Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাবরই লোকসভা তথা বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের হাতে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএস নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লি দখলের স্ট্র্যাটেজি

    দিল্লিতে কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেললে সাফল্য আসতে পারে, তা ভালোই জানেন আরএসএস নেতারা। ‘জন সম্পর্ক’ গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয় আরএসএসের ওপরতলা থেকে। বিজেপির দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে  সোমবার।  এই প্রচার অভিযানে দলটির প্রধান আধ্যাত্মিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের। তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন।

    গ্রামীণ অঞ্চলে আরএসএস-এর বার্তা

    বিজেপি প্রায় তিন দশক ধরে দিল্লিতে ক্ষমতার বাইরে। রাজধানীতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল-নেতৃত্বাধীন আাম আদি পার্টির (AAP) সঙ্গে বিজেপির ধারাবাহিক সংঘর্ষের শুরু, আন্না হজারের আন্দোলন থেকে। চলতি বছর দিল্লির নির্বাচন বিজেপির জন্য এক মর্যাদার লড়াই। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে, তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচারণা একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    আরএসএসের ড্রয়িং রুম সভা

    দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো, যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা।

    জাতীয় স্বার্থে কাজ করে বিজেপি

    আরএসএসের লক্ষ্য ছিল ৬০,০০০টি সভার আয়োজন করা। এ জন্য আরএসএস প্রচারকরা রাজধানীতে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। দলীয় সূত্রে খবর, মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা আয়োজিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী জানান, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তারা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম, কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।”

    মহিলাদের যোগদান

    এছাড়া, প্রতি স্তরে (ভিভাগ, জেলা, নগর) নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হত। যাতে ড্রয়িং রুম সভাগুলোর প্রতিক্রিয়া নেওয়া যায়। প্রায় ২,০০০টি ড্রয়িং রুম সভা আরএসএস কর্মীরা পরিচালনা করেছেন, আর ৪,৫৫০টি সভা অন্যান্য আনুষঙ্গিক সংগঠনগুলি যেমন ভারতীয় শ্রমিক সংঘ (BMS), সেবা ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ আয়োজন করেছে। এই সভাগুলিতে প্রায় ৫৩,০০০ জন অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে একটি বড় অংশ ছিল মহিলা। দেশে নারী শক্তির জাগরণে মোদি সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেছে আরএসএস। এর ফলে মহিলা কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

  • PM Modi: দিল্লি নির্বাচনের দিন মহাকুম্ভে মোদি, মাঘ অষ্টমীতে সঙ্গেমে পুণ্যস্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দিল্লি নির্বাচনের দিন মহাকুম্ভে মোদি, মাঘ অষ্টমীতে সঙ্গেমে পুণ্যস্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি নির্বাচনের দিন, বুধবার প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহাকুম্ভে গিয়ে সেখানে সাধুসন্তদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। কুম্ভে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা নিয়েও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। দলে দলে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন পৌঁছচ্ছেন কুম্ভে। মোদির কুম্ভ স্নানের পরিকল্পনা ঘিরে প্রচণ্ড আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    মহাকুম্ভে মোদির সফর

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে পৌঁছচ্ছেন। মহাকুম্ভ উপলক্ষে প্রয়াগরাজে এখন কোটি কোটি মানুষের সমাগম। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে সফরকাল। নতুন সূচি অনুসারে, মোদি মাত্র এক ঘণ্টাই মহাকুম্ভে থাকবেন। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে বদল আনা হয়েছে বেশ খানিকটা। তবে শেষ মুহূর্তে প্রাধনমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে আর কিছু বদল হতে পারে কিনা, তা জানা যায়নি। সফরসূচি অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টা ০৫ নাগাদ প্রয়াগরাজ বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে তিনি ১০টা ১০ নাগাদ ডিপিএস হেলিপ্যাডে যাত্রা করবেন এবং ১০টা ৪৫ নাগাদ পৌঁছবেন অরিয়াল ঘাটে। সেখান তিনি ১০টা ৫০ নাগাদ একটি নৌকায় চড়ে সঙ্গম ঘাটে পৌঁছবেন তিনি। সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৩০ পর্যন্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার কথা রয়েছে তাঁর। ১১টা ৪৫ নাগাদ নৌকায় অরিয়াল ঘাটে ফিরে এসে ডিপিএস হেলিপ্যাডের দিকে যাত্রা করবেন মোদি। দুপুর ১২টা ৩০ নাগাদ প্রয়াগরাজ বিমানবন্দর থেকে ফিরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে সাধু-সন্তদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

