Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 235: “জালে প্রথম প্রথম বড় বড় মাছ পড়ে—রুই, কাতলা… তারপর চুনোপুঁটি, পাঁকাল মাছ বেরোয়”

    Ramakrishna 235: “জালে প্রথম প্রথম বড় বড় মাছ পড়ে—রুই, কাতলা… তারপর চুনোপুঁটি, পাঁকাল মাছ বেরোয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    সাধনার প্রয়োজন—গুরুবাক্যে বিশ্বাস—ব্যাসের বিশ্বাস

    জ্ঞানীর লক্ষণ—সাধনসিদ্ধ ও নিত্যসিদ্ধ 

    “সোঽহংসোঽহম্‌ কল্লেই হয় না। জ্ঞানীর (Ramakrishna) লক্ষণ আছে। নরেন্দ্রের চোখ সুমুখঠেলা। এঁরও কপাল ও চোখের লক্ষণ ভাল।

    “আর, সব্বায়ের এক অবস্থা নয়। জীব চার প্রকার বলেছে,—বদ্ধজীব, মুমুক্ষুজীব, মুক্তজীব, নিত্যজীব। সকলকেই যে সাধন (Kathamrita) করতে হয়, তাও নয়। নিত্যসিদ্ধ আর সাধনসিদ্ধ। কেউ অনেক সাধন করে ঈশ্বরকে পায়, কেউ জন্ম অবধি সিদ্ধ, যেমন প্রহ্লাদ। হোমাপাখি আকাশে থাকে। ডিম পাড়লে ডিম পড়তে থাকে। পড়তে পড়তেই ডিম ফুটে। ছানাটা বেরিয়ে আবার পড়তে থাকে। এখনও এত উঁচু যে, পড়তে পড়তে পাখা ওঠে। যখন পৃথিবীর কাছে এসে পড়ে, পাখিটা দেখতে পায়, তখন বুঝতে পারে যে, মাটিতে লাগলে চুরমার হয়ে যাবে। তখন একেবারে মার দিকে চোঁচা দৌড় দিয়ে উড়ে যায়। কোথায় মা! কোথায় মা!

    “প্রহ্লাদাদি নিত্যসিদ্ধের সাধন-ভজন পরে। সাধনের আগে ঈশ্বরলাভ (Ramakrishna)। যেমন লাউ কুমড়োর আগে ফল, তারপরে ফুল। (রাখালের বাপের দিকে চাহিয়া) নীচ বংশেও যদি নিত্যসিদ্ধ জন্মায়, সে তাই হয়, আর কিছু হয় না। ছোলা বিষ্ঠাকুড়ে পড়লে ছোলাগাছই হয়!”

    শক্তিবিশেষ ও বিদ্যাসাগর—শুধু পাণ্ডিত্য 

    “তিনি কারুকে বেশি শক্তি, কারুকে কম শক্তি দিয়েছেন। কোনখানে একটা প্রদীপ জ্বলছে, কোনখানে একটা মশাল জ্বলছে। বিদ্যাসাগরের এক কথায় তাকে চিনেছি, কতদুর বুদ্ধির দৌড়! যখন বললুম (Kathamrita) শক্তিবিশেষ, তখন বিদ্যাসাগর বললে, মহাশয়, তবে কি তিনি কারুকে বেশি, কারুকে কম শক্তি দিয়েছেন? আমি অমনি বললুম, তা দিয়েছেন বইকি। শক্তি কম বেশি না হলে তোমার নাম এত কম হবে কেন? তোমার বিদ্যা, তোমার দয়া—এই সব শুনে তো আমরা এসেছি। তোমার তো দুটো শিং বেরোয় নাই! বিদ্যাসাগরের এত বিদ্যা, এত নাম, কিন্তু এত কাঁচা কথা বলে ফেললে, ‘তিনি কি কারুকে কম শক্তি দিয়েছেন?’ কি জান, জালে প্রথম প্রথম বড় বড় মাছ পড়ে—রুই, কাতলা। তারপর জেলেরা পাঁকটা পা দিয়ে ঘেঁটে দেয়, তখন চুনোপুঁটি, পাঁকাল এই সব মাছ বেরোয়—একটু দেখতে দেখতে ধরা পড়ে। ঈশ্বরকে না জানলে ক্রমশঃ ভিতরের চুনোপুঁটি বেরিয়ে পড়ে। শুধু পণ্ডিত (Ramakrishna) হলে কি হবে?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: ইজরায়েলে ১৬০০০ ভারতীয় শ্রমিককে নির্মাণ কাজে প্রবেশের অনুমতি, ঢুকতে বাধা ফিলিস্তিনিদের

