Tag: news in bengali

news in bengali

  • Undivided India: আইএমডি-র দেড়শো বছর, দিল্লিতে ‘অখণ্ড ভারত’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পাকিস্তান-বাংলাদেশ

    Undivided India: আইএমডি-র দেড়শো বছর, দিল্লিতে ‘অখণ্ড ভারত’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পাকিস্তান-বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেড়শ বছর পূর্তি, এই উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘অখণ্ড ভারত’ (Undivided India) অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকেও। প্রসঙ্গত, হাল আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বলতে গেলে তলানিতেই ঠেকেছে। অন্যদিকে, সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই খারাপ ভারতের। এই আবহে আবহাওয়া দফতরের ‘অখণ্ড ভারত’ (Undivided India)  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের তরফ থেকে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবার বাংলাদেশের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী দিল্লি, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। 

    উপমহাদেশের অন্যান্য দেশও আমন্ত্রিত (Undivided India) 

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান (Pakistan) ও বাংলাদেশ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকছে আফগানিস্তান, মায়ানমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। উপমহাদেশের এই দেশগুলি ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে আবহাওয়া দফতরের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম যে ভারতের আবহাওয়া দফতরের প্রতিষ্ঠার সময় অখণ্ড ভারতের অংশ থাকা সমস্ত দেশই এই অনুষ্ঠানে সামিল হোক (Undivided India)।’’

    কেন্দ্রের সমস্ত মন্ত্রক মাঠে নেমেছে অনুষ্ঠানকে সফল করতে

    ইতিমধ্যে ‘অখণ্ড ভারত’-এর (Undivided India) এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে মোদি সরকারের একাধিক মন্ত্রক মাঠে নেমেছে। অর্থমন্ত্রক এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে ইতিমধ্যে দেড়শো টাকার একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্র দিবসে একটি ট্যাবলো প্রকাশ করার অনুমোদন দিয়েছে।

    ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আইএমডি

    প্রসঙ্গত ভারতের আবহাওয়া দফতর, যা পরিচিত ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট নামে, এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি। তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। তার আগে অবশ্য দেশের একাধিক প্রান্তে ছিল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এই আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ১৭৮৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতাতে প্রতিষ্ঠা করে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ১৭৯৬ সালে (তৎকালীন) মাদ্রাজে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। ১৮২৬ সালে গড়ে ওঠে বম্বে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এরপরে উনিশ শতকের প্রথম প্রথমদিকে ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে প্রতিষ্ঠিত করা হতে থাকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।

    কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হল আইএমডি

    ১৮৬৪ সালে কলকাতায় ব্যাপক ঘূর্ণিঝড় হয়। ১৮৬৬ এবং ১৮৭১ সালে ব্যাপক বন্যার কারণে বাংলাজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখনই নড়েচড়ে বসে ব্রিটিশ সরকার। এধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলিকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলির ব্যর্থতা বলে মনে করে ব্রিটিশ সরকার। এরপরে ১৮৭৫ সালে ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ সরকার তখন সিদ্ধান্ত নেয় যে আবহাওয়ার খুঁটিনাটি রেকর্ড সংরক্ষণ এবং সেই অনুযায়ী তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করবে এই সংস্থা। আবহাওয়া সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করার কাজে স্থাপিত হয় ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। জানা যায়, ১৮৭৫ সালে  ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর সদর দফতর ছিল কলকাতায়। পরবর্তীকালে ১৯০৫ সালে আইএমডির দফতর স্থানান্তরিত হয় সিমলায়। ১৯২৮ সালে আইএমডি-এর দফতর চলে যায় পুণেতে। ব্রিটিশ শাসনের একদম শেষের দিকে ১৯৪৪ সালে নতুন দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয় আইএমডির দফতর এবং তখন থেকে এটা দিল্লিতে রয়েছে।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে আইএমডি

    বছরের পর বছর ধরে আইএমডি-এর বিবর্তন হয়েছে এবং বর্তমান দিনে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি আবহাওয়া পূর্বাভাস দফতরে তা পরিণত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবহাওয়া বিজ্ঞান সমেত নানা গবেষণার কাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে আইএমডি। জানা যায়, প্রথমদিকে টেলিগ্রামের যুগে, আইএমডি টেলিগ্রামের মাধ্যমে আবহাওয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি আপডেট এবং সতর্কতা পাঠাত। পরবর্তীকালে যখন কম্পিউটার আসে, তখন এর মাধ্যমে কাজ চলতে থাকে। স্বাধীন ভারতে ইসরো স্থাপিত হওয়ার পরে, ওই সংস্থাকেও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে থাকে আবহাওয়া দফতর। বর্তমানে আবহাওয়া দফতরের নিজস্ব উপগ্রহ রয়েছে যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি না বদল করতে পারলে ২০৩১ সালের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালানোর পথ খুঁজতে হবে হিন্দুদের। তখন আবাস যোজনায় তৈরি বাড়িগুলি দখল করে নেবে ‘ওরা’। বৃহস্পতিবার হাওড়ার রামরাজাতলায় মন্দির উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে একথা বলতে শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে হিন্দুশূন্য করা হয়েছে একই পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।’’

