Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 196: “সংসারী লোকদের ঈশ্বরে অনুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত লৌহে জলের ছিটে দিলে, জল তাতে যতক্ষণ থাকে”

    Ramakrishna 196: “সংসারী লোকদের ঈশ্বরে অনুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত লৌহে জলের ছিটে দিলে, জল তাতে যতক্ষণ থাকে”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা মে

    নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    শ্রীমন্দিরদর্শন ও উদ্দীপন—শ্রীরাধার প্রেমোন্মাদ

    “মন্দির দেখলে তাঁকেই মনে পড়ে—উদ্দীপন হয়। যেখানে তাঁর কথা হয় সেইখানে তাঁর আবির্ভাব হয়,—আর সকল তীর্থ উপস্থিত হয়। এ-সব জায়গা দেখলে ভগবানকেই মনে পড়ে।

    “একজন ভক্ত বাবলাগাছ দেখে ভাবাবিষ্ট হয়েছিল!—এই মনে করে যে, এই কাঠে ঠাকুর (Ramakrishna) রাধাকান্তের বাগানের জন্য কুড়ুলের বাঁট হয়।

    “একজন ভক্তের এরূপ গুরুভক্তি যে, গুরুর পাড়ার লোককে দেখে ভাবে বিভোর হয়ে গেল!

    “মেঘ দেখে—নীলবসন দেখে—চিত্রপট দেখে—শ্রীমতীর কৃষ্ণের উদ্দীপন হত। তিনি এই সব দেখে উন্মত্তের ন্যায় ‘কোথায় কৃষ্ণ!’ বলে (Kathamrita) ব্যাকুল হতেন।”

    ঘোষাল—উন্মাদ তো ভাল নয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সে কি গো? একি বিষয়চিন্তা করে উন্মাদ, যে অচৈতন্য হবে? এ অবস্থা যে ভগবানচিন্তা করে হয়! প্রেমোন্মাদ, জ্ঞানোন্মাদ—কি শুন নাই?

    উপায়—ঈশ্বরকে ভালবাসা ও ছয় রিপুকে মোড় ফিরানো 

    একজন ব্রাহ্মভক্ত—কি উপায়ে তাঁকে পাওয়া যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর উপর ভালবাসা।—আর এই সদাসর্বদা বিচার—ঈশ্বরই সত্য, জগৎ অনিত্য।

    “অশ্বত্থই সত্য—ফল দুদিনের জন্য।”

    ব্রাহ্মভক্ত—কাম, ক্রোধ, রিপু রয়েছে, কি করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ছয় রিপুকে ঈশ্বরের দিকে মোড় ফিরিয়ে দাও।

    “আত্মার সহিত রমণ করা, এই কামনা।

    “যারা ঈশ্বরের পথে বাধা দেয় তাদের উপর ক্রোধ। তাঁকে পাবার লোভ। ‘আমার আমার’ যদি করতে হয়, তবে তাঁক লয়ে। যেমন—আমার কৃষ্ণ, আমার রাম। যদি অহংকার করতে হয় তো বিভীষণের মতো!—আমি রামকে প্রণাম করেছি—এ-মাথা আর কারু কাছে অবনত করব না।”

    ব্রাহ্মভক্ত—তিনিই যদি সব করাচ্ছেন, তাহলে আমি পাপের জন্য দায়ী নই?

    Free Will, Responsibility (পাপের দায়িত্ব

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—দুর্যোধন ওই কথা বলেছিল (Kathamrita),

    “ত্বয়া হৃষিকেশ হৃদিস্থিতেন, যথা নিযুক্তোঽস্মি তথা করোমি।

    “যার ঠিক বিশ্বাস—‘ঈশ্বরই কর্তা আর আমি অকর্তা’—তার পাপ কার্য হয় না। যে নাচতে ঠিক শিখেছে তার বেতালে পা পড়ে না।

    “অন্তর শুদ্ধ না হলে ঈশ্বর আছেন বলে বিশ্বাসই হয় না!”

