Tag: news in bengali

news in bengali

  • Kali Puja 2024: ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে ‘জাগ্রত’ দেবীমূর্তির সামনে বসে গান গাইতেন কিশোর গদাধর!

    Kali Puja 2024: ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে ‘জাগ্রত’ দেবীমূর্তির সামনে বসে গান গাইতেন কিশোর গদাধর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহৎ বঙ্গ হল শক্তি সাধনার প্রধান কেন্দ্র। দেবী পার্বতীর ৫১ পীঠের মধ্যে অধিকাংশ বঙ্গের ভূ-মণ্ডলে পড়েছে। শাক্তির আরাধনার সঙ্গে তন্ত্র সাধনা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দেবী দুর্গার আরেক রুদ্র রূপ হল মা কালী। মায়ের শাক্ত গীতিকা বাংলার ঘরে ঘরে পড়া হয় এবং গান গাওয়া হয়। দেবী কালীকথার মধ্যে নানা লৌকিক এবং অলৌকিক আধ্যাত্মিক বিশ্বাস-আস্থার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে এক এক জায়গায়। সাধারণত কালীপুজো সারা বছর ধরেই বিভিন্ন অমাবস্যায় অনুষ্ঠিত হয়। তবে কার্তিক মাসের অমাবস্যায় কালীপুজো (Kali Puja 2024) সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি (Thanthaniya Kalibari)। ভক্তদের বিশ্বাস, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। দেবীর আশীর্বাদে ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হয় বলেও বিশ্বাস। এই কালীমন্দিরের অবস্থান উত্তর কলকাতার কলেজ স্ট্রিট থেকে একটু দূরেই বিধান সরণিতে।

    কীভাবে নাম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি (Kali Puja 2024)? 

    নিশ্চয়ই পাঠকের প্রশ্ন রয়েছে, কীভাবে এই মন্দিরের নাম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি? জনশ্রুতি রয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যখন কেউ যেতেন, তখন দূর থেকেও শোনা যেত এই কালী মন্দিরের (Kali Puja 2023) ঘণ্টাধ্বনি। ঠনঠন আওয়াজ থেকেই এলাকার নাম হয় ঠনঠনিয়া। উত্তর কলকাতার এই কালীপুজোতে (Thanthaniya Kalibari) দেবী পূজিতা হন সিদ্ধেশ্বরী রূপে। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ইতিহাসও। কথিত আছে, কামারপুকুর থেকে যখন কিশোর গদাধর চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় আসেন, তখন মন্দিরের কাছেই ঝামাপুকুরে থাকতেন তিনি। ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে দেবী মূর্তির সামনে বসে গানও গাইতেন গদাধর। দক্ষিণেশ্বেরে গিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংস হওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছেন তিনি। আবার গবেষকদের মতে, সাধক রামপ্রসাদও জড়িত ছিলেন এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সঙ্গে।

    কালীমন্দিরের ইতিহাস

    কথিত আছে, কলকাতার সুতানুটি গ্রাম একেবারে জঙ্গল অধ্যুষিত ছিল। নদীর পাশেই অরণ্যবেষ্টিত এক শ্মশানে তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী তৈরি করেন সিদ্ধেশ্বরী কালী মূর্তি, যা বর্তমানে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির (Kali Puja 2024) অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সেটা ছিল আনুমানিক ১৭০৩ সাল অর্থাৎ আজ থেকে ৩২০ বছর আগে। তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারীর কালীপুজোর প্রায় ১০০ বছর পরে জনৈক শঙ্কর ঘোষ নামের এক ব্যবসায়ী সিদ্ধেশ্বরী কালীমূর্তির মন্দিরটি গড়ে তোলেন। বর্তমানে শঙ্কর ঘোষের বংশধররাই এখন এই মন্দিরের সেবায়েত রয়েছেন।

    ১৭০৩ খ্রিষ্টাব্দে মূর্তি নির্মাণ হয়

    জনশ্রুতি অনুসারে আরও জানা গিয়েছে, ১৭০৩ খ্রিষ্টাব্দে উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামে জনৈক তান্ত্রিক মাটি দিয়ে সিদ্ধেশ্বরী কালীমূর্তি গড়েন। ১৮০৬ খ্রিষ্টাব্দে শঙ্কর ঘোষ নামে জনৈক ধনাঢ্য ব্যক্তি বর্তমান কালীমন্দির (Kali Puja 2024) ও পুষ্পেশ্বর শিবের আটচালা মন্দির নির্মাণ করেন। নিত্যপূজার ব্যয়ভার গ্রহণ করেন। এখানে মায়ের মূর্তি মাটির, প্রতি বছর মূর্তি সংস্কার করা হয়। ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে (Thanthaniya Kalibari) জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণীর পুজো, কার্তিক অমবস্যায় আদিকালীর পুজো ও মাঘ মাসে রটন্তী কালীর পুজো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 178: “সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা, মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে”

    Ramakrishna 178: “সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা, মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

    “বদ্ধজীব—সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা। মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে; কিন্তু নিজে ঘর বানিয়েছে, ছেড়ে আসতে মায়া হয়। শেষে মৃত্যু (Kathamrita)।

    “যারা মুক্তজীব (Ramakrishna), তারা কামিনী-কাঞ্চনের বশ নয়। কোন কোন গুটিপোকা অত যত্নের গুটি কেটে বেরিয়ে আসে। সে কিন্তু দু-একটা।

    “মায়াতে ভুলিয়ে রাখে। দু-একজনের জ্ঞান হয়; তারা মায়ার ভেলকিতে ভোলে না; কামিনী-কাঞ্চনের বশ হয় না। আঁতুড়ঘরের ধূলহাঁড়ির খোলা যে পায়ে পরে, তার বাজিকরের ড্যাম্‌ ড্যাম্‌ শব্দের ভেলকি লাগে না। বাজিকর কি করছে সে ঠিক দেখতে (Kathamrita) পায়।

    “সাধনসিদ্ধ আর কৃপাসিদ্ধ। কেউ কেউ অনেক কষ্টে ক্ষেত্রে জল ছেঁচে আনে; আনতে পারলে ফসল হয়। কারু জল ছেঁচতে হল না, বৃষ্টির জলে ভেসে গেল। কষ্ট করে জল আনতে হল না। এই মায়ার হাত থেকে এড়াতে গেলে কষ্ট করে সাধন করতে হয়। কৃপাসিদ্ধের কষ্ট করতে হয় না। সে কিন্তু দু-এক জনা।

    “আর নিত্যসিদ্ধ, এদের জন্মে জন্মে জ্ঞানচৈতন্য হয়ে আছে। যেমন ফোয়ারা বুজে আছে। মিস্ত্রী এটা খুলতে ফোয়ারাটাও খুলে দিলে, আর ফরফর করে জল বেরুতে লাগল! নিত্যসিদ্ধের প্রথম অনুরাগ যখন লোকে দেখে, তখন অবাক্‌ হয়। বলে এত ভক্তি-বৈরাগ্য-প্রেম কোথায় ছিল?”

