Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Narendra Modi: ‘‘মনোবল ধরে রাখাই সাফল্যের চাবিকাঠি’’! ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-য় পড়ুয়াদের পরামর্শ মোদির

    Narendra Modi: ‘‘মনোবল ধরে রাখাই সাফল্যের চাবিকাঠি’’! ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-য় পড়ুয়াদের পরামর্শ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোবল ধরে রেখে সঠিক পথে প্রস্তুতি নেওয়াই সাফল্যের চাবিকাঠি। শুক্রবার ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামনেই সারা দেশে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বোর্ডের পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপমুক্ত করতেই শুক্রবার আয়োজিত হল পরীক্ষা পে চর্চা। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনল ৩৮ লাখ পড়ুয়া। গতবারের থেকে ১৫ লাখ বেশি, জানিয়েছেন কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    সঠিক প্রস্তুতি প্রয়োজন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেছেন, সন্তানের উপর প্রত্যাশার বিপুল বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। ওরা কতটা দিতে পারে, সেটা বিবেচনায় রেখে প্রত্যাশা করুন। পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে তাঁর উপদেশ, যত চাপই আসুক না কেন, তোমরা নিজেরা যতটা পূরণ করতে পারবে, ততটাই করার চেষ্টা করবে নিখুঁতভাবে। পরীক্ষার্থীদের তিনি আরও বলেন, কখনওই পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করবে না। তাতে এক-দু’বার উতরে যেতে পারো। কিন্তু ভবিষ্যতে কোথাও না কোথাও আটকে যাবে। তাই সর্বদা সঠিক ও সৎ পথে চলার চেষ্টা করবে।

    এদিন সকাল ১১ টায় দিল্লির তালকাটোরা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এদিন অনুষ্ঠানটিতে ২ হাজার শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করে। বাকি পরীক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন এক ছাত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, “যদি আমার রেজাল্ট ভালো না হয় তাহলে আমি পরিবারকে কীভাবে বোঝাব?” যার উত্তরে মোদি বলেন, “পরিবারের প্রত্যাশা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি সামাজিক স্ট্যাটাসের বিষয়ে অভিভাবকেরা ভাবেন তাহলে চিন্তার বিষয় রয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীরা যদি নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকে সফল হবেই।” 

    আরও পড়ুুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    আবার হার্ডওয়ার্ক নাকি স্মার্টওয়ার্ক, কোনটা বেশি জরুরি, এমনই প্রশ্ন করেন আরেক এক পড়ুয়া। যার জবাবে প্রধানমন্ত্রী কলসি থেকে কাকের জলপানের গল্প উল্লেখ করে বলেন, “অনেকে বরাবর কঠোর পরিশ্রম করেন। আবার কারোর জীবনে কঠোর পরিশ্রম শব্দটাই নেই। আবার কেউ স্মার্টলি হার্ডওয়ার্ক করেন। তাই সমস্যা সমাধানের জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন নাকি বুদ্ধিমত্তার তা আগে বুঝতে হবে।” পাশাপাশি সাফল্যের জন্য শিক্ষার্থীদের সময়ানুবর্তিতা অত্যন্ত জরুরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা

    BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন”, বিবিসি-র (BBC) এই তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরীয় এলাকার ফ্রেমন্টে প্রতিবাদ দেখালেন প্রবাসী ভারতীয়রা। “ভারতীয় প্রবাসী” এর ব্যানারে প্রায় ৫০ জন সদস্য স্লোগান দেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় মিছিলেও হাঁটেন। তাঁদের দাবি, বিবিসির অশুভ ও পক্ষপাতমূলক তথ্যচিত্র প্রত্যাখ্যান করা হোক। ফ্রেমন্টে মিছিল করার সময়, ভারতীয়রা “পক্ষপাতদুষ্ট বিবিসি” এবং “বর্ণবাদী বিবিসি” এর মতো স্লোগান তোলেন।