    হিন্দুশাস্ত্রে মাঘ অষ্টমীর গুরুত্ব

    হিন্দুশাস্ত্রমতে ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটির বিশেষ আধ্যাত্মিক তাৎপর্য আছে। চলতি বছর এদিন মাঘ অষ্টমী। এই তিথিকে ভীষ্ম অষ্টমীও বলা হয়। মাঘ অষ্টমী হল হিন্দু মাসের অষ্টম দিন, যেখানে প্রায়শই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান, দান ও ধ্যান করা হয়। অন্যদিকে, ভীষ্ম অষ্টমী মহাভারতের চরিত্র ভীষ্ম পিতামহের স্মৃতিতে পালিত হয়ে থাকে। জানা যায়, ভীষ্ম পিতামহ তীরের বিছানায় শায়িত থাকাকালীন উত্তরায়ণ এবং শুক্লপক্ষের প্রবেশের সময় মৃত্যু হয়। সে কারণে এই সময়ে ভীষ্ম অষ্টমী পালন করা হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই বিশেষ দিনটিকেই পুণ্যস্নানের জন্য বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে চলতি বছর, ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নির্বাচন। এদিনই প্রধানমন্ত্রী মোদি মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান সারবেন।

  • Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে সংসদে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে বিজেপি। ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা ও বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু গান্ধীর মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতা দেশের সম্মান, প্রধানমন্ত্রীপদ এবং সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন।’’

    জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গ

    সোমবার সংসদে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর বন্দোবস্ত করানোর জন্য আমাদের বিদেশমন্ত্রীকে আমেরিকায় পাঠাব না।’’ বিজেপির অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বরে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফরকেই ইঙ্গিত করেছেন রাহুল। বোঝাতে চেয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই ছিল ওই সফর। সোমবার বিকেলে জয়শঙ্কর সরাসরি রাহুলকে নিশানা করে এক্স পোস্টে লেখেন— ‘‘বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আমার ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের আমেরিকা সফর সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কথা বলেছেন ৷’’

    ক্ষমা চান রাহুল

    বিদেশমন্ত্রীর দাবি, তিনি আমেরিকার তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভানের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি ভারতের কনসাল জেনারেলের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করার জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোনও পর্যায়েই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এটা সকলেই জানেন যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন না। সাধারণত ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁর বিশেষ দূতেরা।’’ প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে মোদির দূত হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর নিজেই। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রিজিজু বলেন, ‘‘তিনি কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন? প্রধানমন্ত্রী এবং পুরো সরকার এক। রাহুল গান্ধী সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের বিপরীতে কথা বলেছেন, তা চ্যালেঞ্জ করা উচিত।’’

    চিনা আগ্রাসন নিয়ে মিথ্যাচার রাহুলের

    লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে এ দিন লোকসভায় মুখর হন রাহুল গান্ধী। প্রথমে অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের এই সাংসদের প্রশ্ন, ‘‘লাদাখ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবির সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্তব্যের অ-মিল রযেছে। দু’পক্ষের দাবি পরস্পর-বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন চিনা আগ্রাসন হয়নি। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, আমাদের ৪,০০০ বর্গ কিমি এলাকা চিন দখন করে রেখেছে। কোনটা ঠিক?’’ এ প্রসঙ্গে রিজিজু বলেন, ‘‘বিজেপি সাংসদরা গান্ধীকে তাঁর দাবির প্রমাণ দিতে বলবেন। তিনি মিথ্যা বলছেন। রাহুল গান্ধী যতটা চিনকে প্রশংসা করেছেন, তা আগে কেউ করেনি। তিনি এমন একটি দলের সদস্য, যাদের পরিবার ১৯৫৯ ও ১৯৬২ সালে চিনকে আমাদের জমি দখল করতে দিয়েছে। তাঁর পরিবারের ভুলের জন্য তাঁকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’’

  • Trump-Modi Meeting: প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নৈশভোজ! আগামী সপ্তাহেই সাক্ষাৎ ট্রাম্প-মোদির?

