Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 188: “যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে”

    Ramakrishna 188: “যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna) ও সাকার-নিরাকার

    “তোমরা দেখ, কেমন বাহিরে দর্শন কচ্ছ আর আনন্দ পাচ্ছ। যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে।”ঠাকুর মার নাম করিয়া গান গাহিতেছেন (Kathamrita):

    গো আনন্দময়ী হয়ে আমায় নিরানন্দ কর না।
    ও দুটি চরণ বিনা আমার মন, অন্য কিছু আর জানে না ॥
    তপন-তনয়, আমায় মন্দ কয়, কি দোষে তাতো জানি না।
    ভবানী বলিয়ে, ভবে যাব চলে, মনে ছিল এই বাসনা,
    অকূলপাথরে ডুবাবে আমারে, স্বপনেও তা জানি না ॥
    অহরহর্নিশি শ্রীদুর্গানামে ভাসি, তবু দুখরাশি গেল না।
    এবার যদি মরি, ও হরসুন্দরী, (তোর) দুর্গানাম কেউ আর লবে না ॥

    আবার গাহিতেছেন:

    বল রে বল শ্রীদুর্গানাম। (ওরে আমার আমার মন রে) ॥
    দুর্গা দুর্গা দুর্গা বলে পথ চলে যায়।
                শূলহস্তে শূলপাণি রক্ষা করেন তায় ॥
    তুমি দিবা, তুমি সন্ধ্যা, তুমি সে যামিনী।
                কখন পুরূষ হও মা, কখন কামিনী ॥
    তুমি বল ছাড় ছাড় আমি না ছাড়িব।
                বাজন নূপুর হয়ে মা চরণে বাজিব ॥
                (জয় দুর্গা শ্রীদুর্গা বলে)।
    শঙ্করী হইয়ে মাগো গগনে উড়িবে।
                মীন হয়ে রব জলে নখে তুলে লবে ॥
    নখাঘাতে ব্রহ্মময়ী যখন যাবে মোর পরাণী,
                কৃপা করে দিও রাঙা চরণ দুখানি।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আবার প্রতিমার সম্মুখে প্রণাম করিলেন। এইবার সিঁড়িতে নামিবার সময় ডাকিয়া বলিতেছেন, “ও রা-জু-আ”? (ও রাখাল, জুতো সব আছে, না হারিয়ে গেছে?)

    ঠাকুর গাড়িতে উঠিলেন (Kathamrita)। সুরেন্দ্র প্রণাম করিলেন। অন্যান্য ভক্তেরাও প্রণাম করিলেন। রাস্তায় চাঁদের আলো এখনও আছে। ঠাকুরের (Ramakrishna) গাড়ি দক্ষিণেশ্বর অভিমুখে যাত্রা করিল

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russian-Oil: “রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত”, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Russian-Oil: “রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত”, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার কাছ থেকে তেল বা জ্বালানি (Russian-Oil) কিনে গোটা বিশ্বের উপকার করেছে ভারত। ঠিক এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে রোধ করেছে। বিশ্ববাজারে দামের ভারসাম্য রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত খুবই কার্যকারী। বিশ্বব্যাপী তেলের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও, ভারতই একমাত্র প্রধান উপভোক্তা দেশ যেখানে গত তিন বছরে জ্বালানির দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে।”

    তেলের দাম ২০০ ডলার প্রতি ব্যারেলে মূল্যবৃদ্ধি হতো (Russian-Oil)

    কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হারদীপ সিং নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলেন, “ভারত রাশিয়ার তেল বা জ্বালানি (Russian-Oil) কেনার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের জন্য উপকার করেছে। কারণ আমরা যদি তা না করতাম, তাহলে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম ২০০ ডলার করে প্রতি ব্যারেলে মূল্যবৃদ্ধি হত। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ত দৈনন্দিন দ্রব্যমূল্যে। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছিল না। তবে শুধুমাত্র একটি মূল্যের উপর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আর এতে আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় কোম্পানিগুলি শর্ত মেনে চলবে।”

