Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: ‘‘আমার তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে’’! কথা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘আমার তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে’’! কথা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সরকার ফের ক্ষমতায় এলে চব্বিশের পর ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে, ‘গ্যারান্টি’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার নতুন ভাবে গড়ে ওঠা প্রগতি ময়দানের আইটিপিও (ITPO) কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চব্বিশের ভোটে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকলে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে। আমেরিকা-চিনের পরেই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে নাম থাকবে ভারতেরই।

    প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

    দিল্লিতে বসতে চলেছে জি-২০ বৈঠক। গোটা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের বড় বড় প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছেন রাজধানী শহরে। তারই আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রথম পর্বের শাসনকালে ভারত বিশ্বের অর্থনীতিতে দশম স্থানে উঠে এসেছে। আমার দ্বিতীয় পর্বের শাসনকালে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়েছে ভারত। এই ট্র্যাক রেকর্ড অনুসারে আমি দেশবাসীকে বিশ্বাস করিয়ে দেব, আমার তৃতীয় পর্বের শাসনকালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে থাকবে ভারত।” এদিন অত্যাধুনিক মানের ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন-কাম-কনভেশন সেন্টার ‘ভারত মণ্ডপম’-এর উদ্বোধন করে ভারতের পরিকাঠামোর আমূল বদল হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর জমানার উন্নয়নের পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভারতের পরিকাঠামো বদলে গিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলব্রিজ ভারতে, সর্বোচ্চ উচ্চতায় দীর্ঘতম টানেল ভারতে, মোটর চলার সর্বোচ্চ রোড, দীর্ঘতম স্টেডিয়াম, দীর্ঘতম স্ট্যাচু- সবই ভারতে রয়েছে।” 

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    কীভাবে উন্নতির পথে ভারত

    ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির এই তড়িৎ গতির উত্থান কীভাবে হবে সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারি স্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে ভারত। তা ছাড়াও ভারতের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোরও দেশের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে। আইএমএফ-এর রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারত, জাপান ও জার্মানিকে পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালে জাপানের অর্থনীতি হবে ৫.২ ট্রিলিয়ন ডলার। জার্মানির অর্থনীতি হবে ৪.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। একইসঙ্গে ভারত ততদিনে ৫.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। অর্থাৎ ২০২৭ সালে ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকবে শুধুমাত্র আমেরিকা ও চিন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ করে নিষিদ্ধ জঙ্গি দল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রসঙ্গ টানলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একই সঙ্গে তুলনা করলেন ব্রিটিশদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গেও। বাদল অধিবেশনে মঙ্গলবারই ছিল বিজেপির প্রথম সংসদীয় দলের বৈঠক। সংসদের লাইব্রেরি ভবনে এ বৈঠক হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬টি বিরোধী দলের জোটকে তীব্র আক্রমণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নিশানায় বিরোধী জোট

    বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন ভারতে এসেছিল, তখন তার নামেও ইন্ডিয়া শব্দটি ছিল। ইন্ডিয়া নাম নিলেই কিছু হয় না। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গেও ‘ইন্ডিয়া’র নাম রয়েছে। শুধু নামে ইন্ডিয়া রেখে কিছুই পাওয়া যায় না।” বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিরোধীরা ছিন্নভিন্ন এবং মরিয়া। বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আসার ইচ্ছা তাদের নেই।”

    বৈঠক শেষে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) নিয়ে গর্বিত। ২০২৪ সালে আমরাই ক্ষমতায় ফিরছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন যে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তৈরি করেছেন বিদেশি। এখন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, ইন্ডিয়ান পিপলস ফ্রন্টের মতো নামকরণ করছে লোকেরা। উপর উপর কোনও কিছুকে দেখা এবং ভেতরে ঢুকে তার সত্য অর্থ বোঝা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।’’

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, ‘‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস তৈরি করেছেন এও হিউম, তিনি এক জন বিদেশি নাগরিক। মুজাহিদিনরা নিজেদেরকে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বলে উল্লেখ করে। পিএফআই-এর পুরো নাম পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। যে কোনও কিছুর সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দ জুড়ে দেওয়া একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওরা (বিরোধী) শহুরে নকশাল। নিজেদের বৈধ করতে ইন্ডিয়া শব্দ জুড়ছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ট্যুইটারে জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইডেন-সুনককে পিছনে ফেললেন মোদি 