    ঠাকুর উপাসনাগৃহে সমবেত লোকগুলিকে দেখিতেছেন ও বলিতেছেন—“মাঝে মাঝে এরূপ একসঙ্গে ঈশ্বরচিন্তা ও তাঁর নামগুণকীর্তন করা খুব ভাল।

    “তবে সংসারী লোকদের ঈশ্বরে অনুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত লৌহে জলের ছিটে দিলে, জল তাতে যতক্ষণ থাকে!”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 195: “নরেন্দ্র আমায় বলেছিল, সমাজমন্দির প্রণাম করে কি হয়?”

    Ramakrishna 195: “নরেন্দ্র আমায় বলেছিল, সমাজমন্দির প্রণাম করে কি হয়?”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা মে

    নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    শ্রীমন্দিরদর্শন ও উদ্দীপন—শ্রীরাধার প্রেমোন্মাদ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজ-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। ব্রাহ্মভক্তদের সহিত কথা (Kathamrita) কহিতেছেন। সঙ্গে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি আছেন। বেলা পাঁচটা হইবে।

    ৺কাশীশ্বর মিত্রের বাগান বড়ি নন্দনবাগানে। তিনি পূর্বে সদরওয়ালা ছিলেন। আদি ব্রাহ্মসমাজভুক্ত ব্রহ্মজ্ঞানী। তিনি নিজের বাড়িতেই দ্বিতলায় বৃহৎ প্রকোষ্ঠমধ্যে ঈশ্বরের উপাসনা করিতেন, আর ভক্তদের নিমন্ত্রণ করিয়া মাঝে মাঝে উৎসব করিতেন। তাঁহার স্বর্গরোহণের পর শ্রীনাথ, যজ্ঞনাথ প্রভৃতি তাঁহার পুত্রগণ কিছুদিন ওইরূপ উৎসব করিয়াছিলেন। তাঁহারাই ঠাকুরকে অতি যত্ন করিয়া নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়াছেন।

    ঠাকুর প্রথমে আসিয়া নিচে একটি বৈঠকখানাঘরে আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন। সে ঘরে ব্রাহ্মভক্তগণ ক্রমে ক্রমে আসিয়া একত্রিত হইয়াছিলেন। শ্রীযুক্ত রবীন্দ্র (ঠাকুর) প্রভৃতি ঠাকুরবংশের ভক্তগণ এই উৎসবক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন।

    আহূত হইয়া ঠাকুর ভক্তসঙ্গে দ্বিতলায় উপাসনামন্দিরে গিয়া উপবেশন করিলেন। উপাসনার গৃহের পূর্বধারে বেদী রচনা হইয়াছে। দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি ইংরেজী বাদ্যযন্ত্র (Piano) রহিয়াছে। ঘরের উত্তরাংশে কয়েকখানি চেয়ার পাতা আছে। তাহারই পূর্বধারে দ্বার আছে—অন্তঃপুরে যাওয়া যায়।

    সন্ধ্যার সময় উৎসবের উপাসনা আরম্ভ হইবে। আদি ব্রাহ্মসমাজের শ্রীযুক্ত ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায় দু-একটি ভক্তসঙ্গে বেদীতে বসিয়া উপাসনাকার্য সম্পন্ন করিবেন।

    গ্রীষ্মকাল—আজ বুধবার (২০শে বৈশাখ), চৈত্র কৃষ্ণা দশমী তিথি। ২রা মে, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। ব্রাহ্মভক্তেরা অনেকে নিচের বৃহৎ প্রাঙ্গণে বা বারান্দায় বেড়াইতেছেন। শ্রীযুক্ত জানকী ঘোষাল প্রভৃতি কেহ কেহ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কাছে উপাসনাগৃহে আসিয়া আসন গ্রহণ করিয়াছেন। তাঁহার মুখে ঈশ্বরীয় কথা শুনিবেন। ঘরে প্রবেশ করিবামাত্র বেদীর সম্মুখে ঠাকুর প্রণাম করিলেন। আসন গ্রহণ করিয়া রাখাল, মাস্টার প্রভৃতিকে কহিতেছেন—

    নরেন্দ্র আমায় বলেছিল(Kathamrita), ‘সমাজমন্দির প্রণাম করে কি হয়?’