    আরও পড়ুনঃ অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আস্থা

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরী আরও উল্লেখ করে বলেন, “ইউরোপীয় এবং এশিয়ার দেশগুলিও রাশিয়ার (Russian-Oil) কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে জ্বালানি কিনেছে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যারা ভারতের উপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলেছিল, তাদের মধ্যে অনেক ইউরোপীয় এবং এশিয়ার দেশ রাশিয়া থেকে বেশি পরিমাণে অশোধিত তেল, ডিজেল কিনেছিল। আমাদের তেল কোম্পানীগুলোকে যারাই ভালো দামে জ্বালানি দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে এই জ্বালানি কিনব। এটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বের আস্থা এবং বিশ্বাস। ভারতের নাগরিকদের জন্য জ্বালানির উপযুক্ত প্রয়োজনীয় জোগান, ক্রয়ক্ষমতা এবং সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এটাতেই আমাদের সবথেকে আগে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭ কোটি ভারতীয় প্রতিদিন পেট্রোল প্রত্যক্ষভাবে ব্যবহার করে থাকেন। তাই জ্বালানি বা পেট্রোলের স্থিতিশীল প্রাপ্যতা, সাশ্রয় এবং স্থায়িত্বের বিষয়কে সরকার আগে গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    Jagadhatri Puja 2024: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগৎকে ধারণ করেন মা দেবী শক্তি, তাই তাঁর নাম দেবী জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2024)। তাঁর বিশাল রূপ, টানা চোখ, অপরূপ সুন্দর ত্রিনয়ন, চার হাতে শোভা পাচ্ছে অসুর সংহারের জন্য অস্ত্র। দেবী দুর্গার আরেক রূপ মা জগদ্ধাত্রী। তিনিও সিংহবাহিনী। এই রূপেই পূজিত হন দেবী জগদ্ধাত্রী। সারা বাংলা জুড়েই বিশাল বিশাল মাতৃ মূর্তি নির্মাণ করে আরাধনা করা হয়। কৃষ্ণনগরেই জন্ম জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja 2024)। তবুও চন্দননগরের পুজোই বিখ্যাত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে এক অজানা ইতিহাস। উল্লেখ্য চন্দননগরের পুজোর আলোকসজ্জা, সুবিশাল প্রতিমা দর্শনার্থীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আশেপাশের জেলা, রাজ্য এমনকী বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা পুজো দেখতে আসেন। অথচ এই পুজো শুরুর পিছনে রয়েছে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বিশেষ প্রভাব এবং অবদান। কীভাবে প্রচলিত হল চন্দননগরের পুজো? আসুন জেনে নিই এই অজানা কাহিনি। 

    দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেন (Jagadhatri Puja 2024)

    সময়টা তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে দমন করতে ব্রিটিশদের সহযোগী হয়ে বাংলার রাজাদের বন্দি করেন মির কাশিম। এই বন্দিদের তালিকায় ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং তাঁর ছেলে। কিন্তু যখন রাজা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান সেই সময় দেখেন দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। পুজোর আনন্দ থেকে রাজা বঞ্চিত হন এবং এরপর মনমরা হয়ে পড়েন। কথিত আছে রাজা এরপরেই দেবীর কাছে স্বপ্নাদেশ পান। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে মায়ের চতুর্ভূজা রূপের আরাধনা করার আদেশ পান রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন, “জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2024) করতে হবে। জনসেবা এবং বিশ্বকে সব রকম অশুভ শক্তি থেকে মুক্ত করতে দেবী পুজো আবশ্যক।” সেই থেকে শুরু হয় কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। পরবর্তীতে রাজবাড়ির রাজপ্রাসাদের গণ্ডি টপকে ছড়িয়ে পড়ে নগরের অলিগলিতে। এরপর থেকেই এই পুজো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে গোটা কৃষ্ণনগরে। মোটামুটি জানা গিয়েছে, ১৭৬৩-৬৪ সালে হৈমন্তিকার আরাধনা শুরু হয় জলঙ্গি নদীর পাড়ে। তবে, সঠিক সময় নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

    কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী পুজো

    তবে বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2024) নিয়ে পৌরাণিক মত খুব একটা স্পষ্ট করে পাওয়া যায় না। একটি মতে বলা হয়, ত্রেতা যুগের শুরুতে করীন্দ্রাসুর নামে এক হস্তীরূপী অসুরকে বধ করার জন্য দুর্গার মতো ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শক্তি থেকে সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা এই দেবীর জন্ম হয়। জগদ্ধাত্রী দেবী চার হাতে থাকে চক্র, শঙ্খ, ধনুক এবং পঞ্চবান। আবার অপর আরেক মতে, কোনও অসুর বধ নয়, মহিষাসুরের বধের পর অগ্নি, পবন, বরুণ এবং চন্দ্র দেবতা আত্ম অহংকারে ভুগতে শুরু করেন।দেবতাদের দর্পচূর্ণ করতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আর্বিভাব। সেখানে হস্তীকে অহংকারের স্বরূপ ধরা হয়। তাঁকেই বধ করেন দেবী। শাস্ত্রমতে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় জগদ্ধাত্রী পুজো।

    আরও পড়ুনঃ রবিবার মাত্র একদিন জগদ্ধাত্রী পুজো হবে কৃষ্ণনগরে, চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের মণ্ডপসজ্জার কাজ

    সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্তদের আকর্ষণ করে চন্দননগর

    কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি চন্দননগরেও পুজো শুরু হয়েছিল। জলঙ্গির পাড় থেকে গঙ্গার পাড়ে কীভাবে পৌঁছাল পুজো? জানা যায়, জমিদার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফরাসিদের দেওয়ান জনৈক ইন্দ্রনারায়ণ রায়। তিনি নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2024) শুরু করেছিলেন। ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জের চাউলপট্টির বাসিন্দা। সেখানেই চাউলপট্টির নিচুপাটিতে ইন্দ্রনারায়ণ প্রথম শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। আবার আরেকটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান দাতারামের বিধবা কন্যা থাকতেন ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলায়। সেখানে রাজার অনুমতি নিয়ে পুজো শুরু হয়েছিল। এই পুজোর অনুদান দিতেন স্বয়ং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ক্রমে ক্রমে এই পারিবারিক পুজো এবং সর্বজনীন পুজোতে (Jagadhatri Puja 2024) পরিণত হয়েছে। তবে সময়ের ব্যবধানে জাঁকজমক, আলোর খেলায় চন্দননগরের জনপ্রিয়তা অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে। এখানকার সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্ত, দর্শকদের ব্যাপক ভাবে আকর্ষণ করে। দেশ-বিদেশেও বাঙালির বড় পুজোর মধ্যে এই জগদ্ধাত্রী পুজো বড় জায়গা করে নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালের এই দিনেই ঐতিহাসিক অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে (Ram Mandir) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান (Ram Mandir)

    আর মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরেই অযোধ্যায় গড়ে উঠেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ‘ইমারত’। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘স্বগৃহে’ প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর সেখানেই চলছে পূজার্চনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, এটি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ঐক্য, অধ্যবসায় এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দেবালয়ের দিনের আলো দেখার নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের আত্মত্যাগ। এটি এমন একটি কাহিনি যা পুরাণ, ইতিহাস, আইনি সংগ্রাম এবং একটি পুরো দেশের আত্মাকে একত্রিত করে।

    হিন্দুদের বিশ্বাস

    অযোধ্যা, ভারতের অন্যতম প্রাচীন নগরী। ভারতীয় সভ্যতায় এই নগরী একটি অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থে অযোধ্যার ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মিলেছে। বাল্মীকি রামায়ণেও অযোধ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে একে ইক্ষ্বাকু বংশ-শাসিত একটি সমৃদ্ধ ও দৈব শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান রাম, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবে পূজিত হিন্দুদের ঘরে ঘরে, সেই তিনিই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও পুণ্যের প্রতীক। কালিদাসের মতো কবি এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে অযোধ্যার নাম।

    পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ

    রাম মন্দিরের খোঁজে এই এলাকায় খননকার্য চালায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছিল, সেখানে একটি বিশাল মন্দিরের কাঠামোর অস্তিত্বের (Ram Mandir) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খননকার্যের সময় উদ্ধার হওয়া স্তম্ভ, শিলালিপি ও স্থাপত্যের উপাদানগুলি বৈষ্ণব ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা এই জায়গাটাকে রামের জন্মস্থান হিসেবে পবিত্র বলে যে ঐতিহাসিক বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, তাকে সমর্থন করে। রাম মন্দির মামলার আইনি যাত্রা এক শতাব্দীরও বেশি (Ayodhya) সময় ধরে চলেছে। এই মামলা একাধিক মামলা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। এই জটিল আইনি লড়াইয়ের কাহিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের বিস্তৃত সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

    প্রথম আইনি উদ্যোগ

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথম আইনি উদ্যোগ শুরু হয় ১৮৮৫ সালে, যখন মহন্ত রঘুবর দাস রাম চবুতরার ওপর একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন আদালতে। ব্রিটিশ আদালত অস্বীকৃত হওয়ায় দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের সূচনা হয়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই রামলালার মূর্তি (Ram Mandir) আবির্ভূত হলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। সরকার ওই জায়গাটা সিল করে দেয়, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের দাবি ও পাল্টা দাবির সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে, এই বিবাদ পরিণত হয় একটি জাতীয় ইস্যুতে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন গতি লাভ করে আটের দশকে। মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। আন্দোলন সমর্থন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। ১৯৯০ সালে আডবাণীর নেতৃত্বে রথযাত্রা হয়। শমিল হন লাখ লাখ মানুষ। জোরালো হয় রাম মন্দিরের দাবি। দেশ তো বটেই, এই আন্দোলন নজর কাড়ে তামাম বিশ্বেরও। 

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো। করসেবকরাই ধ্বংস করে ফেলেন মসজিদের কাঠামো। গোটা দেশে তৈরি হয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় শতাব্দীভর ধরে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান। গড়ে ওঠে হিন্দুদের স্বপ্নের রাম মন্দির। রাম মন্দির (Ram Mandir) আজ শুধুমাত্র আর একটি পুজোস্থল নয়, বরং ভারতের সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রতীক। এটি লাখ লাখ মানুষের দৃঢ়তা, ঐক্য ও বিশ্বাসের প্রতীক, যারা নানা বাধা সত্ত্বেও তাঁদের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। মন্দিরের নির্মাণ বহু প্রজন্ম ধরে লালিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধের মর্মকে সযত্নে ধারণ করে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার রাম মন্দির বিশ্বাসের শক্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কথা যাঁরা এই ঐতিহাসিক দীর্ঘ যাত্রায় কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের এই অবদান ভারতের ইতিহাসে একটি (Ayodhya) নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যে অধ্যায় চোখের সামনে ভেসে উঠবেই অযোধ্যায় (Ram Mandir) আসা দর্শনার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IRCTC: ট্রেনে মোট ১০ দিন ও ১১ রাত, কলকাতা থেকে দেবভূমি পরিদর্শন করাবে রেল, ভাড়া জেনেন?

    IRCTC: ট্রেনে মোট ১০ দিন ও ১১ রাত, কলকাতা থেকে দেবভূমি পরিদর্শন করাবে রেল, ভাড়া জেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআরসিটিসির (IRCTC) তরফে ভারত গৌরব বিশেষ ট্রেনের সূচনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইআরসিটিসি-র জেনারেল ম্যানেজার মনোজ কুমার সিং জানিয়েছেন, “আইআরসিটিসি এবং উত্তরাখণ্ড পর্যটন দফতর যৌথভাবে এই ট্রেন চালাবে। মোট যাত্রাপথ ১১ রাতের। ভাড়া ৩৮ হাজার টাকা। কলকাতা থেকেই ছাড়া হবে এই ট্রেন।”

    কলকাতা থেকে নৈনিতাল বা আলমোড়া যাবে ট্রেন (IRCTC)