    Trump-Modi Meeting: প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নৈশভোজ! আগামী সপ্তাহেই সাক্ষাৎ ট্রাম্প-মোদির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বন্ধু মোদির জন্য বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করতে পারেন ট্রাম্প। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১২ তারিখই ওয়াশিংটন ডিসিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

    ট্রাম্প-মোদি সাক্ষাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি

    হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম বার মার্কিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী সপ্তাহে প্যারিসে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ এবং ১১ ফেব্রুয়ারি সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অ্যাকশন সামিটে যোগ দেবেন তিনি। সূত্রের খবর, এই সামিট শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসি-এর উদ্দেশে রওনা হবেন মোদি। সূত্রের দাবি, ১৩ তারিখ ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। হোয়াইট হাউজের তরফে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, কোন কোন রাষ্ট্রপ্রধান ট্রাম্পের শপথগ্রহণের দু-এক সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকা সফরে আসবেন, বৈঠক করবেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মোদির। প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পর হাতে গোনা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেই এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা শোনা গিয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ভারতও।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য নৈশভোজের আয়োজন করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ঘাটতি হ্রাস করতে চান ট্রাম্প। সেই সম্পর্কিত আলোচনার সঙ্গে অবশ্যই তালিকায় অভিবাসন নীতিও থাকবে। ট্রাম্প এর আগে নিজের ভাষণে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং মোদি অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই তিনি মনে করেন। তবে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের পরিকল্পনা নিয়ে কোনও সরকারি ঘোষণা করেনি বিদেশ মন্ত্রক। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, চেষ্ট করা হচ্ছে যাতে দ্রুত মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে করেন। সেখানে নিঃসন্দেহে শুল্ক যুদ্ধ নিয়েও কথা হবে। কথা হবে সামরিক অস্ত্র, চিনের ‘দাদাগিরি’র মতো বিষয় নিয়েও ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোটে’র পক্ষে জনমত গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোটে’র পক্ষে জনমত গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) এর পক্ষে জনমত তৈরির আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, দেশে অনবরত নির্বাচনের কারণে গোটা বছরই প্রচার চলতে থাকে এবং সরকার ও প্রশাসন নীতিপঙ্গুতায় ভোগে। যা সরাসরি প্রভাব ফেলে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতের ওপর। তাই দিল্লির এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী সব এনসিসি ক্যাডারের কাছে আবেদন করেন দেশজুড়ে এই নিয়ে আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

     

    প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    দিল্লিতে এনসিসি-র এক সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “এক দেশ এক ভোটের (One Nation One Election) প্রস্তাব নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের যুবারা আরও বেশি করে এগিয়ে আসুন এই নিয়ে আলোচনায় শামিল হতে।” তাঁর বক্তব্য, “এক দেশ এক ভোট নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক চলছে। লোকসভা এবং রাজ্যের বিধানসভাগুলির ভোট একসঙ্গে হলে প্রশাসন অনেক বেশি লক্ষ্যমুখী হয়ে কাজ করতে পারবে এবং ব্যাঘাত কম হবে। স্বাধীনতার পরে দীর্ঘদিন ধরেই লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির ভোট একসঙ্গে হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। তার জন্য দেশকে ভুগতে হচ্ছে।”

     