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ফের বড় সাফল্য বাহিনীর, বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে খতম ৫ মাওবাদী

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ফের বড় সাফল্য বাহিনীর, বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে খতম ৫ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার সকালেই বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ মাওবাদীর। নিহত মাওবাদীদের (Maoists) কাছ থেকে ৫টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে গুলির লড়াইয়ের জখম হয়েছেন দুই জওয়ানও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে রায়পুরে। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরের ৪ তারিখে বস্তারের জঙ্গলেই বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ৩১ মাওবাদী। গত ১ বছরে এই জঙ্গলে ১৯৭ জন মাওবাদী খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথমেই এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা

    গোপন সূত্র মারফত, ওই জঙ্গলে (Chhattisgarh) মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পায় বাহিনী। সেই মতো শনিবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয়। প্রথমেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জানা যায়, এই সময়ই (সকাল ৮টা নাগাদ) গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দিতে আরম্ভ করে নিরাপত্তা বাহিনীও। এই গুলির লড়াইয়েই ৫ মাওবাদী খতম হয়। অন্যদিকে, মাওবাদীদের (Maoists) ছোড়া গুলিতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) দুই জওয়ান জখম হন। তাঁদের কপ্টারে করে রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    কী বলছেন বস্তার রেঞ্জের আইজিপি পি সুন্দররাজ?

    বস্তার রেঞ্জের (Chhattisgarh) আইজিপি পি সুন্দররাজ এনিয়ে বলেন, ‘‘তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। মাঝে মাঝে জঙ্গলের ভিতর থেকে মাওবাদীরা গুলি চালাচ্ছে।’’ (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, কাঙ্কের ও অবুঝমাড়ের উত্তরে জঙ্গলে মাওবাদীদের (Chhattisgarh) উপস্থিতি নিয়ে তাঁরা গোপন সূত্রে তথ্য পান। তারপরই অপারেশনে নামে ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিএসএফ।

    টানা চার ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পরই মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে

    জানা গিয়েছে, টানা চার ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পরই মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে। তারপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচজন মাওবাদীর দেহ। প্রসঙ্গত, অবুঝমাড়ের ওই জঙ্গলের আয়তন গোয়ার থেকেও বড়। একসময় এই ঘন জঙ্গল এলাকা মাওবাদীদের দুর্গ ছিল। এর অনেকটা অংশ বিজাপুর, দান্তেওয়াড়া এবং কাঙ্কের ও মহারাষ্ট্রর মধ্যে পড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: ভারত ও আইসিসি-র চাপের কাছে নতিস্বীকার পাকিস্তানের, অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না ট্রফি

    Pakistan: ভারত ও আইসিসি-র চাপের কাছে নতিস্বীকার পাকিস্তানের, অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না ট্রফি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও আইসিসির চাপের কাছে নতি স্বীকার করল পাকিস্তান (Pakistan)। শুক্রবারই আইসিসি জানিয়েছিল যে, অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy Tour)। পাকিস্তানের তরফ থেকে আজ, শনিবার জানানো দেওয়া হয়েছে যে, ট্রফি ট্যুর করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। প্রসঙ্গত, বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ধনী বোর্ড হল বিসিসিআই। তারাই আইসিসির কাছে আপত্তি জানিয়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ট্রফি যেন কোনওভাবেই না নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে আপত্তি জানান বিসিসিআইয়ের বর্তমান সেক্রেটারি তথা আইসিসির হবু চেয়ারম্যান জয় শাহ। অবশেষে নতি স্বীকার করল পাকিস্তান।

    আইসিসির সঙ্গে আলোচনা পিসিবি-র 

    জানা গিয়েছে, পিসিবি (Pakistan) ইতিমধ্যে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করেছে যে কীভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy Tour) ট্যুর পাকিস্তানে করা যায়। প্রসঙ্গত, আগামী ১ ডিসেম্বর আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছেন জয় শাহ। তিনি আইসিসিকে বলেছিলেন যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যেন কোনওভাবে ট্রফি না নিয়ে যাওয়া হয়। আইসিসিকে আরও জানানো হয়েছিল, পাকিস্তানের অন্য যে কোনও শহর বা স্টেডিয়ামে যদি ট্রফি ট্যুর করানো হয়, তাহলে বিসিসিআইয়ের কোনও সমস্যা নেই।