    Israel: ইজরায়েলে ১৬০০০ ভারতীয় শ্রমিককে নির্মাণ কাজে প্রবেশের অনুমতি, ঢুকতে বাধা ফিলিস্তিনিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলে (Israel) ১৬০০০ ভারতীয় শ্রমিককে (Indian worker) নির্মাণ কাজের জন্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে ফিলিস্তিনিদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে এই ইহুদি দেশে। উল্লেখ্য গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হামাস, ফিলিস্তিনির মাটি ব্যবহার করে আচমকা ইজরায়েলের উপর আক্রমণ করেছিল। প্রচুর নারী, শিশু এবং সাধারণ নাগরিককে অকাতরে হত্যা করেছিল ঘাতক জঙ্গিরা। একই ভাবে ২০০ জনের বেশি নাগরিককে অপহরণ করেছিল হামাস। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ ব্যাপক আকার নিয়েছে। ইহুদি সেনার লাগাতার হামলায় ফিলিস্তিনিতে থাকা একাধিক হামাসের গোপন আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    মুসলিম শ্রমিকদের প্রবেশাধিকারে প্রতিবন্ধকতা

    ইজরায়েলের (Israel) ইয়াকভ শহরের নতুন নতুন ভবন নির্মাণে ভারতীয় শ্রমিকদের (Indian worker) কাজ লাগানো হচ্ছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা বেল্ট, হেলমেট, হাতুড়ি এবং কাজের জুতো পরা রাজু নিষাদ নামক এক ভারতীয়দের দেখা গিয়েছে। হামাসের আক্রমণের আগে এই এলাকায় নির্মাণ কাজে বিশেষ করে উঁচু টাওয়ার, বাড়িঘর, রাস্তা এবং ফুটপাথের কাজে প্রচুর আরবি ভাষার কথা বলা শ্রমিকদের ভিড় ছিল। বলার অপেক্ষা রাখে না এখানে মুসলিম ধর্মের শ্রমিকরা কাজ করত বেশি পরিমাণে, কিন্তু এই জায়গায় বর্তমানে হিন্দি, হিব্রু ভাষার শ্রমিকদের আধিক্য বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সুতরাং রাজনীতির বিশেজ্ঞদের অনেকই মনে করছেন এবার ইজরায়েল তাদের দেশে নির্মাণ শিল্পে আরবী ভাষায় কথা বলা মুসলিম শ্রমিকদের প্রবেশাধিকারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

    আরও পড়ুনঃ বাইরের কেউ দেখলে অশ্লীলতা! মেয়েদের ঘরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করার নিদান দিল তালিবান

    বাড়ি নির্মাণের কাজে আয় অনেক বেশি

    ভারতীয় হিন্দি ভাষায় কথা বলা শ্রমিক রাজু নিশাদ (Indian worker) জানিয়েছেন, “এখানে এখন ভয়ের কিছু নেই। তবে বিমান হামলার (Israel) ভয় ছিল একটা সময়ে। বিপদ জনক মনে হলে সাইরেন বাজানো হয়, কাজ বন্ধ রাখি তখন আবার সাইরেন বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের কাজ শুরু হয়। সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করতে হচ্ছে। এখানে বাড়ি নির্মাণের কাজে আয় অনেক বেশি। আর এই জন্য অনেক ভারতীয়রা এখানে এসে কাজ করছেন। এই আয় আমাদের ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য ব্যবহার করার কাজে হবে।”

    বিরাট কাজের বাজার এখন ইজরায়েল!

    জানা গিয়েছে, কাজের জন্য ভারত থেকে গত ১ বছরে ১৬০০০ কর্মীরা এখন কাজ করছেন এই ইহুদিদের (Israel) দেশে। গত কয়েক দশক ধরে ইজরায়েলে হাজার হাজার মানুষ বয়স্ক লোকেদের দেখাশোনার কাজে এসে কাজ করে থাকেন। একই ভাবে প্রচুর হীরা ব্যবসায়ী, আইটি পেশাদারি কাজে অনেক লোক যুক্ত রয়েছেন, কিন্তু গাজায় যুদ্ধ চলার পর থেকেই একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আবার দিল্লি-ভিত্তিক ডায়নামিক স্টাফিং সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান সমীর খোসলা বলেন, “৫০০০০০ ভারতীয়কে ৩০টিরও বেশি দেশে কাজ করার জন্য পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৩৫০০ এরও বেশি কর্মীকে ইজরায়েলে (Israel) গিয়েছেন। ওখানে একটি নতুন কাজের বাজার তৈরি হয়েছে।”