    ফ্রেমন্টে ভারতীয়দের মিছিলের (BBC) ব্যানারে লেখা ছিল, “বিবিসি একটি বোগাস ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন” এবং “ভারতীয় প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিবিসির অশুভ এবং পক্ষপাতদুষ্ট ডকুমেন্টারি প্রত্যাখ্যান করেছে”, “বিবিসি ডকুমেন্টারি ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে”, “বিবিসি একটি ভুয়ো, দালাল সংবাদমাধ্যম”।  

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি (BBC)। তথ্যচিত্রটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক। দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটিকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিহিত করেছে কেন্দ্র। 

    নির্মাতারা (BBC) দাবি করেন, মোদির সঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে, মূলত মুসলিমদের সম্পর্কের তিক্ততার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে। পাশাপাশি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকে।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    বিশ্বজুড়ে বিতর্ক 

    এই সিরিজ় (BBC) নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অনেকেই ট্যুইটারে বিবিসির এই উদ্যোগ নিয়ে উপহাস করেছে। অনেকেই বলেছেন, বিবিসির উচিত ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের উপরও একটি সিরিজ তৈরি করা উচিত, যার নাম হবে ‘ইউকে: দ্য চার্চিল কোয়েশ্চন’। প্রসঙ্গত, এই মন্বন্তরে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে, ভারতীয়দের থালা থেকে খাবার তুলে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের খাওয়ানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেই খাদ্য। যার বলি হতে হয়েছিল বাংলার মানুষকে। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জারও এই সিরিজের প্রেক্ষিতে বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের অভিযোগ করেছেন।

    অনেকেরই ধারণা গুজরাট হিংসা (BBC) নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং আর বি শ্রীকুমারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও এই তথ্যচিত্রের কী ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maan ki Baat: ১৪৫টি পেটেন্ট রয়েছে এই সংস্থার নামে, আইআইএসসি-র প্রশংসায় নরেন্দ্র মোদি

    Maan ki Baat: ১৪৫টি পেটেন্ট রয়েছে এই সংস্থার নামে, আইআইএসসি-র প্রশংসায় নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৭ তম ‘মন কি বাত’ (Maan ki Baat) অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, বেঙ্গালুরুর ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “দেশের সবথেকে পুরোনো বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, অর্থাৎ আইআইএসসি এক মহৎ দৃষ্টান্ত পেশ করছে। মন কি বাত-এ আমি আগে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই সংস্থা স্থাপনের নেপথ্যে ভারতের দুই মহান ব্যক্তিত্ব জামশেদজী টাটা ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরণা রয়েছে। এটা জেনে আমাদের সবার গর্ব হবে যে, ২০২২ সালে এই সংস্থার নামে ১৪৫ টি পেটেন্ট রয়েছে। এর অর্থ প্রতি পাঁচ দিনে দুটি পেটেন্ট। এই রেকর্ড আশ্চর্য! এই সফলতার জন্য আমি আইআইএসসির  টিম কে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। বন্ধুরা আজ পেটেন্ট ফিলিং-এ ভারতের স্থান সপ্তম আর ট্রেডমার্কে পঞ্চম। শুধুমাত্র পেটেণ্টের কথা বললে গত পাঁচ বছরে এখানে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।  গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সেও ভারতের র‍্যাঙ্কিং-এ উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এবং এখন ভারত চল্লিশতম স্থানে রয়েছে। যেখানে ২০১৫-তে ভারতের স্থান ছিল আশিতম। আমি আরও একটি খুশির কথা আপনাদের বলতে চাই। ভারতে গত এগারো বছরে প্রথমবার ডোমেস্টিক পেটেন্ট ফিলিং-এর সংখ্যা ফরেন ফিলিং-এর থেকে বেশি দেখা গিয়েছে। এটি ভারতের বর্ধিষ্ণু বৈজ্ঞানিক সামর্থ্যের পরিচয় দেয়।

    কী বলেন প্রধানমন্ত্রী?      

