Tag: news in bengali

news in bengali

  • Giriraj Singh: চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    Giriraj Singh: চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দেশে একটি নতুন সংস্কৃতি আমদানি হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে উগ্র মৌলবাদীদের ফতোয়ার কারণে মহিলারা সেই সমস্ত জায়গাতেও বোরখা (Burqa) পরছেন, যেখানে হয়ত তার দরকারই নেই।’’ গিরিরাজের দাবি, ‘‘মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে। এদেশে ১০০ কোটিরও বেশি হিন্দুর কাছে এগুলি নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার কারণ রাহুল গান্ধী কিংবা লালু প্রসাদ যাদব, তাঁরা হচ্ছেন ‘ভোটের সওদাগর’। তাঁরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য এগুলো সমর্থন করছেন। এদিন গিরিরাজ জমিয়তে-উলেমা-হিন্দের প্রধান আরশাদ মাদানিকেও তীব্র আক্রমণ করেন। একই সঙ্গে ইত্তেহাদ-ই-মিলাদি কাউন্সিলের প্রধান তকবীর রাজাকেও তিনি একহাত নেন। তাঁর মতে, ‘‘এঁরা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।’’

    বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে

    এদিন তিনি (Giriraj Singh) আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে। মুসলিম দেশগুলিতে বোরখার বিরুদ্ধে নারীরা আন্দোলন করছেন। কিন্তু ভারতবর্ষে উগ্র মৌলবাদীরা নতুন ধরনের সংস্কৃতি আমদানি করেছে, যেখানে অপ্রয়োজনীয় জায়গাতেও তাঁরা বোরখা (Burqa) পরছেন।’’ প্রসঙ্গত, মুসলিম নেতা মাদানি সম্প্রতি বলেছেন যে, পাঁচ লাখ লোক তাঁরা জমায়েত করবেন, ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে। আইনের বিপক্ষে গিয়ে তাঁরা কিছুই করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন গিরিরাজ।

    গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করছেন রাহুল গান্ধী!

    সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও তোপ দেগেছেন তিনি। তিনি (Giriraj Singh) বলেন, ‘‘সারাদেশে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে সবচেয়ে বেশি কংগ্রেস দল। কারণ তারাই দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়। শুধুমাত্র তাই নয়, রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী চাইছেন সারা ভারতে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক। এইভাবে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গৃহযুদ্ধে মদত দিতে চান এবং ভারতবর্ষকে এর মাধ্যমে ধ্বংস করতে চান।’’ খাড়্গেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘খাড়্গে সাহেব আপনার উদ্দেশ্য কখনও পূরণ হবে না, কারণ ভারতবর্ষের যুবসমাজ বর্তমানে জেগে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে দূষণ। বিশেষত বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে একাধিক বিপদ। আর সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ফুসফুসের! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। যার জেরে নিউমোনিয়ার (Pneumonia) মতো রোগের দাপট মারাত্মক বেড়েছে। ১২ নভেম্বর ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া সচেতনতা দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে পৃথিবী জুড়ে এই রোগের দাপট বাড়ছে, তাতে সচেতনতা না বাড়ালে মোকাবিলা করা কঠিন। আরও কঠিন হয়ে উঠবে সুস্থ জীবনযাপন। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এই বছরে তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক নিঃশ্বাস কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোঝা জরুরি। বাতাসে যেভাবে দূষিত উপাদান বাড়ছে, তাতে পরিশুদ্ধ বাতাস কতখানি পাচ্ছে, মানুষকে সেদিকে নজর দিতে হবে। এ বছরের থিম ‘Every Breath Counts’।

    কাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া? (Pneumonia) 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু এবং বয়স্কদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এই রোগ।‌ নিউমোনিয়ার দাপটে বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর ৮০ লাখ শিশুর জীবন-সঙ্কট তৈরি হয়। প্রবীণ নাগরিকদেরও জীবনের ঝুঁকি বাড়ায় এই রোগ। গত কয়েক বছরে সত্তরোর্ধ্ব অধিকাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকছে নিউমোনিয়া। তাই প্রথম থেকেই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা না থাকলে বিপদ বাড়বে। কিন্তু কীভাবে নিউমোনিয়ার মোকাবিলা সম্ভব?

