Tag: NDA

NDA

  • Vice President: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন, গোহারা বিরোধীরা

    Vice President: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন, গোহারা বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি হচ্ছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন (Vice President)। তিনি এনডিএর প্রার্থী হিসেবে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে বসবেন। মঙ্গলবার অনায়াসে জয়ী হন বছর আটষট্টির রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। ৪৫২টি প্রথম পছন্দের ভোট পেয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুধেরশন রেড্ডিকে ৩০০টি প্রথম পছন্দের ভোটে হারিয়ে দেন।

    গোহারা বিরোধীরা (Vice President)

    মোট ভোট পড়েছিল ৭৫৪টি। তার মধ্যে ১৫টি অবৈধ বলে গণ্য হয়। বৈধ ভোটের মধ্যে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার পিভি মোদি জানান, রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি প্রথম পছন্দের ভোট, বিচারপতি রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি। তবে ১৫০ ভোটের ব্যবধানটি উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মধ্যে অন্যতম কম ব্যবধান। ২০২২ সালে জগদীপ ধনখড় প্রতিপক্ষের প্রার্থী মার্গারেট আলভার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ৫২৮ ভোট পেয়েছিলেন, যেখানে মার্গারেট আলভা পেয়েছিলেন ১৮২টি ভোট।

    ক্রস-ভোটিং

    প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা থেকে এটাও স্পষ্ট যে ক্রস-ভোটিং হয়েছে। অনুমান, বিরোধী দলের অন্তত ১৫ জন সাংসদ এনডিএ প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ৩১৫ জন বিরোধী সাংসদ একজোট ছিলেন (Vice President)। এনডিএর ভোট সংখ্যা ছিল ৪২৭। এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেছিলেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১ জন সাংসদ। সুতরাং এনডিএর মোট ভোট হওয়া উচিত ছিল ৪৩৮। কিন্তু রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২ ভোট। অর্থাৎ ১৪টি বেশি ভোট। ১৫টি ভোট বাতিল হওয়ায় বিরোধী পক্ষের ভোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসের দাবি, তাদের ছিল ৩১৫ ভোট। যদিও বিরোধী প্রার্থী রেড্ডি পেয়েছেন মাত্র ৩০০ ভোট।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির নিশিকান্ত দুবে লেখেন, “কোন ১৫ জন লোক পালিয়ে গিয়ে আমাদের জন্য ভোট দিলেন?” তিনি লিখেছেন, “আপনাদের নেতারা এবং সাধারণ মানুষও আপনাদের থেকে পালিয়ে গিয়েছে… তাছাড়া রাহুল গান্ধীজি, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সত্যিই ব্যালট পেপারে হয়েছে, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে নয়।” এক্স হ্যান্ডেলে নয়া উপরাষ্ট্রপতিকে (CP Radhakrishnan) অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি লিখেছেন, “আমরা আশা করি নতুন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ব্যক্তি সংসদীয় ঐতিহ্যের সর্বোচ্চ নীতিমালা অক্ষুণ্ণ রাখবেন, বিরোধীদের সমান জায়গা ও মর্যাদা নিশ্চিত করবেন এবং শাসক দলের চাপে আঘাতপ্রাপ্ত হবেন না।” তিনি আরও লিখেছেন, “উপ-রাষ্ট্রপতি, যা সাংবিধানিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ, তাঁকে স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে (Vice President)।”

  • Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রয়াত মায়ের উদ্দেশে কুকথা বলা হয়েছিল কংগ্রেস-আরজেডির মঞ্চ থেকে। তার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “এটা গোটা দেশের মা-বোন এবং কন্যাদের অপমান।” দেশের মহিলাদের অপমান করায় বিহার বনধের (Bihar Bandh) ডাক দিল এনডিএ। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাকে।

    প্রধানমন্ত্রীর মাকে কটু কথা (Bihar Bandh)

    প্রধানমন্ত্রী যখন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁর মায়ের উদ্দেশে কটু কথা বলা হয়। চিন থেকে ফিরেই এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিহারের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও, কেন তাঁর মাকে টেনে আনলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং হাত শিবিরের লেজুড় আরজেডি নেতা? বিষয়টিকে দেশজুড়ে মহিলাদের প্রতি অপমান হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তাঁর মৃত মায়ের উদ্দেশে এভাবে অপমানসূচক মন্তব্য অকল্পনীয়।”

    রাহুল-তেজস্বীকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

    রাহুল এবং তেজস্বীকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী (Bihar Bandh) বলেন, “একজন দরিদ্র মায়ের সংগ্রাম, তাঁর ছেলের কষ্ট – রাজপরিবারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ রাজকুমাররা বুঝতে পারেন না। এই নামদার লোকেরা মুখে রূপার চামচ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। দেশ ও বিহারের ক্ষমতা তাঁদের কাছে পরিবারের উত্তরাধিকারের মতো মনে হয়।” তিনি বলেন, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিহার সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিহারের সব মহিলা আরজেডিকে সরিয়ে বারবার পরাজিত করার ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই আরজেডি হোক বা কংগ্রেস আজ এই (PM Modi) লোকেরা মহিলাদের ওপর সব চেয়ে বেশি বিরক্ত। এই লোকেরা আপনাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়, তারা সুযোগ খুঁজছে যাতে তারা আপনাদের শাস্তি দিতে পারে (Bihar Bandh)।”

  • Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডির বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সমর্থনের অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২২ অগাস্ট একটি সম্মেলন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ অভিযোগ করেন, যদি রেড্ডি বস্তারের আদিবাসী নেতৃত্বাধীন মাওবাদবিরোধী (Naxalism) আন্দোলন ‘সলওয়া জুডুমে’র বিরুদ্ধে রায় না দিতেন, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে নির্মূল হয়ে যেত মাওবাদীদের সন্ত্রাস। তিনি বলেন, “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন। তিনি সলওয়া জুডুম বিষয়ে রায় দিয়েছিলেন। যদি সেই রায় না দেওয়া হত, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই নকশাল সন্ত্রাসের অবসান হয়ে যেত। তিনি সেই মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন, যার ফলেই সলওয়া জুডুমের রায় দেওয়া হয়েছিল।” ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের ‘সলওয়া জুডুম’ সংক্রান্ত রায় প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তোপ (Amit Shah)

    তাঁর মতে, উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী নির্বাচনের কারণে কেরালায় কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা আরও কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, “কেরলের মানুষ অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে বামপন্থী দলগুলির চাপে কংগ্রেস এমন একজন প্রার্থীকে দাঁড় করাচ্ছে, যিনি নকশালবাদের পক্ষে ছিলেন এবং সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি পবিত্র মঞ্চকে ব্যবহার করেছিলেন।” প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ পুলিশ অফিসার (SPO) বা সালওয়া জুডুম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেন। তিনি এ-ও নির্দেশ দেন, জুডুম সদস্যদের অবিলম্বে নিরস্ত্র করতে হবে।

    লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ধাক্কা

    ‘নন্দিনী সুন্দর ও অন্যান্য বনাম ছত্তিশগড় রাজ্য’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তখন রাজ্যের লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে সালওয়া জুডুমের সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তৎকালীন ছত্তিশগড় সরকার রাজ্যে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে ছত্তিশগড় অক্সিলিয়ারি আর্মড পুলিশ ফোর্স আইন পাশ করে (Naxalism)। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মাওবাদীরা ছত্তিশগড়ের ঝিরম ঘাঁটিতে রাজনৈতিক নেতাদের এক কনভয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং সলওয়া জুডুম  আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব মহেন্দ্র করমা-সহ দু’ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হন (Amit Shah)।

    আগামী মাসে দেশে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। এজন্য মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে ১৯ জন প্রার্থীর জমা দেওয়া ২৮টি মনোনয়নপত্র রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী বাতিল করা হয়েছে। ২০২৫ সালের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এবং রাজ্যসভার মহাসচিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মোট ২৭ জন প্রার্থীর ৪০টি মনোনয়নপত্র পরীক্ষার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। জানা (Naxalism) গিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বরের ওই নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী হয়েছেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ। আর তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ‘ইন্ডি’ জোটের বি সুদর্শন রেড্ডি (Amit Shah)।

  • CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। রবিবার, ১৭ অগাস্ট এই ঘোষণা সামনে এসেছে এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই ঘোষণা করেন একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এনডিএ-র সংসদীয় দলের সংসদীয় বোর্ডের মিটিং সম্পন্ন হওয়ার পরেই তিনি এই ঘোষণা করেন তিনি।

    শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের পুরো নাম হল চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan)। তাঁকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করা হয় ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হওয়ার আগে তিনি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গানার রাজ্যপাল হিসেবে এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে, তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে। এর পরে তিনি পড়াশোনা করেন তুতিকোরিনের ভিও চিদাম্বরম কলেজে এবং সেখান থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক হন।

    তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন

    তিনি একজন ভূমিস্তরের কর্মকর্তা হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। তারপরে ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা ও প্রতিভার জোরেই তিনি উপরে উঠতে থাকেন। তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জানা যায়, ভারতীয় জনসংঘের সঙ্গেই তার প্রথম রাজনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয় এবং জনসংঘের রাজ্য কমিটির একজন সদস্য হন, যা ছিল বর্তমান বিজেপির পূর্বসূরি। ১৯৭৪ সালে তিনি জনসংঘের রাজ্য কমিটির সদস্য হন। জনসংঘে যোগদানের আগে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বয়ংসেবক ছিলেন বলেও জানা যায়।