    ভারত, পাকিস্তানে (Pakistan) কোনও ম্যাচই খেলতে চায় না

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানে হওয়ার কথা রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। সেখানে আটটি দেশ খেলবে। কিন্তু এরই মধ্যে আপত্তি জানিয়েছে ভারত। কারণ পাকিস্তানের ভূমিতে কোনও ম্যাচে তারা খেলতে চায় না একাধিক কারণে। ভারতের ম্যাচগুলি দুবাইতে খেলার জন্য আবেদন জানিয়েছে বিসিসিআই। এর আগেও এশিয়া কাপের ম্যাচে দেখা গিয়েছিল, ভারতের ম্যাচগুলি শ্রীলঙ্কাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং বাকিগুলো পাকিস্তানে আয়োজন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বড় করে দেখছে বিসিসিআই। তারা মনে করছে, সে দেশের জঙ্গিরা রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের টার্গেট করতে পারে। তার কারণ পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বাসে আক্রমণের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NCRTC: আপনি কি রিল বানান? নমো ভারত ট্রেনে বানিয়ে জিততে পারেন দেড় লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    NCRTC: আপনি কি রিল বানান? নমো ভারত ট্রেনে বানিয়ে জিততে পারেন দেড় লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক মাধ্যমে রিল তৈরি করা অনেকেরই নেশা। কেউ কেউ আবার আয়ের খোঁজেও কাজ করছেন। ঘরে-বাইরে, রাস্তায়, প্রকৃতি, ট্রেন-বাস ইত্যাদি জায়গায় ব্যাপকভাবে রিল বানান এক শ্রেণির যুবক-যুবতীরা। কখনও কথন আবার কখনও অভিনয়-নাচে আকর্ষণ করেন সামজিক মাধ্যমের দর্শকদের। আবার পথ চলতি মানুষ বিরক্তও হন। এবার এই রিলকে লাভজনক ব্যবসা করতে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) বিশেষ ভাবনা নিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা এনসিআরটিসি (NCRTC) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই প্রতিযোগিতার নাম, ‘নমো ভারত শর্ট ফিল্ম মেকিং কম্পিটিশন’।

    প্রতিযোগিতার শর্ত কী (NCRTC)?

    এই প্রতিযোগিতায় (NCRTC) অংশগ্রহণকারীদের একটি শর্ট ফিল্ম বা রিল তৈরি করতে হবে। তবে শর্ত একটাই ওই শর্ট ফিল্ম বা রিল অত্যাধুনিক নমো ভারত ট্রেন এবং আরআরটিএস বা রিজিওনাল র‌্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম স্টেশন থাকতে হবে। কলেজ ছাত্র থেকে চলচ্চিত্র বা কন্টেন্ট নির্মাতা অথবা চাকরিজীবী বা ব্যবসা যে কেউ এই প্রতিযগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সকলের জন্য এই প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত। নির্দিষ্ট কোনও ধরাবাধা নিয়ম নেই। কেবল মাত্র আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাগুলিকে সুকুশল ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

    রিল জমা করার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর

    আরআরটিএস স্টেশন এবং নমো ভারত ট্রেনে প্রায় বিনামূল্যেই এই উচ্চমানের ভিডিও তোলা যাবে। আলাদা করে অতরিক্ত খরচ লাগবে না। তবে যাঁরা অংশ গ্রহণ করবেন তাঁদের হিন্দি বা ইংরেজি ভাষায় রিল তৈরি করে রিল জমা (NCRTC) দিতে হবে। সমস্ত রিল এমপি ৪ বা এমওভি ফর্ম্যাটে জমা দিতে হবে। তবে ন্যূনতম রেজোলিউশন হতে হবে ১০৮০কিউ। রিল জমা করার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর। প্রতিযোগীরা সাবটাইটেল দিতে চাইলে দিতে পারেন, কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    কোন ঠিকানায় আবেদন করবেন?

