Tag: news in bengali

news in bengali

  • Kali Puja 2024: শুরু ডাকাতদের হাতে, পাঁচ বোনের কালীপুজোতে ভোগ দিলেই নাকি স্বপ্নপূরণ!

    Kali Puja 2024: শুরু ডাকাতদের হাতে, পাঁচ বোনের কালীপুজোতে ভোগ দিলেই নাকি স্বপ্নপূরণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কালীকথার (Kali Puja 2024) বিচিত্র কাহিনি শোনা যায় বিভিন্ন অঞ্চলে। হিন্দু শাস্ত্র, পুরাণ এবং তন্ত্র মতে, বঙ্গেই শক্তি সাধনার সব থেকে জনপ্রিয় পীঠস্থানগুলি পরিদর্শন করা যায়। এক এক জায়গায় শক্তিদেবী কালিকার নানা রূপ। বঙ্গে বৈষ্ণব মতের পাশাপাশি কালী মায়ের জনপ্রিয়তাও প্রবল। মালদায় (Malda) একটি কালীপুজো বেশ চমৎকার। বলা হয়, এই মা কালীর পুজোতে ভোগ দিলেই নাকি স্বপ্নপূরণ হয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু নিয়মও পালন করা হয়। মায়ের পুজোর পর তিন বোনের বিসর্জন হয় এবং বাকি দুই বোনের বিসর্জন দেওয়া হয় না। তাঁদের মন্দিরেই রেখে দেওয়া হয়। এই দুই বোনের মূর্তি পাথরের তৈরি।

    পাঁচ ডাকাতের পাঁচ কালীপুজো (Kali Puja 2024)

    আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগেকার কথা। গৌড়বঙ্গ তথা মালদার বর্তমান ইংরেজবাজার শহরের পাঁচ জায়গায় তথা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা, ষষ্ঠীতলা লেন, ১৬ নম্বর আন্ধারুপাড়া, রাজমহল রোড এবং কুটিটোলা এলাকা একটা সময়ে ছিল গভীর অরণ্য। ডাকাত দলের বাস ছিল সেই জায়গাগুলিতে। শোনা যায় পাঁচ ডাকাত দল এই পাঁচটি জায়গায় পাঁচ কালীমূর্তি (Kali Puja 2024) প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকেই এই পাঁচ কালীকে পাঁচ বোন বলা হয়।

    আরও পড়ুনঃ মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

    মহানন্দা নদীতে ভাসানো হয়

    কালীতলা (Kali Puja 2024) অঞ্চলে রয়েছেন পাঁচ বোন। তাঁরা হলেন, বড় বোন বুড়াকালী, ষষ্ঠীতলায় ডাকাতকালী, রাজমহল রোডে কাঁচাখাকি কালী, কুটিটোলায় (Malda) রয়েছেন মশানকালী। আর সেই সঙ্গে আন্ধারুপাড়ায় আছেন ছোটবোন তারা কালী। কথিত রয়েছে এই পাঁচ বোনকে যদি ভোগ নিবেদন করা হয়, তাহলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন মা কালী। আলাদা আলাদা পুজো করা হলেও আজও প্রাচীন রীতি-প্রথা মেনে পুজো করা হয়। এই পুজোতে বিসর্জনও খুব সুন্দর হয়। পুজোর পর শোভাযাত্রা করে মহানন্দা নদীতে ভাসানো হয়। কিন্তু পাঁচ বোনের মধ্যে তিন জনের বিসর্জন হয় এবং বাকি দুই বোনকে ঘুরিয়ে ফের মন্দিরে আনা হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে দেপসাং সমতলভূমি ও দেমচকে শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া। ভারতীয় সেনবাহিনী সূত্রে (LAC) এ খবর আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল। এবার সরকারিভাবে চিনের (China) তরফেও জানানো হল, চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ নিয়ে (সেনা প্রত্যাহার) ব্যস্ত রয়েছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।

    কী বলছে চিনা বিদেশমন্ত্রক (China)