    আরও জানা গিয়েছে তেল আবিবে ভারতীয়রা (Indian worker) রান্নার কাজে অনেকে কাজ করে থাকেন। হামাসের হামলার আগে ৮০০০০০ ফিলিস্তিনি নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে সেই সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। বর্তমানে ৩০০০০ বিদেশি কর্মীরা কর্মরত রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tata Group: আগামী ৫ বছরে ৫ লক্ষের বেশি উৎপাদন শিল্পে কর্মসংস্থানের ঘোষণা টাটা গোষ্ঠীর

    Tata Group: আগামী ৫ বছরে ৫ লক্ষের বেশি উৎপাদন শিল্পে কর্মসংস্থানের ঘোষণা টাটা গোষ্ঠীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৫ বছরে ৫০০,০০০ টির বেশি উৎপাদন শিল্পে কর্মসংস্থানের (Manufacturing Jobs) কথা জানালেন টাটা গ্রুপের (Tata Group) চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ। তিনি এই সম্ভাবনার কথা বলে অত্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। নতুন বছরে জন্য এই বার্তা বর্তমান কর্মী এবং যুব সমাজের কাছে বিরাট খুশির খবর বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

    ব্যাটারি, সেমি কন্ডাক্টার, বৈদ্যুতিক যান ও সৌর সরঞ্জাম নির্মাণে ব্যাপক সম্ভাবনা (Manufacturing Jobs) 

    টাটার (Tata Group) পক্ষে এন চন্দ্রশেখরণ বলেন, “আগামী প্রজন্মের জন্য বিরাট কর্মসংস্থানের কথা আমরা ভাবছি। একাধিক কারখানা এবং বিনিয়োগ ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করব। ব্যাটারি, সেমি কন্ডাক্টার, বৈদ্যুতিক যান, সৌর সরঞ্জাম এবং আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার উৎপাদনের উপর নজর দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এই সব ক্ষেত্র ভারতের অর্থনীতিকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করবে। একই ভাবে এইসব উৎপাদনের বাইরে প্রযুক্তি পরিষেবা, এয়ারলাইন্স, পর্যটন এবং আতিথেয়তা সহ পরিষেবা ভিত্তিক সেক্টরে বেশি বেশি পরিমাণে কর্মসংস্থান (Manufacturing Jobs) তৈরি করা হবে। একইভাবে দেশের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কথাও ভাবা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত মন্দির চাই’, সাধু-সন্তদের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    গুজরাট-কর্নাটক-তামিলনাড়ুতে বিনিয়োগ

    এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “গুজরাটের ধলেরাতে ভারতের প্রথম সেমি কন্ডাক্টার ওএসটি প্ল্যান্ট সহ সাতটিরও বেশি নতুন উৎপাদন সুবিধার জন্য নির্মাণ শুরু হয়েছে। এই রাজ্যের সানন্দে নতুন ব্যাটারি সেল তৈরি করা হবে। আবার ভাদোদরায় সি২৯৫ ফাইনাল অ্যাসেম্বলি লাইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। একই ভাবে আরও অতিরিক্ত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কর্নাটকের নারসাপুরায় একটি ইলেকট্রনিক্স অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট, তামিলনাড়ুর পানপাক্কামে একটি স্বয়ংচালিত কারখানা, তিরুনেলভেলিতে সোলার মডিউল উৎপাদন চালু করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উৎপাদন শিল্প (Manufacturing Jobs) হল দুটি ক্ষেত্র, যা অর্থনৈতিক সামাজিক অগ্রগতির জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়।”

    তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতে ভারতের কাছে এখন অপার সম্ভাবনা রয়েছে। একদিকে যেমন বিদেশী সংস্থাগুলি বিনিয়োগে ভারতকে একটি বৃহৎ হাব বলে মনে করছেন, তেমনি দেশীয় বিলগ্নীকারী সংস্থাগুলিও দেশের বাজারকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে প্রবলভাবে উৎসাহী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে টাটা গোষ্ঠী (Tata Group) হল প্রধান সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘অভিষেক-ঘনিষ্ঠ’ পাথর ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়েতে ঝাঁপিয়ে পড়ল টলিউড-বলিউড!

