Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: ঝুলিতে ২৮টি দেশের সর্বোচ্চ সম্মান! জনপ্রিয় বিশ্বনেতাদের তালিকার শীর্ষে নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: ঝুলিতে ২৮টি দেশের সর্বোচ্চ সম্মান! জনপ্রিয় বিশ্বনেতাদের তালিকার শীর্ষে নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় সবার আগে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আবারও মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারে শীর্ষস্থান দখল করেছেন মোদি। ৭৫% অ্যাপ্রুভাল রেটিং পেয়েছেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর থেকে অনেক পিছিয়ে। মাত্র ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং পেয়েছেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই ২৮টি দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান লাভের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তিনিই ভারতের ইতিহাসে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সর্বাধিক সংখ্যক বিদেশি রাষ্ট্রীয় সম্মান লাভ করেছেন।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে অনেক এগিয়ে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র ভারতের নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতির সবচেয়ে বড় মুখ। যেখানে একের পর এক দেশ তাদের নেতৃত্বে আস্থা হারাচ্ছে, সেখানে মোদি এখন ভারতবাসীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত নেতা। তাঁর উন্নয়নমূলক কাজ, আন্তর্জাতিক কূটনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সংস্কারমূলক পদক্ষেপ তাঁকে এনে দিয়েছে এই অসাধারণ জনপ্রিয়তা। মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অনুমোদনের রেটিং ট্র্যাক করে। সেই নিরিখে দেখা গিয়েছে, প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

    কীভাবে পেলেন স্বীকৃতি

    চলতি বছরের গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং করা হয়েছিল ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। যেসব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের ৭ দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। মর্নিং কনসাল্ট (Morning Consult) একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় সংস্থা। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিস্ট কোম্পানি। এই সংস্থার সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন, গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এইভাবে ভাবেননি। আর ৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিত ভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি। মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার লি-জে-মিয়ং। তিনি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং বা অনুমোদন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই।

    মোদির অনন্য নজির

    ২০১৬ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি মোট ২৮টি আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা (Top Civilian Awards) পেয়েছেন, যা তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বিশ্বব্যাপী প্রভাব স্বীকার করারই প্রতিফলন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী ও মনমোহন সিং—এই তিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকে মাত্র দুটি করে আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছিলেন। সেই তুলনায় মোদির আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “ভারতের ইতিহাসে এমন কোনও প্রধানমন্ত্রী আসেননি যাঁর এত ব্যাপক আন্তর্জাতিক প্রভাব পড়েছে। এই সম্মান শুধুমাত্র মোদির নয়, এটি ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কূটনৈতিক স্পষ্টতা ও আত্মবিশ্বাসী বিদেশনীতির প্রকাশ। আজকের ভারত বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে—আমাদের নীতিতে আমরা আপস করবো না। বিশ্ব সেটিকে সম্মান করছে, স্বীকারও করছে।”

    আন্তর্জাতিক সম্মানের তালিকা

    ২০১৬- সৌদি আরব মোদিকে তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান ‘কিং আবদুল-আজিজ শাহ’ সম্মানে ভূষিত করে। ওই বছরই আফগানিস্তানও মোদিকে ‘আমির আমানুল্লাহ খান পুরস্কার’-এ ভূষিত করে যা সেই দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান।

    ২০১৮ – প্যালেস্তাইনে গ্র্যান্ড কলার অফ দ্য স্টেট অফ প্যালেস্তাইন সম্মানে ভূষিত হয়েছেন মোদি।

    ২০১৯ – মলদ্বীপ সরকারও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘রুল অফ নিসান ইজাউদ্দিন’ সম্মানে ভূষিত করেছে। ওই বছরই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়ে মোদি সেই দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ জায়েদ’-এ ভূষিত হন। বাহরিন সরকার মোদিকে ‘কিং হামাদ অর্ডার অফ দ্য রেনেসাঁ’ ও তাঁকে এই সম্মান জানিয়েছে।

    ২০২০ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই বছর মোদি পান ‘লিজিয়ন অফ মেরিট’ সম্মান।

    ২০২৩ – পাপুয়া নিউ গিনির সরকারের তরফেও তিনি পেয়েছেন গ্র্যান্ড কমপ্যানিয়ন অফ দ্য অর্ডার অফ লোগোহু সম্মান। এই সম্মাননা থেকে বাদ পড়েনি ইজিপ্টও। ২০২৩ সালে এই দেশ মোদিকে জানায় অর্ডার অফ দ্য নাইল সম্মান। এই বছর ফ্রান্সের তরফে মোদি পান ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য লিজিয়ন অফ অনার’ সম্মান এবং গ্রিসের থেকে পান ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ অনার’ সম্মান।

    ২০২৪ – ভুটান সরকার নরেন্দ্র মোদিকে ভূষিত করে ‘অর্ডার অফ দ্য দ্রুক গ্যালপো’ সম্মানে। এই বছর আরও সম্মান পেয়েছেন মোদি। রাশিয়া জানিয়েছে ‘অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোসেল’ সম্মান, নাইজেরিয়া জানিয়েছে ‘গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য নাইজার’ সম্মান, ডোমিনিকা প্রজাতন্ত্র জানিয়েছে ‘ডোমিনিকা অ্যাওয়ার্ড অফ অনার’ এবং গুয়ানা সরকারের থেকে মোদি পেয়েছেন ‘অর্ডার অফ এক্সিলেন্স’ সম্মান। সবশেষে বার্বাডোজে গিয়ে মোদি পান ‘অনারারি অর্ডার অফ দ্য ফ্রিডম অফ বার্বাডোজ’ সম্মান।

