Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: “আব কি বার ৫০ শতাংশ ভোট পার”, প্রচারের সুর বাঁধলেন মোদি

    PM Modi: “আব কি বার ৫০ শতাংশ ভোট পার”, প্রচারের সুর বাঁধলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আব কি বার ৫০ শতাংশ ভোট পার।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের জন্য এই সুরই বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি স্লোগান বেঁধে দিয়েছিলেন, “আপ কি বার, মোদি সরকার।” এবার তৈরি করলেন নয়া স্লোগান। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বার মোদির নেতৃত্বে নির্বাচনী ময়দানে হাজির হচ্ছে গেরুয়া শিবির।

     ‘৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে’

    নতুন বছরের মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। সেজন্য ইতিমধ্যেই আস্তিন গোটাতে শুরু করেছে বিজেপি। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বসেছে দলীয় কর্মকর্তাদের বৈঠক। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে যত ভোট পড়বে, তার অন্তত ৫০ শতাংশ বিজেপির পাওয়া প্রয়োজন।” উল্লেখ্য যে, গত লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছিল ৩৭.৩৬ শতাংশ ভোট। বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০৩টি আসন।

    বাতলে দিলেন জয়ের কৌশলও

    পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর, ঘণ্টা চারেক ধরে চলা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একাই বক্তব্য রাখেন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে। তিনি বলেন, “বিজেপি যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায়, তাহলে জয় আরও নিশ্চিত হবে।” কীভাবে এত ভোট পাওয়া যাবে, তাও বাতলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমজনতার কাছে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচার করতে হবে। যে চারটি বিষয়ে জোর দিতে হবে, সেগুলি হল, মহিলাদের জন্য মোদি সরকার কী কী করেছে, কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নে সরকার কী কী প্রকল্প রূপায়ন করেছে, যুব সমাজের কর্মসংস্থানে সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে এবং দারিদ্র দূরীকরণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ।”

    আরও পড়ুুন: এবার আমেরিকার মন্দিরের গায়েও খালিস্তানপন্থী স্লোগান, নেপথ্যে পান্নুনের সংগঠন!

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতপাতের রাজনীতি নয়, দারিদ্রকে সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে প্রচার করতে হবে। বিরোধীদের নেতিবাচক প্রচারের ফাঁদে পা দিয়ে উন্নয়নের প্রচারের অভিমুখ থেকে সরলে চলবে না।” প্রচারের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেও বিজেপির কর্মকর্তাদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রতি মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর দিতে হবে। যুব সম্প্রদায়কে আকর্ষণ করতে ইনস্টাগ্রামে রিল ব্যবহার করতে হবে।” দু’ দিনের এই বৈঠকের শেষ দিন শনিবার। এদিন বক্তব্য রাখার কথা (PM Modi) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা।” ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “অন্যান্য দেশের চেয়ে এ দেশে ভালো রয়েছেন মুসলিমরা। তাঁরা এখানে স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন। এদেশে সুখে-সমৃদ্ধিতে রয়েছেন। এর অর্থ হল, ভারতীয় সমাজ কোনও ধর্ম কিংবা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে না।”

    বৈষম্যমূলক আচরণ নেই

    এ প্রসঙ্গে ভারতে বসবাসকারী অতি সংখ্যালঘু পার্শিদের কথাও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পার্শিরা এ দেশে আর্থিক সাফল্য পেয়েছেন। সুখে-শান্তিতে বাস করছেন।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রায় ২০ কোটি মুসলমান রয়েছেন। শতাংশের হিসেবে তাঁরা মোট জনসংখ্যার ১৪.২৮। ভারতে যে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক কোনও আচরণ করা হচ্ছে না, তা জুন মাসে রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় গিয়ে বুক বাজিয়ে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২৩ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে বসবাসকারী মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে কী কী পদক্ষেপ তিনি করেছিলেন। তাঁদের বাক স্বাধীনতাও এদেশে রক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    দেশে রয়েছে বাক স্বাধীনতা 

    গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গ উত্থাপন হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে তো বাক স্বাধীনতা রয়েছে। কাগজে, টিভি চ্যানেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায়, ভিডিও, ট্যুইট-বার্তায় তাঁরা তো এসব নিয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতেই পারেন। তাঁদের এই অধিকার রয়েছে। তাঁদের মতো অন্যদেরও তো এমনই অধিকার রয়েছে।” তিনি বলেন, “১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের সময় ব্রিটিশরা ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক ভবিদ্ব্যবাণী করেছিল। আমরা দেখেছি, সেসবই মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও মিথ্যে প্রমাণ করব।”

