Tag: NDA

NDA

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    Lok Sabha Elections 2024: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে, কোনও একতা নেই।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। হাতে গোনা আর দু’দিন পরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার ঠিক আগে অমর্ত্যর এই বক্তব্যে জাস্ট অ্যাডভান্টেজ বিজেপি।

    অমর্ত্য উবাচ (Lok Sabha Eelections 2024)

    নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “বিরোধী জোট সেভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। নীতীশ কুমার ও জয়ন্ত চৌধুরীর মতো শরিকরা রাতারাতি বেরিয়ে গিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোনও একতা নেই। ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোট। একজোট হতে পারলে তারা আরও শক্তিশালী হতে পারত।” তাঁর সংযোজন, “কংগ্রেসের অনেকগুলি সমস্যা রয়ে গিয়েছে।” ক্ষমতায় (Lok Sabha Elections 2024) এলে দেশে জাতিগত জনগণনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেনের মতে, জাতিগত জনগণনার চেয়ে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশে পিছিয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের আবশ্যিকতা রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ প্রয়োজন সমাজের সমস্ত স্তরেই।

    আরও পড়ুুন: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’

    বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বাঁধে দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডি’। জন্মলগ্ন থেকেই ইন্ডির অন্দরে ঘনিয়েছে অশান্তির কালো মেঘ। কখনও নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক, কখনও আবার (Lok Sabha Elections 2024) কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। একটি অনুষ্ঠানে ইন্ডির শরিক শারদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করায়ও হয়েছিল বিতর্ক। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেও, জোটের অন্দরে আসন রফা হয়নি। বাংলায় একলা চলো নীতি নিয়েছে ইন্ডির শরিক তৃণমূল।

    পাঞ্জাবে আবার একলা লড়ছে আম আদমি পার্টি। ঝাড়খণ্ডে একলা লড়ার কথা ঘোষণা করেছে ‘ইন্ডি’র আর এক শরিক সিবিআইও। একলা চলোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক হলেও, জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দলও আলাদা করে প্রার্থী দিচ্ছে। সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট। ‘ইন্ডি’র অন্দরে নিরন্তর চলা অশান্তির জেরে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক ছেড়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরে ফিরে গিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরীও ইঙ্গিত দিয়েছেন এনডিএতে যোগ দেওয়ার (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

    Lok Sabha Election 2024: ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই মহাজোট ছেড়ে ফের এনডিএ-তে ফিরে গিয়েছেন নীতীশ কুমার। সকালে জোট ছেড়ে যাওয়া এবং বিকালে ফের এনডিএ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া। রবিবার নীতীশ কুমারের রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করতে শোনা গিয়েছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে এবার সামনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রশান্ত কিশোর। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর জানান, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি ক্লিন স্যুইপ করবে। করবে অর্থাৎ এনডিএ জোট পুনরায় ক্ষমতায় ফিরবে বলে মনে করেন তিনি। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় বইতে (Lok Sabha Election 2024) চলেছে। তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরা মোদির সুনিশ্চিত। বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলিও একই দাবি করেছে। এবার সেই সুরই শোনা গেল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের গলায়।

    বিজেপির বিরোধী শিবিরে থাকা প্রশান্ত কিশোরও মেনে নিলেন বিজেপি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরছে 

    প্রসঙ্গত, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। বিগত কয়েক বছরে বিজেপি বিরোধী অবস্থানই নিয়েছেন তিনি। বিজেপি সরকারের সমালোচনার সুরও শোনা যায় তাঁর গলায়। এমন এক বিজেপি বিরোধী মানুষও মেনে নিলেন এনডিএ জোট বিপুল ভোটে জিততে (Lok Sabha Election 2024) চলেছে।  

    নীতীশ কুমার সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য

     নীতীশ কুমার নিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “তিনি (নীতীশ কুমার) তাঁর জীবনের শেষ ইনিংস খেলছেন।”  বিহারের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশের ফল ভালো হবে না বলেও জানান ভোট কুশলী। তিনি বলেন,  “নীতীশ কুমার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২০টির বেশি আসন পাবেন না, সেটা যে জোটের সঙ্গেই লড়াই করুন।” তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হবে না দাবি জানিয়ে পিকে-র বিস্ফোরক মন্তব্য, “যদিও ২০টির বেশি আসন পান, তাহলে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব।”

