Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 280: “কুকুরের উপর চড়ে তার মুখে লুচি দিয়ে খাওয়াতাম, আর নিজেও খেতাম, সর্বং বিষ্ণুময়ং জগৎ”

    Ramakrishna 280: “কুকুরের উপর চড়ে তার মুখে লুচি দিয়ে খাওয়াতাম, আর নিজেও খেতাম, সর্বং বিষ্ণুময়ং জগৎ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের পুরাণ, তন্ত্র ও বেদ মতের সাধনা

    পঞ্চবটী, বেলতলা ও চাঁদনির সাধন—তোতার কাছে সন্ন্যাস গ্রহণ—১৮৬৬ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—তিনি আমায় নানারূপ সাধন করিয়েছেন। প্রথম, পুরাণ মতের-তারপর তন্ত্র মতের, আবার বেদ মতের। প্রথমে পঞ্চবটীতে সাধনা করতাম। তুলসী কানন হল—তার মধ্যে বসে ধ্যান করতাম। কখনও ব্যাকুল হয়ে ‘মা! মা!’ বলে (Kathamrita) ডাকতাম—বা ‘রাম! রাম!’ (Ramakrishna) করতাম।

    “যখন ‘রাম রাম’ করতাম তখন হনুমানের ভাবে হয়তো একটা ল্যাজ পরে বসে আছি! উন্মাদের অবস্থা। সে সময়ে পূজা করতে করতে গরদের কাপড় পরে আনন্দ হত—পূজারই আনন্দ!”

    “তন্ত্র মতের সাধনা বেলতলায়। তখন তুলসী গাছ—সজনের খাড়া—এক মনে হত!”

    “সে অবস্থায় শিবানীর উচ্ছিষ্ট—সমস্ত রাত্রি পড়ে আছে—তা সাপে খেলে কি কিসে খেলে তার ঠিক নাই—ওই উচ্ছিষ্টই আহার।” (Kathamrita)

    “কুকুরের উপর চড়ে তার মুখে লুচি দিয়ে খাওয়াতাম, আর নিজেও খেতাম। সর্বং বিষ্ণুময়ং জগৎ।—মাটিতে জল জমবে তাই আচমন, আমি সে মাটিতে পুকুর থেকে জল দিয়ে আচমন কল্লাম।”

    “অবিদ্যাকে নাশ না করলে হবে না। আমি তাই বাঘ হতাম—হয়ে অবিদ্যাকে খেয়ে ফেলতাম!” (Kathamrita)

    “বেদমতে সাধনের সময় সন্ন্যাস নিলাম। তখন চাঁদনিতে পড়ে থাকতাম—হৃদুকে বলতাম, ‘আমি সন্ন্যাসী হয়েছি, চাঁদনীতে ভাত খাব’!”

    সাধনকালে নানা দর্শন ও জগন্মাতার বেদান্ত, গীতা সম্বন্ধে উপদেশ

    (ভক্তদের প্রতি)—“হত্যা দিয়ে পরেছিলাম! মাকে বললাম, আমি মুখ্যু—তুমি আমায় জানিয়ে দাও—বেদ, পুরাণ, তন্ত্রে—নানা শাস্ত্রে—কি আছে ।” (Ramakrishna)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না। তখন আর কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ভেতরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না। তাদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকবে সীমান্ত পাহারায়।”

    ‘ওয়াতন কো জানো’

    সোমবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। ‘ওয়াতন কো জানো’ (নিজের দেশকে জানো) কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিল্লি সফরে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল পড়ুয়াদের একটি দল। সেই দলের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, “এদের মধ্যে কারও কারও বয়স মাত্র আট, অনেকেই প্রথমবারের মতো নিজেদের বাড়ি ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের বাইরে এসেছে।”

    দেশের প্রতিটি অংশই তোমাদের

    তিনি বলেন, “এই দেশের প্রতিটি অংশ তোমাদের ঠিক ততটাই নিজের, যতটা জম্মু-কাশ্মীর।” শিশুরা যাতে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে না দেয়, সেই অনুরোধও করেন শাহ। বলেন, “দেশজুড়ে তোমাদের জন্য প্রচুর সুযোগ অপেক্ষা করছে। এই সুযোগগুলো তোমাদের কাজে লাগাতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে এখন শান্তি বিরাজ করছে। তবে তোমাদের নিশ্চিত করতে হবে এই শান্তি যেন স্থায়ী হয়।” তিনি শিশুদের বলেন, “ওয়াতন কো জানো সফরের সময় যে শান্তি ও উন্নয়নের ছবি তোমরা দেখেছ, সেই বার্তা তোমরা নিজেদের পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী ও গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিও।” এদিন প্রায় ২৫০ জন শিশু জম্মু-কাশ্মীর থেকে জয়পুর ও দিল্লি সফরে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল তাদের দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করানো। এই দলের এক পড়ুয়া বলে,

