Tag: news in bengali

news in bengali

  • Delhi Blast: পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি নেটওয়ার্কের তীব্র সমালোচনা, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে সরব হাসিনা

    Delhi Blast: পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি নেটওয়ার্কের তীব্র সমালোচনা, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে সরব হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে জঙ্গি হামলায় নিরপরাধ মানুষকে হত্যার তীব্র নিন্দা করলেন আওয়ামি লিগ চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।‌ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিহতদের স্মরণে গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আধুনিক বিশ্বে উগ্র-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসের কোনও‌‌ জায়গা নেই। এই উগ্রবাদী জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূলে আঘাত করে।

    পাকিস্তানের সমালোচনা

    নয়াদিল্লির লালকেল্লায় ১০ নভেম্বরের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার নিন্দা করে শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে বলেন, “নয়াদিল্লিতে সংঘটিত এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আধুনিক বিশ্বে চরমপন্থী সন্ত্রাসের কোনও স্থান নেই। এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো একটি ধর্মনিরপেক্ষ, মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের ভিতকেই নাড়িয়ে দিতে চায়।” বিবৃতিতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলো তাদের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত করেছে এবং ভারতকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে হামলা চালাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, “এই জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলো পাকিস্তান থেকে শিকড় গেড়ে সমগ্র অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আক্রমণ চালিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।”

    ভারতের পাশে

    বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমাদের এই সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামি লিগ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সন্ত্রাসবিরোধী এই ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে।” ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আজকের সভ্য বিশ্বে এমন ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো স্থান নেই এবং এর কোনও ক্ষমাও হতে পারে না।” তিনি আরও যোগ করেন, “যেখানেই সন্ত্রাসবাদের শিকড় থাকুক না কেন, তা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে হবে। যারা বাংলাদেশে বা অন্য কোথাও এসব জঙ্গিগোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তারা মানবতার শত্রু—আমরা তাদের কঠোরভাবে নিন্দা জানাই।”

  • Modi Rajnath on Delhi Blast: ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না’’ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুঁশিয়ারি মোদি-রাজনাথের, প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তানে জারি হাই-অ্যালার্ট

    Modi Rajnath on Delhi Blast: ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না’’ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুঁশিয়ারি মোদি-রাজনাথের, প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তানে জারি হাই-অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না। দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’’ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আশ্বাস, ‘‘জড়িত দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’’

    ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না’’: প্রধানমন্ত্রী

    দিল্লি বিস্ফোরণের আবহে বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে ভুটানে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে দিল্লি বিস্ফেরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কড়া ভাষায় বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আমি খুব ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এখানে এসেছি। গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনাটি সকলকে শোকাহত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কষ্ট আমি বুঝতে পারি। আজ পুরো দেশ তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। গত রাতভর আমি এই ঘটনার তদন্তকারী সকল সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের গভীরে পৌঁছাবে। এর পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না। এই ঘটনায় দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’’ পাশাপাশি, নিহতদের পরিজনদের প্রতি আরও একবার সমবেদনা জানিয়েছেন মোদি। বলেন, এই দুঃসময়ে গোটা দেশ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। একইসঙ্গে এও জানান, নিরাপত্তা ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করে। দ্রুত তদন্তের নিষ্পত্তি করে।

    ‘‘দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে’’: রাজনাথ

    ষড়যন্ত্রকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনিও জানিয়ে দেন, গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত দোষীদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও অবস্থাতেই তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।’’ একইসঙ্গে ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ উল্লেখ করে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান রাজনাথ। “গতকাল দিল্লিতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, আমি তাদের সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। এই গভীর শোকের মুহূর্তে আমি প্রার্থনা করি ঈশ্বর যেন শোকাহত পরিবারগুলিকে শক্তি ও সান্ত্বনা দেন।”

    সিঁদুর আতঙ্কে নোটাম জারি পাকিস্তানের

    এদিকে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের পরেই সিঁদুর আতঙ্কে নোটাম জারি করে দিয়েছে পাকিস্তান। গত এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি শিবির। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে যায় পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি।ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয় ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। তবে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের উদ্দেশে জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে কোনও রকম জঙ্গি হামলা হলে, তা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে, এবার দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের পর ফের সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে পাকিস্তান। পাক আকাশ সীমায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ইসলামাবাদ! সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের স্থল, বায়ু এবং নৌসেনাকেও বিশেষ সতর্ক থাকতে বলেছে সেদেশের সরকার।

    পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে জারি উচ্চ সতর্কতা

    সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। জখম হন আরও অনেকে। দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ তো বটেই, পাশাপাশি একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। ঘটনার পর পরই লালকেল্লার সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দল। এ ছাড়াও, এনএসজি এবং ফরেন্সিক দলও জড়িত এই ঘটনার তদন্তে। এই বিস্ফোরণ যে নাশকতার জেরেই ঘটেছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় তদন্ত এগোতেই। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে জারি হয় উচ্চ সতর্কতা। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএসএফ ইতিমধ্যেই পঞ্জাবে জোরদার টহলদারি শুরু করেছে সীমান্তে। রাজস্থান সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন আউটপোস্টে। নেপাল সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতকারী প্রত্যেককে খুটিয়ে খুটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

  • Delhi Blast: চার হাত ঘুরে অভিশপ্ত গাড়ি পৌঁছয় জঙ্গি উমরের কাছে! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলওয়ামা যোগ?