    টিকাকরণ জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুসফুসের সুস্থতার (Lung infection) দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। তাই টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, বিশ্বের একাধিক দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে বিশেষ সচেতনতা নেই। ফলে, এই রোগের দাপট আরও বাড়ছে।

    ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপান অত‌্যন্ত ক্ষতিকারক। এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। যে ধূমপান করছে, তার পাশপাশি তার আশপাশের মানুষের জন্যও এই অভ্যাস ক্ষতিকারক।ফুসফুসের উপরে এটা মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ফুসফুসের একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) দাপট বাড়াতে পারে এই অভ্যাস। তাই ধূমপানের অভ্যাস ছাড়া দরকার।

    নিয়মিত হাত পরিষ্কার

    সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস থাকলে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ফলে, নিউমোনিয়ার মতো জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।

    ঘরের ভিতরের বাতাস পরিশুদ্ধ থাকা জরুরি (Pneumonia) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরের ভিতরের বাতাস কতখানি পরিশুদ্ধ সেদিকেও‌ নজরদারি জরুরি। প্রয়োজনে আরও ইন্ডোর গাছ ঘরে রাখার দিকেও নজর দেওয়া দরকার। বহু গাছ বাতাসের দূষিত উপাদান সহজেই টেনে নেয়। তাই সেদিকে নজর দিলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হয়‌।

    রোগ নিয়ে সচেতনতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে একেবারেই এড়িয়ে চলা যাবে না। প্রথম থেকেই রোগ নিয়ে সতর্ক থাকলে বড় বিপদ এড়ানো‌ সহজ হয়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Guru Nanak Jayanti: স্বয়ং ঈশ্বর তাঁকে অমৃত দিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস, আজ গুরু নানক জয়ন্তী

    Guru Nanak Jayanti: স্বয়ং ঈশ্বর তাঁকে অমৃত দিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস, আজ গুরু নানক জয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর গুরু নানক জয়ন্তী। শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানককে (Guru Nanak Jayanti) ‘বাবা নানক’ নামেও অভিহিত করা হয়। জানা যায়, ১৪৬৯ সালে গুরু নানকের জন্ম হয় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নানকানা সাহিবের এক হিন্দু পরিবারে। শিখ ধর্মের এই প্রবর্তক আজীবন অগণিত মানুষকে দিশা দেখিয়েছেন। জীব সেবার নানা পথের সন্ধান তিনি দিয়েছেন। আজও তিনি সমাজকল্যাণের এক বটবৃক্ষ হয়ে রয়েছেন। গুরু নানকের জন্মদিন অত্যন্ত ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয়। এই দিন শিখ (Sikhism) ধর্মাবলম্বী মানুষরা নগর কীর্তন বের করেন, শোভাযাত্রা করেন, গুরু নানকের উদ্দেশে স্তব গান করেন।

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    প্রসঙ্গত, ছোট থেকে গুরু নানকের (Guru Nanak Jayanti) মধ্যে ছিল প্রবল ঈশ্বর চিন্তা। অল্প বয়সেই নানকের বিয়ে হয় বলে জানা যায়। এরপরে কিছুকাল তিনি হিসাব রক্ষকের কাজও করেন। জানা যায়, প্রত্যহ সূর্যোদয়ের ১ ঘণ্টা আগে গুরুনানক নদীতে স্নান করতেন। এরকমই একটি অভিজ্ঞতার কথা কথিত হয়ে রয়েছে। ৩০ বছর বয়সে ভোরবেলায় নানক একদিন নদীতে স্নান করতে যান। সে সময় ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয় বলে কথিত রয়েছে। জানা যায়, ঈশ্বর (Sikhism) তাঁকে এক কাপ অমৃত দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তোমার মাধ্যমে আমার নাম মহিমান্বিত হবে। তোমাকে যে অনুসরণ করবে আমি তাকে রক্ষা করব। জীবনে দাতব্য (দান), অজু (পরিচ্ছন্নতা), সেবা (সেবাকার্য) এবং সিমরান (প্রার্থনা)-র ওপর জোর দিতে নানককে পরামর্শ দেন ঈশ্বর। জানা যায়, গুরু নানক তাঁর বার্তা ছড়িয়ে দিতে হেঁটে ভ্রমণ করেছিলেন, শ্রীলঙ্কা, বাগদাদ, মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন।