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু বিজেপির সম্পাদক হন

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) বিজেপির সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এরপরেই তিনি লোকসভার সাংসদ হন (CP Radhakrishnan) কোয়েম্বাটুর থেকে ১৯৯৮ সালে। পরে, ১৯৯৯ সালেও তিনি পুনরায় সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। সংসদে থাকাকালীন তিনি পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলান এবং একই সঙ্গে পার্লামেন্টারি কমিটি ফর পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস ও স্পেশাল কমিটি অন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সদস্যও ছিলেন।

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) দায়িত্ব দেওয়া হয় তামিলনাড়ুর রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে। এই সময়ে তিনি ৯৩ দিনব্যাপী একটি রথযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যা প্রায় ১৯,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। এই রথযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের সমস্ত নদীগুলোর সংযোগ সাধন, সন্ত্রাসবাদ দমন, ‘এক দেশ এক আইন’ বাস্তবায়ন, অস্পৃশ্যতা নির্মূল এবং মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা।

    কোচির নারকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান

    সিপি রাধাকৃষ্ণণকে চেয়ারম্যান করা হয় কোচির  নারকেল বোর্ডের, যা কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনস্থ। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি ওই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে নারকেলের ছোবড়ার রফতানি সর্বোচ্চ হয় এবং ভারত ২৫৩২ কোটি টাকার নারকেলের ছোবড়া রফতানি করতে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কেরালার বিজেপি পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির বাইরে রাধাকৃষ্ণণ টেবিল টেনিস খুব ভালো খেলতেন। জানা যায়, নিজের কলেজ জীবনে তিনি টেবিল টেনিসের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এছাড়াও, তাঁর ক্রিকেট ও ভলিবলের প্রতিও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

    একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন

    তিনি একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন। সফর করা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, চিন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, তাইল্যান্ড, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান প্রভৃতি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন যে, “তিনি দীর্ঘদিন জনসেবায় যুক্ত ছিলেন। রাধাকৃষ্ণণজির মধ্যে কর্তব্যবোধ, মানবিকতা এবং বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। তিনি এর আগেও একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন এবং সর্বদা লক্ষ্য রেখেছেন জনগণের সেবা এবং দরিদ্রদের সশক্তিকরণে। তামিলনাড়ুতে তিনি ভূমিস্তরে কাজ করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এনডিএ পরিবার তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।”

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা কী বলছেন?

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা জানিয়েছেন, তিনি খুবই খুশি তাঁর ছেলের এই সাফল্যে। তিনি বলেন, “যখন আমার ছেলে জন্মগ্রহণ করে, আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন সে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মতো হয়। সেই অনুযায়ী তার নাম রাখা হয়। আজ সেই প্রার্থনা সফল হয়েছে।” উল্লেখ্য, সিপি রাধাকৃষ্ণণ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তিনি হতে চলেছেন দ্বিতীয় কোনও ওবিসি নেতা যিনি দক্ষিণ ভারত থেকে উপরাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে তিনিই তৃতীয় নেতা যিনি উপরাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসছেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণায় তামিলনাড়ুর বিজেপির সহ-সভাপতি নারায়ণ ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা গর্বিত।”

  • PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কৃতিত্ব দেওয়া হল মোদিকে, এনডিএ-র সংসদীয় বৈঠকে সেনাকে কুর্নিশ

    PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কৃতিত্ব দেওয়া হল মোদিকে, এনডিএ-র সংসদীয় বৈঠকে সেনাকে কুর্নিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানের পরমাণু ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালানোর পর এই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। মঙ্গলবার সংসদে এনডিএর সংসদীয় বৈঠকে (NDA Parliamentary Meeting) সেনাকে কুর্নিশ জানিয়ে পাশ হল এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কারণে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনাও দেন এনডিএর সাংসদরা। এদিনের বৈঠকে ভাষণও দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সংসদের বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের আচরণের তীব্র নিন্দাও করতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।

    মোদি-স্তুতি (PM Modi)

    ৭ মে-র সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বলা হয়, “অপারেশন সিঁদুর ও অপারেশন মহাদেব চলাকালে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে অতুলনীয় সাহস ও অটল নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছে, তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।” বৈঠকে পাশ হওয়া প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে, “তাদের সাহসিকতা আমাদের দেশ রক্ষায় তাদের অটল নিষ্ঠার প্রতিফলন। আমরা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারানোদের প্রতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানাই।” বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গী দল তেলুগু দেশম পার্টি, জনতা দল ইউনাইটেড এবং অন্যান্য দলের সাংসদরাও এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অসাধারণ নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “তাঁর অটল সংকল্প, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কত্ব এবং দৃঢ় নেতৃত্ব কেবল জাতিকে লক্ষ্যপথে পরিচালিত করেনি, বরং সমস্ত ভারতবাসীর হৃদয়ে ঐক্য ও গর্বের নতুন স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছে।”

    পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলা

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন। বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রেক্ষিতে দিন পনেরো পরে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির দাবি, এই হামলা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) ঘটিয়েছে। এটি লস্কর-ই-তৈবার একটি ছদ্মনাম ও প্রক্সি সংগঠন। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত এনডিএ সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, বিহারের মধুবনিতে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি অপরাধীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সেই কঠোর অবস্থানেরও প্রশংসা করা হয়, যার মাধ্যমে তিনি একটি “নয়া মানদণ্ড” তুলে ধরেছেন—যা এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভারতের ভবিষ্যৎ কৌশলের ভিত্তি হবে।

    প্রস্তাব পাশ

    “প্রথমত, ভারতের ওপর যদি কোনও জঙ্গি হামলা হয়, তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। আমরা আমাদের শর্তে জবাব দেব। সন্ত্রাসবাদের যে কোনও উৎসস্থানে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে (NDA Parliamentary Meeting)। দ্বিতীয়ত, ভারত (PM Modi) কোনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। যে সমস্ত জঙ্গি ঘাঁটি পারমাণবিক হুমকির ছত্রছায়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখানে ভারত নির্ভুল ও কঠোর হামলা চালাবে।” তৃতীয়ত, আমরা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক কোনও সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের মাস্টারমাইন্ডদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করব না।”

    স্বদেশায়নের ওপর জোর

    এছাড়াও, অভিযানের পর সরকারের স্বদেশায়নের ওপর জোর এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নিশ্চিত করেছিলেন যে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে বিভিন্ন দলের ৫৯ জন সাংসদ ৩২টি দেশ সফর করবেন। তা করাও হয়। এটি ভারতের অন্যতম একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান, যা তুলে ধরেছে যে ভারত কীভাবে সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে এবং কেন বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে জঙ্গি হামলা গোটা মানবজাতির বিরুদ্ধে একটি অপরাধ। বিরোধী দলের সাংসদদের অংশগ্রহণ আমাদের গণতন্ত্রের পরিপক্বতা এবং প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়কসুলভ মনোভাবকে তুলে ধরে, যিনি বিশ্বাস করেন যে জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে আমরা সকলে একজোট।”

    বিরোধীদের কটাক্ষ

    এদিনের ভাষণে অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিরোধীরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা চেয়ে আদতে সরকার পক্ষেরই সুবিধা করে দিয়েছেন। এমন বিরোধী কোথায় পাবেন, যেখানে বিরোধীরা নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারে? বিরোধীরা এরকম আলোচনার দাবি প্রতিনিয়ত করতে পারেন।” রাহুল গান্ধী সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সর্বোচ্চ আদালতের অবজারভেশনেই সবটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। গতকাল দেশের শীর্ষ আদালত যেভাবে তিরস্কার করেছে, তারপর আর আমার আর কিছু বলার নেই। আমরা আর কী বলব যখন সুপ্রিম কোর্টই এত বড় কথা বলে দিয়েছে। এটা কেবল নিজের পায়েই কুড়ুল মারা (NDA Parliamentary Meeting) নয়, যাঁড়কে আমন্ত্রণ জানানোর মতো বিপজ্জনকও বটে। আমার সঙ্গে ভগবান রয়েছেন (PM Modi)।”

  • Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, গুজরাট এবং কেরলের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচন (Assembly Bypolls)। এদিন সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ঢের আগে থেকেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা (NDA)। এদিন যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে, তার মধ্যে একটি আসন পশ্চিমবঙ্গের। এটি হল নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। রাজ্যে চলছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    ভোট চলছে কালীগঞ্জে (Assembly Bypolls)

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই। এই আসনটির রাশ ছিল তৃণমূলের হাতে। প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বামফ্রন্টের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন কাবিলউদ্দিন শেখ। আর পদ্মপ্রতীকে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বিজেপির আশিস ঘোষ। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতিও। এই বিধানসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১৬২টি, বুথের সংখ্যা ৩০৯। ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৭০ জন। বৃষ্টি মাথায় করেই সকাল থেকে বুথে বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    কড়া নিরাপত্তা বলয়

    কালীগঞ্জ কেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৭০০ পুলিশ। নজরদারিতে থাকছে ২০টি ক্যুইক রেসপন্স টিম এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৬টি টিম। কমিশন সূত্রে খবর, ১০০ শতাংশ বুথেই থাকছে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। নজরদারির জন্য জেলা ও বিধানসভা ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে নজরদারিতে থাকবেন একজন করে নোডাল অফিসার। ২০১১ এবং ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কালীগঞ্জ আসনটি দখল করেছিল তৃণমূল। এই দু’বারই জয়ী হয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই প্রার্থী পেয়েছিলেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৭০৯টি ভোট। প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে তাঁকে হারিয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন (Assembly Bypolls)।