    আরও পড়ুুন: সরকারি অতিথি নিবাসে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজে মমতার পুলিশের না

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: এনডিএ-র নেতৃত্বে নীতীশ কুমার উজ্জ্বল বিহার গঠন করবেন, জানালেন জেপি নাড্ডা

    Nitish Kumar: এনডিএ-র নেতৃত্বে নীতীশ কুমার উজ্জ্বল বিহার গঠন করবেন, জানালেন জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই এনডিএ শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সকালে আরজেডি জোট থেকে ইস্তফা, বিকালে পুনরায় শপথ। নীতীশের শপথে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপি শিবিরে নীতীশের (Nitish Kumar) ফিরে আসাকে তিনি স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন। এনডিএ-র নেতৃত্বে নীতীশ কুমার উজ্জ্বল বিহার গঠন করবেন বলেও জানান নাড্ডা। এর পাশাপাশি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ব্যাপকভাবে জিততে চলেছে, তাও সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করে দেন নাড্ডা। তিনি বলেন, ‘‘আগামী লোকসভায় বিজেপি এনডিএ জোট সব আসনগুলিতেই জয়লাভ করবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের মানুষজন জেডি(ইউ) এ বিজেপি জোটকেই জিতিয়েছিল। বিজেপি জেডি(ইউ) জোট যখনই ক্ষমতায় থাকে তখনই বিহারে আইন-শৃঙ্খলা থেকে অর্থনৈতিক উন্নতি চরম শিখরে পৌঁছায়।’’ এদিন ইন্ডি জোটকেও বিহার থেকে তোপ দাগেন নাড্ডা, তাঁর মতে, ‘‘তাদের (ইন্ডি জোটের) স্লোগান হল দুর্নীতি বাঁচাও-পরিবার বাঁচাও।’’ 

    রবিবার নীতীশের প্রতিক্রিয়া

    রবিবার রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতীশ বলেন, ‘‘আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, দেখলেন তো কী হল। সবারই কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে ওখানে। আমি অনেকদিন ধরে চুপ ছিলাম। এত সমস্যা নিয়ে থাকা যায় না। তাই ইন্ডিয়া জোট আমি ছেড়ে দিলাম।’’

    প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন নীতীশকে

    গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীতীশ কুমারকে ফোন করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সমীক্ষাতে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এরই মধ্যে নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ শিবিরে ফিরে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তা একদিকে যেমন এনডিএ জোটের জয়কে ত্বরান্বিত করল, অন্যদিকে বড়সড় ভাঙনের মুখে ফেলে দিল ইন্ডি জোটকে। তার কারণ নীতীশই মূল কারিগর ছিলেন ইন্ডি জোটের। গত বছরে কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন নীতীশ।

    কী বলছে বিহার বিজেপি?

    নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ জোটে ফিরে যাওয়ার পরেই বিবৃতি সামনে এসেছে বিহারের রাজ্য বিজেপিরও। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাজ্যের সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বিহারের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের মতো হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী বিহারের মানুষের উন্নয়নের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিহারে জঙ্গলরাজ ছিল। সেই অবস্থা যেন ফেরত না আসে তাই দলের তরফে এই পদক্ষেপ।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: চার দশকেরও বেশি সময় রাজনীতিতে রয়েছেন নীতীশ, কীভাবে হল উত্থান?

    Nitish Kumar: চার দশকেরও বেশি সময় রাজনীতিতে রয়েছেন নীতীশ, কীভাবে হল উত্থান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে বিহারের ক্ষমতায় রয়েছেন জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর সভাপতি নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী, যাঁর দল কখনও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিহারে। অথচ বিভিন্ন দলের সমর্থন নিয়েই তিনি বরাবর মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। ৭২ বছর বয়সী এই নেতা রাজনীতিতে রয়েছেন বিগত চার দশক ধরে।

