Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Sandeshkhali: প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে বাধা! সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সমন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে বাধা! সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সমন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতের কাছারি ময়দানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাঁচ নির্যাতিতাকে সাক্ষাৎ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে বঙ্গ বিজেপির। সেই সভায় যাওয়া থেকে নির্যাতিতাদের আটকাতে আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছিল। এবার একই অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ, যাঁদের মোদির সভায় যাওয়ার কথা, বেছে বেছে সেই মহিলাদের সমন পাঠিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ (Sandeshkhali)

    তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন মহিলারা। তৃণমূল নেতাদের তাড়া করেছিলেন। বেছে বেছে আন্দোলনকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করলে মহিলারা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি দায়ের হওয়া একটি মামলায় বয়ান রেকর্ডের জন্যই এই সমন। এর জন্য ৬ মার্চ, বুধবার সকাল ১০টায় তাঁদের থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। ঘটনাচক্রে ওইদিন ঠিক ওই সময়ই বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। ফলে মোদির সভায় যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও নির্যাতিতারা জানিয়েছেন, যত বাধাই আসুক, প্রধানমন্ত্রীর সভায় তাঁরা যাবেনই। পাশাপাশি এই নোটিস জারি করার পরই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা।

    পুলিশের সমন নিয়ে কী বললেন নির্যাতিতা?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারাসতের সভায় যাওয়ার কথা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সন্দেশখালির এক মহিলার কাছে পুলিশ আসে। তাঁর বক্তব্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে আচমকাই হাজির হয় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার পুলিশ। আমাকে একটি কাগজ দিয়ে তাতে সই করে দিতে বলে পুলিশ। কাগজে কী লেখা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করি। কিন্তু, তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, কাগজে কী লেখা আছে, তা পড়ার সময়টুকুও দেওয়া হয়নি। একপ্রকার জোর করে কাগজে সই করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে, আইনজীবীকে বিষয়টি জানাই। তাঁর মাধ্যমে জানতে পারি, ১০ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা বয়ান রেকর্ডের জন্যই পুলিশের এই সমন। এসব বাধা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমরা যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বারাসত কাছারি ময়দানে মোদির সভাস্থলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: বারাসত কাছারি ময়দানে মোদির সভাস্থলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসাতে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পৌঁছে গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আজ বিকেলে রাজ্যে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাত্রি বাস করবেন রাজভবনে। আগামীকাল কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত রোড শো করবেন তিনি। এরপর কাছারি ময়দানে জনসভা করবেন। এই সভার প্রস্তুতিকে ঘিরে বিজেপির ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। একাধিক বিষয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি।

    কী বলেলেন অভিষেক সম্পর্কে (Sukanta Majumdar)?

    বারাসতে পৌঁছে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “প্রত্যেকবার আমেরিকা বা ইউরোপে যেতে গেলে দুবাই হয়ে কেন যান? সন্দেহ তৈরি হয়েছে। দুবাই কানেকশন কেন বার বার আসে? টাকা রাখতে গেলে দুবাই, বান্ধবী রাখতে গেলে রাশিয়ান বান্ধবী। বাংলা-ভারতের কথা কেন আসেনা? এক একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী ভারতীয়। তৃণমূলের মধ্যে এখন শ্যাম এবং অর্জুন নিয়ে বিবাদ চলছে। ওরিজিনাল শ্যাম বা কৃষ্ণ বিজেপিতে আছে, তাই সকলকে বিজেপিকে বেছে নিতে হবে।”