    Delhi Blast: চার হাত ঘুরে অভিশপ্ত গাড়ি পৌঁছয় জঙ্গি উমরের কাছে! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলওয়ামা যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লা বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Delhi Blast) তদন্তে বড় অগ্রগতি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যে হুন্ডাই আই ২০ গাড়িটি বিস্ফোরণের উৎস ছিল, সেটি কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক বাসিন্দা কিনেছিলেন। গাড়িটি একাধিকবার হাত বদল হয়ে উমর মহম্মদের কাছে যায়। এই উমরই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, বলে মনে করছে পুলিশ। প্রকাশ্যে এসেছে দিল্লি বিস্ফোরণের মূল পাণ্ডার প্রথম ছবিও। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের এই ঘটনায় ইতিমধ্য়ে প্রাণ গিয়েছে ১১ জনের। আহত প্রায় ২০ জন। দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইবি-র ডিরেক্টর, এনআইএ-এর ডিজির সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে রয়েছেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    প্রকাশ্যে এল উমরের ছবি

    সোমবার রাতে দিল্লিতে (Red Fort blast) যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই গাড়ির বর্তমান মালিক উমর মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। তার ছবিই ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, দিল্লিজুড়ে সোমবার ব্যাপক ধরপাকড়ের জেরে খানিকটা আতঙ্কিত হয়েই সন্ধেয় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে এই উমরের মৃত্যু হয়েছে নাকি সে গা ঢাকা দিয়েছে-সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সিসিটিভি ফুটেজেই গাড়ির চালকের আসনে থাকা উমরের ছবি স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির মধ্যে রাখা ডিটোনেটর থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরক রাখার কাজ করেছে ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক উমর, এমনটাই অনুমান। যদিও বিস্ফোরণের ঠিক আগের মুহূর্তে দেখা যায়, গাড়ির চালকের আসনে মাস্ক পরা এক ব্যক্তি রয়েছেন। মাঝপথে উমর নেমে গিয়ে অন্য কেউ চালকের আসনে বসেছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়। ফলে দিল্লির বিস্ফোরণে উমরের মৃত্যু হয়েছে একথাও স্পষ্ট করে বলা যায় না। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, দুই সঙ্গীকে নিয়ে আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল উমরের।

    কে এই উমর

    উমর ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জন্মগ্রহণ করে। সে আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। সে ডঃ আদিল আহমদ রদর ও ডঃ মুজাম্মিল শাকিলের কাছের সহযোগী ছিল। সোমবার এই দুই ডাক্তারকে ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাসী চক্রের জন্য গ্রেফতার করা হয়।

    গাড়ির পুলওয়ামা যোগ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই যে আই ২০ গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়, তার এর নম্বর ছিল এইচআর ২৬ ৭৬২৪। নম্বরপ্লেট দেখে চিহ্নিত করা হয় গাড়ির মালিককে। জানা যায়, গাড়িটি হরিয়ানার। হরিয়ানার গুরুগ্রামে নর্থ আরটিও-তে রেজিস্টার্ড করা ছিল। রেজিস্ট্রেশন ছিল হরিয়ানার বাসিন্দা মহম্মদ সলমনের নামে। তাকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। যদিও সূত্রের দাবি, সলমন পুলিশকে জানিয়েছে, গাড়িটি সে বিক্রি দেয়। জানা যায়, গাড়িটি নাদিম নামে এক ব্যক্তিকে বিক্রি করা হয়। এরপর নদিম সেই গাড়িটি বিক্রি করে দেয় ফারিদাবাদের কার ডিলার রয়্যাল কার জোনের কাছে। তারপর পুলওয়ামার বাসিন্দা তারিক কিনে নেয় সেটি। তারপর গাড়িটি আবার হাত বদল হয়ে যায় পুলওয়ামার চিকিৎসক উমরের কাছে যায়। তারিককে পুলওয়ামার সামবুরা থেকে আটক করে পুলিশ। যদিও আরসি ছিল না তারিকের নামে। সূত্রের খবর, তারিক এটা ২০১৫ সালে উমরকে বিক্রি করে দেয়। পুলিশ এখন তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

    কোথায় কোথায় দেখা গিয়েছে গাড়িটিকে

    বিস্ফোরণের (Delhi Blast) কয়েক ঘণ্টা পরেই দিল্লি পুলিশ গুরগাঁওয়ের এক বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, যার নামে আগে ওই গাড়িটি রেজিস্টার ছিল। তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন, বহু আগেই গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এরপরই পুলিশ রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে মালিকানা হস্তান্তরের নথি খতিয়ে দেখে। তদন্তে জানা যায়, গাড়িটি একাধিকবার হাতবদল হয়ে শেষ পর্যন্ত পুলওয়ামার ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছায়। এছাড়া, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সোমবার বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি লালকেল্লা সংলগ্ন পার্কিং এলাকায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পার্ক করা ছিল। সূত্রের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়িটি দুপুর ৩টা ১৯ মিনিটে পার্কিং লটে প্রবেশ করছে এবং ৬টা ৪৮ মিনিটে সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। “গাড়িটি যখন পার্কিং থেকে বেরোয়, তখন আশপাশে যানজট ছিল,” বলেন এক তদন্তকারী।

    গাড়িটির সম্পূর্ণ গতিপথ পর্যবেক্ষণ

    গাড়িটিকে দরিয়াগঞ্জ, লালকেল্লা এলাকা, কাশ্মীরি গেট, এবং সোনেহরি মসজিদ সংলগ্ন জায়গাতেও দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা যায়, এক ব্যক্তি গাড়ির চালকের আসনে বসে পার্কিং স্লিপ সংগ্রহ করছেন। তবে দিল্লি পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গাড়িটিতে একাধিক ব্যক্তি ছিলেন। যদিও ফুটেজে আপাতত একজনকেই দেখা যাচ্ছে, তবে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন পরে আর কেউ গাড়িতে ওঠেন কি না। বিস্ফোরণের (Red Fort blast) ঘটনার তদন্তে যুক্ত রয়েছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ, এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)। এক আধিকারিক বলেন, “আমরা আশপাশের রাস্তা ও টোল প্লাজার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি, যাতে গাড়িটির সম্পূর্ণ গতিপথ কি ছিল তা জানা যায়।”

  • Bihar Polls: ভোটদানের নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, বিহারে শুরু দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

