Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 425: সন্ধ্যার পর গিরিশ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে গৃহে নিয়ে এলেন

    Ramakrishna 425: সন্ধ্যার পর গিরিশ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে গৃহে নিয়ে এলেন

    সেই পুরুষ বাক্য-মন-এর অতীত নন — তিনি শুদ্ধ মনের, শুদ্ধ বুদ্ধির, শুদ্ধ আত্মার গোচর।”
    তবে কি তিনি সেই পুরুষের সাক্ষাৎ পাচ্ছেন? এই কি সেই দর্শন?

    এমন সময় নরেন আসছেন — ঠাকুর বলতে লাগলেন,
    “নরেন্দ্র, নরেন্দ্র…”
    পাগলের মতো আচরণ।
    নরেন আসতেই ঠাকুর কথা বললেন না।
    লোকে বলছে — এটাই ‘ভাব’। এই রূপ শ্রীগৌরাঙ্গের ক্ষেত্রেও হয়েছে।
    এ ভাব কে বুঝবে?

    গিরিশের বাড়ির গলির সামনে ঠাকুর এসে উপস্থিত হলেন।
    সঙ্গে ভক্তগণ। এবার ঠাকুর নরেনকে সম্ভাষণ করলেন।
    নরেন্দ্র বললেন,
    “ভালো আছেন?”

    তাঁর কণ্ঠে করুণাভরা প্রতিটি শব্দ।
    তখনও মনে হচ্ছে যেন ‘তারও দেশে’ তিনি পৌঁছাননি।
    হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লেন — নরেনের দিকে চেয়ে বললেন:

    জীব, জগৎ, ঈশ্বর — এসব কি তিনি দেখছিলেন? কে জানে!
    দু-একটি কথা উচ্চারিত হলো — যেন বেদবাক্য, যেন দৈববাণী।
    অথবা যেন অনন্ত সমুদ্রতীরে দাঁড়িয়ে আছি — আর অনন্ত তরঙ্গের শব্দ শুনছি।
    অনাহত ধ্বনির এক-দুটি সুর যেন কর্ণকুহরে প্রবেশ করল।
    ১১ মার্চ ১৮৮৫ — গিরিশ ঠাকুরের বাড়িতে শ্রী রামকৃষ্ণ

    সন্ধ্যার পর গিরিশ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে গৃহে নিয়ে এলেন।
    ঠাকুর ভক্তদের সঙ্গে গিরিশের বাড়ির নিকট পৌঁছাতেই,
    গিরিশ দণ্ডবৎ হয়ে পড়লেন — ঠাকুরের পদস্পর্শ করলেন।
    তাঁকে নিয়ে উঠলেন দ্বিতীয় তলার বৈঠকখানায়।

    ভক্তরা দ্রুত আসন গ্রহণ করলেন — সবার ইচ্ছা ঠাকুরের কাছে বসে তাঁর মধুর বচন শ্রবণ করা।
    ঠাকুর আসনে বসতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখলেন একখানা খবরের কাগজ পড়ে আছে।
    খবরের কাগজে বিশ্বজিতের কথা, বিষয়-আলোচনা, পরনিন্দা — অপবিত্র সবকিছু।
    ঠাকুর ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন — যেন তা সরিয়ে ফেলা হয়।

  • Daily Horoscope 29 July 2025: ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 29 July 2025: ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) নিজের প্রতিভা প্রকাশের বিশেষ দিন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ২) পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান হতে পারে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ২) মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিবাদে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ২) আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ২) ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে।

    ২) দাঁতের রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) দুপুরের পরে দিনটি ভাল কাটলেও মানসিক চাপ থাকবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি বজায় থাকবে।

    ২) চিকিৎসার জন্য প্রচুর ব্যয় হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে কাজের চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মীন

    ১) কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন চঞ্চল থাকবে।

    ২) কর্মে একটু জটিলতা থাকলেও সফল হবেন।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভারত যে কোনওরকম ‘ব্ল্যাকমেল’ সহ্য করবে না, সংসদে (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে তা ফের স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বিকেলে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে পাকিস্তান, জঙ্গি, বিরোধীদের কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি তিনি সংঘর্ষবিরতির নেপথ্যে ট্রাম্পের কৃতিত্ব নেওয়ার দাবিকেও নস্যাৎ করেলেন। এদিন বিরোধী কংগ্রেসকেও এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এই সময়েও রাজনৈতিক স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের পাশে দাঁড়ায়নি।”