    ঠাকুর (Ramakrishna) অনুরাগের কথা বলিতেছেন। গোপীদের অনুরাগের কথা। আবার গান হইতে লাগিল। রামলাল গাহিতেছেন:

    নাথ! তিমি সর্বস্ব আমার। প্রাণাধার সারাৎসার;
    নাহি তোমা বিনে কেহ ত্রিভুবনে, বলিবার আপনার ॥
    তুমি সুখ শান্তি, সহায় সম্বল, সম্পদ ঐশ্বর্য, জ্ঞান বুদ্ধি বল,
    তুমি বাসগৃহ, আরামের স্থল, আত্মীয় বন্ধু পরিবার ॥
    তুমি ইহকাল, তুমি পরিত্রাণ, তুমি পরকাল, তুমি স্বর্গধাম,
    তুমি শাস্ত্রবিধি গুরুকল্পতরু, অনন্ত সুখের আধার ॥
    তুমি হে উপায়, তুমি হে উদ্দেশ্য, তুমি স্রষ্টা পাতা তুমি হে উপাস্য,
    দণ্ডদাতা পিতা, স্নেহময়ী মাতা, ভবার্ণবে কর্ণধার (তুমি) ॥

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: সম্প্রীতির মেলবন্ধন! কাঁটাতারের বিভাজন কাটিয়ে কালীপুজোয় হিন্দু-মুসলিম একাকার

    Kali Puja 2024: সম্প্রীতির মেলবন্ধন! কাঁটাতারের বিভাজন কাটিয়ে কালীপুজোয় হিন্দু-মুসলিম একাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হাড়িপুকুর গ্রাম। একেবারে বাংলাদেশের শূন্যরেখা লাগোয়া মন্দিরে কালীপুজো করেন হিলির মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। এই কালীপুজো (Kali Puja 2024) ঘিরে সাজো সাজো রব গ্রামে। শুধু গ্রামবাসীরাই নয়, এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সামিল হন সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানরাও। শুধুমাত্র ভারতীয় বা বিএসএফ’রা নয়, সীমান্ত লাগোয়া এই পুজোয় মাতেন বাংলাদেশের মানুষও। এমনকী মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণও করেন তাঁরাই। তবে প্রথম থেকেই রীতি মেনে এই পুজো করেন হিন্দু পুরোহিত। কালীপুজোকে ঘিরে সেজে উঠেছে কাঁটাতারের পাশের গ্রাম হাড়িপুকুর। উৎসবের রেশ হাড়িপুকুর সংলগ্ন বাংলাদেশের গ্রামগুলিতেও। দীপাবলির আলোর এই উৎসবে কার্যত মনের আঁধার দূরে সরিয়ে মিলন উৎসবে মেতে ওঠেন দুই বাংলার মানুষ। দেশভাগের পর থেকেই হাড়িপুকুরের সীমান্তের শূন্যরেখার পিলারের পাশেই দেবী দীর্ঘদিন থেকে পূজিত হয়ে আসছেন। তবে এখানে কালীর থানে ঘটপুজোর প্রচলন আজও অব্যাহত।

    পুজো সারা বছরই করেন হিন্দু পুরোহিত (Kali Puja 2024)

    মূর্তি তুলে পুজো হলেও গ্রামবাসীরা এই কালীর থানকে জাগ্রত বলে মানেন। হাড়িপুকুর গ্রামটি মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম বলে পরিচিত এবং ওপারে বাংলাদেশের গ্রামগুলিও মুসলিম অধ্যুষিত। হিন্দুদের প্রচলিত রীতি মেনে হাড়িপুকুর গ্রামের এই কালীমাতার থানে পুজো সারা বছরই করেন হিন্দু পুরোহিত। কিন্তু কালীর থান এবং যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ করেন ওই গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ (Hindu-Muslim)। সারা বছরই কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দি এই গ্রামবাসীরা। বাইরের পুজোয় আনন্দ না করতে পারলেও গ্রামের মধ্যে আলোর এই উৎসবে মেতে ওঠেন। কালীপুজোকে ঘিরে আলোর ঝর্ণাধারায় সেজে ওঠে এপারের হাড়িপুকুর গ্রাম এবং ওপারের বাংলাদেশের বাঘমারা গ্রাম। কালীপুজোর পরদিন পুরনো রীতি অনুযায়ী খিচুড়ি ভোগেরও আয়োজন করা হয়। যে ভোগে অংশগ্রহণ করে সবাই।

    খিচুড়ি বিতরণ অনুষ্ঠান

    হাড়িপুকুর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকেই হয়ে আসা এই কালীপুজোর (Kali Puja 2024) কয়েকটি দিন এলাকায় জমজমাট পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিদ্যুতের অভাবে প্রথমে মোমবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজোর প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুৎ এসে যাওয়ায় পুজোর কয়েকটি দিনে ছোট ছোট টুনি বাল্বের আলোতে সেজে ওঠে দুই দেশের শূন্যরেখা এলাকা। পুরানো রীতি মেনেই হিন্দুদের দ্বারা এই পুজো চললেও সেখানে অংশ নেন হাড়িপুকুর গ্রামের সমস্ত মুসলিম মানুষ। জাত ভেদাভেদ ও দেশ ভাগাভাগি ভুলে পুজোর দিন ও পুজোর পরের দিন খিচুড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে সামিল হন বাংলাদেশের গ্রামের প্রচুর হিন্দু ও মুসলিম মানুষ।

    সাজো সাজো রব হিলির হাড়িপুকুর গ্রামে (Kali Puja 2024)