    Bihar Polls: ভোটদানের নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, বিহারে শুরু দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Polls) দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত দফার ভোটগ্রহণ শুরু হল মঙ্গলবার সকালে। মোট ১২২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ, যার মধ্যে রয়েছে মিথিলা, কোসি অঞ্চল, পশ্চিম বিহার, মগধ, আঙ্গিকা ও সীমাঞ্চল এলাকার বিধানসভা কেন্দ্রগুলি। তালিকায় রয়েছে পূর্ব এবং পশ্চিম চম্পারন, সীতামারি, মধুবনী, কিষানগঞ্জের মতো নেপাল সীমান্তবর্তী বিধানসভা কেন্দ্রগুলিও। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১৩০২ জন। ভোটার সংখ্যা সাড়ে তিন কোটিরও বেশি। সোমবার দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের পর, রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি বুথে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে সাধারণ ভোটারদের লাইন দেখা গিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা

    দ্বিতীয় দফার ভোটের (Bihar Polls) সকালে বিহারবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘আমি সকল ভোটারকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ভোটদানের নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’ নতুন ভোটারদের উদ্দেশেও বিশেষ বার্তা দেন তিনি। তরুণদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘যারা প্রথম বারের মতো ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন নিজেরা ভোট দেওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও ভোটদানে অনুপ্রাণিত করেন।’ বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলাকালীন, জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর নেতা উমেশ সিং কুশওয়া (Umesh Singh Kushwaha) মঙ্গলবার রাজ্যের ভোটারদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন বেশি সংখ্যায় ভোট দিতে। সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI)-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন —“আমি ১২২টি কেন্দ্রের সমস্ত ভোটারদের অনুরোধ করছি, ন্যায় ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিন। বিহারের ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’-কে আরও গতি দিন এবং আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করুন।”

    নিরাপত্তার ঘেরাটোপে চলছে ভোট গ্রহণ

    দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য বিহারে (Bihar Polls) চার লক্ষেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের ভোটে মোট ৮৪৯১টি ভোটগ্রহণকেন্দ্রকে বিহার পুলিশ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে। ওই ভোটগ্রহণকেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিহার সীমানা লাগোয়া জেলাগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশও। বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে ঝাড়খণ্ড সীমানায় অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিহার সীমানা লাগোয়া ১০ জেলায় ঝাড়খণ্ড পুলিশ ৪৩টি চেকপোস্ট বসিয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। নেপাল, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত লাগোয়া ২০ জেলার এই ভোটপর্বে প্রায় ১,৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ১০০ কোম্পানি বিহার স্পেশাল আর্মড ফোর্স এবং প্রায় ৪.৫ লক্ষ পুলিশ ও সরকারি কর্মী মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়াও এটিএস, এসটিএফ এবং কুইক রেসপন্স টিমগুলিও সক্রিয় থাকবে।

    সীমাঞ্চলে ভোট বেশি

    সীমান্ত সুরক্ষায় এসএসবি (SSB)-এর ২১০ কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে এবং আরও ২৩ কোম্পানি ভোট-পরবর্তী ইভিএম নিরাপত্তা রক্ষায় থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। মডেল কোড চালু হওয়ার পর থেকে এসএসবি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় ৭.৩৪ কোটি টাকার মাদক, নগদ, রুপো ও অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্য। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। প্রায় ৩.৭ কোটি ভোটার রাজ্যের ৪৫,৩৯৯টি বুথে ভোট দেবেন। ভোটগণনা হবে আগামী ১৪ নভেম্বর। অতীতে সীমাঞ্চল অঞ্চলে সবসময়ই ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা গেছে। এবারও রাজনৈতিক মহলের নজর, সেই প্রবণতা কি বজায় থাকবে, নাকি বদল আসবে। গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে ৬৪.৬৬ শতাংশ ভোটদান হয়, যা ২০২০ সালের নির্বাচনের (৫৭.২৯%) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। প্রথম দফায় ১৮ জেলায় ১২১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

    কার, কত প্রার্থী

     এই দফায় বিজেপি ৫৩টি, জেডিইউ ৪৪টি, এলজেপি (আরভি) ১৫টি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ৬টি এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। অন্যদিকে মহাগঠবন্ধনের মধ্যে আরজেডি ৭১টি, কংগ্রেস ৩৭টি, ভিআইপি ৮টি, সিপিআই(এমএল) ৬টি, সিপিআই ৪টি এবং সিপিএম ১টি আসনে লড়ছে। মোট ৩.৭ কোটি ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১.৯৫ কোটি, মহিলা ভোটার ১.৭৫ কোটি এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৪৩ জন। প্রার্থীদের মধ্যে ৪৩ শতাংশই উচ্চবিত্ত শ্রেণির, মোট ৫৬২ জন প্রার্থীর সম্পত্তি এক কোটি টাকার বেশি। সর্বাধিক সম্পত্তির মালিক ভিআইপি প্রার্থী রণকৌশল প্রতাপ সিং (লৌরিয়া)- ৩৬৮ কোটি টাকার সম্পত্তি ঘোষণা করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব (Bijendra Prasad Yadav) — জেডিইউ-র বর্ষীয়ান নেতা ও রাজ্য মন্ত্রিসভার সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য। তিনি অষ্টমবারের মতো সুপৌল আসনটি ধরে রাখার লড়াইয়ে নেমেছেন।

    বিহারে ‘পিঙ্ক বুথ’

    বিহারের (Bihar Polls) কাটিহার কেন্দ্রে তৈরি হয়েছে পিঙ্ক বুথ। মূলত নির্বাচনী ক্ষেত্রেও নারীশক্তি তুলে ধরতে এই উদ্য়োগ নিয়ে থাকে কমিশন। এই বুথের কাজে রয়েছে শুধুই মেয়েদের অবদান। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি মহিলা ভোটকেন্দ্র এবং ২৩টি মডেল ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। জেলার সমস্ত ভোটকেন্দ্রে লাইভ ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের আত্মঘাতী জঙ্গি কাশ্মীরি চিকিৎসক উমর, যুক্ত ছিল ফরিদাবাদ মডিউলের সঙ্গে!

