Tag: news in bengali

news in bengali

  • Bangladesh Crisis: হাসপাতালে ভর্তি রবীন্দ্র ঘোষ, চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে লড়বেন কে?

    Bangladesh Crisis: হাসপাতালে ভর্তি রবীন্দ্র ঘোষ, চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে লড়বেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই আদালতে উঠবে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) জেলবন্দি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলা। তাঁর হয়ে লড়াই করার কথা ছিল যাঁর, সেই প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে (Rabindra Ghosh) ভর্তি করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা অনুভব করায় কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীকে। ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময় দাসের জামিন মামলার শুনানিতে বর্ষীয়ান ওই আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    রবীন্দ্রকে গ্রেফতারির ছক?

    রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণকে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আদালতে চলছে মামলা। তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন রবীন্দ্র। চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছিলেন তিনি। উঠেছেন ব্যারাকপুরে ছেলের বাড়িতে। ভারতে এসে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম আদালতের এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের একাংশের আচরণ সন্ত্রাসবাদীদের মতো।” মামলা লড়তে গিয়ে রীতিমতো আঘাতও পেতে হয়েছে তাঁকে। তাই চিকিৎসা করাতে এসেছেন ভারতে। তিনি বলেছিলেন, “ফিরে গিয়ে ফের সওয়াল করব চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে।” আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না বলেই খবর। তবে বাংলাদেশে পৌঁছলেই যে রবীন্দ্র মামলা লড়তে পারবেন, এমন কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে মামলা লড়ার অপরাধে একাধিকবার খুনের হুমকি পেয়েছেন তিনি। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, প্রবীণ ওই আইনজীবী বাংলাদেশে পৌঁছলেই তাঁকে গ্রেফতার করবে মহম্মদ ইউনূসের পুলিশ। চিন্ময় কৃষ্ণকে যাতে বেশি দিন গারদে আটকে রাখা যায়, তাই এই ছক।

    আরও পড়ুন: জেএমবি-র সদস্যরাই এখন এবিটি-তে সক্রিয়, কবুল করল মুর্শিদাবাদে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিরা

    কী বলছেন প্রবীণ আইনজীবী?

    রবীন্দ্র বলেন, “বুধবারই দেশে ফেরার কথা ছিল আমার। কিন্তু বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেশে ফিরতে পারব কিনা, নিশ্চিত নই। তবে (Bangladesh Crisis) আমি ২০ জন আইনজীবী দিয়েছি।” তিনি বলেন, “আমার দুজন জুনিয়র আইনজীবী এবং আরও ১৮ জন দাসের পক্ষে আগামিকাল আদালতে উপস্থিত থাকবেন। আমি তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব (Rabindra Ghosh)। সুস্থ হয়ে উঠলে আমি বাংলাদেশে ফিরে আসব।” বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য তাঁর লড়াই চলবে বলেও জানান তিনি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 237: “ভাল কর্ম করলে সুফল, মন্দ কর্ম করলে কুফল; লঙ্কা খেলে ঝাল লাগবে না? এ-সব তাঁর লীলা-খেলা”

    Ramakrishna 237: “ভাল কর্ম করলে সুফল, মন্দ কর্ম করলে কুফল; লঙ্কা খেলে ঝাল লাগবে না? এ-সব তাঁর লীলা-খেলা”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৭ই জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে

    তান্ত্রিকভক্ত ও সংসার—নির্লিপ্তেরও ভয়

    তান্ত্রিকভক্ত—আজ্ঞা হাঁ, পাহাড়ের উপর দেখা যায় গোলাপের ক্ষেত। যতদূর চক্ষু যায় কেবল গোলাপের ক্ষেত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—পরমহংস দেখে, এ-সব তাঁর মায়ার ঐশ্বর্য। সৎ-অসৎ, ভাল-মন্দ, পাপ-পুণ্য। সব বড় দূরের কথা। সে অবস্থায় দল টল থাকে না।

    তান্ত্রিকভক্ত ও কর্মফল, পাপ-পুণ্য—Sin and Responsibility

    তান্ত্রিকভক্ত—তবে কর্মফল আছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাও আছে। ভাল কর্ম করলে সুফল, মন্দ কর্ম করলে কুফল; লঙ্কা খেলে ঝাল লাগবে না? এ-সব তাঁর লীলা-খেলা।