    ট্রেনে (IRCTC) করে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতে গেলে বারবার গাড়ি পাল্টাতে যাত্রীদের ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এবার থেকে এক সঙ্গে অনেক জায়গায় ভ্রমণের সুবিধা দেবে ভারতীয় রেল। ট্রেন পথে ভ্রমণের আনন্দকে আরও সুন্দর, মসৃণ, নিরাপদ এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত করতে রেল বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। কলকাতা থেকে নৈনিতাল বা আলমোড়ার মতো জায়গায় যাবে একটি ট্রেন। এখন আর গাড়ি বদল করতে হবে না। ট্রেনে বসেই সবটা প্রত্যক্ষ করা যাবে। এই যাত্রা পথ অনেক পর্যটক বা ভ্রমণবিলাসীদের কাছে খুব আনন্দদায়ক হবে। ইতিমধ্যে যাত্রী মহলে খুব উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করা হয়েছে।

    ৩ টায়ার এসি ক্লাসে নিয়ে যাওয়া হবে

    আইআরসিটিসির (IRCTC) পক্ষ থেকে সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার মনোজ কুমার সিং বলেন, “আইআরসিটিসি এবং উত্তরাখণ্ড পর্যটন দফগত যৌথভাবে এই ট্রেন চালাবে। মোট ১০ দিন  এবং ১১ রাত ট্রেনে কাটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে পারবেন ট্রেনের যাত্রীরা। ৩ টায়ার এসি ক্লাসে নিয়ে যাওয়া হবে ওই যাত্রীদের। মূলত দেবভূমি নামে পরিচিত স্থানগুলিকে বোঝায়। এই সব ধর্মীয় পবিত্র স্থানগুলিতে দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের প্রচারে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য! কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    দেবভূমি উত্তরাখণ্ড যাত্রা প্যাকেজ

    আইআরসিটিসি-র (IRCTC) প্যাকেজটির নামকরণ করেছে ‘দেবভূমি উত্তরাখণ্ড যাত্রা (EZUBG14)। যেখানে ট্রেনটি ৩ ডিসেম্বর কলকাতা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়বে। তাতে পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে ট্রেনে ভ্রমণ। সেই সঙ্গে থাকবে বোর্ডের বাইরে নিরামিষ খাবারের সঙ্গে উপলব্ধ হোম স্টে, গেস্ট হাউস, বাজেট হোটেলে থাকার ব্যবস্থা। একই ভাবে থাকবে এবং নন-এসি বা এসি সড়ক পরিবহণ। এই প্যাকেজের যাত্রাপথের মধ্যে রয়েছে তানকপুর-চম্পাওয়াত বা লোহাঘাট-চৌকোরি-আলমোড়া-নৈনিতাল-ভীমতাল-কলকাতা-বর্ধমান-আসানসোল-ঝাঝা-বরাউনি-হাজিপুর-গোরখপুর-লখনউ স্টেশন। সব জায়গায় থাকার ব্যবস্থা থাকবে। পূর্ব রেলওয়ে অফিস থেকে জানা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক এবং পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজের মূল্য ৩০,৯২৫ টাকা এবং ডিলাক্স প্যাকেজের মূল্য ৩৮,৫৩৫ টাকা। আরও বিস্তৃত ভাবে জানার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর প্রদান করা হয়েছে যা হল- 8595904074/75। সেই সঙ্গে এই বিষয়ে আরও জানতে ওয়েবসাইট দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ওয়েবসাইট হল-www.irctctourism.com।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Stomach ailment: সন্তানের পেটের অসুখ বাড়াচ্ছে ভোগান্তি! কোন দিকে নজর দিলেই হবে মুশকিল আসান?

    Stomach ailment: সন্তানের পেটের অসুখ বাড়াচ্ছে ভোগান্তি! কোন দিকে নজর দিলেই হবে মুশকিল আসান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নানান অসুখ দাপট বাড়ায়। পেটের সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম! অনেক শিশু প্রায়ই পেটের অসুখে ভোগে। বিশেষত শীতে অনেকের পেটের সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর প্রভাব পড়ে তাদের পড়াশোনাতেও। বারবার পেটের সমস্যা হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয় নজরে রাখলেই এই সমস্যার মোকাবিলা সহজ হয়ে যাবে। খাবার এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধিতে প্রথম থেকেই জোর দিতে হবে। তবেই এই ধরনের সমস্যা এড়ানো যাবে।

    কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?