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের আত্মঘাতী জঙ্গি কাশ্মীরি চিকিৎসক উমর, যুক্ত ছিল ফরিদাবাদ মডিউলের সঙ্গে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমাবার সন্ধ্যায় লাল কেল্লার কাছে ঘটে যায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। শক্তিশালী গাড়ি বিস্ফোরণে ঝরে গিয়েছে অন্তত ১১টি প্রাণ। আহত বহু। এই ঘটনার পরই, দ্রুত তদন্তে নামে একাধিক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সি। এরই মধ্যে হামলার আগের মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা থেকে বিরাট সূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, সাদা রঙের ওই ‘হুন্ডাই আই২০’ গাড়িটি দুপুর ৩টে ১৯ মিনিটে লালকেল্লার অদূরে সুনহেরি মসজিদ কাছে একটি পার্কিংয়ে প্রবেশ করেছিল। সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত গাড়িটি সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। তার পরে ওই পার্কিং থেকে বেরোয় গাড়িটি। পার্কিং থেকে বার হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লার কাছে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়।

    সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

    এর কিছুক্ষণ আগে তোলা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভিড়ের মধ্যে দিয়ে একটি আই-২০ গাড়ি যাচ্ছে। কালো মাস্ক পরা ব্যক্তি, যাকে গাড়ির ভেতরে চালকের আসনে বসে থাকতে দেখা গেছে, তাকে জঙ্গি মহম্মদ উমর বলে মনে করা হচ্ছে। সন্দেহজনক গাড়ির এই ফুটেজটি বিস্ফোরণের তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে রাস্তাটি যখন খুব ব্যস্ত ছিল, তখন একটি সাদা আই-২০ গাড়ি ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। গাড়িটি যানজটের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে। ফুটেজ অনুসারে, গাড়িটি যে চালাচ্ছিল তার মুখ কালো মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল।

    ‘হোয়াইট কলার টেরর’

    সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে কয়েকদিন আগেই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরের এক ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তদন্ত যত এগিয়েছে তত উঠে এসেছে একের পর এক ডাক্তার যোগ। বিস্ফোরণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এই লালকেল্লা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে বাজেয়াপ্ত হয় প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক! প্রথমে মুজাম্মিল শাকিল নামে এক চিকিৎসকের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে সাড়ে তিনশো কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এরপর ওই চিকিৎসকের আর একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আড়াই হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বলে জানা যায়। গোয়েন্দাদের তখনই সন্দেহ ছিল, দেশের বিরাট এলাকা জুড়ে ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাসবাদের বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলেছে জঙ্গি মডিউলগুলি, যাদের অংশ এই ডাক্তাররা।

    ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউল

    এই ঘটনায় গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে তিন চিকিৎসককে। গত কয়েকদিনে তদন্তকারীরা ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, দুই কাশ্মীরি চিকিৎসক ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ আদিল রাথেরকে গ্রেফতার করে, সেই সঙ্গে মোট ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করে। মুজাম্মিলের সহযোগী ফরিদাবাদ নিবাসী শাহীন শাহিদ নামে এক কাশ্মীরি মহিলা চিকিৎসককের হদিশ মেলে। তাঁর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেল। পরে লখনউ থেকে ওই মহিলা চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই চক্রের তদন্তে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ। ধৃতেরা হল আরিফ নিসর দার, ইয়াসির-উল-আসরফ, মকসুদ আহমেদ দার, ইরফান আহমেদ, জামির আহমেদ।

    আত্মঘাতী চালকের পরিচয়

    কিন্তু, পলাতক ছিল আরও এক কাশ্মীরি চিকিৎসক। সে-ই হল এই আত্মঘাতী জঙ্গি মহম্মদ উমর। তদন্তকারীদের অনুমান, সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই ডাঃ উমর মহম্মদ আতঙ্কিত হয়ে লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটায়। পেশায় চিকিৎসক উমরই গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যান এবং দুই সহযোগীর সঙ্গে মিলে তিনিই হামলার পরিকল্পনা করেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু, সোমবার ফরিদাবাদ থেকে দু’জন গ্রেফতার হওয়ার পর, ভয়ে তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় লালকেল্লার কাছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সহযোগীদের সঙ্গে মিলে গাড়িতে ডিটোনেটর রাখেন উমরই। বিস্ফোরণ ঘটাতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। ভেবেচিন্তেই ভিড় জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল বলেও মনে করা হচ্ছে।

  • Daily Horoscope 11 November 2025: পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 11 November 2025: পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে ভরপুর থাকবে।

    ২) আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত আপনার পক্ষে আসবে।

    ৩) জীবনসঙ্গীর জন্য অলংকার ও পোশাক কিনতে পারেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি মিশ্র ফলাফল প্রদান করবে।

    ২) নতুন কাজ শুরুর পরিকল্পনা করে থাকলে তা আজ করতে পারেন।

    ৩) নতুন চুক্তির দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    মিথুন

    ১)  মিথুন রাশির জাতকদের আজকের দিনটি ভালো।

    ২) নিজের দায়িত্বপূরণ করতে পারেন।

    ৩) পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত থাকবেন।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল থাকবে।

    ২) কাজ করার আগে বাবার পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

    ৩) আপনার তেজ দেখে শত্রু পরাজিত হবে, তাঁরা নিজেদের মধ্যে লড়াই ঝগড়া করেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

    সিংহ

    ১) নিজের ভালো চিন্তাভাবনার দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ২) গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

    ৩)  কর্মক্ষেত্রের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করবেন।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

    ২) ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন, এর ফলে একাধিক সমস্যা দূর হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

    তুলা

    ১) অপ্রত্যাশিত লাভ হওয়ায় মন আনন্দিত হবে।

    ২) স্বাস্থ্যের বিষয়ে গাফিলতি করবেন না।

    ৩) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজ ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে দিন কাটাতে হবে।

    ২) দাম্পত্য জীবনে আনন্দ থাকবে।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটাবেন।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি ব্যয়বহুল।

    ২) কারও কাছ থেকে টাকা ধার নেবেন না।

    ৩) সীমিত আয় থেকে বুঝে শুনে ব্যয় করুন।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) পরীক্ষার ফলাফলে আনন্দিত হবেন।

    ৩) মামাবাড়ির তরফে আর্থিক লাভ হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) আজ কিছু নতুন সম্পত্তি ক্রয় করবেন।