    ২০২৫ – এই বছর ঘানা বাদে আরও ৪ দেশ সম্মানিত করেছে মোদিকে। কুয়েতের ‘দ্য অর্ডার অফ দ্য মুবারক আল কুবীর’ সম্মান, মরিশাসের ‘দ্য গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অ্যান্ড কি অফ দ্য ইন্ডিয়ান ওশেন’ সম্মান এবং শ্রীলঙ্কা জানিয়েছে ‘দ্য মিত্র বিভূষণা’ সম্মান। ঘানার আগে সাইপ্রাসে গিয়েছিলেন মোদি। সেই দেশের সরকার তাঁকে ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ ম্যাকারিকস থ্রি’ সম্মানে ভূষিত করেছে। এছাড়াও ত্রিনিদাদ-টোবাগো, ব্রাজিল, নামিবিয়া মোদিকে তাঁদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করেছেন।

    দেশবাসীকে উৎসর্গ

    প্রতিবারই নিজের সম্মান দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আন্তর্জাতিক মঞ্চেই জানিয়েছেন ১৪০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে এই সম্মান গ্রহণ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে এই সম্মান-স্বীকৃতি ভারতের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের প্রতি উৎসর্গ করেছেন মোদি।

  • PM Modi: মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসে প্রধান অতিথি মোদি, কী বলছে গ্লোবাল মিডিয়া?

    PM Modi: মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসে প্রধান অতিথি মোদি, কী বলছে গ্লোবাল মিডিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমে গেল খেলা! ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে চিনপন্থী (China) মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নন, প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। শুধু তাই নয়, মুইজ্জুর মুখে মোদি-স্তুতিও নজর কেড়েছে তামাম বিশ্বের। এতেই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশের। মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মোদিকে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মান প্রদর্শন কেবল ভারত ও মলদ্বীপেই নয়, বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়ে ওঠে সংবাদ মাধ্যমের।

    মোদির সফর বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই দ্বীপরাষ্ট্র সফর বেশ কয়েকটি কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার প্রধান কারণ মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ২০২৩ সালে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউটে’র। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই প্রতিশ্রুতি পূরণে উঠেপড়ে লাগেন মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার পাশাপাশি চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেও উদ্যোগী হন তিনি। কুর্সিতে বসার পরে পরেই তিনি মলদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাকর্মীদের ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। মলদ্বীপের এই পদক্ষেপটিকে নয়াদিল্লি চিনের দিকে মালদ্বীপের একটি কৌশলগত ঝুঁকে পড়া হিসেবে দেখেছিল। সেই একই নেতাই এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই প্রতীকী বার্তাটি একেবারেই স্পষ্ট। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন, বিশেষ করে যখন চিন যখন ভারত মহাসাগরে নিজের প্রভাব আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    কী বলছে গ্লোবাল টাইমস

    বেজিংয়ের রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ভারতের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট প্রকাশে ধরনের সমালোচনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফরকে ঘিরেই এই রিপোর্ট। গ্লোবাল টাইমসের মতে, কিছু ভারতীয় মিডিয়া এই সফরকে চিনের কৌশলগত পরাজয় এবং ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছে (PM Modi)। গ্লোবাল টাইমসের অভিযোগ, ভারতীয় মিডিয়া (China) ‘জিরো সাম থিংকিং’য়ে জড়িয়ে পড়েছে। এই চিন্তাধারা অনুযায়ী, ভারতের যে কোনও লাভকেই চিনের ক্ষতি হিসেবে দেখা হয়। ওই সংবাদপত্রে চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কৌশল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর কিয়ান ফেংয়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “মলদ্বীপ স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়, তবে একইসঙ্গে বৈচিত্র্যময় বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে, যার মধ্যে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর সঙ্গে যুক্ত থাকাও অন্তর্ভুক্ত।” তিনি বলেন, “এই কৌশলগুলির মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।”

    নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদন

    সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদনের শিরোনাম “মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভারতের মোদি”। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির সফরে নয়া পরিকাঠামো অংশীদারিত্ব, আর্থিক প্রতিশ্রুতি এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতার পুনর্জাগরণ স্পষ্ট। মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রক ভবনের উদ্বোধন করেন। ভারত যেসব প্রকল্পে টাকা ঢেলেছে, সেগুলির উদ্বোধনও করেন। দ্বীপরাষ্ট্রকে দেন অর্থনৈতিক সাহায্যের আশ্বাসও (China)। নিউজ এশিয়ার দাবি, নয়াদিল্লিতে মোদির এই সফরকে চিনের প্রভাব থেকে মলদ্বীপকে দূরে রাখার আশ্বাস হিসেবে দেখা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর শাসনের শুরুতেই ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল (PM Modi)। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে মোদির এই দু’দিনের দ্বীপরাষ্ট্র সফরকে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, এটি ভারত মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রপথে ভারতের প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর একটি লক্ষ্য। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি নতুন সূচনার ইঙ্গিত দিতে পারে।