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “সীমান্ত এলাকার বিষয়গুলো নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চিন ও ভারতের মধ্যে যে সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়েছে, তার আলোকে চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ পরিচালনা করছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।” বলা বাহুল্য, কাজ বলতে তিনি সেনা প্রত্যাহারের কথাই বলেছেন। শনিবার চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র এই মর্মে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রক্রিয়াটি সম্ভবত ২৮-২৯ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তবে এই এলাকাগুলির ভূখণ্ড এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “তাঁরা ভারত-চিন সীমান্তে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে মোতায়েন রয়েছেন।” তিনি বলেন, “আজ আমরা যেখানে পৌঁছেছি, তার একটা কারণ হল আমাদের পক্ষ থেকে খুব দৃঢ় প্রচেষ্টা করা ও আমাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। সামরিক বাহিনী এলএসিতে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে দেশ রক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিল। সামরিক বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করেছে, কূটনীতিও তার ভূমিকা পালন করেছে (China)।”

    আরও পড়ুন: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    জয়শঙ্কর বলেন, “২০২০ সাল থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই অস্থির হয়ে উঠেছে যা সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারত একটি সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার জন্য চিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে।” সমাধানের বিভিন্ন দিক রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রথমত চাপের বিষয় হল বিচ্ছিন্নকরণ, কারণ সেনাবাহিনী একে অন্যের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর রয়েছে ডি-এসক্যালেশন। কারণ উভয় পক্ষেই সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “এরপর রয়েছে বৃহত্তর একটি বিষয়, কীভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত নিষ্পত্তি নিয়ে (LAC) আলোচনা করা হবে। বর্তমানে যা কিছু চলছে তা প্রথম দিক নিয়ে, অর্থাৎ বিচ্ছিন্নকরণ নিয়ে (China)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 176: পাখি দাঁড়ে বসে তবে রাম রাম বলে, বনে উড়ে গেলে আবার ক্যাঁ ক্যাঁ করবে

    Ramakrishna 176: পাখি দাঁড়ে বসে তবে রাম রাম বলে, বনে উড়ে গেলে আবার ক্যাঁ ক্যাঁ করবে

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    নাম-মাহাত্ম্য—উপায়—মায়ের নাম 

    আন্তরিক ভক্তি (Ramakrishna) ও দেখানো ভক্তি—ঈশ্বর মন দেখেন 

    কেন ঈশ্বরদর্শন হয় না? অহংবুদ্ধির জন্য 

    যতক্ষণ অহংকার ততক্ষণ অজ্ঞান। অহংকার থাকতে মুক্তি নাই।

    গরুগুলো হাম্‌মা হাম্‌মা করে, আর ছাগলগুলো ম্যা ম্যা করে। তাই ওদের কত যন্ত্রণা। কসায়ে কাটে; জুতো, ঢোলের চামড়া তৈয়ার করে। যন্ত্রণার শেষ নাই। হিন্দিতে ‘হাম্‌’ মানে আমি, আর ‘ম্যায়’ মানেও আমি। ‘আমি’ ‘আমি’ করে বলে কত কর্মভোগ। শেষে নাড়ীভুঁড়ি থেকে ধুনুরীর তাঁত তৈয়ার করে। তখন ধুনুরীর হাতে ‘তুঁহু তুঁহু’ বলে, অর্থাৎ ‘তুমি তুমি’। তুমি তুমি বলার পর তবে নিস্তার! আর ভুগতে হয় না।

    হে ঈশ্বর (Ramakrishna), তুমি কর্তা আর আমি অকর্তা, এরই নাম জ্ঞান।

    নিচু হলে তবে উঁচু হওয়া যায়। চাতক পাখির বাসা নিচে, কিন্তু ওঠে খুব উঁচুতে। উঁচু জমিতে চাষ হয় না। খাল জমি চাই, তবে জল জমে! তবে চাষ হয়!

    গৃহস্থলোকের সাধুসঙ্গ প্রয়োজন—যথার্থ দরিদ্র কে? 

