Tag: news in bengali

news in bengali

  • Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে ভাত-রুটি কি একেবারেই বাদ দিতে হবে? জোর দেবেন কোন কোন খাবারে?

    Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে ভাত-রুটি কি একেবারেই বাদ দিতে হবে? জোর দেবেন কোন কোন খাবারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে জীবন‌যাপনের ধরন। খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের সময়, বদল এসেছে সব কিছুর। আর তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে ডায়াবেটিস। দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিসের প্রকোপ। এই রোগ আর বয়সের সীমানায় আটকে নেই। শিশুদের মধ্যেও মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। শিশুর শরীরে টাইপ টু ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। ১৪ নভেম্বর ছিল ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ডে! দেশ জুড়ে চলেছে নানান সচেতনতা কর্মসূচি। সুস্থ জীবন এবং ডায়াবেটিসের প্রকোপ রুখতে খাবারকেই হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কীভাবে রুখবেন ডায়াবেটিসের প্রকোপ? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাসই ডায়াবেটিস রুখতে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। আর পুষ্টিকর খাবারে অভ্যস্ত হলে সহজেই এই রোগের প্রকোপ কমানো যায়।

    কখন খাবেন? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার কখন খাওয়া হচ্ছে, সেটা খুব জরুরি। ডায়াবেটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে ঠিক সময়ে খাওয়া দরকার।‌ অর্থাৎ, তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবার ন’টার মধ্যে খেতে হবে। অনেকেই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। এর ফলে জলখাবার খাওয়া হয় না। একেবারেই দুপুরের খাবার খান। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। নিয়মিত সকালের জলখাবার খাওয়া জরুরি। অন্তত তিন ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খেতে হবে। হালকা খাবার খাওয়ার দিকেই নজর দেওয়া জরুরি। অর্থাৎ একসঙ্গে অনেক পরিমাণ খাওয়ার পরিবর্তে বারবার হালকা খাবার খেলে শরীর ভালো থাকবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে একসঙ্গে অনেক পরিমাণ খাবার খান। আর এর ফলেই একাধিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার ফলে একদিকে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে। আবার হঠাৎ করেই অনেকটা খাবার খেয়ে নিলে শরীরের একাধিক উপাদান যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মাত্রাও ওঠানামা করে। ফলে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়ে। রাতের খাবারের সময় নিয়েও সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনেক রাতে ভারী খাবার খাওয়ায় অভ্যস্থ হয়ে উঠছে।‌ এর ফলে লিভার এবং কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ছে। তাই ডায়াবেটিসের জটিলতা বাড়ছে। কখনই রাত ন’টার পরে ভারী খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী খাবেন?

    ডায়াবেটিস রুখতে সব্জি, ফল এবং প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে ব্যালান্স জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত সব্জি খেতে হবে। বিশেষ করে সবুজ সব্জি! পালং শাক, পটল, ঢ্যাঁড়শ, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো নানা রকমের সব্জি নিয়মিত মেনুতে থাকা জরুরি। সঙ্গে রাখতে হবে ডাল। মটর, ছোলার মতো নানান দানাশস্য নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকলে শরীরে ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ কমবে। শরীরে এনার্জির জোগান থাকবে। তবে প্রাণীজ প্রোটিনকেও মেনুতে রাখতে হবে। যদিও পরিমাণ নিয়ে সতর্কতা জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া যাবে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত বেশি পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি পনির, ছানা এবং টক দই নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল‌। প্রতিদিন শশা, আপেল, পেয়ারা, কিউই, লেবু জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের নানান খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো হলে ডায়াবেটিস জটিল আকার নিতে পারে না।

    ডায়াবেটিস রুখতে কি ভাত-রুটি বাদ? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রুখতে কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates) সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। বরং, ডায়াবেটিসের মোকাবিলার জন্য ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। তাই‌ নিয়মিত ফল, সব্জি, মাছ-মাংসের জন্য দরকার কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ ভাত কিংবা রুটি। কারণ ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার থেকেই শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি‌ জোগানে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা‌ দিতে পারে। ফলে, নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট নিয়মিত খেতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    চিনি, ধূমপান, মদ্যপান বিপদ বাড়াবে! (Diabetes)