    আরও পড়ুুন: “ভোটের আগে ললিপপ”! চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের সময় সে প্রসঙ্গও ওঠে। সে প্রসঙ্গ টেনেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “জয়ের ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। ভারতের সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনের মনোন্নয়ন হওয়ায় ধন্যবাদ সবাইকে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রবিবার রাতে ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?

    Amit Shah: রবিবার রাতে ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রবিবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা যাচ্ছে। আগামী লোকসভা ভোটের আগে প্রস্তুতি বৈঠক করতেই তিনি আসছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে তিনি আসবেন এবং সোমবার সারাদিন থাকবেন বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে। যদিও শেষ মুহূর্তে তাঁর এই সফরসূচি পরিবর্তন হতে পারে, এমন আভাসও মিলেছে।

    দিল্লিতে শুরু বিজেপির বৈঠক (Amit Shah)

    আগামীকাল শুক্রবার থেকেই দিল্লিতে বিজেপির বিশেষ বৈঠক শুরু হচ্ছে। এই বৈঠক মূলত সাংগঠনিক। এখানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে আলোচনা হবে প্রত্যেক রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে। উল্লেখ্য, সামনেই লোকসভার নির্বাচন। তাই রণকৌশল ঠিক কী হবে, তার আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী নির্বাচনে রাজ্যগুলিতে কীভাবে বিজেপি প্রচার অভিযান করবে, সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপরেই বঙ্গে অমিত শাহের (Amit Shah) সফরকে নির্বাচনী রণকৌশলের অঙ্গ বলেই মনে করছেন রাজনীতির বিশ্লেষকেরা।

    রাজ্যে ফের অমিত শাহ

    সূত্রের খবর, রাজ্যগুলিতে বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা এবং প্রচার কাজের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যে ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। ফলে এবারও বিজেপি পাখির চোখ করেছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভার কেন্দ্রকে। আগামী রবিবার তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ (Amit Shah) ফের কলকাতায় আসছেন। সোমবার দিনভর বৈঠক করবেন। দলের ঠিক কী অবস্থা, সাংগঠনিক দুর্বলতা কোথায় কোথায় রয়েছে, সংগঠনের ভিতরে আরও কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন, দলের মধ্যে কোনও রদবদল দরকার কিনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, শুধু বঙ্গ নয়, আরও অনেক রাজ্যে লাগাতার যাবেন তিনি। পাশপাশি সময় অনুসারে বিজেপির দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এমন অনেক বৈঠক করবেন। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভার নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নাবালিকার মুখে হিন্দুস্তান-প্রশস্তি, ‘কবি-বন্ধু’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: নাবালিকার মুখে হিন্দুস্তান-প্রশস্তি, ‘কবি-বন্ধু’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে অকুতোভয় এক নাবালিকা। গড়গড়িয়ে বলে যাচ্ছে কবিতা। মোহিত হয়ে শুনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আবৃত্তি শেষে ‘জয় মোদি’, ‘জয় হিন্দুস্তান’ বলে শেষ করে কবিতা। ছোট বালিকার এই প্রতিভায় মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী। প্রশংসা করেন তার। শুরু হয় আলাপচারিতা। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কি সবজি খাও?” প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’টি ‘হ্যাঁ’ বলায় তিনি ফের প্রশ্ন করেন, “সব সবজি খাও?” এবারও ‘হ্যাঁ’ বলায় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, “নিশ্চয় এমন কিছু সবজি রয়েছে, যা তুমি খেতে পছন্দ কর না।” নাবালিকাটি জানায়, সে করলা খেতে পছন্দ করে না মোটেই।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘কবি-বন্ধু’