    একটু কষ্ট করে সৎসঙ্গ করতে হয়। বাড়িতে কেবল বিষয়ের কথা। রোগ লেগেই আছে। পাখি দাঁড়ে বসে তবে রাম রাম বলে। বনে উড়ে গেলে আবার ক্যাঁ ক্যাঁ করবে।

    টাকা থাকলেই বড় মানুষ হয় না। বড় মানুষের বাড়ির একটি লক্ষণ যে, সব ঘরে আলো থাকে। গরিবেরা তেল খরচ করতে পারে না, তাই তত আলো বন্দোবস্ত করে না। এই দেহমন্দির অন্ধকারে রাখতে নাই, জ্ঞানদীপ জ্বেলে দিতে হয়।

    জ্ঞানদীপ জ্বেলে ঘরে ব্রহ্মময়ীর (Kathamrita) মুখ দেখ না।

    প্রার্থনাতত্ত্ব—চৈতন্যের লক্ষণ 

    সকলেরই জ্ঞান হতে পারে। জীবাত্মা আর পরমাত্মা। প্রার্থনা কর—সেই পরমাত্মার সঙ্গে সব জীবেরই যোগ হতে পারে। গ্যাসের নল সব বাড়িতেই খাটানো আছে। গ্যাস কোম্পানির কাছে গ্যাস পাওয়া যায়। আরজি কর, করলেই গ্যাস বন্দোবস্ত করে দেবে—ঘরেতে আলো জ্বলবে। শিয়ালদহে আপিস আছে। (সকলের হাস্য)

    কারুর চৈতন্য (Ramakrishna) হয়েছে। তার কিন্তু লক্ষণ আছে। ঈশ্বরীয় কথা (Kathamrita) বই আর কিছু শুনতে ভাল লাগে না। আর ঈশ্বরীয় কথা বই আর কিছু বলতে ভাল লাগে না। যেমন সাত সমুদ্র, গঙ্গা, যমুনা, নদী—সব তাতে জল রয়েছে, কিন্তু চাতক বৃষ্টির জল চাচ্ছে। তৃষ্ণাতে ছাতি ফেটে যাচ্ছে, তবু অন্য জল খাবে না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “মমতাকে উৎখাত করে বিজেপির সরকার গড়ুন, অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “মমতাকে উৎখাত করে বিজেপির সরকার গড়ুন, অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) রবিবার একদিনের বঙ্গসফরে এসে তৃণমূল শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। বনগাঁয় বিএসএফ-এর এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তিনি। সেখানেই বলেন, “রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ হবে। ২০২৬ সালে বিজেপি এই রাজ্যে সরকার গড়বে।” একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে (Mamata Banerjee) একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভার আসনে উপনির্বাচন। ফলে ভোটের প্রচারেও সরগরম বাংলা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে দলকে ২০২৬ সালের আগে আরও শক্তিশালী করতে বঙ্গ বিজেপির নেতারা তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন।

    ২০২৬ সালের নির্বাচনের পর সেই খেদ মিটিয়ে দেবে (Amit Shah)

    এদিন বনগাঁয় পেট্রাপোল সীমান্তে যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং মৈত্রী দ্বার উদ্বোধন করেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ জুড়ে অনেক কাজ করেছেন। বাংলার মানুষের কিছু খেদ আছে। কিন্তু চিন্তা নেই, ২০২৬ সালের নির্বাচনের পর সেই খেদ মিটিয়ে দেবে বিজেপি সরকার। পশ্চিমবঙ্গের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ খুব ভালো কাজ করছে। গোটা এলাকা জুড়ে উন্নয়নের কাজ চলছে। আমাকে শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে পাঁচ-ছ’হাজার রোগী প্রতিদিন কল্যাণী এইমসে চিকিৎসার জন্য আসেন। ২০২৬ সালে আপনারা রাজনৈতিক পরিবর্তন করুন রাজ্যে। মমতাকে (Mamata Banerjee) উৎখাত করে বিজেপির সরকার গড়ুন। বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেবো। উন্নয়নই হল মোদি সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।”