    বছরের প্রথম মন কি বাত (Maan ki Baat) অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন শুরুতেইই পদ্ম সম্মান প্রাপকদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এটাই ছিল বছরের প্রথম মনকি বাত অনুষ্ঠান। প্রতি মাসের চতুর্থ রবিবার মনকি বাত অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে বার্তা দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এদিন বছরের প্রথম মনকি বাত অনুষ্ঠানে ভারতকে ‘গণতন্ত্রের জননী’ সম্মোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রক্তে, সংস্কৃতিতে মিশে রয়েছে গণতন্ত্র। বহু শতাব্ধী ধরেই এটি আমাদের জীবনের, সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসানে রয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে থাকি। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, গণতন্ত্রের জননী ভারত।” সেই সঙ্গে দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছাও জানান তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী (Maan ki Baat) বলেন, “এবারের পদ্ম সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে তাদেরও, যারা প্রাচীন, ঐতিহ্যশালী বাদ্য়, যেমন সন্তুর, বামহুম, দোতারা বাজিয়ে সুর ছড়িয়ে দিয়েছেন।”

    মিলেটের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন (Maan ki Baat), ২০২৩ সালকে মিলেটের আন্তর্জাতিক বর্ষ হিসাবে গণ্য করা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ মিলেট দিয়ে নানা খাবার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কাস্মীর স্নো ক্রিকেট এবং উইন্টার গেমসকে ‘খেলো ইন্ডিয়ার’- সম্প্রসারিত অংশ বলে উল্লেখ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী (Maan ki Baat) আরও বলেন, “আগামিদিনে নতুন বিপ্লব আসতে চলেছে। সাধারণ মানুষ যেভাবে বিশাল হারে যোগাসন ও শরীরচর্চায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে যোগাসনকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে, একইভাবে মিলেটকেও ব্যাপক হারে গ্রহণ করে তা জনপ্রিয় করে তোলা হবে। ভারতের প্রস্তাবেই রাষ্ট্রপুঞ্জ আন্তর্জাতিক যোগাসন দিবস ও আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষের ঘোষণা করেছে। যোগাসন যেমন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, একইভাবে মিলেটও স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • National Voters Day: জাতীয় ভোটার দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান

    National Voters Day: জাতীয় ভোটার দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ভোটার দিবসে (National Voters Day) দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকালে এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বছরের থিম “নাথিং লাইক ভোটিং, আই ভোট ফর সিউর”-থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, আমরা যেন নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণকে আরও জোরদার করতে পারি এবং আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।

    প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২৫ জানুয়ারি এ দেশে জাতীয় ভোটার দিবস (National Voters Day) পালন করা হয়। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি ভারতের নির্বাচনী আয়োগের ৬১ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সঙ্গে সংগতি রেখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল এই দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জাতীয় ভোটার দিবস (National Voters Day) উপলক্ষে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার তিনি টুইট করে লিখেছেন, ভোটার দিবস সাংবিধানিক মূল্যবোধ উদযাপনের দিন। দিনটি একটি শক্তিশালী জাতি গঠনের জন্য নাগরিকদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের দায়িত্বকে নির্দেশ করে। শাহ বলেন, তিনি দেশের তরুণদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    আরও পড়ুন: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    এদিন (National Voters Day) এক বিশেষ ঘোষণাও করে নির্বাচন কমিশন। আর ১৮ নয়, এ বার ১৭ বছর বয়স হলেই ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে আবেদন করা যাবে। বুধবার কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ভোটার দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, নতুন ভোটারদের জন্য প্রি রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম শুরু করা হয়েছে। ১৭ বছর বয়স হলেই করা যাবে রেজিস্ট্রেশন। অর্থাৎ, ভোটার হওয়ার জন্য আগাম আবেদনের ব্যবস্থা শুরু করল কমিশন। এর ফলে ১৮ বছর হলেই আগাম আবেদনকারীরা ভোটার হয়ে যাবেন। নতুন ভোটারদের বাড়িতে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে ভোটার কার্ড।

    এদিন প্রায় গোটা রাজ্যেই পালন করা হয়েছে জাতীয় ভোটার দিবস (National Voters Day)। বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, ইসলামপুর, মালবাজারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বালুরঘাটে বাইক র‍্যালি বেরোয় এই দিন উপলক্ষে। পালন করা হয় মালদা জেলাতেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Sonam Wangchuk: “অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ”, ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াংচুক