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারে। কিন্তু সেই পরমাণু অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে পাকিস্তান যদি মনে করে যে ভারত চুপ করে বসে থাকবে অথবা সেই অস্ত্রভান্ডারের কারণে ভারত মেপে পা ফেলবে, তাহলে খুব বড় ভুল করছে ইসলামাবাদ। একথা মঙ্গলবার সংসদে ফের স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ‘‘পহেলগাঁও হামলার পর থেকে পাকিস্তানি সেনা বুঝেছিল, বড় কোনও পদক্ষেপ করা হবে। পরমাণু হুমকি এসেছিল। ৬ মে রাত এবং ৭ মে সকালে ভারত যা স্থির করেছিল, তা করে। পাকিস্তান কিছু করতে পারেনি। ২২ মে ২২ এপ্রিলের বদলা নেওয়া হয়েছে। আগে যেখানে যাইনি, সেখানেও গেছি। পাকিস্তানের কোণে কোণে জঙ্গিদের আড্ডা ধ্বংস করা হয়েছে। কেউ ভাবতেও পারবে না, কোথায় গেছি। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে। আমরা প্রমাণ করেছি যে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা চলবে না। তার সামনে ভারত মাথানত করবে না। পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিতে বড় ক্ষতি হয়েছে। এখনও কয়েকটি এয়ারবেস আইসিইউতে রয়েছে। অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে।’’

    মেড-ইন-ইন্ডিয়া অস্ত্রেই ঘায়েল

    অপারেশন সিঁদুরে তিনি আত্মনির্ভর ভারতের জয় দেখছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি হামলার পরে জঙ্গিদের প্রভুরা রাতে ঘুমোতে পারেনি। ওরা জানত ভারত আসবে এবং মেরে চলে যাবে। এটাই ভারতের নিউ নরম্যাল। মেড ইন ইন্ডিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাকিস্তানকে চূর্ণ করে দিয়েছে। সিঁদুর থেকে সিন্ধু অবধি জবাব দিয়েছি।”

    বিরোধীদের বার্তা

    এদিন লোকসভায় (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে বিরোধীদের সরাসরি আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘সদনে ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। যারা ভারতের পক্ষ দেখতে পায় না তাদের সামনে আয়না ধরতে এসেছি। অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে কংগ্রেসের থেকে পাইনি। ভারতের সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। নিরীহদের রক্তে রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। সেনার তথ্য নয়, ওরা পাকিস্তানের কথা প্রচার করে। বিদেশনীতি নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন নিয়েও কথা হল। একটা কথা স্পষ্ট বলছি, দুনিয়ার কোনও দেশ ভারতকে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বাধা দেয়নি। ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের সমর্থনে বয়ান দেয়। সব দেশ ভারতকে সমর্থন দিয়েছে।’’

    ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করেননি

    ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি প্রসঙ্গে এদিন ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গও উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘৯ মে রাতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। উনি এক ঘণ্টা চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি সেনার সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। তাই কলটা নিতে পারিনি। পরে আমি ফোন করেছিলাম। ফোনে আমাকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে বলে পাকিস্তান বড় হামলা করতে চলেছে। আমার জবাব ছিল, যদি পাকিস্তানের এমনই উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তাহলে এর মূল্য চোকাতে হবে। যদি পাকিস্তান হামলা করে আমরাও বড় প্রত্যুত্তর দেব। এটাই ছিল আমার জবাব।’’

     

     

     

  • Nimisha Priya: কেরলের নার্স নিমিশা কি মুক্তি পাবেন? ইয়েমেনে প্রিয়ার সঙ্গে কী হয়েছিল, কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?