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সরকারের যুক্তি

    ইতিমধ্যেই এক দেশ এক নির্বাচনের (One Nation One Election) প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মোদির মন্ত্রিসভা। সরকারের যুক্তি, ঘন ঘন নির্বাচনের জেরে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা পড়ে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থনও জানাচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বিষয়টি সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি। সরকার পক্ষের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বিপুল অঙ্কের খরচ হয়, তা অনেকটাই কমে যাবে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ধারণাকে একটি “ঐতিহাসিক” সংস্কার বলে অভিহিত করেছে। দলের মতে, এই বিল এলে সাশ্রয়ী শাসন ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ধারাবাহিকভাবে একযোগে নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন। এই বিলকে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

     

    তিনটি বিলের মাধ্যমে বাস্তবায়ন

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর (One Nation One Election) বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। গত মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যেখানে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে। “এক দেশ, এক নির্বাচন” পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার দুটি সাংবিধানিক সংশোধনী সহ তিনটি বিল প্রস্তাব করেছে। সেগুলি হল:

    প্রথম সাংবিধানিক সংশোধনী বিল: লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য যৌথ নির্বাচনের অনুমতি রয়েছে এই বিলে। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য ‘নিযুক্ত তারিখ’ এবং একই সঙ্গে মেয়াদ সমাপ্তির বিধান প্রবর্তনের জন্য ধারা ৮২এ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে এখানে।

    দ্বিতীয় সংবিধান সংশোধনী বিল: অন্তত অর্ধেক রাজ্যের অ্যাসেম্বলির অনুমোদন প্রয়োজন৷ স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য নির্বাচন কমিশনগুলির সঙ্গে সহযোগিতা নিশ্চিত করে ভোটার তালিকার বিধানগুলি সংশোধন করতে হবে।

    তৃতীয় বিল: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পাশাপাশি বিধানসভার সঙ্গে — পুদুচেরি, দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীর — লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির সঙ্গে এই নির্বাচন করাতে হবে৷ গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি অ্যাক্ট (১৯৯১), দ্য গভর্নমেন্ট অফ ইউনিয়ন টেরিটরি অ্যাক্ট (১৯৬৩), এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন (২০১৯) সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে৷

    সম্প্রতি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু মনে করিয়ে দিয়েছেন, সব ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে দেশ। ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতির প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “এই নীতি দেশের আর্থিক বোঝা কমাতে পারে। নীতিপঙ্গুতা রুখতে পারে।”

     

  • India-US Relation: ফেব্রুয়ারিতেই আমেরিকায় মোদি! বেআইনি অভিবাসী ইস্যুতে ভারতে ভরসা ট্রাম্পের

    India-US Relation: ফেব্রুয়ারিতেই আমেরিকায় মোদি! বেআইনি অভিবাসী ইস্যুতে ভারতে ভরসা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও মজবুত হতে চলেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক (India-US Relation)। আগামী মাসেই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার এই কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার নানা বিষয় নিয়ে ফোনে কথা হয় মোদি-ট্রাম্পের। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের বিষয়টি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সেইসঙ্গে ভারতের উপরে আস্থা রেখে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, ‘বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যেটা ঠিক, ভারত সেটাই করবে।’ জানা গিয়েছে, বিশ্ব শান্তির পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিশেষত ভারত-আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক এবং চিনের দাপট রুখতে কোয়াড জোটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

     

    ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সফরে মোদি

    সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প (Trump Talks With Modi) শুধু বলেছেন যে ‘ফেব্রুয়ারির কোনও একটা সময় আমেরিকায় আসবেন মোদি।’ তবে ঠিক কবে আমেরিকায় যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কতদিন থাকবেন, সফরসূচিতে কী কী থাকবে, সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিছু জানাননি। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প ৷ শপথ নেওয়ার পর সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি ৷ তবে সোমবার দু’জনের মধ্যে প্রথমবার ফোনে কথা হয় ৷ তারপরই মোদির আমেরিকা সফরের কথা বলেন ট্রাম্প। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।

     