    নিজে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিংবা যাদের পরিবারে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, তাদের নানান জটিলতা ও ঝুঁকি তৈরি হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে‌, বিপদ কমাতে একেবারেই চিনি খাওয়া চলবে না। বংশানুক্রমিক ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে প্রথম থেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ টানতে হবে। চকলেট, পেস্ট্রি, প্যাকেটজাত পানীয় কিংবা রাসায়নিক উপাদান দেওয়া চটজলদি খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। অর্থাৎ, বার্গার, পিৎজা থেকে বিরিয়ানি, খাবারের তালিকায় রাশ না টানলেই বিপদ‌ বাড়বে। আবার খাবারের পাশপাশি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের দিকেও‌ নজর দিতে হবে। অর্থাৎ, মদ্যপান এবং ধূমপানের মতো অভ্যাস ছাড়তে হবে। এই ধরনের অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। কিডনি এবং লিভারের জটিল রোগ তৈরি করতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বঙ্গভবন থেকে সরল ছবি, পাঠ্যবই থেকেও বাদ বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্কুলে জুড়ছে আরবি ভাষা

    Bangladesh: বঙ্গভবন থেকে সরল ছবি, পাঠ্যবই থেকেও বাদ বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্কুলে জুড়ছে আরবি ভাষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাষ্ট্রপতির আবাসস্থল বঙ্গভবন থেকে অন্তর্বর্তী সরকার সরিয়ে দিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি। সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সমাজ মাধ্যমে পাতায় একথা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের স্কুলপাঠ্য বইগুলিতে বর্তমানে আরবি ভাষাকে যুক্ত করা হচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের এই আরবি ভাষা পড়তে হবে। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলার যে পাঠ্যবই, সেখানে চারজন লেখকের লেখা বাদ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুও। প্রসঙ্গত ভাষা আন্দোলন নিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘বায়ান্নর দিনগুলি’। ২০২৫ সালের পাঠ্য বই থেকে এগুলি আর থাকবে না বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলছেন অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) উপদেষ্টা মাহফুজ আলম? 

    অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘‘৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahman) ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ অগাস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তাঁর ছবি সরাতে পারিনি। তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু, জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাঁকে আর কোথাও দেখা যাবে না। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, ‘শেখ মুজিব এবং তাঁর মেয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছেন, তা বাংলাদেশ আওয়ামি লিগকে স্বীকার করতে হবে। ১৯৭২ সালের অগণতান্ত্রিক সংবিধানের পাশাপাশি দুর্ভিক্ষ, কোটি কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যার (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪) জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই আমরা ১৯৭১ সালের আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ক্ষমা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনও সমন্বয় হবে না।’’

    আলিম-ওলামাদের পরামর্শ মেনেই অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আরবি

    প্রসঙ্গত, ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেই ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ (এনসিটিবি)-কে নির্দেশ দেয় পাঠ্যসূচিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা’-র অনুসারী করতে হবে। জামাত-বিএনপির বাংলাদেশে (Sheikh Mujibur Rahman) বর্তমানে মৌলবাদের (Bangladesh) শিক্ষা দেওয়া হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। শিক্ষা দফতরের এক সূত্রের কথায়, সেই অনুযায়ী ‘আলিম-ওলামাদের পরামর্শ মেনে’ মাধ্যমিক স্তরে আরবি ভাষাকে বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Government: মোদি সরকার ৫০ থেকে ৭০ হাজার কোটির সুদমুক্ত ঋণ দেবে রাজ্যগুলিকে

    Union Government: মোদি সরকার ৫০ থেকে ৭০ হাজার কোটির সুদমুক্ত ঋণ দেবে রাজ্যগুলিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার (Union Government) ২০২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) প্রতিটি রাজ্যকে মূলধন বিনিয়োগের জন্য বিশেষ ফান্ড দেবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ফান্ড ৫০ হাজার কোটি থেকে ৭০ হাজার কোটি পর্যন্ত হতে পর্যন্ত হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এমন বরাদ্দ বৃদ্ধির লক্ষ্য হল, রাজ্যের প্রকল্পগুলিকে আরও জোরদার করা। কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ফান্ডিং পুরোটাই সুদ মুক্ত হতে চলেছে এবং ২০২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে এই ফান্ডিং (Infrastructure Growth) রাজ্যগুলিকে করা হবে।

    বিহার, গুজরাত, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ সমেত ১৬টি রাজ্য এসেছে প্রকল্পের আওতায়

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ অর্থবর্ষে (Union Government) বিহার, গুজরাট, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ সমেত ১৬টি রাজ্য সুদ মুক্ত এই ঋণের প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এই স্কিমের আওতায় সুদ মুক্ত ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মেয়াদ হবে ৫০ বছর। চলতি বছরের জুলাই মাসে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৫ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে সাহায্য প্রদানের (Infrastructure Growth) জন্য এই স্কিমের বরাদ্দ বাড়ানো হবে।

    করোনা পরবর্তীতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই চালু হয় এই প্রকল্প

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের (Union Government) মধ্যে ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ আনুমানিক ৮৮ হাজার কোটি টাকা- আবাসন, নগর পরিকল্পনা, যুব সমাজের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরি, পুরনো সরকারি যানবাহন বাতিল এবং সংস্কার এই সমস্ত কিছুর কাজ করা হবে। প্রসঙ্গত, সুদ ছাড়া ঋণ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল ২০২১ সালেই। সে সময়তে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্যই এমন কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার।