    ২) ব্যক্তিগত বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন।

    ৩) প্রিয়জনদের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সক্ষম হবেন।

    মীন

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত তাঁদের আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

    ২) কোনও দোটানা ছাড়া নিজের কাজে অগ্রসর হবেন।

    ৩) সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 505: “মেঘ ও বর্ষা লেগেই আছে, সূর্য দেখা যায় না! দুঃখের ভাগই বেশি! কামিনী-কাঞ্চন-মেঘ সূর্যকে দেখতে দেয় না”

    Ramakrishna 505: “মেঘ ও বর্ষা লেগেই আছে, সূর্য দেখা যায় না! দুঃখের ভাগই বেশি! কামিনী-কাঞ্চন-মেঘ সূর্যকে দেখতে দেয় না”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    অহংকারই বিনাশের কারণ ও ঈশ্বরলাভের বিঘ্ন

    পূর্বকথা—কেশব ও গৌরী—সোঽহম্‌ অবস্থার পর দাসভাব 

    ভক্ত ও পূজাদি—ঈশ্বর ভক্তবৎসল—পূর্ণজ্ঞানী 

    “অনেকক্ষণ পরে পাখিটা আবার উড়ে গেল—এবার পূর্বদিকে গেল। সেদিকে কিছুই দেখতে পেলে না, চারিদিকে কেবল অকূল পাথার! তখন ভারী পরিশ্রান্ত হয়ে আবার জাহাজে ফিরে এসে মাস্তুলের উপর বসল, অনেকক্ষণ জিরিয়ে একবার দক্ষিণদিকে গেল (Kathamrita); এইরূপে আবার পশ্চিমদিকে গেল। যখন দেখলে কোথাও কূল-কিনারা নাই, তখন সেই যে মাস্তুলের উপর বসল, আর উঠল না। নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে রইল। তখন মনে আর কোনও ব্যস্তভাব বা অশান্তি রইল না। নিশ্চিন্ত হয়েছে আর কোনোও চেষ্টাও নাই।”

    কাপ্তেন—আহা কেয়া দৃষ্টান্ত!

    ভোগান্তে ব্যাকুলতা ও ঈশ্বরলাভ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সংসারী লোকেরা যখন সুখের জন্য চারিদিকে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়, আর পায় না, আর শেষে পরিশ্রান্ত হয়; যখন কামিনী-কাঞ্চনে আসক্ত হয়ে কেবল দুঃখ পায়, তখনই বৈরাগ্য আসে, ত্যাগ আসে। ভোগ না করলে ত্যাগ অনেকের হয় না। কুটিচক আর বহুদক। সাধকের ভিতরও কেয় কেয় অনেক তীর্থে ঘোরে। এক জায়গায় স্থির হয়ে বসতে পারে না; অনেক তীর্থের উদক— কিনা জল খায়! যখন ঘুরে ঘুরে ক্ষোভ মিটে জায়, তখন এক জায়গায় কুটির বেঁধে বসে। আর নিশ্চিন্ত ও চেষ্টাশূন্য হয়ে ভগবানকে চিন্তা করে।

    “কিন্তু কি ভোগ সংসারে করবে? কামিনী-কাঞ্চন ভোগ? সে তো ক্ষণিক আনন্দ এই আছে, এই নাই!

    “প্রায় মেঘ ও বর্ষা লেগেই আছে, সূর্য দেখা যায় না! দুঃখের ভাগই বেশি! আর কামিনী-কাঞ্চন-মেঘ সূর্যকে দেখতে দেয় না।

    “কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করে, ‘মহাশয়, ঈশ্বর কেন এমন সংসার করলেন? আমাদের কি কোনও উপায় নাই’?”

    উপায়—ব্যাকুলতা—ত্যাগ

    “আমি বলি, উপায় থাকবে না কেন? তাঁর শরণাগত হও, আর ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা কর, যাতে অনুকূল হাওয়া বয়,—যাতে শুভযোগ ঘটে। ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তিনি শুনবেনই শুনবেন।

    “একজনের (Ramakrishna) ছেলেটি যায় যায় হয়েছিল। সে ব্যক্তি ব্যাকুল হয়ে এর কাছে ওর কাছে উপায় জিজ্ঞাসা করে বেড়াচ্ছে। একজন বললে, তুমি যদি এইটি যোগাড় করতে পারো তো ভাল হয়,—স্বাতী নক্ষত্রের জল পড়বে মড়ার মাথার খুলির উপর। সেই জল একটি ব্যাঙ খেতে যাবে। সেই ব্যাঙকে একটি সাপে তাড়া করবে। ব্যাঙকে কামরাতে গিয়ে সাপের বিষ ওই মড়ার মাথার খুলিতে পড়বে, আর সেই ব্যাঙটি পালিয়ে যাবে। সেই বিষজল একটু লয়ে রোগীকে খাওয়াতে হবে।

  • Hafiz Saeed: বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতে হামলার ছক হাফিজের! কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    Hafiz Saeed: বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতে হামলার ছক হাফিজের! কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতের উপর জঙ্গি হামলার ছক কষছেন হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed)। ভারতবাসীকে ফের একবার বিপদে ফলতে তৎপর ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। এবার নাকি নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন এই কুখ্যাত জঙ্গি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর জন্য বাংলাদেশে নতুন নতুন ঘাঁটি তৈরির কাজ চালাচ্ছেন হাফিজ সইদ। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে ভারত বিদ্বেষ। বাড়ছে ইসলামিক উগ্রবাদীদের দাপট। এই আবহে হাফিজ সইদের মতো জঙ্গিরা ভারতে হামলার ছক করছে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে।