    Nimisha Priya: কেরলের নার্স নিমিশা কি মুক্তি পাবেন? ইয়েমেনে প্রিয়ার সঙ্গে কী হয়েছিল, কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ের প্রাণভিক্ষা চাইতে ইয়েমেনে গিয়েছেন নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) ১৩ বছরের কন্যা মিশেল। তাঁর আর্জি “আমার মাকে ফিরিয়ে দাও।” তবে মিশেলের আর্জি পূরণ হয়েছে কি না সে নিয়ে এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু, গ্র্যান্ড মুফতি কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর থেকে সাজা মুকুবের কথা বলা হলেও। বিদেশমন্ত্রক এই দাবিকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি। ইয়েমেন থেকে সরকারি কোনও বার্তা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছে দিল্লি।

    কেন ইয়েমেনে যান নিমিশা

    কেরলের পালক্কাড়ের বাসিন্দা নিমিশা (Nimisha Priya) নার্সের কাজ নিয়ে ২০০৮ সালে ইয়েমেনে গিয়েছিলেন। ইয়েমেনে যাওয়ার পরে স্বামী টমি এবং মেয়ের সঙ্গেই থাকছিলেন নিমিশা। পরে ২০১৪ সালে আর্থিক কারণে তাঁর স্বামী এবং ১১ বছরের কন্যা ভারতে ফিরে এলেও নিমিশা ইয়েমেনেই থেকে যান। সে বছরই ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সে দেশে ভিসা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চাইলেও আর ভারত থেকে ইয়েমেন যেতে পারেনি নিমিশার পরিবার। নিমিশ ইয়েমেনে থেকে যান। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ইয়েমেনে ক্লিনিক খোলা। ওই বছরই ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আব্দো মাহদির সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। মাহদি তাঁকে নতুন ক্লিনিক খুলতে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন। কারণ, আইন অনুযায়ী, ইয়েমেনে নতুন ব্যবসা শুরু করতে গেলে দেশীয় অংশীদারের দরকার ছিল নিমিশার। সেইমতো ২০১৫ সালে দু’জন মিলে নতুন ক্লিনিক খোলেন।

    কী ঘটেছিল নিমিশার সঙ্গে

    ক্লিনিক খোলার পরেই নিমিশার (Nimisha Priya) সঙ্গে ভারতে আসেন মাহদি। সেখানেই নিমিশার বিয়ের একটি ছবি চুরি করে নেন মাহদি। পরে ইয়েমনে ফিরে সেই ছবি ব্যবহার করে নিমিশাকে নিজের স্ত্রীয়ের পরিচয় দেয় মাহদি। শুরু হয় তার উপর অত্যাচার। এর পর থেকেই শুরু হয় দুই অংশীদারের মতবিরোধ। অভিযোগ, নিমিশার টাকা এবং পাসপোর্ট মাহদি কেড়ে নিয়েছিলেন। মারধর করে নাকি নিমিশাকে মাদকসেবনেও বাধ্য করেছিলেন মাহদি। আইনি কাগজপত্রে নিমিশাকে স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রশাসনিক সাহায্য পাওয়ার পথও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। উল্টে পুলিশ নিমিশাকেই ৬ দিন জেলে আটক রাখে। পরে ছাড়া পেলে মাহদির অত্যাচারও বেড়ে যায়। বাধ্য হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মাহদিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন ওই নার্স। নিমিশার দাবি, মাহদিকে ঘুম পাড়িয়ে নিজের পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। কিন্তু ওভারডোজ়ের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। এরপরে ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে যান নিমিশা। সেই থেকে ইয়েমেনের জেলেই বন্দি রয়েছেন ভারতীয় যুবতী।

    নিমিশাকে বাঁচাতে আইনি লড়াই

    ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার (Nimisha Priya) পরিবার। প্রবাসী ভারতীয় ওই যুবতীর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছলে তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু ভারতের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের সঙ্গে, হুতিদের সঙ্গে নয়। আর তারাই ইয়েমেনের অধিকাংশ জায়গা নিয়ন্ত্রণ করে। হুতিদের প্রধান প্রশাসনিক সংগঠন ‘সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিল’। তারা নিয়ন্ত্রণ করছে ইয়েমেনের বড় অংশ, যার মধ্যে পড়ে রাজধানী সানাও। এই সানাতেই নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা। ফলে, ভারত সরকার তাদের সঙ্গে সরাসরি কোনও কূটনৈতিক যোগাযোগ করতে পারে না।

