Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 215: “হাড়পেকে, কোটরচোখ, ট্যারা—এরকম অনেক লক্ষণ আছে, তাদের বিশ্বাস সহজে হয় না”

    Ramakrishna 215: “হাড়পেকে, কোটরচোখ, ট্যারা—এরকম অনেক লক্ষণ আছে, তাদের বিশ্বাস সহজে হয় না”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ ও নিরাকারবাদ

    মাস্টার—আচ্ছা, কোন কোন ঘটনা মেলে নাই, এমন কি হয়েছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, সে-সময় সব মিলত (Kathamrita)। সে-সময় তাঁর নাম করে যা বিশ্বাস করতুম, তাই মিলে যেত! (মণিলালকে) তবে কি জানো, সরল উদার না হলে এ বিশ্বাস হয় না।

    “হাড়পেকে, কোটরচোখ, ট্যারা—এরকম অনেক লক্ষণ আছে, তাদের বিশ্বাস সহজে হয় না। ‘দক্ষিণে কলাগাছ উত্তরে পুঁই, একলা কালো বিড়াল কি করব মুই’।” (সকলের হাস্য)।

    ভগবতী দাসীর প্রতি দয়া—শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ও সতীত্বধর্ম 

    সন্ধ্যা হইল। দাসী আসিয়া ঘরে ধুনা দিয়া গেল। মণিলাল প্রভৃতি চলিয়া যাবার পর দু-একজন ভক্ত এখনও আছেন। ঘর নিস্তব্ধ। ধুনার গন্ধ, ঠাকুর ছোট খাটটিতে উপবিষ্ট। মার চিন্তা করিতেছেন! মাস্টার মেঝেতে বসিয়া আছেন। রাখালও আছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে বাবুদের দাসী ভগবতী আসিয়া দূর হইতে প্রণাম করিল। ঠাকুর বসিতে বলিলেন (Kathamrita)। ভগবতী খুব পুরাতন দাসী। অনেক বৎসর বাবুদের বাড়িতে আছে। ঠাকুর তাহাকে অনেকদিন ধরিয়া জানেন। প্রথম বয়সে স্বভাব ভাল ছিল না। কিন্তু ঠাকুর দয়ার সাগর পতিতপাবন, তাহার সহিত অনেক পুরানো কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এখন তো বয়স হয়েছে। টাকা যা রোজগার করলি, সাধু বৈষ্ণবদের খাওয়াচ্ছিস তো?

    ভগবতী (ঈষৎ হাসিয়া)—তা আর কি করে বলব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কাশী, বৃন্দাবন, এ-সব হয়েছে?

    ভগবতী (ঈষৎ সঙ্কুচিত হইয়া)—তা আর কি করে বলব (Kathamrita)? একটা ঘাট বাঁধিয়ে দিইছি। তাতে পাথরে আমার নাম লেখা আছে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভ মেলায় আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে তুলতে মন্ত্রপাঠ করবেন ২০ হাজার বৈদিক পণ্ডিত

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভ মেলায় আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে তুলতে মন্ত্রপাঠ করবেন ২০ হাজার বৈদিক পণ্ডিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh 2025) আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে ২০ হাজার বৈদিক পণ্ডিতদের (Vedic Brahmin) অংশগ্রহণ থাকবে। এই মেলায় এই বিপুল সংখ্যক বৈদিক ব্রাহ্মণদের সমবেত স্তোত্র পাঠ করানো হবে। মেলায় একাধিক শিবির থেকে মেলার পবিত্রতাকে আরও আকর্ষণীয় করা হবে। মূলত এই বৈদিক পণ্ডিতরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করবেন। জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজে মহর্ষি সন্দীপনি রাষ্ট্রীয় বেদ সংস্কৃত শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সরকার পরিচালিত বেদ পাঠশালা এবং গুরু-শিষ্য শাখাগুলি প্রস্তুতির কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি।