    ১৯৫১ সালে জন্ম নীতীশের, প্রথমবার বিধায়ক হন ১৯৮৫ সালে

    ১৯৫১ সালের ১ মার্চ পাটনার উপকণ্ঠে বখতিয়ারপুর নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর পিতা ছিলেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীও। নীতীশ কুমার নিজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। বিহার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যা কিনা বর্তমানে পরিচিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি পাটনা নামে, সেখানেই পড়তেন নীতীশ। এই সময় থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনে। সে সময়ে জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনে তাঁর অন্যতম সহকর্মী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব এবং বর্তমানে বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদি। নীতীশ কুমার প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন ১৯৮৫ সালে। সে সময়ে কংগ্রেস বিহারে ব্যাপক ফল করলেও লোকদলের প্রতীকে হারনৌথ আসনটি ধরে রাখতে সমর্থ হন নীতীশ। ঠিক পাঁচ বছর পরেই তিনি সাংসদ হয়ে দিল্লিতে যান। পরবর্তীকালে তিনি জর্জ ফার্নান্ডেজের সঙ্গে সমতা পার্টিতে যোগদান করেন এবং মণ্ডল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীকালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রীত্বে তিনি কেন্দ্রে জোট শরিক হিসেবেও কাজ করেন। সমতা পার্টি পরবর্তীকালে জনতা জলের সঙ্গে মিশে যায়।

    ২০০৫ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নীতীশ 

    ২০০৫ সাল থেকে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁর প্রথম পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ লালপ্রসাদ জমানায় বিহারের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সারা দেশে চর্চার বিষয় হয়েছিল। ২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদিকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি এনডিএ ছাড়েন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের বাইরে থেকে সমর্থন নিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচন লড়ে নীতীশের (Nitish Kumar) দল। ব্যাপক ভরাডুবি হয় লোকসভাতে জেডি(ইউ)-এর। হারের দায় নিয়ে সেই বছরেই নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ ছেড়ে দেন তিনি এবং জিতিন রাম মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রী করেন। কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গেজোট করে পুনরায় ক্ষমতায় আসেন নীতীশ ২০১৫ সালে। ২০১৭ সালে নীতীশ ফের এনডিএ-তে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে ফের মহাজোটে সামিল হন তিনি। আগামী বছরের বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে । তার আগে পুনরায় আবার মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে এলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: ইস্তফা দিয়েই ইন্ডি জোটকে নিশানা নীতীশের, কথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও

    Nitish Kumar: ইস্তফা দিয়েই ইন্ডি জোটকে নিশানা নীতীশের, কথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেখে রবিবার সকালেই ইস্তফা দিয়েছেন নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা রটেছিল যে তিনি ফের এনডিএ জোটে ফিরতে চলেছেন, অবশেষে তা সত্যি হল। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন নীতীশ। এরপরেই তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। তোপ দাগেন  ইন্ডি জোটের বিপক্ষেও। নীতীশ বলেন, ‘‘আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, দেখলেন তো কী হল। সবারই কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে ওখানে। আমি অনেকদিন ধরে চুপ ছিলাম। এত সমস্যা নিয়ে থাকা যায় না। তাই ইন্ডিয়া জোট আমি ছেড়ে দিলাম।’’

    প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন নীতীশকে

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীতীশ কুমারকে ফোন করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সমীক্ষাতে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এরই মধ্যে নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ শিবিরে ফিরে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তা একদিকে যেমন এনডিএ জোটের জয়কে ত্বরান্বিত করল, অন্যদিকে বড়সড় ভাঙনের মুখে ফেলে দিল ইন্ডি জোটকে। তার কারণ নীতীশই মূল কারিগর ছিলেন ইন্ডি জোটের। গত বছরে কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন নীতীশ।

    কী বলছে বিহার বিজেপি?

    নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ জোটে ফিরে যাওয়ার পরেই বিবৃতি সামনে এসেছে বিহারের রাজ্য বিজেপিরও। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাজ্যের সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বিহারের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের মতো হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী বিহারের মানুষের উন্নয়নের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিহারে জঙ্গলরাজ ছিল। সেই অবস্থা যেন ফেরত না আসে তাই দলের তরফে এই পদক্ষেপ।’’ বিভিন্ন সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে রবিবারই বিকাল চারটে নাগাদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নিতে পারেন নীতীশ কুমার। তাঁর ডেপুটি পদে বসতে চলেছেন সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিনহা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অকল্যাণকর’কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ জোটের রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদরা। মঙ্গলবারই উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের স্বর নকল করেছিলেন কল্যাণ। উপরাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এদিন রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএর ১০৯ জন সাংসদ।

    কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?