    কালীগঞ্জ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের (NDA) অন্তর্গত। গত লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলের নিরিখে কালীগঞ্জে বিজেপির চেয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জন্য যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন, সেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৫ হাজার ৮৪০ জন ভোটার। এঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৪২৬ জন মৃত। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ২ লাখ ৫৩ হাজার ভোটারের সিংহভাগই সংখ্যালঘু। সেই কারণেই এই কেন্দ্রে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের থেকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। কালীগঞ্জের মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৩ জন। মহিলা ভোটার (NDA) ১ লাখ ২২ হাজার ৩০৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন (Assembly Bypolls)।

    ভোট চলছে পাঞ্জাবে

    পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উপনির্বাচন হচ্ছে আপ শাসিত পাঞ্জাবের লুধিয়ানা (পশ্চিম) কেন্দ্রেও। আপ বিধায়ক গুরপ্রীত সিং গোগীর মৃত্যুর জেরে হচ্ছে অকাল নির্বাচন। কেন্দ্রের রাশ ধরে রাখতে আপ প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব অরোরাকে। অরোরার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির জীবন গুপ্তা। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ভারত ভূষণ আশু, শিরোমণি অকালি দলের তরফে লড়ছেন পরুপকার সিং ঘুম্মান।

    গুজরাটের দুই আসনেও ভোট

    উপনির্বাচন হচ্ছে গুজরাটের দুই আসনেও। একটি হল কাড়ি বিধানসভা এবং অন্যটি বিসাবদার। বিজেপি বিধায়ক কারসনভাই সোলাঙ্কির মৃত্যুতে খালি হয় কাড়ি আসনটি। গেরুয়া শিবির এখানে প্রার্থী করেছে রাজেন্দ্র চাভদাকে। আর কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন রমেশ চাভদা। আপ প্রার্থী করেছে জগদীশ চাভদাকে (Assembly Bypolls)। বিসাবদারে আগের বিধায়ক ভায়ানি ভূপেন্দ্রভাই আপ ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে (NDA)। এবার ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে কিরিত প্যাটেলকে। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন নিতিন রানপরিয়া। আপের প্রতীকে লড়ছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা গোপাল ইটালিয়া।

    ভোট কেরলেও

    বিধানসভার উপনির্বাচন হচ্ছে কেরলের নীলাম্বুরেও। এ রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রটি খালি হয়েছিল পিভি আনওয়ারের কারণে। বাম সমর্থনে তিনি নির্বাচিত হয়েছে দু’বার। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। শেষমেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিধায়ক আর্যাদান মোহাম্মদের পুত্র আর্যাদান শাউকতকে। রাজ্যের শাসক দল এলডিএফ প্রার্থী করেছে এম স্বরাজকে। প্রসঙ্গত, নীলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বর্তমানে এই কেন্দ্রের সাংসদ কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্র (Assembly Bypolls)।

  • NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক মাইলফলক এল দেশের সামরিক ইতিহাসে। পুণের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়ে বের হল ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ (NDA)। এর পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট হলেন পুরুষ বিভাগেরও ৩০০ জন। ত্রি-সেবা প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমির ক্ষেত্রপাল প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘Antim Pag’ (শেষ ধাপ) পেরিয়ে যান এই ক্যাডেটরা। ২৯ মে পাসিং আউট প্যারেডের রিভিউ অফিসার হিসাবে হাজির ছিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং ও মিজোরামের বর্তমান রাজ্যপাল।

    ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় (NDA)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২২ সালে এনডিএ-র ১৪৮তম কোর্সে যোগ দিয়েছিলেন মহিলা ক্যাডেটের এই প্রথম ব্যাচ। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতেই ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে মহিলাদের আবেদনের অনুমতি দেয় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)। এরপরেই অ্যাকাডেমি ক্যাডেট ক্যাপ্টেন উদয়বীর নেগি ১৪৮ তম কোর্সের প্যারেডের নির্দেশ দেন।

    কী বললেন ভিকে সিং

    জেনারেল ভিকে সিং বলেন, ‘‘আজ অ্যাকাডেমির ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কারণ, NDA থেকে বেরোল মহিলা ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচ। বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি এবং ক্ষমতায়নের দিকে আমাদের সম্মিলিত যাত্রায় এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই তরুণীরা “নারী শক্তি”র অনিবার্য প্রতীক, যা কেবল নারী উন্নয়নই নয়, নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নেরও প্রতীক। আমি এমন একটি ভবিষ্যৎ কল্পনা করি, খুব বেশি দূরে নয়, যেখানে এই তরুণীদের মধ্যে একজন তাঁদের (Women Cadets) সেবার সর্বোচ্চ পদে উন্নীত হচ্ছেন।’’