    অতিরিক্ত তেল এবং চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাবার খান। শিশুরাও বাদ যায় না। প্রাণীজ প্রোটিনে থাকে চর্বি। আবার অনেকেই এই ধরনের রান্নায় অতিরিক্ত মশলা এবং তেল ব্যবহার করেন। যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এর জেরে হজমের সমস্যা হয়। তাই সপ্তাহে একাধিক দিন প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে‌। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার তো একেবারেই চলবে না। 
    প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই শিশুদের দেওয়া যাবে না বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের পেটের সমস্যার অন্যতম কারণ নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, বহু শিশুই বার্গার, চিপস,‌ পিৎজার মতো খাবারে অভ্যস্ত। এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই নেই। অতিরিক্ত নুন এবং নানান রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা অন্ত্রের জন্য অত‌্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই এই খাবার শিশুকে দেওয়া উচিত নয় বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। 
    পেটের সমস্যা দেখা দিলে দুধ বা দুগ্ধজাত জিনিস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুর পেটের সমস্যায় ভোগান্তি বাড়াতে পারে দুধ। তাই পেটের অসুখের সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই দুধ বা দুগ্ধজাত জিনিস যেমন পায়েস, সুজি এগুলো খাওয়া চলবে না। তাহলে বড় সমস্যা হবে না।

    কোন খাবার নিয়মিত খেলে পেটের অসুখের ঝুঁকি কমবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুকে নিয়মিত টক দই খাওয়ানো উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইয়ে এমন একাধিক ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যা অন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এতে বিপাক তন্ত্র আরও ভালো থাকে। পেটের অসুখের ঝুঁকি কমে। 
    নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেঁপেতে থাকে প্যাপেইন।‌ এই উপাদান হজমের সমস্যা কমায়। আবার প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে দেয় না। আবার পেটের যন্ত্রণা উপশমেও পেঁপে সাহায্য করে‌। তাই নিয়মিত পেঁপে খেলে পেটের সমস্যা কমে। 
    শিশুর খাবার তৈরির সময়ে, রান্নায় আদার ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন‌ পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় থাকে‌ জিঞ্জেরল। এই উপাদান পেটে ব্যথা কমায়। আবার বমি ভাব কমাতেও‌ সাহায্য করে। খাবার হজম করায়। তাই রান্নায় নিয়মিত আদা ব্যবহার করলে পেটের অসুখের ঝুঁকি কমে।

    স্বাস্থ্যবিধির কোন দিক নজরে থাকা জরুরি?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যবিধির কয়েকটি দিক নজরে রাখা দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, জলের ক্ষেত্রে বিশেষ সচেতনতা জরুরি। শীতের সময়েও শিশু যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খায়, সেদিকে নজরদারি দরকার। শরীরে জলের ঘাটতি পেটের সমস্যা বাড়ায়। আবার জল পরিশ্রুত কিনা সেদিকেও নজরদারি প্রয়োজন। কারণ জল পরিশ্রুত না হলে ডায়ারিয়া, কলেরার মতো ভয়ানক পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। 
    খাওয়ার আগে ও পরে হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস জরুরি‌। শিশুকে প্রথম থেকেই পরিশ্রুত জলে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তবেই পেটের অসুখের মতো রোগের দাপট কমানো‌ যাবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন’ প্রকল্পের ১০ বছর পূর্ণ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: ‘ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন’ প্রকল্পের ১০ বছর পূর্ণ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ রক্ষার গুরু দায়িত্ব তাঁদের কাঁধে। তাই তাঁদের ভালোমন্দের দিকে সর্বদাই তীক্ষ্ণ নজর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। সেনাবাহিনীর প্রতি কেন্দ্র যে দায়বদ্ধ, সে কথাই ‘ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন’ প্রকল্পের দশম বর্ষপূর্তির দিনে ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্প (PM Modi)

    সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের জন্য যে ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্প (One Rank One Pension Scheme) চালু করা হয়েছে, তাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজকের দিনে ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন’ প্রকল্প চালু হয়েছিল। যাঁরা দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্প। দীর্ঘদিনের দাবি মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।” তিনি জানান, এই ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্পের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