    Sonam Wangchuk: “অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ”, ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াংচুক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমির খানের সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’- এর মাধ্যমে গোটা বিশ্ব চিনেছিল সোনাম ওয়াংচুককে (Sonam Wangchuk)। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ছবিটির মুখ্য চরিত্রে র‍্যাঞ্চোর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আমির খান। ছবিটি মূলত এক ভারতীয় বিজ্ঞানীর জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি। লাদাখের ওই বিজ্ঞানীর নাম সোনাম ওয়াংচুক। ছবিটি মুক্তির পরই রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এবার সেই ওয়াংচুকই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভিডিও বার্তা পাঠালেন। ছবিটির সংলাপ ধার করে ভিডিও-তে ওয়াংচুক বলেন, ‘অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ’!

    আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে’, অনুযোগ প্রধানমন্ত্রীর  

    কেন এমন বললেন ওয়াংচুক? 

    ভিডিওতে লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিপর্যস্ত হচ্ছে লাদাখ (Sonam Wangchuk)। তাই তাঁর প্রাণের লাদাখকে বাঁচাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে মোদিকে বার্তা পাঠিয়েছেন ওয়াংচুক। এমনকী ভিডিওতে চিনা দ্রব্য বয়কট করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।    

    ওয়াংচুকের অভিযোগ, লাদাখের ৯৫ শতাংশ (Sonam Wangchuk) বাসিন্দাই জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত, কিন্তু তারপরও এই অঞ্চলকে ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে কেন্দ্র সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” শুধু ভিডিও বার্তা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

     

    প্রসঙ্গত, লাদাখের খারদুংলা পাসে ১৮ হাজার ফিট উচ্চতায় অনশনে বসবেন ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)। পাঁচ দিনের এই প্রতীকী অনশন কর্মসূচির নাম দিয়েছেন, ‘ক্লাইমেট ফাস্ট’। এই কর্মসূচির কথাও তিনি তাঁর ভিডিওতে জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • BBC: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    BBC: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি (BBC)। তথ্যচিত্রটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক। দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটিকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিহিত করেছে কেন্দ্র। 

    নির্মাতারা (BBC) দাবি করেন, মোদির সঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে, মূলত মুসলিমদের সম্পর্কের তিক্ততার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে। পাশাপাশি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকে।

    আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি 

    বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “তথ্যচিত্রে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। বস্তুনিষ্ঠা এবং সত্যতার চরম অভাব রয়েছে। ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।”   

    সংবাদ সম্মেলনে (BBC) আরও জানানো হয়, বিবিসির ওই তথ্যচিত্র ভারতে দেখানো হয়নি। তথ্যচিত্রটিতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা রীতিমতো পক্ষপাতদুষ্ট।

    এদিকে, নয়াদিল্লির এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সুনাক বলেন, ডকুমেন্টারিতে যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তুলে ধরা হয়েছে এর সঙ্গে তিনি একমত নন।  

    এই সিরিজ় নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অনেকেই ট্যুইটারে বিবিসির এই উদ্যোগ নিয়ে উপহাস করেছে। অনেকেই বলেছেন, বিবিসির উচিত ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের উপরও একটি সিরিজ তৈরি করা উচিত, যার নাম হবে ‘ইউকে: দ্য চার্চিল কোয়েশ্চন’। প্রসঙ্গত, এই মন্বন্তরে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে, ভারতীয়দের থালা থেকে খাবার তুলে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের খাওয়ানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেই খাদ্য। যার বলি হতে হয়েছিল বাংলার মানুষকে। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জারও এই সিরিজের প্রেক্ষিতে বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের অভিযোগ করেছেন।   

    অনেকেরই ধারণা গুজরাট হিংসা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং আর বি শ্রীকুমারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও এই তথ্যচিত্রের কী ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল।