    কটাক্ষ মমতার গ্যারান্টিকে

    মমতাকে আক্রমণ করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “মোদি, রাজনীতিতে এমন একটি নাম, যাঁকে সকলে অনুসরণ করেন। তাঁর দেখানো গ্যারান্টির কথাই বলছেন মমতা। গত ১৩ বছরে মমতার গ্যারান্টি হল দুর্নীতির গ্যারান্টি। বাংলায় এতো দুর্নীতি এবং চুরি হয়েছে যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সক্রিয় হবেই। নির্বাচনের সময়ে সক্রিয় অবশ্যই হবে, কারণ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। দুর্নীতিগ্রস্থ লোকদের গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। প্রাক্তন সংসদ মহুয়াকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকে ঠিক করেছে। সাংসদ পদ গেলেও এলাকায় নীল বাতির গাড়ি করে ঘুরছেন। মমতাকে উপদেশ দিচ্ছেন, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোটে জয়ী হতে হবে। এই কথার ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশিত হবে। তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘কেউ বারণ করলেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব’, বললেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    Sandeshkhali: ‘কেউ বারণ করলেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব’, বললেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বারাসতে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সভায় রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে মহিলারা অংশগ্রহণ করবেন। আর ভার্চুয়ালি দেশের কোটি কোটি মহিলাদের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। বারাসত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। প্রধানমন্ত্রীর সভায় নির্যাতিতারা যাবেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কথা জানাবেন বলে ঠিক করেছেন।

    কী বললেন নির্যাতিতা? (Sandeshkhali)

    প্রায় দু’মাস ধরে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) উত্তপ্ত ছিল। জমি দখল, বাড়ি ভাঙচুর, মহিলাদের ধর্ষণ, শ্লীলতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ঝাঁটা হাতে পথে নেমেছিলেন গ্রামের মেয়েরা। কখনও রাজ্যপালের কাছে, কখনও মহিলা কমিশন বা এসসি-এসটি কমিশনের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। আগামী ৬ মার্চ বুধবার বারাসতে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্দেশখালির পাঁচজন নির্যাতিতাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারাসতের সভায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই পরিকল্পনা বানচাল করতে চাইছে তৃণমূল। যদিও সে কথা উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সন্দেশখালির এক নির্যাতিতা বলেন, “এতদিন মুখ বুঝে অত্যাচার সহ্য করেছি। থানায় গিয়েছি, আমাদের অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের জেলায় প্রধানমন্ত্রী আসছেন। সেই সুযোগ হাতছাড়া করব না।” আরও এক নির্যাতিতা জানালেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব। কেউ বারণ করলেও যাব। এমনকী আমাদের কাছে চাপ এলেও যাব। এত বছর ধরে আমাদের মতো মহিলাদের সঙ্গে কী কী হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীকে বলব।”

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত ১১ কিমি রোড শো করবেন মোদি

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি যদি চাপ দেয়, তাহলে তাঁরা যাবেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা কোনও ভয় দেখাইনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মোদির বারাসতের সভাকে জাতীয় কর্মসূচি বানানোর লক্ষ্য বিজেপি-র, হল ভূমি পুজো

    Narendra Modi: মোদির বারাসতের সভাকে জাতীয় কর্মসূচি বানানোর লক্ষ্য বিজেপি-র, হল ভূমি পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী আগামী ৬ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বারাসতের কাছারি ময়দানে সভা করবেন তিনি। সেই সভার মঞ্চ তৈরির আগেই সোমবারব ভূমি পুজোর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মঙ্গল কামনা করে শুরু হল প্রস্তুতিপর্ব।

    প্রস্তুতি বৈঠক করা হয় (Narendra Modi)

    সভাস্থলে বোম্ব স্কোয়াড ও পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। বারাসত থানার পক্ষ থেকে গোটা কাছারি মাঠটিকে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দু-দিনের বঙ্গ সফর করেছেন নরেন্দ্র মোদি। ১ তারিখ আরামবাগ ও ২ তারিখ কৃষ্ণনগরে সভা করেন তিনি। ৬ মার্চ বুধবার বারাসতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তার প্রস্তুতি বৈঠকে মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা, রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ‍্য মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনি পাত্র সহ একাধিক মহিলা সংগঠকরা ছিলেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভার আগে বারাসত কাছারি ময়দানে খতিয়ে দেখেন রাজ্য নেতৃত্ব। মহিলাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে যে সব প্রকল্প রয়েছে  সেই বিষয়ে সভায় আলোচনা হবে বলে জানালেন  মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা। সাংবাদিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের কয়েক কোটি মহিলাদের বিশেষ আর্থিক সুবিধার কথা জানাবেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের।

     প্রধানমন্ত্রী এসে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা (Narendra Modi)