    ভাষণে উঠে আসে নিজের মায়ের কথাও বলেন বিরোধী দলনেতা 

    এদিনের বক্তব্যে নিজের মায়ের প্রসঙ্গও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জীবন বাঁচাতে তাঁকেও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মা গায়ত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা মাখনলাল ভট্টাচার্যের হাত ধরে বরিশাল থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছিল হিন্দু হওয়ার কারণে। আর এখানে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, ২০৩১ সালের পরে আমাদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে। জায়গা খুঁজতে হবে। ভাতা আসবে যাবে। আবাস হবে, আবাস ভাঙবে-গড়বে। কিন্তু এই যে বাড়িগুলি তৈরি করে রেখে যাচ্ছেন না, সব দখল করবে ওরা।’’

    বাংলাদেশে চলছে হিন্দু শূন্য করার কাজ (Suvendu Adhikari) 

    এর পরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘দখল করেছে আফগানিস্তানে। সেখানে হিন্দু, শিখ ও জৈন পার্শিদের হাতে সব থেকে বেশি সম্পদ ছিল। একদম শূন্য করে দিয়েছে। পাকিস্তানে ১ শতাংশেরও কমে নামিয়ে দিয়েছে। লাহোর, ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে সব বড় শহরে শিক্ষা, ব্যবসা, সম্পদ, অর্থ সব ছিল হিন্দু, শিখ, পার্শিদের হাতে। সেই একই ভাবে বাংলাদেশে শূন্য করার কাজ চলছে।’’

    মমতা (Mamata Banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ

    হাওড়ার সভা থেকে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতিরও অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে সীমাহীন তোষণ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে এবং ডেমোগ্রাফি বদলে দিচ্ছে। সীমান্ত খোলা, রোহিঙ্গা মুসলমান ছেয়ে যাচ্ছে।’’ এরপরেই বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘একদিকে যখন বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিল্লি, অসম, ত্রিপুরা পুলিশ তৎপরতা দেখাচ্ছে, তখন বাংলায় তাদের অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা’’ এদিনের সভায় শুভেন্দু ছাড়াও হাজির ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজ। সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: ব্রিটেনে পাকিস্তানি ‘গ্রুমিং গ্যাং’ ইস্যুতে, ভারতীয় সাংসদের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন ইলন মাস্ক

    Elon Musk: ব্রিটেনে পাকিস্তানি ‘গ্রুমিং গ্যাং’ ইস্যুতে, ভারতীয় সাংসদের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন ইলন মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই এক্স হ্যান্ডেলের মালিক ইলন মাস্ক ব্রিটেনে গ্রুমিং গ্যাং কেলেঙ্কারির জন্য ষ্টারমারের নেতৃত্বাধীন দিন ব্রিটিশ সরকারকে তোপ দেগেছিলেন। সেসময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, যখন তিনি ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন, তখনই তিনি এশিয়ান গ্রুমিং গ্যাংয়ের প্রথম মামলা দায়ের করেছিলেন। এখানেই আপত্তি তোলেন ভারতের রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং তিনি বলেন এশিয়ান গ্রুমিং গ্যাং নয়, বরং বলা উচিত পাকিস্তানি গ্রুমিং গ্যাং (Pakistani Grooming Gang)। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর এই মন্তব্যে সহমত পোষণ করেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে মন্তব্য করেন ইলন মাস্ক।

    গ্রুমিং গ্যাং আসলে কী 

    দেখা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদির এই পোস্ট এখনও পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি ইউজার দেখেছেন এবং ৩৭ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী লাইক করেছেন। ১,৭০০ জন এখানে মন্তব্য করেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন খোদ এক্স হ্যান্ডলের মালিকও। ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন বেড়ে চলার জন্য সম্পূর্ণ এশিয়াকে দায়ী করা যাবে না। এর জন্য দায়ী একটি দেশ এবং সেটি পাকিস্তান। এক্স হ্যান্ডেলে সাংসদের এই মন্তব্যের পরেই সেখানে কমেন্ট করতে দেখা যায় ইলন মাস্ককে (Elon Musk)। সম্প্রতি ব্রিটেনের উত্তরভাগের বিভিন্ন শহরে মহিলাদের ওপরে ব্যাপক পরিমাণে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। এর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে অভিযুক্তরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পুরুষ। ব্রিটিশ মেয়েদের ওপর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পুরুষদের এমন অত্যাচার গ্রুমিং গ্যাং নামে পরিচিত।