    দেশজুড়ে যেখানে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, এরই মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ছে হাড়িপুকুর গ্রাম। এ যেন দেশজুড়ে অসহিষ্ণুতার পরিবেশেও অক্ষুন্ন সেখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন। গ্রামের হিন্দু কালীমন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। এখানে এসেই মনে হয় বিদ্রোহী কবি নজরুলের লাইন ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান’। আর মাত্র কয়েকদিন তাই এই কালীপুজো ঘিরে সাজো সাজো রব হিলির হাড়িপুকুর গ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Green Hydrogen Plant: লেহ্তে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে গ্রিন হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ এনটিপিসি-র, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Green Hydrogen Plant: লেহ্তে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে গ্রিন হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ এনটিপিসি-র, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখের লেহ্তে বিশ্বের সব থেকে উঁচুতে সবুজ হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট (Green Hydrogen Plant) স্থাপন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসি (NTPC)। ভারতই এখন বিশ্বের একমাত্র দেশ, যে শুধুমাত্র মিষ্টি জল থেকে হাইড্রোজেন জ্বালানি শক্তির উৎপাদন নিখুঁতভাবে করতে সক্ষম। এই জ্বালানিটি ইতিমধ্যেই ভারতের রকেট উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত হয়েছে। এবার দুর্গম লে-লাদাখ থেকে শুরু করে প্রবলভাবে দূষিত রাজধানী দিল্লির অঞ্চলে (এনসিআর) গণ-পরিবহণের চালিকা শক্তি হিসেবে গ্রিন হাইড্রোজেন বেশি করে ব্যবহার করা হবে। দূষণরোধক এবং অধিক শক্তি উৎপাদনী জ্বালানি হিসেবে সবুজ হাইড্রোজেনের গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতে ব্যাপক ভাবে জ্বালানি শক্তির চাহিদা রয়েছে এবং সেই জন্য সরকার অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে স্থানীয় শক্তির সমাধান খুঁজছে। দেশের গতিকে আরও বৃদ্ধি করতে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে গ্রিন হাইড্রোজেনের কথা বারবার তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মোদি (Green Hydrogen Plant)

    হাইড্রোজেন বিশেষ ভাবে আকর্ষণীয় কারণ, এটি জলকে বিভক্ত করে উৎপাদিত হয়। আবার অপর দিকে এই হাইড্রোজেন মৌলের একমাত্র নির্গমন হয় জল থেকেই। এনটিপিসির (NTPC) গ্রিন হাইড্রোজেন প্ল্যান্টটি লাদাখের লেহ্-তে বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত একটি অত্যাধুনিক প্রকল্প। ২০২২ সালের ১ অগাস্ট, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই অনন্য প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সবচেয়ে হালকা এবং প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) উপাদান ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য জ্বালানি হবে। সরকারও তেল এবং গ্যাসের বিকল্প জ্বালানির সম্ভাবনাকে অন্বেষণ করছে। ফলে দূষণজনিত জ্বালানির বিকল্প হল এই সবুজ হাইড্রোজেন। অপরে জৈব জ্বালানির জলও থেকে ব্যাপকভাবে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা যায়।

    সবুজ হাইড্রোজেন কী?

    হাইড্রোজেন এতটাই শক্তি-সমৃদ্ধ যে তা তরল আকারে তরল অক্সিজেনের সঙ্গে মিলিত হয়ে আরও শক্তিশালী হয়। আর তাই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) সবচেয়ে ভারী রকেটকে উৎক্ষেপণ করতে এই শক্তিকেই ব্যবহার করা হয়েছিল। ভারতের স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ তার ৬৪০-টন রকেটে তরলীকৃত হাইড্রোজেন ব্যবহার করেছিল। উল্লেখ্য চন্দ্রযান ৩-এর ঐতিহাসিক মিশনে এই শক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। হাইড্রোজেন একদিকে যেমন অত্যন্ত দাহ্য, অপর দিকে চরম সতর্কতা নিয়ে ব্যবহার করতে হয়। তাহলে সবুজ হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) আসলে কী? হাইড্রোজেনকে যখন পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি হিসেবে উৎপাদন করা হয়, তখন এটি সবুজ হাইড্রোজেন হিসাবে বিবেচিত হয়। আবার অন্যান্য নানা ধরণের হাইড্রোজেনও হয়। যেমন-ধূসর বা বাদামী হাইড্রোজেন, যা আরও  শক্তিশালী জ্বালানি। তবে এগুলিও জীবাশ্ম জ্বালানি।

    দৈনিক ৮০ কেজি হাইড্রোজেন উৎপাদন হবে

    লাদাখের লেহ্-র কাছে চোগলামসার গ্রামে, এনটিপিসি (NTPC) সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য একটি পরীক্ষামূলক প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে স্থাপিত সবুজ হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) ফুয়েলিং স্টেশন। লাদাখ একটি ঠান্ডা মরুভূমি অঞ্চল, সূর্যের আলো দ্বারা অত্যন্ত সমৃদ্ধ, বছরে ৩০০ দিনের বেশি মেঘমুক্ত থাকে। এখানে, এনটিপিসি একটি ১.৭ মেগাওয়াট সোলার ফটোভোলটাইক প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। সেখান থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ একটি ইলেক্ট্রোলাইজারকে শক্তি দেয়, যা জলকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনে বিভক্ত করে। এই প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য শক্তির জোগান মেলে। এতে হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসাবে গ্রহণ করা হয় এবং অপর দিকে অক্সিজেন নির্গত হয়। এনটিপিসি জানিয়েছে, এই প্ল্যান্টটি দৈনিক ৮০ কেজি হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে সক্ষম। ফলে লেহ্ এলাকার আশেপাশে পাঁচটি ইন্ট্রা-সিটি ফুয়েল-সেল ইলেকট্রিক বাস চালানো যাবে। মোটামুটি ভাবে প্রতিদিন সব মিলিয়ে ১১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের জ্বালানি মিলবে।