    Birbhum: ‘অভিষেক-ঘনিষ্ঠ’ পাথর ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়েতে ঝাঁপিয়ে পড়ল টলিউড-বলিউড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে জোর চর্চা বীরভূমের (Birbhum) এক পাথর ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়ে নিয়ে! বলিউড-টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী ছাড়াও বিয়েতে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ছিল সাড়ে ১২ হাজার! ভাবা যায়!  টলিউড-বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শুধু এসেছেন, এমনটাও নয়! রীতিমতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে (Birbhum) তাঁরা হাজির হন টুলুর মেয়ের বিয়েতে! এখানেই শেষ নয়, নিমন্ত্রিতদের প্রত্যেকের জন্য ছিল দামি উপহার! অতিথিদের গাড়ি রাখার জন্য ঘিরে ফেলা হয় এক্কেবারে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমি! সঙ্গে আধুনিক কার-কলিং সিস্টেম! ড্রাইভারদের জন্য রেস্ট রুম, সঙ্গে খাওয়ার ব্যবস্থা! ব্যবসায়ীর মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য ও অতিথিদের বসার জন্য প্রায় ২০ বিঘা এলাকাজুড়ে তৈরি হয় বিবাহ মণ্ডপ! প্যান্ডেল রয়েছে একেবারে দেড় কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে! এত বিপুল আয়োজন করে কোন ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়ে হল? ব্যক্তির নাম টুলু মণ্ডল ওরফে মহম্মদ নাজিবউদ্দিন। বীরভূমের রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, টুলু (Tulu Mondal) হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও, টুলুর মাথায় হাত রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল সমেত জেলা তৃণমূলের অন্যান্য নেতারও।

    কীভাবে হল টুলুর উত্থান?

    মহম্মদবাজার থানার (Birbhum) সোঁতশালে আদি বাড়ি এই টুলু মণ্ডলের! পাথরের ট্রাকে চেলি মেশানোই ছিল টুলু মণ্ডলের প্রথম জীবনের কাজ! রাজ্যে পালা বদলের সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। পাথর, বালি, সহ বিভিন্ন ট্রাকের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত টোল তোলার বরাত দেওয়া হয় এই টুলু মণ্ডলকে। সেই শুরু। জেলার শাসক দলের অন্দরে শোনা যায়, নামে বেনামে কলকাতা থেকে বীরভূম একাধিক বাড়ি জমি ফ্ল্যাট বাংলো কিনে রেখেছেন এই টুলু মণ্ডল! ব্যবসায়ীর একাধিক আস্তানায় ২০২২ সালের ৩ অগাস্ট ইডি হানা দেয়। তবে তখন তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। রবীন্দ্রপল্লি, সাজানোপল্লির বাড়ি সহ একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা! কেউ কেউ বলছেন, বেআইনি পাথর খাদানের ব্যবসাতেই বর্তমানে এই ব্যবসায়ী ফুলেফেঁপে উঠেছেন।

    টুলুর বেয়াই বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছিল ইডি

    একইভাবে টুলুর বেয়াই বারিক বিশ্বাসের উত্থান কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ। এক কালে বারিক বিশ্বাস ছিলেন সামান্য ট্রাক চালক। বারিকের বিরুদ্ধে সোনা পাচারেরও অভিযোগ উঠেছিল ২০১৫ সালে। সেসময় তাঁকে গ্রেফতার করে শুল্ক দফতর। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি। ২০২১ সালে গরু পাচার মামলায় সিবিআই বারিককে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। ২০২২ সালে রাজ্য পুলিশের সিআইডি কয়লা পাচার মামলায় বারিককে গ্রেফতার করে। ২০২৪ সালে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি বারিকের চালকলে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। বারিক বর্তমানে জামিন পেয়ে এখন উত্তর ২৪ পরগনার বাড়িতে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 234: “মন স্থির হলে বায়ু স্থির হয়—কুম্ভক, এই কুম্ভক ভক্তিযোগেতেও হয়; ভক্তিতে বায়ু স্থির হয়ে যায়”

    Ramakrishna 234: “মন স্থির হলে বায়ু স্থির হয়—কুম্ভক, এই কুম্ভক ভক্তিযোগেতেও হয়; ভক্তিতে বায়ু স্থির হয়ে যায়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    সাধনার প্রয়োজন—গুরুবাক্যে বিশ্বাস—ব্যাসের বিশ্বাস

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও যোগতত্ত্ব—জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ 