    দু’ দিনের সফরে রবিবার বারাণসী  গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই বারাণসী তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র। রবিবার রোড-শো করার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কনভয় থামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকে পথ ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভাইরাল হওয়া সেই ছবির অমলিন স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই ফের এক মন ভাল করা ছবির কোলাজ। বারাণসীর এই বালিকার হিন্দুস্তান-স্তুতি যে নাড়া দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে, তা পরিষ্কার। ইনস্টাগ্রামে বারাণসী-বালার সঙ্গে তাঁর সংক্ষিপ্ত কথোপকথনের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লিখেছেন, “বারাণসীতে এক বন্ধু সে বিজ্ঞান জানে এবং সে একজন মহান কবিও বটে।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে খুদে-স্তুতি

    প্রসঙ্গত, বারণসীতে কর্মসূচির ফাঁকেই একটি প্রদর্শনীতে ঢুঁ মারেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীকে গাছপালা ও সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বোঝায়। এটা বোঝাতে গিয়েই সে শুনিয়েছে কবিতা। তার পরেই খুদে বন্ধুর প্রশস্তি প্রধানমন্ত্রীর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে। বারাণসীতে এদিন প্রধানমন্ত্রী সূচনা করেছেন ৩৭টি প্রকল্পের। শহর ও পূর্বাঞ্চল মিলিয়ে ১৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। সূচনা করেন কাশী-তামিল সঙ্গমের। কন্যাকুমারী থেকে বারাণসী পর্যন্ত একটা ট্রেনেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন কাশীতে রোড শো-ও করেন প্রধানমন্ত্রী। সূচনা করেন ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’ প্রদর্শনীর। অনুষ্ঠানটি হয়েছে কাটিং মেমোরিয়াল ইন্টার কলেজ মাঠে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে আলাপ হয় ওই নাবালিকার।

    আরও পড়ুুন: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘সেবাই বিজেপির মূলমন্ত্র’ রক্তদান শিবিরে কর্মীদের বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘সেবাই বিজেপির মূলমন্ত্র’ রক্তদান শিবিরে কর্মীদের বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কলকাতা উত্তর শহরতলী সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে আগরপাড়ায় যোগদান করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রক্তদান শিবিরে স্বেচ্ছায় আসা রক্তদাতাদের উৎসাহিত করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “করোনার সময় ভারত সরকার যা পরিষেবা দিয়েছে সমান্তরাল ভাবে জেপি নাড্ডা সাংগঠনিক ভাবে একই সেবার কাজ করে গিয়েছেন। দলের কর্মীরা সেই কাজে হাতে হাত মিলিয়েছেন। আমাদের কাছে সেবাই হল সংগঠন, তাই বিজেপির মূলমন্ত্র হল মানবসেবা। দলের কাছে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর সময় পর্বের একটা নির্দিষ্ট সেবার অভিমুখ রয়েছে।” সেই সঙ্গে রক্তদান শিবিরে বিজেপি কর্মীদের সেবামূলক কাজে উৎসাহ দিলেন তিনি।

    সেবা মূলক কাজে উৎসাহ দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রক্তদান শিবিরে যোগদান করে সেবা কাজে উৎসাহ দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিজেপি শুধু ভোট চায় না, কেবল আন্দোলন করে না। মানুষের জন্য রাস্তায় কাজ করে। গাছ লাগায়, ময়লা পরিষ্কার করে, জঙ্গল কাটে আবার দিব্যাঙ্গদের সহায়ক যন্ত্রও বিতরণ করে। এছাড়াও সাফাই স্বচ্ছতার কাজ করে, ড্রেনে ব্লিচিং-ফিনাইল দেয়, এক কথায় মানুষের যথার্থ সেবা কাজ করে বিজেপি। বিজেপি সংগঠনের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে বলা হয়েছিল, যুব মোর্চাকে ৫ হাজার বোতল রক্ত দিয়ে সেবা কাজ করতে হবে রাজ্যে। ঠিক যে সময় সারা দেশে রক্ত সরবরাহ কম থাকে, তাই সেই সময় রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকার কথা বলা হয়েছে।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঢাক খুব পেটান। কেন্দ্রের রেশনের চাল, আটা, গমের বস্তায় খাদ্য সাথীর ছাপ ব্যবহার করে মানুষের চোখে ধুলো দিচ্ছেন। বিজেপি কখনই ঢাক পেটায় না। আমাদের যুব মোর্চার কর্মীরা রাজ্যের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে ৮ থেকে ১০ হাজার বোতল রক্ত দিয়েছে। ২০২১ সালের নির্বাচনে আমাদের আরও ভাল ফল হতো। কিন্তু কোভিডের কারণে আমাদের প্রচার কম হয়েছে। মোদি জী আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মানুষের জীবন আগে তাই আমরা সীমিত পরিসরে প্রচার প্রসার করেছিলাম। ক্ষমতা আমাদের কাছে বড় বিষয় নয় আগে মানুষের জীবন।