    তান্ত্রিকভক্ত—আমাদের উপায় কি? কর্মের ফল তো আছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—থাকলেই বা। তাঁর ভক্তের আলাদা কথা।

    এই বলিয়া (Kathamrita) গান গাইতেছেন:

    মন রে কৃষি কাজ জানো না।
    এমন মানব-জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা।
    কালীনামে দাওরে বেড়া, ফললে তছরূপ হবে না।
    সে যে মুক্তকেশীর শক্ত বেড়া, তার কাছেতে যম ঘেঁসে না ॥
    গুরুদত্ত বীজ রোপণ করে, ভক্তিবারি সেঁচে দেনা ৷
    একা যদি না পারিস মন, রামপ্রসাদকে সঙ্গে নেনা ॥

    আবার গান গাইতেছেন:

    শমন আসবার পথ ঘুচেছে, আমার মনের সন্দ ঘুচে গেছে।
    ওরে আমার ঘরের নবদ্বারে চারি শিব চৌকি রয়েছে ॥
    এক খুঁটিতে ঘর রয়েছে, তিন রজ্জুতে বাঁধা আছে।
    সহস্রদল কমলে শ্রীনাথ অভয় দিয়ে বসে আছে ॥

    “কাশীতে ব্রাহ্মণই মরুক আর বেশ্যাই মরুক শিব হবে।

    “যখন হরিনামে, কালীনামে, রামনামে, চক্ষে জল আসে তখনই সন্ধ্যা-কবচাদির কিছুই প্রয়োজন নাই। কর্মত্যাগ হয়ে যায়। কর্মের ফল (Kathamrita) তার কাছে যায় না।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) আবার গান গাইতেছেন:

    ভাবিলে ভাবের উদয় হয়।
    যেমন ভাব, তেমনি লাভ, মূল সে প্রত্যয়।
    কালীপদ সুধাহ্রদে চিত্ত যদি রয় (যদি চিত্ত ডুবে রয়)।
    তবে পূজা-হোম যাগযজ্ঞ কিছু নয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 238: “হাবাতেগুলোর বিশ্বাস হয় না! সর্বদাই সংশয়! আত্মার সাক্ষাৎকার না হলে সব সংশয় যায় না”

    Ramakrishna 238: “হাবাতেগুলোর বিশ্বাস হয় না! সর্বদাই সংশয়! আত্মার সাক্ষাৎকার না হলে সব সংশয় যায় না”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৭ই জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে

    তান্ত্রিকভক্ত ও সংসার—নির্লিপ্তেরও ভয়

    ঠাকুর (Ramakrishna) আবার গান গাহিতেছেন:

    ত্রিসন্ধ্যা যে বলে কালী, পূজা সন্ধ্যা সে কি চায় ৷
    সন্ধ্যা তার সন্ধ্যানে ফিরে, কভু সন্ধি নাহি পায় ॥
    গয়া গঙ্গা প্রভাসাদি কাশী কাঞ্চী কেবা চায় ৷
    কালী কালী কালী বলে আমার অজপা যদি ফুরায় ॥

    “তাঁতে মগ্ন হলে আর অসদ্বুদ্ধি, পাপবুদ্ধি থাকে না।”

    তান্ত্রিকভক্ত—আপনি যা বলেছেন “বিদ্যার আমি” থাকে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—বিদ্যার আমি, ভক্তের আমি। দাস আমি, ভাল আমি থাকে। বজ্জাত আমি চলে যায়। (হাস্য)

    তান্ত্রিকভক্ত—আজ্ঞা, আমাদের অনেক সংশয় চলে গেল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আত্মার সাক্ষাৎকার হলে সব সন্দেহ ভঞ্জন হয়।

    তান্ত্রিকভক্ত ও ভক্তির তমঃ—হাবাতের সংশয়—অষ্টসিদ্ধি 

    “ভক্তির তমঃ আন। বল, কি! রাম বলেছি (Ramakrishna), কালী বলেছি, আমার আবার বন্ধন; আমার আবার কর্মফল।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) আবার গান গাহিতেছেন:

      আমি দুর্গা দুর্গা বলে মা যদি মরি
    আখেরে এ-দীনে না তারো কেমনে, জানা যাবে গো শংকরী।
    নাশি গো ব্রাহ্মণ, হত্যা করি ভ্রূণ, সুরাপান আদি বিনাশী নারী;
       এ-সব পাতক না ভাবি তিলেক (ও মা) ব্রহ্মপদ নিতে পারি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ আবার বলিতেছেন—বিশ্বাস! বিশ্বাস! বিশ্বাস! গুরু বলে দিয়েছেন, রামই সব হয়ে রয়েছেন; ‘ওহি রাম ঘট্‌ ঘট্‌মে লেটা!’ কুকুর রুটি খেয়ে যাচ্ছে। ভক্ত বলছে, ‘রাম! দাঁড়াও, দাঁড়াও রুটিতে ঘি মেখে দিই’ এমনি গুরুবাক্যে বিশ্বাস।

    “হাবাতেগুলোর বিশ্বাস হয় না! সর্বদাই সংশয়! আত্মার সাক্ষাৎকার না হলে সব সংশয় যায় না।

    “শুদ্ধাভক্তি—কোন কামনা থাকবে না, সেই ভক্তি দ্বারা তাঁকে শীঘ্র পাওয়া যায়।

    “অণিমাদি সিদ্ধি—এ-সব কামনা। কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন, ভাই, অণিমাদি সিদ্ধাই, একটিও থাকলে ঈশ্বরলাভ হয় না; একটু শক্তি বাড়তে পারে।”

    “তান্ত্রিকভক্ত—আজ্ঞে, তান্ত্রিক ক্রিয়া আজকাল কেন ফলে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সর্বাঙ্গীণ হয় না, আর ভক্তিপূর্বক হয় না—তাই ফলে না।

    এইবার ঠাকুর কথা সাঙ্গ করিতেছেন। বলিতেছেন (Ramakrishna), ভক্তিই সার; ঠিক ভক্তের কোন ভয় ভাবনা নাই। মা সব জানে। বিড়াল ইঁদুরকে ধরে একরকম করে, কিন্তু নিজের ছানাকে আর-একরকম করে ধরে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: মহাকুম্ভ মেলায় ৩০০০টিরও বেশি বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রেলের

    Indian Railway: মহাকুম্ভ মেলায় ৩০০০টিরও বেশি বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেল (Indian Railway) আসন্ন পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela) ৩০০০টিরও বেশি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করেছে। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন এই ট্রেনগুলির মধ্যে ৫৬০টি ট্রেন ডেডিকেটড রিং রেল নেটওয়ার্ক হিসেবে পরিষেবা দেবে। আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলা, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই মেলায় সরকারের তরফে আগেই বলা হয়েছে আনুমানিক ৪৫ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম হবে। তাই যাতায়াত থেকে বাসস্থান, খাবার, চিকিৎসা এবং স্নানের বিষয়ে বিশেষ নজর রেখেছে যোগী প্রশাসন।

    ৯টি স্টেশনে ৫৬০টি টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা থাকবে (Indian Railway)

    রেলের উত্তর মধ্য ক্ষেত্রের মহা ব্যবস্থাপক উপেন্দ্র চন্দ্র জোশী প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “মহাকুম্ভকে মাথায় রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সহজ সরল করতে রেলের ৯টি স্টেশনে ৫৬০টি টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হবে। এই স্টেশনগুলি হল, প্রয়াগরাজ জংশন, নৈনি, প্রয়াগরাজ ছেওকি, প্রয়াগ জংশন, ফাফামাউ, প্রয়াগরাজ রামবাগ, প্রয়াগরাজ সঙ্গম এবং ঝাঁসি। কাউন্টারগুলি থেকে দৈনিক ১০ লক্ষ টিকিট কাটার পরিষেবা উপলব্ধ থাকবে। ১৫ দিন আগে থেকে টিকিট কাটা যাবে।”