    সাম্প্রতিক উদাহরণ (Elon Musk)

    ইতিমধ্যে এমন অসংখ্য উদাহরণ সামনে এসেছে। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে লন্ডনের বাইরে একটি জায়গা থেকে ১০ বছর বয়সি একজন মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মেয়েটির নাম ছিল সারা। যখন তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, দেখা যায় তার হাড় ভাঙ্গা, তাকে পোড়ানো হয়, শরীরে কামড়ের দাগও দেখা যায়।  এই ঘটনার পরেই অভিযোগ দায়ের হয় তার বাবা উরফান শরীফ এবং তার সৎ মা বাইনাস বাতুলের বিরুদ্ধে। গত মাসেই লন্ডনের আদালত উরফান শরীফ এবং বাইনাস বাতুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে তাদেরকে দণ্ডিত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • INDI Bloc: ‘‘ভেঙে যাওয়া উচিত ইন্ডি জোট’’, বিস্ফোরক দাবি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার

    INDI Bloc: ‘‘ভেঙে যাওয়া উচিত ইন্ডি জোট’’, বিস্ফোরক দাবি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশই ভাঙছে ইন্ডি জোট (INDI Bloc)। কংগ্রেসকে জোট থেকে বাদ দেওয়ার দাবি আগেই জানিয়েছিল কেজরিওয়ালের দল। এবার জোট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন জোটের শরিক তথা জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, ইন্ডি জোটের কোনও বৈঠকই হচ্ছে না। ফলে নেতৃত্ব হোক বা অ্যাজেন্ডা, অথবা জোটের (INDI Bloc) অস্তিত্ব, কিছু নিয়েই স্পষ্টতা চোখে পড়ছে না। শুধুমাত্র সংসদীয় নির্বাচনের জন্য যদি জোট গড়া হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তা ভেঙে দেওয়াই উচিত।’’ শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনের স্বার্থে জোট হয়ে থাকলে, তা ভেঙে দেওয়াই উচিত বলে মনে করছেন ওমর আবদুল্লা।

    লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে পরাস্ত হয় ইন্ডি জোট

    প্রসঙ্গত, জাতীয় স্তরে বিজেপিকে পরাস্ত করতে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ডিএমকে, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে), আম আদমি পার্টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো দলগুলি ইন্ডি জোট গঠন করে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই দেখা যায়, সমস্ত দল মিলেও আসন সংখ্যার দিক থেকে বিজেপিকে টেক্কা (INDI Bloc) দিতে পারেনি। এই আবহে এই জোটের প্রয়োজন আদৌ রয়েছে রয়েছে কিনা? সেই প্রশ্নই তুলল অন্যতম বড় শরিক।

    দিল্লিতে জোট শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির বাগযুদ্ধ চলছেই 

    লোকসভা ভোটে আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস জোট বাঁধলেও দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে নেমেছে। দুই দলই নিয়েছে একলা চলার নীতি। দুই দলের এমন পদক্ষেপে জোটের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে বলে মনে করেন ওমর। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদবও সম্প্রতি বলেছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করার লক্ষ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ইন্ডি (INDI Bloc) জোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 246: “আমি দেহ বেচে ভবের হাটে, দুর্গানাম কিনে এনেছি, কালীনাম-কল্পতরু হৃদয়ে রোপণ করেছি”

    Ramakrishna 246: “আমি দেহ বেচে ভবের হাটে, দুর্গানাম কিনে এনেছি, কালীনাম-কল্পতরু হৃদয়ে রোপণ করেছি”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, জুন

    নানাভাবে শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তমন্দিরে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যারা যারা এখানে আসে তাদের সংস্কার আছে; কি বল?

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অধরের সংস্কার ছিল।

    মাস্টার—তা আর বলতে (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সরল হলে ঈশ্বরকে শীঘ্র পাওয়া যায়। আর দুটো পথ আছে—সৎ, অসৎ। সৎপথ দিয়ে চলে যেতে হয়।

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ, সুতোর একটু আঁশ থাকলে ছুঁচের ভিতর যাবে না।

    সর্বত্যাগ কেন? 