    ডায়মন্ড হারবার নিয়ে অভিষেককে তোপ দেগে শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, “২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি গণতন্ত্র লুট হয়েছে ডায়মন্ড হারবারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের একজন বিরোধীরাও মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। ২০১৯ সালের লোকসভার ভোটে ১৩০০ বুথ দখল করে ৩ লক্ষ ভোটে জয়ী হয়েছেন কয়লা ভাইপো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পে।।

  • Gita Path: মোদির উপস্থিতিতে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কি এবার গিনেস বুকে রেকর্ড গড়বে?

    Gita Path: মোদির উপস্থিতিতে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কি এবার গিনেস বুকে রেকর্ড গড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ (Gita Path) বঙ্গের জন্য ব্যাপক চমক। সারাসরি কোনও রাজনৈতিক যোগ না থাকলেও এই কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গে হিন্দুত্ব জাগরণের এক নয়া ফলক নির্মিত হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গীতাপাঠের আসরে যোগদান করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ ভাবে থাকবেন দ্বারকা মঠের বর্তমান শঙ্করাচার্য স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী। এছাড়াও থাকবেন অন্য রাজ্যের আরও বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা।

    ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে’র আসরকে ঘিরে বিশ্ব রেকর্ডের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, উপস্থিত থাকবেন ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এর প্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে নজর রাখতে উপস্থিত থাকবেন আরও কিছু বিদেশী সংস্থা। এক সঙ্গে এত মানুষের সমাগমে গীতাপাঠ আগে হয়েছে কি না, কেউ মনে করতে পারছেন না। ফলে সার্বিক ভাবে সাফল্য পেলে বিশ্ব রেকর্ড গড়বে বঙ্গের এই গীতাপাঠ।

    কী বললেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি?

    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ বলেন, “ওই দিন ব্রিগেডে যে গীতাপাঠ অনুষ্ঠিত হবে, তা বিশ্বের কোথাও কোনও দিন হয়নি। এই বিপুল মানুষের সমাগমে গীতাপাঠ (Gita Path) বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করবে।” আবার আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বসন্ত শেঠিয়া বলেন, “গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-সহ আরও বেশ কিছু সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংস্থা আসবে বলে আমাদের নিশ্চিতও করেছে। বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হবে, তাই তাকে পরীক্ষা করাবার জন্য আমেরিকা সহ আরও নানা দেশ থেকেও প্রতিনিধিরা আসবেন।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রেকর্ড প্রমাণের জন্য আগে থেকে আবেদন করতে হয়। আর তাই আয়োজকরা ইতিমধ্যে ছয় মাস আগেই সমস্ত নিয়ম মেনে রেকর্ডের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করার কাজ করে আসছেন। এখন সাফল্যের অপেক্ষা মাত্র।

    গীতাপাঠের সঙ্গে আর কী কী হবে (Gita Path)

    অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ এবং মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশনের যৌথ উদ্যোগে এই গীতাপাঠের (Gita Path) অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানের প্রথমে লক্ষ কণ্ঠে গীতার শ্লোক পাঠ হবে, এরপর ২০ হাজারের বেশি শঙ্খ একসঙ্গে বাজানো হবে। এক লক্ষ কণ্ঠে গাওয়া হবে নজরুলের গান। অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেড় হাজারেরে বেশি সাধুসন্ত উপস্থিত থাকবেন গীতাপাঠের আসরে। এই পাঠ বিশ্ব রেকর্ডের তকমা পেতেও পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya: অযোধ্যায় চলছে ১৭৮ প্রকল্প, বরাদ্দ সাড়ে ৩০ হাজার কোটি, সৌর শহর হিসেবে গড়ে উঠছে রামনগরী