    বার্ষিক ২৩০ মেট্রিক টন বিশুদ্ধ অক্সিজেন ছাড়বে

    এনটিপিসি-র (NTPC) সূত্রে জানা গিয়েছে, লেহ্-স্টেশনটি অত্যন্ত দূষণকারী জীবাশ্ম-জ্বালানি যানবাহনের বিকল্প শক্তিকেন্দ্র হয়ে উঠবে। একইভাবে দূষণরোধে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করবে। এখানে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলিকে একত্রীকরণ করা হবে। এমনকী, সঙ্কটের পরিস্থিতিতেও জ্বালানির নির্ভরযোগ্যতা বাড়াবে। এতে কার্বন নির্গমন হ্রাস হয়ে একটি স্বচ্ছ জ্বালানি ইকোসিস্টেমকে প্রতিস্থাপন করবে। এনটিপিসি-র এই স্টেশনটি প্রতি বছর আনুমানিক ৩৫০ মেট্রিক টন কার্বন নির্গমন কমাবে এবং বার্ষিক ২৩০ মেট্রিক টন বিশুদ্ধ অক্সিজেন ছাড়বে, যা প্রায় ১৩,০০০ গাছ লাগানোর সমতুল্য বলে বিবেচিত হবে। লাদাখে উচ্চ সৌরতাপ বিকিরণ এবং ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে এই অঞ্চলটি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত আদর্শ। স্থানীয়ভাবে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন ও ব্যবহার জ্বালানি সরবরাহের চাহিদা দূর করবে। একইসঙ্গে এই এলাকাগুলিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং সড়ক যোগাযোগে বাধাগুলিকে দ্রুত নিরসন করবে। তবে, একটা চ্যালেঞ্জ রয়ে যাচ্ছে। তা হল, জলকে হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) এবং অক্সিজেনে বিভক্ত করা বা  বৈদ্যুতিক বাসগুলিতে ব্যবহৃত জ্বালানি কোষগুলিকে চালনার জন্য যে যে ইলেক্ট্রোলাইজার ব্যবহার করতে হয়, সেগুলিকে বর্তমানে আমদানি করা হয়। যে কারণে, বর্তমানে প্রচলিত জীবাশ্ম-জ্বালানি চালিত বাস বা যানবাহনের তুলনায় হাইড্রোজেন-চালিত যানবাহন ব্যয় বহুল। এক্ষেত্রে,  স্থানীয়ভাবে এই প্রযুক্তির বিকাশ হলে ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে পারে।

    অর্থনীতিতেও, গ্রীন হাইড্রোজেন প্রভাব ফেলবে

    এনটিপিসি-র (NTPC) চিফ জেনারেল ম্যানেজার ডিএমআর পান্ডা বলেছেন, “গ্রিন হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) উৎপাদন করা ভারতের শক্তি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শক্তির স্বাধীনতা এবং স্বয়ং উৎপাদনে স্বনির্ভরতা বাড়বে৷ সর্বোপরি, আমাদের প্রচুর সৌর রশ্মি এবং জল রয়েছে৷ ভারত এই শক্তির কার্বনাইজেশন করছে৷ অর্থনীতিতেও, গ্রিন হাইড্রোজেন প্রভাব ফেলবে। জল থেকে উৎপন্ন শক্তি এবং নিঃসরণ হিসাবে সৌর শক্তি, প্রকৃতপক্ষে লেহ্ এবং দিল্লি এনসিআর গ্রিন হাইড্রোজেন প্রকল্পগুলি বেশ ফলপ্রসূ হবে। ২০৭০ সালের মধ্যে জ্বালানিতে এই উপাদানের ব্যবহার সর্বাত্মক করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  দেশের প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • New Planet Discovery: সৌরজগতের বাইরে নতুন গ্রহ আবিষ্কার করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা, কী নাম রাখলেন?

    New Planet Discovery: সৌরজগতের বাইরে নতুন গ্রহ আবিষ্কার করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা, কী নাম রাখলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরজগতের বাইরে নতুন গ্রহের সন্ধান দিলেন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের (Indian scientist) গবেষণায়। এই আবিষ্কৃত গ্রহের (New Planet Discovery) নাম ‘টিওআই-৬৬৫১বি’। অন্য আরেকটি সূর্যের মতো নক্ষত্রের চারপাশে পরিক্রমা করে চলেছে গ্রহটি। মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারে বিরাট শোরগোল পড়েছে।

    পৃথিবীর তুলনায় গ্রহের ভর ৬০ গুণ বেশি (New Planet Discovery)

    ভারতের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবোরেটরির (Physical Research Laboratory) বিজ্ঞানীরা এই নয়া গ্রহের আবিষ্কার করেছেন। অত্যাধুনিক পারাস-২ স্পেকটোগ্রাফের মাধ্যমে এই গ্রহের অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়েছে। টিওআই-৬৬৫১বি গ্রহটি (New Planet Discovery) উচ্চভর যুক্ত। আমাদের সৌর জগতের শনির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই নিয়ে পিআরএল-এর বিজ্ঞানীরা ষষ্ঠতম এক্সোপ্ল্যানেট বা ভিন-গ্রহ আবিষ্কার করলেন। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের এই অনুসন্ধান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই নয়া আবিষ্কৃত গ্রহ কোনও সাধারণ গ্রহ নয়। বিজ্ঞানীরা (Indian scientist) বলেছেন, পৃথিবীর তুলনায় ওই গ্রহের ভর ৬০ গুণ বেশি। আয়তনেও পৃথিবীর তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বড়। মহাকাশে নেপচুনিয়ান ডেসার্ট নামক অঞ্চলের একেবারে কিনারায় এই গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে ওই এলাকায় এই রকম আরও গ্রহের সন্ধান আগেও পাওয়া গিয়েছে।

    মোট ভরের ৮৭ শতাংশ পাথর ও লৌহসমৃদ্ধ খনিজ

    নবাবিষ্কৃত এই গ্রহ টিওআই-৬৬৫১বি (New Planet Discovery) সূর্যের মতো পৃথক একটি নক্ষত্রের চারিদিকে পরিক্রমা করে। নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে গ্রহটি পাঁচ দিন সময় নেয়। ওই গ্রহে একবছর হিসেবে গন্য হয়, যে সময়সীমা তা পৃথিবীর এক সপ্তাহেরও কম। এই গ্রহের কক্ষপথ খানিকটা ডিম্বাকৃতির। এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন,  টিওআই-৬৬৫১বি গ্রহটি টিওআই-৬৬৫১ নামের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করেছে। সেটি একটি জি-টাইপ সাব-জায়ান্ট নক্ষত্র। সূর্যের চেয়ে তার আয়তন এবং তাপমাত্রা অনেক বেশি। সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় ৫৯৪০ কেলভিন। গ্রহের মোট ভরের ৮৭ শতাংশ পাথর এবং লৌহসমৃদ্ধ খনিজ বলে জানা গিয়েছে। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামের আস্তরণ মুড়ে রেখেছে গ্রহটিকে। তবে সবসময় গ্রহটি এমন ছিল না, তার বিবর্তন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা (Indian scientist)।