    গুরু নানকের (Guru Nanak Jayanti)  গুরুত্বপূর্ণ ১০ বাণী

    ১) ‘‘নিজের কাজ নিজে করো, কারও সাহায্য ছাড়াই কাজ করার চেষ্টা করো’’

    ২) ‘‘কোনও কুসংস্কারকে মনে প্রশ্রয় দিও না। কারণ কুসংস্কার মনের মধ্যে ভয় তৈরি করে। জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়।’’

    ৩) ‘‘যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করা যায় না, সারা জীবন ধরে চেষ্টা করলেও কেউ তা পেরে উঠবে না।’’

    ৪) ‘‘যাঁর নিজের উপরে কোনও বিশ্বাস নেই, তিনি ভগবানকে কী করে বিশ্বাস করবেন!’’

    ৫) ‘‘জঙ্গলের মধ্যে ঢুকলে আলোর সন্ধান পাবে না। তাই উদার হও’’

    ৬) ‘‘ঈশ্বর আর মানুষ আলাদা নয়, মানুষকে ভালোবাসলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়।’’

    ৭) ‘‘এমন কথাই সব সময় বলা উচিত যেখানে অন্যরা সেটা শুনে আপনাকে শ্রদ্ধা সম্মান করতে পারে।’’

    ৮) ‘‘ব্যক্তির তাঁর আয়ের ১০ ভাগ দাতব্য কাজে এবং ১০ ভাগ সময় ঈশ্বরের ভক্তির জন্য ব্যয় করা উচিত।’’

    ৯) ‘‘টাকা সবসময় পকেটে থাকা উচিত। এটি আপনার হৃদয়ের কাছাকাছি রাখা উচিত নয়।’’

    ১০) ‘‘খারাপ কাজ করার চিন্তা করা উচিত নয় এবং কাউকে নির্যাতন করা উচিত নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birsa Munda: খাদ্যাভ্যাসে নিরামিষাশী, কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত, আজ বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    Birsa Munda: খাদ্যাভ্যাসে নিরামিষাশী, কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত, আজ বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খুন্তি জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম উলিহাতু। মেরেকটে আড়াইশো পরিবারের বাস গ্রামে। মোট জনসংখ্যা ১,১২৬। এমন গ্রামের সংখ্যা ভারতে নেহাত কম নয়। গুণতে গেলে কয়েক লাখে থামতে হবে। তবে হঠাৎ উলিহাতু নিয়ে আলোচনা কেন? কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই গ্রামে? উত্তর হল, ছোট্ট প্রত্যন্ত এই গ্রাম এক দেশ বিখ্যাত যোদ্ধার জন্মভূমি। যাঁকে তাঁর অনুগামীরা ‘ধরতি আবা’ বলতেন। অর্থাৎ কিনা স্বয়ং ভগবান। যাঁকে দমানোর জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত মাঠে নামতে হয়েছিল। তিনি মুন্ডা বিদ্রোহের অবিসংবাদী নেতা ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda)। আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর তাঁর ১৫০তম জন্মদিন। মুন্ডা শব্দটি সংস্কৃত থেকে উৎপত্তি হয়েছে যার প্রকৃত অর্থ ‘গ্রাম প্রধান’।

    বিরসা মুন্ডার মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার (Birsa Munda)। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল। কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভ্যাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে। এরফলে অরণ্যের ওপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda)। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর-ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে (Birsa Munda) হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা।

    বিরসার জন্মদিন ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ (Janjatiya Gaurav Divas)

    ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশাতে আজও পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ ‘বিরসা মুন্ডা’কে ‘ভগবান বিরসা মান্দা’ হিসাবে পুজো করে থাকেন। এমন একজন ঐশ্বরিক ব্যক্তিত্ব যিনি তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার কেন্দ্র- যিনি ভারতের সম্পদ, তিনি ব্রাত্য থেকেছে বরাবর। তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাননি। স্বাধীনতার পর থেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েক বছর আগে ‘মন কি বাত’, ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র দুঃসাহসিক গল্প স্মরণ করেন এবং ঘোষণা করেন, তাঁর জন্ম-জয়ন্তী (Janjatiya Gaurav Divas), প্রতি বছর ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসাবে উদযাপন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে’’, মহারাষ্ট্রে তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে’’, মহারাষ্ট্রে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharastra) নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধীদের তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে।’’ মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের লড়াইকে তিনি আখ্যা দেন সম্ভাজি মহারাজের বনাম ঔরঙ্গজেবের লড়াই হিসেবে। এদিন নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীদের তুলোধনা করেন ৩৭০ ধারা ইস্যুতেও। তিনি বলেন, ‘‘ যে ধারা কাশ্মীরকে আলাদা সংবিধান তৈরি করার অধিকার দিয়েছিল, ফের আবার তা ফিরিয়ে আনতে চলেছে কংগ্রেস ও জোট সঙ্গীরা।

    ছত্রপতি সম্ভাজি নগরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী 

    এরপরই তিনি জনগণের উদ্দেশে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, ‘‘মহারাষ্ট্র কি কংগ্রেসকে সমর্থন করে? যারা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে।’’ তারপরেই জনগণের (PM Modi) উদ্দেশ্যে তিনি দুটির মধ্যে একটিকে বাছতে বলেন। তিনি বলেন, ‘‘একদিকে রয়েছে সম্ভাজি মহারাজের সমর্থকরা, অন্যদিকে রয়েছে ঔরঙ্গজেবের সমর্থকরা। জনগণকে ঠিক করতে হবে তারা কাকে বাছবে। এদিন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেন ছত্রপতি সম্ভাজি নগরে (Maharastra)। সেখানেই কংগ্রেসকে এক হাত নেন তিনি। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রস্তাব পেশ করেছে যাতে আর্টিকেল ৩৭০কে ফিরিয়ে আনা যায়। এ নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস কখনও চায় না কাশ্মীর অখণ্ড ভারতের অংশ হোক।

    প্রত্যেক ভারতবাসী চায় জম্মু-কাশ্মীর শাসিত হোক বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থেকেই

    নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যখন কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারা মুক্ত করেছিলাম তখন কংগ্রেস ও তার জোট সঙ্গীরা এর বিরোধিতা করেছিল, সংসদে দাঁড়িয়ে। শুধুমাত্র তাই নয়, তারা আদালতের দরজাতে কড়া নেড়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তারা ফের একবার সেই ৩৭০ ধারাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আলাদা সংবিধান তারা চাইছে।’’ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতবাসী চায় জম্মু-কাশ্মীর শাসিত হোক বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থেকেই।’’ প্রধানমন্ত্রী এদিন কংগ্রেসের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘‘তারা জাতভিত্তিক জনগণনা চাইছে এবং তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং ওবিসিদের মধ্যে বিভাজন আনার চেষ্টা করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghar Wapsi: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    Ghar Wapsi: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মিরাটের ৩০টি পরিবারের প্রায় ১৫০ জন হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তাঁদেরকে পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল সনাতন ধর্মে (Sanatan Dharma)। গত ১০ নভেম্বর, ঘর ওয়াপসির (Ghar Wapsi) এই অনুষ্ঠান বৈদিক রীতি মেনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, হিন্দুদের খ্রিস্টান করার চক্রান্তের পিছনে রয়েছেন পাস্তুর বিজ্জু ম্যাথিউ নামের এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, তাঁর বাড়ি কেরলে। পুলিশের জেরার মুখে পাস্তুর জানিয়েছেন, ৩০০ হিন্দু পরিবারকে তিনি খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে, দরিদ্র হিন্দুদের বিয়ে দিয়ে, শিক্ষার দায়িত্ব নিয়ে অথবা স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা দিয়েই ধর্মান্তকরণের কাজ করতেন।