    ‘আমিই সেই’ ‘আমি শুদ্ধ আত্মা’—এটি জ্ঞানীদের মত। ভক্তেরা বলে, এ-সব ভগবানের ঐশ্বর্য (Ramakrishna)। ঐশ্বর্য না থাকলে ধনীকে কে জানতে পারত? তবে সাধকের ভক্তি দেখে তিনি যখন বলবেন, ‘আমিও যা, তুইও তা’ তখন এক কথা। রাজা বসে আছেন, খানসামা যদি রাজার আসনে গিয়ে বসে, আর বলে, ‘রাজা তুমিও যা, আমিও তা’ লোকে পাগল বলবে। তবে খানসামার সেবাতে সন্তুষ্ট হয়ে রাজা একদিন বলেন, ‘ওরে, তুই আমার কাছে বোস, ওতে দোষ নাই; তুইও যা, আমিও তা!’ তখন যদি সে গিয়ে বসে, তাতে দোষ হয় না। সামান্য জীবেরা যদি বলে, ‘আমি সেই’ সেটা ভাল না। জলেরই তরঙ্গ; তরঙ্গের কি জল হয় (Kathamrita)?

    “কথাটা এই—মন স্থির না হলে যোগ হয় না, যে পথেই যাও। মন যোগীর বশ! যোগী মনের বশ নয়।

    “মন স্থির হলে বায়ু স্থির হয়—কুম্ভক হয়। এই কুম্ভক ভক্তিযোগেতেও হয়; ভক্তিতে বায়ু স্থির হয়ে যায়। ‘নিতাই আমার মাতা হাতি’, ‘নিতাই আমার মাতা হাতি!’ এই বলতে বলতে যখন ভাব হয়ে যায়, সব কথাগুলো বলতে (Kathamrita) পারে না, কেবল ‘হাতি’! ‘হাতি’! তারপর শুধু ‘হা’। ভাবে বায়ু স্থির হয়—কুম্ভক (Ramakrishna) হয়।

    “একজন ঝাঁট দিচ্ছে, একজন লোক এসে বললে, ‘ওগো, অমুক নেই, মারা গেছে!’ যে ঝাঁট দিচ্ছে তার যদি আপনার লোক না হয়, সে ঝাঁট দিতে থাকে, আর মাঝে মাঝে বলে, ‘আহা, তাই তো গা, লোকটা মারা গেল! বেশ ছিল!’ এদিকে ঝাঁটাও চলছে। আর যদি আপনার লোক হয়, তাহলে ঝাঁটা হাত থেকে পড়ে যায়, আর ‘এ্যাঁ’! বলে বসে পড়ে। তখন বায়ু স্থির হয়ে গেছে; কোন কাজ বা চিন্তা করতে পারে না। মেয়েদের ভিতর দেখ নাই! যদি কেউ অবাক্‌ হয়ে একটা জিনিস দেখে বা একটা কথা শুনে, তখন অন্য মেয়েরা বলে (Kathamrita), তোর ভাব লেগেছে নাকি লো! এখানেও বায়ু স্থির (Ramakrishna) হয়েছে, তাই অবাক্‌, হাঁ করে থাকে।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhatrapati Shivaji: চিন সীমান্তে ১৪ হাজার ৩০০ ফুট উচ্চতায় ছত্রপতি শিবাজির মূর্তি! কড়া বার্তা ভারতের

    Chhatrapati Shivaji: চিন সীমান্তে ১৪ হাজার ৩০০ ফুট উচ্চতায় ছত্রপতি শিবাজির মূর্তি! কড়া বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তের কাছে প্যাংগং হ্রদের তীরে ভারতীয় সেনা ১৪ হাজার ৩০০ ফুট উঁচুতে মারাঠা যোদ্ধা ছত্রপতি শিবাজির (Chhatrapati Shivaji) মূর্তি স্থাপন করেছে। ভারত-চিন সীমান্তে ভারতীয় শৌর্য-বীর্যের প্রতীক শিবাজির এই মূর্তিটি প্রাচীন কৌশলগত বুদ্ধিমত্তারও পরিচয়বাহী। সেনাবাহিনীর (Indian Army) লে-এর ১৪ কর্পস জানিয়েছে, “এই মূর্তি প্রতিস্থাপনার মধ্যে ভারতীয় শাসনের ‘অটল চেতনা’-র প্রতিফলন দেখানো হয়েছে।”

    বীরত্ব, দূরদৃষ্টি এবং অটল ন্যায়বিচারের প্রতীক (Chhatrapati Shivaji)