    ‘‘কোনও রাজ্যের সঙ্গেই সৎ মায়ের মতো আচরণ করা হচ্ছে না’’

    অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় (Union Government) অর্থমন্ত্রী হাজির ছিলেন ম্যাঙ্গালুরুর একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি জানান, কোনও রাজ্যের সঙ্গেই সৎ মায়ের মত আচরণ করা হয়নি। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সরকারের ১০ বছরের শাসনের সময় রাজ্যগুলিকে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হত এবং মোদি জমানায় যতটা বরাদ্দ করা হয়, তার পরিসংখ্যান তিনি তুলে ধরেন। তিনি জানান, ভারত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় উৎপাদক ও রফতানিকারক হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি মোবাইল, আধা-পরিবাহী, পুনর্নবীকরণ শক্তির সরঞ্জামসহ অন্যান্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সীতারামন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না, ইউনূসদের কড়া হুঁশিয়ারি আমেরিকার

    Bangladesh: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না, ইউনূসদের কড়া হুঁশিয়ারি আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (United state) বিপুল জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে বুধবার আমেরিকার বিদেশ দফতর বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, কোনও পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চলবে না। প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সেদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তিন দফায় বাংলাদেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডও বাতিল করেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, এমনটাই অভিযোগ। এনিয়ে আমেরকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘‘আমরা চাই সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারকে যথাযথভাবে সম্মান দেখানো হোক।’’

    বাইডেন সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইউনূস সরকার

    জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সরকার (United state) ইউনূসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতার পালাবদল হয়, জামাত-বিএনপির সহায়তায় ক্ষমতার মসনদে বসেন ইউনূস। এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছিল আমেরিকার বিদেশ দফতর। কিন্তু ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এডিটর কাউন্সিলও এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এনিয়ে তারা প্রেস বিবৃতি জারি করেছে। ঢাকা ট্রাইবুনাল নিউজ পেপার এই ঘটনায় প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ১৬৭ জন সাংবাদিককে প্রেস কার্ড বাতিল করেছে ইউনূস সরকার। এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অনভিপ্রেত এবং অগণতান্ত্রিক।

    কী বলছেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র? 

    বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সরকার বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্পর্কে কেমন অবস্থান নিতে চলেছে, তা বিদায়ী সরকারের বিদেশ নীতিতেই পরিষ্কার। সেই দিশানির্দেশ দেখিয়ে দিয়েছে বুধবার। শুধু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সওয়াল নয়, ইউনূস সরকারকে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। ১০ নভেম্বর আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ধরপাকড়-হামলার প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের মন্তব্য— ‘‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত পোষণ করতে পারার অধিকারকে সমর্থন করি। আমেরিকা মনে করে, কোনও গণতন্ত্রিক পরিবেশের জন্য এগুলি অপরিহার্য।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vivek Ramaswamy: মার্কিন ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন বিবেক রামস্বামী, কেন তাঁকে বাছলেন ট্রাম্প?

    Vivek Ramaswamy: মার্কিন ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন বিবেক রামস্বামী, কেন তাঁকে বাছলেন ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিম ট্রাম্পে (Donald Trump) জায়গা পাচ্ছেন ‘গর্বিত হিন্দু’ বিবেক রামস্বামী (Vivek Ramaswamy)। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। তাঁর মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাবেন, তা ঠিক করতে শুরু করে দিয়েছেন রিপাবলিকান এই নেতা। শপথ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    টিম ট্রাম্পে জায়গা (Vivek Ramaswamy)

    তখনই জানা গিয়েছে, টিম ট্রাম্পে জায়গা পেয়েছেন ‘গর্বিত হিন্দু’ বিবেক রামস্বামী। প্রথমে রিপাবলিকান পার্টিতে প্রেসিডন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন রামস্বামী। পরে সরে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেন ট্রাম্পকে (Donald Trump)। তার পর থেকে সময় যত গড়িয়েছে ট্রাম্পের সঙ্গে রামস্বামীর সম্পর্কের গাঁটছড়া ততই মজবুত হয়েছে। রামস্বামীকে (Vivek Ramaswamy) দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতো তিনিও বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাবেন। তিনি বলেছিলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের প্রতি কোনও ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আমরা এই অবৈধ বসবাসকারীদের এ দেশে থাকতে দেব না। তাদের সন্তানদের মার্কিন নাগরিকত্বও বাতিল করব।”

    ‘গর্বিত হিন্দু’

    নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক ভোটার রামস্বামীর (Vivek Ramaswamy) ধর্মীয় পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন। রামস্বামীর স্পষ্ট জবাব, “আমি হিন্দু। হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমি গর্বিত। নিজের ধর্মীয় পরিচয় লুকোতে রাজি নই। আমার মতে, এতে ধর্মীয় স্বাধীনতার লড়াইয়ে আমি আরও বেশি করে তৎপর হতে পারব। কেরিয়ারের জন্য মিথ্যে কথা বলব না।” হার্ভার্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক রামস্বামীর বয়স মাত্রই ৩৯। এই অল্প বয়সেই তিনি বিলিয়নেয়ার। তিনি ট্রাম্পের (Donald Trump) অন্যতম প্রধান সমর্থক। মনেপ্রাণে কট্টর পুঁজিবাদী। ভারতীয় অভিবাসী পিতামাতার সন্তান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন রামস্বামী। তিনি তাঁর বায়োটেক কোম্পানি রোভ্যান্ট সায়েন্সেসের মাধ্যমে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন। প্রযুক্তি, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন। ‘এক্সেলেন্স ক্যাপিটালিজম’ শব্দটিকে জনপ্রিয় করেছেন তিনি। এই ধারণা সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলির চেয়ে ব্যবসায়িক অগ্রাধিকারকে উৎসাহিত করে।

    আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের আওয়ামি লিগের

    রামস্বামীর বায়োটেক থেকে রাজনীতিতে স্থানান্তর শুরু হয় ২০২১ সালে। এ বছরই প্রকাশিত হয় তাঁর বই— ওক, ইঙ্ক (ইনকর্পোরেশন)। এই বইতে তিনি কর্পোরেট আমেরিকার সামাজিক ইস্যুতে মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতার সমালোচনা করেন। কট্টর পুঁজিবাদের সমর্থক হলেও রামস্বামী (Vivek Ramaswamy) যাপন করেন অতি সাধারণ মানের জীবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Tulsi Gabbard: ট্রাম্প প্রশাসনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান হচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড, চেনেন তাঁকে?

    Tulsi Gabbard: ট্রাম্প প্রশাসনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান হচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি হিন্দু নন। ভারতের সঙ্গে তাঁর নাড়ির যোগটুকুও নেই। তবে নাম শুনলে মনে হতে পারে তিনি ভারতীয়। সেই তিনিই প্রকাশ্যে ভারতকে ভালোবাসার কথা বলেন। তাঁর মতে, হিন্দু ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম, গীতা শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ। এই তিনি হলেন তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)।

    তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গীতা উপহার দিয়ে এক সময় খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন তিনি। ফের এলেন এতদিন পর। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি গলা ফাটিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) হয়ে। বুধবার তুলসীকে তাঁর প্রশাসনে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর জাতীয় গোয়েন্দা প্রধানের পদে নিয়োগ করেছেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (এখনও অবশ্য শপথ নেননি ট্রাম্প)। তাঁর অধীনে ১৮টি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করবে। এক সময় ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন তুলসি। ট্রাম্প তাঁকে ‘গর্বিত রিপাবলিকান’ অভিধায় ভূষিত করেছেন। ট্রাম্পের মতে, গোয়েন্দা সম্প্রদায়ে তিনি ‘নির্ভীক চেতনা’ নিয়ে আসতে পারবেন।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    সম্প্রতি জারি করা এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “ডেমেক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে, একজন প্রাক্তন প্রার্থী হিসেবে তাঁর উভয় দলের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে – তিনি এখন গর্বিত রিপাবলিকান।” ট্রাম্প বলেন, “আমি জানি তুলসী তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে যে নির্ভীক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা আমাদের গোয়েন্দা টিমেও বয়ে আনবেন। তিনি আমাদের সাংবিধানিক অধিকারগুলির পক্ষে কথা বলবেন এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করবেন। তুলসী আমাদের সকলকে গর্বিত করবেন!”

    গোয়েন্দা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নির্দিষ্ট কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তবে তুলসি (Tulsi Gabbard) সেনাবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ সদস্য। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন তিনি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হাওয়াইয়ের দ্বিতীয় জেলার কংগ্রেসওম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে কাজ করার সুবাদে ইরাক ও কুয়েতে মোতায়েন ছিলেন তুলসী। দু’বছর ধরে হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতেও কাজ করেছেন।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    নাম শুনলেই তাঁকে ভারতীয় বলে মনে হতে পারে। তবে তিনি ভারতীয় নন। তাঁর মা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সন্তানদের হিন্দু নাম দিয়েছিলেন। তুলসি নিজেও (Donald Trump) হিন্দু হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। যদিও তিনি আমেরিকান সামোয়ান বংশোদ্ভূত। তবুও শপথ নেওয়ার সময় তুলসীর (Tulsi Gabbard) হাতে ছিল ভগবদ্গীতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Rash Purnima 2024: আজ রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসব! এর তাৎপর্য কী? জেনে নিন, কখন থেকে পূর্ণিমা শুরু