    কী বললেন শ্রীতি দক্ষ

    ১৭ জন মহিলা-সহ মোট ৩৩৯ জন ক্যাডেটেরই দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ জন ক্যাডেট পেয়েছেন বিএসসি ডিগ্রি। ৮৫ জনকে দেওয়া হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি, ৫৯ জনকে ব্যাচেলর অফ আর্টস ও ১১১ জন বি.টেক ডিগ্রি পেয়েছেন। ব্যাচেলর অফ আর্টস স্ট্রিমে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন শ্রীতি দক্ষ। অ্যাকাডেমিতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে দক্ষ বলেন, ‘‘এখানে তিন বছরের প্রশিক্ষণ আবেগের মিশ্রণ। প্রাথমিকভাবে এখানে আয়ত্ত করতে একটু সময় লেগেছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠি। ইন্সট্রাক্টর, স্টাফদের সাহায্যে অ্যাকাডমির (NDA) সঙ্গে একাত্মবোধ করি।’’

    প্রসঙ্গত, একই স্কোয়াড্রনের এক্স-এনডিএ হলেন শ্রীতি দক্ষের বাবা । তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, বি টেক স্ট্রিম থেকে নৌ ও বিমান বাহিনীর ক্যাডেটদের যথাক্রমে তাঁদের নিজ নিজ প্রাক-কমিশনিং প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি- ভারতীয় নৌ অ্যাকাডেমি এবং বায়ুসেনা অ্যাকাডেমিতে এক বছরের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর তাঁদের ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

  • Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর ২০১৯ ও ২০২৪ সালেও তিনিই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। সোমবার হল মোদি সরকারের (Modi Govt) ১১ বর্ষ পূর্তি। এদিনই মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, সুসংহত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে গত ১১ বছরে মোদি সরকার একগুচ্ছ সাহসী ও সুদূরপ্রসারী সংস্কারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতি পরিবর্তন করেছে। বিজেপির তরফে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারতের উন্নয়নের পথে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।

    ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। সরকারের এই কর্মসূচি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ, স্বদেশি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্পক্ষেত্রে নয়া গতি এনেছে। এটি বিধিনিষেধ সহজতর করেছে, উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিয়েছে এবং ভারতকে বিশ্বের দ্বিতীয় সব চেয়ে আকর্ষণীয় উৎপাদন গন্তব্যে পরিণত করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’য় রূপান্তর আত্মনির্ভরতা ও বৈশ্বিক শিল্পক্ষেত্রে ভারতের আস্থা বৃদ্ধির প্রতীক।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Modi Govt)

    ২০১৫ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলিকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেয়।২০২৫ সালের শুরু পর্যন্ত এই যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৩২.৪ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিলি করা হয়েছে। সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারী, এবং প্রায় অর্ধেক ঋণ দেওয়া হয়েছে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির লোকজনকে। সর্বোচ্চ ঋণ বিলি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে (BJP)।

    বিমুদ্রাকরণ

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর কালো টাকা সাদা করতে, জাল নোটের রমরমা ঠেকাতে, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে (Modi Govt) এবং ডিজিটাল লেনদেনে দেশবাসীকে উৎসাহিত করতে ভারত সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। এর ফলে আয়কর রিটার্ন দাখিল বেড়েছে ২৪.৭ শতাংশ এবং অগ্রিম কর সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে ৪১.৮ শতাংশ। ‘অপারেশন ক্লিন মানি’র মাধ্যমে ১৮ লাখ সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যার ফলে ১৭,৫২৬ কোটি টাকার অবৈধ আয়ের সন্ধান মিলেছে। সরকারের এই পদক্ষেপে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

    জিএসটি

    ২০১৭ সালের ১ জুলাই চালু হওয়া জিএসটি বিভিন্ন পরোক্ষ করের পরিবর্তে একটি একক কর ব্যবস্থা চালু করে। এটি করের বাধা দূর করেছে, ইনপুট ক্রেডিটের সুবিধা এনেছে এবং আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যকে উন্নত করেছে। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে দেশে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ পৌঁছেছে ২০.১৮ লাখ কোটি টাকায়, যা তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১১.৭ শতাংশ বেশি। এই সংস্কার কর দেওয়া সহজ করেছে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছে এবং অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করেছে।

    ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং ইউপিআই

    বিএইচআইএম, আধার এবং ইউপিআইয়ের মতো উদ্যোগগুলি ভারতের পেমেন্ট ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ইউপিআই মাসে ১৭৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন করেছে, যার আর্থিক মূল্য ২২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে। ২০১৯ সালে ডিজিটাল পেমেন্টে ইউপিআইয়ের অংশ ছিল ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশে। মোদি সরকারের এই ব্যবস্থা ডিজিটাল ফিনান্সে ভারতকে বিশ্বনেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে (BJP)।

