Tag: NDA

NDA

  • Vice President Elections: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী জগদীপ ধনখড়, জানেন তিনি কত ভোট পেলেন?

    Vice President Elections: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী জগদীপ ধনখড়, জানেন তিনি কত ভোট পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতোই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice Presidential Elections) পদে জয়ী হলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল এনডিএর (NDA) প্রার্থী  বিজেপির (BJP) জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বিপুল ব্যবধানে তিনি হারালেন বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে (Margaret Alva)। ৭২৫টি প্রদত্ত ভোটের মধ্যে যেখানে ধনখড় পেয়েছেন ৫২৮ ভোট, সেখানে বিরোধী প্রার্থীর ঘরে পড়েছে মাত্র ১৮২ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ৭২.৮২% ভোট পেয়ে জিতলেন জগদীপ ধনখড়। 

    পেশায় আইনজীবী ধনখড়ের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৮ মে, রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলার কিথানায়। স্কুলের পাঠ শেষে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন ধনখড়। আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন রাজস্থান হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেন তিনি। পরে আসেন রাজনীতিতে। ১৯৮৯ সালে রাজস্থানের ঝুনঝুন লোকসভায় জনতা দলের প্রার্থী হন ধনখড়। জয়ীও হন। তার পরের বছরই হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাজস্থানের কিষণগড়ের বিধায়ক। ২০০৩ সালে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে ধনখড়, কেন জানেন?

    এর পর থেকে রাজনীতির পাশাপাশি চলতে থাকে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিসও। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে শপথ নেন ধনখড়। তার পর থেকে বারবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয় এনডিএ। নাম ঘোষণা হতেই রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দিয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করেন ধনখড়। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এখন তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী।

    এদিন সকালে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ অন্যরা। ভোটে অংশ নেয়নি তৃণমূল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও এদিন ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল। যা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। যদিও, দলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী এদিনের ভোটগ্রহণে অংশ নিয়েছিলেন, যা সমান তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    এদিকে, ধনখড়ের জয়ে খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। ধনখড়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভার হারে শোকের ছায়া বিরোধী শিবিরে।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?

  • Jagdeep Dhankhar: একুশ শতকে রেকর্ড, উপরাষ্ট্রপতি পদে সব চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী ধনখড় 

    Jagdeep Dhankhar: একুশ শতকে রেকর্ড, উপরাষ্ট্রপতি পদে সব চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী ধনখড় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্দশতম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে জয়ী হলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বিজেপির (BJP) ধনখড় এনডিএর (NDA) প্রার্থী ছিলেন। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের সম্মিলিত প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে (Margaret Alva) আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী করেছেন তিনি। ধনখড় পেয়েছেন ৫২৮টি ভোট। আর আলভা পেয়েছেন মাত্র ১৮২টি ভোট। ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম কোনও উপরাষ্ট্রপতি জয়ী হলেন এত ভোটে।

    পেশায় আইনজীবী ধনখড়ের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৮ মে, রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলার কিথানায়। স্কুলের পাঠ শেষে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন ধনখড়। আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন রাজস্থান হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেন তিনি। পরে আসেন রাজনীতিতে। ১৯৮৯ সালে রাজস্থানের ঝুনঝুন লোকসভায় জনতা দলের প্রার্থী হন ধনখড়। জয়ীও হন। তার পরের বছরই হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাজস্থানের কিষণগড়ের বিধায়ক। ২০০৩ সালে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। ২০১৯ সালে রাজ্যপাল হয়ে আসেন বাংলায়।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী জগদীপ ধনখড়, জানেন তিনি কত ভোট পেলেন?

    এহেন ধনখড়কে চতুর্দশতম উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত করে এনডিএ। ৭২.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। তাঁর জয়ের ফলে দেশের প্রধান তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিল গেরুয়া শিবির। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং লোকসভার স্পিকার। প্রধানমন্ত্রী তো আছেনই। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বৈধ ভোট পড়েছে ৭২৫টি। এর মধ্যে ধনখড় পেয়েছেন ৭২.৮ শতাংশ। ১৯৯৭ সালের পর আর এত ভোটে জয়ী হননি কোনও উপরাষ্ট্রপতি। ১৯৯২ সালে ৭০১টি বৈধ ভোটের মধ্যে ৭০০টি পেয়ে রেকর্ড করেছিলেন কেআর নারায়ণন। ২০১৭ সালে বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু যে ভোট পেয়েছিলেন, তার চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন ধনখড়। নাইডু জয়ী হয়েছিলেন ৬৭.৮৯ শতাংশ ভোটে। ২০০৭ সালে কংগ্রেসের হামিদ আনসারি উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন ৬০.৫১ শতাংশ ভোটে। তিনি ওই পদে ছিলেন পর পর দুটো টার্ম।

