Tag: NCERT

NCERT

  • Midnapore: ২৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন মেলেনি! ভর্তি হয়েও বিপাকে পড়ুয়ারা

    Midnapore: ২৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন মেলেনি! ভর্তি হয়েও বিপাকে পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বিএড বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৮টি বিএড কলেজের (Bed Colleges) ছাত্রভর্তির অনুমোদন বাতিল ঘোষণা করেছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষকতার প্রশিক্ষক থেকে হাজার হাজার হবু শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সঙ্কটের মুখে। বন্ধ কলেজগুলি। সকলের নজর এখন আদালতের রায়ের দিকে। আদালত কিi ফের কলেজ অনুমোদনের বিষয় বিবেচনা করবে?

    বর্তমানে কলেজের অনুমোদন বাতিল হওয়ায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও আগে কলেজে অফ লাইনে ছাত্র ভর্তি হয়। কিন্তু পরে বন্ধ হলে কলেজ নতুন ছাত্রদের অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে তা সম্পন্ন করা হয়। অথচ গত মাসে রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। একই ভাবে এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ২৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল হয়। এই মুহূর্তে ছাত্রদের পড়াশোনা অত্যন্ত সঙ্কটের মুখে। এক বিএড পড়ুয়া অয়ন্তিকা সর্দার জানিয়েছেন, “ভর্তি হয়ে জানলাম কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হয়ে গেল। আগে জানালে ভর্তি হতাম না।”

    কেন বাতিল অনুমোদন (Bed Colleges)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএড কলেজের (Bed Colleges) ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। শিক্ষকদের বেতনের নথিতে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই সঙ্গে নেই দমকলের বিশেষ ছাড়পত্র। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী একটি বিএড কলেজে ৫০ জন ছাত্রের জন্য ৮ জন শিক্ষক রাখতে হবে। শিক্ষকদের মাসিক বেতন হবে ২১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে। দমকলের ছাড়পত্র পেতে গেলে ১০০০০ লিটারের জলের ট্যাঙ্ক বসাতে হবে। পর্যাপ্ত জল তোলার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জলের পাম্প বসাতে হবে।

    মামলা গিয়েছে হাইকোর্টে

    ইতিমধ্যে এনসিটিই-র নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত শর্ত পালন করে ভর্তির প্রক্রিয়া যাতে শুরু করা যায়, সেই জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বেসরকারি বিএড কলেজগুলি (Bed Colleges)। এক বিএড কলেজের মালিক প্রভাকর জানা বলেন, “দমকলের অনুমোদন না থাকায় বাতিল হয়েছে। কিন্তু সমস্ত শর্ত পূরণ করে আমরা বিশেষ আবেদন করেছি। আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

    কী বলছেন বিএড শিক্ষক?

    বন্ধ বিএড কলজের (Bed Colleges) শিক্ষক দেবাশিস পট্টনায়ক বলেছেন, “ছাত্রদের ভর্তির পর ক্লাস করার সুযোগ না মেলায় আমাদের চাকরি এখন সঙ্কটের মুখে। সমস্ত কলেজ গাইডলাইনের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে রাজি হয়েছে। বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সিদ্ধান্ত আর এক বার বিবেচনা করুকঁ, এই আবেদন রাখছি। পাশপাশি আমরা হাইকোর্টের রায়ের দিকেও নজর রেখেছি।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NCERT: রামায়ণ-মহাভারত হতে চলেছে পাঠ্যসূচির অংশ? প্রস্তাব এনসিইআরটি-এর সমাজবিজ্ঞান কমিটির

    NCERT: রামায়ণ-মহাভারত হতে চলেছে পাঠ্যসূচির অংশ? প্রস্তাব এনসিইআরটি-এর সমাজবিজ্ঞান কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে রামায়ণ ও মহাভারত। ইতিহাসের বিষয়বস্তু হিসেবেই এই দুই ভারতীয় মহাকাব্যকে পড়ানো হবে। এনসিইআরটি-এর (NCERT) একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এনসিইআরটি-এর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের যে কমিটি রয়েছে, সেই কমিটির প্রস্তাবেই ইতিহাসের পাঠ্য বইয়ে নানা বদল আসতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ওই কমিটি আরও প্রস্তাব দিয়েছে বৈদিক সাহিত্য এবং আয়ুর্বেদের বিভিন্ন বিষয়কেও পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। তবে এখনও পর্যন্ত এনসিইআরটি-এর (NCERT) চূড়ান্ত সিলমোহর পায়নি এই প্রস্তাব।

    কী বলছেন এনসিআরটি-এর শীর্ষ আধিকারিক?