    আয়ুষ্মান ভারত

    ২০১৮ সালে শুরু (Modi Govt) হওয়া আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (PM-JAY) প্রতি পরিবারে সেকেন্ডারি ও তৃতীয় স্তরের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কভারেজ প্রদান করে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩৬.৯ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। যার ফলে প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এখন ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিক এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সরাও অন্তর্ভুক্ত।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়ে যায় এবং এটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত হয়। এই অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ায় সমান নাগরিকত্বের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে এবং জাতীয় ঐক্য মজবুত হয়েছে।

    উরি, বালাকোট, অপারেশন সিঁদুর ও ব্ল্যাক ফরেস্ট  

    ২০১৬ সালে উরির হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার প্রতিক্রিয়ায় বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালায় মোদি সরকার। ২০২৫ সালে হয় অপারেশন সিঁদুর। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানে দেশীয় সামরিক সক্ষমতা ও মহিলা অফিসারদের নেতৃত্বের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়, যা আদতে আত্মনির্ভরতা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হয় অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট (BJP)। ২১ দিন ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের ১০,০০০-এর বেশি কর্মী অংশ নেন ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টালু পাহাড়ে মাওবাদী ঘাঁটি ও তাদের নেতৃত্ব কাঠামো ধ্বংস করতে। অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিকেশ হয়, যাদের মধ্যে ছিল সিপিআই (মাওবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও (বাসবরাজু)-এর মতো শীর্ষ নেতাও (Modi Govt)।

    আত্মনির্ভর ভারত

    কোভিড অতিমারী-উত্তর পর্বে শুরু হওয়া আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের লক্ষ্য হল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং বিশেষ করে এমএসএমইদের জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো। মোদি সরকারের এই উদ্যোগ ব্যাপক সাফল্য পায়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিরক্ষা রফতানি ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষে ৬৮৬ কোটি টাকা থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ২১,০৮৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০ গুণ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানি ৪,৩১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮,৩১৯ কোটি টাকায়।

    অগ্নিপথ স্কিম

    ২০২২ সালের জুনে চালু হওয়া অগ্নিপথ স্কিম অনুযায়ী ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের চার বছরের জন্য ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়, যাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে রাখা হয়। এই স্কিমটি শৃঙ্খলা গড়ে তোলে এবং বার্ষিক ৪.৭৬ লক্ষ টাকা বেতন, ১১.৭১ লক্ষ টাকা ‘সেবা নিধি’ এক্সিট প্যাকেজ এবং ৪৮ লক্ষ টাকার জীবন বীমা দেয়। প্রতিরক্ষা সেবার বাইরেও এটি যুবকদের ভবিষ্যতের (BJP) কেরিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জনেও সহায়তা করে। অপারেশন সিঁদুরে এই অগ্নিবীরদের অনেকেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন (Modi Govt)।

    সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

    কিছু যুগান্তকারী প্রকল্পের মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। ২০২৪ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বহু প্রতীক্ষিত একটি সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে। কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রকল্প বারাণসীর মন্দির চত্বরে এক নতুন রূপ এনে দিয়েছে, আর মহাকাল লোক করিডর উজ্জয়নের মহাকালেশ্বর মন্দিরকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এই সমস্ত উদ্যোগই ঐতিহ্য ও আধুনিক পরিকাঠামোর এক অসাধারণ সমন্বয়, যা ধর্মীয় পর্যটন ও সভ্যতাগত গর্বকে উৎসাহিত করছে। এই যুগান্তকারী কীর্তিগুলির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এবং বৈদেশিক নীতিতেও নিজস্ব ছাপ রেখেছে। এমনই একটি সাফল্য হল ভারতে (BJP) সফলভাবে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন। এছাড়াও, নানা সময় বিভিন্ন দেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত মানবিক সাহায্য দিয়েছে। যার ফলে ভারত অর্জন করেছে বিশ্বনেতার সম্মান (Modi Govt)।

  • NDA: অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেলেন বিরোধীরা

    NDA: অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেলেন বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Polls) খড়কুটোর মতো ভেসে গেলেন বিরোধীরা। বিপুল জয় পেল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। বছর ঘুরলেই অসম বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের শাসক দল যে বাড়তি অক্সিজেন পেল, তা বলাই বাহুল্য।

    জেলা পরিষদে বিপুল জয় (NDA)

    অসমে জেলা পরিষদের আসন রয়েছে ৩৭৬টি। তার মধ্যে ৩০০টিতেই জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা। শতাংশের বিচারে এনডিএ পেয়েছে ৭৬ শতাংশেরও বেশি ভোট। পঞ্চায়েতেও জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রেখেছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দল এবং তাদের সহযোগীরা। রাজ্যে পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ২ হাজার ১৯২টি। তার মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ১ হাজার ৪৩৬টি আসন। শতাংশের বিচারে ভোটের হার ৬৬।