    Ayodhya: অযোধ্যায় চলছে ১৭৮ প্রকল্প, বরাদ্দ সাড়ে ৩০ হাজার কোটি, সৌর শহর হিসেবে গড়ে উঠছে রামনগরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে অযোধ্যাকে (Ayodhya) ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের যোগী সরকার এবং কেন্দ্রের মোদি সরকার। জানা গিয়েছে দুই সরকার মিলে এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। চলছে ১৭৮টি প্রকল্পের কাজ। পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সৌরশক্তি ভিত্তিক নগর হিসেবেও গড়ে তোলা হচ্ছে অযোধ্যাকে। এক্ষেত্রে সরকার ৮টি নীতি নিয়েছে, সেগুলি হল সাংস্কৃতিক অযোধ্যা, সক্ষম অযোধ্যা, আধুনিক অযোধ্যা, সুগম্য অযোধ্যা, সুন্দর অযোধ্যা, আবেগপূর্ণ অযোধ্যা, স্বচ্ছ অযোধ্যা ও আয়ুষ্মান অযোধ্যা।

    নয়া অযোধ্যা নির্মাণে সরকারের ৮ নীতি

    সাংস্কৃতিক অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে সারা ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে অযোধ্যাকে গড়ে তুলতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য। মঠ, মন্দির, আশ্রম এই সমস্ত কিছুই বানানো হচ্ছে এই নীতির আওতায়।

    সক্ষম অযোধ্যা

    নরেন্দ্র মোদি সবসময় আত্মনির্ভরতার কথা বলেন। সক্ষম অযোধ্যা মানে হল আত্মনির্ভর অযোধ্যা (Ayodhya)। চাকরি, পর্যটন সমস্ত ক্ষেত্রে অযোধ্যা যেন আত্মনির্ভর হয়।

    আধুনিক অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যাকে (Ayodhya) বিশ্বমানের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য।

    সুগম্য অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এর জন্য সেখানে তৈরি করা হচ্ছে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এর পাশাপাশি সরযূ নদীর জলপথকেও ব্যবহার করা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে।

    সুন্দর অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যার সৌন্দর্যায়নে দৃষ্টি দিচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। পুকুর জলাশয়ের পাশে বাগান  তৈরি করা হচ্ছে।

    আবেগপূর্ণ অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মের মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

    স্বচ্ছ অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্মার্ট সিটি হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে অযোধ্যাকে।

    আয়ুষ্মান অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যার সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। শহরে নাগরিকদের প্রভূত উন্নতি করা হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থায়।

    অযোধ্যার উল্লেখ মেলে পুরাণেও

    অত্যন্ত পুরাতন নগর বলে পরিচিত অযোধ্যার কথা পাওয়া যায় পুরাণ থেকে শুরু করে বেদ সর্বত্র। ভগবান রামের জন্মস্থান হিসেবেও তা প্রসিদ্ধ। ২০১৪ সালে মোদি সরকার আসার পর থেকেই অযোধ্যার উপরে বিশেষ দৃষ্টি দেয় কেন্দ্র সরকার। পরবর্তীকালে ২০১৭-তে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতাতেও আসে বিজেপি সরকার। সেই সময় থেকেই কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথভাবে অযোধ্যার উন্নয়নে দৃষ্টি দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির জন্য ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক ক্রমশ উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি এই মত প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশের স্বার্থে মোদির ‘কঠোর’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি।  সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে নিয়ে পুতিন বলেন, ‘ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক সবদিক দিয়েই আরও দৃঢ় হচ্ছে। এই নীতির সবথেকে বড় গ্যারান্টি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে।’