    বাংলাদেশের দিক দিয়ে ভারতে হামলার প্রস্তুতি

    গত ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের খইরপুর তামেওয়ালিতে এক বিশাল জনসভার ভিডিও রেকর্ডিং গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে। যাতে দেখা গিয়েছে, লস্করের শীর্ষ এক কমান্ডার সইফুল্লা সইফ বিরাট বিপজ্জনক তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। সইফুল্লা উসকানি দেওয়ার সুরে বলেন, হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed) হাত গুটিয়ে বসে নেই। বাংলাদেশের দিক দিয়ে ভারতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। তাঁর আর দাবি, লস্কর-ই-তৈবার চর ইতিমধ্যেই পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশের অতীত নাম) সক্রিয় হয়ে রয়েছে। তারা ভারতকে অপারেশন সিঁদুরের জবাব দিতে তৈরি বলে দাবি করেন শীর্ষ লস্কর কমান্ডার।

    ভারতবিরোধী কাজে বাংলাদেশের যুবকরা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাফিজ ‘জিহাদের’ পরিকল্পনা করছে। ভারতবিরোধী কাজে সে তাতাচ্ছে বাংলাদেশের স্থানীয় যুবকদের। তাদের মনে মৌলবাদী ভাবনা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আরও একটি তথ্যে জানা গিয়েছে, সইদ তাঁর এক অতি ঘনিষ্ঠকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। যিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় মসজিদ-মোক্তবে গিয়ে স্থানীয় যুবকদের কট্টরপন্থী আদর্শ জেহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। আর এসবই ভারতের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন একটি ভিডিও মারফৎ। সেখানে সইফকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার জন্য প্রকাশ্যে মানুষকে উস্কে দিতে দেখা যাচ্ছে।ভিডিওতে এই অনুষ্ঠানে শিশুদেরও দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ তাদের টার্গেট শৈশব থেকেই তাদের ভারবিরোধী করে তোলা। ভারতের বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’জন্য মন তৈরি করে দেওয়া।

    পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা

    সাইফুল্লাহর বক্তৃতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ৯-১০ মে রাতের পর পাকিস্তান জবাব দিয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশও পাকিস্তানের কাছাকাছি চলে আসার দাবি করেছে সাইফুল্লাহ। সাইফুল্লাহর দাবি এখন, আমেরিকা তাদের সঙ্গে আছে। বাংলাদেশও আবার পাকিস্তানের কাছাকাছি আসছে। এই ভাবে জোটবদ্ধ হয়ে ভারতে পর্যুদস্ত করার হুঙ্কার ছাড়ে সে। তখনই সাইফুল্লাহ দাবি করে, ভারতের পূর্ব সীমান্তে একটি নতুন অপারেশন থিয়েটার তৈরি হয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে লস্কর-ই-তৈবা। আরও একটি তথ্যে জানা গিয়েছে, সইদ তাঁর এক অতি ঘনিষ্ঠকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। যিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় মসজিদ-মোক্তবে গিয়ে স্থানীয় যুবকদের কট্টরপন্থী আদর্শ জেহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

    ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক

    শুধু ভারত নয়, আমেরিকা সহ একাধিক দেশের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় হাফিজ সইদের নাম রয়েছে। হাফিজ সইদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে একাধিকবার পাকিস্তানের হাতে তথ্যপ্রমাণও তুলে দিয়েছে ভারত। কিন্তু, এব্যাপারে পাকিস্তানের তরফে কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তাই আজও নিশ্চিন্তে পাকিস্তানে বসেই ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে হাফিজ সইদ। ভিডিওতে সাফ স্পষ্ট হয়েছে যে, সইফ খোলাখুলি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক দেন। এই কাজে পাকিস্তানি জঙ্গিরা যে কিশোর-নাবালকদের তালিম দিচ্ছে তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ ওই জনসভায় প্রচুর সংখ্যায় অপরিণত বালক ও কিশোর উপস্থিত ছিল।

    বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার হাফিজের

    এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কীভাবে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতে আক্রমণের ছক করছে হাফিজ সইদ? গতবছর শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়। গদিচ্যুত হন তিনি। সেনার নির্দেশে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয়ে যায় অরাজকতা। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে সেই দেশে জামাতের মতো কট্টরপন্থী দলের প্রভাব বাড়তে থাকে। শুরু হয় জিহাদি শিক্ষা। আর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশে এই অভ্যুত্থানের পিছনে পাকিস্তানের বিরাট হাত ছিল। এমনকী আমেরিকাও হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। আর এমন অভিযোগ হাসিনা নিজেও করেছেন। মাথায় রাখতে হবে, সরকার বদলের পর থেকেই বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনগুলি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। সেখানে জিহাদের শিক্ষাই প্রধান হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এটাই ছিল পাক সরকার সহ হাফিজ সইদের প্রথম প্ল্যান। আর সেই কাজে তারা আপাতত সাফল্য পেয়েছে। পাক সেনায় হাফিজ সইদের বিরাট কদর। আর সেই জায়গাটাকে ব্যবহার করেই বাংলাদেশে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে এই জঙ্গি নেতা। সেই কারণে পাক আর্মির আধিকারিকরা মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশে আসছে। তারা ভারতের বিপক্ষে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

     

     

     

     

  • White Collar Terror: ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর মুখ চিকিৎসকরা! ৪ গ্রেফতারি তুলে দিল বড় প্রশ্ন

    White Collar Terror: ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর মুখ চিকিৎসকরা! ৪ গ্রেফতারি তুলে দিল বড় প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত চার দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার চার চিকিৎসক। না, কোনও চিকিৎসা-সংক্রান্ত গাফিলতি বা দুর্নীতি নয়, একেবারে সরাসরি জঙ্গি-যোগের অভিযোগে! সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বিপুল বিস্ফোরক, ডেটোনেটর সহ বোমা বানানোর যাবতীয় উপকরণ এবং এক-৪৭ সহ একাধিক অ্যাসল্ট রাইফেল। এই গ্রেফতারির ঘটনাপ্রবাহ দেশের চিকিৎসক মহলে তো বটেই, নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক স্তরেও উদ্বেগ ছড়িয়ে দিয়েছে। এতদিন ভারতে নাশকতা কার্যকলাপের বিস্তারে সাধারণ নাগরিকদের ‘স্লিপার সেল’ ও ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ হিসেবে নিয়োগ করত পাকিস্তানের জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলি। কিন্তু, এখন একবারে সাদা কোট পরা ও গলায় স্টেথো ঝোলানো চিকিৎসকদের এই কাজে নিয়োগ শুরু করেছে তারা। অর্থাৎ, পদস্থ পেশাদারদের ব্রেনওয়াশ করে তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে এদেশে নাশতকামূলক কার্যকলাপ ছড়িয়ে দিতে। এরই পোশাকী নাম ‘হোয়াইট কলার টেরর’।

    হোয়াইট কালার টেরর-এর মুখ!