    ভারতের কূটনৈতিক চাল

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, এরপর ব্যাক চ্যানেল নীতি গ্রহণ করা হয়। এই নীতির ফলে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা কোনও দেশের সঙ্গ তৃতীয় পক্ষর মাধ্যমে সাহায্য চাওয়া হয়। ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু, গ্র্যান্ড মুফতি কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর-এর মাধ্যমে চলে আলোচনা। ইসলামী আইন অনুসারে, অপরাধের শিকারদের অপরাধীদের কীভাবে শাস্তি দেওয়া যায় সে সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। খুনের ঘটনায় তা ভিকটিমের পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হত্যার ক্ষেত্রে, মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা যেতে পারে, তবে যদি নিহতের পরিবার চায় তবে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে দোষীকে ক্ষমা প্রদানও করতে পারে। মুসলিয়ার দফতর, সোমবার রাতে জানায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর নিমিশার (Nimisha Priya) সাজা বাতিল হয়েছে। তবে এখনও সরকারি তরফে কোনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভুয়ো ভোটারদের নাম কাটা পড়বেই’’, মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভুয়ো ভোটারদের নাম কাটা পড়বেই’’, মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথ লেভেল অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বতন্ত্র সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এটা গণতন্ত্রের উপর আঘাত। ভোটার তালিকা সংশোধন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Suvendu Attacks Mamata) কড়া সমালোচন করলে রাজ্যার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৈধ ভোটারদের নাম যাতে বাদ না যায়, বিএলও-দের বারবার সেই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআরে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে প্রায় ৬৪ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার পর বীরভূমের সভা থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা।

    মমতাকে চ্যালেঞ্জ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করার ভঙ্গিতে মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে অনেক নাম বাদ পড়বেই। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ‘সতর্কবার্তা’ দিয়েছিলেন বিএলওদের উদ্দেশে। কারও নাম যেন বাদ না পড়ে, রাজ‍্য সরকারের কর্মী হিসাবে তা নিশ্চিত করতে বলেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শুভেন্দু দাবি করলেন, ভোটার তালিকা থেকে ‘অবৈধ’ এবং ‘ভুয়ো’ নাম বাদ যাওয়া কেউ আটকাতে পারবেন না। বিজেপির রাজ‍্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু মঙ্গলবার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কোনও নাম বাদ যেতে দেবেন না। আমি বলছি, নাম বাদ যাবেই।’’

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দুর কথায়, ‘‘রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, মৃত ভোটার, একাধিক জায়গার ভোটার তালিকা নাম থাকা ভোটার এবং মুখ্যমন্ত্রী ও আইপ‍্যাকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া ভুয়ো ভোটারদের নাম কিছুতেই তালিকায় থাকবে না। এই সব নাম কাটা পড়বেই।’’ বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলতে তিনি কাদের বোঝাতে চাইছেন, সে ব‍্যাখ‍্যাও বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট ভাবে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টানরা চলে এসেছেন, তাঁরা অনুপ্রবেশকারী নন। তাঁরা সিএএ-র মাধ্যমে বৈধ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।’’ বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ‍্যাক প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে অনেক ভুয়ো নাম ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে রেখেছে। এই সব ভোটারের কোনও অস্তিত্ব নেই বলে শুভেন্দুর দাবি। ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত কোনও নির্বাচনেই তৃণমূল প্রকৃত জনমত পেয়ে জেতেনি, এই ভুয়ো ভোটারদের জোরে জিতেছে বলে তিনি দাবি করেন। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১০ বছরে রাজ‍্যের ৮০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি হয়েছে বলে শুভেন্দু দাবি করেন। এই বৃদ্ধি ‘অস্বাভাবিক’ বলেও তাঁর অভিযোগ। ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’য় এই সব ‘গরমিল’ ধরা পড়ে যাবে বলে বিরোধী দলনেতা মনে করছেন।

    কমিশনের নির্দেশ মানছে না রাজ্য

    শুভেন্দুর অভিযোগ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুথ লেভেল অফিসারদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হলে ভোট হবে কীভাবে! প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করুক কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিঠি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকেও সুর চড়ান তিনি। তাঁর দাবি, বিভিন্ন জায়গায় বিডিও, এসডিও-রা তৃণমূল ক্যাডারদের বিএলও করেছেন। এমনকী ২৬ হাজার চাকরিহারাদেরও মধ্যে থেকেও কোথাও কোথাও বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। শুধু বিএলও নয়, ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) নিয়োগ নিয়েও শুভেন্দুর বড় অভিযোগ। বলেছেন, ‘‘দেশজুড়ে নির্দেশ আছে মহকুমাশাসক ছাড়া কেউ ইআরও হতে পারবেন না। অথচ রাজ্যে এই নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে তাঁর নিশানায় রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পস্থ। তিনি নিজে নির্দেশিকা ভেঙেছেন বলে দাবি শুভেন্দুর।