    ১১৮৬টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ঢাকা থাকবে

    রেলের (Indian Railway) ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রিং রেল সংযোগ হিসেবে প্রয়াগরাজ-অযোধ্যা-বারাণসী-প্রয়াগরাজ, প্রয়াগরাজ-সঙ্গম প্রয়াগ-জৌনপুর-প্রয়াগ-প্রয়াগরাজ এবং গোবিন্দপুরী-প্রয়াগরাজ-চিত্রকূট-গোবিন্দপুরীকে সংযুক্ত করা হবে। সেই সঙ্গে ঝাঁসি-গোবিন্দপুরী-প্রয়াগরাজ-মানিকপুর-চিত্রকূট-ঝাঁসিকেও যুক্ত করা হবে। ৩০০০টিরও বেশি বিশেষ ট্রেনের মধ্যে ১৮০০টি স্বল্প-দূরত্বের রুটে, ৭০০টি বেশি দূরত্বের রুটে এবং ৫৬০টি রিং রেলের রুটে চলাচল করবে। এছাড়াও, মেলা (Mahakumbh Mela) চলাকালীন দৈনিক ১০,০০০ টিরও বেশি নিয়মিত ট্রেন চলবে। এই কাজে রেল নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে ১৮,০০০ আরপিএফ কর্মী মোতায়েন করা হবে। মোট ১,১৮৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা চালু থাকবে। যদি ভক্তরা সাময়িকভাবে অসুস্থ হন, তাহলে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার, কনসেনট্রেটর, ইসিজি মেশিন, গ্লুকোমিটার, নেবুলাইজার এবং স্ট্রেচারের ব্যবস্থাও রাখা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ansarullah Bangla Team: জেএমবি-র সদস্যরাই এখন এবিটি-তে সক্রিয়, কবুল করল মুর্শিদাবাদে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিরা

    Ansarullah Bangla Team: জেএমবি-র সদস্যরাই এখন এবিটি-তে সক্রিয়, কবুল করল মুর্শিদাবাদে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরাই এখন আর এক জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের (Ansarullah Bangla Team), যা সংক্ষেপে এবিটি নামেও পরিচিত, খাতায় নাম লিখিয়েছে বলে আগেই জানতে পেরেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এবার রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারাও জানালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তথ্যই ঠিক। সোমবার মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে গ্রেফতার হওয়া সাজিবুল ইসলাম ও মুস্তাকিন মণ্ডল ওরফে মোস্তাকিম শেখকে জেরা করেই এই তথ্যের সত্যতা মিলেছে। এসটিএফের দাবি, কয়েক বছর আগে সাজিবুল ও মুস্তাকিন জেএমবির স্লিপার সেলের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেছিল। বছর খানেক ধরে তারা কাজ করছে এবিটির হয়ে।

    এসটিএফের দাবি (Ansarullah Bangla Team)

    এসটিএফের দাবি, এলাকায় ঘুরে ঘুরে ওই দুই জঙ্গি স্থানীয় যুবকদের জঙ্গিদলে ভিড়িয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বাংলায় আসা এবিটির নেতা ফারহান ইসরাক-সহ দুই জঙ্গি সংগঠনের মাথাদের থাকার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ছিল ধৃতদের ওপর। আর্থিক দিক থেকে সংগঠনকে চাঙা করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাদের। গোয়েন্দারা জেনেছেন, নানা জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করে সাজিবুলরা পাঠাত ধরা পড়া শাদ রাডি ওরফে শাব শেখকে। তারা ঠিক কত টাকা সংগ্রহ করেছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জেএমবি এবং এবিটি এই দুই সংগঠনের সদস্যদের গোপন বৈঠক এবং শিবিরের আয়োজনের দায়িত্বও ছিল সাজিপুলদের ঘাড়ে। এই সাজিবুল (Ansarullah Bangla Team) শাবের পিসতুতো ভাই। ফারহান বাংলাদেশ থেকে শাবকে কোনও নির্দেশ দিলে, শাব তা জানাত সাজিবুলকে।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব রেমিট্যান্স তালিকায় শীর্ষে মোদির ভারত, বহু পিছনে চিন, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ১২ জন এবিটি সদস্য গ্রেফতার