    সীমান্তপারের জঙ্গি নেতা ও ভারত-বিরোধী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট ডিপ-স্টেট নেটওয়ার্কের নেওয়া এই পন্থা এদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, এই ৪ চিকিৎসক পাকিস্তান ও বিদেশি রাষ্ট্রের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। এমনকি, জৈশ-ই-মহম্মদ, আইসিস ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সংস্পর্শে এসেছিল এই চিকিৎসকরা। আর শুধু কি এই চারজনই? নাকি আরও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে? এখনও যারা গ্রেফতার হয়নি! যারা এখনও দেশের কোথাও না কোথাও মিশে গিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে! এই চিন্তা দুঁদে গোয়েন্দাদেরও এখন একটা বড় প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে করিয়ে দিয়েছে। সেটা হল— ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর মুখ কি এখন চিকিৎসকরা?

    গ্রেফতার হয়েছে যারা…

    উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আদিল রাথের

    চিকিৎসক-জঙ্গি যোগ তদন্তের প্রথম গ্রেফতার হওয়া ডাক্তারের নাম আদিল আহমেদ রাথের। জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের (জিএমসি) প্রাক্তন সিনিয়র আবাসিক ডাক্তার আদিলের ব্যক্তিগত লকার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। অনন্তনাগের কাজিগুন্ডের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি আদিল আহমেদ রাথের গত বছরের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত জিএমসি অনন্তনাগে কর্মরত ছিল।

    পুলিশ জানিয়েছে যে, রাথেরের সঙ্গে জৈশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের যোগসূত্র ছিল। ২৭ অক্টোবর শ্রীনগরে জৈশ-সমর্থন পোস্টার দেখা যাওয়ার পর এই আবিষ্কার হয়। সিসিটিভি ফুটেজে রাথেরের কার্যকলাপ ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে ট্র্যাক করা হয় এবং ৬ নভেম্বর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। অস্ত্র আইন এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) এর অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    গুজরাট থেকে গ্রেফতার আহমেদ সৈয়দ

    হায়দরাবাদের ৩৫ বছর বয়সি চিকিৎসক আহমেদ মহিউদ্দিন সৈয়দকে ৭ নভেম্বর গুজরাট এটিএস গ্রেফতার করে। চিনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এমবিবিএস ডাক্তার সৈয়দ ক্যাস্টর (রেড়ি) বীজ থেকে প্রাপ্ত প্রাণঘাতী প্রোটিন রাইসিন তৈরি করছিল এবং দিল্লির আজাদপুর মান্ডি, আহমেদাবাদের নারোদা ফলের বাজার এবং লখনউতে আরএসএস অফিস সহ জনাকীর্ণ জনসমাগমস্থলে কয়েক মাস ধরে নজরদারি চালিয়েছিল। দুটি গ্লক পিস্তল, একটি বেরেটা, ৩০টি তাজা কার্তুজ এবং চার লিটার ক্যাস্টর অয়েল সহ আমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সৈয়দকে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, সৈয়দ আইসিস-খোরাসান প্রদেশের আবু খাদিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

    হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার মুজমিল শাকিল

    তৃতীয় চিকিৎসক যাকে গ্রেফতার করা হয়, সে হল মুজামিল শাকিল। আদিলের মতো মুজমিলও কাশ্মীরি চিকিৎসক। আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ডাঃ মুজামিল শাকিলকে ৯ নভেম্বর দিল্লির কাছে ফরিদাবাদ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের একটি যৌথ দল গ্রেফতার করে। মুজমিলের বাড়িতে হানা দিয়ে সেখান থেকে ১২টি স্যুটকেসে মজুদ করা ৩৬০ কিলোগ্রাম সন্দেহভাজন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করেছে, যা প্রায়শই ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফরিদাবাদ পুলিশ কমিশনার সতেন্দ্র কুমার গুপ্তা বলেন, শাকিলের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্র ছিল এবং সেও আগে শ্রীনগরে জেএম-সমর্থক পোস্টার পোস্ট করেছিল। রাথারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    হরিয়ানা থেকে এক মহিলা চিকিৎসক গ্রেফতার

    মুজমিলের পাশাপাশি, ওই অভিযানে পুলিশ এক মহিলা চিকিৎসককেও গ্রেফতার করে। তার গাড়ির ডিকি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা চিকিৎসকের সুইফ্ট গাড়ি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে যা মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে যুক্ত। গাড়ি থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছিল একটি একে-৪৭ তিনটি ম্যাগাজিন সহ, একটি পিস্তল লাইভ রাউন্ড সহ, দুটি খালি কার্তুজ এবং দুটি অতিরিক্ত ম্যাগাজিন।

  • Indian Army: চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে ঠেকাতে ‘চিকেন্স নেক’-এর কাছে ভারতীয় সেনার তিনটি নয়া ঘাঁটি

    Indian Army: চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে ঠেকাতে ‘চিকেন্স নেক’-এর কাছে ভারতীয় সেনার তিনটি নয়া ঘাঁটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, পাকিস্তান এমনকী চিনকেও মোক্ষম জবাব দিল ভারত (Indian Army)। সীমান্তে নীরবে শক্তি প্রদর্শন করল দিল্লি। যে ‘চিকেন্স নেক’ (Chicken’s Neck)-র দিকে অনেকদিন ধরে কুনজর, সেই অঞ্চলেই ভারতের তিনটি নতুন সামরিক ঘাঁটি তৈরি হয়ে গেল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, অসমের ধুবড়ি এবং বিহারের কিষানগঞ্জ- এই তিনটি জায়গায় নতুন ব্যাটেলিয়ান অফিস বা সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হল। সেনার ভাষায় এই ঘাঁটি গুলিকে বলা হয়, “গ্যারিসন” (Garrison)। এক একটি ঘাঁটিতে ৮০০ থেকে ৯০০ জন জওয়ান থাকবেন। এগুলি ইনফেন্ট্রি ব্যাটালিয়ন হিসেবে কাজ করবে।