     

  • Amit Shah: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এ খতম জঙ্গিদের মাথারা, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ শেষ জঙ্গিরা’’, সংসদে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এ খতম জঙ্গিদের মাথারা, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ শেষ জঙ্গিরা’’, সংসদে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জঙ্গিদের মাথাদের নিকেশ করে দিয়েছিলেন। এখন ‘অপারেশন মহাদেব’-এর মাধ্যমে আমাদের সেনা ও সিআরপিএফ জঙ্গিদেরও শেষ করে দিয়েছে।’’ মঙ্গলবার লোকসভায় এ কথাই বললেন অমিত শাহ।

    পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সামনে খুন

    সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে শুরু হয়েছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ বলেন, “নিরীহ পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সদস্যদের সামনে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আমি এই হামলার নিন্দা করছি এবং যে সমস্ত পরিবার তাদের প্রিয়জনেদের হারিয়েছে, তাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমি এক মহিলার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, যিনি বিয়ের মাত্র ছ’দিনের মাথায় স্বামীকে হারান। আমি ওই দৃশ্য কখনও ভুলতে পারব না। আমি এই সমস্ত পরিবারগুলিকে বলতে চাই, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জঙ্গিদের মাথাদের নিকেশ করে দিয়েছিলেন। এখন ‘অপারেশন মহাদেব’-এর মাধ্যমে আমাদের সেনা ও সিআরপিএফ জঙ্গিদেরও শেষ করে দিয়েছে।’’

    প্রমাণ পেশ করলেন অমিত শাহ

    এদিন বক্তব্য পেশ করার সময় জঙ্গিরা সত্যিই পাকিস্তানি কিনা তা প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অমিত শাহ বলেন, “গতকালের অভিযানে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত তিন জঙ্গি- সুলেমান, আফগান এবং জিবরান নিহত হয়েছে। বিরোধীরা, প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম প্রশ্ন তুলেছেন, ওরা যে পাকিস্তানি, তার কী প্রমাণ আছে? আজ আমি তার সমস্ত প্রমাণ দেব।’’ এরপরেই তিনি পহেলগাঁও হামলার স্থল থেকে প্রাপ্ত কার্তুজ, জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এমনকী জঙ্গিদের কাছে থাকা পাকিস্তানি চকোলেটের মাধ্যমে প্রমাণ পেশ করেন।

    পাকিস্তানের ভোটার কার্ড, পাকিস্তানে তৈরি চকোলেট

    কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, নিহত সুলেমানের আরও একটি নাম ছিল। হাসিম মুসা। পাকিস্তানি সেনার স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) কমান্ডো ছিল। পরে হাফিজ সইদের হাত ধরে নাম লেখিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনে। শাহের কথায়, ‘‘আফগান ও জিবরানও ‘এ লিস্টেড’ জঙ্গি।” এরা সবাই পাকিস্তানের নিষিদ্ধ গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ জঙ্গি ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ এদিন জানান, জঙ্গিদের পাকিস্তানি পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে পাকিস্তানের ভোটার কার্ড এবং পাকিস্তানে তৈরি চকোলেট উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। তাতে জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা। তিনি আরও জানান, তাদের কাছ থেকে পাওয়া বিদেশি অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দু’টি একে-৪৭ ভেরিয়েন্ট এবং একটি আমেরিকান এম-৪ কার্বাইন। এছাড়া ছিল, রোমানিয়ার মডেল ৯০ অ্যাসল্ট রাইফেল, ও রাশিয়ার একেএম ৭.৬২ ভেরিয়েন্ট রাইফেলও উদ্ধার হয়েছে।