    ধনখড়ের আগে রাজস্থান থেকে আরও একজনকে দেশ পেয়েছিল উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে। তিনি হলেন ভৈঁরো সিং শেখাওয়াত। ধনখড় উঠে এসেছেন জাঠ কৃষক পরিবার থেকে। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন আইনবিদ্যাকে। যে বিজেপির প্রার্থী হয়ে আজ তিনি বসতে চলেছেন উপরাষ্ট্রপতি পদে, এক সময় তিনিই একাধিক মামলা লড়েছেন আরএসএস নেতাদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?

  • Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) কাছে গোহারা হেরেছেন বিজেপি বিরোধী সম্মিলিত জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের (Congress) মার্গারেট আলভা (Margaret Alva)। তার পরেই বিরোধী নেতাদের নিশানা করেছেন আলভা। নাম না করে তৃণমূল (TMC) সহ ‘ষড়যন্ত্রী’ বিরোধীদের আক্রমণ শানান তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড় জয়ী হয়েছেন ৭২ শতাংশেরও বেশি ভোটে। ওই ভোটে পরাস্ত হয়েছেন আলভা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এই ভোটেও ক্রস ভোটিং হয়েছে। যার জেরে শক্তি খুইয়েছেন আলভা। স্ফীতকায় হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিরোধী শিবিরে থেকেও এবার ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী শিবিরে থেকেও যাঁরা এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন আলভা। বলেন, কিছু বিরোধী শক্তি বিরোধী অবস্থানে থেকেও বিজেপিকে সমর্থন করছে। যা ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের ধারণাকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে এবার মোট ভোট পড়েছে ৭২৫টি। তার মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ১৫টি ভোট। বৈধ ভোটের ৫২৮টি পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট। যার অর্থ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এবারেও হয়েছে ক্রশ ভোটিং।এই ফল প্রকাশ্যে আসার পর ভাবী উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আলভা। তার পরেই তোপ দেগেছেন বিরোধীদের। ট্যুইটবার্তায় আলভা লেখেন, উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ধনখড়কে ধন্যবাদ। এর পরেই বিরোধী সমস্ত নেতা এবং দলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বিশেষ করে যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। অন্য একটি ট্যুইটে আলভা লেখেন, এই নির্বাচনে বিরোধীদের জন্য এক সঙ্গে কাজ করা, অতীতকে পিছনে ফেলা এবং একে অপরের বিশ্বাসের একটা জায়গা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু বিরোধী দল সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সমর্থন করতেই ব্যস্ত। তাঁর মতে, বিরোধীদের এই প্রয়াস বিরোধী জোটের ভাবনাকে চালিত করছে বিপথে। এই সব বিরোধী দল ও তাদের নেতারা অজান্তেই লোকসান করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সব শেষে আলভা লিখেছেন, এই নির্বাচন তো শেষ হয়ে গেল। কিন্তু সংবিধান রক্ষা, গণতন্ত্র মজবুত ও সংসদের গরিমা বজায় রাখার লড়াই জারি থাকবে।

    আরও পড়ুন :একুশ শতকে রেকর্ড, উপরাষ্ট্রপতি পদে সব চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী ধনখড়

     

  • Bihar Politics: নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    Bihar Politics: নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিল বিজেপি (BJP)। তার পরেও এনডিএর (NDA) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) আটকানোর চেষ্টা করেননি পদ্ম নেতৃত্ব। তার জেরেই এনডিএ সরকার পড়ে যায় বিহারে।

    জানা গিয়েছে, বিহারের পালাবদল নিয়ে মাস দুয়েক ধরে আলোচনা চলছিল লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার এবং কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্বের। কোন দল কোন দফতর পাবে, সে সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরেই মঙ্গলবার আচমকাই বিজেপির হাত ছেড়ে দেন নীতীশ।