    ঘটনাচক্রে এদিন দিল্লিতেই ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের মিমিক্রির দায় যে তিনি নেবেন না, তা তাঁর বয়ানেই স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “ওই বিষয়টি (কল্যাণের মিমিক্রি)দেখার জন্য সাংসদরা রয়েছেন। যা বলার, তাঁরাই বলবেন। আমি ও আমার দলের সাংসদরা সবাইকে সম্মান করেন।” মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সেখানে কল্যাণকে ধনখড়ের স্বর নকল (Kalyan Banerjees Mimicry) করতে দেখা যায়। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেন। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কল্যাণের মিমিক্রি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন উপস্থিত সাংসদরা। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই কল্যাণকে ‘মুর্খো কি সর্দার’ আখ্যা দিয়েছেন নেট নাগরিকরা।

    উপরাষ্ট্রপতির পাশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী

    ঘটনায় উপরাষ্ট্রপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে একজন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেছেন ও বাকি সাংসদরা যেভাবে তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাতে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনায় (Kalyan Banerjees Mimicry) সমব্যথী প্রধানমন্ত্রী। আমায় উনি বললেন ২০ বছর উনিও এরকম অপমান সহ্য করেছেন। তবে সংসদ চত্বরে এধরনের আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদ চত্বরে এই অপমান দুর্ভাগ্যজনক বলেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    কল্যাণকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ধনখড়ের অপমান আদতে জাঠ সম্প্রদায়ের অপমান বলে মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায়ের ভাই ও বোনেদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বাংলার মানুষও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত একজন সাংসদের অসম্মানজনক ও সম্পূর্ণ লজ্জাজনক আচরণে বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Kalyan Banerjees Mimicry) একজন কৃষকের পুত্র এবং সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। তিনি সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি, কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গে তাঁর শাসনকালে সাংবিধানিক মূল্যবোধ, নিয়ম ও নিয়মাবলী সমুন্নত রেখেছিলেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস (যা পরিবার ভিত্তিক দল) সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি শুধুমাত্র ভারতের মাননীয় উপরাষ্ট্রপতিকে বিদ্রুপ করেননি। সাংসদ প্রাঙ্গনে যখন অন্য সাংসদরা নির্লজ্জভাবে হাতহাতি দিচ্ছেন এবং উল্লাস করছেন তখন তাঁকে নকল করা কাম্য নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার জনগণ অবশ্যই এই কাজের জন্য সাংসদ ও তাঁর আঞ্চলিক পরিবারভিত্তিক দলকে শিক্ষা দেবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Indi Block: ‘ইন্ডি’ জোটে অনৈক্য! বাতিল হল প্রথম জনসমাবেশ, কটাক্ষ বিজেপির

    Indi Block: ‘ইন্ডি’ জোটে অনৈক্য! বাতিল হল প্রথম জনসমাবেশ, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রথম জনসমাবেশের দিনক্ষণ ঘোষণা আগেই হয়েছিল। পরস্পর বিরোধী নেতারা মঞ্চে বসে ঐক্য দেখানোর চেষ্টা করলেও ‘ইন্ডি’ জোটের (Indi Block) নেতাদের অনৈক্যের ছবি ষ্পষ্ট হয়ে উঠল জনসমাবেশ বাতিল হতেই। প্রসঙ্গত, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ‘ইন্ডি’ জোটের প্রথম বৈঠকে স্থির হয়েছিল ভোপালের সভার কথা। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিরোধী নেতা-নেত্রীরা নাকি জনসভা করবেন ভোপালে! সে পরিকল্পনা ভেস্তে গেল শনিবারই। কংগ্রেস নেতা কমল নাথ এই জনসমাবেশ বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। তবে পরবর্তী জনসমাবেশ কোথা হবে! আদৌ হবে কিনা! তা নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি জোট নেতৃত্ব। বিরোধী জোটের জনসমাবেশ বাতিল হতে কটাক্ষ করেছে বিজেপি শিবির।

    কী বলছে বিজেপি?

    মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এনিয়ে বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মকে যারা অবমাননা করেছেন, তাঁদের জনসমাবেশ বাতিল হবে এটাই তো স্বাভাবিক। মধ্য প্রদেশের মানুষ সনাতন ধর্মের এই অপমান মেনে নেবে না। আমাদের বিশ্বাসে আঘাত এনেছে ওরা। এই আঘাত সহ্য করা হবে না। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফলে এই জনসমাবেশ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে তারা। মানুষ এই ব়্যালি হতে দেবে না।’’ কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শিবরাজ সিং চৌহান আরও বলেন, ‘‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিতে বড্ড গন্ডগোল। পোস্টারে কার ছবি থাকবে আর কার থাকবে না, তা নিয়েও ওদের মধ্যে ঝামেলা। ওরা যখন এইসবে মগ্ন (Indi Block) তখন বিজেপি প্রচারে জোর বাড়িয়ে ফেলেছে।’’

    বিরোধীদের (Indi Block) অনৈক্যর ছবি ষ্পষ্ট

    ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য মনে করছে যে বিরোধীরা ইস্যুভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ না হতে পারার কারণেই তাদেরকে জনসমাবেশ বাতিল ঘোষণা করতে হল। সামনেই বিধানসভা ভোট রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তার আগেই বিরোধী জোটের এই সমাবেশ বাতিল হল। বিজেপি কটাক্ষ করে বলছে, যাঁরা একসঙ্গে একটা জনসমাবেশ করতে পারছেন না, তাঁরা একসঙ্গে দেশ চালানোর স্বপ্ন কীভাবে দেখছেন! প্রসঙ্গত বিরোধী জোট (Indi Block) নিয়ে ইতিমধ্যে নানা প্রশ্ন শুরু হয়েছে! যে এই জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন? আসন সমঝোতা কীভাবে হবে? ইত্যাদি নানা প্রশ্নের মাঝে বাতিল হল জনসমাবেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anurag Thakur: ‘‘জনগণ কখনও গ্রহণ করবে না ‘ইন্ডি’ জোটকে’’, মন্তব্য অনুরাগ ঠাকুরের

    Anurag Thakur: ‘‘জনগণ কখনও গ্রহণ করবে না ‘ইন্ডি’ জোটকে’’, মন্তব্য অনুরাগ ঠাকুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জনগণ কখনও গ্রহণ করবে না ‘ইন্ডি’ জোটকে, শনিবার এমন কথাই বলতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে (Anurag Thakur)। শনিবার হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণমন্ত্রী বলেন যে বিরোধী জোট দেশের সংবিধানকে আক্রমণ করছে, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা করছে এবং সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করছে।

    ‘ইন্ডি’ জোট সুবিধাবাদী

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ‘ইন্ডি’ জোটের অন্যতম শরিক ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তাঁর সেই মন্তব্যের বিরোধিতা তো দূরের কথা উপরন্ত সমর্থনেই এগিয়ে আসেন, তাঁর দলেরই নেতা তথা ইউপিএ জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী এ রাজা। তিনি আবার আরেক ধাপ এগিয়ে সনাতন ধর্মকে কুষ্ঠ-এর সঙ্গে তুলনা করেন। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ‘ইন্ডি’ জোটের নেতাদেরকে তীব্র আক্রমণ শানান অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। হিমাচল প্রদেশে শনিবার ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘‘ইন্ডি জোট কেবল পোশাক বদলেছে কিন্তু আচরণ ও চরিত্র তাদের একই রয়ে গেছে।’’ এই জোটকে চরম সুবিধাবাদী এবং জনগণের বিরোধী শক্তির জোট বলে কটাক্ষ করেছেন অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) তাঁর মতে, ‘‘জনগণ কখনও ইন্ডিয়া জোটকে গ্রহণ করবে না। এই জোট সংবিধানের উপর আক্রমণ হানছে, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠস্বর রোধ করছে এবং সনাতন ধর্ম ধ্বংসের চেষ্টা করছে।’’ 

    অবিজেপি রাজ্যের উদাহরণ

    এদিন তাঁর বক্তব্যে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অবস্থার কথাও তিনি তুলে ধরেন। ‘‘কম আয় এবং অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য পঞ্জাব কেন্দ্র থেকে অতিরিক্ত লোন নিয়েছে। আম আদমি পার্টির সরকার প্রতি বছর রাজ্যে বিজ্ঞাপনের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করে, কিন্তু খেলাধূলা বা অন্য কোনও প্রচারে এক পয়সাও খরচ করে না। অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদির সরকার স্কিল ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার বিশেষ চেষ্টা করছেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NDA: মোদির পাশেই দেবগৌড়ার দল, কর্নাটকে কতগুলো আসনে সমঝোতা?