    কী বললেন পুতিন

    সম্প্রতি পুতিনের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রুশ নেতা হিন্দিতে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছেন। পুতিন নিজে অবশ্য হিন্দি বলেননি। রুশ ভাষায় তাঁর বলা কথাগুলি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়েছে। ওই ভিডিও-তেই মোদির নীতির প্রশংসা করেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, “সত্যি বলতে গেলে, ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তাঁর কঠোর অবস্থান দেখে মাঝে মাঝে আমি বিস্মিত হই।” তিনি জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তার ভিত্তিতেই তাঁর মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে বা ভয় দেখাতে পারে না। পুতিন বলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারি না যে মোদিকে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে ভারত ও ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা যেতে পারে। আমি জানি তাদের উপর এমন চাপ রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ভারত-রুশ সম্পর্কে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। তবে পশ্চিমী দেশগুলির চাপের মুখে মাথা নত করেনি মোদি সরকার। জ্বালানি তেল কেনা প্রসঙ্গে ভারত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, দেশের জনগণের স্বার্থে সস্তায় তেল পেলে, তা কেনা হবেই। এমনকী যুদ্ধের সমালোচনা করলেও রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটাভুটি থেকে ধারাবাহিক ভাবে বিরত থেকেছে ভারত। দিন কয়েক আগেই, ভারত-রুশ সম্পর্ক নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, এই সম্পর্ক ভারতকে অতীতে বহুবার বহু সমস্যা থেকে রক্ষা করেছে। এই আবহে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে ফের ভারত বন্দনা শোনা গেল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি-নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পুতিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার প্রত্যক্ষ করেছেন দেশবাসী। মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান— সর্বত্র আজ রাজ করছে গেরুয়া ঝান্ডা। এর মধ্যে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই দুই রাজ্যে শাসক কংগ্রেসকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিন রাজ্যে বিপুল জয়লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই জয়ের নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ্য নেতৃত্ব ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের সংগঠিত লড়াই। বিজেপি একদিকে যখন এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন যেন ‘মোদি-ঝড়ের’ গ্রাসে বিরোধী শিবির।

    একা মোদির মোকাবিলায় ২৬টি দল!

    কংগ্রেস হোক বা তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি হোক বা আম আদমি পার্টি— সকলেই একমত ছিল যে, একা একা নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা করা অসম্ভব, অবাস্তব। তাই, মোদির মোকাবিলা করতে ২৬টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি অ্যালায়েন্স’ (INDI Alliance)। এই জোটের মূল হোতা অবশ্যই শতাব্দী প্রাচীন পার্টি, মায় কংগ্রেস। এই জোট তৈরি হওয়া ইস্তক গত এক বছরে বেশ ক’বার জোটের সদস্য দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকও করেন। তৈরি হয় একাধিক নীল-নকশা। লক্ষ্য মোদিকে হারানো। কিন্তু, এত কিছু করে বাস্তবে কী হল?

    আরও পড়ুন: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    সেমিফাইনালে গো-হারা কংগ্রেস

    সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) আগে সেমি-ফাইনাল হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, এই পাঁচ (বিশেষ করে চারটি) রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। যা দেখা গেল, তা হল— বিজেপি-৩, কংগ্রেস-১। ফলাফলেই পরিষ্কার, খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিরোধী শিবির (INDI Alliance)। কংগ্রেস তথা ইন্ডি-জোটের মাথার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে একেবারে লন্ডভন্ড অবস্থা বিরোধী জোটে। 

    পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপি তত্ত্ব

    বিভ্রান্ত কংগ্রেস নেতারা হারের দায় ঝেড়ে ফেলতে এবং নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপির তত্ত্ব খাড়া করেছে। যদিও, তাতে কেউ আমল দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়। ফলাফল বের হওয়া ইস্তক, জোটের মধ্যেই দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের ব্যর্থতার দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে জোট-শরিকরা। ইন্ডি-জোটের অন্যতম সদস্য তৃণমূল। মমতা জানিয়েছেন, এটা কংগ্রেসের পরাজয়। তাদের কৌশল ভুল ছিল। একই কথা প্রকাশ্যে এসেছে জেডিইউ-র থেকেও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির কারা

    বুধবার, ভোটের পর্যালোচনা ও আগামী দিনের পরিকল্পনা ও নীতি স্থির করতে দিল্লিতে ১০ রাজাজি মার্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠক (INDI Alliance) ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে যাননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, পাঠাননি কোনও প্রতিনিধিকে। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মমতা জানান, বৈঠকে সম্পর্কে তিনি নাকি কিছুই জানেন না। তাঁকে কেউ ফোন করেননি। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। যাননি জেডিইউ-র নীতীশ কুমার ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। বৈঠকে ছিলেন না শিবসেনার উদ্ধব-গোষ্ঠী সহ আরও একাধিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    লোকসভা ভোট পর্যন্ত ইন্ডি-জোট টিকবে তো?