    আধ্যাত্মিক ভাবনার এক অভয়ারণ্য হবে মেলা

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হিন্দুদের সর্ব বৃহৎ মহাকুম্ভ মেলাকে (Mahakumbh 2025) বিশ্ববাসীর সমানে আরও সুন্দর এবং উপভোগ্য করতে নানা রকম ভাবনার সমাবেশ করছেন। চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না। তার মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান দিক হল মেলায় বৈদিক ব্রাহ্মণদের (Vedic Brahmin) দ্বারা স্তোত্র পাঠ। প্রয়াগরাজ এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বৈদিক ছাত্র এবং পণ্ডিতদের আনা হবে। মহাকুম্ভ মেলারস্থলকে আধ্যাত্মিক ভাবনার এক অভয়ারণ্য গড়তে এই ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গনের শিবিরগুলিতে ধর্ম কথা, ভাগবত কথা, আধ্যাত্মিক বক্তৃতা, পুরাণ কথায় তীর্থযাত্রীদের মনকে ভরিয়ে দিতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “কুবীর বলত সাকার আমার মা, নিরাকার আমার বাপ, কাকো নিন্দো, কাকো বন্দো, দোনো পাল্লা ভারী!”

    পাঁচ লক্ষ পঞ্চাক্ষর জপ চলবে

    মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) বৈদিক মন্ত্র পাঠের জন্য এখন থেকেই নানা ভাবে একাধিক স্কুলে স্কুলে বিদ্যার্থীদের মন্ত্র উচ্চারণ, আবৃত্তি এবং পাঠের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ঝুনসির স্বামী নরোত্তমন্দ গিরি বেদ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ব্রজ মোহন পান্ডে বলেন, “মেলাকে সামনে রেখে এই উদ্যোগ শুধু বৈদিক সংস্কৃতিকে প্রচারই করবে না, বরং তরুণ প্রজন্মের কাছে এর সমৃদ্ধিকে, ঐতিহ্যকেও আরও পরিচিত করাবে।” একই ভাবে শ্রীপঞ্চ অগ্নি আখড়ার মহা মণ্ডলেশ্বর সোমেশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী মহাকুম্ভের মধ্যে বৈদিক ঐতিহ্যের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। একই ভাবে তার শিবিরে বেশ কিছু কিছু বিদ্যার্থীরা সম্পূর্ণ মেলা জুড়ে মন্ত্র পাঠ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই ভাবে পঞ্চায়েত আখড়ায় মহা নির্বাণীর মহা মণ্ডলেশ্বর স্বামী প্রণবানন্দ সরস্বতী বলেছেন, “আমাদের শিবিরে বৈদিক স্তোত্রের (Vedic Brahmin) পাশাপাশি প্রতিদিন পাঁচ লক্ষ পঞ্চাক্ষর জপ করা আটজন ব্রাহ্মণও উপস্থিত থাকবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে গণবিক্ষোভ

    Bangladesh: হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে গণবিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের বিজয় দিবসের কথা মনে করিয়ে দিতে দিল্লিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) হাই কমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে বিরাট বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ভারতীয়রা। গত ৫ অগাস্ট থেকে লাগাতার হওয়া বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতীয় হিন্দু সমাজ। হাজার হাজার সাধারণ জনতার সঙ্গে সাধুসন্তরা এদিন এই কর্মসূচীতে যোগদান করেছেন। দাবি একটাই হিন্দু নির্যাতন বন্ধ হোক।

    হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে (Bangladesh)

    নভেম্বরের শেষেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু ধর্ম গুরু চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন একাধিক জায়গায় কট্টর মৌলবাদী মুসলমানদের চলছে আগ্রাসন। হিন্দু বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, দোকান লুট, মন্দিরে আগুন, মূর্তি ভাঙচুর, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ঘটনায় চরম বিপাকে সনাতনী সমাজ। ঢাকার রাজপথে বিলি হচ্ছে ‘ভারত শত্রুরাষ্ট্র’ লিফলেট, চার দিনে কলকাতা দখল হবে বলে দেওয়া হচ্ছে হুঙ্কার। ধর্মগুরুরা প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা করছেন তলোয়ার দিয়ে কোপানো হবে ইসকনকে। এই সব ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস একদম চুপ। চট্টগ্রামের বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে হিন্দু মহিলাকে। ঢাকায় পড়ানো হচ্ছে জগন্নাথের মন্দির। তাই প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে একত্রিত হয়েছেন বহু মানুষ। সকলের মুখে একটাই স্লোগান হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশকে। একই ভাবে ইসকনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা যাবে না। অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ সন্ন্যাসীকে মুক্তি দিতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত

    এদিন দিল্লিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ কেন নির্বাক? অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠনও হিন্দুদের উপর ভয়াবহ অত্যাচারের বিরুদ্ধে চুপচাপ করে বসে আছে। বাংলাদেশ কি ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা ভুলে গিয়েছে? একই ভাবে আগে মুম্বইয়ে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে একাধিক হিন্দু সংগঠন বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে রবিবার দেশের আরও একাধিক জায়গায় হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ঢাকায় বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হুসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Properties: এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    Waqf Properties: এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)-এর একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, তাদের ২৫০টি সংরক্ষিত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফ সম্পত্তির হিসেবে তালিকা ভুক্ত হয়েছে। এই রিপোর্টকে যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে পেশ করতে চাইছে দেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। কিন্তু প্রশ্ন হল, সরকারি সম্পত্তি কীভাবে মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) সম্পত্তি হল? বিজেপির অবশ্য দাবি, দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডের নামে প্রচুর সম্পত্তি দখলের বড়সড় চক্রান্ত চলছে। এটা পূর্বতন কংগ্রেসের শাসনেই বেপরোয়া রূপ নিয়েছে। তাই সময়ে এসেছে আইন পরিবর্তনের। উল্লেখ্য, সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ এখন পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে। এই বিলের পাশ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    সাচার কিমিটি সুপারিশ করেছিল (Waqf Properties)

    জানা গিয়েছে, এএসআই (ASI)-এর পক্ষ থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে, যেগুলি ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্টে স্থান পেয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট মূলত রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সরকার তৈরি করেছিল। ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থিক, সামজিক এবং শিক্ষাগত অবস্থানকে কেন্দ্র করে প্রাচীন স্মৃতি স্তম্ভগুলিকে নথিভুক্ত করা হয় ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Properties)। রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন, এটা ইসলামি ল্যান্ড জিহাদের একটা বড় মাধ্যম।

    দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান ওয়াকফের দখলে

    তালিকায় দেখা গিয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) দখলে থাকা ১৭২টি জায়গার মধ্যে দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানো রয়েছে। তালিকায় উল্লেখযোগ্য নামগুলির মধ্য়ে রয়েছে— ফিরোজশাহ কোটলার জামা মসজিদ, আরকে পুরমের ছোটি গুমতি মাকবারা, হাউজ খাস মসজিদ এবং ইদগাহ। এই রকম আরও অনেক স্মৃতিসৌধ বা স্তম্ভগুলি দেশজুড়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের যৌথ সংসদীয় কমিটির সমীক্ষায় ওয়াকফ বোর্ডের মোট ১২০টি জায়গার নাম পাওয়া গিয়েছে যেগুলি সরাসরি এএসআই-এর অধীনে এবং সংরক্ষণে থাকার কথা। এখন ১৯৫৮ সালের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতি স্তম্ভ আইন (ASI) এবং ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ অ্যাক্ট বোর্ডকে আইন অনুযায়ী দুই পক্ষের অধিকার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধিতা একান্ত মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তাই দ্রুত সংসদে ওয়াকফ বিলকে সংশোধন করা একান্ত প্রয়োজন মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oranges: শীত মানেই কমলালেবু! এই ফল নিয়মিত বেশি খেলে কি কোনও বিপদ হতে পারে?

    Oranges: শীত মানেই কমলালেবু! এই ফল নিয়মিত বেশি খেলে কি কোনও বিপদ হতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ কমছে। শীতের (Winter) আমেজ শহর থেকে জেলা সর্বত্র! আর বাঙালির শীতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে কমলালেবু। শীতকাল আর কমলালেবু একে অপরের পরিপূরক। শীত পড়তেই অনেকেই নিয়মিত কমলালেবু খান। এই ফলের পুষ্টিগুণ একাধিক রয়েছে। কিন্তু নিয়মিত কমলালেবু (Oranges) খেলে শরীরে নানান সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের মতে, কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি-র মতো উপাদান। এর ফলে শরীরে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। আবার শীতে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমাতে কিংবা ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা মেটাতেও কমলালেবু বিশেষ সাহায্য করে। তাই কমলালেবুর একাধিক গুণ রয়েছে, একথা ঠিক। তবে, অতিরিক্ত কমলালেবু নিয়মিত খেলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার দেখে নেওয়া যাক, কমলালেবু কোন সমস্যা বাড়াতে পারে?

    আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়ায় (Oranges)

    কমলালেবু ঠান্ডা ফল। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে ব্যথা বাড়তে পারে। বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথা বেশি ভোগাতে পারে। যাঁরা বাতের সমস্যায় কাবু কিংবা আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বাড়তি ক্ষতিকারক এই ফল। অনেক সময়েই অতিরিক্ত কমলালেবু খেলে হাত-পায়ের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।

    শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়, দেখা দেয় হার্ট বার্ন

    কমলালেবু টক জাতীয় ফল। এতে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই কমলালেবু অতিরিক্ত খেলে শরীরে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে বুক জ্বালা বা হার্ট বার্নের মতো সমস্যা হয়‌।

    ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বাড়ায় 

    কমলালেবুতে (Oranges) থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। এমনকী ডায়ারিয়ার মতো জটিল পরিস্থিতিও তৈরি করতে পারে কমলালেবু। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দিনে দু’টোর বেশি কমলালেবু খেলে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে।

    কিডনির ঝুঁকি বাড়ায় (Oranges)

    অনেকেই কিডনির রোগে ভুগছেন। কমলালেবু তাঁদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে নানান অ্যাসিড থাকে। এর ফলে কিডনির সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের কমলালেবু খাওয়ার সময় পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক

    কমলালেবু দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে অ্যাসিড থাকে। তাই অতিরিক্ত কমলালেবু খেলে দাঁতের নানান ক্ষতি দেখা যেতে পারে। বিশেষত ক্যাভেটিসের সমস্যা থাকলে কমলালেবু বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে।

    বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে

    কমলালেবু (Oranges) বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ফলের জেরে গ্যাস্ট্রোইজোফেসিয়াল রিফ্ল্যাক্স হতে পারে। ফলে গ্যাস এবং বদহজমের মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, কমলালেবুর পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাই নিয়মিত কমলালেবু শীতে খেলে শরীরে যথেষ্ট উপকার হবে। তবে পরিমাণে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। একদিনে একাধিক কমলালেবু খাওয়া কখনই উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার থেকে ৫০০ এবং কাওয়ার্ধা থেকে ৩৫০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Infiltrators) ফেরত পাঠানো হয়েছে। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা। অবৈধ জবরদখল প্রবণতার জন্য বাংলাদেশি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরে তোলপাড় চলছে ছত্তিশগড়ে। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় অবৈধ বাংলাদেশি অনিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশের কারণে বন্‌ধ পালিত হয়েছিল। যা বিরাট প্রভাব ফেলেছিল এই রাজ্যের রাজনীতিতে।

    সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না (Chhattisgarh)

    ৯ ডিসেম্বর ভিলাইতে একটি বিশেষ জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, “রাজ্য থেকে প্রায় ৮৫০ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltrators) বিতাড়িত করেছি। কোন্ডাগাঁও থেকে ৪৬ জন অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। আরও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে সরকার ব্যাপক ভাবে কাজ করছে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলগুলির সঙ্গে কোনও রকম সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না।”

    আদিবাসী সামজের বন্‌ধ

    ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বেশ কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশি মুসলমানদের অবৈধ অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltrators) এবং এলাকা দখলের বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে সরব হয়েছে স্থানীয় জনজাতিরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বন্‌ধ ডেকেছিল স্থানীয় আদিবাসীরা। সেখানে দোকান, বাজার, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছিল। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হয়েছিল। এখানকার আদিবাসী সমাজের বক্তব্য হল, “বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে চোরা পথে ভারতে ঢুকে ওরা (বাংলাদেশি) এখানকার জায়গা দখল করছে। শহর, গ্রামের সর্বত্র তারা নিজেদের বসতি গড়ে আমাদের জামি জায়গা দখল করে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের ভারত থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও জনবিন্যাসকে বদলে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

    অপর দিকে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ছত্তিশগড়ে ব্যাপক অভিযান চলছে। বস্তার আইজি সুন্দর রাজ পি-এর মতে, বস্তার এবং কোন্ডাগাঁও উভয় জেলাকেই কয়েক দশকের বিদ্রোহের পর মাওবাদীমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, “রাজ্যের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন প্রচেষ্টা, তীব্র নিরাপত্তা অভিযান এক সঙ্গে চলছে। এই অঞ্চলে মাওবাদীদের কার্যকলাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিক দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Meditation Day: ২১ ডিসেম্বর বিশ্ব ধ্যান দিবস, ভারতের প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের

    World Meditation Day: ২১ ডিসেম্বর বিশ্ব ধ্যান দিবস, ভারতের প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রচীন জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য এখন বিশ্বব্যাপী আলোচ্য এবং চর্চিত বিষয়। তাকে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) তরফে ২১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব ধ্যান দিবস (World Meditation Day) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই ভারত কতটা জ্ঞান সমৃদ্ধ ছিল এই ঘোষণা তারই প্রমাণ। বিশ্বব্যাপী সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে ধ্যানের প্রয়োজনীয়তা একান্ত আবশ্যক। প্রাচীন মুনি-ঋষিদের দীর্ঘায়ুর প্রধান কারণ ছিল এই ধ্যান এবং যোগ সাধনা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষণায় বিশ্বের দরবারে ভারতের প্রচীন জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের গৌরব যে আরও বৃদ্ধি পেল তা প্রত্যেক ভারতীয় এখন আরও বেশি মনে প্রাণে বিশ্বাস করছেন।

    যুদ্ধ-অস্থিরতার বিরুদ্ধে শান্তি আনবে ধ্যান (World Meditation Day)

    সংযুক্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) সাধারণ সভায় ২১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব ধ্যান দিবস (World Meditation Day) হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব পেশ করে লিচেনস্টাইন। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মেক্সিকো, অ্যান্ডোরা এবং ভারত। একই ভাবে পূর্ণ সমর্থন দেয় বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া, মরিশাস, মোনাকো এবং আইসল্যান্ড-এর মতো দেশগুলি। তাতে বলা হয়, এই ধ্যান হল এমন এক বিষয় যা গোটা বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান, যুদ্ধ, অস্থিরতার বিরুদ্ধে শান্তি এনে দিতে পারে। ধ্যানের গুরুত্ব মানব জীবনে অতুলনীয়। এর পরই প্রস্তাব গৃহীত হয় ওই সভায়।

    বিশ্ব একটি পরিবার

    রাষ্ট্রসঙ্ঘ (United Nations) ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাারভাথানেনি হরিশ এই প্রস্তাবের জন্য বিশেষ ভাবে গর্ব অনুভব করেন। একই সঙ্গে বিশ্বের দরবারে এই ধ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “মানব সমাজের সুস্থতার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ (World Meditation Day) ভারতের জন্য বসুধৈব কুটুম্বকম অর্থাৎ বিশ্ব একটি পরিবার এই ভাবনার প্রকাশ দেখা গিয়েছে। বিশ্ব জুড়ে শান্তি এবং সম্প্রীতির জন্য এই ভাবনা একান্ত ভাবে আবশ্যক। সকলের জন্য মঙ্গল কামনা হল এর প্রধান উদ্দেশ্য।”

    আরও পড়ুনঃ উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    যোগদিবসের পরিপূরক

    এই শীতকালের ২১ ডিসেম্বরকে দিন ঠিক করার কারণ হল, এই সময় শীতকালীন অয়নকালের (Winter Solstice) সঙ্গে মিলে যায়, সূর্যের উত্তরায়ণের সূচনাকে চিহ্নিত করা যায়। সেই সঙ্গে মানুষের অভ্যন্তরীণ স্তরে আধ্যাত্মিক ভাবে শারীরিক, মানসিক ভাবনার রূপান্তরকে প্রভাবিত করবে বলে জানানো হয়। ২১ জুন, গ্রীষ্মকালীন অয়নকালের (Summer Solstice) সময় পালিত হয় বিশ্ব যোগ দিবস। ফলে তাকে মাথায় রেখে পরিপূরক হিসেবে ২১ ডিসেম্বর (World Meditation Day) ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতের প্রাচীন যোগ, ধ্যান, বিজ্ঞান চর্চা, শিল্প স্থাপাত্য, ভাস্কর্য, চারুকলা-সহ নানা প্রাচীন জ্ঞান পরম্পরায় যে মানব জীবনের মোক্ষের ধারণা লুকিয়ে রয়েছে তা বিশ্ববাসীর কাছে ক্রমে ক্রমেই প্রকট হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 214: “কুবীর বলত সাকার আমার মা, নিরাকার আমার বাপ, কাকো নিন্দো, কাকো বন্দো, দোনো পাল্লা ভারী!”