    গবেষকদের বক্তব্য, অন্য এক বা একাধিক মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে মিশে যায় গ্রহটি। ফলে সূচনাপর্বের ওই পরিবেশ আর বিদ্যামান নেই গ্রহটিতে। বিজ্ঞানীরা আরও জানান, সাধারণ যে নিয়মে গ্রহের জন্ম হয়, তা থেকেও কিছুটা আলাদা এটি। একে বড়, তারপর ভর অনেক বেশি তাই টিকে থাকার বিষয় নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। তবে এই নিয়ে বিস্তর আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গ্রহমণ্ডলের বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সন্ধান করছেন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা (Indian scientist)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…”, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মা পূজিত হন করুণাময়ী রূপে

    Kali Puja 2024: “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…”, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মা পূজিত হন করুণাময়ী রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পুড়ছে শবদেহ। পাশেই তন্ত্রমতে পুজো হচ্ছে মা শ্মশানকালীর (Kali Puja 2024)। প্রত্যেক বছর কালীপুজোর রাতে এ ছবি দেখা যায় কালীঘাটের কেওড়াতলা (Keoratala Goddess Kali) মহাশ্মশানে। এক সময় এখানে দেহ দাহ হত কাঠের চুল্লিতে। পরে হয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। চুল্লি জ্বলে প্রায় সারাদিনই। কালীপুজোর রাতেও এর বিরাম থাকে না। এই আবহেই এখানে হয় মাতৃ আরাধনা। জাগ্রত মায়ের আরাধনায় প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।

    মাতৃমূর্তি করুণাময়ী (Kali Puja 2024)

    কেওড়াতলায় মাতৃমূর্তি করুণাময়ী। ১৬ ফুট উচ্চতার মাতৃমূর্তি লোলজিহ্বা নয়, হাস্যময়ী। অসুর মুণ্ডমালিনী নয়। দেবীর থাকে দুই হাত। ডান হাতে নৈবেদ্যরূপী মাংস, অন্য হাতে মদ। অনেকেই এখানে দেবীকে মদ মানত করেন। সেই পানপাত্র থেকে মদের একটা অংশ নিয়ে পুরোহিত দেবীর হাতে থাকা পাত্রে রাখেন। বাকিটা প্রসাদ করে তুলে দেওয়া হয় মানতকারীর হাতে। কালীপুজোয় বলিদান সিদ্ধ। তাই বলিদানের রীতি শুরু থেকেই রয়েছে এখানে। ভক্তদের (Kali Puja 2024) মানত করা পাঁঠা বলি হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, কেওড়াতলার মা কালী কাউকে শূন্য হাতে ফেরান না। যে যা বাসনা করেন তাই ফলপ্রসূ হয়।

    রাতভর চলে পুজো-হোম-বলিদান

    কেওড়াতলার শ্মশানকালী (Kali Puja 2024) পুজোর একটি ইতিহাস রয়েছে। গভীর জঙ্গলে আকীর্ণ এই এলাকায় এক সময় ছিল শুধুই শ্মশান। কেওড়া গাছ প্রচুর পরিমাণে ছিল বলে এই নামকরণ হয়। মূলত দেহ দাহ করতেই লোকজন আসতেন এখানে। এই জায়গাটিকেই সাধনস্থল হিসেবে বেছে নিলেন জনৈক চন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য ও মতিলাল ভট্টাচার্য। ১৯৭০ সালে এক অমাবস্যার রাতে এখানে এসে হাজির হন ভিনদেশি এক তান্ত্রিক। হাতে লৌহনির্মিত একটি ছোট্ট কালীমূর্তি। সাধনারত দুই ব্রাহ্মণকে তিনি বললেন, “আজকের এই রাত্রির লগ্ন মাতৃপূজার শুভক্ষণ। আমি এখানে দেবীর আরাধনা করতে চাই। আপনারা আমায় সহযোগিতা করুন।” তখনই ব্রাহ্মণরা আয়োজন করলেন মাতৃ আরাধনার। স্থানীয় জনবসতি থেকে জোগাড় হল পুজোর উপকরণ। রাতভর চলল পুজো-হোম-বলিদান। তন্ত্রমতে সাঙ্গ হল দেবী আরাধনা।  

    আরও পড়ুুন: পুরীর জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদের মূল্য একলাফে বেড়ে ৩ গুণ! ভক্তমহলে অসন্তোষ

    আকাশে ভোরের আলো ফোটার আগেই দেবীমূর্তি নিয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন তান্ত্রিক। তবে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও হচ্ছে পুজো। যেহেতু তান্ত্রিক তাঁর দেবীমূর্তি নিয়ে চলে গিয়েছেন, তাই এখন মৃণ্ময়ী প্রতিমা গড়ে হয় পুজো। তবে পুজোর নিয়ম অনুসরণ করা হয় সেই তান্ত্রিকের মতোই। জনশ্রুতি এই (Kali Puja 2024) যে, দ্বীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে যখন মায়ের আরাধনা হয়, তখনও জ্বলতে থাকে চিতা। কালীপুজোর (Keoratala Goddess Kali) রাতে এখানে এলে মনে পড়ে কাজী নজরুল ইসলামের সেই কথা কটি, “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 177: “বাঘ যেমন জানোয়ার খেয়ে ফেলে, তেমনি ‘অনুরাগ বাঘ’ কাম ক্রোধ খেয়ে ফেলে”

    Ramakrishna 177: “বাঘ যেমন জানোয়ার খেয়ে ফেলে, তেমনি ‘অনুরাগ বাঘ’ কাম ক্রোধ খেয়ে ফেলে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গান গাহিতে বলিলেন। রামলাল ও কালীবাড়ির একটি ব্রাহ্মণ কর্মচারী গাহিতেছেন। সঙ্গতের মধ্যে একটি বাঁয়ার ঠেকা—