    ব্রিটিশ দৈনিকের বিশ্লেষণ

    ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ভারত সরকার যখন লাক্ষাদ্বীপকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে প্রচার করতে শুরু করে, তখন মলদ্বীপের অনেকেই তাকে ভারতীয় পর্যটকদের নিজেদের সমুদ্রসৈকত থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখেছিলেন। তার ফলে উভয় দেশের মধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল (PM Modi)। ভারতের বেশ কয়েকজন তারকাও মলদ্বীপকে পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন। প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মুইজু ভারত সফরের আগে চিন সফরকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। এটি নজর এড়ায়নি নয়াদিল্লির। চিন সফর শেষে তিনি ওষুধ ও খাদ্য-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরতা কমানোর কথাও ঘোষণা করেন। তার (China) জেরে উভয় দেশেই শুরু হয় উদ্বেগ। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে যখন মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ওই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণতা ফিরিয়ে আনার পথ প্রশস্ত করে। এরই পরিণাম হল মোদির বর্তমান মলদ্বীপ সফর (PM Modi)।

  • PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিনি পেছনে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। দৌড়ে তাঁকে ধরতে পারেননি অন্য কোনও বিশ্বনেতাও (Global List)। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আরও একবার তিনি দখল করলেন মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের শীর্ষস্থান। ‘ফার্স্ট বয়’ নরেন্দ্র মোদি পেয়েছেন ৭৫ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত নেতা। আগেও তিনিই হয়েছিলেন প্রথম। এবারও টলানো গেল না তাঁর আসন। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার জয়ী হওয়ার পরেও দেশ ও বিদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়েও অনেক বেশি পোক্ত হয়েছে।

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার (PM Modi)

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অনুমোদনের রেটিং ট্র্যাক করে। সেই নিরিখে দেখা গিয়েছে, প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ঢের পেছনে রয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে মাত্রই ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। প্রসঙ্গত, এ বছরের গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং করা হয়েছিল ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। ২০টিরও বেশি দেশের নেতাদের মধ্যে থেকে মানুষ পছন্দ করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদিকেই।

    সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি

    যেসব রাষ্ট্রনেতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল (PM Modi)। মর্নিং কনসাল্ট একটি আমেরিকান সংস্থা। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিস্টের কাজ করে এরা। এই সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এভাবে ভাবেননি। আর ৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিতভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি।

    মোদিই প্রথম

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের তৈরি করা ওই তালিকায় নরেন্দ্র মোদির পরেই রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লি-জে-মিয়ং। তিনি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। থার্ড হয়েছেন আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই। তিনি পেয়েছেন ৫৭ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ওই তালিকার চার নম্বরে রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে ৫৬ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল। ৫৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল পেয়ে ফিফথ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিস। তালিকায় এর পর রয়েছে মেক্সিকো। সে (PM Modi) দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তাঁর পরে রয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের কারিন কেলার সাটার। তিনি পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Global List)। তিনি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ৫০ শতাংশ মানুষ তাঁর বিরোধিতা করেছেন।

    কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা

    এদিকে, বিশ্বের সব চেয়ে কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা পেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পেট্র ফিয়ালা। তাঁরা পেয়েছেন মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ৭৪ শতাংশ মানুষই তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পেয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। জার্মানির ফ্রেডরিক মর্জ পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন। তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রাজিলের লুলা দ্য সিলভা পেয়েছেন ৩২ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রিটেনের কিয়ের স্টার্মার পেয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন। আর ২০ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন জাপানের শিগেরু ইশিবা।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “১০০ কোটিরও বেশি ভারতীয়ের প্রিয় এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সম্মানপ্রাপ্ত নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও মর্নিং কনসাল্ট সমীক্ষা অনুসারে বিশ্বনেতাদের তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। মোদিজির নেতৃত্বে ভারত নিরাপদ।” ট্যুইট-বার্তায় কেন্দ্রীয় (PM Modi) মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও লেখেন, “বিশ্বমঞ্চে মোদিজির নেতৃত্ব ভারতকে গৌরবের আসনে বসিয়েছে। তাঁর দৃঢ়তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ভারতকে বিশ্ব রাজনীতিতে এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে (Global List)।”

    বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজনের আবহে মোদির এই আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা শুধু ভারতীয় রাজনীতির জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিসরের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে যেখানে চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ স্পষ্ট, সেখানে ভারতের সতর্ক ও ভারসাম্যপূর্ণ নেতৃত্বকে আশার আলো দেখছে অনেক দেশ (PM Modi)।

  • PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুলাই এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। টানা প্রধানমন্ত্রী থাকার হিসেবে ভাঙলেন ইন্দিরা গান্ধীর রেকর্ড (Indira Gandhi)। তিনিই হলেন ভারতবর্ষের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি টানা ১১ বছর ২ মাস ধরে দেশের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। তাঁর সামনে বর্তমানে রয়েছেন কেবল জওহরলাল নেহরু। এর আগে পর্যন্ত একটানা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন নেহরুর কন্যা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তিনি ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত টানা ১১ বছর ৫৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্র। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৬ বছর ২৮৬ দিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিপুলভাবে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জয়লাভ করে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরে আসেন। ২৫ জুলাই, ২০২৫-এ তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ১১ বছর ৬০ দিন পূর্ণ হল। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল, কারণ ১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম কোনও একক রাজনৈতিক দল—ভারতীয় জনতা পার্টি—দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করেছিল।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, তিন তালাক প্রথার অবসান, রাম মন্দির নির্মাণ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা বা ২০২৫ সালের পহেলগাঁও ঘটনার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’—সবই ছিল তাঁর সাহসী সিদ্ধান্ত (Indira Gandhi)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ২০০১ সালের অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সেই দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সরকারের মূলনীতি —“সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস”।

  • PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার তাঁর সফর শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা (India UK Trade Deal)। তাঁর এই সফরের একটি বড় ফল হতে পারে ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর।

    কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন গতি দেওয়া। স্টার্মার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চেকার্স-এ। এটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারিভাবে নির্ধারিত গ্রামীণ বাসভবন। এর অবস্থান লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমে ৫০ কিলোমিটার দূরে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডসের সঙ্গে সম্ভবত বৃহস্পতিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

    এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে কার লাভ, ক্ষতিই বা কার

    গত মে মাসে ভারত ও ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করে। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ভারতীয় রফতানির ৯৯ শতাংশই শুল্কমুক্ত হবে। স্বাভাবিকভাবেই লাভবান হবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এই চুক্তির ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলির জন্য হুইস্কি, গাড়ি এবং অন্যান্য পণ্য ভারতে রফতানি করাও আরও সহজ হবে। ফলে উপকৃত হবে দুই দেশই। এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে বাড়বে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণও। প্রসঙ্গত, এফটিএ নিয়ে গত তিন বছর ধরে আলোচনা চলছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে। শেষমেশ (PM Modi) চূড়ান্ত হয় চুক্তিটি। সেই চুক্তিটিতেই এবার শিলমোহর পড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ব্রিটেন সফরে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ শতাংশ বাণিজ্য মূল্যের আওতায় পড়া প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেওয়া হবে (India UK Trade Deal)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের সহযোগিতা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, গবেষণা, স্থায়িত্ব, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক-সহ নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত।” প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ সালে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডী। ব্রিটেন ভারতে ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ, যার মোট লগ্নির পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত

    এদিকে, ব্রিটেনে ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রিটেনে প্রায় ১,০০০ ভারতীয় কোম্পানি ১ লাখের কাছাকাছি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে (PM Modi)। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। ভারতের উন্নয়নের প্রতি তাঁদের উৎসাহ ও নিষ্ঠাকে অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী বলেও বর্ণনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ব্রিটেনের ভারতীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত। ভারতের অগ্রগতির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায় (India UK Trade Deal)।”

    চার দিনে দুই দেশ সফরে মোদি

    প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ২১ জুলাই থেকে। এই সময় চার দিনের বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে তিনি দু’দিন থাকবেন ব্রিটেনে, আর বাকি দু’দিন থাকবেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি গিয়েছেন রাজার দেশে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও। লন্ডন সফর শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। সেখানেও তিনি যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমন্ত্রণে। ২৬ জুলাই মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে চলেছে, বিশেষ করে মুইজ্জুর জমানায় ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে যে শীতলতা তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে (PM Modi)।

    জানা গিয়েছে, এদিন (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারতীয় (India UK Trade Deal) সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ। বৈঠক চলবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সন্ধে সাড়ে ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। রাত্রি ৯টায় প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে (PM Modi)।

  • PM Modi: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) স্বাক্ষর করতে দু’দিনের জন্য ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্যই হল ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্যিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা। ব্রিটেন থেকে তিনি যাবেন ভারত মহাসাগরের বুকের দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। মহম্মদ মুইজ্জু জমানায় ভারত-মলদ্বীপ তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক মজবুত করতেই ব্রিটেন থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। ২৬ জুলাই তিনি যোগ দেবেন দ্বীপরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে।

    ব্রিটেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ’২৩-’২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ব্রিটেনে। স্বাক্ষর করবেন এফটিএ-তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে তা হবে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ব্রিটেনে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক কমে যাবে। ভারতে বিক্রি করা সহজ হবে হুইস্কি ও গাড়ির মতো ব্রিটিশ পণ্যও। প্রসঙ্গত, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে গত তিন বছর ধরে এফটিএ নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মূল লক্ষ্য হল, দেশীয় বাজারে প্রবেশাধিকার অর্জনের পথ মসৃণ করা এবং উভয় দেশের জন্য বাণিজ্য সহজ ও উন্নত করা।

    এফটিএ-র লক্ষ্য

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশেরই লক্ষ্য হল একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং বাণিজ্যে বিধিনিষেধ কমিয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ভারত (PM Modi) ও ব্রিটেনের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে ভারতের ৯৯ শতাংশ রফতানি করা পণ্যের ওপরই ট্যাক্স কমে যাবে। ব্রিটেন থেকে আমদানি সহজতর হবে হুইস্কি ও গাড়ির মতো পণ্যের (FTA)।এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দীর্ঘ তিন বছর ধরে আলাপ-আলোচনা চলেছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের বাজারেই সুগম হবে পণ্য প্রবেশাধিকারের পথ। কেন্দ্রের দাবি, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে একটি উন্নততর বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টি হবে। দুই দেশের এই চুক্তি কেবল যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উন্নত করবে তাই নয়, ভারত ও ব্রিটেন এই দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতাও আরও দৃঢ় হবে।

    মোদিকে আমন্ত্রণ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই কারণেই দু’দিনের ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে থাকাকালীন অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা-সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। খতিয়ে দেখবেন কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের অগ্রগতি। একটি সূত্রের (PM Modi) খবর, ভারত ও ব্রিটেন এই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন বাকিংহামশায়ারের চেকার্সে। ষোড়শ শতকের এই প্রাসাদোপম বাড়িটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কান্ট্রি রেসিডেন্স। স্টার্মারের পাশাপাশি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের পরে চলতি বছরের দীপাবলির আগে ভারত সফরে আসবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “সফরের সময় মোদি-স্টার্মারের সঙ্গে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের সমগ্র পরিসর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও মত বিনিময়ও করবেন (PM Modi)।”

    চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছিল আগেই

    উল্লেখ্য, গত ৬ মে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার এই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারি বিবৃতিতে (FTA) বলা হয়েছিল, “টেলিফোনে মোদি-স্টার্মার আলোচনার পরে চূড়ান্ত হয়েছে চুক্তির রূপরেখা।” তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, “বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে।” এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার লিখেছিলেন, “একটি শক্তিশালী ও নিরাপদ অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা কমানোই আমাদের পরিবর্তিত পরিকল্পনার অংশ।”

    কে কী রফতানি করে

    মনে রাখতে হবে, ভারত ব্রিটেনে রফতানি করে চর্মজাত জিনিস, কাপড়, জুতো, খেলনা, সামুদ্রিক পণ্য, দামি জহরত এবং গয়না। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানি করে স্কচ হুইস্কি, জিন, জাগুয়ার, ল্যান্ডরোভারের মতো গাড়ি, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, প্রসাধনী, চকোলেট এবং নরম পানীয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে। তবে স্থানীয়দের স্বার্থের কথা ভেবে আপেল, চিজ, দুগ্ধজাত পণ্য চুক্তির আওতায় আনেনি ভারত। আর তাই এগুলি আমদানির ক্ষেত্রে মিলবে না কর ছাড় (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তাতে অনুমোদন দিতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে। ছাড়পত্র লাগবে ব্রিটেনের পার্লামেন্টেরও। তবেই কার্যকর হবে চুক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তা কার্যকর হতে বছরখানেক সময় লাগবে (FTA)।

  • Monsoon Session 2025: অপারেশন সিঁদুর, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা, শক্তিশালী ভারত! বাদল অধিবেশনের আগে কী বললেন মোদি?

    Monsoon Session 2025: অপারেশন সিঁদুর, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা, শক্তিশালী ভারত! বাদল অধিবেশনের আগে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনকে (Monsoon Session 2025) বিজয়োৎসব হিসেবে অভিহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, থেকে শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন। সোমবার অধিবেশন শুরুতেই দেশবাসীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাদল অধিবেশন দেশের উন্নয়ন, নীতিনির্ধারণ ও জনকল্যাণমূলক কাজে অগ্রগতির একটি সুযোগ। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল অপারেশন সিঁদুর থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার সাফল্য। ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাদল অধিবেশন আমাদের কাছে বিজয়োৎসবের মতো। এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভারতের পতাকা উড়েছে, সেটা প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে গর্বের বিষয়। তাই প্রত্যেক সাংসদ একসুরে এই কীর্তির প্রশংসা করবেন।”

    অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্য

    বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session 2025) শুরুতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিঁদুরে ১০০ শতাংশ সাফল্য এসেছে। ভারতীয় সেনার শক্তি দেখেছে গোটা বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২২ মিনিটে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে ঢুকে তাদের নির্মূল করেছে ভারতীয় সেনা। এটি আমাদের সামরিক দক্ষতার জ্বলন্ত উদাহরণ।” মোদি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস গণহত্যা হয়েছে তাতে গোটা বিশ্ব কেঁপে উঠেছে। দলগত স্বার্থ ঊর্ধ্বে তুলে রেখে জাতীয় স্বার্থে সব দলগুলি দেশের হয়ে বিশ্বের দরবারে আওয়াজ তুলেছে। তাঁরা সকলে মিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সফল প্রচার করে এসেছেন। আমি সেই সকল সাংসদদের ভূয়সী প্রশংসা করি। আমি সেইসব দলকেও এই কাজে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্বের কাছে এখন পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বন্দুক ও বোমার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে আমাদের সংবিধান।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি আজ বিশ্বের নজর কাড়ছে।”

    বিরোধীদের জবাব

    এদিকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাদল অধিবেশনে ঝড় তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিরোধী ইন্ডি ব্লক। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু রবিবার সর্বদল বৈঠকে জানিয়ে দেন, সংসদের বাদল অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর সহ মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত সরকার। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে কি না, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির জন্য ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন কি না, এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন বিরোধী শিবির থেকে উঠেছে বিগত সপ্তাহগুলিতে। এই আবহে রিজিজু বলেন, সরকার লোকসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। বিরোধীদের ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকার পার্লামেন্টে উপযুক্ত জবাব দেবে।’ এরপরই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরুতে বিরোধীদের অস্ত্রেই বিরোধীদের মাত দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

    মহাকাশে উড়ল তেরঙ্গা

    অধিবেশনের (Monsoon Session 2025) আগে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ঐতিহাসিক যাত্রার উল্লেখ করেন। এই মহাকাশ অভিযানকে জাতীয় গর্বের উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) প্রথমবারের জন্য ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে ঐতিহাসিক সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “এটি শুধু গর্বের মুহূর্ত নয়, ভারতের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিরও প্রতিফলন।”

    বর্ষা মানেই উদ্ভাবন

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্ষা মানেই উদ্ভাবন এবং নবজাগরণের প্রতীক। এই সময় আমাদের নতুন শক্তি ও নীতির জন্ম হয়। দেশে ভালো বর্ষা হচ্ছে যা কৃষক ও কৃষিক্ষেত্রের জন্য শুভ লক্ষণ। গত ১০ বছরের তুলনায় এবার তিনগুণ বেশি জল সঞ্চয় হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করবে।” নকশালপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দেশের অনেক জেলা নকশাল মুক্ত হয়েছে। যেখানে আগে বন্দুকের ভাষা চলত, আজ সেখানে সংবিধানের জয় হচ্ছে। রেড করিডোর আজ সবুজ সম্ভাবনার অঞ্চলে রূপান্তরিত হচ্ছে।”