    লাদাখের লে অঞ্চলের প্রকৃত সীমান্ত রেখা বরাবর ১৪ কোরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল (Indian Army) হিতেশ ভাল্লা মূর্তিতি উন্মোচন করেছেন। সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে তিনি জানিয়েছেন, “এই মূর্তিটি (Chhatrapati Shivaji) আদতে বীরত্ব, দূরদৃষ্টি এবং অটল ন্যায়বিচারের সুউচ্চ প্রতীক। ভারতীয় শাসকের দৃঢ়তা এবং জনকল্যাণের প্রতীক। আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দান করবে এই মূর্তি। প্রাচীন ভারতের ভাস্কর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং প্রকৌশলকে বহন করবে এই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের মূর্তি।”

    আরও পড়ুনঃ “তামিল বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষা”, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

    সীমান্তে ভারতীয় সেনা সর্বদা অটল

    উল্লেখ্য প্রায় সাড়ে চার বছরের বেশি সময়ের ভারত-চিন সীমান্তে উভয় রাষ্ট্রে এক অস্থিরতা চলছিল। প্যাংগং হ্রদে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সীমান্তের সীমার অধিকার নিয়ে দুই দেশের সেনা কর্মীদের (Indian Army) মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ২০২০ সালের ৫ মে গালওয়ান উপত্যকায় ২০ জন ভারতীয় সেনা নিজের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য বীরগতি প্রাপ্ত হয়েছিলেন। পাল্টা প্রত্যাঘাতে ঠিক কতজন চিনা সৈনিক প্রাণ হারিয়েছিলেন তা কমিউনিস্ট চিন সরকার প্রকাশ্যে আনেনি। যদিও পরে একাধিক সংস্থা সূত্রে জান গিয়েছিলে ৪০ জনের বেশি চিনা সৈনিকের এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের ২১ শে অক্টোবর ভারত-চিনের সম্পর্কে একটি সমঝোতা হয়। তাতে দীর্ঘ সময়ের অচলাবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়। এই বছর দীপাবলির সময় উভয় দেশের সেনা-কর্মীদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়। তবে নিরাপত্তা বিশেজ্ঞরা মনে করছেন এবার এই শিবাজি (Chhatrapati Shivaji) মূর্তি স্থাপন করে চিনকে পরোক্ষভাবে ভারত জানান দেয় যে ভারত সীমান্তের সীমা নিয়ে আগের অবস্থান থাকে এক পাও পিছনে সরে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jasprit Bumrah: টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বুমরা, গড়লেন আরও দুই রেকর্ড

    Jasprit Bumrah: টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বুমরা, গড়লেন আরও দুই রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্টে ২০০ উইকেট মাইলফলক স্পর্শ বুমরার (Jasprit Bumrah)। মেলবোর্নে গড়লেন আরও দুই নজির। সেই সঙ্গে কপিলদেবের ৩৩ বছরের পুরানো রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। একাধিক দৃষ্টান্তে নজির গড়েছেন ভারতীয় এই বোলার। ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। বুমরা তাঁর ৪৪তম টেস্টে ২০০ উইকেট (200 Wicket) পেয়েছেন। রবীন্দ্র জাডেজাও ২০০ উইকেট নিয়েছিলেন তাঁর ৪৪তম টেস্ট ম্যাচে। তবে ভারতীয়দের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি ৩৮তম টেস্টে ২০০ উইকেট পেয়েছেন।

    ২০.৩৪ গড়ে ২০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ (Jasprit Bumrah)

    কেন বুমরাকে (Jasprit Bumrah) বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বলা হয়, তা তিনি আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন। বলের ক্রিকেটে এক মাইলফলক স্পর্শ করায় উইকেট পিছু রান দিয়েছেন ১৯.৫৬। উইকেট প্রতি ২০ রানও তিনি দেননি। টেস্টে ২০০ উইকেট (200 Wicket) রয়েছে এমন বোলারদের মধ্যে সব চেয়ে কম রান খরচ করার নজির গড়েছেন তিনি। বুমরাহ ভাঙলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার জোয়েল গার্নারের নজির। তিনি ২০.৩৪ গড়ে ২০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। সব মিলিয়ে গার্নারের গড় অবশ্য ২০.৯৭। আরও দুই ক্যারেবিয়ান বোলারকে টপকে গিয়েছেন বুমরা। তাঁরা হলেন ম্যালকম মার্শাল, তাঁর গড় ২০.৯৪ এবং কার্টলে অ্যামব্রোজ, তাঁর গড় অবশ্য ২০.৯৯।