    Narendra Modi: ট্যুইটারে জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইডেন-সুনককে পিছনে ফেললেন মোদি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারে সক্রিয় বর্তমান বিশ্ব নেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৯০ মিলিয়ন ছাড়াল। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির অনেক পিছনে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফলোয়ারের সংখ্যা ৩৭.৩ মিলিয়ন। ২ মিলিয়ন ফলোয়ার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। 

    শীর্ষে ইলন মাস্ক

    সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা বিশ্বের ১০ জন ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সক্রিয় বিশ্ব নেতাদের মধ্যে মোদির (Narendra Modi) জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি হলেও, তালিকায় তিনি রয়েছেন অষ্টম স্থানে। শীর্ষে আছেন ট্যুইটার কর্ণধার ইলন মাস্ক। তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ১৪৭ মিলিয়ন। এছাড়া, উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, গায়ক জাস্টিন বিবার এবং পর্তুগালের জনপ্রিয় ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোলান্ডোর ভিউয়ার সংখ্যা যথাক্রমে ১৩২.১, ১১২ এবং ১০৮.৯ মিলিয়ন।

    আরও পড়ুন: আজ জেলায় জেলায় বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও অভিযান

    জানা গেছে, ট্যুইটারে মোদির (Narendra Modi) ৯০.২ মিলিয়ন ফলোয়ারের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি আছেন ভারতীয়। তাঁর অনুসরণকারীদের তালিকায় রয়েছেন ইলন মাস্কও। ২০০৯ সালে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন নমো। সেই সময় এক বছরের মধ্যে তাঁর ফোলায়ার সংখ্যা লাফিয়ে ১ লক্ষ অতিক্রম করে। ২০২০ সালে মোদির ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৬০ মিলিয়ন। মোদির পরেই আছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৮৬.৬। আর মার্কিন গায়ক ও অভিনেত্রী লেডি গাগার ফলোয়ার সংখ্যা ৮৪.১ মিলিয়ন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Athletics Championships: এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে ২৭ পদক ভারতের, অভিনন্দন-বার্তা মোদির

    Asian Athletics Championships: এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে ২৭ পদক ভারতের, অভিনন্দন-বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ তম এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) অংশগ্রহণকারী ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, তাইল্যান্ডে চলতি মাসের ১২-১৬ তারিখ পর্যন্ত বসেছিল এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। এই প্রতিযোগিতায় ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর সেখানে রাখতে পেরেছেন। মোট ২৭টি মেডেল এনেছেন দেশের খেলোয়াড়রা। প্রসঙ্গত, বিদেশের মাটিতে আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতায় এটাই হল সর্বোচ্চ মেডেল প্রাপ্তি। 

    অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    দেশের ক্রীড়াবিদদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদি। এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানান অ্যাথলিটদের। তিনি লেখেন, দেশের অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে ২৫তম এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships)। আমাদের অ্যাথলেটিকরা ২৭টি মেডেল জিতেছেন। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের জেতা এটাই সর্বোচ্চ মেডেল। এটা আমাদের গর্বের মুহূর্ত।

    ৬টি সোনা এনেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা

    প্রসঙ্গত, এই প্রতিযোগিতায় (Asian Athletics Championships) জাপান শীর্ষে রয়েছে। তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৩৭টি মেডেল। অন্যদিকে ভারতের ঝুলিতে আসা ২৭টি মডেলের মধ্যে রয়েছে ৬টি সোনা, ১২ টি রুপো, এবং ৯ টি ব্রোঞ্জ। এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের এই সাফল্য সারাদেশের ক্রীড়ামহলে প্রশংসিত হয়েছে। দেশে মোদি সরকারের আমলে খেলার পরিকাঠামোগত যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতেই এমন সাফল্য মিলছে বলে মনে করছেন ক্রীড়া মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত, দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অ্যাথলিট তুলে আনতে মোদি সরকার গ্রহণ করে ‘খেলো ইন্ডিয়া’ প্রকল্প।