    উত্তরপ্রদেশের মিরাটের কঙ্করখেদা পুলিশ স্টেশনের ঘটনা 

    জানা গিয়েছে, ম্যাথিউ এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই এই কাজে সক্রিয় ছিলেন। এই ঘটনার মামলা দায়ের হতেই ম্যাথিউকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের কঙ্করখেদা পুলিশ স্টেশনে। স্থানীয়দের সূত্রে খবর, ম্যাথিউ এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই বিগত আড়াই মাস ধরে এই এলাকায় ভাড়ায় ছিলেন (Ghar Wapsi)। সেখানেই খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণের কাজ করতেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: কোভিডকালে বন্ধু হয়ে পাশে ছিলেন, ‘ডমিনিকা’-র সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ধর্মান্তকরণের তিন পদ্ধতি 

    প্রতি রবিবার নিজের বাড়িতে তিনি প্রার্থনাসভার আয়োজন করতেন এবং হিন্দুদের (Ghar Wapsi) সেখানে আহ্বান জানাতেন। এই ঘটনা স্থানীয় হিন্দু সংগঠনের (Sanatan Dharma) চোখে পড়তেই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে ম্যাথিউস তিন ধরনের প্ররোচনা দিতেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমত, দরিদ্র হিন্দুদের বাড়ির ছেলে মেয়েদের বিবাহের খরচ বহন করতেন, দ্বিতীয়ত, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁদেরকে দিতেন, তৃতীয়ত কেউ অসুস্থ হলে তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tulsi Gabbard: তুলসী গ্যাবার্ডের হিন্দু প্রেম, কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য, ভারত প্রেমের বড় প্রমাণ

    Tulsi Gabbard: তুলসী গ্যাবার্ডের হিন্দু প্রেম, কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য, ভারত প্রেমের বড় প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মকে ভালোবেসে তাঁর মা হিন্দু হয়েছিলেন। সন্তানদের নাম দিয়েছিলেন হিন্দুদের নামে। এহেন এক মার্কিন মহিলার এক সন্তান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard) বর্তমানে খবরের শিরোনামে। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি এসেছিলেন খবরের হেডলাইনে। সেবার মার্কিন দেশে সফর করাকালীন (Donald Trump) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন গীতা। তখনই প্রকাশ পেয়েছিল তুলসীর গীতা-প্রেম। তিনি বলেছিলেন, “হিন্দু ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম, গীতা শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ।”

    তুলসীই প্রথম হিন্দু মার্কিন কংগ্রেসে (Tulsi Gabbard)

    এক সময় তুলসী ছিলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। পরে যোগ দেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানে। সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রচার করেছেন ট্রাম্পের হয়ে। তার জেরে জুটেছে পুরস্কারও। ট্রাম্প তাঁকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ পদে বসিয়ে দিয়েছেন। তুলসী প্রথম হিন্দু হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। সারা জীবন নিরামিষ খেয়ে আসছেন। শপথগ্রহণ করেছিলেন পবিত্র হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভাগবত গীতায় হাত রেখে। হিন্দু ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাঁর মা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তুলসীকেও বড় করেছিলেন সেই ধর্মের আদর্শেই। সেই কারণেই তুলসীও মনে-প্রাণে মায় ধর্মেও হিন্দু (Tulsi Gabbard)। হাওয়াইয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুলসী। তিনি কেবল হাউজের প্রথম হিন্দু সদস্যই হননি, কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বকারী প্রথম আমেরিকান সামোয়ানও হয়েছিলেন। তুলসি (Tulsi Gabbard) সেনাবাহিনীর এক অভিজ্ঞ সদস্য। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে কাজ করার সুবাদে ইরাক ও কুয়েতে মোতায়েন ছিলেন তুলসি। দু’বছর ধরে হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতেও কাজ করেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