    আরও পড়ুনঃ কলকাতায় অমিত শাহ, সুকান্তর বাসভবনে একসঙ্গে ‘মন কি বাত’ শুনলেন শুভেন্দু

    মোদিজির দেওয়া টাকা বাংলায় লুট হয়েছে

    এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, “গত ১০ বছরে রাজ্যে কী দিয়েছেন মমতা? তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রয়েছে। বিগত ইউপিএ জোট ক্ষমতায় থেকে ৭.৭৪ কোটি টাকা দিয়েছে। আর বিজেপি সরকার ১০ বছরে ৭.৭৪ কোটি টাকা দিয়েছে। মোদিজির দেওয়া টাকা বাংলায় লুট হয়েছে। বাংলার ভালো দিন আর দেরি নেই। বাংলাকে আমরা আরও উন্নত সুজলা সুফলা করব। মোদি সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বহুগুণ বেড়েছে। যখন মোদিজি প্রথম ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন এই বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। ব্যবসা, কাজ এবং কর্মসংস্থানও বেড়েছে এই পরিসরে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সেনার ‘অদম্য চেতনা ও সাহস’-এর প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    Narendra Modi: সেনার ‘অদম্য চেতনা ও সাহস’-এর প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রবিবার পদাতিক দিবস (Infantry Day) উপলক্ষে সমস্ত পদাতিক সৈন্য এবং যোদ্ধাদের “অদম্য চেতনা ও সাহস”-এর কথা বলে ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের বিশেষ সম্মানও জানিয়েছেন। এদিন অনুষ্ঠান উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী প্রমুখ। এদিন সকল সিনিয়র অফিসার জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    মোদি কী বললেন (Narendra Modi)?

    এই বিশেষ দিনের গুরুত্বের কথা জানিয়ে এবং সেনাকে সাধুবাদ দিয়ে মোদি (Narendra Modi) এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। সামজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “পদাতিক দিবসে (Infantry Day), সকল পদাতিক বাহিনী এবং সৈনিক যোদ্ধাদের অদম্য চেতনা, সাহসকে অভিনন্দন জানাই। যাঁরা অক্লান্তভাবে আমাদের রক্ষার কাজে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাঁরা সর্বদা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, আবার যে কোনও প্রতিকূলতার মুখে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকেন। আমাদের দেশের নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত করেন তাঁরাই। প্রত্যেক ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করে থাকেন এবং সেই সঙ্গে শক্তি, বীরত্ব, কর্তব্যের ভাবমূর্তিকে অবিস্মরণীয় করে রাখেন। তাঁদের অবদান অপরিসীম।”

    আরও পড়ুন: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    কেন পদাতিক দিবস?

    ২৭ অক্টোবর ১৯৪৭ সালে শ্রীনগর এয়ারফিল্ডে এসআইকেএইচ (SIKH) রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটালিয়নের অভিযান স্মরণ করে প্রতি বছর পদাতিক দিবস পালিত হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘৃণ্য পরিকল্পনা থেকে রক্ষা করেছিল সেনাবাহিনী। এই সাহসী পদক্ষেপের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর দখলের পাকিস্তানের পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়। পদাতিক বাহিনী “যুদ্ধের রানি” নামেও পরিচিত এবং এর ইতিহাস প্রথম মানব যুদ্ধের মতোই পুরনো।

    দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে বাহিনী

    একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পদাতিক বাহিনী (Infantry Day) সেনাবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেটা চিনের সাথে ১৯৬২ সালের যুদ্ধ হোক বা পাকিস্তানের সাথে ১৯৪৭-৪৮ সালের যুদ্ধ। আবার ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধই হোক না কেন, অবদান এবং বলিদান অনস্বীকার্য। এই সব ঐতিহাসিক যুদ্ধে পদাতিক বাহিনীর কৃতিত্ব অতুলনীয়। এই যুদ্ধগুলি ছাড়াও, উত্তর ও উত্তর পূর্বে কাউন্টার ইনসারজেন্সি বা কাউন্টার টেরোরিস্ট অপারেশন, পাঞ্জাবের অপারেশন ব্লু স্টার, অপারেশন রক্ষক, শ্রীলঙ্কায় অপারেশন পবন এবং সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে অপারেশন স্নো লিওপার্ড নিখুঁত পেশাদারিত্বের ধারাবাহিক সাক্ষী হয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতায় অমিত শাহ, সুকান্তর বাসভবনে একসঙ্গে ‘মন কি বাত’ শুনলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কলকাতায় অমিত শাহ, সুকান্তর বাসভবনে একসঙ্গে ‘মন কি বাত’ শুনলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সফরের মধ্যেই সুকান্তর (Sukanta Majumdar) বাসভবনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) গিয়ে শুনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’। সাধারণত প্রত্যকে মাসের শেষ রবিবার মোদির এই আকাশবাণী অনুষ্ঠান হয়। রবিবার প্রথমে অমিত শাহ বনগাঁয় একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়েছেন। এরপর নিউটাউনের একটি হোটেলে থাকবেন। সেই সঙ্গে রয়েছে তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি।

    দুই শীর্ষ নেতা কলকাতায়

    বিজেপি সূত্রে খবর, ‘মন কি বাত’ শুনে একসঙ্গে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। সাধারণত মোদির মন কি বাত বিজেপির সকল বিধায়ক বা সাংসদ নিজের নিজের কেন্দ্র থেকে শুনে থাকেন। সুকান্ত বালুরঘাট আর শুভেন্দু নন্দীগ্রামে বসে শুনে থাকেন। কিন্তু শনিবার অমিত শাহ শহরে আসার জন্য একই সঙ্গে রাজ্যের দুই শীর্ষ নেতা কলকাতায় রয়েছেন। এদিন মোদির কথা এক সঙ্গে শুনলেন দুই নেতা। এরপর সংবাদ মাধ্যমকে বললেনও কিছু কথা।

    আরও পড়ুনঃ “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    আন্দোলনকে ব্যর্থতার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন

    প্রথমে বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফ-এর একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন অমিত শাহ। এরপর দুপুরে কলকাতার সল্টলেকের ইজেটসিসিতে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। যদিও এই কর্মসূচি আরও দুইদিন আগেই শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ঘূর্ণিঝড় দানা এবং পরবর্তী আবহওয়া সংক্রান্ত পরিস্থিতির কারণে তিনি ২-৩ দিন পর বঙ্গ সফরে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তাঁকে সামনে রেখে সদস্যতা অভিযান এবং সংগঠনকে আরও মজবুত করতে যে বঙ্গবিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তা বলা বাহুল্য। তবে একই ভাবে এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এবং সুকান্ত (Sukanta Majumdar) একসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “আন্দোলনের শুরুটা ভালো হলেও শেষটা আশানুরূপ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা উচিত হয়নি জুনিয়র ডাক্তারদের। আন্দোলনকে ব্যর্থতার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। সরকারের সঙ্গে আপোস করা উচিত হয়নি।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wakf Board: ওয়াকফ বোর্ড জোর করে ছিনিয়ে নিতে চাইছে ৭৫০ একর জমি, তীব্র ক্ষোভ তেলঙ্গনায়

    Wakf Board: ওয়াকফ বোর্ড জোর করে ছিনিয়ে নিতে চাইছে ৭৫০ একর জমি, তীব্র ক্ষোভ তেলঙ্গনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির পরিমাণ ৭৫০ একর। দীর্ঘদিন সেই জমিতেই বাস করছেন বহু পরিবার। হঠাৎই সেই জমি তাদের বলে দাবি করল তেলঙ্গনার (Telangana) ওয়াকফ বোর্ড (Wakf Board)। জমিটি রয়েছে তেলঙ্গনার মেদচাল মল্কাজগিরি জেলার মালকাজগিরিতে।