    ট্রাম্প-মোদি ফোনালাপ

    দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট (India-US Relation) হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথমবার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁদের এই ফোনালাপ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷ দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক এবং ভারত-মার্কিন সহযোগিতার পথ আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে৷ আমেরিকার অভিবাসীদের মধ্যে একটা বড় অংশ ভারতীয় জনতা। সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “অভিবাসন নিয়ে কথা হয়েছে মোদির সঙ্গে। অভিবাসীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে ভারত সঠিক পদক্ষেপই করবে।”

     

    বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত

    ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের (Trump Talks With Modi) পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন। পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।’’ ট্রাম্প ও মোদির ফোনালাপ সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোনালাপ ফলপ্রসূ হয়েছে । দুই রাষ্ট্রনেতা পারস্পরিক সহযোগিতা গভীর ও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকায় তৈরি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ক্রয় বৃদ্ধির জন্য দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্ব দিয়েছেন ’’

     

    বেআইনি অভিবাসন

    নতুন করে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই আমেরিকা থেকে বেআইনি অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির (India-US Relation) তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যে উপযুক্ত নথি দেওয়া হলে বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। গত সপ্তাহে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আমরা বেআইনি অভিবাসনের বিরোধী। কারণ সেই বিষয়টা বিভিন্ন ধরনের সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।” তিনি আরও বলেছেন, “শুধুমাত্র আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের ক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যদি ভারতীয়রা নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি থাকেন বা উপযুক্ত নথি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশে থাকেন, তাহলে আমরা তাঁদের ফিরিয়ে নেব। আমাদের সঙ্গে উপযুক্ত নথি ভাগ করে নিতে হবে, যাতে আমরা তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাই করে নিতে পারি এবং নিশ্চিত হতে পারি যে তাঁরা সত্যিই ভারতীয়। যদি সেটাই বিষয় হয়, তাহলে আমরা পুরো বিষয়টা এগিয়ে নিয়ে যাব এবং তাঁদের ভারতে ফেরানোর কাজটা প্রশস্ত করব।”

     

    মোদি-ট্রাম্প বৈঠকের গুরুত্ব

    কূটনৈতিক মহলের মতে, বেআইনি অভিবাসীদের ফেরানোর মতো ‘ছোট’ ব্যাপারে ট্রাম্পের মন জিতে নিয়ে ‘বড়’ কাজের পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি (India-US Relation)। যে তালিকায় এইচ-১বি ভিসা, বাণিজ্যের মতো বিষয় থাকতে পারে। মোদি এবং ট্রাম্প উভয়ই ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কোয়াড অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছেন ৷ চলতি বছরের শেষের দিকে প্রথমবার ভারতে হবে কোয়াড বৈঠক৷ অনেক দেশের মতোই অভিবাসন এবং শুল্কের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগে রয়েছে ভারত৷ ইতিমধ্যেই ট্রাম্প ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর উপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন ৷ ৯ সদস্যভুক্ত ব্রিকসে ভারতও অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আসন্ন মোদি-ট্রাম্প বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ৷

  • PM Modi: “গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়”, সাধারণতন্ত্র দিবসে বললেন মোদি

    PM Modi: “গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়”, সাধারণতন্ত্র দিবসে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সংবিধান প্রণেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার সকালে দেশবাসীকে সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়। সংবিধান তা নিশ্চিত করেছে। এই সংবিধান তৈরিতে অবদান রেখেছেন বহু পুরুষ ও মহিলা। সেই সংবিধান প্রণেতাদের আমার বিনম্র প্রণাম।”

    অনুষ্ঠানের সূচনা

    এদিন সকালে কর্তব্যপথে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক (Republic Day) অর্পণ করেন। তার পরেই সূচনা হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কর্তব্য পথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরেই শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। কর্তব্য পথ থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত কুচকাওয়াজে সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং সহায়ক বেসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি এনসিসি এবং এনএসএসের ইউনিটগুলি অংশ নেয়। বিজয় চক থেকে এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কুচকাওয়াজ শুরু হয়। বিজয় চক কর্তব্য পথ হয়ে শেষ হয় লালকেল্লায় গিয়ে।