    ১০০ শতাংশ ম্যাচিং পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা

    এখানেই থেমে থাকেননি অমিত শাহ। এর পরেই তিনি নিহত জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় জড়িত হওয়ার প্রমাণ পেশ করেন। অমিত শাহ জানান, হাজারের বেশি মানুষ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ৩ হাজার ঘণ্টা তদন্ত চলেছে। তারপরেই এই জঙ্গিদের হদিশ পেয়েছে সেনা। এমনকি, এই সন্ত্রাসবাদীদের দেহ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার-পরিজনেরাও। যারা জঙ্গিদের খাবার সরবরাহ করত তাদের আগেই আটক করা হয়েছিল। জঙ্গিদের মৃতদেহ শ্রীনগরে নিয়ে আসার পর আটক হওয়া ব্যক্তিরা ওই তিন জনকে শনাক্ত করেছে। এর পর, জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজ ও বন্দুকগুলি দ্রুত চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়। দেখা যায়, এগুলিই পহেলগাঁও হামলার সময়ে ব্যবহৃত হয়েছিল। ছয়জন বিশেষজ্ঞ বলছেন—ম্যাচ ১০০ শতাংশ।”

  • Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শ্রীনগরে হওয়া ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সংসদে এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ করে শাহ এও জানিয়ে দেন, নিহতরা পাকিস্তানের বাসিন্দা এবং তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রও বিদেশি।

    সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে শুরু হয়েছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। সেখানেই মঙ্গলবার, লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমত শাহ বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত তিন জঙ্গি সোমবার সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম হয়েছে। এই তিন জঙ্গির নাম সুলেমান, আফগান এবং জিবরান। এই সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ের হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল।’’

    ‘‘ভেবেছিলাম তাঁরা খুশি হবেন’’, বিরোধীদের তোপ শাহের

    সোমবার সোমবার ৩ জঙ্গি নিকেশের পরেও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তোলে, এরাই কি পহেলগাঁও হামলার তিন জঙ্গি? এদের পাকিস্তানি হওয়ার প্রমাণ কী? এই নিয়ে মঙ্গলবার বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম তাঁরা পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুর খবর পেয়ে খুশি হবেন। কিন্তু দেখলাম তাঁরা বিষয়টি নিয়ে খুশি নন। বরং হতাশ হয়েছেন।” এর সঙ্গেই অমিত শাহ যোগ করেন, নিহত তিন জঙ্গি যে পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রথমে জঙ্গিদের খাবার জোগানোর অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের দেখানো হয়। তারা সকলেই জঙ্গিদের দেহ শনাক্ত করেছে।

    জঙ্গিদের বন্দুক-গুলি যায় ফরেন্সিক পরীক্ষায়

    এছাড়া, জঙ্গিদের থেকে পহেলগাঁও হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের প্যান্টের পকেট থেকে মিলেছে পাকিস্তানি চকোলেট।  জঙ্গিদের ডেরা থেকে তাঁদের ভোটার কার্ড-সহ অন্যান্য পরিচয়পত্রও মিলেছে। তাতে জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা। তাতেও থেমে থাকেনি সরকার। নিহত জঙ্গিদের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়। সোমবারের সেনা অপারেশনে যে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের ব্যবহৃত বুলেটের খোল এবং বন্দুক উদ্ধার করে সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য চণ্ডীগড়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। মিলিয়ে দেখা হয় পহেলগাঁও হামলার ব্যালিস্টিক রিপোর্টের সঙ্গে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরেই তিন জনের পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হয় কেন্দ্র।

  • Amit Shah: ‘‘আরও ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে’’, নাম না করে সংসদে কংগ্রেসকে নিশানা শাহের

    Amit Shah: ‘‘আরও ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে’’, নাম না করে সংসদে কংগ্রেসকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করে না বিরোধীরা। অন্য দেশের বক্তব্যকে মান্যতা দেয়। বিরোধী দলে বিদেশিদের গুরুত্ব আছে। তাই তারা দেশের সংসদে বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছেন। ভবিষ্যতেও তাই থাকতে হবে। সরাসরি নাম না করে সংসদেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। বিদেশমন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এদিন বিরোধীদের তোপ দাগেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বললেন শাহ

