Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 171: “শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই, মন সর্বদা অন্তর্মুখ, ঈশ্বর সত্য আর সমস্ত অনিত্য”

    Ramakrishna 171: “শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই, মন সর্বদা অন্তর্মুখ, ঈশ্বর সত্য আর সমস্ত অনিত্য”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে—মণিলাল ও কাশীদর্শন

     

    সিদ্ধের পক্ষে “ঈশ্বর কর্তা”—অন্যের পক্ষে পাপপূণ্য—ফ্রি উইল 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভাস্করানন্দের সঙ্গে তোমার কথা হল?

    মণিলাল—আজ্ঞে হাঁ, অনেক কথা হল। তার মধ্যে পাপপুণ্যের কথা হল! তিনি বললেন, পাপ পথে যেও না, পাপচিন্তা ত্যাগ করবে, ঈশ্বর এই সব চান। যে-সব কাজ কল্লে পুণ্য হয়, এমন সব কর্ম কর।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ ও একরকম আছে, ঐহিকদের জন্য। যাদের চৈতন্য হয়েছে, যাদের ঈশ্বর সৎ আর-সব অসৎ অনিত্য বলে বোধ হয়ে গেছে, তাদের আর-একরকম ভাব। তারা জানে যে, ঈশ্বরই একমাত্র কর্তা, আর সব অকর্তা। যাদের চৈতন্য হয়েছে তাদের বেতালে পা পড়ে না, হিসাব করে পাপ ত্যাগ করতে হয় না, ঈশ্বরের উপর এত ভালবাসা যে, যে-কর্ম তারা করে সেই কর্মই সৎকর্ম! কিন্তু তারা জানে, এ-কর্মের কর্তা আমি নই, আমি ঈশ্বরের দাস। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী। তিনি যেমন করান, তেমনি করি, যেমন বলান তেমনি বলি, তিনি যেমন চালান, তেমনি চলি।

    “যাদের চৈতন্য হয়েছে, তারা পাপপুণ্যের পার। তারা দেখে ঈশ্বরই সব করছেন। এক জায়গায় একটি মঠ ছিল। মঠের সাধুরা রোজ মাধুকরী (ভিক্ষা) করতে যায়। একদিন একটি সাধু ভিক্ষা করতে করতে দেখে যে, একটি জমিদার একটি লোককে ভারী মারছে, সাধুটি বড় দয়ালু; সে মাঝে পড়ে জমিদারকে মারতে বারণ করলে। জমিদার তখন ভারী রেগে রয়েছে, সে সমস্ত কোপটি সাধুটির গায়ে ঝাড়লে। এমন প্রহার করলে যে, সাধুটি অচৈতন্য হয়ে পড়ে রইল। কেউ গিয়ে মঠে খপর দিলে, তোমাদের একজন সাধুকে জমিদার ভারী মেরেছে। মঠের সাধুরা দৌড়ে এসে দেখে, সাধুটি অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছে! তখন তারা পাঁচজনে ধরাধরি করে তাকে মঠের ভিতর নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে শোয়ালে। সাধু অজ্ঞান, চারিদিকে মঠের লোকে ঘিরে বিমর্ষ হয়ে বসে আছে, কেউ কেউ বাতাস কচ্ছে। একজন বললে, মুখে একটু দুধ দিয়ে দেখা যাক। মুখে দুধ দিতে দিতে সাধুর চৈতন্য হল। চোখ মেলে দেখতে লাগল। একজন বললে, ‘ওহে দেখি, জ্ঞান হয়েছে কি না? লোক চিনতে পারছে কিনা?’ তখন সে সাধুকে খুব চেঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করলে, ‘মহারাজ! তোমাকে কে দুধ খাওয়াচ্ছে?’ সাধু আস্তে আস্তে বলছে, ‘ভাই! যিনি আমাকে মেরেছিলেন, তিনিই দুধ খাওয়াচ্ছেন।’

    “ঈশ্বরকে জানতে না পারলে এরূপ অবস্থা হয় না।”

    মণিলাল—আজ্ঞে আপনি যে-কথা বললেন, সে বড় উচ্চ অবস্থা! ভাস্করানন্দের সঙ্গে এই সব পাঁচরকম কথা হয়েছিল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কোনও বাড়িতে থাকেন?

    মণিলাল—একজনের বাড়িতে থাকেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কত বয়স?

    মণিলাল—পঞ্চান্ন হবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আর কিছু কথা হল?