    Rash Purnima 2024: আজ রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসব! এর তাৎপর্য কী? জেনে নিন, কখন থেকে পূর্ণিমা শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসযাত্রা (Rash Purnima 2024) মূলত বৈষ্ণবদের উৎসব। জয়দেবের ‘গীতগবিন্দম্‌, চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’, মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যে রাসের কথা বলা হয়েছে। বৃন্দাবন রাস, বসন্ত রাস খুব উল্লেযোগ্য। এই বৈষ্ণব ভাবনায় শ্রীকৃষ্ণপ্রেম এবং প্রকৃতিস্বরূপ রাধা (Radha-Krishna) সাধনাই হল রাস। এই উৎসবের কথা বিভিন্ন পুরাণেও রয়েছে। শারদ রাস এবং বসন্ত রাস-দুটিই বৈষ্ণবদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

    শুক্রবার রাসযাত্রা। এই রাস পূর্ণিমা বাংলার আপামার বাঙালির কাছে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলায় শ্রীচৈতন্যদেবের রাস উৎসব পালনের কথা জানা যায়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সময়ের পরবর্তী সময়ে রাস পূর্ণিমা আরও জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়।

    রাসের তাৎপর্য কী (Rash Purnima 2024)?

    প্রেমভাব বৈষ্ণব ভাবনার একটি প্রধান ভাব। রাস শব্দ এসেছে রস থেকে। রসের বিরাট ব্যাপ্তি। আনন্দ আস্বাদনই মূল কথা রাসের। বৈষ্ণব রসশাস্ত্রে পঞ্চম রস, শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য মধুর রস সম্পর্কে বিস্তৃত ভাবে বলা হয়েছে। বৃন্দাবনদাসের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত’ এবং কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’-কাব্যে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে রস বা লীলা সম্পর্কে। রাস মানেই মিলন (Rash Purnima 2024)। কৃষ্ণ (Radha-Krishna) প্রেমের ক্ষুদ্র আত্মা পরমাত্মায় মিলনের বাসনাই রাসের মূল ভরকেন্দ্র। পূর্ণ অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মহাভাবের একমাত্র অধিকারিণী শ্রীরাধারানি। কৃষ্ণ হলেন জগতের আসল পুরুষ, বাকি মানবসামজ প্রকৃতিতুল্য। তাই সকল গোপিনী এবং নরনারী রাধাভাব বা মঞ্জরী ভাবনায় ভাবিত হন। এই পরম জ্ঞানের কথা জানানোর জন্যই কৃষ্ণের বৃহৎ লীলা বা রাসের প্রকাশ।

    মুক্তির পথ দেখান কৃষ্ণস্বরূপ জ্ঞান

    কৃষ্ণপ্রেমে মুগ্ধ হয়ে গোপিনীরা সংসার ত্যাগ করে বৃন্দাবনে চলে যান। সেখানে গিয়ে সকলে কৃষ্ণপ্রেমে সমবেত হন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের সংসারে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু গোপিনীরা মানতে অস্বীকার করেন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের এই ভাবনায় মনে অহংকার ভাব এলে রাধাকে নিয়ে চলে যান। পরে গোপিনীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। অহংকার ভুলে গিয়ে কৃষ্ণপ্রেমে স্তব পাঠ শুরু করেন। এদিকে তাঁদের স্তবে কৃষ্ণ সন্তুষ্ট হলে কৃষ্ণ ফিরে আসেন। এরপর গোপিনীদের জীবন সম্পর্কে গভীর তত্ত্বকথার উপদেশ দেন। প্রত্যক গোপিনীর মনোবাঞ্ছা পূরণ করে জাগতিক দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দর্শান। এই কৃষ্ণ (Rash Purnima 2024) হলেন প্রকৃত জ্ঞানের আধার। আর জগতস্বরূপ জ্ঞান হলেন স্বয়ং রাধা। সকল গোপিনীরা হলেন রাধা (Radha-Krishna) শক্তির প্রকাশ মাত্র।