    যেই মুহূর্তে রাজনৈতিক বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এই বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি সরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিবিসি যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে, তা নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চর্চা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Narendra Modi: ফের আজ ৭১ হাজার প্রার্থীর হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Narendra Modi: ফের আজ ৭১ হাজার প্রার্থীর হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রোজগার মেলার সূচনা করা হয়েছে। এই রোজগার মেলা থেকেই দেশের যুবক-যুবতীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে চাকরির শংসাপত্র। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সূত্রে খবর, আজ ফের একবার সরকারি দফতরের নতুন যোগদানকারীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৭১ হাজার জনের হাতে এই নিয়োগপত্র তুলে দেবেন তিনি। আজ এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতাও দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ৭১০০০ প্রার্থীকে নিয়োগপত্র মোদির

    গত বছরের জুন মাসে আগামী দেড় বছরে ১০ লক্ষ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি। এরপরেই সূচনা করা হয় রোজগার মেলা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার লক্ষ্য পূরণেই এই রোজগার মেলার সূচনা করা হয়েছে। এর ফলে দেশের উন্নয়নে আরও সরাসরি যোগ দিতে পারবে যুব সমাজ। এর পর গত অক্টোবর মাসে ৭৫ হাজার যুবক-যুবতীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। তখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়োগপত্র বিলি করেছিলেন। এর পর দীপাবলির সময়ে ৭১ হাজার জনকে নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানানো হয়েছিল, দেশের ৪৫ টি এলাকায় ওই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে প্রার্থীদের। ফের আজকেও নিয়োগপত্র দেওয়া হবে ৭১ হাজার প্রার্থীদের।

    আরও পড়ুন: ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন নির্মলা সীতারামন, জানুন বাজেটের সাত সতেরো

    সারা দেশের নতুন নিয়োগকারীরা ভারত সরকারের অধীনে বিভিন্ন পদে যেমন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, লোকো পাইলট, টেকনিশিয়ান, ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল, স্টেনোগ্রাফার, জুনিয়র অ্যাকাউন্ট্যান্ট, গ্রামীণ ডাক সেবক, আয়কর পরিদর্শক, শিক্ষক, নার্স, ডাক্তার, সামাজিক নিরাপত্তা অফিসার, পিএ, এমটিএস ইত্যাদিতে যোগ দেবেন।

    কর্মযোগী প্রারম্ভ মডিউল…

    এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্মযোগী প্রারম্ভ মডিউলের উদ্বোধন করেছেন। রোজগার মেলার অধীনে যেসব প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন তাঁদের এই মডিউলের মাধ্যমে অনলাইনে ওরিয়েন্টশন হয়। ফলে কর্মযোগী প্রারম্ভ মডিউল থেকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যা শিখেছেন তার অভিজ্ঞতাও আজকের এই অনুষ্ঠানে শেয়ার করা হবে।

    বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    সূত্রের খবর, ‘রোজগার মেলা’-এর অধীনে যুবকদের চাকরি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানুয়ারিতে বিভিন্ন রাজ্যে যাবেন। ধর্মেন্দ্র প্রধান, পীযূষ গয়াল, হরদীপ পুরী, অনুরাগ ঠাকুর এবং অন্যান্যদের মত সিনিয়র মন্ত্রী সহ মোট ৪৫ জন মন্ত্রী এতে অংশ নেবেন। যেমন- নরেন্দ্র সিং তোমর যাবেন ভোপালে, অনুপ্রিয়া প্যাটেল মুম্বইয়ে, অশ্বিনী চৌবে নাগপুরে, নিত্যানন্দ রাই পুনেতে, পীযূষ গোয়েল নয়া দিল্লিতে, ধর্মেন্দ্র প্রধান ভুবনেশ্বরে, কানপুরে অনুরাগ সিং ঠাকুর, গাজিয়াবাদে আর কে সিং, পাটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, ফরিদাবাদে ভূপেন্দ্র যাদব, জম্মুতে অজয় ​​ভাট, রাঁচিতে পশুপতিনাথ পারস এবং বেঙ্গালুরুতে প্রহ্লাদ জোশী ইত্যাদি।