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—খাবারের সঙ্গে চুল জিবে পড়লে, মুখ থেকে সবসুদ্ধ ফেলে দিতে হয়।

    মাস্টার—তবে আপনি যেমন বলেন, যিনি ভগবানদর্শন করেছেন, তাঁকে অসৎসঙ্গে কিছু করতে পারে না। খুব জ্ঞানাগ্নিতে কলাগাছটা পর্যন্ত জ্বলে যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীকবিকঙ্কণ—অধরের বাটীতে চণ্ডির গান 

    আর-একদিন ঠাকুর কলিকাতায় বেনেটোলায় অধরের বাড়িতে আসিয়াছেন। ৩১শে আষাঢ়, শুক্লা দশমী, ১৪ই জুলাই ১৮৮৩, শনিবার। অধর ঠাকুরকে রাজনারাণের চন্ডীর গান শুনাইবেন। রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি সঙ্গে আছেন। ঠাকুরদালানে গান হইতেছে। রাজনারাণ গান ধরিলেন:

          অভয় পদে প্রাণ সঁপেছি ৷
          আমি আর কি যমের ভয় রেখেছি ॥
    কালীনাম মহামন্ত্র আত্মশির শিখায় বেঁধেছি ৷
    আমি দেহ বেচে ভবের হাটে, দুর্গানাম কিনে এনেছি ॥
    কালীনাম-কল্পতরু হৃদয়ে রোপণ করেছি ৷
    এবার শমন এলে হৃদয় খুলে দেখাব তাই বসে আছি ॥
    দেহের মধ্যে ছজন কুজন, তাদের ঘরে দূর করেছি ৷
    রামপ্রসাদ বলে দুর্গা বলে যাত্রা করে বসে আছি ॥

    ঠাকুর খানিক শুনিতে শুনিতে ভাবাবিষ্ট, দাঁড়াইয়া পড়িয়াছেন ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিয়া গান গাইতেছেন।

    ঠাকুর আখর দিতেছেন, “ওমা, রাখ মা।” আখর দিতে দিতে একেবারে সমাধিস্থ। বাহ্যশূন্য, নিস্পন্দ! দাঁড়াইয়া আছেন। আবার গায়ক গাহিতেছেন (Kathamrita):

          রণে এসেছ কার কামিনী
    সজল-জলদ জিনিয়া কায় দশনে দোলে দামিনী!

    ঠাকুর আবার সমাধিস্থ!

    গান সমাপ্ত হইলে দালান হইতে গিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) অধরের দ্বিতল বৈঠকখানায় ভক্তসঙ্গে বসিলেন। নানা ঈশ্বরীয় প্রসঙ্গ হইতেছে। কোন কোন ভক্ত অন্তঃসার ফল্গুনদী, উপরে ভাবের কোন প্রকাশ নাই—এ-সব কথাও হইতেছে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 245: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ ”

    Ramakrishna 245: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, জুন

    নানাভাবে শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তমন্দিরে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-দেবালয়ে, শিবমন্দিরে সিঁড়িতে বসিয়া আছেন। জৈষ্ঠ মাস, ১৮৮৩, খুব গরম পড়িয়াছে। একটু পরে সন্ধ্যা হইবে। বরফ ইত্যাদি লইয়া মাস্টার আসিয়াছেন ও ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া তাঁহার পাদমূলে শিবমন্দিরের সিঁড়িতে বসিলেন (Kathamrita)।

    1. S. Mill and Sri Ramakrishna: Limitations of man—a conditioned being

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—মণি মল্লিকের নাতজামাই এসেছিল। সে কি বই-এ পড়েছে, ঈশ্বরকে তেমন জ্ঞানী, সর্বজ্ঞ বলে বোধ হয় না। তাহলে এত দুঃখ কেন? আর এই যে জীবের মৃত্যু হয়, একেবারে মেরে ফেললেই হয়, ক্রমে ক্রমে অনেক কষ্ট দিয়ে মারা কেন? যে বই লিখেছে সে নাকি বলেছে যে, আমি হলে এর চেয়ে ভাল সৃষ্টি করতে পারতাম।

    মাস্টার হাঁ করিয়া ঠাকুরের কথা শুনিতেছেন ও চুপ করিয়া আছেন। ঠাকুর আবার কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—তাঁকে কি বুঝা যায় গা! আমিও কখন তাঁকে ভাবি ভাল, কখন ভাবি মন্দ। তাঁর মহামায়ার ভিতের আমাদের রেখেছেন। কখন তিনি হুঁশ করেন, কখন তিনি অজ্ঞান করেন। একবার অজ্ঞানটা চলে যায়, আবার ঘিরে ফেলে। পুকুর পানা ঢাকা, ঢিল মারলে খানিকটা জল দেখা যায়, আবার খানিকক্ষণ পরে পানা নাচতে নাচতে এসে সে জলটুকুও ঢেকে ফেলে।