    নাম-সংকীর্তন এবং নগর পরিক্রমা

    এই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস (Rash Purnima 2024) বাংলা, মথুরা, বৃন্দাবন, ওড়িশা, অসম, মণিপুর, পূর্ববঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। তবে মূল আরাধ্য রাধাকৃষ্ণ হলেও অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো করতে দেখা যায়। যেমন-কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে রাস হয় এবং এক মাস মেলা বসে এখানে। এই মেলা বিরাট বিখ্যাত। এখানে রাসে দুর্গাপুজো, কালীপুজোও করতে দেখা যায়। আবার নবদ্বীপ, শান্তিপুর, ফুলিয়া, বর্ধমানের বেশ কিছু বৈষ্ণবপাট বাড়ি, সমাজবাড়ি এবং আখড়ায় মাটির মূর্তিতে রাধাকৃষ্ণের পুজো হয়। গৌর-নিতাই, পঞ্চতত্ত্বের নামে চলে নাম-সংকীর্তন এবং নগর পরিক্রমা। শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি বিজড়িত জায়াগায় পালন হয় বিশেষ পুজো। কীর্তন, পদাবলী, পালাগান এবং রাসের সখীদের অষ্টকলা প্রদর্শন মূল আকর্ষণ থাকে।

    আরও পড়ুনঃ “দেখ ঈশ্বরকে কতভাবে সম্ভোগ করে! শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—নানাভাবে”

    পঞ্জিকা মতে রাসপূর্ণিমার তিথি কখন?

    আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর, বাংলায় ২৯ কার্তিক শ্রীরাধা-শ্রীকৃষ্ণের প্রেম উৎসব রাসযাত্রা (Rash Purnima 2024)। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারে তিথি হল, বাংলা–২৯ কার্তিক, শুক্রবার পূর্ণিমা শুরু সময় সকাল ৬টা ২১ মিনিট। পূর্ণিমা তিথি শেষ বাংলা ২৯ কার্তিক, শুক্রবার রাত ২ টো ৫৯ মিনিট। পূর্ণিমায় ব্রতোপবাস চলে। একই ভাবে আবার গুপ্ত পঞ্জিকা মতে, পূর্ণিমা শুরু বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ভোর ৫টা ১৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ড। আর শেষ হবে ২৯ কার্তিক শুক্রবার, রাত ৩টে ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে।

    এই পূর্ণিমাকে অনেকে কার্তিক পূর্ণিমা বলে থাকেন। এই সময়ে সূর্য ওঠার আগে স্নান করলে শুভকর্ম ফল হয়। অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পুণ্যলাভ হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে এই রাস পূর্ণিমায় ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই পূর্ণিমা ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও অনেক জায়গায় পরিচিত। ভগবান শ্রীবিষ্ণু (Radha-Krishna) এই দিনে মৎস্য অবতার ধারণ করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের আওয়ামি লিগের

    Bangladesh Crisis: ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের আওয়ামি লিগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। এবার ইউনূসের বিরুদ্ধেই হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করল হাসিনার দল আওয়ামি লিগ।  

    মানবাধিকার লঙ্ঘন

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) মানবাধিকার লঙ্ঘন একপ্রকার নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সে দেশে বসবাসকারী মানুষের জীবনকে কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ক্ষমতায় টিকে থাকতে এসব কাজ করছে বলেই অভিযোগ। আওয়ামি লিগের এক নেতা জানান, তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস-সহ (Muhammad Yunus) মোট ৬২ বিরুদ্ধে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইউনূসের মন্ত্রিসভার সব সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী জোটের ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধেই দায়ের হয়েছে অভিযোগ। ইউনূস এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ তুলেছেন সিলেটের ভূতপূর্ব মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

    কী বলছে আওয়ামি লিগ

    আওয়ামি লিগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে (Bangladesh Crisis) প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় আনোয়ারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনের নামে, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) আওয়ামি লিগ ও তার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী, বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশ পুলিশের ওপর নিষ্ঠুর গণহত্যা ও মানবতা-বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “এ সংক্রান্ত সকল তথ্য ও প্রমাণ আমরা আইসিসি-তে জমা দিয়েছি। ভিডিও বার্তায় এও বলা হয়েছে, প্রায় ৮০০ পাতার নথি মূল অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই আইসিসিতে আরও ১৫,০০০ এমন অভিযোগ দায়ের করার জোরদার প্রস্তুতি চলছে। এই অভিযোগগুলি মূল অভিযোগের পরিসরকে আরও প্রসারিত করবে এবং অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে এতে অন্তর্ভুক্ত করবে।”

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    ইউনূসের (Muhammad Yunus) আইনি উপদেষ্টা নজরুল এই আবেদনটিকে আন্তর্জাতিক মতামতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বলে খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি কোনও মামলা নয়। এটি কেবল (Muhammad Yunus) একটি আবেদন। যে কেউ এমন আবেদন করতেই পারে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Shah Rukh Khan: ৩১ বছর পর আসছে ‘বাজিগর ২’, নায়ক শাহরুখ খান, জানালেন চিত্র প্রযোজক