    “আমরা হাওয়া মহল পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছিলাম এবং জয়পুরে কাশ্মীরের বাইরের খাবার এনজয় করেছি।”  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit shah) বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, কোনও সরকারই জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে পারবে না। কেবল এখানকার শিশুরাই তা পারবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের শিশুদের তাদের বাবা-মা এবং প্রতিবেশীদের বোঝাতে বলেন যে সমগ্র দেশ তাদেরই এবং সন্ত্রাসবাদকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের (Kashmir) মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে হবে, যা দেশের অন্যান্য অংশে দেখা যায় (Amit shah)।

  • CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতির কারণে দুর্বল নীতিগত কাঠামো থেকে শুরু করে অপর্যাপ্ত বাস্তবায়নের মতো বিভিন্ন কারণে দিল্লি সরকার ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্মিলিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report) পেশ করে এ কথা জানানো হয়েছে।

    ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report)

    রিপোর্টটি আগের আম আদমি পার্টি সরকারের কার্যকারিতা সম্পর্কে ১৪টি রিপোর্টের একটি। প্রতিটি রিপোর্ট উপস্থাপিত করবে নয়া মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন (Delhi Govt)। এতে লাইসেন্স ইস্যু করার প্রক্রিয়ায় নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশ উপেক্ষা করেছিলেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলোচিত ইস্যু হিসেবে উঠে আসা কথিত মদ কেলেঙ্কারির এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা। এতে দাবি করা হয়েছে যে “বিধিসম্মত নয় এমন পুরসভা ওয়ার্ডে”ও মদের দোকান খোলার জন্য সময় মতো প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি।

    জমি ব্যবহারের নিয়মাবলী

    আবার এমন অনেক এলাকায় মদ বিক্রয় কেন্দ্র খোলার জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছে, তা ব্যবহারের নিয়মাবলীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই এলাকাগুলি থেকে তাদের লাইসেন্স ফি জমা না হওয়া এবং পুনঃনিলাম প্রক্রিয়ায় ব্যর্থতার কারণে আবগারি বিভাগ প্রায় ৮৯০.১৫ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” এছাড়াও, কোভিড অতিমারীর কারণে দোকান বন্ধ থাকায় লাইসেন্সধারীদের যে “অনিয়মিত ছাড়” দেওয়ার হয়েছে, তার ফলেও ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার রাজস্ব (Delhi Govt)।

    বিভিন্ন অনিয়ম

    নীতির প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কথিত অনিয়মগুলি (CAG Report) ২০২২ সালের জুলাই মাসে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা যখন সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন, তখন তা রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়। তদন্ত সংস্থাগুলির দ্বারা গ্রেফতারের পর আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতারা, যেমন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং, মাসের পর মাস জেলে কাটিয়েছেন। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাস্টার প্ল্যান দিল্লি-২০২১ অনুসারে অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি ছিল না। কিন্তু আবগারি নীতি ২০২১-২২ অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত দুটি করে খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র খোলার কথা বলা হয়েছিল।

    কী বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন দোকান খোলার জন্য দরপত্র নথিতে উল্লেখ ছিল যে কোনও অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান থাকবে না। তবে, যদি কোনও দোকান অননুমোদিত এলাকায় থাকে, তবে তা সরকারের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচিত হবে। ক্যাগের রিপোর্ট জানিয়েছে, ” অননুমোদিত এলাকায় প্রস্তাবিত বিক্রয় কেন্দ্রের জন্য আবগারি বিভাগ যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এবং দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (DDA) এবং কর্পোরেশন (MCD)-এর মতামত না নিয়েই ২০২১ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক দরপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল (Delhi Govt)।”

    লাইসেন্স বরাদ্দ

    লাইসেন্সগুলি ২০২১ সালের (CAG Report) অগাস্টে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই সমস্যার সমাধান হওয়ার আগেই, এবং দোকানগুলি ১৭ নভেম্বর ২০২১ থেকে ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যেই, দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এর ঠিক আগের দিনই একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে অননুমোদিত এলাকায় দোকান চালানোর অনুমতি বাতিল করা হয়। এরপর লাইসেন্সধারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ৯ ডিসেম্বর ২০২১-এ আদালত ৬৭টি অননুমোদিত ওয়ার্ডে বাধ্যতামূলক দোকানগুলির জন্য লাইসেন্স ফি প্রদানের দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়। এর ফলে প্রতি মাসে ১১৪.৫০ কোটি টাকার লাইসেন্স ফি মকুব হয়। ক্যাগের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, “নোটিশ ইনভাইটিং টেন্ডার প্রকাশের আগে এই সমস্যার সমাধান না করায় এই ছাড় দেওয়া হয়। এজন্য ক্ষতি হয় প্রায় ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা।”