    আর্থিক অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (Monsoon Session 2025) জানান, “২০১৪ সালের আগে ভারত ছিল বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতি, আর আজ তৃতীয় বৃহত্তম হওয়ার পথে। দেশবাসী আমাদের উপর যে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল, তা আমরা পালন করেছি। ইতিমধ্যেই ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে, এবং মুদ্রাস্ফীতির হার অনেকটাই কমে গিয়েছে।” সাংসদদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, “এই অধিবেশন হোক এক সুরে দেশগৌরবের প্রশংসা গাওয়ার উপলক্ষ। এতে দেশের জনগণ অনুপ্রাণিত হবে এবং বিশ্ব বুঝবে ভারতের প্রকৃত শক্তি।”

  • PM Modi: “মা, মাটি, মানুষের দলের দ্বারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার আমায় ব্যথিত করে,” দুর্গাপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “মা, মাটি, মানুষের দলের দ্বারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার আমায় ব্যথিত করে,” দুর্গাপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী কলকাত্তাওয়ালি। এ কথা মাথায় রেখেই দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামের বিশাল জনসভায় ‘জয় মা কালী’ বলে বক্তৃতা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২১ জুলাই ধর্মতলায় সভা রয়েছে তৃণমূলের। তার আগে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দিয়ে সভা করিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে মাত দিল বিজেপি।

    বিকশিত বাংলা (PM Modi)

    এদিন বক্তৃতার শুরুতেই বিকশিত বাংলার প্রসঙ্গ (TMC) টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “বিজেপি বিকশিত বাংলা চায়। বাংলার এই মাটি প্রেরণায় পূর্ণ। এই মাটি দেশের প্রথম শিল্পমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটি। দেশের প্রথম শিল্পনীতি দিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানচন্দ্র রায়ের মত দূরদর্শী নেতার মাটি। যিনি দুর্গাপুরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই মাটি রবি ঠাকুরের মাটি। এরকম মহান ব্যক্তিত্বরা পশ্চিমবঙ্গকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর তাই পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বিকাশের কেন্দ্র ছিল।” তিনি বলেন, “এক সময় বাংলা সমৃদ্ধই ছিল। বিকাশের কেন্দ্রে ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। আমরা এই অবস্থাই বদলাতে চাইছি। বিজেপি সমৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করতে চায়। এখন এখানে কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় বাংলার মানুষকে। বাংলাকে এই অবস্থা থেকে বের করতে হবে। বাংলা পরিবর্তন চায়, বাংলা উন্নয়ন চায়।”

    বিজেপি ক্ষমতায় এলে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলা দেশের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ রাজ্য হয়ে উঠবে। এটা আমার বিশ্বাস। তৃণমূল বাংলাকে শিল্পোন্নত হতে দিচ্ছে না। তাই তৃণমূলকে বাংলা থেকে সরাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে এখানে নতুন বিনিয়োগ আসে। কর্মসংস্থান তৈরি হয়। কিন্তু যতদিন তৃণমূল থাকবে, ততদিন এসব হবে না।” তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার বাংলার বিকাশের পথে অন্তরায়। যেদিন তৃণমূল সরকারের পতন হবে সেদিন থেকে বাংলা নতুন গতিতে দৌড়বে। তৃণমূল সরকার গেলে তবেই আসল পরিবর্তন হবে।”

    আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে প্রত্যাশিতভাবেই উঠে আসে মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদের মতো ঘটনা ঘটলে পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তৃণমূলের গুন্ডাগিরির জন্যই এখানে উদ্যোগপতিরা আসেন না। তাই তৃণমূলকে সরাতেই হবে। বিনিয়োগকারীরা সিন্ডিকেটরাজ দেখেই পালিয়ে যান। তৃণমূলের জমানায় রসাতলে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা – সব।” প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে আরজিকর এবং কসবাকাণ্ডও। তিনি বলেন, “বাংলার হাসপাতালও (TMC) মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত নয়। তখনও দেখা গিয়েছে, কীভাবে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এর পর কলেজেও একটা মেয়ের ওপর কীভাবে অত্যাচার চালানো হল, সেখানে সেখানে দেখা গেল তৃণমূলের লোকেরা জড়িত (PM Modi)।” তিনি বলেন, “যে দল মা, মাটি, মানুষ-এর আদর্শ নিয়ে কথা বলে, তাদের দ্বারা নারীদের প্রতি এমন দুর্ব্যবহার আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তোলে। ভারতের প্রথম পাশ্চাত্য-শিক্ষিত মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের এই পবিত্র ভূমিতে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা অত্যন্ত দুঃখজনক। পশ্চিমবঙ্গে নারীদের ওপর ঘটে চলা নৃশংসতা আমাদের কষ্ট দেয়, রাগে ভরিয়ে তোলে।”

    অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গ

    অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের হয়ে সরাসরি মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল। কান খুলে শুনে রাখুন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ীই পদক্ষেপ করা হবে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “তৃণমূলের (TMC) দুঃশাসনের কারণে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ। মানুষ বিজেপির দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে, উন্নয়ন শুধু এনে দিতে পারে বিজেপিই। আগামিকাল দুর্গাপুরে বিজেপির এক জনসভায় অংশ নেব। সবাই যোগ দিন।”

    তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কারণে বেকার শিক্ষকরা

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হাজার হাজার শিক্ষক তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কারণে বেকার। আদালতও বলেছে, এটি একটি পদ্ধতিগত প্রতারণা।” মমতা সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এই সরকার মিথ্যে, আইনশৃঙ্খলাহীন এবং লুটেরাদের সরকার।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি বিজেপিকে একবার সুযোগ দিন। একটি পরিশ্রমী, সৎ ও শক্তিশালী সরকার বেছে নিন (PM Modi)।”

    কী বললেন মিঠুন

    প্রধানমন্ত্রীর আগে ভাষণ দেন অভিনেতা কাম বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এবার আমাদের জীবন-মরণের লড়াই। আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদ রয়েছে। আমি থাকব। আপনারা থাকবেন। সকলে মিলে লড়ব। যেভাবেই হোক এই ইলেকশন (ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন) আমাদের জিততেই হবে। এছাড়া আর কী নিয়ে কথা বলব?” তিনি বলেন, “দুর্নীতি? দুর্নীতি তো ভরে রয়েছে রাজ্যটায় (TMC)। একটা ফাঁকও নেই। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে কথা বলব? সেখানেও কথা বলার উপায় নেই। আমি পশ্চিমবঙ্গের ছেলে। এ রাজ্যের মা-বোন আমার মা-বোন।” মিঠুন বলেন, “আমি রাজনীতি করি না। মানুষ-নীতি করি। সেই জন্যই বারবার আমি পশ্চিমবঙ্গে ছুটে আসি।” এই অভিনেতা-রাজনীতিক বলেন, “এবার মাঠে নেমেছি একেবারে তৈরি হয়ে। ২৩-২৪ তারিখ থেকে পুরো মাঠে নামব। আপনাদের সঙ্গে থাকব। আপনাদের প্রবলেম জানব। মাঠে নেমে এক সঙ্গে লড়াই করব। এই লড়াই বহুদিন মনে রাখবে পশ্চিমবঙ্গ।” তিনি বলেন, “বিজেপি হেরে যাওয়ার পাত্র নয়। শুধু পুলিশকে একটু নিরপেক্ষ হওয়ার কথা বলুন। তারপর দেখুন, বিজেপি কী করতে পারে (PM Modi)।”

  • Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় তৃণমূলের অপশাসন রুখতে বঙ্গবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। আজ, শুক্রবার বঙ্গে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্গাপুরে জোড়া সভা তাঁর। বাংলার উন্নতিতে, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের হাল ফেরাতে ৫৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাকৃতিক গ্যাস, রেল ও বিদ্যুৎ শিল্পে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন খাতে এই টাকা ব্যয় করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিনিয়োগের কথা জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    মোদির আহ্বান

    বাংলার মাটিতে পা রাখার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশে তোপ দেগে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করলেন নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। শুক্রবার দুর্গাপুরে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পাশের মঞ্চেই রাজনৈতিক সভা করবেন তিনি। সে-কথা জানিয়েই করেছেন পোস্ট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বঙ্গের মানুষ অনেক আশা নিয়ে এবার বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপি-ই পারবে উন্নয়ন করতে। এই বলে মানুষকে তাঁর সভায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছতে তিনি উদগ্রীব । দুর্গাপুরে তিনি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেল এবং সড়ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। মোট ৫০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    উন্নতি চায় কেন্দ্র

    শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi In Bengal) সভার আগে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকার সবসময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলে। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রমাণ করে দেয়, মোদি সরকার কখনও বিমাতৃসুলভ আচরণে বিশ্বাসী নয়। সমস্ত রাজ্যের উন্নয়ন করতে চায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, এই বিনিয়োগে বিপুল কর্মসংস্থান হবে।

    কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার মোট পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। বৃহস্পতিবার রাতভর জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলেছে দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে। এখান থেকেই জনসভার পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই স্টেডিয়ামে দু’টি পৃথক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

    বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ: বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বাণিজ্যিক ও বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করবে ভারত পেট্রোলিয়াম সংস্থা। পাশাপাশি চালু করবে সিএনজি আউটলেট। ১৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে এই প্রকল্প।

    উর্জা গঙ্গা প্রকল্প: ‘প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা’ প্রকল্পের অধীনে ১১৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগে দুর্গাপুর থেকে হলদিয়া ১৩২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলায় কয়েক লক্ষ বাড়িতে পাইপলাইনে পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস। এ ছাড়া জগদীশপুর থেকে হলদিয়া ও বোকারো থেকে ধর্মা পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পাইপ লাইন করা হবে।

    দূষণ নিয়ন্ত্রণ: পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাঁকুড়ার মেজিয়াতে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এই তিনটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফুয়েল গ্যাস ডেসুলফিউরাইজ়েশন পদ্ধতির সূচনা হবে। এর ফলে দূষণ কমবে। এই প্রকল্পে খরচ হবে ১৪৫৭ কোটি টাকা।

    রেল পরিষেবা উন্নত: রাজ্যে রেল পরিষেবা উন্নত করতে ৩৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরুলিয়া থাকে কোটশিলা পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন করা হবে। কাজটি সম্পন্ন হলে জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদ, রাঁচি ও কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর ও জামুড়িয়ার তপসি স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে দু’টি ওভারব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সেতু ভারতম’ প্রকল্পের আওতায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওভারব্রিজ দু’টি তৈরি হওয়ায় দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে এলাকাবাসীর।