    Shah Rukh Khan: ৩১ বছর পর আসছে ‘বাজিগর ২’, নায়ক শাহরুখ খান, জানালেন চিত্র প্রযোজক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আসছে ‘বাজিগর ২’ (Baazigar 2), নায়ক শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। সিনেমা সম্পর্কে জানালেন প্রযোজক রতন জৈন। উল্লেখ্য ৩১ বছর আগে এই ‘বাজিগর’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল কিং খানকে। তারপর আর ক্যারিয়ারের পিছন দিকে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবিতে সুপার হিটে দর্শকদের মনে বিরাট জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। আজও ‘বাজিগর’ সিনেমার গানে মন মজে দর্শকদের।

    ৩০ বছর পর নতুন লুকে কিং খান (Shah Rukh Khan)

    ১৯৯৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ‘বাজিগর’ সিনেমা। মুভির পোস্টারে মধ্যেখানে ছিলেন শাহরুখ এবং পাশে দুই নায়িকা। এক দিকে শিল্পা শেট্টি এবং অপর দিকে কাজল। প্রেম রোম্যান্স, অ্যাকশন এবং কমেডিতে হিট ছিল সিনেমা। কিন্তু সেই সময় সিনেমা জগতে প্রথম শুরু খানের। কিং খানের তকমা পাননি। অবশ্য নায়ক বেশে খলনায়ক তেমন চোখে পড়ত না বলিউডে। সেই সময় একের পর এক ছবিতে নেগেটিভ হিরো-র চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন শাহরুখ। যার অন্যতম ছিল ‘বাজিগর’। এখন অনেক সময় পার করে এসেছেন। ৩০ বছর আর কম সময় নয়। অনেক জল বয়ে গেছে। ২০২৪ সালের এই সিনেমা রিমেক বলছেন কেউ কেউ। তবে জানা গিয়েছে নায়ককে দেখা যাবে একদম নতুন লুকে (Baazigar 2)। দর্শক মহল মনে করছেন হয়ত ৩০ বছরের আগেই ফিরে যাবেন সিনেমায়।

    আরও পড়ুনঃ ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    প্রয়োজক অত্যন্ত আশাবাদী

    তবে শাহরুখ (Shah Rukh Khan) যে সিনেমায় আগ্রহী ছিলেন না তা নয়। অভিনেতা—পরিচালকের সঙ্গে আলোচানায় নানা কথা উঠে এসেছে। সিনেমা (Baazigar 2) যে নির্মাণ হচ্ছে তা পরিচালক রতন জৈন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। তবে সিনেমার নায়ক হিসেবে কিং খানের ইচ্ছেকে প্রধান্য দেওয়া হবে। তবে এই বিষয়ে প্রযোজক অত্যন্ত আশাবাদী।  

    বাজিগর সিনেমায় প্রথমে অনিল কাপুরকে ভিকির চরিত্রে কল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু অনিল তখন ‘রূপ কি রানী চোর কা রাজা’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাই অফার মানা করে দেন। পরবর্তী সময়ে ‘বাজিগর’ সিনেমার অফার করা হয় সালমান খানকে। কিন্তু সালমানের বাবা সেলিম চাননি ছেলে এইরকম কোনও নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করুক। অবশেষে এই অফার যায় শাহরুখ খানের কাছে। তিনি রাজি হন। সিনেমা ব্যাপক হিট হয়। বাকিটা ইতিহাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Artificial Intelligence: এআই ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী ৪ বছরে ভারতে ৩.৩ কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ

    Artificial Intelligence: এআই ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী ৪ বছরে ভারতে ৩.৩ কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) যুগে ২০২৮ সাল নাগাদ ভারত তার কর্মশক্তিতে আরও ৩.৩ কোটি কর্মসংস্থান (Job opportunities) যোগ করার দিকে এগিয়ে যাবে। উদীয়মান প্রযুক্তি ভারতের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে নানা ক্ষেত্রগুলিকে প্রভাবিত করবে। একই ভাবে ২০২৮ সালের মধ্যে ২০ লাখ ৭৩ হাজার নতুন প্রশিক্ষণ যুক্ত চাকরিরও সুযোগ তৈরি করবে। ‘সার্ভিস নাও ইন্ডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড বিজনেস সেন্টার’-এর সমীক্ষা কী বলছে আসুন জেনে নিই।

    উৎপাদন-শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে কত পরিমাণে সম্ভাবনা (Artificial Intelligence)?