    একই ভাবে প্রতিযোগীদের (NCRTC) অংশগ্রহণ করতে গেলে রিল নির্মাতাদের pr@ncrtc.in এই ঠিকানায় ইমেল করতে হবে। ইমেলের বিষয় হিসেবে লিখতে হবে, অ্যাপ্লিকেশন ফর নমো ভারত শর্ট ফিল্ম মেকিং কম্পিটিশন। একই ভাবে প্রতিযোগীতায় রিল নির্মাতার সম্পূর্ণ নাম, ১০০ শব্দের মধ্যে কাহিনীর সংক্ষিপ্তসার এবং রিলের আনুমানিক সময়কাল লিখে জানাতে হবে। মূল্যায়নের (Modi Government) পর তিনজন বিজয়ীকে নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথমস্থান অধিকারী পাবেন দেড় লক্ষ টাকা। দ্বিতীয়স্থান অধিকারী পাবেন এক লক্ষ টাকা এবং তৃতীয়স্থান অধিকারী পাবেন ৫০ হাজার টাকা। তবে জয়ীদের রিল বা ভিডিও এনসিআরটিসির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেখানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Drug Cartel: ৭০০ কেজি মাদক উদ্ধার গুজরাট উপকূলে, ফাঁস আন্তর্জাতিক চক্র, অভিনন্দন শাহের

    Drug Cartel: ৭০০ কেজি মাদক উদ্ধার গুজরাট উপকূলে, ফাঁস আন্তর্জাতিক চক্র, অভিনন্দন শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক পাচারের (Drug Cartel) বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেল ভারত। গুজরাটের (Gujarat) পোরবন্দরে ধরা পড়ল ৭০০ কেজিরও বেশি মেথামফেটামিন (মেথ নামে অধিক পরিচিত)। একটি ভেসেলের মাধ্যমে মাদক পাচার করা হচ্ছিল। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জাহাজটিতে থাকা ৮ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সকলেই নিজেদের ইরানি বলে পরিচয় দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছে কোনও পরিচয়পত্র ছিল না বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। এমন সাফল্যে, এদিনের অভিযানে অংশ নেওয়া ভারতীয় এজেন্সিগুলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল সাগর মন্থন ৪

    আধিকারিকরা জানান, মাদকের (Drug Cartel) উৎস এবং এত বড় চালান কোথা থেকে এসেছে তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া মেথের প্রকৃত মূল্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এই পরিমাণ মেথ-এর বাজারদর হতে পারে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা! প্রসঙ্গত, এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল সাগর মন্থন ৪। ভারতীয় নৌসেনা, গুজরাট (Gujarat) অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড (ATS) এবং কেন্দ্রীয় মাদক-রোধ সংস্থা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)-এর আধিকারিকরা এই যৌথ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে মোট ১১ জন ইরানের নাগরিক ও ১৪ জন পাকিস্তানিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। মাদক (Drug Cartel) বিরোধী অভিযানে ৩,৪০০ কেজিরও বেশি মাদক উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে প্রশাসন।

    অভিনন্দন জানালেন অমিত শাহ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির লক্ষ্য হল মাদকমুক্ত ভারত। আমাদের এজেন্সিগুলি আজকে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Railways: ১০,০০০ ইঞ্জিন, ১৪,৩৭৫ কিমি ট্র্যাকে বসছে ‘কবচ ৪’ সুরক্ষা, বড় ঘোষণা রেলের

    Indian Railways: ১০,০০০ ইঞ্জিন, ১৪,৩৭৫ কিমি ট্র্যাকে বসছে ‘কবচ ৪’ সুরক্ষা, বড় ঘোষণা রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে ১৪,৩৭৫ রুট কিলোমিটারের বেশি ট্র্যাকে উন্নত ‘কবচ ৪’ (Kavach 4) স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করার কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। শুক্রবার রেলের তরফ থেকে একটি সাংবাদিক বার্তায় এই কথা জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেলে ট্রেনের দুর্ঘটনা কমাতে একাধিক উদ্যোগের মধ্যে কবচ ৪ মোতায়েন হল একটি উল্লেখযোগ্য দিক। সারা দেশে রেলের ব্যবস্থাকে আরও সুন্দর, নিরাপদ এবং শাক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    কবচ সিস্টেম স্থাপনের জন্য দরপত্র বা টেন্ডার (Indian Railways)