    বার্তা শাহেরও

    এদিন দেশবাসীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সমস্ত দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রজাতন্ত্র দিবস ভারতের সাংবিধানিক মূল্যবোধ, সামাজিক সাম্যের প্রতি দৃঢ়তা এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার প্রতীক। এই শুভ উপলক্ষে আমি সকল মুক্তিযোদ্ধা ও সংবিধান প্রণেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যাঁরা একটি শক্তিশালী প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

    এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে পুষ্পবৃষ্টি করে বায়ুসেনার এমআই-১৭ কপ্টার। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তো। এদিনের জমকালো উৎসব দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার বিশেষ অতিথিকে। বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোও প্রদর্শিত হয়। সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে ‘ব্রহ্মোস’, ‘পিনাক’ মিসাইল। ডিআরডিও-র তৈরি ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’ও এদিন প্রদর্শিত হয়েছে।

    এদিন (PM Modi) ট্যাবলো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি লেখেন, “২০২১ এও দিল্লিতে (Republic Day) প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাজ্য সরকারের ট্যাবলোয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ২০২৫-এও তাই (PM Modi)।”

  • PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। আবার এই যোগ আসবে ১৪৪ বছর পর। কারণ ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। পূর্ণকুম্ভ হয় ১২ বছর অন্তর। এবার প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ। গঙ্গা-যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে মহামিলন মেলা। সূত্রের খবর, মহাকুম্ভ উপলক্ষে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), ৫ ফেব্রুয়ারি। ঘটনাচক্রে এদিনই হবে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে কন্যাকুমারীতে গিয়ে ধ্যানে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধ্যান করেছেন কেদারনাথে গিয়েও। এবার তিনি সারবেন কুম্ভস্নান।

    কুম্ভস্নানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    চলতি বছর কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেশ-বিদেশ থেকে কাতারে কাতারে আসছেন মানুষ, অমৃতস্নান করবেন বলে। পঞ্জিকা মতে, অমৃতস্নানের (একেই আগে শাহি স্নান বলা হত) যোগ পাঁচটি। প্রধানমন্ত্রী যে দিন স্নান করবেন, সেদিন অমৃতস্নানের যোগ নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণে ৫ ফেব্রুয়ারি মেলায় ভিড় কম হবে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই এই দিনটিই বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ত্রিবেণী সঙ্গমে কে, কবে

    কুম্ভস্নান সেরে নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২৭ জানুয়ারি পুণ্যস্নান করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১ ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নানে যাবেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আর ১০ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরই মাঝে ৫ তারিখে কুম্ভস্নান সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    আরও পড়ুন: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাস দেড়েকের মেলায় অমৃতস্নানের যোগ রয়েছে পাঁচটি। একটি হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে চারটি। এগুলি হল, ২৯ জানুয়ারি, মৌনী অমবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি। এই দিনগুলিতে কয়েক কোটি ভক্ত কুম্ভস্নান করবেন পুণ্যলাভের আশায়। তাই এই দিনগুলিতে প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি অমৃতস্নানে গেলে অসুবিধায় পড়বেন সাধারণ পুণ্যার্থীরা। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই কারণেই অমৃতস্নানের জন্য প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন সাধারণ একটি দিন। প্রসঙ্গত, প্রতি ছ’বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভ। প্রয়াগরাজ (Mahakumbh) ছাড়াও সেগুলি হয় হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জ্বয়িনীতে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। আবার এই যোগ আসবে ১৪৪ বছর পর। কারণ ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। পূর্ণকুম্ভ হয় ১২ বছর অন্তর। এবার প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ। গঙ্গা-যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে মহামিলন মেলা। সূত্রের খবর, মহাকুম্ভ উপলক্ষে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), ৫ ফেব্রুয়ারি। ঘটনাচক্রে এদিনই হবে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে কন্যাকুমারীতে গিয়ে ধ্যানে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধ্যান করেছেন কেদারনাথে গিয়েও। এবার তিনি সারবেন কুম্ভস্নান।