    বারাসতের পাশের লোকসভা বসিরহাট। বসিরহাট কেন্দ্রের মধ্যেই রয়েছে সন্দেশখালি। এই সন্দেশখালির মাটিতে শাহজাহান বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছিল। সুন্দরী মহিলাদের পার্টি অফিসে ডেকে নির্যাতন চালানো হত। বুধবারে প্রধানমন্ত্রী বারাসতে সভা করতে এসে সন্দেশখালি নির্যাতিতা মহিলাদের জন্য কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন। নির্যাতিতাদের অনেকে সভায় আসতে পারেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ১০ বছরে রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশে মহিলাদের যে উন্নয়ন হয়েছে। সেই বিষয় তুলে ধরা হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে মহিলারা এই সমাবেশে যোগ দেবেন। ভার্চুয়ালি সারা দেশের মহিলারা যুক্ত হবেন এই সভায়। তাই, মহিলাদের জন্য মোদি কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে মহিলা মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা বলেন, গত ১০ বছরে মোদিজীর নেতৃত্বে মহিলাদের জন্য যা কাজ করা হয়েছে, এর আগে কোনওদিন হয়নি। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, ‘লাখপতি দিদি’-মতো অভিনব প্রকল্প রয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক। এই রাজ্যের মহিলাদের কাছে আবেদন এই সভায় সকলেই আসার অনুরোধ রইল। ভার্চুয়ালি কোটি কোটি মহিলা এই সভায় যোগ দেবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও দূরপাল্লার ট্রেন চালু হল

    Siliguri: শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও দূরপাল্লার ট্রেন চালু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী চালু হল ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সে যোগবাণী থেকে শিলিগুড়ি (Siliguri) টাউন এক্সপ্রেস চালু করেন। সোমবার থেকে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন পর্যন্ত এই ট্রেনটির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হল যোগবাণী থেকে। সপ্তাহে পাঁচদিন সোম, মঙ্গল বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার করে চলবে এই ট্রেন। যোগবাণী থেকে সকাল ৫:৪০ মিনিটে ছেড়ে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে পৌঁছবে দুপুর দেড়টায়। ওইদিনই শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে বিকেল ৪ :৫০ মিনিটের ছেড়ে যোগবাণীতে পৌছবে রাত্রি ১২ টা ১৫ মিনিটে। 

    স্বামী বিবেকানন্দ, বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন (Siliguri)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) তথা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগের দার্জিলিং মেল স্বাধীনতার আগে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে চলত। ১৮৮১ থেকে দার্জিলিং মেল চালু হয়। তখন থেকেই দেশ বিদেশের স্বনামধন্য অনেক মানুষ এই শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে এসেছেন। ওয়েটিং রুমে কিছু সময় কাটিয়ে টয়ট্রেনে চেপেছেন। কে নেই সেই তালিকায় কোচবিহারের মহারাজা থেকে শুরু করে নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  এই স্টেশনে অনেকবার এসেছেন বিশ্বকবি। আমেরিকার বিশ্ব বরেণ্য সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন, স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, বাঘাযতীন এই স্টেশন দিয়েই দার্জিলিং ও কার্শিয়াঙে গিয়েছেন। গান্ধীজীও এসেছেন। এই তালিকা আরও দীর্ঘ।

    অবহেলায় ছিল টাউন স্টেশন!

    অনেক বরেণ্য ব্যক্তির স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই স্টেশনের সঙ্গে। কিন্তু, দীর্ঘ উপেক্ষা ও অবহেলায় সেই কৌলিন্য হারিয়ে টাউন স্টেশন চত্বর দুষ্কৃতী ও নেশাখোরদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে। শহরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভ্রমণ লেখক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, যে স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাতে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনের এই ভগ্নদশা দু:খজনক। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েও টাউন স্টেশনকে হেরিটেজ ও সংরক্ষণ করতে পারেননি। যোগবাণী- শিলিগুড়ি (Siliguri) টাউন স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালু হওয়ায় আমরা আলো দেখতে পাচ্ছি। এবার হয়ত এই ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্টেশন তার কৌলিন্য ফিরে পাবে।