    “যতক্ষণ দেহবুদ্ধি ততক্ষণই সুখ-দুঃখ, জন্মমৃত্যু, রোগশোক। দেহেরই এই সব, আত্মার নয়। দেহের মৃত্যুর পর তিনি হয়তো ভাল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন—যেমন প্রসববেদনার পর সন্তানলাভ। আত্মজ্ঞান হলে সুখ-দুঃখ, জন্মমৃত্যু—স্বপ্নবৎ বোধ হয়।

    “আমরা কি বুঝব! এক সের ঘটিতে কি দশ সের দুধ ধরে? নুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিয়ে আর খবর দেয় না। গলে মিশে যায় (Kathamrita)।”

     “ছিদ্যন্তে সর্ব্বসংশয়াঃ তস্মিন্‌ দৃষ্টে পরাবরে” 

    সন্ধ্যা হইল। ঠাকুরদের (Ramakrishna) আরতি হইতেছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের ঘরে ছোট খাটটিতে বসিয়া জগন্মাতার চিন্তা করিতেছেন। রাখাল, লাটু, রামলাল, কিশোরী গুপ্ত প্রভৃতি ভক্তেরা আছেন। মাস্টার আজ রাত্রে থাকিবেন। ঘরের উত্তরে ছোট বারান্দায় ঠাকুর একটি ভক্তের সহিত নিভৃতে কথা কহিতেছেন। বলিতেছেন, “প্রত্যূষে ও শেষ রাত্রে ধ্যান করা ভাল ও প্রত্যহ সন্ধ্যার পর।” কিরূপ ধ্যান করিতে হয় — সাকার ধ্যান, অরূপ ধ্যান, সে-সব বলিতেছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর পশ্চিমের গোল বারান্দাটিতে বসিয়া আছেন। রাত্রি ৯টা হইবে। মাস্টার কাছে বসিয়া আছেন, রাখাল প্রভৃতি এক-একবার ঘরের ভিতর যাতায়াত করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—দেখ, এখানে যারা যারা আসবে সকলের সংশয় মিটে যাবে, কি বল?

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ।

    এমন সময় গঙ্গাবক্ষে অনেক দূরে মাঝি নৌকা লইয়া যাইতেছে ও গান ধরিয়াছে। সেই গীতধ্বনি, মধুর অনাহতধ্বনির ন্যায় অনন্ত আকাশের ভিতর দিয়া গঙ্গার প্রশস্ত বক্ষ যেন স্পর্শ করিয়া ঠাকুরের কর্ণকুহরে প্রবেশ করিল। ঠাকুর অমনি ভাবাবিষ্ট। সমস্ত শরীর কণ্টকিত। মাস্টারের হাত ধরিয়া বলিতেছেন, “দেখ দেখ আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে। আমার গায়ে হাত দিয়ে দেখ!” তিনি সেই প্রেমাবিষ্ট কণ্টকিত দেহ স্পর্শ করিয়া অবাক্‌ হইয়া রহিলেন। “পুলকে পূরিত অঙ্গ”! উপনিষদে কথা আছে যে, তিনি বিশ্বে আকাশে ‘ওতপ্রোত’ হয়ে আছেন। তিনিই কি শব্দরূপে শ্রীরামকৃষ্ণকে স্পর্শ করিতেছেন? এই কি শব্দ ব্রহ্ম?

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর (Ramakrishna) আবার কথা কহিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF-BGB Flag Meeting: বাংলাদেশ সীমান্তে অশান্তির আবহে বিএসএফ-বিজিবির বৈঠক, কী কথা হল?

    BSF-BGB Flag Meeting: বাংলাদেশ সীমান্তে অশান্তির আবহে বিএসএফ-বিজিবির বৈঠক, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়ায় লাগাতার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ঠিক এই উত্তেজনাময় আবহের মধ্যে পেট্রাপোল সীমান্তে বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বিজিবি কমান্ডারের সঙ্গে এই বৈঠক হয়েছে বিএসএফ (BSF-BGB Flag Meeting) দক্ষিণবঙ্গের ফ্রন্টিয়ারের আইজি মণিন্দ্র সিং পাওয়ারের। সূত্রের খবর জানা গিয়েছে, বিজিবির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে সীমান্ত নিয়ে কেন এই ভাবে বার বার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে?

    বিজিবিরা কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে ছুটে আসে (BSF-BGB)?