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বাংলার দুই সহ মোট ১২ জন এবিটি সদস্যকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। অসমে গিয়ে গোয়েন্দারা শাব এবং নুর ইসলাম মণ্ডলকে জেরা করে জানতে পারে সাজিবুল ও মুস্তাকিনের নাম। রবিবার রাতে নওদা থানা এলাকা থেকে আটক করা হয় এই দুজনকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। তাদের জেরা করে কয়েকজন বাংলাদেশির নামও জেনেছেন গোয়েন্দারা। তারা কতজনকে সংগঠনের কাজে যুক্ত করেছে, তারও তত্ত্বতালাশ করছেন গোয়েন্দারা। সাব বহুবার নওদায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে এলেও, জেলা পুলিশ কেন কিছুই জানতে পারল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশিদের একাধিক ডেরা থাকলেও, জেলা পুলিশ কেন কিছুই টের পাচ্ছে না নাকি জানার চেষ্টা করছে না, সে প্রশ্নও উঠছে (Ansarullah Bangla Team)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Kalpataru Utsav: কল্পতরু উৎসবে জমজমাট বেলুড়-দক্ষিণেশ্বর, কাশীপুর, কামারপুকুরেও ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    Kalpataru Utsav: কল্পতরু উৎসবে জমজমাট বেলুড়-দক্ষিণেশ্বর, কাশীপুর, কামারপুকুরেও ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের কল্পতরু উৎসবে (Kalpataru Utsav) ভক্তদের ব্যাপক ঢল দক্ষিণেশ্বর ও কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। বছরের প্রথম দিনে এই উৎসবকে ঘিরে দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছে। সকাল থেকেই মা কালীকে দর্শন করে পুজো দিতে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীরা সমবেত হয়েছেন। পুলিশের কড়া নিরাপত্তা রয়েছে ভবতারিণী মন্দিরে (Dakshineswar)। অপর দিকে কাশীপুরেও সকাল থেকেই ঠাকুর দর্শন করতে প্রচুর ভক্তের সমাবেশ হয়েছে। একইভাবে যথাযথ ভাবে পালিত হচ্ছে বেলুমঠে ঠাকুরের পুজো ও আরাধনা। রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “সকল ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আনুমানিক লক্ষাধিক ভক্তের আগমন হয়েছে।”

    পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমে ভিড় বেশ চোখে পড়ার মতো (Kalpataru Utsav)

    আজকের দিনে কাশীপুরে খুব ধুমধাম করে কল্পতরু উৎসব (Kalpataru Utsav) পালন করা হয়। পুজোর সঙ্গে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একই ভাবে হাওড়ার বেলুড়ে এদিন ভক্তদের মারাত্মক ভিড় ছিল। নতুন বছরের শুভ কামনায় ঠাকুরের কাছে সকল ভক্তরা উপস্থিত হয়েছেন। সকাল থেকেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। একই ভাবে হুগলির কামারপুকুরের পাশপাশি পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমে ভিড় বেশ চোখে পড়ার মতো ছিল। এই বছর জনাই পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমের ৫০ তম বর্ষপূর্তি পালিত হচ্ছে।

    হংসেশ্বরী দক্ষিণা কালী মন্দিরেও ব্যাপক ভিড়

    বেলা যত বেড়েছে ভিড় তত বেড়েছে। হুগলির বাঁশবেড়িয়া হংসেশ্বরী মন্দির প্রায় ২১১ বছরের পুরাতন মন্দির। রাজা নৃসিংহ দেবরায় নির্মাণ করেছিলেন এই মন্দির। দক্ষিণাকালী রূপে মায়ের পূজা করা হয় এখানে। প্রতিবছর কল্পতরুর (Kalpataru Utsav) দিনে জেলা এবং জেলার বাইরের অনেক মানুষ এখানে আরাধনা করতে আসেন। এখানেও লৌকিক বিশ্বাস, যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায় মায়ের কাছে। তাই প্রতি বছর পুজো দেওয়ার জন্য অনেক লোকসমাগম হয়।  

    বারুইপুরে কল্পতরু উৎসব কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম

    আজকের দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে কল্পতরু উৎসব (Kalpataru Utsav) উপলক্ষে কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। মদনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুবন টগরবেড়িয়া বিশালাক্ষী মায়ের মন্দিরে কল্পতরু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মন্দিরে পুজোদিলে ভক্তদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়। আজ থেকে প্রায় ৬০-৭০ বছর আগে মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেই সময় ঘন জঙ্গলে ডাকাত থাকত এলাকায়। ডাকাতির পর এই মন্দিরে বসে লুটের মাল ভাগ হত। একই ভাবে ডাকাতির পর অর্জিত ধনের কিছু অংশ মায়ের মন্দিরে অর্পণ করা হত। মন্দিরে ঘোরা ফেরা করত প্রচুর সাপ।

    কবে থেকে চালু কল্পতরু উৎসব?

    ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কল্পতরু উৎসবের (Kalpataru Utsav) সূচনা হয়েছিল। ঠাকুর রামকৃষ্ণ ভক্তদের উদ্দেশে বলেছিলেন ‘তোমাদের চৈতন্য হোক’। এরপর থেকে দিনকে স্মরণ করে পালিত হচ্ছে কল্পতরু উৎসব। এদিন ঠাকুর নিজের বিগ্রহে কল্পতরু রূপে বিরাজমান হন। মা কালী ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূরণ করে থাকেন। উল্লেখ্য, এই দিনের কিছু মাস পরেই ঠাকুর নিজের দেহ রক্ষা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড কুখ্যাত হামাস কমান্ডারকে খতম করার দাবি ইজরায়েলের

    Israel: ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড কুখ্যাত হামাস কমান্ডারকে খতম করার দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন এই হামাস (Hamas) নেতা। এবার তাঁকে নিকেশ করল ইজরায়েল (Israel)। সেদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, গাজায় একটি আশ্রয় শিবিরে আত্মগোপন করে ছিলেন জঙ্গিনেতা আব্দ আল-হাদি সাবা (Abd al-Hadi Sabah)। এখান থেকেই সমস্ত নাশকতামূলক কাজের পরিচালনা করতেন তিনি। এবার এই ঘাতক হামলাকারীকে হত্যা করল ইহুদি সেনা।

    কুখ্যাত জঙ্গিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিল ইজরায়েল (Israel)

    ইজরায়েল (Israel) সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামাসের এলিট বাহিনীর নুখবা-র অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন আব্দ আল-হাদি। গাজায় ইজরায়েলি বায়ুসেনার অভিযানে (Hamas) ওই হামাস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলের কিবুৎজ নির ওজে হামলার দায়িত্ব ছিলেন সাবা। একাধিক হত্যা এবং অপহরণের মামলায় জড়িত ছিলেন তিনি। ইহুদি সেনার দাবি, গাজার খান ইউনিসের মানবাধিকার অঞ্চলের একটি আশ্রয় শিবিরে লুকিয়ে ছিলেন। এখান থেকেই দলের কাজকর্ম পরিচালনা করতেন এই হামাস নেতা। আবার এই কুখ্যাত জঙ্গিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিল ইজরায়েল।

    অক্টোবরে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও হত্যা করা হয়েছে

    উল্লেখ্য, আগে গাজায় হামলায় নিহত হয়েছিলেন নুখবা-র আর এক কমান্ডার বিলাল আল কেদরা। ইহুদি (Israel) সেনার দাবি, এই জঙ্গি কিবুৎজ নিরিম ও নির ওজে হামলার দায়িত্বে ছিলেন। এই অক্টোবর মাসে নিহত হয়েছেন হামাস (Hamas) গোষ্ঠীর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারও। হামাসের হামলার পর থাকেই ইজরায়েলি সেনার হাতে প্রাণ গিয়েছে একের পর এক শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার। তবে কিছুদিন আগেই হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথাও স্বীকার করে নিয়েছে ইজরায়েল। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইজারায়েলের দিকে কেউ হাত ওঠালে তা কেটে ফেলা হবে।

    প্রায় ১২০০ জন ইহুদিকে খুন করে হামাস

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইহুদিদের (Israel) বাৎসরিক উৎসবের দিনে হামাস (Hamas), হিজবুল্লা সহ একাধিক সংগঠন আচমকা হামলা করে। বোমা, রকেট হামলায় কেঁপে ওঠে ইজরায়েল। প্রায় ১২০০ জনকে ওই রাতে খুন করা হয়। ২৫০ জনকে অপহরণ করে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই পাশবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায় ভারত। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে মরিয়া হয়ে একে একে হামাস নেতাকে খুঁজে খুঁজে খতম করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক ৮ জানুয়ারি

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক ৮ জানুয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) বৈঠক হবে ৮ জানুয়ারি। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেন, “এক দেশ, এক নির্বাচন পরিচালনা করা সহজ কাজ নয়। যৌথ সংসদীয় কমিটি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।” তিনি বলেন, “যখন সংসদীয় কমিটি বসবে, তখন সব বিষয় তাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং আলোচনা করা হবে।”

    যৌথ বিবৃতি (One Nation One Election)

    বামপন্থী দলগুলো সরকারের ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সেই কারণেই লোকসভায় দুটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বামপন্থীদের বক্তব্য, এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও রাজ্য বিধানসভাগুলির অধিকারগুলির ওপর সরাসরি আক্রমণ। যৌথ বিবৃতিতে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) মুক্তি, বিপ্লবী সোশ্যালিস্ট পার্টি এবং অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা বলেন, “সংবিধানে প্রস্তাবিত সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং রাজ্য আইনসভা ও তাদের নির্বাচিত জনগণের অধিকারগুলির ওপর সরাসরি আক্রমণ। এটি কেন্দ্রীকরণের একটি রেসিপি এবং আইনসভাগুলির পাঁচ বছরের মেয়াদকে অযৌক্তিকভাবে কমিয়ে জনগণের ইচ্ছাকে সংকুচিত করার চেষ্টা।”

    আরও পড়ুন: দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, কে কী লিখলেন?

