানার পুলিশ অফিসার) ওই চাষির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পা ধুয়ে জল খাওয়াবো।”

    বাংলার চাষিরা ফসল বীমার টাকা পাননি

    সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ফসল বিমা নিয়ে বলেন, “২০১৯ সালের নির্বাচনে ১৮ টা লোকসভার আসন বিজেপি জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে বের করে নিয়েছেন। পরিবর্তে বাংলার ফসল বিমা যোজনা করেছে। যার কোনও টাকা বাংলার চাষিরা পাননি। আয়ুষ্মান ভারতের বদলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছে৷ ওই ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা কেউ পান না। প্রাধানমন্ত্রী ৩৬০০ টাকা বস্তা সারে ২৪০০ টাকা ভর্তুকি দিয়েছেন। এখানে তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে একসঙ্গে কালোবাজারে সব সার বিক্রি করছে। পোস্টপোল ভায়োলেন্সের আসামীরা এখনও জেলে যায়নি৷ তাদের জেলে দেখতে চাই।”

    বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করছেন মমতা

    বীরভূমের সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিচারব্যবস্থার পক্ষে বলেন, “বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থা এগিয়ে এসেছে ৷ কোন রাজ্যে আছেন আপনারা? হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা এবং ভাইপো। আবার সম্প্রতি বিচারপতি অমৃতা সিনহার আইন মেনে জবাব সওয়াল শুনে সিআইডি দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন মমতা সরকার। কীভাবে বিচারপতিদের আক্রমণ করা হচ্ছে দেখুন। এমনকী তাঁর পরিবারের উপর আক্রমণ করে নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করেছে তৃণমূল সরকার। আমি সুপ্রিম কোর্টের কাছে মঞ্চ থেকে আবেদন করছি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ললিত-সৌরভের পিছনে মমতা-অভিষেকের হাত!’ তোপ দাগলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘ললিত-সৌরভের পিছনে মমতা-অভিষেকের হাত!’ তোপ দাগলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে আক্রমণকারী ললিত ঝা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বললেন, “সংসদ হামলায় অভিযুক্ত ললিত ঝা, সৌরভ চক্রবর্তী সহ আরও অনেকের পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে। সেই সঙ্গে ভাইপো অভিষেকের হাতও থাকতে পারে। তদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে আসল তথ্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারবেন না।”

    অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ সংযুক্ত বালুরঘাট-শিয়ালদা নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ভার্চুয়াল এই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন তিনি। রবিবার বালুরঘাটে কেন্দ্র সরকারের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে জেলাবাসীর জন্য এমনই সুখবর শোনালেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দৌলতপুর রেল স্টেশনের উন্নতির জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

    গীতাপাঠের সঙ্গে উদ্বোধন ট্রেন

    আগামী গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপর দিকে তিনি কলকাতায় এলে ভার্চুয়ালি এই ট্রেনের শুভ উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে বলে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানান। দেশের বিকাশ যাত্রায় এই ট্রেনও একটি বড় মাধ্যম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন (Sukanta Majumdar),“সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বালুরঘাট শিয়ালদহ ট্রেনের ভার্চুয়ালি শুভ উদ্বোধন করবেন। এই ট্রেনের প্রতিটি কোচ অত্যাধুনিক হবে। এলএইচবি কোচ হবে সবগুলি। যা আরও বেশি সুরক্ষিত। ফলে দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হবে বালুরঘাট তথা সমগ্র জেলাবাসীর।”

    বিভিন্ন ইস্যুতে সরব সুকান্ত

    ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ জেলাকে সেরা তকমা পাওয়া নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন (Sukanta Majumdar), “ডায়মন্ড হারবার পুলিশের কাছে সেরার সেরা তো হবেই। ভাইপোর পদ লেহন করার জন্য এক্সপার্ট পুলিশ। তাঁদের জিভ ১ ফিট পর্যন্ত বের করা থাকে। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো বাহবা দেবেনই। বাড়ির মালিক যা বলেন চাকর তাতে তো প্রশংসা দেবেনই; এটাই তো স্বাভাবিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত দেশের শীর্ষ আদালত। ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) একটি ‘অস্থায়ী বিধান’। রাষ্ট্রপতির হাতে এটি বাতিল করার ক্ষমতা ছিল। সোমবার এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর সাংবিধানিক পরিষদ ভেঙে যাওয়ার পরেও ৩৭০ ধারা রদের বিজ্ঞপ্তি জারি করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, এটি আশা, অগ্রগতি এবং ঐক্যের বার্তা দেয়। 

    ৩৭০ ধারা কী?

    ৩৭০ ধারা ভারতীয় সংবিধানের একটি অস্থায়ী সংস্থান (‘টেম্পোরারি প্রভিশন’)। এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে (Article 370 in Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল এবং বিশেষ সংস্থানের কথা বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ীই জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ সংবিধানের ধারাগুলি অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

    কবে অন্তর্ভুক্ত?

    ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারা বলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ১৯৪৭ সালে এই ৩৭০ ধারার খসড়া প্রস্তুত করেন শেখ আবদুল্লা। জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী মহারাজা হরি সিংহ এবং জওহরলাল নেহরু তাঁকে নিয়োগ করেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপালের জন্য সদর-এ-রিয়াসত চালু ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বদলে ছিল প্রধানমন্ত্রী। যদিও ১৯৬৫ সালের পর তা উঠে যায়।

    ৩৭০ ধারায় বিশেষ সুবিধা

    ৩৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের আগে পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না কেন্দ্রের। জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না সংসদেরও। আইন প্রণয়ন করতে হলে রাজ্যের সম্মতি নিতে হত। তাছাড়া আলাদা পতাকাও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। ৩৭০ ধারার (Article 370 in Jammu and Kashmir) অধীনেই ছিল ৩৫এ ধারা। এই ৩৫এ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাও বিশেষ সুবিধা পেতেন। স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া অন্য রাজ্যের কেউ সেখানে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। কিনতে হলে অন্তত ১০ বছর জম্মু-কাশ্মীরে থাকতে হত। এবার যে কোনও রাজ্যের বাসিন্দা সেখানে জমি কিনতে পারবেন।

    ৩৭০ ধারার ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালের ২৬ শে অক্টোবর শেষ শাসক মহারাজা হরি সিং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের পক্ষে আনার ক্ষেত্রে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর, তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সেই চুক্তি অনুমোদন করেন। পুরো বিষয়টি কয়েকটি ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবন্ধ ছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ধারা ৩৭০ অনুযায়ী প্রথম আদেশ জারি করেন। যা ছিল জম্মু এবং কাশ্মীরের জন্য। যার মাধ্যমে বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয় এবং যা সূচিবন্ধ করা হয়। ১৭ নভেম্বর, ১৯৫৬ সালে জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান হয়। ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে , সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার

    ২০১৯ সাল, ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় মোদি সরকার। আর সেই মতো পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয় জম্মু এবং কাশ্মীরকে ভেঙে। মোদি সরকারের এহেন সাহসী সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। আইনগত এবং সংবিধানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত কতটা বৈধ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রের যুক্তি, দেশের সংবিধান সভা জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারায় বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর ১৯৫৭ সালে সংবিধান সভা ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেই মর্যাদা স্থায়ী ছিল না, বরং ছিল ‘অস্থায়ী সংস্থান’ ওই অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে ওই ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ওই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই ২০১৯ সালে ‘বিশেষ মর্যাদা’ প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। 

    সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা ছিল অস্থায়ী ব্যবস্থা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল না। সংবিধানের ৩৫৬ ধারা মোতাবেক জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। তাই জম্মু কাশ্মীর থেকে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বলল, ৩৭০ ধারা ছিল অস্থায়ী। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে তাদের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে সমর্পণ করেছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: দিল্লির বিজেপি দফতরে চলছে আবির খেলা, মিষ্টিমুখ, সন্ধ্যায় আসছেন মোদি

    Narendra Modi: দিল্লির বিজেপি দফতরে চলছে আবির খেলা, মিষ্টিমুখ, সন্ধ্যায় আসছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে বিজেপির জয়জয়কার। সকাল থেকেই দিল্লির বিজেপি কার্যালয়ে ভিড় করছেন কর্মী-সমর্থকরা। নির্বাচনের গণনাপর্ব যত এগিয়ে চলেছে, জয়ের নিশ্চয়তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই উৎসবমুখর তীব্র উল্লাসের চিত্র ধরা পড়েছে রাজ্যগুলিতেও। সেই প্রভাব এবার দিল্লিতেও পড়েছে, গেরুয়া ঝড়ে সরগরম বিজেপি অফিস। চলছে মোদির নামে জয়ধ্বনি। গেরুয়া আবির খেলে, বাদ্যবাজনা বাজিয়ে মিষ্টিমুখ করানোর মধ্যে দিয়ে উৎসাহ এবং উদ্দীপনার চিত্র লক্ষ্য করা গেল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সন্ধ্যেবেলায় বিজেপি দফতরে আসবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি দলের কর্মী, সমর্থক, নেতাদের উদ্দেশ্যে দেবেন শুভেচ্ছাবার্তা, দলীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

    কখন পৌঁছাবেন মোদি (Narendra Modi)?

    রবিবার সকাল থেকেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে গেরুয়া ঝড়। দলের এই উৎসাহের আবহে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যাবেলায় সাড়ে ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে দিল্লির রাজধানী কার্যালয়ে পৌঁছাবেন তিনি। অবশ্য সকাল থেকেই পার্টি অফিসে উৎসবের আবহ চলছে। সন্ধ্যায় মোদি অফিসে গেলে উচ্ছ্বাসের বাঁধ যে ভাঙবে, তা বলাই বাহুল্য। এই ব্যাপক সাফল্যের পর দলের কর্মীদের দেবেন বার্তা। তাই দলের কর্মীরাও অপেক্ষায় রয়েছেন, আর কত সময়ে এসে পৌঁছান নমো।

    দিল্লি পার্টি অফিসে মোদি নামের জয়ধ্বনি

    দিল্লিতে ভোরের পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা অধীর অপেক্ষায় ছিলেন নির্বাচনী ফলাফলকে নিয়ে। ক্রমশ বেলা বৃদ্ধির পর থেকেই বিজেপির জয় যেন নিশ্চিত হতে শুরু করে। ৬ নম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকঢোল, বাজি নিয়ে রীতিমতো প্রস্তুত ছিলেন কর্মীরা। জয় নিশ্চিত বুঝের কর্মীরা লাড্ডু দিয়ে মিষ্টি মুখ করেন। সেই সঙ্গে হালুয়া তৈরি করে চলে খাওয়া দাওয়া। চলতে থাকে মোদির নামে জয়ধ্বনি। মোদির (Narendra Modi) ছবিতে ধূপধুনো দিয়ে চলতে থাকে পুজো।

    কী বলেন শিবরাজ?

    নির্বাচনী সাফল্যের কথা বলে মধ্যপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, “মোদিজী (Narendra Modi) মধ্যপ্রদেশের মানুষের মনের মধ্যে রয়েছেন আর মোদিজীর মনের মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার, মানুষের কাছে দেওয়া মানুষের প্রতিশ্রুতিগুলিকে পালন করতে সক্ষম ছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share