    কী বলছেন স্থানীয়রা (Wakf Board)

    স্থানীয়দের দাবি, ওয়াকফ বোর্ড জোর করে ছিনিয়ে নিতে চাইছে ওই জমি। রেজিস্ট্রেশন বিভাগ এই এলাকায় জমি কেনা-বেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। ওয়াকফ বোর্ডের নামে জমি দখলের ভয়ে সন্ত্রস্ত্র তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারেন, মালকাজগিরির সাব-রেজিস্ট্রার শ্রীকান্ত ওই জমিগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। এলাকার বাসিন্দা রমেশ বলেন, “এটা একেবারেই কঠোর একটা পদক্ষেপ।” তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোর্ড কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই অন্যায়ভাবে আমাদের কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।”

    ওয়াকফ বোর্ডের দাবি নিয়েই প্রশ্ন

    মাল্কাজগিরি হায়দরাবাদের শহরতলি এলাকা। এটি দেশের বৃহত্তম লোকসভা কেন্দ্র। বর্তমানে এখানকার সাংসদ বিজেপির ইটালা রাজেন্দ্র। এখানেই ৭৫০ একর জমি তাদের বলে দাবি করছে ওয়াকফ বোর্ড। গত ২৭ অগাস্ট, রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাম্পের কমিশনার ও ইন্সপেক্টর জেনারেল মাল্কাজগিরির জেলা রেজিস্ট্রারের দফতরকে নির্দিষ্ট জমিগুলি প্রোহিবিটেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ওয়াকফ বোর্ডের দাবি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য (Wakf Board), জমিগুলি কেনা হয়েছে অনেক আগে। কয়েক দশক পার হয়ে যাওয়ার পর এখন সেগুলি ওয়াকফ বোর্ডের বলে দাবি করা হচ্ছে। পূর্ব কাকাতিয়া নগরের বাসিন্দা ফণী বলেন, “ওরা কীভাবে হঠাৎ আমাদের বাড়িগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করতে পারে? এটা নিছক পরিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।” তিনি বলেন, “অনেক কষ্টে আমরা এই বাড়িগুলি তৈরি করেছি। এখানেই আমাদের বেড়ে ওঠা। সেই জমিই এখন ওরা কেড়ে নিতে চাইছে।”

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র রাভিনুতালা শশীধর বলেন, “আমরা তেলঙ্গানা স্টেট রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ওয়াকফ বোর্ডের চিঠির ভিত্তিতে মালকাজগিরি সার্কেলের ১০০টিরও বেশি সার্ভে নম্বর জুড়ে ৭৫০ একর জমি সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের (Telangana) কারণে হাজার হাজার হিন্দু পরিবার চরম উদ্বেগে রয়েছে (Wakf Board)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Yogi Adityanath: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    Yogi Adityanath: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের প্রচারে এসে উগ্র মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি দিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। দেশে থেকে পাকিস্তানের কথা বললে, তাদের হাতে ভিক্ষার ঝুলি ধরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কীভাবে উত্তরপ্রদেশ বর্তমানে একটি মডেল রাজ্যে পরিণত হয়েছে, সে কথাও শোনান তিনি। নিজের বক্তব্যে (Maharashtra Polls) যোগী আদিত্যনাথ অনেক কিছুই টেনে আনেন, যার মধ্যে ছিল উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নতির প্রসঙ্গও। কীভাবে রাজ্য প্রশাসন অপরাধমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত উত্তরপ্রদেশ করেছে, সে কথাও নিজের ভাষণে শোনান যোগী আদিত্যনাথ। তাঁকে এমন মন্তব্য করতে শোনা যায়, ‘‘একসময় উত্তরপ্রদেশ ছিল মাফিয়াদের দখলে এবং অপরাধীদের কাজকর্ম চলত সেখানে।’’ নিজের বক্তব্যে যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন, তাঁর আমলে অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে উত্তরপ্রদেশে।

    উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় কেউ নমাজ পড়ে না

    যোগী (Yogi Adityanath) নিজের বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নামাজকে কেউ অপব্যবহারও করতে পারে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘এখন রাজ্যে রাস্তাতে আর কেউ নামাজ পড়ে না।’’ তিনি জানিয়েছেন, জনগণের অসুবিধা করে, ট্রাফিক যানজট তৈরি করে, এমন কোনও রকমের আচার অনুষ্ঠান করা হয় না সেখানে। এর পাশাপাশি তিনি গর্বের সঙ্গে একথাও জানিয়েছেন, মসজিদগুলি থেকে মাইকও খুলে নেওয়া হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘আগামী পাঁচ বছর পরে আমরা সেই সমাজে থাকব, যেখানে লাউডস্পিকার ছাড়াই নামাজ পড়া হবে।’’

    বিরোধী জোটের তুলনা ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে (Yogi Adityanath)

    এর পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি (Maharashtra Polls) দিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের কথা যারা বলবে তাদের হাতে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে।’’ কারণ তাদের মতো বোঝাকে ভারতে রাখা হবে না। এর পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যে উঠে এসেছে ভারতের উন্নয়ন সমেত ঐতিহাসিক পটভূমি। তিনি ঔরঙ্গজেবের ইস্যু টেনে বলেন, ‘‘সেই জোটকে কখনও ক্ষমতায় আসতে দেবেন না, যাদের মধ্যে ঔরঙ্গজেবের ভাবাদর্শ কাজ করছে।’’ যোগী আদিত্যনাথ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের নামও করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘ শিবাজি ছিলেন এমন একজন মারাঠা, যিনি ঔরঙ্গজেবকে পরাস্ত করতে পেরেছিলেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    RSS: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। সমাজে হিন্দু ঐক্য অপরিহার্য, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়।” কথাগুলি বললেন আরএসএস-এর (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। তিনি বলেন, “জাতি ও মতবাদের ভিত্তিতে হিন্দুদের বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে। আমাদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।” অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠক শেষ হওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন এই আরএসএস কর্তা। সেখানেই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

    পঞ্চ পরিবর্তন (RSS)

    দত্তাত্রেয় বলেন, “অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকে আমরা সংঘ ও সংঘ প্রাণিত সংগঠনগুলি তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে যে কাজ করেছে, তার পর্যালোচনা করেছি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি। সংঘের শতবর্ষ পূর্তি সম্প্রসারণ পরিকল্পনারও পর্যালোচনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “বৈঠকে সমাজের মঙ্গলের জন্য ‘পঞ্চ পরিবর্তন’ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সামাজিক রূপান্তরের জন্য পাঁচটি মূল বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এগুলি হল, সামাজিক সমরসতা (সামাজিক সম্প্রীতি), কুটুম্ব প্রবোধন (পরিবারের শিক্ষাদান), পরিবেশ, ‘স্বর’ (আত্মনির্ভরতা)এর ওপর গুরুত্ব এবং নাগরিকদের কর্তব্য। এই অনুশীলনগুলি শুধুমাত্র স্বয়ংসেবকদেরই নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও অনুসরণ করা উচিত। তবেই আমরা অন্যদের এগুলি অনুসরণ করতে উৎসাহিত করতে পারব।”