    আরও পড়ুন: ইন্টার মায়ামির হয়ে জনসমক্ষে এলেন মেসি! বার্ষিক বেতন কত জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi in France: ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    Modi in France: ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স সফরের প্রথমদিনই তৈরি হল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi in France), সেই দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, ‘গ্র্যান্ড ক্রস অব দ্য লিজিয়ন অব অনার’-এ ভূষিত করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই সম্মান পেলেন মোদি।  বৃহস্পতিবার প্যারিসে তাঁকে সেই সম্মান প্রদান করা হয়।

    কারা পান এই সম্মান

    ফরাসি ভাষায় এই সম্মানের পুরো নাম ‘গ্রঁ খ্রোয়া দ্য লা লেজিওঁ দ’নর’। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবথেকে যোগ্য নাগরিককে এই সম্মান প্রদান করা হয়। ২০০ বছর ধরে বিভিন্ন নামী ব্যক্তিত্বদের সেই পুরস্কার প্রদান করে থাকে ফ্রান্সের সরকার। ১৮০২ সালে  এই সম্মান প্রদান শুরু করেছিলেন ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ঁ। এই সম্মান আবার পাঁচটি শ্রেণিতে বিভক্ত – নাইট, অফিসার, কমান্ডার, গ্র্যান্ড অফিসার এবং গ্র্যান্ড ক্রস। বৃহস্পতিবার মোদি (Modi in France) সেই গ্র্যান্ড ক্রসে ভূষিত হয়েছেন। যা সর্বোচ্চ পুরস্কার। লেজিওঁ দ’ন-র সম্মান সাধারণত ফ্রান্সের নাগরিকদের দেওয়া হয়। যে বিদেশিরা ফ্রান্সে কাজ করেছেন বা ফ্রান্সের মতাদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেছেন, তাঁদেরও  এই সম্মান দেওয়া হয়। অতীতে এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন সত্যজিৎ রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শাহরুখ খানের মতো ভারতীয়রা। সারা বিশ্বের হাতে গোনা রাষ্ট্রনেতারা এই পুরস্কার পেয়েছেন। সম্মান প্রাপকদের মধ্যে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা, ইংল্যান্ডের রাজা চার্লস, প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল, রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন মহাসচিব বুট্রোস-ঘালি প্রমুখ। 

    আরও পড়ুন: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

    মোদিতে মুগ্ধ মাক্রঁ

    ফ্রান্সের ‘ন্যাশনাল ডে’ উদযাপনের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন মোদি (Modi in France)। এলিজে প্যালেসে নরেন্দ্র মোদিকে এই সম্মান জানানোর ছবি ট্যুইট করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। ক্যাপশনে তিনি মুহূর্তটিকে, ‘ভারত-ফ্রান্স অংশীদারিত্বের মেজাজের মূর্ত প্রতীক’ বলে উল্লেখ করেছেন। অরিন্দম বাগচি লিখেছেন, “এই উষ্ণ ব্যবহার ভারত-ফ্রান্স অংশীদারিত্বের মেজাজকে তুলে ধরেছে। রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাক্রঁ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ পুরস্কার, গ্র্যান্ড ক্রস অব দ্য লিজিয়ন অব অনারে ভূষিত করেছেন।”

    এই সম্মানের জন্য ‘বন্ধু’ মাক্রঁকে ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি বাসভবন এলিজে প্যালেসে, এক ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই সম্মান জানান প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ। এলিসি প্যালেসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজেরও আয়োজন করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। প্যালেসে তাঁকে স্বাগত জানানোর সময়, প্রেসিডেন্ট মাক্রঁর সঙ্গে ছিলেন ফরাসি ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত মাক্রঁও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

    Narendra Modi: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত (India)। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের তালিকায় নেই তারা। তাহলে তো রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে!ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য মোদির।

    রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী সদস্যপদের দাবি

    ফ্রান্স (France) সফরের আগে সেদেশের প্রথম অর্থনৈতিক সংবাদপত্র ‘লেজেকো’-কে সাক্ষাৎকার দিলেন মোদি (Narendra Modi)। ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকরে বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে যুদ্ধ নয়, যোগ ও আয়ুর্বেদ চর্চার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  সন্ত্রাস মুক্ত বিশ্বই ভারতের প্রধান লক্ষ্য বলে জানান। দীর্ঘদিন ধরেই রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত। এবার সরাসরি এই প্রসঙ্গে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। অথচ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations Security Council) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নেই। এখানেই প্রশ্ন থেকে যায়। নিরাপত্তা পরিষদের দাবি, গোটা বিশ্বের হয়েই তারা কথা বলে। কিন্তু সেখানে যদি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রই না থাকে, তাহলে কি এই দাবিকে যুক্তিসঙ্গত বলা যায়? শুধু বিশ্বাসযোগ্যতা নয়, আরও বড় প্রশ্ন ওঠে রাষ্ট্রসংঘের এহেন আচরণে।”

    বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত

    বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যভুক্ত দেশগুলি হল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য একমাত্র চিন ছাড়া বাকি দেশগুলি সম্মতি দিয়েছে। স্থায়ী সদস্যগুলির মধ্যে যে কোনও একজনের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা থাকায়, চিনের আপত্তিতে স্থায়ী সদস্যপদ পাইনি ভারত। তবে, ফ্রান্স সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) স্থায়ী সদস্যপদের সওয়াল, যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র রয়েছে ভারতে। সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য থাকা সত্ত্বেও ভারতে গণতন্ত্র বজায় রাখতে পেরেছি আমরা। বৈচিত্র্যের মধ্যেও ঐক্য বজায় রাখা যায়, সেটাই দেখাতে পারে ভারত। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগ্য স্থান দিতে হবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে।”

    আরও পড়ুন: ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা দিলেন নরেন্দ্র মোদি, দুদিনের সফরে কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    সাক্ষাৎকারে ‘পশ্চিমী মূল্যবোধের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছেন মোদি (Narendra Modi)। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি কোণায় দর্শন ও সংস্কৃতির কথা বিবেচনা করতে হবে। পুরনো ধারণা ত্যাগ না করলে পৃথিবী কখনই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারবে না। পৃথিবী একটাই। কিন্তু এখানে অনেক দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গি আছে।’ পাশাপাশি যোগ ও আয়ুর্বেদের পক্ষেও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, যোগ আজ একটি পারিবারিক শব্দ। তিনি বলেন, প্রাচীন কাল থেকে ভারতে আয়ুর্বেদ চর্চা হয়েছে আসছে। বিশ্ব জুড়ে যোগ ও আয়ুর্বেদ চর্চাকে ছড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত! মোদি-শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ ধামির

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত! মোদি-শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ ধামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) খসড়া তৈরি , তা জানাতেই কী দিল্লিতে হাজির উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। রাজধানীতে এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন ধামি। যদিও পরে সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও আলোচনা হয়নি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে জল্পনা

    উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। যদিও এখনও রিপোর্টার খসরা আসেনি বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি জানান, আমরা দেরি না করে খুব দ্রুতই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রাজ্যে চালু করতে চাই। তবে আমরা তাড়াহুড়ো করে সেটা করব না, যাতে কোনও খামতি তৈরি না হয়।” অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের তৈরি খসড়া, সারা ভারতের মূল ভিত্তি হতে পারে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। যদি উত্তরাখণ্ডের খসড়াটি গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে প্রয়োজনে সামান্য কিছু অদলবদল করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ধামি। সেখানে উত্তরাখণ্ডের জন্য তৈরি খসড়াটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল উপরাষ্ট্রপতির

    অন্যদিকে অসমের গুয়াহাটি আইআইটির সমাবর্তনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) পক্ষে সওয়াল করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করায় কোনওরকতম দেরি করা আমাদের মূল্যবোধের জন্য ক্ষয়কারক হবে।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা ছিল সংবিধান প্রণেতার চিন্তাভাবনা। এবার সেটা কার্যকর করার সময় এসেছে। আর কোনও দেরি হওয়া উচিত নয়।” ধনখড় বলছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কিছু মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি স্তম্ভিত। উপরাষ্ট্রপতির বক্তব্য, “রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। কিন্তু রাজনীতির জন্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কাজে বাধা দেওয়া উচিত নয়।” 