     

  • World Economic Forum: ‘বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মাঝে ভারত একমাত্র উজ্জ্বল স্থান’, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লস শোয়াব

    World Economic Forum: ‘বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মাঝে ভারত একমাত্র উজ্জ্বল স্থান’, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লস শোয়াব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মাঝে একমাত্র ভারতই একটি উজ্জ্বল স্থান। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই তা সম্ভব হয়েছে। এমনটাই বলতে দেখা গেল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াবকে। গতকাল, বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০২৩-এর বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লস শোয়াব।

    ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ক্লস শোয়াব

    কোভিড মহামারীর ফলে যখন বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কট দেখা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত একের পর এক বিপর্যয়ের মধ্যেও ভারত যেভাবে অবস্থান নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ফলে ভারতের এই সকল ইতিবাচক সূচক দেখে, ভবিষ্যতে যে ভারতই সারা বিশ্বের নেতা হতে চলেছে, তা বলার আর অপেক্ষা থাকে না।

    ফোরামের পক্ষ থেকে এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াব এক বিশেষ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, “আমি ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল এবং সেই দেশের বহু শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। জলবায়ুর ক্ষেত্রে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য পদক্ষেপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে অবদান, মহিলা-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের জন্য একটি অর্থনৈতিক মডেল তৈরি এবং ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো তৈরিতে এই দেশের নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। বৈশ্বিক ভূ-অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ভারত একটি উজ্জ্বল স্থান হিসেবে রয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    ‘এই বিশ্বে মোদির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ’ বললেন ক্লস শোয়াব

    গতকাল ভারতের কথা বলতে গিয়ে ক্লস শোয়াব আরও বলেন, জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব ভারত একেবারে সঠিক সময়ে পেয়েছে। কারণ, বর্তমান বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের এমন প্রশংসা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে সেপ্টেম্বর মাসে নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ (G 20) সম্মেলন। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতিসূচক আলোচনা চক্র শুরু হয়েছে দেশে। আগের বছরের জি-২০ শিখর বৈঠকের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে আগামী সভাপতি বেছে নেওয়া হয় ভারতকে। এক বছর এই দায়িত্ব পালন করবে ভারত। ভারতেই বসবে আগামী জি-২০ বৈঠক। সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি মোদি জানিয়েছিলেন, ভারতের লক্ষ্য হবে, জি-২০ দেশগুলোর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়া। আগামী সম্মেলনের থিম ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ বা এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। আর তা করতে ভারতের হাতিয়ার হবে ডিজিটাল প্রযুক্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  •  Union Budget 2023: কমবে মধ্যবিত্তের বোঝা! আসন্ন বাজেটে বদল হবে কি কর-কাঠামোর?

     Union Budget 2023: কমবে মধ্যবিত্তের বোঝা! আসন্ন বাজেটে বদল হবে কি কর-কাঠামোর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করের (Tax) কাঠামোর বদল হতে পারে আসন্ন বাজেটে (Union Budget 2023)। আর্থিক বৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে কয়েক বছর আগে কর্পোরেট সংস্থাগুলির কর কমিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। আসন্ন বাজেটেও ব্যক্তিগত আয়করও কিছুটা কমতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। চলতি বছর হওয়ার কথা ১০ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবারই শেষবারের মতো পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে নরেন্দ্র মোদির সরকার। আগামী বছর যেহেতু দেশজুড়ে সাধারণ নির্বাচন, তাই সেবার পেশ হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট। তাই এবার বাড়ানো হতে পারে করমুক্ত আয়ের সীমা। বিভিন্ন ধারার অধীনে করছাড়ের মাত্রা বাড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আয়করের হার…

    এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়করের হার কমানোর বিষয়ে ভাবছে সরকার। তবে এ ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেবারই শেষবারের মতো আয়করের স্ল্যাবে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। তখনই আয়কর মকুবের সর্বোচ্চ সীমা ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল। তাই এবার পুরানো কর কাঠামোয় (Union Budget 2023) পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে আশায় বুক বাঁধছেন আয়করদাতারা।