    সংসদে বিরোধীদের তোপ দেগে শাহ (Amit Shah) বলেন,“ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে বিশ্বাস নেই বিরোধীদের। অথচ অন্য দেশের বক্তব্যে তাদের আস্থা আছে। এই নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। তাদের দলে বিদেশিদের গুরুত্ব আমি বুঝি। তার মানে এই নয়, দলের বিষয় এখানেও চাপাবে। এই কারণে তারা বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছে। এবং আগামী ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসে থাকবে।” বারবার ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে নিজের অবদান জাহির করে কৃতিত্বের দাবি করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় বিরোধীরা। সেই মর্মেই লোকসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ ডিবেটে ভাষণ রাখতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর হট্টগোলের মুখোমুখি হন।

    জয়শঙ্করের দাবি

    পহেলগাঁও হামলার দিন অর্থাৎ ২২ এপ্রিল থেকে ১৭ জুনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও কথা হয়নি বলে সংসদে জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, গত ৯ জুন জেডি ভান্স প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের তরফে হামলা হবে। প্রধানমন্ত্রীও তখন বলেছিলেন, পাকিস্তান হামলা করলে তার যোগ‍্য জবাব দেবে ভারত। আর ভারত সেটা দিয়েছে বলেই উল্লেখ করেন এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর আরও বলেন, “আমরা ১০ তারিখে ফোন পাই যে পাকিস্তান আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমরা জানাই, পাকিস্তান চাইলে তারা সরাসরি কথা বলুক। এটুকুই হয়েছিল।” বিদেশমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরই প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদে হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। তখনই বিরোধী সাংসদদের আচরণে বিরক্ত হয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন অমিত শাহ।

  • BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালিদের ওপর নির্যাতন নিয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যা অভিযোগ ফাঁস হয়ে যেতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিল বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দাবি, মমতার মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন?

    বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার আড়ালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল যে কতটা নোংরা রাজনীতি করে চলেছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। মুখোশ খসে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়ো ন্যারেটিভের। আরও একবার প্রকট হল তৃণমূলের উস্কানিমূলক ও মিথ্যাচারে ভরা বিদ্বেষমূলক নীতি। রবিবার, মমতা একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন, আধার যাচাইয়ের নামে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর নির্যাতন করছে দিল্লি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে মারধর করছে দিল্লি পুলিশ।

    কী অভিযোগ ছিল?

    মমতার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর দেড় বছরের শিশু ও স্ত্রীকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আক্রান্ত মহিলা দাবি করেছিলেন, সাধারণ পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর ঘরে এসে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এর পর তাঁকে ও তাঁর শিশুসন্তানকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর দেড় বছরের শিশুসন্তানকে কোল থেকে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। যার জেরে আহত হয় শিশুটি। এর পর ওই মহিলার স্বামী ২৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের মুক্ত করেন।

    কী বলল দিল্লি পুলিশ?

    সোমবার, মমতার তোলা যাবতীয় দাবিকে ‘‘ভুয়ো’’ বলে উড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। সংবাদমাধ্যমকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার”। আরও জানানো হয়, শাজনুর পারভিন নামে মহিলা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করে দেন পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেন, “স্থানীয় গোয়েন্দার মাধ্যমে সেই ভিডিওর ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষানিরিক্ষাও করা হয় এবং সেই ভিত্তিতেই একাধিক প্রমাণ জড়ো করে তদন্তকারী দল।”

    ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা…

    দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিকের দাবি, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো তাঁর বাসস্থানের কাছাকাছি বিভিন্ন গলিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সঙ্গে ২ সন্তান। ফলে, বিবরণের সঙ্গে ছবি না মেলায় সত্যতা জানতে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় ওই মহিলা স্বীকার করেন, মালদার চাঁচলে তাঁর এক আত্মীয় রয়েছেন, যিনি তৃণমূল কর্মী। তাঁর কথাতেই ওই ভিডিও তৈরি করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ওই মহিলা। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গেই অভিষেক ধানিয়া বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।’’

    মমতাকে তুলোধনা বিজেপির

    দিল্লি পুলিশের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা জেনে গেছে জনতা।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই পুরো ঘটনাটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করে করেছেন। বিষয়টি শুধু বাঙালির জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বিভক্ত করার মরিয়া প্ররোচনা!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন যে আপনার বাড়ির বাচ্চাদের কোটিপতি করতে হবে বলে আপনি বাচ্চাদের নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন? আপনার লজ্জা করে না? এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রীর গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’

  • Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমদানি হয়েছে বাংলার ভাষার উপর সন্ত্রাসের এক নতুন তত্ত্ব। এই তত্ত্বে আবার সিলমোহর দিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন মাননীয়া। আপনারা নিশ্চয় জানেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে দেশজুড়ে চলছে অভিযান। পদ্মা পার থেকে আসা বাংলাদেশিরা বাংলাতেই কথা বলেন। ঠিক আমি আপনি যেমন বলি। আবার তাদের শারীরিক গঠনও পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের সঙ্গেই মিলে যায়। দিনকয়েক আগেই গুরগাঁও পুলিশের হাতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে, যাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত রাখা হয় ১০ জনকে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ, এই ১০ জন ছিল সবাই অনুপ্রবেশকারী। The Wire সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে (Illegal Bangladeshi)।

    অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Bangladeshi) বিরুদ্ধে এই অভিযান শুধুমাত্র যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে চলছে, এমনটা নয় — দেশজুড়েই চলছে। সিপিএম শাসিত কেরালা কিংবা ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুতেও চলছে। আর সত্যি কথা বলতে, এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই। অনেকেই বলছেন, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরিয়ে দিতে ভিনরাজ্যের প্রশাসনকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে আমাদের রাজ্যের পরিযায়ীরাই। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন কখনোই সেই খবরদাতাদের পরিচয় প্রকাশ করছে না। কেন জানেন? একেবারে নিরাপত্তার স্বার্থে। আপনাদের কৌতূহল জাগছে, কেন বাঙালি পরিযায়ীরা ধরিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজব আজ। এক কথায়, এর উত্তর হচ্ছে — বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে একের পর এক কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্বাভাবিক, এটাই। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। তাই নিজেদের পেট বাঁচাতেই তারা ভিনদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তাঁরা প্রশাসনকে খবর দিচ্ছেন।

    বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত বলা মুশকিল

    জানেন কি এই মুহূর্তে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ঠিক কত — সঠিক তথ্য কারও কাছেই নেই। ২০১১ সালে হয়েছিল শেষ জনগণনা। তখন বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা কত ছিল তা জানা গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সংখ্যা নেই কারও কাছেই। সে সময় বাংলা ছিল সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে। তার আগে ছিল উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান। মানে, একদা যে রাজ্যগুলোকে বিমারু রাজ্য বলা হত (West Bengal)। তবে গত এক দশকে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান তড়তড়িয়ে এগিয়ে গেছে, আর পিছিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২৬ সালের জনগণনা যতক্ষণ না হয়, বলা খুব মুশকিল যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত (Illegal Bangladeshi)।

    নোংরা ঘেঁটে বিক্রয় যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করেন বাঙালি পরিযায়ীরা

    ইতিমধ্যে ‘The Indian Journal of Labour Economics’-এ একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষার শিরোনাম ছিল Bengali Migrant Workers in South India। এখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাতে চোখে জল আসবে আপনারও। কি বলা হয়েছে জানেন? বলা হয়েছে, বাঙালি পরিযায়ীদের একটা বড় অংশ “Rag Pickers” — মানে, আস্তাকুঁড় থেকে নোংরা ঘেঁটে যা কিছু বিক্রয়যোগ্য জিনিস, তা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো তাঁরা মহাজনের কাছে পৌঁছে দেন। এভাবেই চলে তাঁদের পেট। এই আস্তাকুঁড়ের নোংরা ঘেঁটে যারা বিক্রয়যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করে, তাঁদের ৭৮.৬ শতাংশই একেবারে নিরক্ষর।

    বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন মমতা

    কয়েকদিন আগে গুরগাঁওয়ের যে খাটোলা গ্রাম থেকে বাংলাভাষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানকার পরিচিতিও “Bengali Rag Pickers’ Colony” হিসেবে দেওয়া হয়। ভিনদেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এখানেই ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ীরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের পেট বাঁচাতে ও স্বার্থ রক্ষায় তাঁরা যা করার, সেটাই করেছেন। আসলে মমতা ব্যানার্জী বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন। তাঁর এই খেলা ধরে ফেলেছেন বাংলার গরিব পরিযায়ীরা। তাই নিজেদের কাজ বাঁচাতে তাঁরাই এখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছেন।

LinkedIn
Share