    আরও পড়ুন: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    উল্লেখ্য সংসদের বাদল অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বিল আনতে চায় কেন্দ্র। আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। মাসব্যাপী সেই অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ালি বিলের খসড়াটি পেশ করতে পারে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বিলটি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক ও আইন কমিশনের মতামত সংসদীয় কমিটি জানতে চেয়ে বলে খবর। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকবে,বলে বিশ্বাস কেন্দ্রের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বাসভবনের উপরে ড্রোন ওড়ার খবর দিল  স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)-এর সদস্যেরা দিল্লি পুলিশকে এই বিষয়ে অবহিত করেন। 

    কারা প্রথম ড্রোন দেখতে পায়

    প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন এসপিজি-র আধিকারিকেরাই। তাঁরাই প্রথম ড্রোনটি লক্ষ্য করেন। রহস্যজনক গতিবিধি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রহস্যজনক ওই ড্রোনটিকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ রাজধানীতে ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনের মাথায় ড্রোনটিকে উড়তে দেখা যায়।

    প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘নো ফ্লাই জোন’-এর মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ, নিরাপত্তার কারণে ওই বাসভবনের উপর দিয়ে কোনও বিমান কিংবা ড্রোন উড়ে যেতে পারে না। তার পরও কী ভাবে ড্রোনটি উড়ল, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তায় কোনওরকম গাফিলতি দেখা গিয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  কোথা থেকে এই ড্রোন উড়ে এল, সেই লোকেশন খুঁজে বরে করার চেষ্টা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য হাতে আসেনি তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ! ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের

    রহস্যময় ড্রোন সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু

    হালফিলে ড্রোন বিষয়টি নিরাপত্তার দিক থেকে খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। গোটা পশ্চিম এশিয়া জুড়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আবার তাদের দমনে ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে। মাটি থেকে অনেক উপরে থাকলে অনেক সময়েই ড্রোন চিহ্নিত করা যায় না।  ঘটনার তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ ওই রহস্যময় ড্রোন সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করে। যোগাযোগ করা হয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র সঙ্গেও। কিন্তু এমন কোনও ড্রোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে একটি শনাক্ত করতে না পারা উড়ন্ত জিনিস দেখা গিয়েছে। আমরা সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এমন কোনও জিনিস পাইনি। এটিসির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের নজরেও এমন কিছু আসেনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Research Foundation Bill: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    National Research Foundation Bill: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন (National Research Foundation Bill) তৈরির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল সরকার। জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গবেষণায় নতুন দিশা-নির্দেশ করতে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিল (NRF), ২০২৩ সংসদে পেশে অনুমোদন দিয়েছে। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে এই বিল পেশ করা হবে।

    জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন বিল কী

    এই বিলটি (National Research Foundation Bill) সংসদে অনুমোদনের পর এনআরএফ প্রতিষ্ঠিত হবে, জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP)–এর সুপারিশ অনুসারে একটি নিয়ামক সংস্থা দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উচ্চস্তরীয় কৌশলগত দিক নির্দেশ করবে। এর জন্য ৫ বছরে (২০২৩-২০২৮) আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সমাজবিজ্ঞানের কোন ক্ষেত্রে, কোন বিষয়ের গবেষণায় কেন্দ্র কত টাকা ঢালবে, তা ঠিক করবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এই সংস্থাই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরে গবেষণায় ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। এর মধ্যে ৩৬ হাজার কোটি টাকা আসবে বেসরকারি ক্ষেত্র, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা, অনুদান সংস্থার তরফ থেকে। ফলে দেশের, বিশেষত অর্থনীতির অগ্রগতির প্রয়োজন মাফিক গবেষণায় উৎসাহ দেওয়া হবে। যে সব গবেষণায় সমাজের তেমন ‘লাভ নেই’, সেখানে অর্থ অপচয় বন্ধ হবে। 

    আরও পড়ুন: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি?