    কী বলছে বিজেপি?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন জবর দখলে ধুঁকছে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা এই স্টেশনের কথা ভাবেননি। বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ ও পরিষেবার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে রেল মন্ত্রক শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনকে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এই স্টেশনটি মহিলা পরিচালিত হয়েছে ২০১৯ সালে। এবার দূরপাল্লার ট্রেন চলবে এখান থেকে। আগামীতে আরও উন্নতি হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য আমেথি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য তিনি ভোটে দাঁড়ান একদা কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত আমেথি কেন্দ্র (Loksabha Vote) থেকে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সেবার জোর টক্কর দেন তিনি। হারেন অল্প ব্যবধানে। ২০১৯ সালে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পরাস্ত হন স্মৃতি ইরানির কাছে, আমেথি কেন্দ্র থেকে। প্রসঙ্গত, আমেথিতে নিজের জন্য একটি বাড়িও তৈরি করেছেন স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি সেই বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন স্মৃতি।

    একদা কংগ্রেসের গড় আমেথির পতন

    জানা যায়, ১৯৬৭ সালে আমেথি লোকসভা কেন্দ্র তৈরি হয়। পরবর্তীকালে যা হয়ে ওঠে গান্ধী নেহেরু পরিবারের ঘাঁটি। ইন্দিরাপুত্র সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী প্রত্যেকেই আমেথি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু ২০১৯ সালেই সেই গড় মোদি ঝড়ে কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হন রাহুল গান্ধী।  রাহুল গান্ধী প্রথমবার জন্য আমেথিতে আত্মপ্রকাশ (Loksabha Vote) করেন ২০০৪ সালে। এবং সে বছর ভালো ব্যবধানে জেতেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রথম বারের জন্য তাঁর জয়ের মার্জিন অনেকটাই কমে যায়। পরাস্ত হন ২০১৯ সালে। তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় (Loksabha Vote) ফেরা সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে দেশজুড়ে বইছে গেরুয়া ঝড়। এক্ষেত্রে আমেথি কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    শনিবার বিজেপি প্রকাশ করে ১৯৫ প্রার্থীর নাম

    বিজেপি শনিবার যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ঠাঁই হয়েছে ৩৪জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। প্রার্থী করা হয়েছে ৪৭ জন তরুণ তুর্কিকেও। এদিন গেরুয়া শিবিরের যে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২৮ জন মহিলাও রয়েছেন। এই ১৯৫ জন প্রার্থী ১৬টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: ‘‘তৃতীয়বারের জন্য কাশীর ভাই ও বোনেদের সেবা করতে আমি উদগ্রীব’’, বললেন মোদি

    Loksabha Vote: ‘‘তৃতীয়বারের জন্য কাশীর ভাই ও বোনেদের সেবা করতে আমি উদগ্রীব’’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সন্ধ্যায় প্রার্থী তালিকা (Loksabha Vote) প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানেই দেখা যাচ্ছে বারাণসী থেকে তৃতীয়বারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রীর এদিন কৃতজ্ঞতা জানালেন কাশীর সাধারণ মানুষকে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘তৃতীয়বারের জন্য কাশীর ভাই ও বোনেদের সেবা করতে আমি উদগ্রীব।’’

    বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ হয়েছে কাশীর উন্নয়নের জন্য

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিজেপি নেতৃবৃন্দকে (Loksabha Vote) এবং তার সঙ্গে কোটি কোটি নিঃস্বার্থ পার্টি কর্মীকেও প্রণাম জানাচ্ছি। যাঁরা আমার ওপরে অবিচল বিশ্বাস রেখেছেন। তৃতীয়বারের জন্য কাশীর ভাই ও বোনেদের সেবা করতে আমি উদগ্রীব। ২০১৪ সালে আমি যখন কাশিতে গিয়েছিলাম, তখন আমি সেখানে জনগণের স্বপ্নপূরণ এবং দরিদ্র জনগণের ক্ষমতায়নের কথা বলেছিলাম।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ হয়েছে কাশীর উন্নয়নের জন্য। কাশীর মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ হয়েছে।’’

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি তাঁর অন্য আরেকটি এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লিখেছেন, তাঁরা মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাচ্ছেন, তাঁদের বিগত ১০ বছরের ট্র্যাক রেকর্ডের ভিত্তিতে (Loksabha Vote)। সুশাসনের ভিত্তিতে।

    শনিবারই বিজেপির ১৯৫ আসনের প্রার্থী ঘোষণা, চাপে ইন্ডি জোট?