    নীতীশের এই ‘ভোলবদল’কে প্রতারণা হিসেবেই দেখছেন পদ্ম নেতৃত্ব। বারবার শিবির বদলে তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও দাবি তাঁদের। নীতীশ যে শিবির বদলানোর সলতে পাকাচ্ছিলেন, তা আঁচ পেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তার পরেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বিজেপির কোনও নেতা। তাঁকে শিবির না বদলানোর কোনও অনুরোধও করা হয়নি গেরুয়া শিবিরের তরফে। সূত্রের খবর, নীতীশ কুমার কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। বিজেপি বিরোধী পক্ষের নেতা হওয়ার সুযোগ তাঁর সামনে আসতে পারে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    অন্য একটি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং ফোন করেছিলেন নীতীশকে। বিজেপির রাজ্য নেতারাও তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন, তবে তাঁর মন পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবারই এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, বিজেপি জোট ধর্ম পালন করেছে। কিন্তু নীতীশ কুমার ‘শপিং’ করছিলেন। মাত্র ৩৬টি আসন পেয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।অথচ বিজেপি পেয়েছিল ঢের বেশি আসন। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে যেভাবে শিবসেনা শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে, তেমনই কোনও কিছুর আশঙ্কা করছিলেন নীতীশ। তাই তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে হাত মিলিয়েছেন বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে।

    এদিকে, এই ভোলবদলের কারণে নীতীশকে পরজীবী বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বিহার সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল নীতীশকে পিছন থেকে ছুরি মারতেই অভ্যস্ত বলে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, বিহারের মানুষই তাঁকে যোগ্য জবাব দেবেন। সঞ্জয় বলেন, ২০২০ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ লড়েছিল। সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল বিজেপি এবং জনতা দল(ইউনাইটেড)। আমরা ৭৪টি আসন পেয়েছিলাম। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসান নীতীশকে। আজ জনতা দল ইউনাইটেড যা করল, তা বিহারবাসীকে পিছন থেকে ছুরি মারার শামিল।

     

  • Narendra Modi: মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    Narendra Modi: মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চব্বিশে মহারণ। লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha)। ওই ভোটে দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী (PM) হিসেবে ফের চাইছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। সমীক্ষার নাম ছিল মুড অফ দ্য নেশন (Mood of the Nation)। দেশের সিংহভাগ ভোটারই ফের পাঁচ বছরের জন্য চান মোদি-রাজ।

    ইউপিএ (UPA) সরকারকে হারিয়ে ২০১৪ সালে দিল্লি দখল করে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন নরেন্দ্র মোদি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন অমিত শাহ। তার পর থেকে দেশের অগ্রগতি যেন অশ্বমেধের ঘোড়া। ২০১৪ পর লোকসভা নির্বাচন হয় উনিশে। ফের একবার বিরোধীদের কুপোকাত করে দিল্লির সিংহাসনে আসীন হন নরেন্দ্র মোদি। তার পর দেশ জুড়ে দেখা গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি, কোভিড অতিমারি। দাম বেড়েছে জ্বালানির। তার পরেও মোদির জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি এতটুকুও। সি-ভোটারের সঙ্গে একটি সংবাদ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদে আট বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে মোদির। তার পরেও তাঁর জনপ্রিয়তার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। তাঁর কাছাকাছি কেউই নেই।

    আরও পড়ুন : দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    ওই সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। ৯ শতাংশ মানুষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ওই পদে দেখতে চান। আর রাহুলের পিছনে রয়েছেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান তাঁকে।

    ওই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে অংশগ্রহণকারীদের চল্লিশ শতাংশ কংগ্রেসকে ভাল বিরোধীদল হিসেবে উল্লেখ করেছে। দুর্বল তকমা দিয়েছে ৩৪ শতাংশ ভোটার। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই যে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াবে তা বিশ্বাস করেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৩ শতাংশ মানুষ। আর ১৬ শতাংশ মানুষ ওই ভূমিকায় দেখতে চান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে। গান্ধী পরিবারেরই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার পক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ।

    আরও পড়ুন : ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি-ই! জানুন কী বললেন অমিত শাহ

    বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনও একটি পদে সর্বাধিক পর পর দুটো টার্ম থাকতে পারেন কোনও একজন। প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির দ্বিতীয় টার্ম চলছে। তবে তুঙ্গ জনপ্রিয়তার কারণে ফের তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী মুখ করে চব্বিশের মহারণে লড়তে পারে বিজেপি। এই সমীক্ষার ফলও তো পড়ে ফেলেছে দেশবাসীর মন!