    (১)—হৃদি-বৃন্দাবনে বাস যদি কর কমলাপতি ৷
    ওহে ভক্তিপ্রিয়, আমার ভক্তি হবে রাধাসতী ॥
    মুক্তি কামনা আমারি, হবে বৃন্দে গোপনারী,
    দেহ হবে নন্দের পুরী, স্নেহ হবে মা যশোমতী ॥
    আমার ধর ধর জনার্দন, পাপভার গোবর্ধন,
    কামাদি ছয় কংসচরে ধ্বংস কর সম্প্রতি ॥
    বাজায়ে কৃপা বাঁশরি, মনধেনুকে বশ করি,
    তিষ্ঠ হৃদিগোষ্ঠে পুরাও ইষ্ট এই মিনতি ॥
    আমার প্রেমরূপ যমুনাকুলে, আশাবংশীবটমূলে,
    স্বদাস ভেবে সদয়ভাবে, সতত কর বসতি ॥
    যদি বল রাখাল-প্রেমে, বন্দী থাকি ব্রজধামে,
    জ্ঞানহীন রাখাল তোমার, দাস হবে হে দাশরথি ॥

    (২)—নবনীরদবরণ কিসে গণ্য শ্যামচাঁদ রূপ হেরে,
    করেতে বাঁশি অধরে হাসি, রূপে ভুবন আলো রে ॥
    জড়িত পীতবসন, তড়িত জিনি ঝলমল,
    আন্দোলিত চরণাবধি হৃদিসরোজে বনমাল,
    নিতে যুবতী-জাতিকুল, আলো করে যমুনাকুল,
    নন্দকুল চন্দ্র যত চন্দ্র জিনি বিহরে ॥
    শ্যামগুণধাম পশি, হাম হদিমন্দিরে,
    প্রাণ মন জ্ঞান সখি হরে নিল বাঁশির স্বরে,
    গঙ্গানারায়ণের যে দুঃখ সে-কথা বলিব কারে,
    জানতে যদি যেতে গো সখী যমুনায় জল আনিবারে ॥

    (৩)—শ্যামাপদ-আকাশেতে মন ঘুড়িখান উড়তেছিল;
    কলুষের কুবাতাস পেয়ে গোপ্তা খেয়ে পড়ে গেল।

    ঈশ্বরলাভের উপায় অনুরাগ—গোপীপ্রেম—অনুরাগ বাঘ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—বাঘ যেমন কপকপ করে জানোয়ার খেয়ে ফেলে, তেমনি “অনুরাগ বাঘ” কাম ক্রোধ এই সব রিপুদের খেয়ে ফেলে। ঈশ্বরে একবার অনুরাগ হলে কামক্রোধাদি থাকে না। গোপীদের ওই অবস্থা হয়েছিল। কৃষ্ণে অনুরাগ (Ramakrishna)।

    “আবার আছে ‘অনুরাগ অঞ্জন’। শ্রীমতী বলছেন, ‘সখি, চতুর্দিক কৃষ্ণময় দেখছি!’ তারা বললে (Kathamrita), ‘সখি, অনুরাগ-অঞ্জন চোখে দিয়েছ তাই ওইরূপ দেখছ।’ এরূপ আছে যে, ব্যাঙের মুণ্ডু পুড়িয়ে কাজল তৈয়ার করে, সেই কাজল চোখে দিলে চারিদিক সর্পময় দেখে!

    “যারা কেবল কামিনী-কাঞ্চন নিয়ে আছে—ঈশ্বরকে (Kathamrita) একবারও ভাবে না, তারা বদ্ধজীব। তাদের নিয়ে কি মহৎ কাজ হবে? যেমন কাকে ঠোকরানো আম, ঠাকুর সেবায় লাগে না, নিজের খেতেও সন্দেহ।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gujarat: জনবিন্যাস নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ফাঁস! গুজরাটে গ্রেফতার ৫১ অবৈধ বাংলাদেশি

    Gujarat: জনবিন্যাস নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ফাঁস! গুজরাটে গ্রেফতার ৫১ অবৈধ বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ (Bangladeshis) করে অবৈধভাবে গুজরাটে (Gujarat) বসবাস করছিলেন বেশ কিছু বাংলাদেশি। একই ভাবে তারা এলাকা দখল করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং জনবিন্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে নাশকাতামূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। আমেদাবাদ পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ২৫ অক্টোবর মোট ৫১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে। একই ভাবে আরও ২৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য যোগসূত্র এবং ষড়যন্ত্রের তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    স্যাটেলাইটে চিত্র ধরা পড়েছে (Gujarat)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshis) বেআইনি ভাবে চান্দোলা লেকের আশেপাশের এলাকায় জবরদখল করে অস্থায়ী বসতি নির্মাণ করেছিল। উল্লেখ্য এই এলাকায় নর্মদা নদীর পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। যে সব এলাকায় জল সঙ্কট দেখা দেয়, সেখানে এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, “এই অনুপ্রবেশকারীরা নিকটবর্তী পিরানা (Gujarat) বর্জ্য ফেলার জায়গা থেকে প্রক্রিয়াজাত নোংরা এবং আবর্জনা জলের পাইপ লাইনে ফেলে জল সরবরাহকে বন্ধ করে দেওয়ার কাজ করছিল। উপগ্রহ চিত্রে ১৯৮৫, ২০১১ এবং ২০২৪ সালের স্যাটেলাইটে স্পষ্টভাবে সেই চিত্র ধরা পড়েছে। ফলে হ্রদের জলের স্তর ব্যাপক ভাবে কমে গিয়েছে। এই ভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আপাতত তদন্ত চলছে। এই অপকর্মের সম্পূর্ণ জালকে খোঁজ করা হচ্ছে।”

    বেআইনি ভাবে হ্রদের আশে পাশে ঝুপড়ি নির্মাণ!

    উপগ্রহ চিত্র সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই চান্দোলা (Gujarat) এলাকায়, বাংলাদেশিরা বেআইনি ভাবে হ্রদের আশে পাশে ঝুপড়ি নির্মাণ করে জমি কব্জা করে রেখে ছিল। সেই সঙ্গে জলাজমি বেআইনি ভাবে মাটি দিয়ে ভরাট করে ক্রমাগত বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। একদিকে, যেমন পানীয় জল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে, তেমনি বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াজাত কাজেও অত্যন্ত প্রভাব ফেলেছে। উপগ্রহ চিত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ বছরে এলাকার বিরাট পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন প্রশ্ন এই ভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে নষ্ট করার মূলচক্রী কে? এটা কী কোনও বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অঙ্গ, সেটাই তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