    লাইসেন্স জমা দেওয়ার হিড়িক

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯টি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারী তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২২ সালের অগাস্টে তাদের লাইসেন্স জমা দেন। এর মধ্যে মার্চেই জমা দেন চারজন, মে মাসে পাঁচজন এবং জুলাই মাসে ১০ জন। তবে মদের দোকান চালু রাখতে আবগারি দফতর কোনও পুনঃটেন্ডারিং প্রক্রিয়া শুরু করেনি। এর ফলে এই অঞ্চলগুলিতে লাইসেন্স ফি থেকে কোনও রাজস্ব আদায় হয়নি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অঞ্চলগুলিতে মদের খুচরা বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। লাইসেন্সধারীরা ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে আবগারি দফতরের কাছে ফি মকুবের আবেদন জানান। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের রায়ে দফতরকে এই বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    আবগারি এবং অর্থ দফতর (CAG Report) বিষয়টি পর্যালোচনা করার পর প্রস্তাব দেয় যে কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে লাইসেন্স ফির আনুপাতিক মকুব বিবেচনা করা যাবে না। কারণ টেন্ডার নথিতে এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিভাগীয় মন্ত্রীর দ্বারা এই প্রস্তাব খারিজ করা হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বন্ধ থাকা দোকানগুলির জন্য প্রতিটি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারীকে ফি মকুবের অনুমোদন দেওয়া হয় (Delhi Govt)।”

  • AAPs Powerplay: কেজরিওয়াল দিনে ৫ হাজার ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন, ২ বছরে খরচ ৪১.৫ লক্ষ টাকা!

    AAPs Powerplay: কেজরিওয়াল দিনে ৫ হাজার ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন, ২ বছরে খরচ ৪১.৫ লক্ষ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন ৫ হাজার ৭০০ টাকার করে। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) এহেন বিদ্যুৎ খরচের (AAPs Powerplay) বহরে চক্ষু চড়কগাছ দিল্লিবাসীর। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্যুৎ খরচের হিসেব জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি।

    কেজরির বিদ্যুৎ খরচ (AAPs Powerplay)

    তখনই জানা যায়, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত দু’বছরে বিদ্যুৎ খরচ করেছেন ৪১.৫ লাখ টাকার। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই পরিমাণ বিদ্যুৎ তিনি ব্যবহার করেছেন। ইউনিটের হিসেবে কেজরিওয়াল এই পর্বে ব্যবহার করেছেন ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি বিদ্যুৎ। আরও জানা গিয়েছে, কেজরিওয়ালের মাসিক গড় বিদ্যুৎ খরচ ছিল ২৩ হাজার ইউনিটেরও বেশি। প্রতিদিন ৭৭০ এর বেশি ইউনিট।

    পদ্ম-পার্টির স্ক্যানারে

    সম্প্রতি আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪৮টি কেন্দ্রে জিতেছে বিজেপি। পূর্বতন শাসক দল আপ পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দলকে। দিল্লির কুর্সিতে বসেছেন বিজেপির রেখা গুপ্ত। তিনি বণিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। কেজরিওয়াল ক্ষমতাচ্যুত হতেই চলে এসেছেন পদ্ম-পার্টির স্ক্যানারে। কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনের নাম ‘শিশমহল’। এই বিলাসবহুল বাড়িটিকে ঘিরে আমজনতারও বিস্তর অভিযোগ।

    আরটিআইয়ের তথ্য

    কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিদ্যুৎ খরচ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আরটিআইয়ের (RTI) উত্তরেও জানা গিয়েছে, অন্যান্য আপ মন্ত্রীর বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্রাও অত্যন্ত বেশি (AAPs Powerplay)। সব মিলিয়ে এই মন্ত্রীরা এই দু’বছরে বিদ্যুৎ খরচ করেছেন ১.১৫ কোটি টাকার। আরটিআইয়ের তথ্য অনুসারে, শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার মথুরা রোডের বাসভবনে ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত ১,২৬,৭৪৯.৭৫ ইউনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭২২ টাকা। একই সময়ে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রী গোপাল রাইয়ের বাড়ির ১,৬১,৮৮৩.১৪ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল বাবদ দিতে হয়েছে ২১ লাখ ৭২ হাজার ৭০০ টাকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ৮, রাজ নিবাস মার্গের বাসভবনে ৬৮,৫৮১.৪৬ ইউনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিল হয়েছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টাকা।