    কলেবর বাড়ছে আরএসএস-এর

    দেশে যে ক্রমেই আরএসএস-এর (RSS) কলেবর বাড়ছে, তাও জানা গিয়েছে দত্তাত্রেয়র বক্তব্য থেকে। তিনি বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার গোটা দেশে আমাদের শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৬২৬টি। বর্তমানে ৪৫ হাজার ৪১১টি জায়গায় পরিচালিত হচ্ছে ৭২ হাজার ৩৫৪টি শাখা। চলতি বছর নয়া শাখা যুক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৪৫টি। ‘সাপ্তাহিক মিলন’-এর সংখ্যা ২৯,০৮৪-এ পৌঁছেছে। গত বছরের তুলনায় ৩,১৪৭টি বেশি। মাসে একবার অনুষ্ঠিত ‘মাসিক সংঘ মণ্ডলী’ এখন ১১,৩৮২-এ পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৭৫০টি বেশি। এখন আমাদের মোট ১,০১,৪৩৮টি ইউনিট রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    তিনি বলেন, “এটি আরএসএস-এর শতবর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষাপটে আমাদের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।” দত্তাত্রেয় বলেন, “প্রতিনিধি সভা পর্যন্ত আগামী চার মাসে আমরা এই সংখ্যাগুলি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করব। আমরা আলোচনা করেছি, উন্নয়ন শুধু পরিমাণগত নয়, গুণগতও হওয়া উচিত।” তিনি বলেন, “সমাজের সঙ্কট বা দুর্দশার সময় সংঘের স্বয়ংসেবকরা সব সময় এগিয়ে আসেন, যা প্রশংসনীয়। আজকাল, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অনেক ব্যক্তি ও সংস্থাও সহযোগিতা করে। আমরা তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করি। স্বয়ংসেবকরা এ বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকেন।”

    উদাহরণ দিয়ে দত্তাত্রেয় (Dattatreya Hosabale) বলেন, “জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের তারকেশ্বর নদীতে বন্যা হয়েছিল। সেখানে স্বয়ংসেবকরা ২৫ হাজার মানুষকে সাহায্য করেছিলেন। জীবন বাঁচিয়েছিলেন। খাদ্যও সরবরাহ করেছেন। পুরীতে বন্যার সময় তাঁরা ৪০ হাজার মানুষকে সাহায্য করেছেন (RSS)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “মনোনয়নে তথ্য লুকিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা! গান্ধী পরিবার সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার”, আক্রমণ বিজেপির

    BJP: “মনোনয়নে তথ্য লুকিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা! গান্ধী পরিবার সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার”, আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মনোনয়ন জমা দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন বিজেপি (BJP) নেতা গৌরব ভাটিয়া। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি (Gaurav Bhatia) অভিযোগ করেন, ‘‘যে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া দরকার ছিল মনোনয়নপত্রে, তা দেননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।’’ এর পাশাপাশি গান্ধী পরিবারকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক পরিবার বলেও মন্তব্য করেন গৌরব।

    কী বললেন বিজেপি নেতা (BJP)

    গৌরব ভাটিয়া (BJP) বলেন,‘‘ভারত সরকার বনাম এডিআর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করতে হয়, তাঁর যাবতীয় তথ্য। তাঁর বিরুদ্ধে কোন কোন মামলা চলছে তাও উল্লেখ করতে হয়। তাঁর সম্পত্তির বিবরণ ও প্রার্থীর ওপর যাঁরা নির্ভরশীল, তাঁদেরও বিশদ বর্ণনা দিতে হয়। কিন্তু ওয়েনাড়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কোনওভাবেই মানা হয়নি। যদি এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কোনও রাজনৈতিক পরিবার থাকে, তবে সেটা হল গান্ধী পরিবার।’’

    আরও পড়ুন: ৩১ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রচারক বর্গ, জানালেন সুনীল আম্বেকর

    সরাসরি চ্যালেঞ্জ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (BJP)

    একইসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি (Gaurav Bhatia) জানান, সাহস থাকলে জনগণের সামনে এই ইস্যুতে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করুন কংগ্রেস নেত্রী। প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মনোনয়নপত্র জমা দেন। সেই সময় হাজির ছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর কংগ্রেসের হাইকমান্ড প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মনোনয়ন দেয় ওয়েনাড় আসন থেকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলি এবং ওয়েনাড়-এই দুই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রাহুল গান্ধী। পরবর্তীকালে ওয়েনাড় আসনটি তিনি ছেড়ে দেন। ওয়েনাড়ের ভোট হবে আগামী ১৩ নভেম্বর, গণনা হবে ২৩ নভেম্বর। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপি (BJP) সেখানে নামিয়েছে যুব প্রার্থী নব্যা হরিদাসকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share