    প্রকল্পের খুঁটিনাটি

    আগে নিয়ম ছিল, যে লেফট্যানেন্ট ১৯৯৫ সালে অবসর নিয়েছেন, তাঁর পেনশন ২০০৬ সালে অবসর নেওয়া কর্নেলের পেনশনের চেয়ে কম। অবসরের তারিখ অনুযায়ী, পেনশনও হত ভিন্ন ভিন্ন (PM Modi)।২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন নরেন্দ্র মোদি। ওই বছরই তিনি চালু করেন ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্প। আজ ১০ বছর পূর্ণ করল এই প্রকল্প।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    এই প্রকল্প অনুযায়ী, একজন সেনা জওয়ান, যখনই অবসর নিন না কেন, র‌্যাঙ্ক যাই হোক না কেন, একই পেনশন পাবেন। তিনি বলেন, “এটা আপনাদের সবাইকে খুশি করছে এক দশক ধরে। লাখ লাখ পেনশনার্স ও তাঁদের পরিবার উপকৃত হচ্ছেন এই প্রকল্প থেকে।” ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এই প্রকল্প (One Rank One Pension Scheme) চালু হওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন ২৫ লাখ অবসরপ্রাপ্ত। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে সেনার তরফে ধন্যবাদও জানানো হয়েছে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! চার বছর বাদে নতুন বছরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নৌকার পালে সুপবন বয়ে আনলেও, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যই হল, আমেরিকা ও তার দোসরদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গাঁটছড়ার বন্ধন পোক্ত করা।

    বিপাকে পড়তে পারে ট্রুডোর দেশ (Donald Trump)

    ট্রাম্প ফের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসছেন। এতে আদতে বিপাকে পড়বে ট্রুডোর দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প জমানায় দেখা দিতে পারে বাণিজ্য বিরোধ। যার জেরে ভয়ঙ্কর মন্দার মুখে পড়তে পারে কানাডা। কারণ কানাডার রফতানির ৭৫ শতাংশই যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ উত্তরে (Donald Trump) কানাডার দিকে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রেও বিপদে পড়বে ট্রুডোর দেশ।

    ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো

    আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা কানাডায়। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, কনজারভেটিভ প্রতিপক্ষের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো। তাঁর দল লিবারেল পার্টির অবস্থাও হতে পারে করুণ। গত কয়েক বছরে কানাডার ধীর গতির অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের দ্রুত বৃদ্ধি চলে এসেছে খবরের শিরোনামে। যার জেরে চিন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৈচিত্রকরণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ট্রাম্প-ট্রুডোর সম্পর্ক অহি-নকুলের। ২০২২ সালে ট্রাম্প ট্রুডোকে ‘একজন চরম বামপন্থী উন্মাদ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কারণ ট্রুডো সীমান্ত অতিক্রম করা ট্রাক চালকদের জন্য কোভিড টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করেছিলেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে, কেবেকে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে চলে এসেছিলেন ট্রাম্প। ট্রুডোকে তিনি ‘খুবই অসৎ ও দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    ২০১৫ সাল থেকে কানাডার কুর্সিতে রয়েছেন ট্রুডো। ট্রাম্প জিততেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নেমে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যের বন্ধুত্ব বিশ্বে ঈর্ষণীয়।” ট্রুডো যখন আমেরিকা-কানাডার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রাণপাত করছেন, তখন নিশ্চিন্তে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কারণ মার্কিন প্রদেশে যিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন, তিনি আসলে তাঁর ‘বন্ধু’ (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাব নিয়ে ধুন্ধুমার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়, কড়া প্রতিক্রিয়া পদ্মের

    BJP: ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাব নিয়ে ধুন্ধুমার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়, কড়া প্রতিক্রিয়া পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও আইনি বৈধতা নেই।” ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাবের কপি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি (BJP) বিধায়করা। ৬ নভেম্বর, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) ফের ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর বিধাসভায়। প্রস্তাবটি পেশ করে রাজ্যের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন পদ্ম বিধায়করা। দু’পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচিতে তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। পরে অবশ্য ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। সেই প্রস্তাবটিরই কোনও আইনি বৈধতা নেই বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (BJP)

    জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির সুনীল শর্মা বলেন, “প্রস্তাবটি দিনের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করেই পেশ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ভাষণ নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার কৌশলে এবং হঠাৎ করে এই প্রস্তাবটি নিয়ে এল।” তিনি এই প্রস্তাবটিকে ‘অবৈধ’ ও ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন। তিনি বলেন (BJP), “এর কোনও আইনি বৈধতা নেই। কারণ এই (জম্মু-কাশ্মীর) বিধানসভা সংসদ বা সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে নয়।” ৩৭০ ধারাকে ইতিহাস বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন আর কেউ এই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবে না।”

    অমিত মালব্যের বক্তব্য

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “প্রস্তাবটি একটি মজার পরিবর্তন, যা শাসক ন্যাশনাল কনফারেন্সের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়।” তিনি লেখেন, “৩৭০ ধারা সম্পূর্ণভাবে পুনর্বহালের ওপর জোর দেওয়ার পরিবর্তে, প্রস্তাবটি এই বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানায়— যা ৫ আগস্ট ২০১৯-পরবর্তী বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।”

    আরও পড়ুন: জয়ের পরই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে ফোন মোদির, ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে নমো-প্রশস্তি

    উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা

    এদিকে, ৩৭০ ধারা নিয়ে বৃহস্পতিবারই উত্তপ্ত হয় জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা। এদিন রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় মার্শালদের।এদিন অধিবেশন শুরুর সময় আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ ৩৭০ ধারার সমর্থনে একটি পোস্টার তুলে ধরেন। এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক হইচই। এর পর প্রথমে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষে শুরু হয় ধস্তাধস্তি, পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ওই বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল এবং কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) জম্মু-কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করে বলেন, “ওরা পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu And Kashmir: ৩৭০ ধারা ফেরাতে প্রস্তাব পাশ জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়

    Jammu And Kashmir: ৩৭০ ধারা ফেরাতে প্রস্তাব পাশ জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভূস্বর্গে (Jammu And Kashmir) দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “পৃথিবীর কোনও শক্তিই আর ৩৭০ ধারা ফেরাতে পারবে না।” আর ৬ নভেম্বর, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) ফের ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ হল জম্মু-কাশ্মীর বিধাসভায়। এদিন সভায় প্রস্তাবটি পেশ করে রাজ্যের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স।

    বিধানসভায় হট্টগোল (Jammu And Kashmir)

    প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়করা। দু’পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বিধানসভা কার্যত পরিণত হয় হট্টমেলায়। পরে অবশ্য ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। এনিয়ে এদিন বিধানসভায় কোনও আলোচনাই হয়নি। ছ’বছর পরে গত সোমবার অধিবেশন বসে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়। প্রথম দিনেই ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেদিন বিধানসভার স্পিকার ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়ক রহিম রাঠেদার জানিয়েছিলেন এই ধরনের প্রস্তাব তিনি অনুমোদন করছেন না। সেদিন প্রস্তাবটি পেশ করেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দল।

    প্রস্তাব পেশ উপমুখ্যমন্ত্রীর

    বুধবার শাসক দলের তরফে প্রস্তাবটি পেশ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের কারণে বাইরের লোকজনও সেখানকার জমি কিনছেন। তাই অসুবিধার মুখ পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।” প্রস্তাবের বিরোধিতা করে (Jammu And Kashmir) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা বলেন, “উপরাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।” এনসির আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করে কংগ্রেস। বিরোধিতা করে বিজেপি। পদ্ম-বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন ‘অগাস্ট ৫ জিন্দাবাদ’, ‘জয় শ্রীরাম’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘জাতীয় বিরোধী অ্যাজেন্ডা নেহি চলেগা’, ‘পাকিস্তানি অ্যাজেন্ডা নেহি চলেগা’।

    আরও পড়ুন: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    প্রস্তাবে কেন্দ্রের কাছে ৩৭০ ধারা ফেরানোর বিষয়ে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার আর্জি জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা সরব হয়েছেন স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে (Jammu And Kashmir)। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে যে আপনি গতকাল মন্ত্রীদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন এবং নিজেই প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছেন।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার লোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ৩৭০-এ জম্মু ও কাশ্মীরকে যে বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছিল (Article 370), তা সাময়িক (Jammu And Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share