    কখন কোথায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী

    আজ, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দু’টি অনুষ্ঠান দুর্গাপুরে। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও জনসভা। দু’টিই নেহরু স্টেডিয়ামে। দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় থেকে জনসভাস্থল নেহরু স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ‘অঘোষিত’ রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথেই গান্ধীমোড় আসবেন। তার পর শুরু হবে রোড শো। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বিজেপি কর্মীরা দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। রোড শোয়ের পর নেহরু স্টেডিয়ামে এসে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

  • PM Modi: তৃণমূলকে মাত দিতে ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী, জানুন তাঁর কর্মসূচি

    PM Modi: তৃণমূলকে মাত দিতে ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী, জানুন তাঁর কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় সমাবেশ তৃণমূলের। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই জনসভায়ই ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দেবে তৃণমূল। তবে ঘাসফুল শিবিরকে সেই সুযোগ দেবে না পদ্ম শিবির (BJP)। তৃণমূলের সেই জনসমাবেশের ঠিক তিন দিন আগেই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীকে এনে বিপক্ষ দলকে মাত দিতে চাইছে বিজেপি। ১৮ জুলাই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার তিনি সভা করবেন দক্ষিণবঙ্গে, দুর্গাপুরে। প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে কার্যত ফুটছে বঙ্গ বিজেপি শিবির।

    নজরে দক্ষিণবঙ্গ (PM Modi)

    পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ১৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি এসেছিলেন উত্তরবঙ্গে, আলিপুরদুয়ারে। সেখানেও সভা করেছিলেন তিনি। এবার নজরে দক্ষিণবঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী যেদিন পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন, সেই দিনই বিহারেও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, ১৮ জুলাই দুপুরে অন্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ করবে প্রধামন্ত্রীর বিমান। সেখান থেকে তিনি সোজা যাবেন নেহরু স্টেডিয়ামে। সেখানেই এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন

    রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও প্রস্তুতির বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যেই মোদির এই পশ্চিমবঙ্গ সফর। বিজেপির তরফে এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের বিমানে বিহারের দ্বারভাঙা বিমানবন্দর থেকে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। বেলা ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে নেমে তিনি রওনা দেবেন পরবর্তী সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতে। বেলা তিনটে থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত দুর্গাপুরের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ তিনি উপস্থিত হবেন নেহরু স্টেডিয়ামের জনসভায়। বিকেল ৫টা নাগাদ সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    তৃণমূলকে উৎখাত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পদ্ম শিবির

    রাজনৈতিক মহলের মতে, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পদ্ম শিবির। সেই কারণেই বদল করা হয়েছে রাজ্য সভাপতি। বিজেপির (BJP) অধ্যাপক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে সরিয়ে ওই পদে বসানো হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে। এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) নিয়ে এসে ছাব্বিশের ভোটের আগে ওয়ার্মআপ ম্যাচ সেরে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রুটিন সফর হলেও, রাজ্যে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার গুরুত্ব রয়েছে এই সফরে। আমরা চাই, ২১ জুলাইয়ের আগে বাংলার মাটিতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়ে যান।”

    প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো

    বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর এবারের কর্মসূচিতে রোড-শো নেই। তবে তাঁর যাত্রাপথ এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে, অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে নেহরু স্টেডিয়ামে যাওয়ার শেষ তিন কিলোমিটার পথ তিনি করতে পারেন রোড-শো। এই পথের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। শেষ তিন কিলোমিটার জনসংযোগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ওই তিন কিলোমিটার পথের দু’পাশে জড়ো হবেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় পতাকা, ফ্লেক্স, ফেস্টুন, ব্যানারে সাজানো হবে ওই রাস্তাটা। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কনভয় যখন ওই এলাকা দিয়ে যাবে, তখন রাস্তার দুপাশে উপস্থিত জনতা পুষ্পবৃষ্টি করবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী কনভয় থেকে নামবেন না। তবে এই ধরনের জমায়েত দেখলে গাড়িতে বসেই করজোড়ে এবং সহাস্য শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে করতেই এগোন প্রধানমন্ত্রী। অনেক সময় গাড়ির দরজা খুলে পাদানিতে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে হাতও নাড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপি সূত্রে খবর, তেমন কোনও উপায়েই নেহরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ঢোকার আগে প্রধানমন্ত্রী একপ্রস্ত জনসংযোগ সেরে নেবেন।

    গুচ্ছ সরকারি কর্মসূচির উদ্বোধন

    প্রধানমন্ত্রী এদিন (BJP) দুর্গাপুরে একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচির উদ্বোধনও করবেন। এর মধ্যে রয়েছে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা গ্যাস পাইপলাইন পরিষেবা। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের পাশাপাশি রঘুনাথপুরে এবং মেজিয়ায় তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের একাংশ। এছাড়াও একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত বলেছিলেন, “এখন থেকে প্রতি মাসে একবার করে বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।” সেই মতো প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফর হওয়ার কথা ছিল জুনে। তবে ঠাসা কর্মসূচির কারণে ওই মাসে এ রাজ্যে আসতে পারেননি তিনি। তাই আসছেন জুলাইয়ে। এরপর ফের অগাস্টে বঙ্গ সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে দুর্গাপুরে ঘাঁটি গেড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের (BJP) সঙ্গে রয়েছেন দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং সৌমেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির অন্য নেতারা (PM Modi)।

LinkedIn
Share