    তুলসীর জনপ্রিয়তা

    ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান-দুই দলেই তুলসীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সে কথা স্বীকারও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ডেমেক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে, একজন প্রাক্তন প্রার্থী হিসেবে তাঁর উভয় দলের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে–তিনি এখন গর্বিত রিপাবলিকান।” তুলসীর ভারত-প্রেম বেশ পুরানো। ২০১৪ সালে প্রথম হিন্দু-আমেরিকান কংগ্রেসওম্যান তুলসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তর্জাতিক যোগ দিবস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে সমর্থনের অঙ্গীকার করেছিলেন। এক বিবৃতিতে তুলসী বলেছিলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির রাষ্ট্রসঙ্ঘে আহ্বানকে সমর্থন করার জন্য একটি প্রস্তাব পাশ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তুলসী এবং মোদি-দুজনেই একমত হন যে যোগব্যায়াম শুধুমাত্র শারীরিক অনুশীলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি জীবনধারা সচেতনতা এবং বিশ্বদৃষ্টি, যা স্বাস্থ্যের উন্নতি, শান্তির প্রচার এবং (Donald Trump) বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান প্রদান করতে পারে।” তিনি এও বলেছিলেন, “প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থগুলিতে আধুনিক বিশ্বের জন্য যে বিশাল জ্ঞান রয়েছে, তা পশ্চিমি বিশ্বকে বিস্মিত করবে।” আন্তর্জাতিক যোগ দিবস প্রতিষ্ঠায় মোদির প্রস্তাবের পক্ষে জোরালো সওয়ালও করেছিলেন তুলসী।

    কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য

    কাশ্মীর নিয়েও তুলসী সুন্দর মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীরের জটিল ইতিহাস বোঝা আমাদের মতো বাইরের লোকদের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে এবং এখনও ফিরে আসতে পারেনি। অঞ্চলটির নীতিগুলি ঐতিহাসিকভাবে অধিকার, বিশেষ করে নারীদের অধিকার সীমিত করেছিল।” তুলসীর মতে, সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো নতুন আশা এবং উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, “এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান ভারতের অভ্যন্তর থেকেই আসা উচিত। এটি একটি সার্বভৌম দেশের পরিস্থিতি… যা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দ্বারা সমাধান করতে হবে, যাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ এখানে নির্ভর করছে।”

    কী বললেন তুলসী

    তুলসী (Tulsi Gabbard) বলেন, “আজ হিন্দু আমেরিকানদের প্রোফাইলিং এবং লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে… আগামীকাল কি মুসলিম বা ইহুদি আমেরিকানদের পালা আসবে?” তিনি বলেন, “এটি ধর্মীয় এবং জাতিগত প্রোফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। অতীতের নির্বাচনে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার ধর্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা করেছে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, তাঁর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীরা হিন্দুধর্মকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে দাবি করেছিলেন। এই ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তুলসী বলেন, “ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মগুলোর প্রতি ভীতি সঞ্চারের প্রচেষ্টা এখনও রয়ে গেছে।”

    হিন্দু নিধনযজ্ঞ নিয়ে মন্তব্য

    বাংলাদেশে হিন্দু নিধনযজ্ঞ দেখে তুলসী বলেছিলেন, “এই ধরনের ঘৃণা ও হিংসা দেখে আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে।” বাংলাদেশের সরকারকে হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ-সহ সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে ঘৃণার জিহাদি শক্তি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। তুলসী বলেন, “এই ধরনের হিংসা বিশ্বাসের মৌলিক নীতিগুলির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ঈশ্বর হলেন ভালোবাসা এবং তাঁর প্রকৃত সেবকরা সেই ভালোবাসা পৃথিবীতে (Donald Trump) ধারণ ও প্রকাশ করে (Tulsi Gabbard)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: জোর ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণায়! ১৫ নভেম্বর থেকে ৩ দিনের সম্মেলন করছে আরএসএস