    সার্ভিস নাও-এর করা একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিজনেস ট্রান্সফরমেশনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্ল্যাটফর্ম প্রযুক্তি ভারতে অপার সম্ভাবনা (Job opportunities) তৈরি করবে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (Artificial Intelligence)-চালিত প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারত নিজের শ্রমিকের জোগানকে ২০২৩ সালে থাকা ৪২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩ হাজার থেকে লাফিয়ে ২০২৮ সালের মধ্যে ৪৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ৩ হাজার উন্নীত করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যার ফলে ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯ হাজার শ্রমিকের অতিরিক্ত লাভ হবে। তবে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিয়ারসন অনুমোদিত এই গবেষণাটি দেখিয়েছে খুচরো ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির নেতৃত্ব দিতে ভারত এখন সব রকম ভাবে প্রস্তুত। ভারতে এই খাতে বর্তমানে সম্প্রসারণের জন্য অতিরিক্ত ৬০ লক্ষ ৯৬ হাজার আরও শ্রমিক বা কর্মী প্রয়োজন। এর পরেই রয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার চাকরি, শিক্ষা ক্ষেত্রে ৮৪ হাজার চাকরি এবং স্বাস্থ্যসেবায় ৮০ হাজার চাকরি। উল্লেখ যোগ্য ভাবে ভারত যে লাগাতার কর্মসংস্থানের দিগে এগিয়ে যাচ্ছে তা এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। একই ভাবে দেশের নরেন্দ্র মোদি সরকারও নানা সময়ে এই সম্ভাবনার কথা ইঙ্গিত করেছেন।

    ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়তে ক্ষমতায়ন হবে

    সার্ভিস নাও ইন্ডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড বিজনেস সেন্টার-এর এসভিপি বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমিত মাথুর বলেন, “এআই ভারতের সামগ্রিক গ্রোথ ইঞ্জিন জুড়ে চাকরি সৃষ্টির জন্য একটি প্রধান অনুঘটক হবে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রগুলির জন্য উন্নত প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন, সেখানে যুগান্তকারী হবে। এই কৌশলগত জোর শুধুমাত্র পেশাদারদের জন্য আরও উচ্চ-মূল্যের সুযোগ তৈরি করবে না বরং তাঁদের স্থায়ী ডিজিটাল কেরিয়ার (Artificial Intelligence) গড়তে ক্ষমতায়ন করবে। ফলে প্রযুক্তি এবং  কর্মসংস্থানের (Job opportunities) দিকে তাকিয়ে দেখলে অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে ভারতে। শিল্প এবং টেকনিক্যাল সম্পর্কিত কর্মসংস্থান বা চাকরিগুলির সুযোগ বেশি করে বাড়ছে। সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন প্রযুক্তির জন্য ১,০৯,৭০০ পদের আরও অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ৩০০-র বেশি হিন্দু ও তাঁদের মন্দিরে হামলা গত ২২ মাসে, তালিকা প্রকাশ ভিএইচপি’র

    ডেটা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য ৪৮,৫০০ নতুন চাকরির সম্ভাবনা

    উল্লেখ্য আরও জানা গিয়েছে, অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকার মধ্যে রয়েছে সিস্টেম সফটওয়্যার ডেভেলপার ক্ষেত্রে ৪৮,৮০০ এবং ডেটা ইঞ্জিনিয়ায়ের জন্য ৪৮,৫০০ নতুন চাকরির সম্ভাবনা। ওয়েব ডেভেলপার, ডেটা বিশ্লেষক এবং সফ্টওয়্যার পরীক্ষকও বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে যথাক্রমে ৪৮,৫০০, ৪৭,৮০০ এবং ৪৫,৩০০ চাকরির সম্ভাবনা। আবার অতিরিক্তভাবে ডেটা ইন্টিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ, ডেটাবেস আর্কিটেক্ট, ডেটা সায়েন্টিস্ট এবং কম্পিউটার এবং ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজারদের (Artificial Intelligence) ভূমিকা ৪২,৭০০ থেকে ৪৩,৩০০ পদের মধ্যে বৃদ্ধি (Workforce) পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    মোট প্রযুক্তিগত প্রভাবের অর্ধেক আসবে এআই থেকে

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল প্রযুক্তির ভূমিকাগুলিকে একটি টাস্ক লেভেলে মূল্যায়ন করা হয়েছিল। ফলে ক্রমবর্ধমান উদীয়মান প্রযুক্তিগুলির প্রভাব সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়। কাজের (Workforce) ক্ষেত্রগুলিতে আলাদা আলাদা চাহিদায় ভিন্ন ভিন্ন সুযোগ এবং সম্ভাবনা থাকবে। তার মধ্যে সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা তাদের সাপ্তাহিক কাজগুলিকে ৬.৯ ঘণ্টা করে করবে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের দিক হবে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং প্রযুক্তির দ্বারা স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজের (Job opportunities) সম্ভাবনাকে তুলে ধরা। এআই সিস্টেম ইঞ্জিনিয়াররাও সাধারণ এআই থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবেন। এই ভূমিকার উপর মোট প্রযুক্তিগত প্রভাবের অর্ধেক সরাসরি এআই প্রযুক্তি থেকে আসবে। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) ব্যবহার এবং গ্রহণ যোগ্যতাকে আরও কীভাবে সহজ করা যায় সেই দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে। ভারত সরকারও এ নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share