    বিএসএফ সূত্রে খবর, এদিন বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়েছে। ভারতীয় বিএসএফের পক্ষ থেকে আইজি যশোর বিভাগের আঞ্চলিক নয়া কমান্ডার কাছে জানতে চেয়েছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (Bangladesh) যে আচরণ প্রত্যাশা করা হয়, তা এখন করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের বিজিবি কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে ছুটে এসে নিজেদের বলে দাবি করছেন। একই ভাবে আরও একাধিক বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন (BSF-BGB Flag Meeting)।

    উল্লেখ্য, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বাংলাদেশের যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহরপুর, চুয়াডাঙার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ঘেঁষা জায়গাগুলিতে উদ্বেগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই জায়গাগুলিতে বাংলাদেশের জঙ্গি হেফাজত, জেএমবি এবং আরও একাধিক কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি অতিসক্রিয়। ফলে সীমান্ত টপকে অনুপ্রবেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিজিবিকে (BSF-BGB) পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, নইলে…’’! বাংলাদেশে প্রবল জনরোষের মুখে ইউনূস সরকার

    বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম মিথ্যা প্রচার করছে

    প্রসঙ্গত বাংলাদেশের (Bangladesh) সাতক্ষীরা জেলা জামাতের অন্যতম আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত। সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের রুখতে বিজিবি দাবি করেছে, ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিমি ভূখণ্ডকে ভারত দখল করেছে। এই নিয়ে আলোচনা হতেই বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয় বিএসএফ। ভারতীয় বাহিনী (BSF-BGB) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, “বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ভূমিকা অপরিবর্তিত থাকছে (BSF-BGB Flag Meeting)। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারেনি কেউ। বিএসএফ এবং বিজিবি শান্তিপূর্ণ ভাবেই অবস্থান করছে। ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে।” একই ভাবে বাংলাদেশ লাগোয়া মালদার বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত সুকদেবপুর গ্রামসংলগ্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়ায়। সীমান্তে ফেন্সিং করা নিয়ে বাংলাদেশের সেনার সঙ্গে ভারতীয় বিএসএফের বচসা হয় এবং ঝামেলা বাধে (BSF-BGB Flag Meeting)। এই পরিস্থিতির পিছনে যে মহম্মদ ইউনূসের ভারত বিদ্বেষী পরিকল্পনা রয়েছে তা ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি ফরাসি। ফ্রান্সই (French Woman) তাঁর মাতৃভূমি। তবে যিশুর ভক্ত নন। তাঁর আরাধ্য দেবতা শিব! সনাতন ধর্মের প্রতি তাঁর অদম্য আকর্ষণ। সেই টানেই ৬ হাজার মাইল উজিয়ে তিনি এসে পৌঁছেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, পূর্ণকুম্ভ (Maha Kumbh Mela) চাক্ষুষ করবেন বলে। ‘আত্মার শুদ্ধিকরণে’ গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে স্নানও করবেন তিনি। বছর পঁয়ষট্টির এই ফরাসি মহিলার নাম পাসকাল। পূর্ণকুম্ভ শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

    হিন্দুধর্মের প্রেমে পড়েছিলেন সেই কবে (Maha Kumbh Mela)

    পাসকাল হিন্দুধর্মের প্রেমে আজ পড়েননি, পড়েছিলেন সেই ১৯৮৪ সালে। সেবার প্রথম ভারতে এসে হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। হিন্দু ধর্মকে ভালোভাবে আত্তীকরণ করতে পুরাণ পড়েছেন, পড়েছেন ভগবদ গীতাও। তার পর থেকে যত দিন গিয়েছে হিন্দু ধর্মের প্রতি পাসকালের টান বেড়েছে। তাঁর হৃদয় মন্দিরে ততদিনে ঠাঁই নিয়েছেন দেবাদিদেব মহাদেব। ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি এখানে এসে খুব খুশি। আমি কুম্ভ মেলার গল্প জানি। এটি আত্মাকে শুদ্ধ করার জন্য একটি পবিত্র স্থান। এখানে এসে অনেক যোগী, সাধু এবং হিন্দু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি হিন্দুধর্মকে ভালোবাসি এবং ভগবান শিবের প্রতি বিশ্বাস রাখি।” তিনি বলেন, “কুম্ভে যে সমুদ্র মন্থন হয়েছিল, সে সম্পর্কেও আমার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। আমার কাছে অমৃতের ফোঁটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “আসুন, এক সঙ্গে উদযাপন করি ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি”, প্রবাসীদের বললেন মোদি