    প্রসঙ্গত শনিবারই বিজেপি প্রথম দফায় (Loksabha Vote) ১৯৫ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। লোকসভার নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেল। এককথায় যা নজিরবিহীন। এখানে বিরোধীরা জোর ধাক্কা খেলো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। কারণ ইন্ডি জোট নিয়ে এমনিতেই শুরু হয়েছে জট। তারপরে প্রার্থী নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। সেই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা যখন প্রার্থী স্থির করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন একসঙ্গে ১৯৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা ভোটের আগে, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে”, তোপ মোদির

    PM Modi: “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের একজন নেতা মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নির্বিকার। বাবা ভোলেনাথে নগরী ভগবান শিব এবং আরামবাগের মাটির মহান সুপুত্র রাজা রামমোহন রায়কে স্মরণ করে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, এই মাটি থেকে রাজা রামমোহন রায় নারী সম্মানের জন্য লড়াই শুরু করেছিলেন। সেই বাংলার মাটিতে মা বোনের ইজ্জত এবং সম্মান লঙ্ঘিত হচ্ছে। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে। গোটা দেশ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, দুঃসাহসের সব সীমা পার করে ফেলেছেন তাঁরা। বাংলায় এসে সন্দেশখালি ইস্যুতে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শাহজাহানকে দুমাস সুরক্ষা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন মোদির (PM Modi)

    হুগলি আরামবাগ সভা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সন্দেশখালি ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে বাংলার মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, প্রায় দুমাস ধরে মহিলাদের সম্মান এবং ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা তৃণমূল নেতা বেপাত্তা ছিল। তাঁকে এতদিন কে সুরক্ষা দিচ্ছিল সেই প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মা বোনের আন্দোলন এবং বিজেপির চাপে বাংলার পুলিশ নতিস্বীকার করে তাকে (শেখ শাহজাহান) ধরতে বাধ্য হল। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য বাংলার গরিব, চাষি, যুবসমাজ এবং মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকাআর্জুন খাড়গে কে একহাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যখন বাংলার সন্দেশখালিতে মা বোনের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছিল তখন এই ইন্ডি জোটের নেতারা কী করছিলেন? কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি বলেছেন, বাংলায় এইরকম ছোটখাট ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।

     সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তার বদলা নেবেন তো?

    শুক্রবার আরামবাগে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মঞ্চে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য চেয়ে সন্দেশখালির মহিলারা কী পেয়েছেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন মোদী। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার কৃতিত্ব যে আসলে বিজেপির, সে কথাও উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।  শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার কৃতিত্ব যে আসলে বিজেপির, সে কথাও উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তার বদলা নেবেন তো?’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “তৃণমূলের অহংকার শেষ করবেন মুসলিম মা-বোনেরাই”, তোপ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূলের অহংকার শেষ করবেন মুসলিম মা-বোনেরাই”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলের অহংকার শেষ করবেন মুসলিম মা-বোনেরাই।” কার্যত এই ভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই বক্তব্যে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের উপর আক্রমণ করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশের মানুষ। আজ হুগলির আরামবাগ থেকে তিনি রাজ্য জুড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ক্রমবর্ধমান অত্যাচার, নির্যাতন এবং নিগ্রহের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করলেন। একই ভাবে শাসক দলের কাছে রাজ্যের নারী সুরক্ষার বিষয়ে মা মাটি সরকারের কাছে প্রশ্ন তুললেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্দেশখালিতে মহিলাদের যৌনশোষণের বিরুদ্ধে আজ সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিলেন মোদি।

    কী বললেন মোদি (Narendra Modi)?