    RSS: জোর ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণায়! ১৫ নভেম্বর থেকে ৩ দিনের সম্মেলন করছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণাকে যুব সমাজের মধ্যে আরও জনপ্রিয় করতে তিন দিনের সম্মেলন করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এই সম্মেলন। যার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। এই সম্মেলনের নাম রাখা হয়েছে ‘ভিশন ফর বিকশিত ভারত’ (Vision For Viksit Bharat)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখা সংগঠন বলে পরিচিত ‘ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডল’, গুরুগ্রামে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। সেখানকার এসজিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হবে এই সম্মেলন।

    সারা দেশ থেকেই ছাত্র-তরুণ-শিক্ষকরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন 

    কবীন্দ্র তালিয়ান হলেন বর্তমানে ‘ইউথ ইউনাইটেড ফর ভিশন অ্যান্ড অ্যাকশন’- এই মঞ্চের আহ্বায়ক। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘দেশজুড়ে ছাত্ররা, শিক্ষকরা এবং যুবসমাজ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। আমরা আশাবাদী এই সম্মেলন সফল হবে।’’ সম্মেলনকে সফল করতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সমেত ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে হাজির হয়েছেন গুরুগ্রামে। জানা যাচ্ছে, ছাত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধিরাও ইতিমধ্যে পৌঁছেছেন সেখানে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের গবেষণাপত্র জমা করবেন।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    কী জানালেন ভারতীয় শিক্ষণ মন্ডলের জাতীয় সভাপতি?

    ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের জাতীয় সভাপতি সচ্চিদানন্দন জোশি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে গবেষকরা গবেষণাপত্র জমা করবেন। তারপর সেগুলিকে বাছাই করা হবে। যেগুলি মনোনীত হবে, সেগুলিকে প্রদর্শন করা হবে। সচ্চিদানন্দ জোশি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা ভারত-কেন্দ্রিক গবেষণাতে (Vision For Viksit Bharat) বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সম্মেলন দেশজুড়ে যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত (RSS) করবে এবং তা গ্রামীণ বিকাশ এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে সংরক্ষণে সাহায্য করবে। জানা যাচ্ছে, এই সম্মেলনের অন্যতম অংশ হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেরও ব্যবহার করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Piyush Goyal: মোদি জমানায় সর্বনিম্ন হয়েছে ভারতের গড় মুদ্রাস্ফীতি, দাবি গোয়েলের

    Piyush Goyal: মোদি জমানায় সর্বনিম্ন হয়েছে ভারতের গড় মুদ্রাস্ফীতি, দাবি গোয়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদি (PM Modi) সরকারের গত ১০ বছরে ভারতের গড় মুদ্রাস্ফীতি স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের মধ্যে ছিল সর্বনিম্ন।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তিনি বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচিত অবশ্যই সুদের হার কমানো।”

    কী বললেন মন্ত্রী (Piyush Goyal)

    অক্টোবর ২০২৪-এর সর্বশেষ খুচরো মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গোয়েল বলেন, “যখন আরবিআইয়ের মানিটারি পলিসি কমিটি তাদের সুপারিশগুলি করেছিল, তারা এই মাসে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাসও দিয়েছিল। এটি কোনও জটিল বিষয় নয়।” গোয়েল এদিন সিএনবিসি-টিভি১৮ ‘গ্লোবাল লিডারশিপ সামিটে’ বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন, “এটি (অক্টোবর ২০২৪ এর মূল্যস্ফীতি) কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয়। ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতির হার আবার কমে আসবে।” গোয়েল বলেন, “যা ঘটছে তা বোঝার জন্য আমরা সবাই যথেষ্ট বুদ্ধিমান। বেস এফেক্ট কী, ফ্যাক্টরগুলিই বা কী, উৎসবের চাহিদা কী ছিল, এগুলি আমরা জানি (Piyush Goyal)।”

    মুদ্রাস্ফীতি

    অক্টোবর মাসে ভারতের সিপিআই (উপভোক্তা মূল্য সূচক) মুদ্রাস্ফীতি গত ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬.১ শতাংশে পৌঁছেছে। অগাস্টের পর এই প্রথমবার মুদ্রাস্ফীতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের নির্ধারিত ৬ শতাংশের সীমা অতিক্রম করেছে। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১০.৮৭ শতাংশ। এর পরেই তিনি বলেন, “আরবিআইয়ের অবশ্যই সুদের হার কমানো উচিত।” চাহিদা হ্রাসের প্রসঙ্গে গোয়েল বলেন, “শিল্পের উচিত আকর্ষণীয় মূল্যে ভোক্তাদের পছন্দ ও চাহিদার দিকে নজর দেওয়া।”

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান হচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড, চেনেন তাঁকে?