    Ramakrishna 214: “কুবীর বলত সাকার আমার মা, নিরাকার আমার বাপ, কাকো নিন্দো, কাকো বন্দো, দোনো পাল্লা ভারী!”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ ও নিরাকারবাদ

    মণিলাল (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—আহ্নিক করবার সময় তাঁকে কোন্‌খানে ধ্যান করব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হৃদয় তো বেশ ডঙ্কামারা জায়গা, সেইখানে ধ্যান করো।

    বিশ্বাসেই সব—হলধারীর নিরাকারে বিশ্বাস—শম্ভুর বিশ্বাস 

    মণিলাল ব্রহ্মজ্ঞানী, নিরাকারবাদী। ঠাকুর তাঁহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিতেছেন (Kathamrita), “কুবীর বলত, সাকার আমার মা, নিরাকার আমার বাপ। কাকো নিন্দো, কাকো বন্দো, দোনো পাল্লা ভারী!

    “হলধারী দিনে সাকারে, আর রাতে নিরাকারে থাকত। তা যে ভাবই আশ্রয় কর, ঠিক বিশ্বাস হলেই হল। সাকারেতেই বিশ্বাস কর, আর নিরাকারেই বিশ্বাস কর, কিন্তু ঠিক ঠিক হওয়া চাই।”

    পূর্বকথা—প্রথম উন্মাদ—ঈশ্বর কর্তা না কাকতালীয় 

    “শম্ভু মল্লিক বাগবাজার থেকে হেঁটে নিজের বাগানে আসত। কেউ বলেছিল, ‘অত রাস্তা, কেন গাড়ি করে আস না, বিপদ হতে পারে।’ তখন শম্ভু মুখ লাল করে বলে উঠেছিল, ‘কি, তাঁর নাম করে বেরিয়েছি আবার বিপদ!’ বিশ্বাসেতেই সব হয়! আমি বলতুম (Kathamrita), অমুককে যদি দেখি, তবে বলি সত্য। অমুক খাজাঞ্চী যদি আমার সঙ্গে কথা কয়! তা যেটা মনে করতুম, সেইটেই মিলে যেত!”

    মাস্টার ইংরেজী ন্যায়শাস্ত্র পড়িয়াছিলেন। সকাল বেলার স্বপন মিলিয়া যায় (coincidence of dreams with actual events) এটি কুসংস্কার হইতে উৎপন্ন, এ-কথা পড়িয়াছিলেন (Chapter on Fallacies) তাই তিনি জিজ্ঞাসা করিতেছেন —

    মাস্টার—আচ্ছা, কোন কোন ঘটনা মেলে নাই, এমন কি হয়েছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—না, সে-সময় সব মিলত। সে-সময় তাঁর নাম করে যা বিশ্বাস করতুম, তাই মিলে যেত! (মণিলালকে) তবে কি জানো, সরল উদার না হলে এ বিশ্বাস হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের (Kanthi Cooperative Bank) ভোট এবার করাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। ভোটের কারচুপি রুখতে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। প্রতিটি বুথে বুথে বাসানো হবে সিসিটিভি। রাজ্য সরকার ও সমবায় ইলেকশন কমিশনকে কড়া নিরাপত্তা এবং সবরকম সুবিধার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল যে ভোট লুট করে সেই বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছিল। গত দু’বারের উপনির্বাচনে তৃণমূল সরকার প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক ভাবে ভোট লুট করেছে বলে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। 

    পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার চিত্র ভয়াবহ (Supreme Court)!

    সাধারণত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হয়। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা, ফলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই নির্দেশ সত্যই রাজ্য সরকারের আইন শৃঙ্খলা এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। অতীতেও পঞ্চায়েত, লোকসভা, বিধানসভা ভোটে মনোনয়ন, ভোট গ্রহণ এবং নির্বাচন উত্তর রাজনৈতিক হিংসার চিত্র কতটা ভয়বহ রূপ নিয়েছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব ক্ষেত্রেই বিরোধীদের অভিযোগের আঙুল ছিল তৃণমূলের দিকে। 

    কেন সুপ্রিমকোর্টে (Supreme Court) নির্দেশ?