    ৬০-৭০ শতাংশ অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

    আমেদাবাদ (Gujarat) দুর্নীতি দমনকারী শাখার এসিপি ভরত প্যাটেল বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে, আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে৷ অভিযানের অধীনেই তাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ গত মাসে, মানব পাচার, অবৈধ লেনদেন এবং জাল ভারতীয় নথির দুটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরেও তদন্ত থেমে নেই। এবার মোট ৫১ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া নথি থেকে যাচাই করা হয়েছে। ভুয়ো কাগজ এবং নথি তৈরি করার জন্য এফআইআর করা হয়েছে। এখন এই চান্দোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০-৭০ শতাংশ অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    উদ্ধার ভুয়ো আধার-প্যান

    একইভাবে আমেদাবাদে (Gujarat) গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশিদের (Bangladeshis) কাছ থেকে যে সব সমগ্রী পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড। ধৃতরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। তবে প্রত্যেকের কাগজে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখ রয়েছে। বেআইনি ভাবে কাজপত্র তৈরি করে সরকারি সুবিধাগুলি নিচ্ছিল বলে দাবি করেন তদন্তকারী অফিসাররা। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য যে জনমুখী কল্যাণকর প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়, সেগুলি আইনের ফাঁক দিয়ে সুযোগ নিচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    যোগ মিলেছে নারী পাচারের চক্র!

    তবে আমেদাবাদ (Gujarat) পুলিশের ডিসি অজিত রাজিয়ান এবং যুগ্ম কমিশনার শরদ সিংঘল সহ পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, “স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে এই ধরনের ভুয়ো নথি কাগজ ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার করে আমেদাবাদে আনা হত এবং সেখান থেকে অন্যত্র পাচার চক্র চলত।” একইভাবে দেশ-বিরোধী একাধিক কাজের সূত্র মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় এখন পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। হ্রদের প্রকৃতিক ভারসাম্য এবং নর্মদা থেকে জল সরবরাহে কোনও রকম সমস্যা তৈরি করা হলে প্রশাসন কড়া হাতে দমন করবে বলে স্পষ্ট মত প্রকাশ করেছে গুজরাট সরকার।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diwali Festival: আলোর উৎসবে দেদার শব্দবাজি! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দিতে পারে?

    Diwali Festival: আলোর উৎসবে দেদার শব্দবাজি! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দিতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে শুরু হবে আলোর উৎসব (Diwali Festiva)। দীপাবলির উৎসবে মাতবেন সকলেই। তবে বাঙালির এই আনন্দ আলোর উৎসবেই আটকে থাকে না।‌ তার সঙ্গে জুড়ে যায় দেদার বাজি! আতসবাজি হোক কিংবা শব্দবাজি, কলকাতা থেকে রাজ্যের সর্বত্র দীপাবলির উৎসবে বাজির দাপট থাকেই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। পরিবেশবিদদের একাংশের অভিযোগ, প্রশাসনের সক্রিয়তাও সর্বত্র নেই। তাই প্রত্যেক বছর বাড়ে বাজির দাপট। তবে পরিবেশের এই দূষণ মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজি নিয়ে সচেতনতা তৈরি না হলে বড় বিপদ হবেই। দেখে নেওয়া যাক, বাজির দাপট কোন রোগের প্রকোপ বাড়ায়?

    ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা (Diwali Festiva)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ। এছাড়াও হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের মতো একাধিক ফুসফুসের সমস্যায় জেরবার অনেকেই। শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে ফুসফুসের রোগ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের অসুখের অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। আর বাজি এই দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আতসবাজি পোড়ানোর পরেই আকাশ সাদা ধোঁয়ায় ভরে যায়। আর এই ধোঁয়া বাতাসে কার্বন মনো-অক্সাইডের পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এর জেরে বায়ুদূষণ হয়। ফলে ফুসফুসের অসুখ বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের আগে অনেকেই ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হন। এই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ যথেচ্ছভাবে আতসবাজি পোড়ানো।

    শ্রবণ যন্ত্রের চিরস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে

    প্রত্যেক বছরেই দীপাবলির রাতে (Diwali Festiva) বাড়ে বাজির দাপট। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র শব্দের প্রকট আওয়াজ চলে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শব্দের এই দাপটের জেরে প্রত্যেক বছরেই শ্রবণ সমস্যা বাড়ছে।‌ বিশেষত শিশুদের শ্রবণশক্তি চিরস্থায়ী ক্ষতির মুখেও পড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ বিকট তীব্র আওয়াজের জেরে মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কানের ভিতরেও তার ফলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। আর তার জেরেই চিরস্থায়ী ভাবে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি তৈরি হয়।

    বাড়তে পারে চোখের সমস্যা (Diwali Festiva)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি চোখের জন্যও ক্ষতিকারক। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং শুষ্ক চোখের সমস্যা বাড়ছে‌। জীবনযাপনের ধরনের জন্য শিশুরাও চোখের নানান সমস্যায় ভুগছে। আতসবাজি পোড়ানোর সময়ে একটা অদ্ভুত আলো দেখা যায়। এই আলো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এর ফলে কনজাংটিভাইটিসের মতো রোগের দাপট বাড়তে পারে। শুষ্ক চোখ অর্থাৎ চোখ লাল হয়ে যাওয়া, লাগাতার জল পড়া এবং একনাগাড়ে দেখায় সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আতসবাজিতে থাকে নানান ক্ষতিকারক রাসায়নিক। আগুনে পোড়ার সময়ে সেই রাসায়নিক বের হয়। তার জেরেই চোখে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।

    ত্বকের সংক্রমণ বাড়াতে পারে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজির জেরে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভুগতে পারে। অনেক সময়েই বাজির রাসায়নিক থেকে ত্বকে নানান অ্যালার্জি দেখা দেয়। ফলে বাজি পোড়ানোর আগে সে সম্পর্কেও সতর্কতা জরুরি।