    বিতর্কের কেন্দ্রে ‘শিশমহল’

    কেজরিওয়ালের ‘শিশমহল’ আগেই বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছিল। প্রাক নির্বাচনী পর্বেও বিজেপির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই সরকারি বাসভবনটিই। এই বিল্ডিংয়েই রয়েছে দামি দামি সব আসবাবপত্র, উচ্চমানের সরঞ্জাম এবং আড়ম্বরপূর্ণ সজ্জা। এসবের জন্যই খরচ করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি কেজরিওয়ালের স্বঘোষিত মিতব্যয়ী এবং স্বচ্ছ শাসনের পক্ষের নেতার ভাবমূর্তির পুরোপুরি বিপরীত। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিদ্যুৎ বিল এবং আপ মন্ত্রীদের সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবহারের চমকপ্রদ বিবরণ গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ দলের মিতব্যয়িতার নীতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি বিপরীত এটি। শিশমহলে বিলাসবহুল সংস্কারের অভিযোগ এবং এখন প্রচুর বিদ্যুৎ খরচের কারণে, দলের স্বচ্ছতা এবং আর্থিক দায় এখন নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এমন বিতর্ক চলতে থাকায়, নাগরিক এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা এক সঙ্গে আপ নেতৃত্বের ব্যয় সংক্রান্ত বিবরণ সম্পর্কে আরও পরিষ্কার উত্তরের দাবি জানাচ্ছেন (AAPs Powerplay)।

    বিজেপির বাক্য-বাণ

    আরটিআই রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “আপ মোটেও সাধারণ মানুষের জন্য নয়।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অবশেষে এতটা ‘আম’ (সাধারণ) নয়? আরটিআই উত্তরের অনুযায়ী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) অক্টোবর ২০২২ থেকে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত দুবছরের মধ্যে ₹৪১.৫১ লক্ষ মূল্যের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন। প্রতিদিনের আনুমানিক বিল ₹৫,৭০০, দৈনিক ৭৭০+ ইউনিট খরচের জন্য। সাধারণ মানুষ মাসে প্রায় ২৫০-৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে! এটাই ছিল কেজরিওয়ালের প্রকৃত চেহারা।” আপ সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কেজরিওয়ালের নাম পরিবর্তন করে বিজলিওয়াল রাখা উচিত। বিজেপির এই নেতা বলেন, বিজলিওয়ালের দৈনিক খরচ একজন সাধারণ মানুষের মাসিক খরচের তিনগুণ বেশি।”

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কেজরিওয়াল বাসভবনটি সংস্কারের জন্য ৪৫ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। তারপরেই বিজেপি বাসভবনের নামকরণ করেছিল শিশমহল। পুনাওয়ালা বলেন, “২ বছরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে খরচ হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ।” মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কতগুলি এসি চালানো হচ্ছিল? এ প্রশ্ন তুলে বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “কেজরিওয়ালের বাসভবনের এক দিনের বিল (Arvind Kejriwal) সাধারণ মানুষের এক মাসে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের চেয়েও বেশি। এটা কি খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ নয়? তিনি অনেক টাকা নষ্ট করেছেন (AAPs Powerplay)।”

  • PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা পশুর জন্য তৈরি খাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ নিয়ে ভাবতে পারে না।” সোমবার বিহারের ভাগলপুরের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে (Lalu Yadav) নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন অবশ্য লালুর নাম মুখেও আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে তাঁর চাঁদমারি যে লালুই, তা বুঝতে বাকি থাকেনি উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র ও বিহার উভয় জায়গায়ই এনডিএ সরকার সর্বদা কৃষকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সারা দেশের আমার কৃষক ভাইবোনেরা প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধির সুবিধা পেতেন না। গত ছ’বছরে কিষান প্রকল্পের প্রতিটি পাই-পয়সা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।” এর পরেই লালুকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা এ দেশের কৃষকদের কল্যাণ সম্পর্কে ভাবতে পারে না।”

    কৃষি রফতানি বেড়েছে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের কৃষি রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পেতে পারছেন। এ বছরের বাজেটে সরকার একটি মাখানা বোর্ড তৈরির কথা ঘোষণা করেছে, যা শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে।” মহাকুম্ভ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন লালু। তিনি বলেছিলেন, “ফালতু হ্যায় কুম্ভ।” এদিন তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “যাঁরা জঙ্গলরাজে বিশ্বাসী, তাঁরা আমাদের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসকে ঘৃণা করেন।”