    আগামী ১৫ ডিসেম্বর কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের (Kanthi Cooperative Bank) ১০৮টি আসনে প্রতিনিধি নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ৪৩০ জন প্রার্থী। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষা আছে বলে ভোট গ্রহণ এবং গণনার জন্য স্কুলে জায়গা দিতে কর্তৃপক্ষ রাজি হননি। শেষমুহূর্তে কয়েকটি ভোট গ্রহণের কেন্দ্র বদল হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেছিলেন এগরার প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর বেরা। সোমবার ওই মামলার শুনানি ছিল। শঙ্কর বলেন, “আমাদের আইনজীবীদের কাছে খবর পেলাম ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।” তবে আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা থাকায় মোটপাঁচটি ভোট কেন্দ্রে বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাংলায় ৯০ হাজার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে’’, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য দিয়ে মমতাকে আক্রমণ অমিত মালব্যর

    শুভেন্দু বনাম তৃণমূল

    উল্লেখ্য দীর্ঘ দিন ধরে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের (Kanthi Cooperative Bank) চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রায় তিন বছর ধরে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক পরিচালন কমিটি নেই। স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগ করেই ব্যাঙ্ক চলছিল। ওই ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটি গঠনের জন্য ভোটের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মতো ১৫ ডিসেম্বর ভোট করানোর দিন স্থির করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘ভারত শত্রুরাষ্ট্র’! লিফলেট বিলি ঢাকায়, আওয়ামি লিগ নেতার বাড়ির ২ সদস্যাকে পুড়িয়ে হত্যা

    Bangladesh: ‘ভারত শত্রুরাষ্ট্র’! লিফলেট বিলি ঢাকায়, আওয়ামি লিগ নেতার বাড়ির ২ সদস্যাকে পুড়িয়ে হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘শত্রুরাষ্ট্র’ বলে প্রচার চলছে খোদ ঢাকাতেই। এরপরও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকাররের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের টনক নড়ছে না। ধর্মকে হাতিয়ার করে ভারত বিরোধিতা এবং হিন্দু নির্যাতনের কুকর্ম অবিরাম ঘটে চলেছে। অপর দিকে হাসিনাকে চক্রান্ত করে দেশ থেকে বিতারিত করার পর, মৌলবী বাজারে আরও এক আওয়ামি লিগ (Awami League) নেতার মা-কাকিমাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক।

    জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহেরির প্রচার ভারত শত্রুরাষ্ট্র (Bangladesh)

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে পশ্চিবঙ্গের একাধিক হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতকে ওই দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হয়েছে। যেখানে ভারতের থেকে পণ্যের উপর অনেকটাই নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে। ফলে এই দিকে বিচার না করে ভারতকে ‘শত্রুরাষ্ট্র’ ঘোষণার কথা বলে রীতিমতো লিফলেট বিলি করা হচ্ছে ঢাকার অলিগলিতে। তবে এই কাজে নেমেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহেরির। দুই পাতার একটি প্রচার পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে। তাতেই মুসলমান সমাজকে একত্র হতে আহ্বান করা হয়েছে। উল্লেখ্য আজ সোমবার ঢাকায় যাচ্ছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। তার মধ্যে এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    মা-কাকিমাকে পুড়িয়ে হত্যা করে কট্টর মৌলবাদীরা

    মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু নিধন এবং আওয়ামি লিগের (Awami League) কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। মৌলবী বাজার সদর উপজেলার ১১ নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা যুব লিগের সহ-সভাপতি শেখ রুমেল আহমদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় চরমপন্থীরা। তখন বাড়িতে ছিল রুমেলের মা এবং কাকিমা। তাঁরা ঘরের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পাননি। বাড়িটি আগুনে সম্পূর্ণ দগ্ধ হয়ে যায়। একই ভাবে এই জেলার আরেক ছাত্র লিগের নেতা হালালের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় কট্টরপন্থী মুসলমানরা। তবে সেখানে কেউ হতাহতের খবর মেলেনি। ক্রম বর্ধমান হিংসার আগুনে যে গোটা দেশ এখন চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে সে কথা অনেকেই মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share