    মাইগ্রেনের রোগীদের বাড়তি বিপদ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শব্দবাজির হঠাৎ তীব্র আওয়াজ মানুষের শরীরে স্নায়ুর কাজে বাধা তৈরি করে। তাই মস্তিষ্কে এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। বিশেষত যাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য এই তীব্র আওয়াজ মারাত্মক প্রভাব ফেলে। মাথার যন্ত্রণা, বমি ভাব বাড়িয়ে দেয়। আবার বাজির দাপট মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে। লাগাতার আওয়াজের জেরে মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা তৈরি হয়। যাঁরা নানান মানসিক রোগে ভুগছেন, তাঁদের জন্য এমন পরিবেশ আরও সঙ্কট তৈরি করতে পারে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Diwali Festiva)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। তাই মানুষের শরীর এবং মনেও এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। তাই পরামর্শ, দীপাবলি আলোর উৎসব (Festival of lights) হলেই তা মানুষ এবং পরিবেশ সকলের জন্য ইতিবাচক হবে। বাজির ক্ষতিকারক দিক নিয়ে আরও লাগাতার সচেতনতা জরুরি। প্রশাসনের তরফে সক্রিয়তাও প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব বাজি হিসেবে যেগুলি বাজারে পাওয়া যায়, তার গুণমান আরও ভালোভাবে পরীক্ষা করা জরুরি। তাছাড়া, নজরদারিও বাড়ানো প্রয়োজন। বাজির দাপট কমাতে না পারলে নানান রোগের দাপটও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: দূষণের মাত্রা ৭০৭! বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর এখন লাহোর, ধোঁয়াশায় ঢেকেছে আকাশ

    Pakistan: দূষণের মাত্রা ৭০৭! বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর এখন লাহোর, ধোঁয়াশায় ঢেকেছে আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোরের বায়ুদূষণের মাত্রা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ রবিবার সকালে বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। দূষণের মাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭০৭। তাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর (Most Polluted City) হিসাবে পরিণত হয়েছে এই লাহোর। বাতাসে ঘন কালো ধূলিকণার মেঘ আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। দূষণের সঙ্গে কুয়াশা মিশে বিপজ্জনক ধোঁয়াশা (ইংরেজিতে স্মগ) তৈরি হয়েছে। যা ঢেকে দিয়েছে লাহোরের আকাশ। ফলে এই অঞ্চলে শীতের বাতাস ঢুকতে বাধা পড়ছে। মানুষের জনজীবন এবং জনস্বাস্থ্য অত্যন্ত বিপদ জনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। জঙ্গি উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিশ্ববাসীর এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। 

    ইউএস কনস্যুলেট একিউআই পরিমাপ করেছে ৭০০ (Pakistan)

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, লাহোর এবং তার বিভিন্ন আশেপাশের এলাকাগুলিতে উদ্বেগজনকভাবে উচ্চ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। থকর নিয়াজ বেগ এলাকা একিউআই-এর মাত্রা ৮৭৮। জোহর টাউন এলাকায় মাত্রা ৮৯৩, সৈয়দ মারাতিব আলি রোডে ৭৫৪ এবং শাহরাহ-ই-কায়েদ-ই এলাকায় রেকর্ড হয়েছে ৬৩৩। ইউএস কনস্যুলেট ৭০০ একিউআই রেকর্ড করেছে। আবার পাকিস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস রিপোর্ট করেছে একিউআই-এর পরিমাণ ৬৮৮। দূষণের এই উচ্চ স্তরগুলি লাহোরকে শুধুমাত্র পাকিস্তানের সবচেয়ে দূষিত শহর (Most Polluted City) নয়, বরং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে খারাপ শহর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।  ফলে পাকিস্তানের নাগরিক জীবন কতটা আশঙ্কাজনক তা অনুমান যোগ্য।

    দৃশ্যমানতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে

    বর্তমানে লাহোরের (Pakistan) তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আগামী দিনে সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ আবহাওয়া দফতর আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের কোনওরকম সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছে। শহরের জনগণকে এই দূষিত বায়ুর মধ্যেই কাটাতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাঞ্জাব এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট প্রদেশের জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, লাহোরের গত ২৪-ঘণ্টায় গড় আইকিউআই-এর ফলে দৃশ্যমানতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীত ঘনিয়ে আসার মুখে, লাহোরের নিচু এলাকায় এই সমস্যা আরও জটিল করে তুলছে। ঠান্ডা বাতাসকে আটকে দেয় এই ধূলিকণার ধোয়া, যা বায়ুর গুণমানকে আরও খারাপ করে দেয়। 

    ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুলএম গিয়ে কর্মকাণ্ড স্থগিত

    ভয়াবহ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পাক পাঞ্জাব সরকার (Pakistan) জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। লাহোরের সমস্ত স্কুলের কর্মসূচি ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্কুলের সময়েও পরিবর্তন করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাড়ি থেকে বৃদ্ধ এবং শিশুদের বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার প্রতিক্রিয়া হিসাবে লাহোর ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেল চালকদের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ কিছু এলাকায় দৃশ্যমানতা কমতে কমতে এক কিলোমিটারে এসে ঠেকেছে। পরিবেশবিদ এবং চিকিৎসকরা শহরে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে গাছপালার প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। শহরের বাসিন্দাদের মাস্ক পরতে, অপ্রয়োজনীয় বাইরে বের হওয়া এড়াতে এবং বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছেন।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ প্যাকেজে কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    ৭০ শতাংশ দূষণে নিম্নমানের যানবাহন

    পাকিস্তানের (Pakistan) স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন দেশবাসীকে। কারণ দীর্ঘস্থায়ী বিষাক্ত বাতাস ব্যাপক ভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যার প্রাদুর্ভাবকে বৃদ্ধি করবে। অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই কাশি, চোখের জ্বালা, জ্বর এবং গলা ব্যথার নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে যাঁদের আগে থেকে শ্বাসকষ্ট বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাঁদের বাইরের কার্যকলাপ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব স্বীকার করে বলেন, “ধোঁয়াশা রোধে সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলছে। লাহোরের বাতাসের মান উন্নত হতে আরও ৮ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে। তাঁর মতে, লাহোরের দূষণের পেছনে ৭০ শতাংশ দায়ী নিম্ন-মানের স্থানীয় যানবাহন, শিল্প নির্গমন, মৌসুমী ফসল পোড়ানো এবং বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার কারণে। শহরের ৪৫ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে ১৮ হাজার বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত করে। সেই সঙ্গে ১ লক্ষ যানবাহন, ১২০০টি ভাটা এবং ৬০,৮০০টি শিল্প ইউনিটও ব্যাপক ভাবে দূষণ ছড়ায়।

    বৈশ্বিক দূষণের তালিকায় একটি হটস্পট হিসেবে লাহোরের (Most Polluted City) নাম উঠে এসেছে। পরিবেশ এবং বিশ্ববাসীর কাছে পাকিস্তান অত্যন্ত চিন্তার বিষয় বলে মনে করছেন ভারতীয় পরিবেশবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share