    মালিগাঁও ও অসম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একটি সাংবাদিক সম্মলেন করে জানিয়েছেন, “মোট ১৪,৭৩৫ রুট কিমি (আরকেএম) এর মধ্যে ১১০৫ আরকেএম সংযুক্তিকরণের জন্য বিড খোলা হয়েছে। বাকি দরগুলি চলতি মাসের শেষে প্রকাশ করা হবে। একই ভাবে ভারতীয় রেল (Indian Railways) ১০,০০০ ইঞ্জিনের কবচ সিস্টেম স্থাপনের জন্য দরপত্র বা টেন্ডারের আহ্বান করা হয়েছে। কবচের আগের মডেলগুলিকে সংস্করণ করে নতুন আঙ্গিকে লোকোমোটিভগুলিতে কবচ ৪ (Kavach 4) সিস্টেম আপগ্রেড করা হবে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অঞ্চলে, কবচ বাস্তবায়নের জন্য মালদা টাউন থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত প্রায় ১,৯৬৬ রুট কিমি (আরকেএম) চিহ্নিত করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ১০ শিশু! শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ২০২৬-২৮ সালের জন্য ৩০,০০০ রুট কিমির পরিকল্পনা

    ভারতীয় রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ সালে অতিরিক্ত ১৭০০০ রুট কিমি (আরকেএম) বিডের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই ভাবে ২০২৬-২৮ সালের জন্য নির্ধারিত হয়েছে মোট ৩০,০০০ রুট কিমি (আরকেএম)। এই উন্নত কবচ ৪ (Kavach 4) সিস্টেমটি জুলাই ২০২৪ সালে গবেষণা ডিজাইন এবং স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন দ্বার অনুমোদন করা হয়েছিল। প্রথম সফল ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল, পশ্চিম-মধ্য রেলের কোটা থেকে সাওয়াই মাধোপুরের মধ্যে। মোট ১০৮ কিমি পথকে প্রসারিত করা হয়েছিল। এখন আবার পশ্চিম রেলের (Indian Railways) আমেদাবাদ এবং ভাদোদরার মধ্যে একটি ৮৪-কিমি সেকশেনেও ট্রায়ালের কাজ করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ১০ শিশু! শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Uttar Pradesh: ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ১০ শিশু! শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাসপাতালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজের (Jhansi Medical College) নিওনেটাল ইনটেনসিভ ইউনিটে ভয়াবাহ অগ্নিকেণ্ডে ১০ শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। সেই সঙ্গে আরও ১৬ জন শিশুর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক, তাদের চিকিৎসা চলছে। আগুন লাগার স্থলে অক্সিজন সরবরাহের পাইপ লিক হয়ে আরও বিধ্বংসী রূপ নেয়। ঘটনার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে তৎপর হয়ে উদ্ধার এবং ত্রাণকাজের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। অপর দিকে, দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় মৃত শিশুর পরিজনদের প্রতি শোকবার্তা দিয়ে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যে নিহতদের জন্য ২ লাখ করে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে।

    অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের ভিতরে হঠাৎ আগুন লেগে (Uttar Pradesh)

    ঝাঁসি (Uttar Pradesh) মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট (Jhansi Medical College) শচীন মহর দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, “এনআইসিইউ ওয়ার্ডে ৫৪ জন শিশু ভর্তি ছিল। কিন্তু অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের ভিতরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয় কিন্তু ওই ঘরে অক্সিজেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় মারাত্মক রূপ নেয় আগুন। বেশ কিছু শিশুকে উদ্ধার করা গেলেও ১০ জন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। আহতদের দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসার কাজ চলছে। প্রশাসন সবরকম ভাবে সহযোগিতায় কাজ করে চলছে।”