     

  • VP Election: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন মায়াবতীর  

    VP Election: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন মায়াবতীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) নির্বাচনে তিনি সমর্থন করেছিলেন এনডিএ-র (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu)। উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) নির্বাচনেও বহুজন সমাজবাদী পার্টি (BSP) সুপ্রিমো মায়াবতী (Mayawati) জানিয়ে দিলেন, এবারও তাঁর দল এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কেই (Jagdeep Dhankhar ) সমর্থন করবে। বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ওই নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। ওই নির্বাচনে যশবন্ত নন, মায়াবতীর দল সমর্থন করেছিলেন এনডিএ প্রার্থীকেই। এক ট্যুইট বার্তায় মায়াবতী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ঐক্যমত্যের অভাবের কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এখন একই অবস্থার কারণে আগামী ৬ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনও হতে চলেছে। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর জনস্বার্থ ও নিজস্ব আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসপি উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে শ্রী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই কথা ঘোষণা করছি।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীকে কেন তিনি সমর্থন করেছিলেন, তাও তখন জানিয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা যশবন্ত সিনহাকে মনোনীত করার সময় তাঁর দলকে উপেক্ষা করেছিলেন। তাই তিনি দ্রৌপদীকে সমর্থন করেছেন। ধনখড়কে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেলেগু দেশম পার্টিও। টিডিপি সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নাইডু জানান, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর দল সমর্থন করবে ধনখড়কে। উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ-র প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজু জনতা দলও। এদিকে, ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    প্রসঙ্গত, উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হবে ৬ অগাস্ট। ওই পদে বেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ শেষ হবে ১০ অগাস্ট। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের প্রার্থী কংগ্রেসের মার্গারেট আলভা। তা সত্ত্বেও উপরাষ্ট্রপতি পদে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়ের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

  • PM Modi Hosts Dinner: জয়ের শংসাপত্র দ্রৌপদীকে, কোবিন্দের ফেয়ারওয়েল পার্টিতে চাঁদের হাট

    PM Modi Hosts Dinner: জয়ের শংসাপত্র দ্রৌপদীকে, কোবিন্দের ফেয়ারওয়েল পার্টিতে চাঁদের হাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে জয়ের শংসাপত্র পেলেন এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় জয়ের শংসাপত্র। এদিকে, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে হাজির ছিলেন শাসক ও বিরোধী দলের সব সাংসদরা।

    ২০ জনের নামের তালিকা থেকে এনডিএর তরফে বেছে নেওয়া হয়েছিল দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তিনি জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা। দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। বিজেপি বিরোধী ১৭টি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। বিপুল ভোট তাঁকে পরাস্ত করে জয়মাল্য গলায় পরেন দ্রৌপদী। বৃহস্পতিবারই দ্রৌপদীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজেপি সহ এনডিএর সমস্ত দলের সমর্থন তো তিনি পেয়েইছেন, পেয়েছেন বিরোধীদের অনেকের সমর্থনও। তার জেরেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী। তবে বৃহস্পতিবার দ্রৌপদীকে জয়ী ঘোষণা করা হলেও, তাঁর হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় শনিবার। সোমবার  দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিকে, রবিবার ২৪ জুলাই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। তাঁকে সংবর্ধনা দিতে প্রথা মাফিক নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির হোটেল অশোকায় শুক্রবার হয় ওই অনুষ্ঠান।  এদিন বিকেল থেকে একে একে আসতে শুরু করেন সাংসদরা। উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সাংসদরা। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন এই ফেয়ারওয়েল পার্টিতে। উপস্থিত ছিলেন দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বয়ংও। পদ্ম পুরস্কার পাওয়া অনেকের পাশাপাশি জনজাতির অনেক নেতাও যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই নৈশভোজে। উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং মন্ত্রিসভার সব সদস্যকেই দেখা গিয়েছে এই পার্টিতে। কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও যোগ দিয়েছিলেন ফেয়ারওয়েল পার্টিতে।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    ২০১৭ সালে দেশের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। তিনি ছিলেন দেশের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি। রাইসিনা হিলসে এবার আসতে চলেছেন জনজতি সম্প্রদায়ের এক মহিলা। তিনি দ্রৌপদী মুর্মু।

     

  • Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনের দৌড়ে এগিয়ে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী(Draupadi Murmu)। সোমবার হয়েছে ভোট। মূল লড়াই হয়েছে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha)। ভোটের পরেই স্পষ্ট রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদীই, যশবন্ত নয়।

    ইতিমধ্যেই ব্যালট বাক্স চলে গিয়েছে দিল্লিতে। ভোট গণনা হবে ২১ জুলাই। যিনি জয়ী হবেন, তিনি শপথ নেবেন ২৫ তারিখে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অবসর নেবেন ২৪ তারিখে। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদের ৭৭১ জন সদস্য ভোট দিতে পারেন। আর বিধানসভার ৪০২৫ জন ভোট দিতে পারেন। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ভোট দিয়েছেন ৯৯ শতাংশ ভোটার।

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব, তোপ যশবন্তের

    রাষ্ট্রপতি পদে কাকে সমর্থন করা হবে, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরেছিল আগেই। সেই ফাটল চওড়া হল নির্বাচনের দিন। ক্রশ ভোটিং ঠেকাতে পারলেন না বিরোধী শিবির। এনসিপি ও কংগ্রেসের দুজন করে বিধায়ক বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট না দিয়ে দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও গুজরাটের দুই এনসিপি বিধায়ক ও হরিয়ানা এবং ওড়িশার দুই কংগ্রেস বিধায়ক ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। গুজরাটের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কান্ধাল জাদেজাও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সেকথা ঘোষণাও করলেন তিনি। যদিও তাঁর এই স্বীকারোক্তির পরে পরেই দলের তরফে শোকজ করা হয় জাদেজাকে। দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সাফাই দিতে গিয়ে জাজেদা বলেন, আমাকে গুজরাটে থাকতে হয়। আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রাখতে হয়। তাই ভোটিংয়ের সময় স্বার্থপর হতে পারিনি।

    আরও পড়ুন : পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কমলেশ সিং বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তিনিও ঘোষণা করেন যশবন্ত নন, তিনি ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল। তাছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকায় ন’ হাজারের মতো আদিবাসী ভোটার রয়েছেন। ওড়িশার কংগ্রেস বিধায়ক মহম্মদ মোকিমও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। তাঁর দাবি, দ্রৌপদী ওড়িশার ভূমিপুত্র। আমি একজন ওড়িয়া। তাই বিবেকের কথা শুনে দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছি। অন্তরাত্মার কথা শুনতে বিধায়কদের বাধা দেওয়া যাবে না। বিবেকের কথা শুনে ক্রশ ভোটিং করেছেন হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক কুলদীপ বিষ্ণোই। বিরোধী প্রার্থী যশোবন্তকে ভোট না দিয়ে, তিনি ভোট দিয়েছেন এনডিএর দ্রৌপদীকে। তিনি বলেন, অন্তরাত্মার কথা শুনে ভোট দিয়েছি আমিও।

    একাধিক বিধায়কের এই ‘অন্তরাত্মা’র ডাকেই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী।

     

     

  • BJP: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    BJP: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) উপলক্ষে শহর কলকাতা ছয়লাপ বিজেপির (BJP) পোস্টারে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বরূপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আখ্যা দেওয়া হয়েছে উপজাতি সম্প্রদায় বিরোধী (Anti Tribal) হিসেবে। পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দেখা যাচ্ছে এনডিএ (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) সঙ্গে। তারই নীচে একটি ছবি দেওয়া হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে জনজাতির দুই মহিলা গ্লাভস পরে নাচছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এখানেই আপত্তি বঙ্গ বিজেপির।

    রাত পোহালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএ-র তরফে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপি-বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। যশবন্ত তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রসিডেন্ট। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁকে টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী এই দুই প্রার্থীর ফারাক বিস্তর। দ্রৌপদী জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। যশবন্ত উচ্চবর্ণের। সেই দ্রৌপদীকে তৃণমূল সমর্থন করছে না বলেই এখনও পর্যন্ত খবর। একেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    শহর ছেয়ে যাওয়া পোস্টারে রয়েছে দুটি ছবি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী। আর তারই নীচে জনজাতি দুই মহিলার সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনজাতির প্রতিনিধি ওই দুই মহিলার হাতে গ্লাভস। ছবিটি আলিপুরদুয়ার জেলার একটি অনুষ্ঠানের খণ্ডচিত্র। কিছুদিন আগেই ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল। দেখা যাচ্ছিল, গণবিবাহের অনুষ্ঠানে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নাচার সময় তিনি যাদের হাত ধরলেন, তাদের হাতে গ্লাভস পরা। এই ছবি দেখিয়েই বঙ্গ বিজেপির দাবি , নাচের তালে পা মেলানোর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে নিছকই ছবি তোলার উদ্দেশ্যে। চমক জাগানোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য। খতিয়ে দেখলেই তাঁর স্বরূপ বেরিয়ে আসে। আর এই ছবি দেখিয়েই বঙ্গ বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী আসলে উপজাতি সম্প্রদায় বিরোধী।   