    আরও পড়ুুন: বিদেশি চর! তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার অর্থমন্ত্রকের অস্থায়ী কর্মী

    দিন কয়েক আগে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত মিলেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কথায়ও। তিনি বলেছিলেন, আমি নিজে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাই মধ্যবিত্তের সমস্যাগুলি বুঝি। মোদি সরকার নতুন করে এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর কোনও কর আরোপ করেনি। তিনি বলেছিলেন, এখনও ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় দিয়ে রেখেছে সরকার। মধ্যবিত্তরা গণপরিবহণ সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করে। তাই আমরা ২৭টি জায়গায় মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক নিয়ে এসেছি। অনেক মধ্যবিত্ত মানুষ চাকরির সন্ধানে শহরে চলে যাচ্ছে। যার জন্য আমরাও স্মার্ট সিটির লক্ষ্যে ফোকাস করছি। মধ্যবিত্তের উন্নয়নে আমরা এই কাজ চালিয়ে যাব। প্রসঙ্গত, পুরানো কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা না হলেও, ২০২০ সালে নয়া কর কাঠামো (Union Budget 2023) চালু করেছিল কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছিল, কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নীচে হলে তাঁকে আয়কর দিতে হবে না। ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার কম পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ৫ শতাংশ। আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে কর বাবদ নেওয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Narendra Modi: ভোটের আশা না করেই মুসলিমদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ান! বিজেপি কর্মীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: ভোটের আশা না করেই মুসলিমদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ান! বিজেপি কর্মীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ম নয়, উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ২০২৪ লোকসভা ভোটে জিতে আসতে হবে। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের কর্মীদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর ৪০০ দিন। এই আবহে ভোটের আশা না করেই বিজেপি কর্মীদের মুসলিমদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিজেপি এখন আর শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এটি একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। অমৃত কালকে কর্তব্য কালে রূপান্তরিত করার জন্য সমাজের সকল মানুষকে এক সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।”

    মুসলিম ভোটে জোর

    ২০১৪ সালে প্রথম বার দিল্লির মসনদে বসেছিলেন মোদি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এ বার লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। লোকসভার আগে চলতি বছরেই তেলঙ্গনা,কর্ণাটকের মতো রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে মুসলিম ভোটাররা বড় ফ্যাক্টার। তাই মুসলিম তথা সংখ্যালঘু ভোটকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের নেতা-কর্মীদের শিক্ষিত মুসলিমদের কাছে পৌঁছনোর কথা বলেন। তাঁদের সামনে উন্নযনের লেখচিত্র তুলে ধরার নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    ঐক্যের বার্তা

    পাশাপাশি মুসলিমদের উদ্দেশ্য কোনওরকম কু কথা-আক্রমণ করা যাবে না বলেও দলীয় কর্মীদের বারবার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগী আদিত্যনাথ থেকে প্রজ্ঞা ঠাকুর,নুপুর শর্মা সহ বিজেপির নেতা,মন্ত্রী প্রকাশ্যে বারবার মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করেছেন। তাতে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করেন মোদি। বিজেপির এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিজেপি কর্মীদের ভোটের আশা না করেই পাসমান্ডা মুসলিম, বোহরা সম্প্রদায়, পেশাদার এবং শিক্ষিত মুসলিমদের সঙ্গে দেখা করার আহ্বান জানান।’কর্মী-সমর্থকদের অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে মন্তব্য করতেও নিষেধ করেন মোদি। সম্প্রতি বিজেপির একাধিক নেতা ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বিষয় নিয়ে আলপটকা মন্তব্য করেছেন। তাতে আখেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। মোদির বার্তা, এই সব বিতর্কের জেরে দলের প্রচার ধাক্কা খেয়েছে। ওই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি সামনে চলে আসছে। বিজেপির উন্নয়নের প্রচার পিছনের দিকে চলে যাচ্ছে। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এই নীতির অধীনে, সমস্ত রাজ্যের একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত এবং একে অপরের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মিলিত হওয়া উচিত, বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share