    মোট ৮৪৮৪টি বল করেছিলেন

    বুমরা (Jasprit Bumrah) টেস্টে ২০০ উইকেট (200 Wicket) পেতে মোট ৮৪৮৪টি বল করেছেন। এত কম বল করে ভারতের আর কোনও বোলার টেস্ট ২০০ উইকেট পাননি। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে থাকলেন তিনি। বিশ্বরেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের কাছে। তিনি ২০০ টেস্টে উইকেট নিয়েছিলেন ৭৭২৫ তম বলে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ডেল স্টেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন বোলারের লেগেছিল ৭৮৪৮টি বল। তৃতীয় স্থান দক্ষিণ আফ্রিকারই কাগিসো রাবাডা। তাঁর ২০০ উইকেট নিতে লেগেছিল ৮১৫৩ টি বল।

    আরও পড়ুনঃ নীতীশের শতরানে ম্যাচে ফিরল ভারত! এবার বুমরা-সিরাজদের লড়াই

    ২৫টি উইকেট নিয়েছিলেন কপিল

    রবিবারের পর বুমরার (Jasprit Bumrah) টেস্ট উইকেট সংখ্যা হল; ২০২টি (200 Wicket)। অ্যালেক্স ক্যারেকে আউট করে এবারের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ২৯তম উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে ভারতের সফলতম বোলার হলেন তিনি। সেখানে ১৯৯১-৯২ সালের টেস্ট সিরিজে ২৫টি উইকেট নিয়েছিলেন কপিল। এবার মেলবোর্নে টেস্ট প্রথম ইনিংসে কপিলের সেই রেকর্ডকে স্পর্শ করেছিলেন বুমরা। রবিবার স্যাম কনস্টাসের উইকেট নিতেই নতুন রেকর্ড গড়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mann ki Baat: “তামিল বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষা”, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

    Mann ki Baat: “তামিল বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষা”, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তামিলকে বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষা বলে প্রশংসা করেছেন। এই ভাষা শেখার জন্য বিশ্ববাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ফিজিতে তামিল ভাষায় শিক্ষাদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। একই ভাবে প্যারাগুয়েতে আয়ুর্বেদের জনপ্রিয়তার প্রশংসা করেছেন মোদি। রবিবার আকাশবাণীতে ‘মন কি বাত’ (Mann ki Baat) অনুষ্ঠানে একাধিক বক্তব্য দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি।

    ফিজিতে তামিল ভাষা শিক্ষাদান কর্মসূচি শুরু

    ‘মন কি বাত’ (Mann ki Baat) অনুষ্ঠানের ১১৭ তম পর্বের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “তামিল ভাষার ব্যবহার এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশে দিন দিন বেড়ে চলছে। গত শেষ মাসে ফিজিতে একটি তামিল ভাষা শিক্ষাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। গত ৮০ বছরে এই প্রথম তামিল ভাষায় শিক্ষার এত বড় কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। এই ভাষা অত্যন্ত প্রাচীন এবং ঐতিহ্যশালী। বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষাগুলির মধ্যে তামিল একটি অন্যতম ভাষা এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে এই ভাষা।” ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রায় ২৩০০ মিশরীয় ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই রকম একটি অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরেন মোদি। ভারতীয় পরম্পরার প্রতিভা কোথায় কোথায় লুকিয়ে আছে সেই বিষয়কেও এদিন তুলে ধরেন তিনি। সেই সঙ্গে মিশরের সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক যোগের কথাও দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন।

    আরও পড়ুনঃ ‘মিশন’ ওড়িশার পর এবার ঝাড়খণ্ড! রঘুবর দাসের বিজেপির রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে জোর জল্পনা

    আয়ুর্বেদ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ প্যারাগুয়েতে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “দক্ষিণ আমেরিকায় প্যারাগুয়ে নামে একটি দেশ রয়েছে। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সংখ্যা এক হাজারের বেশি হবে না। এখানকার দূতাবাসে আয়ুর্বেদ পরামর্শদাতা এরিকা হুবাব একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন। তাতে জনসাধারণের মধ্যে আয়ুর্বেদ নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়। এই বিষয়ে আয়ুর্বেদ নিয়ে ভাবনা স্থানীয় মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।”

    উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর থেকে প্রধানমন্ত্রী ‘মন কি বাত’ (Mann ki Baat) অনুষ্ঠান চালু করেছিলেন। এটি প্রতিমাসের শেষ রবিবারে আকাশবাণী রেডিও সেন্টার থেকে সম্প্রসারিত করা হয়। এই বার্তালাপের সঙ্গে দেশের নারী, পুরুষ, প্রবীণ, যুব-সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান থাকে। মোদির ভাষণ ২২টি ভাষা এবং ২৯টি আঞ্চলিক ভাষায় তর্জমা করে সম্প্রসারিত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cut Money: আবাসের টাকা ঢুকতেই শুরু ‘কাটমানি’র খেলা! অভিযোগ করে মার খেলেন তৃণমূল নেতাও