    প্রসঙ্গত, জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের দেওয়া তথ্যে দেখা গিয়েছে, ডাল, ডিম, চিনি, মিষ্টি এবং মশলার ক্ষেত্রে অক্টোবরে ২০২৪ সালের মুদ্রাস্ফীতিতেও উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের বক্তব্য, অক্টোবর ২০২৪ সালে উচ্চ খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি প্রধানত চালিত হয়েছে শাকসবজি, ফল, তেল এবং চর্বির দাম বৃদ্ধি দ্বারা। আইসিআরএ-র প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন, “সিপিআই মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগজনকভাবে ২০২৪ সালের অক্টোবরে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চস্তরে পৌঁছেছে, যা এমপিসির মধ্যমেয়াদী (PM Modi) লক্ষ্যমাত্রার ২-৬ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা অতিক্রম করেছে (Piyush Goyal)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Ramakrishna 193: “তাঁকে দর্শন হলে মানুষ আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায়, চুপ হয়ে যায়। খবর কে দেবে? বুঝাবে কে?”

    Ramakrishna 193: “তাঁকে দর্শন হলে মানুষ আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায়, চুপ হয়ে যায়। খবর কে দেবে? বুঝাবে কে?”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে

    আচার্য—আজ্ঞা হাঁ, বেদান্তে ওইরূপ কথাই (Kathamrita) আছে।

    নির্গুণ ব্রহ্ম ‘অবাঙ্মনসোগোচরম্‌’—ত্রিগুণাতীতম্‌ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—লবণপুত্তলিকা সাগর মাপতে গিছিল, ফিরে এসে আর খবর দিলে না। এক মতে আছে শুকদেবাদি দর্শন-স্পর্শন করেছিল, ডুব দেয় নাই।

    “আমি বিদ্যাসগরকে বলেছিলাম, সব জিনিস এঁটো হয়ে গেছে, কিন্তু ব্রহ্ম উচ্ছিষ্ট হয় নাই। অর্থাৎ ব্রহ্ম কি, কেউ মুখে বলতে পারে নাই। মুখে বললেই জিনিসটা এঁটো হয়। বিদ্যাসাগর পণ্ডিত, শুনে ভারী খুশি।

    “কেদারের ওদিকে শুনেছি বরফে ঢাকা পাহাড় আছে। বেশি উচ্চে উঠলে আর ফিরতে হয় না। যারা বেশি উচ্চেতে কি আছে, গেলে কিরূপ অবস্থা হয়—এ-সব জানতে গিয়েছে, তারা ফিরে এসে, আর খবর দেয় নাই।

    “তাঁকে দর্শন হলে মানুষ আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায়, চুপ হয়ে যায়। খবর কে দেবে? বুঝাবে কে?

    “সাত দেউড়ির পর রাজা। প্রত্যেক দেউড়িতে এক-একজন মহা ঐশ্বর্যবান পুরুষ (Ramakrishna) বসে আছেন। প্রত্যেক দেউড়িতেই শিষ্য জিজ্ঞাসা করছে, এই কি রাজা? গুরুও বলছেন, না; নেতি নেতি। সপ্তম দেউড়িতে গিয়ে যা দেখলে, একেবারে অবাক! আনন্দে বিহ্বল। আর জিজ্ঞাসা করতে হল না ‘এই কি রাজা?’ দেখেই সব সংশয় চলে গেল।”

    আচার্য—আজ্ঞে হাঁ, বেদান্তে (Kathamrita) এইরূপই সব আছে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share