    কুম্ভস্নানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    চলতি বছর কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেশ-বিদেশ থেকে কাতারে কাতারে আসছেন মানুষ, অমৃতস্নান করবেন বলে। পঞ্জিকা মতে, অমৃতস্নানের (একেই আগে শাহি স্নান বলা হত) যোগ পাঁচটি। প্রধানমন্ত্রী যে দিন স্নান করবেন, সেদিন অমৃতস্নানের যোগ নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণে ৫ ফেব্রুয়ারি মেলায় ভিড় কম হবে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই এই দিনটিই বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ত্রিবেণী সঙ্গমে কে, কবে

    কুম্ভস্নান সেরে নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২৭ জানুয়ারি পুণ্যস্নান করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১ ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নানে যাবেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আর ১০ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরই মাঝে ৫ তারিখে কুম্ভস্নান সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    আরও পড়ুন: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাস দেড়েকের মেলায় অমৃতস্নানের যোগ রয়েছে পাঁচটি। একটি হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে চারটি। এগুলি হল, ২৯ জানুয়ারি, মৌনী অমবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি। এই দিনগুলিতে কয়েক কোটি ভক্ত কুম্ভস্নান করবেন পুণ্যলাভের আশায়। তাই এই দিনগুলিতে প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি অমৃতস্নানে গেলে অসুবিধায় পড়বেন সাধারণ পুণ্যার্থীরা। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই কারণেই অমৃতস্নানের জন্য প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন সাধারণ একটি দিন। প্রসঙ্গত, প্রতি ছ’বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভ। প্রয়াগরাজ (Mahakumbh) ছাড়াও সেগুলি হয় হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জ্বয়িনীতে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। আবার এই যোগ আসবে ১৪৪ বছর পর। কারণ ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। পূর্ণকুম্ভ হয় ১২ বছর অন্তর। এবার প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ। গঙ্গা-যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে মহামিলন মেলা। সূত্রের খবর, মহাকুম্ভ উপলক্ষে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), ৫ ফেব্রুয়ারি। ঘটনাচক্রে এদিনই হবে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে কন্যাকুমারীতে গিয়ে ধ্যানে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধ্যান করেছেন কেদারনাথে গিয়েও। এবার তিনি সারবেন কুম্ভস্নান।

    কুম্ভস্নানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    চলতি বছর কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেশ-বিদেশ থেকে কাতারে কাতারে আসছেন মানুষ, অমৃতস্নান করবেন বলে। পঞ্জিকা মতে, অমৃতস্নানের (একেই আগে শাহি স্নান বলা হত) যোগ পাঁচটি। প্রধানমন্ত্রী যে দিন স্নান করবেন, সেদিন অমৃতস্নানের যোগ নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণে ৫ ফেব্রুয়ারি মেলায় ভিড় কম হবে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই এই দিনটিই বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ত্রিবেণী সঙ্গমে কে, কবে

    কুম্ভস্নান সেরে নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২৭ জানুয়ারি পুণ্যস্নান করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১ ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নানে যাবেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আর ১০ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরই মাঝে ৫ তারিখে কুম্ভস্নান সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    আরও পড়ুন: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাস দেড়েকের মেলায় অমৃতস্নানের যোগ রয়েছে পাঁচটি। একটি হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে চারটি। এগুলি হল, ২৯ জানুয়ারি, মৌনী অমবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি। এই দিনগুলিতে কয়েক কোটি ভক্ত কুম্ভস্নান করবেন পুণ্যলাভের আশায়। তাই এই দিনগুলিতে প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি অমৃতস্নানে গেলে অসুবিধায় পড়বেন সাধারণ পুণ্যার্থীরা। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই কারণেই অমৃতস্নানের জন্য প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন সাধারণ একটি দিন। প্রসঙ্গত, প্রতি ছ’বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভ। প্রয়াগরাজ (Mahakumbh) ছাড়াও সেগুলি হয় হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জ্বয়িনীতে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

LinkedIn
Share