    এই ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে যে, ইন্ডি-জোটের ভিতরে ঘোঁট পাকিয়ে গিয়েছে। ঘটা করে শুরু হয়েছিল ইন্ডি-জোট। ‘হানিমুন’ পর্ব শেষ। বছর পার হতে না হতেই এবার রুক্ষ বাস্তব প্রকাশ পেতেই একে একে সরে যাচ্ছে জোটের শরিকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এটা হওয়ারই ছিল। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, ইন্ডি জোটের শরিক দলগুলির নিজ নিজ স্বার্থ ঢেকে দিচ্ছে বিজেপিকে মোকাবিলা করার অভিন্ন স্বার্থকে। যে কারণে, নিজেদের মধ্যেই একে অপরকে কটাক্ষ করার এই প্রবণতা থেকে গিয়েছে। কারণ জোটের সবকটি দল স্বার্থপর। লোকসভা ভোট (2024 LS Polls) পর্যন্ত বিরোধীদের সাধের ইন্ডি-জোট (INDI Alliance) টিকবে তো? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2024 LS Polls: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    2024 LS Polls: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) কয়েক মাস আগে তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজয় নিশান উড়িয়ে দেশের রাজনৈতিক ময়দানে নিজদের কর্তৃত্ব প্রমাণ করেছে বিজেপি (BJP)। শুধু কথার কথা নয় তা। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১২টিতেই শাসক বিজেপি। আরও চারটি রাজ্যে জোট বেঁধে শাসক শিবিরে রয়েছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেসের শাসিত রাজ্যের সংখ্যা মাত্র ৩— কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ ও সদ্য জয় করা তেলঙ্গানা।

    কী বলছে পরিসংখ্যান

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের করা পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রথমবার আসার পর কীভাবে ধীরে ধীরে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে গেরুয়া-ঝান্ডা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি দেশের মোট ভূমি এলাকার ৫৮ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ নিয়ে গঠিত। অন্যদিকে, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি দেশের মোট ভূমি এলাকার ৪১ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ নিয়ে গঠিত।

    মোদির মুখে ‘হ্যাটট্রিক’ তত্ত্ব

    ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিজেপির (BJP) এই তিন রাজ্য যথা— মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগড় জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় প্রভাব ফেলবে জনমানসে এবং রাজনৈতিক রণাঙ্গণে। ফলাফল বের হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেই দিয়েছেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 LS Polls) বিজেপি যে ‘হ্যাটট্রিক’ করতে চলেছে, তা নিশ্চিত করেছে বিধানসভা নির্বাচনে দলের এই ‘হ্যাটট্রিক’। তিন রাজ্যে দলের জয়কে সুশাসন ও স্বচ্ছতার প্রতিফলন হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

    অর্ধেক লোকসভা বিজেপির দখলে

    এই তিন রাজ্য জয়ের ফলে, লোকসভার নিরিখে ৫৪৩ আসনের প্রায় অর্ধেক বিজেপির (BJP) দখলে। ২০১৪ সালে, যখন প্রথমবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি, তখন দেশের কয়েকটি রাজ্যে শাসক ছিল বিজেপি। যার মধ্যে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া ও ছত্তিসগড় অন্যতম। সেখানে থেকে বিজেপি ধীরে ধীরে নিজেদের জমি শক্ত করেছে এবং প্রসারিত করেছে। এখন একক-সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং জোট মিলিয়ে ১৬টি রাজ্যের শাসনে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি হতে চলেছেন দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদ ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী (2024 LS Polls)।

    উল্লেখযোগ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চল

    তবে, বিজেপির (BJP) এই বিজয় যাত্রার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দলের নিশান প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হওয়া। ২০১৪ সালে, দেশের এই অংশে বিজেপির তেমন কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু, এখন তিন রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার পরিচালনার দায়িত্বে বিজেপি। আরও তিন রাজ্যে জোট সরকার গড়ে ক্ষমতাসীন গেরুয়া-শিবির।

    ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির

    একদিকে যখন বিজেপি (BJP) বাড়ছে, তখন বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দৃশ্য। একা না পেরে বিজেপির মোকাবিলা করতে ২৬ বিরোধী দল জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, সেই জোটে চিড়। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে জোটের বৃহত্তম দল কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। তাতে গ্র্যান্ড-ওল্ড পার্টিকে খুবলোতে শুরু করেছে শরিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে, তারা করবে মোদির মোকাবিলা! ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 LS Polls) বিজেপির হ্যাটট্রিক যে হচ্ছেই, সত্যিই তা একপ্রকার নিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী তা বলেই দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share