    এনসিইআরটি-এর (NCERT) প্যানেলের শীর্ষ আধিকারিক প্রফেসর সি আই ইসাকের মতে, ‘‘ইতিহাসকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করার জন্য প্যানেল প্রস্তাব দিয়েছে। যার মধ্যে থাকবে প্রাচীন ইতিহাস, মধ্যযুগীয় ইতিহাস, ব্রিটিশ যুগ এবং আধুনিক ভারত।’’ প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত তিনটি বিভাগই পড়ানো হতো ইতিহাসে এবং তা হল প্রাচীন ইতিহাস, মধ্যযুগের ইতিহাস এবং আধুনিক ভারত। জানা গিয়েছে, প্রাচীন ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ভারতের দুই বিখ্যাত মহাকাব্য রামায়ণ এবং মহাভারত। এনসিআরটির-এর ওই শীর্ষ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, তাঁদের প্রস্তাব হল রামচন্দ্রের বিষয়ে ছাত্রদের ধারণা তৈরি করা। রামচন্দ্র কে ছিলেন এবং তাঁর রাজত্ব কেমন ছিল, তিনি কখনও প্রজাদের মধ্যে ভেদাভেদ করেননি এই সমস্ত বিষয়ই ছাত্রদের জানাতে চায় এনসিইআরটি।

    শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে লেখা থাকবে সংবিধানের প্রস্তাবনা 

    এছাড়া ওই কমিটির তরফ থেকে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, সংবিধানের প্রস্তাবনাকে শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে লেখার জন্য। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতেই ওই প্রস্তাবনা লেখার সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জাতীয় বীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস সম্পর্কে আরও বিস্তৃত ব্যাখার প্রয়োজন বইয়ে রয়েছে বলে মনে করছে এনসিআরটি-এর (NCERT) কমিটি। এ বিষয়ে এনসিইআরটি-এর আধিকারিক সি আই ইসাক বলেন, ‘‘আমাদের ছাত্রদের অবশ্যই জানা উচিত জাতীয় বীরদের সম্পর্কে এবং তাদের লড়াই সম্পর্কে। এর ফলে ছাত্রদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।’’ প্রসঙ্গত এর আগেই এনসিইআরটির তরফ থেকে প্রস্তাব নেওয়া হয় যে পাঠ্য বইতে এবার থেকে ইন্ডিয়ার বদলে ভারত পড়ানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UP Madrasa: যোগী রাজ্যে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটি-র সিলেবাস, কবে থেকে জানেন?

    UP Madrasa: যোগী রাজ্যে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটি-র সিলেবাস, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যাপক সংস্কার উত্তর প্রদেশে (UP Madrasa)। এবার থেকে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের মাদ্রাসার (Madrasa) পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটির (NCERT) সিলেবাস। আগামী মার্চে যে সেশন শুরু হচ্ছে, সেই নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া সিলেবাসে পড়বে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা। মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের চেয়ারপার্সন ইফতিকার আহমেদ বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন সিলেবাসে। তিনি বলেন, এবার থেকে মাদ্রাসার পড়ুয়ারাও অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা পাবে।

    ওয়াকফ বোর্ড…

    গত নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে রাজ্যের ১০৩টি মাদ্রাসায়ই এনসিইআরটির সিলেবাস চালু করার। তারা এও জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে সব ধর্মের পড়ুয়াদের জন্যই খুলে দেওয়া হবে মাদ্রাসার দ্বার। ইসলামিক স্কুলগুলিতে আধুনিকীকরণের উদ্দেশে চালু করা হবে ইউনিফর্মও। উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সাদাব শামস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসার পড়ুয়াদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোই আমাদের প্রথম কাজ। তিনি বলেন, নতুন বছরে আমরা এটাও চেষ্টা করব যাবে মাদ্রাসাগুলি সিবিএসই কিংবা উত্তরাখণ্ড স্টেট বোর্ডের অনুমোদন পায়।  

    গত সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশ সরকার সে রাজ্যের অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি (UP Madrasa) সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে। এই মাদ্রাসাগুলি কোথা থেকে অর্থ পায়, শিক্ষকের সংখ্যা কত, সিলেবাসই বা কী এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করার পর উত্তর প্রদেশের ৩০৭টি মাদ্রাসাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অভিযোগ, এই মাদ্রাসাগুলি একাধিক সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেছে। এই কারণ দেখিয়েই তাদের বেআইনি ঘোষণা করে উত্তর প্রদেশ সরকার। যে মাদ্রাসাগুলিকে (UP Madrasa) বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উল্লামও।

    আরও পড়ুুন: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    যোগী সরকার যখন মাদ্রাসাগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে, তখন তার ব্যাপক সমালোচনা করতে শুরু করে সে রাজ্যের কয়েকটি মুসলিম গোষ্ঠী। জামাত উলেমা-ই-হিন্দ সরকারের সমীক্ষার সিদ্ধান্তটিকে মাদ্রাসার বদনাম করতে ঈর্ষাকাতর প্রয়াস বলে বর্ণনা করে। যদিও মুসলিমদেরই একাধিক সংগঠনের মতে, এতে আদতে ভালই হবে মাদ্রাসাগুলির (UP Madrasa)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share