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’

    প্রসঙ্গত, সংসদের শীতকালীন (One Nation One Election) অধিবেশনেই লোকসভায় পেশ হয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত দুটি বিল। ওই বিলে ভারতের সর্বত্র লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার জন্য এক সঙ্গে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার স্বার্থে বিল পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিলটি পর্যালোচনার জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জন সদস্য লোকসভার। এর মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং মণীষ তিওয়ারি, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির পিপি চৌধুরী, বাঁসুরি স্বরাজ এবং অনুরাগ সিং ঠাকুর। রাজ্যসভার দশজন সদস্যকেও প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিরোধী দলের সদস্যরা সংশোধনীগুলোর বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের যুক্তি, প্রস্তাবিত পরিবর্তনটি শাসক দলকে অযথা সুবিধা দিতে পারে। যার ফলে রাজ্যগুলিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার অতিরিক্ত প্রভাব পড়বে। ক্ষুণ্ণ হবে আঞ্চলিক দলের স্বায়ত্তশাসন (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rule Change: বছরের প্রথম দিন থেকেই ইপিএফও, ইউপিআই, জিএসটি ও ভিসার নিয়মে বদল এসেছে, জানেন তো?

    Rule Change: বছরের প্রথম দিন থেকেই ইপিএফও, ইউপিআই, জিএসটি ও ভিসার নিয়মে বদল এসেছে, জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পরিবর্তিত হল ইপিএফও (EPFO), ইউপিআই (UPI), জিএসটি (GST) এবং ভিসা (Visa) কিছু নিয়ম। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু নিয়ন্ত্রক এবং আর্থিক পরিবর্তন কার্যকর হচ্ছে। ফলে সারা দেশের নাগরিকদের প্রভাবিত করবে এই নিয়মগুলি (Rule Change)। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) পদ্ধতি থেকে শুরু করে ইউপিআই-এর ব্যবহার— সব কিছুর মধ্যে বদল কার্যকর হল বুধবার থেকেই। কেমন সেই নতুন নিয়মগুলি, একবার জেনে নেওয়া যাক।

    এপিএফও-র নতুন নিয়ম (Rule Change)

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পেনশন পেমেন্ট সিস্টেমের (EPFO UPI GST Visa) অংশ হিসেবে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পিএফ থেকে পেনশন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটিকে আরও সুগম করা হবে। পেনশনভোগীরা এখন বাড়িতে ভেরিফিকেশনের ঝামেলা দূর করে যে কোনও ব্যাঙ্কে তাঁরা পেনশন তোলার সুবিধা পাবেন। এটিএম থেকেও টাকা তোলার প্রক্রিয়া শীঘ্রই চালু করবে ইপিএফও। ফলে, গ্রাহক ২৪ ঘণ্টাই টাকা তোলার সুবিধা পাবেন।

    জিএসটি

    জিএসটি (EPFO UPI GST Visa) পোর্টালে ভালো নিরাপত্তার জন্য করদাতাদের মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বাধ্যতামূলক করা হবে (Rule Change)। অতিরিক্তভাবে, ই-ওয়ে বিল শুধুমাত্র ১৮০ দিনের পুরনো নথিগুলির জন্য তৈরি করা যাবে।

    ইউপিআই এবং কৃষক ঋণ

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-এর সম্প্রতি একটি সার্কুলার দিয়ে জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ইউপিআই ১২৩পে-র মাধ্যমে (EPFO UPI GST Visa) করে ফিচার ফোন ব্যবহারকারীরা অনলাইন পেমেন্ট করে লেনদেনের সীমা বৃদ্ধি করতে পারবেন। নতুন সীমা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। একই ভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কৃষকদের জন্য অসুরক্ষিত ঋণের সীমা ১.৬০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করেছে। এই বৃদ্ধি বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে (Rule Change)। কৃষকদের আরও আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে সবরকম ভাবে উন্নত কৃষি ব্যবস্থা এবং বিনিয়োগে সহায়তা করার কথাও জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বছরের প্রথম দিনেই সুখবর, রান্নার গ্যাসের দাম কমল সিলিন্ডার প্রতি ১৬ টাকা!