    রুদ্রাক্ষ আমায় রক্ষা করে

    দিন ঘনিয়ে আসছে মহাকুম্ভের। প্রয়াগরাজে জমতে শুরু করেছে থিকথিকে ভিড়। সেই ভিড়ে রয়েছেন পাসকালও। হিন্দু ধর্মের প্রতি টানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ধর্ম ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এটি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আসা অনুভূতি।” কুম্ভে যে কারও থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই, তা ভালো লেগেছে এই ফরাসি মহিলার। বলেন, “এত বড় আয়োজন। এত মানুষের থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। সবই নিখরচায় আয়োজন করা হয়েছে।” পাসকাল (Maha Kumbh Mela) বলেন, “এখানে সাধু-সন্ন্যাসী ও হিন্দুদের সঙ্গে দেখা করতে পছন্দ করি।” পাসকালের গলায় ঝুলছে রুদ্রাক্ষ। সেটি দেখিয়ে ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি গলায় যে রুদ্রাক্ষের মালা পরে রয়েছি, সেটি আমার এক বন্ধু আমায় উপহার দিয়েছিল। এটা গলায় থাকলে মনে হয়, এটি আমায় সর্বদা রক্ষা করছে (French Woman)।”

    মহাকুম্ভের এও এক প্রাপ্তি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন মোহন ভাগবত, থাকছে কী কী কর্মসূচি?

    Mohan Bhagwat: ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন মোহন ভাগবত, থাকছে কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে রাজ্য সফরে আসছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসার কথা তাঁর। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় থাকবেন সংঘ প্রধান। হাজির হবেন একাধিক কর্মসূচিতে। এর পরে ১১ তারিখেই বর্ধমানে যাবেন তিনি। সেখানে ১৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবেন। শেষ দিনে জনসভা করবেন। আগামী মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রদর্শন কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত কলকাতায় সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) পাঁচদিন থাকবেন। এর বেশিরভাগ সময়ই চলবে অভ্যন্তরীণ কর্মসূচি ও সাংগঠনিক। মাঝে তিনি একদিন বিশ্রাম নেবেন। সংঘ সূত্রে খবর, ওইদিনেই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন সংঘপ্রধান। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বিজয়া দশমীতে আরএসএস পা দিচ্ছে ১০০ বছরে। এই আবহে সারা দেশেই সফর করছেন মোহন ভাগবত। শতবর্ষকে সামনে রেখে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে আরএসএস। সেই অনুষ্ঠানগুলির পরিকল্পনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যে-রাজ্যে।

    বৈঠক করবেন মধ্যবঙ্গের ৮টি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে  

    প্রসঙ্গত, সাংগঠনিকভাবে রাজ্যে সংঘের তিনটি বিভাগ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ। বর্ধমান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সাংগঠনিকভাবে মধ্যবঙ্গে পড়ে। এই শহরেই মধ্যবঙ্গের ৮টি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মোহন ভাগবতের। এর আগে সাম্প্রতিককালে আরজি কর কাণ্ডে কড়া নিন্দা করে সরব হয়েছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এবারের বাংলা সফরে তিনি কী বলেন সেটাই দেখার।

    বাংলাদেশ নিয়ে দিতে পারেন বার্তা, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল 

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হিন্দুদের পর চলছে একের পর হামলা। এই আবহে বাংলাদেশে হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা করে কড়া বার্তা দিয়েছিল আরএসএস। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বার্তা দেবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি…

     

                                                                                      অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিএ (UTA) যে হুমকি দিচ্ছে, তাকে উপেক্ষা করা (India China Relation) উচিত নয়। বলছেন দ্য অরুণাচল টাইমসের প্রবীণ সাংবাদিক তথা বিশ্লেষক বেঙ্গিয়া আজুম। তিনি বলেন, “ইউটিএ জনগণের মধ্যে সিএপিএফ এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুব্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করবে।” আজুম বলেন, “ইউটিএ গঠনের (Arunachal Pradesh) ঘোষণা হয়েছিল এমন একটা সময়ে যখন এনএইচপিসি (NHPC)-র কর্তাদের জন্য নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এনএইচপিসি সিউম্প (SUMP)-এর জন্য প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করছে। ওপরের সিয়াং, সিয়াং এবং পূর্ব সিয়াং জেলাগুলির জনগণ, যারা এই প্রকল্প দ্বারা প্রভাবিত হবে, তারা অসন্তুষ্ট। ইউটিএ তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দলে টানতে পারে। লাভ করতে পারে স্থানীয় সমর্থনও।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (India China Relation)