    কী বললেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক জয় পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “এই ফল বিজেপি ও আমাদের এনডিএ অংশীদারদের ওপর জনগণের আস্থার প্রতিফলন ঘটায়। তারা আমাদের ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে প্রাণিত করেছে। ওই নির্বাচনে আমরা কমপক্ষে ৯৫টি আসন জিততে পারি।” অসম বিধানসভার আসন সংখ্যা ১২৬। গত বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জিতেছিল ৭৫টি আসনে। উপনির্বাচনের পর এনডিএর আসন বেড়ে হয়েছে ৮৪টি।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর হিমন্ত বলেন, “অসম বিধানসভায় এনডিএর আসন সংখ্যা ছুঁতে পারে ১০৪-এর কোঠা।” বিপুল ভোটে জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ এবং বিএল সন্তোষকেও।

    অসমের বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ শইকিয়া বলেন, “গ্রামীণ উন্নয়নের প্রতি এনডিএ (NDA) সরকারের প্রতিশ্রুতি আমাদের জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদের ৮০ শতাংশেরও বেশি আসন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।” তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক এবং নির্ণায়ক এই জয় দেখায় যে মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ভোট দিয়েছেন।”

    প্রসঙ্গত, অসমে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন ২১ হাজার ৯২০ জন। তার মধ্যে (Panchayat Polls) মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন ১০ হাজার ৮৮৩টি (NDA)।

  • Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ২০১১। তখনও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। তাঁর পরিচয় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই তাঁর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তাহাউর রানা (Tahawwur Rana Trial)। অবশেষে ২৬/১১-এর ‘মাস্টার মাইন্ড’কে ভারতে এনেছে তাঁর সরকার। রানার প্রত্যর্পণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী। মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তাহাউর রানাকে বৃহস্পতিবারই ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই মোদির একটি পুরনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে আমেরিকার ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ভারতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)।

    কী রয়েছে সেই পোস্টে

    ২০১১ সালে করা সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Trial) মার্কিন আদালতের দেওয়া ছাড়পত্র নিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে দুষেছেন। নরেন্দ্র মোদি সেই পুরোনো পোস্টে লিখেছিলেন, “তাহাউর রানাকে মার্কিন সরকারের নির্দোষ তকমা দেওয়া আদতে ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা দেশের বিদেশনীতির বিরাট ব্যর্থতা।” নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্ট নেটিজেনদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে। তাহাউর রানাকে ভারতে সফল ভাবে প্রত্যর্পণ করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান গাইছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, ‘আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ হল।’ আবার কারও কথায়, ‘আপনি করে দেখিয়েছেন স্যার। আপনাকে কুর্নিশ।’ অনেকের পোস্টেই দেখা গিয়েছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান।

    অমিত-বার্তা

    ২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রানাকে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকা কিসের ভিত্তিতে মুম্বই জঙ্গি হামলার অপরাধীদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে। মুম্বই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ রানাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে আনা হয়েছে। রানাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পাটিয়ালা হাউস কোর্টে আনা হয়। আদালত রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রানাকে দেশে ফেরানো মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। এবং সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ‘যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যারা ভারতের মাটি অপব্যবহার করেছে, দেশের সম্মান অবমাননা করেছে, এমনকি ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের ভারতীয় আইনের অধীনে বিচার করার জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হবেই।”

    মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই প্রত্যার্পণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “কংগ্রেস সরকার কিছুই করেনি ২০০৮ সালের হামলার পর। একজন মাত্র জঙ্গি ধরা পড়েছিল— আজমল কাসব, তাকেও জেলে বসে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল। আর এখন যারা দেশকে আক্রমণ করেছে, তাদের দেশের মাটিতে এনে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই হচ্ছে নতুন ভারতের সংকল্প।”  ইউপিএ আমলে ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে সন্ত্রাসের সঙ্গে সর্বদা নরম মনোভাব দেখিয়েছে কংগ্রেস, দাবি বিজেপির। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “ইউপিএ আমলে যারা সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজকের ভারত পাল্টে গেছে। উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনার জবাব এমএফএন দিয়ে নয়, এমটিজে— ‘মুহ তোড় জবাব’ দিয়ে দেওয়া হয়।”

    মুখ খুলেছে আমেরিকা

    রানার ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “এই ধরনের হামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের উদ্যোগকে দীর্ঘ দিন ধরে সমর্থন করে এসেছে আমেরিকা। এখন উনি (রানা) ভারতের হাতে। আমরা খুশি।” মার্কিন আদালতে রানা বার বার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ভারতের জেলে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হবে। তবে ভারত অবশ্য আমেরিকার সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, জেলেও সুরক্ষিত থাকবেন রানা। এদিকে, মুম্বই হামলার চক্রীকে ভারতে আনা হতেই, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। উল্লেখ্য ২ মাস আগে, মোদির মার্কিন সফরের সময়ই রানার প্রত্যর্পণ ইস্যুটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছিল। তারপরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। অবশেষে এখন ভারতে রানা। জনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল,অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

LinkedIn
Share