    আজ শুক্রবার হুগলির আরামবাগের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূলের একটাই অহংকার যে ওঁদের কাছে একটা বিশেষ ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। এবার এই অহংকারের পতন ঘটবে। মুসলিম মা-বোনেরা তৃণমূলকে উৎখাত করবে। আগামী লোকসভার ভোটেই বিদায়-ঘণ্টা বাজতে চলেছে।” রাজ্যে তৃণমূলের কাছে মুসলিম ভোট একটি চর্চার বিষয়। কিন্তু মমতার অপশাসনে এবার এই ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরবে।

    মুসলমান তোষণ করেন মমতা

    রাজ্যে ইমামভাতার মতো অতিরিক্ত সুবিধাগুলি তৃণমূল সরকার কেবল মাত্র মুসলমান ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই করছেন মমতা। এই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরেই করে আসা হচ্ছে। মমতা নিজে ইফতার, ঈদ থেকে নামাজ পর্যন্ত একাধিক বিষয়ে মুসলমানদের অপেক্ষাকৃত বেশি প্রধান্য দিয়ে থাকেন। অপেক্ষাকৃত হিন্দু ধর্মীয় উৎসবে আক্রমণ হলে চুপ থাকেন তিনি। এই বিষয়ে শুভেন্দু বার বার মমতাকে ‘জালি হিন্দু’ বলেছেন। যদিও মমতা নিজে বিরোধীদের এই সব বিষয়ে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। মুসলমান তোষণের অভিযোগের কথা বার বার হিন্দু সংগঠনগুলিও করে থাকে মমতার বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে লোকসভার পর ভোট পরবর্তী হিংসার বন্ধ না করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খাওয়া ভালো।” এদিন লোকসভার আগে ফের একবার মোদি (Narendra Modi) বললেন, “সংখ্যালঘু ভোট আর থাকবে না তৃণমূলের।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘গরিবের টাকা লুট হতে দেব না’, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা মোদির

    Narendra Modi: ‘গরিবের টাকা লুট হতে দেব না’, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, পুর-নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন সামগ্রী বন্টনে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। তৃণমূল মন্ত্রীদের বাড়িতে টাকার পাহাড়। এত টাকা সিনেমাতেও দেখা যায় না। বাংলা জুড়ে তৃণমূল দুর্নীতি করেছে। সারা বাংলা জুড়়ে কেলেঙ্কারি। শুক্রবার আরামবাগে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তৃণমূলকে এভাবেই তুলোধনা করলেন। তিনি বলেন, মোদি এই দুর্নীতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই তৃণমূলের শত্রুতে পরিণত হয়েছে মোদি। গরিব মানুষের টাকা লুট হতে দেবে না মোদি। তৃণমূলের কাছে অহংকার রয়েছে, তাঁদের নিশ্চিত ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কও এবার  চলে যাবে। আমরা তৃণমূলের হামলা, গালাগালিকে ভয় পাই না।

    ৪২ এ ৪২ আসনে পদ্ম ফোটানোর আশীর্বাদ চান মোদি (Narendra Modi)

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদি (Narendra Modi) বলেন, “সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা দেখে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, তাতে দুঃসাহসের সব সীমা পার হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা মুখ খুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছেন। বদলে কী পেয়েছেন? বিজেপি নেতারা মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, “বাংলায় যে তৃণমূল সরকার মা, মাটি, মানুষের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই সরকারের শাসনে মা মাটি এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তৃণমূল সরকারকে দুর্নীতি এবং ঘোটালাবাজ সরকার বলে সম্বোধিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে চাকরি ঘোটালা থেকে শুরু করে শিক্ষা দুর্নীতি আবাস যোজনা দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরিবদের বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি সঙ্গে জর্জরিত। এই তৃণমূল সরকারকে বাংলা থেকে উৎপাত করার প্রয়োজন। তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মা বোনের কাছে ৪২ এ ৪২ আসনে পদ্ম ফোটানোর আশীর্বাদ চান।’

    বাংলায় রেলের উন্নয়ন নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবার পশ্চিমবঙ্গে রেলের উন্নয়নের জন্য ১৩ হাজার কোটির বেশি বরাদ্দ করেছে। ২০১৪-র আগে যে বাজেট ছিল, এটা তার তিনগুণ। রেল লাইনের কাজ, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা ও স্টেশনের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। অমৃত ভারত প্রকল্পে বাংলার ১০০টি স্টেশনের চেহারা বদলে যাবে। তারকেশ্বর স্টেশন তার মধ্যে অন্যতম। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১০ বছরে ১৫০-টির বেশি নতুন ট্রেনের পরিষেবা শুরু হয়েছে বাংলায়। চালু হয়েছে ৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share