    Cut Money: আবাসের টাকা ঢুকতেই শুরু ‘কাটমানি’র খেলা! অভিযোগ করে মার খেলেন তৃণমূল নেতাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাসের টাকা ঢুকতেই ফের শুরু ‘কাটমানি’ (Cut Money)। শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই মারধর জুটল খোদ তৃণমূলকর্মীর কপালে। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে সহযোগিতার কথা বললেও এবার নিজের দলের কর্মীরাই আবাসের টাকা হাতানোর অভিযোগে সরব হয়েছেন। উপভক্তাদের কাছ থেকে জোর করে জুলুম করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে খোদ শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধেই। উল্লেখ্য অভিযোগ করে রীতিমতো হামলার শিকার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) স্বয়ং পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী। ফলে আবাসে দুর্নীতির অভিযোগে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

    কারও কাছে ১০ হাজার, কারও কাছে ৫ হাজার টাকা আদায় (Cut Money)!

    ঘটনা ঘটেছে আরামবাগের আরাণ্ডি-১ পঞ্চায়েত এলাকার আরাকুল গ্রামে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরদের অভিযোগ, “জোর করে কারও কাছে ১০ হাজার, কারও কাছে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এরকম প্রায় ১০-১২ জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিকে ঘিরে গোটা গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।” খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির থেকে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব গ্রামে গিয়ে উপভোক্তাদের বোঝান যে আপনারা কেউ ভয়ে পালাবেন না, কাউকে কোনওরকম টাকা (Cut Money) দেবেন না। ফলে ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় ঘটনাস্থলে।

    আরও পড়ুনঃ উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ফিরছে শীত, পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর

    টাকা ব্যাঙ্কে ঢোকার পর থেকেই আতঙ্ক!

    এদিকে উপভোক্তারা জানান, স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাটমানি (Cut Money) নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে তাঁকে মারধর করে তৃণমূলেরই অপর আরেক গোষ্ঠী। তাঁদের অভিযোগ, আমরা দিনমজুর খেটে কোনও ক্রমে সংসার চালাই। আবেদন করার পর টাকা ব্যাঙ্কে ঢোকে, কিন্তু এরপর থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দাবি করে, তাঁদের জন্যই টাকা ঢুকেছে তাই কাটমানি দিতে হবে। ফলে ভয়ে কেউ ১০ আবার কেউ ৫ হাজার করে টাকা দিয়েছেন।

    তবে এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা এই ধরনের কাজকে কোনও ভাবে অনুমোদন দিই না। যারা অভিযোগ করেছে মিথ্যা বলছে। পাল্টা স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এটাই তৃণমূলের আসল কালচার। সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে কাটমানি এই রাজ্যে ফ্রি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ফিরছে শীত, পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ফিরছে শীত, পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে শীতের প্রত্যাবর্তনের পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Meteorological Department)। বছরের একেবারে শেষ লগ্ন এবং নতুন বছরের প্রথম দিনগুলিতে রাজ্যজুড়ে পারদপতনের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। আবহবিদদের মতে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

    কলকাতার তাপমাত্রা কেমন (Weather Update)?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Meteorological Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দুই ডিগ্রি বেশি। আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা অনেক কম ছিল। শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৪ ডিগ্রি বেশি। আবহবিদদের আশা নতুন বছরের শুরুতে কলকাতায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির নিচে নেমে আসতে পারে।

    শনিবার-রবিবার সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা

    দক্ষিণবঙ্গে অধিকাংশ জেলায় আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তবে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে শনিবার-রবিবার সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার পর সকালের দিকে কুয়াশার (Weather Update) কারণে ভ্রমণে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তা নিয়ে ইতিমধ্যে আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করেছে।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা

    একইভাবে শনিবার-রবিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অপর দিকে আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যের একাধিক জেলায় আগামী দুদিনের তাপমাত্রা ঊর্ধমুখী থাকবে। এরপর উত্তরের হাওয়ার দাপটে তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যাবে। অনুভূত হবে ঠান্ডার আমেজ। বছরের শেষ দিন এবং প্রথম দিনে শীতের আমেজ ফের নেমে আসবে, ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন আবহবিদরা (Alipore Meteorological Department)।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share