    তিনি বলেন, “আমি আশাবাদী, প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যকারীদের বিহারবাসী কখনও ক্ষমা করবেন না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউরোপের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি মানুষ এই মহাকুম্ভ পবিত্র স্নান করেছেন। কিন্তু জঙ্গলরাজের প্রতিনিধিরা এই পবিত্র অনুষ্ঠানের সমালোচনা করছেন। যারা রাম মন্দিরের বিরোধী, তারা মহাকুম্ভকে অপমান করার প্রতিটি সুযোগ নিচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে বিহারের জনগণ এই পবিত্র অনুষ্ঠানের বিরোধীদের কখনও ক্ষমা করবেন না।” তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐক্যের মহাকুম্ভ (Lalu Yadav)। এটি ভারতের বিশ্বাস, ঐক্য ও সম্প্রীতির সর্ববৃহৎ উদযাপনকে উপস্থাপন করে (PM Modi)।”

  • Ramakrishna 279: “ডুব দিলেও হাঙ্গর-কুমিরের ভয় আছে—কাম-ক্রোধাদির ভয় আছে, হলুদ মেখে ডুব দাও”

    Ramakrishna 279: “ডুব দিলেও হাঙ্গর-কুমিরের ভয় আছে—কাম-ক্রোধাদির ভয় আছে, হলুদ মেখে ডুব দাও”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    হাজরা মহাশয়

    পূর্বকথা—স্ত্রীর অসুখে কামারপুকুরবাসীর থর থর কম্প

    “ও-দেশে একজনের পরিবারে অসুখ হয়েছিল। সারবে না মনে করে লোকটা থর থর করে কাঁপতে লাগলো—অজ্ঞান হয় আর কি!

    “এরূপ ঈশ্বরের (Ramakrishna) জন্য কে হচ্ছে!”

    হাজরা ঠাকুরের পায়ের ধুলা লইতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সঙ্কুচিত হইয়া)—“উগুনো কি?”

    হাজরা—যাঁর কাছে আমি রয়েছি তাঁর পায়ের ধুলা লব না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরকে তুষ্ট কর, সকলেই তুষ্ট হবে। তস্মিন্‌ তুষ্টে জগৎ তুষ্টম্‌। ঠাকুর যখন দ্রৌপদীর হাঁড়ির শাক খেয়ে বললেন, আমি তৃপ্ত হয়েছি, তখন জগৎসুদ্ধ জীব তৃপ্ত—হেউ-ঢেউ হয়েছিল! কই মুনিরা খেলে কি জগৎ তুষ্ট হয়েছিল—হেউ-ঢেউ হয়েছিল (Kathamrita)?

    ঠাকুর (Ramakrishna) লোকশিক্ষার্থ কিছু কর্ম করতে হয়, এই কথা বলিতেছেন।

    পূর্বকথা—বটতলার সাধুর গুরুপাদুকা ও শালগ্রামপূজা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাজরার প্রতি)—জ্ঞানলাভের পরও লোকশিক্ষার জন্যে পূজাদি কর্ম রাখে।

    “আমি কালীঘরে যাই, আবার ঘরের এই সব পট নমস্কার করি; তাই সকলে করে। তারপর অভ্যাস হয়ে গেলে যদি না করে তাহলে মন হুস্‌ফুস্‌ করবে।

    “বটতলায় সন্ন্যাসীকে দেখলাম। যে আসনে গুরুপাদুকা রেখেছে তারই উপরে শালগ্রামও রেখেছে! ও পূজা করছে! আমি জিজ্ঞাসা করলাম (Kathamrita), ‘যদি এতদূর জ্ঞান হয়ে থাকে তবে পূজা করা কেন? সন্ন্যাসী বললে,—সবই করা যাচ্ছে—এ ও একটা করলাম। কখনও ফুলটা এ-পায়ে দিলাম; আবার কখনও একটা ফুল ও-পায়ে দিলাম।’

    “দেহ থাকতে কর্মত্যাগ করবার জো নাই—পাঁক থাকতে ভুড়ভুড়ি হবেই।”

    The three stages—শাস্ত্র, গুরুমুখ, সাধনা; Goal প্রত্যক্ষ

    (হাজরাকে)—“এক জ্ঞান থাকলেই আনেক জ্ঞানও আছে। শুধু শাস্ত্র পড়ে কি হবে?