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত প্রায় পৌনে ১১টা নাগাদ আগুন লেগেছিল ওই হাসপাতালে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হাসপাতালের নিকু ওয়ার্ড হঠাৎ ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। দমকল পৌঁছনোর আগেই শিশু বিভাগের জানলা ভেঙে ৩৭ জন শিশুকে উদ্ধার করে বাইরে বার করা হয়েছিল। ঝাঁসির ডিভিশনাল কমিশনার এবং ডিআইজিকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    শিশু মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক বললেন যোগী

    অগ্নিকাণ্ডে মৃত শিশুদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজের এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “ঝাঁসি (Uttar Pradesh) জেলায় অবস্থিত মেডিক্যাল কলেজের (Jhansi Medical College) এনআইসিইউতে ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। শিশু মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং বিপর্যয় বাহিনীকে উদ্ধার-ত্রাণ কাজের জন্য সব রকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।”

    ৩টি মৃত শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা

    পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, “এই দুর্ঘটনার কারণ সন্ধানের জন্য বিশেষ ভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এই ঘটনার জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দায়ী তাদেরকে খোঁজ করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। পরিচালনার জন্য কোনও রকম ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে কিনা তারও তল্লাশি করা হবে। একই ভাবে রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।” উপ-মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বললেন, “মৃত ১০ শিশুর মধ্যে ৩টি শিশুর ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হবে। ইতি মধ্যে মৃত ৭ শিশুর দেহকে শনাক্ত করা হয়েছে। একই ভাবে আরও বেশ কিছু শিশু গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। পুলিশের ডিআইজিকে ইতিমধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলে তলব করা হয়েছে।”

    রাষ্ট্রপতির শোক প্রকাশ

    এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতি শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিজের এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজের (Jhansi Medical College) দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকটি নবজাতকের মৃত্যু খবর এসেছে। এই ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। ঈশ্বর শোকাহত পিতামাতাকে আঘাত সহ্য করার শক্তি প্রদান করুন। আর আহত শিশুদের দ্রুত আরোগ্য কামনার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি।”

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের  বার্তা

    অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এই দুর্ঘটনার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিএমও-র অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসি মেডিকেল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। এতে যাঁরা তাঁদের নিষ্পাপ সন্তানদের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে তাঁরা যেন তাঁদের এই অভূতপূর্ব ক্ষতি সহ্য করার শক্তি পান। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।” নিহতদের নিকটজনকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • INDIA: টি টোয়েন্টিতে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় টিম ইন্ডিয়ার

    INDIA: টি টোয়েন্টিতে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় টিম ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ সহজেই জিতে নিল ভারত (INDIA)। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারত এদিন দলগতভাবে সর্বোচ্চ স্কোরও করে। টার্গেট দেয় ২৮৪ রানের। প্রসঙ্গত, সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ভারত। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে হার। এরপরে সেঞ্চুরিয়ানের জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। ভারতের দুই ব্যাটসম্যান তিলক ও সঞ্জুর সেঞ্চুরির কারণে শেষ দুটি ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। সেঞ্চুরিয়ানের সেঞ্চুরি হাকান তিলক (INDIA )। জোহানেসবার্গে ফের আবার তিলক-সঞ্জুর জুটি সেঞ্চুরি হাঁকায়।

    ম্যাচের বিবরণ

    লক্ষ্য তাড়া করতে মাঠে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) প্রথম দুই ওভারেই দুটি উইকেট খুইয়ে ফেলে। এরপর ১০ রানের মাথায় চারটি উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa)। তারপর থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ক্রিস্তান স্টাবস ও ডেভিড মিলারের জুটি মাঝখানে কিছুটা চেষ্টা করে। তাঁরা দুজনে ৭৩ রান তোলেন। কিন্তু ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা কখনও ছিলই না। শুধু বোঝা যাচ্ছিল যে কুড়ি ওভার অন্তত ব্যাট করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরে বোলার বরুণ চক্রবর্তী তুলে নেন মিলারের উইকেট। ২৭ বলে ৩৬ জনের ইনিংস খেলেন মিলার। এর পরেই আউট হন ত্রিস্তান স্টাবস। ৯৬ রানের মাথায় পরপর দুই বলে ২ উইকেট পড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার নবম উইকেটে পতন হয় ১৪১ রানে। অবশেষে ১৬৮ রানে শেষ হয় প্রোটিয়াদের ইনিংস। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩৫ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতে যায় টিম ইন্ডিয়া (INDIA )।