    ইউটিএ রাজ্যে মেগা ড্যাম নির্মাণের বিরোধিতা করার পাশাপাশি আর একটা আবেগজনিত ইস্যু সমর্থন করেছে, যা রাজ্যের অনেক মানুষকে উত্তেজিত করেছে। যেসব আদিবাসী মহিলা অ-আদিবাসী পুরুষদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেইন বলেন, “যদিও এনএলসিটি (NLCT) কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, তবুও এদের হুমকি উপেক্ষা করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউটিএ গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে সচেতন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে (Arunachal Pradesh)।”

     এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি…

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম কিস্তি)

    ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (দ্বিতীয় কিস্তি)

    টিক টিক টাইম বোমা

    এদিকে, নামচা বারওয়ায় চিনের প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ভারতের জন্য একটি টিক টিক টাইম বোমার মতো। মানোহর পার্রিকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চিন যে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করছে, সেগুলি এত বড় যে স্টোরেজ ড্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিন এই বাঁধগুলি সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এতে বিপাকে পড়বে ভারত। গরমের সময় জলের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হবে। আর বর্ষায় বানের জলে ভেসে যাবে অরুণাচল প্রদেশ এবং অসম।

    বড় স্টোরেজ ড্যাম

    সিউম্প-এর পরিকল্পনায় সিয়াং নদীর ওপর একটি বড় স্টোরেজ ড্যাম নির্মাণের কথা রয়েছে। এটি চিনের (India China Relation) পক্ষ থেকে ইয়ারলুং সাংপো নদীর জল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ভারতের বীমা হিসেবে কাজ করবে। যদি চীন ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহ কমিয়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার থেকে জল ছেড়ে সিয়াং এবং ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ বজায় রাখা সম্ভব হবে। একইভাবে, চিন যদি অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে পারবে এবং অরুণাচল প্রদেশ ও নামনি অসমে বন্যা প্রতিরোধ করতে পারবে (Arunachal Pradesh)। নামচা বারওয়ার প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ছাড়াও, চিন ইতিমধ্যে ইয়ারলুং সাংপোর উঁচু জায়গায় ২০১০ সালে ঝাংমু ড্যাম নির্মাণ করেছে। জিয়েক্সু, জিয়াচা এবং দাগু নামে আরও তিনটি বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। যদিও চিনের দাবি, এগুলি সবই ‘রান অফ দ্য রিভার’ প্রকল্প এবং এগুলি ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহে কোনও প্রভাব ফেলবে না, তবে বেজিংয়ের দাবিকে অবিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

    জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে সতর্কতা নিতে হবে

    প্রবীণ রাজনীতিবিদ নিনং এরিং, যিনি ইউপিএ -২ সরকারের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং বর্তমানে পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক, বলেন, চিনকে কখনওই বিশ্বাস করা যায় না। আপনি কখনওই জানবেন না তারা (চিন) ভারতের ক্ষতি করার জন্য কী করবে। আমাদের অবশ্যই চিনের সম্ভাব্য জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সতর্কতা নিতে হবে। এটা ঠিক যে এই সুরক্ষাগুলোকেই, যেমন সিউম্প, চিন বিপথে চালিত করতে চায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস, চিন ইউটিএ সৃষ্টি করেছে যাতে সিউম্প এবং অন্যান্য বড় বাঁধের বিরুদ্ধে বিরোধিতা উসকে দেওয়া যায়। এই বাঁধগুলি সেই রাজ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে, যে রাজ্য চিন অধিকৃত তিব্বত এবং মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে (Arunachal Pradesh)।

    বিরোধিতার জিগির 

    চিন গোপনে অরুণাচলপ্রদেশ ও অসমের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে অরুণাচলপ্রদেশে বড় বাঁধগুলির বিরুদ্ধে বিরোধিতার জিগির জাগিয়ে রেখেছে। যেসব পরিবেশবিদ ও নাগরিক গোষ্ঠী যারা অরুণাচলপ্রদেশে (India China Relation) এই বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করছে, তাঁরা চিনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে সমর্থন মায় আর্থিক সহায়তা পেয়েছে বলেও অনুমান।

    ড্রাগনের লক্ষ্য

    চিনের উদ্দেশ্য হল, তিব্বতি মালভূমি থেকে ভারতের দিকে প্রবাহিত হওয়া ইয়ারলুং ত্সাংপো নদীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু অরুণাচলপ্রদেশে প্রস্তাবিত বৃহৎ বাঁধগুলো সেই অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে বেজিংয়ের কুটিল উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। তাই চিন নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশে বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে (Arunachal Pradesh) বিরোধিতা উসকে দিচ্ছে (India China Relation)।

    শেষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share