    “শাস্ত্রে বালিতে চিনিতে মিশেল আছে—চিনিটুকু লওয়া বড় কঠিন। তাই শাস্ত্রের মর্ম সাধুমুখে গুরুমুখে শুনে নিতে হয়। তখন আর গ্রন্থের কি দরকার?

    “চিঠিতে খবর এসেছে,—‘পাঁচ সের সন্দেশ পাঠাইবা—আর একখানা রেলপেড়ে কাপড় পাঠাইবা।’ এখন চিঠিখানি হারিয়ে গেল। তখন ব্যস্ত হয়ে চারদিকে খোঁজে। অনেক খোঁজবার পর চিঠিখানি পেলে, পড়ে দেখে,—লিখেছে—‘পাঁচ সের সন্দেশ আর একখানা রেলপেড়ে কাপড় পাঠাইবা।’ তখন চিঠিখানি আবার ফেলে দেয়। আর কি দরকার? এখন সন্দেশ আর কাপড়ের যোগাড় করলেই হল।

    মুখুজ্জে, বাবুরাম, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি—“সব সন্ধান জেনে তারপর ডুব দাও। পুকুরের অমুক জায়গায় ঘটিটা পড়ে গেছে, জায়গাটি ঠিক করে দেখে নিয়ে সেইখানে ডুব দিতে হয়।

    “শাস্ত্রের মর্ম গুরুমুখে শুনে নিয়ে, তারপর সাধন করতে হয়। এই সাধন ঠিক হলে তবে প্রত্যক্ষ দর্শন হয়।

    “ডুব দিলে তবে তো ঠিক ঠিক সাধন হয়! বসে বসে শাস্ত্রের (Ramakrishna) কথা নিয়ে কেবল বিচার করলে কি হবে? শ্যালারা পথে যাবারই কথা—ওই নিয়ে মরছে—মর শ্যালারা, ডুব দেয় না!

    “যদি বল ডুব দিলেও হাঙ্গর-কুমিরের ভয় আছে—কাম-ক্রোধাদির ভয় আছে।—হলুদ মেখে ডুব দাও—তারা কাছে আসতে পারবে না। বিবেক-বৈরাগ্য হলুদ (Kathamrita)।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের পর এবার চিন (China)। বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ খুলে দিয়েছে বেজিং। এহেন আবহে আওয়ামি লিগ বিরোধী বাংলাদেশের ৮টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিনে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের অশান্তি পৌঁছেছে চরমে। এমতাবস্থায় সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মাথা গলিয়ে কার্যোদ্ধার করতে চাইছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    সেই একই ‘গেম’ (Bangladesh Crisis)

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। অভিযোগ, তার পরেই বাংলাদেশে ক্রমশ বেড়েছে অশান্তির আগুন। সাম্প্রদায়িক হিংসায় জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু সংখ্যালঘুর বাড়ি-ঘরদোর-দোকানদানি। উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার হয়েছেন মূলত হিন্দুরা। বাংলাদেশের এহেন অস্থির পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। এবার সেই একই ‘গেম’ খেলতে ময়দানে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ চিন।

    বেজিং যাচ্ছে ৮টি রাজনৈতিক দল

    জানা গিয়েছে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সোমবার বেজিং যাচ্ছে বিএনপি-সহ ৮টি রাজনৈতিক দল। এই দলে আওয়ামি লিগের কেউ নেই। যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির চার নেতা রয়েছেন। বুধবার এই দুই সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নয়া রাজনৈতিক দল গড়ার কথা ঘোষণা করবে। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন রাত পৌনে ১১টায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিনের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি।

    ২২ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। প্রতিনিধি দলে খালেদা জিয়ার বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের পাঁচজন নেতা রয়েছেন। রয়েছেন দুই সাংবাদিক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সদস্যরা। এদিকে, জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পাশে দাঁড়াল প্রয়াত মহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছিলেন, “সংস্কারের বিষয়ে মতামত জানাতে সরকার আমাদের ডাকেনি। সংস্কার নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাও হয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হলে এটাই বলব যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো প্রকাশ করুন। নির্বাচনের পরে যারা (China) সরকার গড়বে, তারাই সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে (Bangladesh Crisis)।”

  • PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনব্যাপী ইনভেস্ট এমপি গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) হচ্ছে ওই সম্মেলন। এখানে অন্তত ৬০টি দেশের উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। ১৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছনোর জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি জানান, রাজভবন থেকে তাঁর রওনা হওয়ার সময়সূচি আজ অনুষ্ঠিত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সময়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এই অসুবিধা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকাল এখানে পৌঁছে জানলাম, আজ দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার সময় ও রাজভবন থেকে আমার রওনা হওয়ার সময় এক সঙ্গে পড়ে যাচ্ছিল।” তিনি বলেন, “আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে রাস্তাগুলি বন্ধ থাকবে। তাতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা হবে। এই অসুবিধা এড়ানোর জন্য, শিক্ষার্থীরা যাতে সময়ে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, আমি ভেবেছিলাম সব শিক্ষার্থী তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর পরেই আমি রাজভবন থেকে রওনা হব। তাই আমি সচেতনভাবে আমার যাত্রার সময় ১৫-২০ মিনিট দেরি করেছি (PM Modi)।”

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ব আশাবাদী। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশ জনসংখ্যার বিচারে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য। কৃষি ও খনিজ সম্পদের দিক থেকেও এটি শীর্ষ রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।” তিনি বলেন, “গত দু’দশকে মধ্যপ্রদেশে বহু রূপান্তর ঘটেছে। একসময় বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যা ছিল, আইন-শৃঙ্খলাও খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। সেই পরিস্থিতিতে শিল্পোন্নয়ন কঠিন ছিল। কিন্তু গত বিশ বছরে, জনগণের সহায়তায়, বিজেপি রাজ্য সরকার শাসন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। দু’দশক আগে, মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে সংকোচ বোধ করতেন। আর আজ এটি দেশের শীর্ষ বিনিয়োগবান্ধব রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।”

    সম্মেলনে ৬০টি দেশের উদ্যোক্তা, ১৩ জন রাষ্ট্রদূত, ৬ জন হাই কমিশনার এবং বেশ কয়েকজন কনসাল জেনারেল (Bhopal) অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন কুমার মঙ্গলম বিড়লা, গৌতম আদানি, নাদির গোদরেজ, পিরুজ খানবাটা, বাবা এন কল্যাণী, রাহুল আওয়াস্থী এবং নীরজ আখৌরি (PM Modi)।

  • S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়।” এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি (Bangladesh crisis) বলেন, “ঢাকা একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বলবে, আর অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সব সমস্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করবে — এ ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা যায় না।”

    নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বান (S Jaishankar)

    ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকার কর্তৃপক্ষকে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রতিদিন যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ উঠে ভারতের ওপর সব কিছুর জন্য দোষারোপ করে, তার মধ্যে কিছু বিষয় রিপোর্ট অনুযায়ী একেবারেই অযৌক্তিক। আপনি একদিকে বলতে পারেন যে আপনি ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, কিন্তু প্রতিদিন সকালে উঠে সব সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন — এটা তো একসঙ্গে চলতে পারে না। এটি তাদেরই একটি সিদ্ধান্ত, যা তাদের নিতে হবে।”

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    তিনি (S Jaishankar) বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্যাগুলির দুটি দিক রয়েছে, প্রথমটি হল সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। আর দ্বিতীয় দিকটি হল তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়।” জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা, অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কথা বলা প্রয়োজন — যা আমরা করেছি। দ্বিতীয় দিকটি হল, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক বিষয়। তবে দিনের শেষে, দুই দেশ প্রতিবেশী।”

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বাংলাদেশকে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে তারা কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুবই বিশেষ একটি ইতিহাস রয়েছে, যা ১৯৭১ সালের সময় থেকে চলে আসছে।” প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh crisis) ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে সে দেশে। তার জেরেই অবনতি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে (S Jaishankar)।

  • Friedrich Merz: বদলের হাওয়া জার্মানিতেও, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী রক্ষণশীলরা, পরবর্তী চ্যান্সেলর কে?

    Friedrich Merz: বদলের হাওয়া জার্মানিতেও, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী রক্ষণশীলরা, পরবর্তী চ্যান্সেলর কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার স্বীকার করে নিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। রবিবার রক্ষণশীল বিরোধী দলের নেতা ফ্রেডরিখ মার্জকে (Friedrich Merz) অভিনন্দনও জানান তিনি। জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, জার্মানির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি স্পষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। মার্জকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “সামাজিক গণতান্ত্রিক দলের জন্য এটি একটি তিক্ত নির্বাচনী ফল। এটি একটি নির্বাচনী পরাজয়ও। নির্বাচনী ফলের জন্য অভিনন্দন (Exit Polls)।”

    ২১তম সাধারণ নির্বাচন (Friedrich Merz)

    রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জার্মানির ২১তম সাধারণ নির্বাচন। ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছিল সকাল ৮টায়। শেষ হয় সন্ধ্যা ছটায়। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই প্রাথমিক নির্বাচনী সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নির্বাচনে ফ্রেডরিখ মার্জের দল ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন জয়ী হয়েছে। তবে অতি ডানপন্থীদেরও উত্থান ঘটেছে। নির্বাচনে রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন দল ২৯ শতাংশ, কট্টরবাদী জার্মানির জন্য বিকল্প দল ১৯.৫ শতাংশ, সামাজিক গণতান্ত্রিক দল ১৬ শতাংশে এগিয়ে রয়েছে। পরিবেশবাদী সবুজ দল ১৩.৫ শতাংশ এবং বাম দল দ্য লিঙ্কে ৮.৬ শতাংশে এগিয়ে রয়েছে।

    কোন দলের ঝুলিতে কত ভোট

    বিরোধী রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে, জেডডিএফ পাবলিক ব্রডকাস্টারের প্রকাশিত এক্সিট পোল অনুযায়ী (Exit Polls)। চরম ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে এসেছে, যা জাতীয় নির্বাচনে তাদের সর্বোচ্চ ফল। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তাদের সব চেয়ে খারাপ ফল করেছে। তারা ভোট পেয়েছে মাত্র ১৬.৫ শতাংশ। এই ফল জটিল জোট আলোচনার জন্য মঞ্চ তৈরি করেছে। মের্জ আরও শক্তিশালী নেতৃত্বের ধরন ও মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিভক্ত রাজনৈতিক পরিবেশে তাকে একটি জোট গঠন করতে হবে।

    রফতানি নির্ভর অর্থনীতি

    কোয়ালিশন আলোচনা চলাকালীন শোলৎজ হয়তো তত্ত্বাবধায়ক ভূমিকায় পদে থাকতে পারেন। এটি টানা দুবছর অর্থনৈতিক সংকোচনের পর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টাকে বিলম্বিত করতে পারে। জার্মানির রফতানি নির্ভর অর্থনীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তার সম্পর্ক এই অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। জনমত সমীক্ষায় অভিবাসনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে। এটি ২০১৫ সালের থেকে আলাদা, যখন জার্মানি বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে স্বাগত জানিয়েছিল। এএফডি এই পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। যদিও তারা কোয়ালিশনের আলোচনার বাইরে রয়েছে (Friedrich Merz)।

    এএফডির উত্থান

    এএফডির উত্থান শাসনকে জটিল করে তুলেছে। যদিও তাদের এখনই সরকারে প্রবেশের সম্ভাবনা নেই, তবে তাদের ক্রমবর্ধমান সমর্থন ভবিষ্যতের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলাফলটি এমন একটি সরকার গঠনে অবদান রাখতে পারে যা জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে নীতিগুলি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। রক্ষণশীল নেতা মার্জ জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে চলেছেন। কারণ জাতীয় নির্বাচনে তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যেটিক ইউনিয়ন (CDU) সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। এই জয় জার্মান রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করে। কারণ তাঁর দল বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (SPD)-কে পরাজিত করেছে।

    জয়ী সিডিইউ/সিএসইউ জোট

    এদিকে, শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সিডিইউ/সিএসইউ জোট রবিবার জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। এর জেরে ফ্রেডরিখ মার্জকে দেশের পরবর্তী চ্যান্সেলর হওয়ার পথে এগিয়ে রেখেছে। ২৮.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে মের্জের সংরক্ষণশীল দল কট্টর-ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তারা রেকর্ড ভোট পেয়েছে ২০ শতাংশ। তবে এই জয় সত্ত্বেও মের্জের জন্য একটি স্থিতিশীল জোট গঠন করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তার নেতৃত্ব এমন একটি সময়ে শুরু হচ্ছে যখন জার্মানি কয়েক দশকের সব চেয়ে জটিল অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি। এদিন মার্জ সমর্থকদের উদ্দেশে প্রতিশ্রুতি দেন, জার্মানি আবারও স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব পাবে (Exit Polls)।

    মার্জ জার্মানির ঋণ সীমা পর্যালোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা একটি সাংবিধানিক নিয়ম যা সরকারি ঋণ গ্রহণের সীমা নির্ধারণ করে। সমর্থকদের যুক্তি, এই নিয়মে পরিবর্তন আনা হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনৈতিক আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (Friedrich Merz)। জার্মানির এক মহিলা ভোটার বলেন, “নির্বাচনের ফল কেমন হবে, তা আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল। আমি নিজে অবশ্য মার্জকে পছন্দ করি না। কিন্তু অভিবাসী ইস্যুতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন এবং এএফডিকে ঠেকাতে পারবেন। দি লিংক বিরোধী দল নির্বাচিত হওয়ায় আমি খুশি।”

LinkedIn
Share