    ভিসার প্রয়োজনীয়তা

    ১ জানুয়ারি থেকে ভারতে অ-অভিবাসী ভিসা (EPFO UPI GST Visa) আবেদনকারীরা প্রথমবার বিনামূল্যে তাঁদের নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিনক্ষণ পাল্টাতে পারবেন। তবে দ্বিতীয়বার থেকে নতুন করে ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রক্রিয়াকে সুগম করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    এইচ-১বি ভিসা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন (Rule Change)

    নতুন নিয়মে ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে এইচ-১বি ভিসার (Visa) প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করা হয়েছে। নিয়োগকর্তাদের নিয়মে সরলীকরণ করা হয়েছে। ভারতীয় এফ-১ ভিসাধারীদের জন্য সহজলভ্য করে তোলা হচ্ছে প্রক্রিয়াকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dubrajpur: কৃষি জমি রক্ষা কমিটির অফিসে আটক রেশমি কোম্পানি গ্রুপের চার অফিসার

    Dubrajpur: কৃষি জমি রক্ষা কমিটির অফিসে আটক রেশমি কোম্পানি গ্রুপের চার অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবরাজপুর (Duborajpur) থানার লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় লোবা জেসিবি মোড়ে কৃষি জমি রক্ষা কমিটির (Krishi Jomi Raksha Committee) অফিসে আটক রেশমি কোম্পানি গ্রুপের চার অফিসার ও দুটি বোলারো গাড়ি।

    গ্রামবাসীদের দাবি (Duborajpur)

    লোবা জমিরক্ষা কমিটির দাবি, লোবা-ফকিরবেড়া-সাহেবগঞ্জ গ্রামে জমি অধিগ্রহণ করতে হলে, কৃষি জমি রক্ষা কমিটির দাবি মেনে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ সহ পুনর্বাসন প্যাকেজ দিতে হবে।  তবেই এই এলাকায় শিল্প করা যাবে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আলোচনা সাপেক্ষে ওই ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। তবেই লোবা গ্রামপঞ্চায়েতের জমি অধিগ্রহণ করা যাবে। মাটির নীচে যে বিপুল পরিমাণ কয়লা রয়েছে, তা উত্তোলন করা যাবে।

    জনতার হাতে আটক

    মঙ্গলবার যে চার আধিকারিককে জনতা আটক করে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন ওসি দেবু সিনহা ওরফে দেবব্রত সিনহা, ফিল্ড অফিসার সত্যজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঞ্চন চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন ডিএসপি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদের মধ্যে দেবব্রত সিনহা ও চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই এই জেলারই প্রাক্তন পুলিশ অফিসার। অবসর গ্রহণের পর দুজনেই এখন রেশমি কোম্পানিতে উঁচুপদে কর্মরত। তাঁদের নেতৃত্বেই ফকিরবেড়া গ্রামে জমি মাপজোক করতে এসেছিল রেশমি কোম্পানি। প্রসঙ্গত, লোবা ফকিরবেড়া সাহেবগঞ্জের মাটির নীচে প্রচুর পরিমাণ কয়লা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাক-আফগান সম্পর্ক তলানিতে, লাভবান হবে ভারত?

    বেঙ্গল এমটা গ্রুপ প্রথমে কয়লা খনি করবে বলে এই অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণ করার কাজ শুরু করে। কিন্তু তাঁদের যা পুনর্বাসন প্যাকেজ, তা মানতে অস্বীকার করেন স্থানীয়রা। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা (Duborajpur) কৃষিজমি রক্ষা কমিটি গড়ে পথে নামেন। এর আগে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় লোবা গ্রাম পরিদর্শনে এসে গ্রামবাসী ও জমি রক্ষা কমিটি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিশ্রুতি দেন লোবায় কয়লা উত্তোলন করা হবে না। তাঁরা জেসিবি মেশিন আটকে রাখেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে জেসিবি উদ্ধারে পাঠায় রাজ্য সরকার। লোবা জমি রক্ষা কমিটির সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। জখম হন জমি রক্ষা কমিটির বেশ কয়েকজন। পিছু হটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। গ্রামবাসীদের সাফ কথা, কৃষি জমি রক্ষা কমিটির (Krishi Jomi Raksha Committee) দাবি মেনে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ সহ পুনর্বাসন প্যাকেজ (Duborajpur) দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share