    তিলক-সঞ্জুর জোড়া সেঞ্চুরি 

    কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই প্রথম ভারতের (INDIA) দু’জন ব্যাটার শতরান করলেন। তিলক ৪৭ বলে ১২০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। সঞ্জুর পর ভারতের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে পর পর দু’টি ২০ ওভারের ম্যাচে শতরান করার নজির গড়লেন তিলক। এদিকে, টানা দু’ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর শতরান এল সঞ্জুর ব্যাট থেকেও। ৫৬ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত ইনিংস খেললেন তিনি।

    পুত্র সন্তানের পিতা হলেন রোহিত

    অন্যদিকে, ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং তার স্ত্রী ঋতিকা দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলেন। শুক্রবার ১৫ নভেম্বর তাঁরা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শর্মা দম্পতির বর্তমানে এক কন্যা রয়েছে। তার নাম সামাইরা। ২০১৮ সালে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন ঋতিকা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mass conversion: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    Mass conversion: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের বক্সার (Buxar) জেলায় হিন্দুদের ধর্মান্তরিত (Mass conversion) করার অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, তিনজন খ্রিস্টান মিশনারী ৫০ থেকে ৬০ জন হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন। এই রকমই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই খ্রিস্টান মিশনারিরা হিন্দু মহিলাদের গঙ্গায় ডুব দেওয়ানোর পরে তাঁদের মাথায় ক্রস চিহ্ন এঁকে দিচ্ছেন এবং সিঁদুর সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিচ্ছেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই হিন্দু সংগঠনগুলি প্রতিবাদে নামে। তারপরেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিহার পুলিশ তিনজন মিশনারিকে গ্রেফতার করে। মিশনারিদের অবশ্য দাবি, ওই হিন্দুরা তাঁদের নিজেদের ইচ্ছাতেই ধর্মান্তরিত হয়েছেন এবং বাইবেল পড়ে তাঁরা ধর্মান্তরিত (Mass conversion) হয়েছেন। বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ১৪ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, এটি বিহারের বক্সার জেলার সিমরি থানার অন্তর্গত নাগপুরা গ্রামের ঘটনা।

    মিশনারিদের পরিচয় (Mass conversion)

    অভিযুক্ত তিন জন মিশনারির মধ্যে দুইজনের বাড়ি বিহারে। তাঁদের নাম রাজুরাম এবং রাজীব রঞ্জন। তৃতীয় জনের বাড়ি তামিলনাড়ুতে তাঁর নাম স্যামুয়েল। বিহারের মিশনারি রাজুরাম বলেন, ‘‘অনেক হিন্দুই তাঁর কাছে এসেছিলেন এবং নিজেদের অসুস্থতার কথা বলেছিলেন। আমি তাঁদেরকে ওষুধ খেতে বলি। তারপর তাঁদেরকে বলি যে আমি যিশুর কাছে প্রার্থনা করব। যাতে তাঁদের অসুস্থতা সেরে যায়। যাঁদের কষ্ট লাঘব হয়েছে, যাঁরা সুস্থ হয়েছেন তাঁরা স্বাধীনভাবেই খ্রিস্টান ধর্মকে গ্রহণ করেছেন।’’

    কী বলছেন সিমলি থানার ইনচার্জ?

    অন্যদিকে, সিমলি থানার (Buxar) অফিসার ইনচার্জ কমল নয়ন পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যাঁদেরকে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই গ্রামে বাড়ি এবং বাইবেল অনুসারে তাঁদের ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে এবং ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বলছেন গিরিরাজ?

    এই ঘটনায় বিবৃতি সামনে এসেছে (Mass conversion) বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আগে আদিবাসীদের হয়রানি করা হত। এখন দরিদ্র আদিবাসীদের নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। ধর্মান্তকরণ নিষিদ্ধ করার জন্য শক্তিশালী আইন প্রয়োজন। প্রতিটি জেলাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share