    প্রযুক্তি ও শিল্প ক্ষেত্রের বিষয়ে গবেষণা

    তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্প ক্ষেত্রের উপযোগী বিষয়ে গবেষণায় জোর দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী পরিচালন বোর্ডের প্রধান হবেন। তাঁর সঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জন বিশিষ্ট গবেষক, শিক্ষাবিদ, পেশাদার থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার নেতৃত্বে সংস্থার কার্যকরী পরিষদ কাজ করবে। তাঁরাই গবেষণার দিশানির্দেশে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের বক্তব্য, এখন আইআইটি, আইআইএসসি-র মতো সংস্থাই গবেষণার সিংহভাগ অর্থ পায়। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পায় মাত্র ১০%। নতুন ব্যবস্থায় (National Research Foundation Bill) সেই ছবি বদলাবে বলে তাঁর দাবি। তদিন গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে নির্ধারণ করত সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড। ২০০৮ সালে তৈরি এই সংস্থাও এবার মিশে যাবে ন্যাশানাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতি ভুলবে না বাংলা’’! মধ্যপ্রদেশের সভায় মন্তব্য মোদির

    Narendra Modi: ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতি ভুলবে না বাংলা’’! মধ্যপ্রদেশের সভায় মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নাম করে তৃণমূলের দূর্নীতির কথা জনসমক্ষে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে তৃণমূল শাসিত বাংলায় নানা দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভোটমুখী মধ্য প্রদেশে এদিন সকালে রেলের এক কর্মসূচীতে অংশ নেন নরেন্দ্র মোদি। পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর, ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির প্রধানদের এক জনসভায় অংশ নিয়েছেন তিনি। শুধু মধ্য প্রদেশের বিজেপির বুথ সমিতির প্রধানরা নন, গোটা দেশের বুথ কমিটির প্রধানরাই অংশ নেন এই সভায়।

    মোদির মন্তব্য

    এদিন কড়া ভাষায় তৃণমূলের সমালোচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রোজ ভ্যালি দুর্নীতি, সারদা দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার চলছে। বাংলার মানুষ কখনও এই দুর্নীতি ভুলতে পারবে না।’’ চলতি মাসেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’ কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৃণমূলের নাম না করে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সম্প্রতি আপনারা একটি রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে দেখেছেন কী ভাবে ‘ক্যাশ ফর জব’ (টাকার বিনিময়ে চাকরি)-এর ঘটনা ঘটেছে। রেস্তরাঁয় রেট কার্ডের মতোই সেই রাজ্যে বিভিন্ন স্তরের সরকারি চাকরির বিভিন্ন ‘দর’ রয়েছে।’’এদিন সরাসরি তৃণমূলের নাম করে নিশানা করলেন মোদি।

    বিরোধীদের নিশানা

    সামনে লোকসভা ভোট। ২০২৪ ভোটের আগে দলের কর্মীদের উদ্দেশে মোদি বলেন, “পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশে মূল্যবৃদ্ধির অবস্থা মানুষের সামনে তুলে ধরুন। মানুষকে বোঝান, করোনা মহামারি সত্ত্বেও ভারতের অর্থনীতি বেশ ভাল অবস্থায় আছে। মোবাইল ডেটা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো আমাদের বিভিন্ন নীতির ফলে মানুষের অনেক টাকা বেঁচেও যাচ্ছে। বিজেপি যে যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে, সব রাজ্যেই জ্বালানির দাম ১০০ টাকার নীচে রয়েছে। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কেন জ্বালানির দাম ১০০-র বেশি? মানুষের সামনে এই প্রশ্ন তুলুন।”

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    শুধু তৃণমূল নয়, গত ২৩ মে পটনায় নীতীশ কুমারের ডাকা বিজেপি বিরোধী বৈঠকে হাজির বিভিন্ন দলকে নিশান করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, “দিন কয়েক আগে বিরোধী দলের নেতারা ছবি তোলার একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল। সেখানে যারা ছিলেন, তাদের সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি রয়েছে। বিরোধীরা যারা একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের উপর রাগ নয়, দয়া করুন। এর আগে ২০১৯ সালেও আমরা শুনেছিলাম বিরোধী জোটের কথা। এবার একটু বেশি লাফালাফি করছে ওরা। আসলে এছাড়া ওদের কোনও উপায় নেই। ২০২৪ সালে আরও বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share