    চিকেন্স নেক করিডর থেকে ঘাঁটিগুলির দূরত্ব

    সাম্প্রতিককালে বহু ইউটিউবার দাবি করেছেন, বাংলাদেশের ৬০ কিমি এলাকা নাকি ভারত দখল করেছে। যে রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করা হচ্ছে, সেটি প্রকাশিত হয় গ্লোবাল গভারনেন্স নামক একটি ওয়েবসাইটে। সেখানে বলা হয়, চিকেন্স নেক অঞ্চলে ভারতীয় সেনা নিজেদের নিয়ন্ত্রণের পরিসর বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু, বাস্তবে চিকেন্স নেক (Chicken’s Neck) বা শিলিগুড়ি করিডর ভারতের অংশ। সেখানে সেনা কোনও এলাকা দখল করেনি। বাংলাদেশের কোনও এলাকাও দখল করেনি সেনা। এই আবহে চিকেন্স নেক অঞ্চলে নতুন তিনটি সেনা ঘাঁটি গড়ল ভারত। উল্লেখ্য, চিকেন্স নেক করিডর থেকে ধুবড়ির দূরত্ব ২২২–২৪০ কিলোমিটার, চোপড়ার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার, কিষাণগঞ্জের দূরত্ব ১৫২-১৮০ কিলোমিটার। আবার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেও এই ঘাঁটি গুলির গড় দূরত্ব খুব একটা বেশ নয়। ফোর্ট উইলিয়াম সূত্রের খবর, ভারী যুদ্ধাস্ত্র সহ ব্যাটালিয়নকে বাংলাদেশ সীমান্তের ধারে কাছে রাখতেই এই গ্যারিসন তৈরি করা হয়েছে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত ভারতের

    একদিকে চিনের কৌশলী সামরিক বিস্তার, অন্যদিকে বাংলাদেশের ভিতরে আইএসআই-এর কার্যকলাপ বৃদ্ধি- দুই বিষয়ই সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে সামরিক গোয়েন্দাদের। অনুপ্রবেশের পাশাপাশি অন্য বিপদের শঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। আর সেখানেই “চিকেন্স নেক করিডর” (Chicken’s Neck) অংশটি যে ভারত বিরোধী বা শত্রু শক্তিগুলির অন্যতম পাখির চোখ, তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সামরিক বিশারদদের কাছে। সামরিক গোয়েন্দাদের কাছেও শিলিগুড়ির ঠিক ওপারে থাকা অর্থাৎ বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে থাকা মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক তথ্য আসছে। সেই কারণে অত্যন্ত নীরবে এবং দৃঢ়ভাবে সীমান্তে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করছে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সেখানে থাকা ভারতীয় সেনার কাছে অস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি পৌঁছেছে। পৌঁছে গিয়েছে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে শুরু করে অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এছাড়াও অত্যাধুনিক মোবাইল জ্যামিং সিস্টেমও মোতায়েন করা হচ্ছে এই ঘাঁটিগুলিতে।

    ভারতের সামরিক কৌশল

    আগামী কয়েক মাসে ভারতের (Indian Army) সামরিক অনুশীলন চলার কথা উত্তরপূর্ব জুড়ে। ইতিমধ্যেই, উত্তরপূর্ব ভারত জুড়ে নোটাম জারি করা হল বায়ুসেনা অনুশীলনের জন্য। নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ৬টি বিভিন্ন তারিখের জন্য। ভারতীয় সেনার এই ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে পদ্মপারেও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। সেখানে ইতিমধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে ভারতীয় সেনা যে কোনও মূহূর্তে সীমান্ত টপকে সে দেশে ঢুকে পড়তে পারে। চোপড়া থেকে শিলিগুড়ি করিডরের (Siliguri Corridor) দূরত্ব মাত্র ৫২ কিলোমিটার। আবার বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে এর দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এখানে রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর ব্রহ্মাস্ত্র কোর। ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চল কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি সম্প্রতি অসমের ধুবড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া সেনাঘাঁটি পরিদর্শন করেন।

    ভারতে ভীত বাংলাদেশ

    ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই তৎপরতায় কিছুটা হলেও ভীত বাংলাদেশ। তারা এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটি লালমনিরহাট সংস্কারে হাত দিয়েছে। এই কাজে তাদের সাহায্য করছে চিন। সূত্রে খবর, লালমনিরহাটে তৈরি হবে হ্যাঙার। থাকবে যুদ্ধবিমান। চিনের থেকে বাংলাদেশ কিনেছে ১০টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সিজে-১০। লালমনিরহাটের ছাউনিতে ওই বিমানগুলিকে রাখা হবে। ভারতীয় সেনার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, এই তিন সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সেনার আচমকা তৎপরতা বৃদ্ধির কারণ চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের মাখামাখি। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বদলে যাওয়া পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছে। বিশেষ করে পাকিস্তান সেনার উচ্চপর্যায়ের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতীয় সেনা আর চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি হয়নি। ভারতীয় সেনা গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন তদারকি সরকার প্রধান ইউনূসের টার্গেট এখন এই শিলিগুড়ি করিডর (Siliguri Corridor)। তার একার পক্ষে এই এলাকা দখল করা সম্ভব হবে না অনুমান করে তিনি চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তবে সেনাকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ ভুল করেও যদি চিন আর পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চিকেন্স নেক (Chicken’s Neck) কব্জা করার চেষ্টা করে, তাহলে ভারতীয় সেনা (Indian Army) পাল্টা জবাব দেবে। যমুনা ভবনের বাসিন্দা এবং উত্তরপাড়ার যাবতীয় ছক ভেস্তে দেওয়ার মতো রসদ সীমান্তে মজুত করা আছে।

LinkedIn
Share