    NDA: মোদির পাশেই দেবগৌড়ার দল, কর্নাটকে কতগুলো আসনে সমঝোতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল কর্নাটকের জনতা দল সেকুলার ভিড়তে চলেছে এনডিএ শিবিরে (NDA)। শুক্রবার সেই খবরে সিলমোহর দিলেন কর্নাটকের বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সূত্রের খবর দিন কয়েক আগেই  কর্নাটকে আসন রফা নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকও করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া (NDA)। লোকসভা ভোটে এমনিতেই এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির, অন্তত বিভিন্ন সমীক্ষা তাই বলছে। এর মাঝে জেডিএস এর যোগদান যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কতগুলি আসনে রফা হল জেডিএস এর সঙ্গে

    জানা গিয়েছে, কর্নাটক রাজ্যে মোট আসন রয়েছে লোকসভার ২৮টি। তবে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর যে আসনগুলিতে বিজেপি জিতে (NDA) রয়েছে সেগুলি ছাড়া হবে না যে জেডিএসকে। ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন যে জিডিএস অমিত শাহের কাছে, ৫টি আসনের(NDA) দাবি জানিয়েছিল এগুলি হল, মান্ডা, হাসান, তুমাকুরু, চিকবল্লাপুর এবং বেঙ্গালুরু গ্রামীণ। এরমধ্যে চারটি আসনে রফা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। তবে পাঁচটির মধ্যে এগুলি কোন চারটি আসন তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু এখনও জানা যায়নি। গত জুলাই মাসেই লোকসভা নির্বাচনে (NDA) বিজেপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া। কিন্তু সেপ্টেম্বরেই চূড়ান্ত হয়ে গেল জোট। 

    ২০১৯ সালে গেরুয়া ঝড়ে কর্নাটকে মুছে যায় বিরোধীরা (NDA)

    প্রসঙ্গত, বিগত বিধানসভা নির্বাচনে জেডিএস এর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের অত্যন্ত অবনতি হয়। তারপরেও কীভাবে এই জোট হতে চলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘‘রাজনীতিতে এমনটা চলতেই থাকে। এই ধরনের পরিস্থিতি হয়। তবে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা আমরা সকলে মেনে চলব।’’ ২০১৯ সালে কর্নাটকে গেরুয়া ঝড়ে ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় বিরোধীরা। ২৮টি আসনের মধ্যে ২৬টি তেই (NDA) যেতে বিজেপি। কংগ্রেস এবং জেডিএস একটি করে আসন পায়। জেডিএস যেতে হাসান কেন্দ্রে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NDA: শক্তিবৃদ্ধি এনডিএ-র! সমাজবাদী পার্টির পুরনো সহযোগী ধরল মোদির হাত

    NDA: শক্তিবৃদ্ধি এনডিএ-র! সমাজবাদী পার্টির পুরনো সহযোগী ধরল মোদির হাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা বলছেন, তৃতীয়বারও মসনদ দখলের পথে প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিরোধীদের জোটে অনৈক্যর বাতাবরণ। নেই কোনও মুখ। ঠিক এমন আবহে ফের শক্তি বৃদ্ধি হল শাসক এনডিএ (NDA) জোটের। উত্তরপ্রদেশে একদা সমাজবাদী পার্টির জোটসঙ্গী ছিল সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি। তারাই শক্তি বাড়াল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ-র। শনিবারই এই দলের প্রধান ওপি রাজভর দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। তাঁর এই সাক্ষাতের পরই এনডিএ (NDA) জোটে এই দলের আনুষ্ঠানিক প্রবেশ হয়। 

    ট্যুইট অমিত শাহের

    রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ওপি রাজভরের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবিও পোস্ট করেন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, “রাজভরজির আগমনে উত্তরপ্রদেশে এনডিএ আরও শক্তিশালী হবে।”

    সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির প্রধানের ট্যুইট

    এদিন এনডিএ-তে (NDA) আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে ট্যুইট করেন রাজভর। তিনি লেখেন, ‘‘সামাজিক ন্যায়, দেশের সুরক্ষা, পিছিয়ে পড়া জাতির উন্নয়নের স্বার্থে এনডিএ-এর সহযোগী হলাম।’’

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেই ছিল এই দল। যদিও ২০১৭ সালে প্রথমবার যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এনডিএ শিবিরেই ছিল ভারতীয় সমাজ পার্টি। তাদের দলের তরফে মন্ত্রীও ছিল উত্তরপ্রদেশ সরকারে। পরে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় অখিলেশের হাত ধরে তারা। শনিবার আবার সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি ফিরল তার পুরনো জায়গায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share