    আরও পড়ুন : পাখির চোখ ২৪ , দুর্বল বুথে শক্তি বাড়াতে নতুন কৌশল বিজেপি-র

    তবে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর হয়ে তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদদের কাছে ভোট চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও দ্রৌপদীকে সমর্থনের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ভাঙন ধরেছে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টির জোটসঙ্গী এসবিএসপি এবং আরজেডির জোটসঙ্গী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকেই সমর্থন করবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের কাকা শিবপাল সিং যাদবও সমর্থন করছেন দ্রৌপদীকেই।

    সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোটকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা শাসক, বিরোধী দুই শিবিরেই। জয়ের পাল্লা ভারী দ্রৌপদীর দিকেই। হার নিশ্চিত বুঝে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, আগে জানলে তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করতেন। তবে দেশে এই প্রথম কোনও আদিবাসী মহিলা যখন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন, তখন তাঁকে সমর্থন নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে, মুখ্যমন্ত্রী এটাই বুঝিয়ে দিলেন যে কোনটা তাঁর মুখ, কোনটা মুখোশ। আর একের পর এক এমন ঘটনা তুলে ধরেই রাজ্য বিজেপি স্পষ্ট করে দিল আদিবাসী সম্পর্কে মমতার স্বরূপ।  

     

  • Jagdeep Dhankhar: বাংলার ভোটার ধনখড় শ্রাবণের সোমবার উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশ করবেন

    Jagdeep Dhankhar: বাংলার ভোটার ধনখড় শ্রাবণের সোমবার উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশ করবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের দিনই শুভ কাজটি সেরে ফেলতে চাইছেন এনডিএ’র উপরাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামীকাল সোমবারেই উপরাষ্ট্রপতি পদে নিজের মনোনয়ন দাখিল করবেন তিনি। সকাল সাড়ে এগারোটার সময় পেশ করবেন মনোনয়ন পত্র। আজ রাতভর তাঁর মনোনয়ন পত্র তৈরি করা হচ্ছে। নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদব।

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    ধনখড়ের মনোনয়নের সবচেয়ে চমকপ্রদ দিকটি হল তিনি বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেবেন। কারণ, গত জানুয়ারি মাসের ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় রাজভবনের ঠিকানায় তাঁর ও স্ত্রী সুদেশ ধনখড়ের নাম তুলিয়েছিলেন তিনি। বিশেষ দূত মারফৎ রবিবারই সেই ভোটার তালিকার নামের প্রত্যয়িত কপি দিল্লি পাঠিয়েছে রাজভবন। উপরাষ্ট্রপতির মনোনয়ন বলে কথা, তাই ছুটির দিনেও রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক অফিস খুলে দ্রুততার সঙ্গে কাগজপত্র তৈরি করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    তিন বছর কলকাতা রাজভবনের বাসিন্দা হয়ে বর্তমান রাজ্যপাল বারবার বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে মেশাতে চেয়েছিলেন। সেই সূত্রেই কলকাতার ভোটার তালিকায় নামও তুলেছিলেন। ফলে সরকারিভাবে রাজস্থানের জাঠ পরিবারে জন্ম নেওয়া, দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে কাজ করা ধনখড় বাংলার ভোটার হিসাবেই উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দেবেন।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের 

    রাজভবন সূত্রের খবর, মনোনয়নের পর কলকাতা ফিরে আসবেন তিনি। বাংলার জন্য নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ পাকা হলেই তিনি পদত্যাগ করবেন। দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতেই পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী রাজ্যপালের নিয়োগ হবে। দ্রৌপদীদেবীর সম্ভবত সেটিই হবে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ। তখন আরও একটি চমক বাংলার জন্য অপেক্ষা করছে।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির বাজি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়  

     

     

     

LinkedIn
Share