    মণিলাল—আমি জিজ্ঞাসা করলুম, ভক্তি কিসে হয়? তিনি বললেন, “নাম কর, রাম রাম বোলো!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ — এ বেশ কথা।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: “অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি, দেখা করে কথা বলতে চাই”, অমিত শাহকে আর্জি অভয়ার বাবা-মায়ের

    RG Kar Case: “অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি, দেখা করে কথা বলতে চাই”, অমিত শাহকে আর্জি অভয়ার বাবা-মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি, দেখা করে কিছু কথা বলতে চাই!” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) ইমেল করে আর্জি জানালেন আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা তরুণী ডাক্তারের বাবা-মা। মঙ্গলবার সকালে এই মর্মে চিঠি করে আবেদন জানান। উল্লেখ্য ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষও একই দাবি করেছেন। নির্যাতিতার (RG Kar Case) বাবা চিঠিতে লেখেন, “মেয়ের সঙ্গে এমন নির্মম ঘটনা ঘটার পর থেকেই আমরা অত্যন্ত মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছি।”

    চিঠিতে কী বললেন বাবা-মা(RG Kar Case)

    বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) কাছে চিঠি লিখে অভয়ার বাবা বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে আলোচনা করতে চাই। মন্ত্রী স্বয়ং কী ভাবছেন তাও জানতে চাই। এই জন্য দেখা করার সময় চেয়ে আবেদন করছি।” উল্লেখ্য একই ভাবে মঙ্গলবার অমিত শাহের জন্মদিন। তাই এই দিনে শুভেচ্ছা জানান আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা।

    আপাতত স্থগিত অমিত শাহের সফর

    বুধবার অমিত শাহের আসার কথা ছিল কলকাতায়। কিন্তু সোমবার বিকেলে জানা যায় বিশেষ কারণে সফর বাতিল করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে বাতিল হয়েছে তা জানানো হয়নি। তবে বিজেপির সূত্রে খবর, সামনেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতি হওয়ার কথা, তাই সেই বিষয়কে মাথায় রেখে হয়তো সফর স্থগিত করা হয়েছে। এখন পরবর্তী সময়ে নির্যাতিতার পরিবার দেখা করার সময় পান কিনা তাই দেখার। তবে রাজ্য বিজেপি অত্যন্ত আশাবাদী।

    আরও পড়ুন: প্রশাসনের পদক্ষেপ সদর্থক নয়, নির্যাতিতার মা-বাবার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের

    একদিন ন্যায় বিচার অবশ্যই ছিনিয়ে আনব

    উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি করে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্য সহ গোটাদেশ তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। মূল অপরাধের চক্রের পিছনে কারা কারা আছে, তাদের প্রকাশ্যে এনে অবলম্বে শাস্তির দাবিতে ছাত্র, শিক্ষক, অধ্যাপক, গবেষক, জুনিয়র ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনজীবী, নারী, পুরুষ-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ আন্দোলনে নামেন। মেয়েরা রাত দখল করেছে কলকাতার রাজপথে। একাধিক সামজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্না, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, অবস্থান করতে দেখা গিয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করেছেন দীর্ঘ দিন। সোমবার জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অভয়ার বাবা-মায়ের অনুরোধে অনশন তুলে নিয়েছেন তাঁরা। একই ভাবে নির্যাতিতা বাবা মা বলেন, “আমার মেয়ের জন্য একদিন না একদিন ন্যায় বিচার অবশ্যই ছিনিয়ে আনব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dry skin: শীতের শিরশিরানি শুরু! ত্বকের শুষ্কতা কাটাতে কোন ঘরোয়া উপাদানে করতে পারেন বাজিমাত?

    Dry skin: শীতের শিরশিরানি শুরু! ত্বকের শুষ্কতা কাটাতে কোন ঘরোয়া উপাদানে করতে পারেন বাজিমাত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাতাসে ঠান্ডার আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে। একটানা ফ্যানের হাওয়া এখন আর আরাম দিচ্ছে না। বরং একটা শিরশিরানি ভাব হচ্ছে। সন্ধ্যার পরে বেশ আরাম দেওয়া আবহাওয়া। সব মিলিয়ে পরিবেশ জানান দিচ্ছে, শীতের শুরু হবে শিগগিরই! কয়েক বছর ধরেই বাঙালির হেমন্ত ঋতু চোখের নিমিষেই মিলিয়ে যায়। বর্ষার পরে একেবারে শীতের দাপট। তবে এ বছরে দুর্গাপুজোর পরে আবহাওয়ায় হেমন্তের টের পাওয়া যাচ্ছে। দীপাবলির এখনও দিন কয়েক বাকি। কিন্তু তার আগেই পরিবেশে বেশ শীতের আমেজ। কিন্তু বছরের এই সময় থেকেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। শীতকাল শুষ্ক। তাই ত্বকেও শুষ্কতা (Dry skin) দেখা যায়। বিশেষত, যাদের ত্বক অতিরিক্ত সেনসেটিভ, তাদের এই সময় থেকেই বিশেষ যত্ন না নিলে শীতে ত্বকের নানান রোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে‌। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশেষত, শিশুদের ত্বক অতিরিক্ত সেনসেটিভ হয়। তাই শিশুত্বকের বিশেষ‌ যত্ন নেওয়া জরুরি। তবে অতিরিক্ত কৃত্রিম জিনিস নয়, বরং ঘরোয়া কিছু উপাদান করবে বাজিমাত। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু ঘরোয়া উপাদান (Household ingredients) ব্যবহার করলেই শীতের শুষ্কতা সহ একাধিক ত্বকের সমস্যাকে কাবু করা যাবে‌। এবার দেখা যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান মুশকিল আসান করবে?

    নিয়মিত লেবুর ব্যবহার (Dry skin)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ থাকলেই ত্বক ভালো থাকবে। শরীরে ভিটামিন সি-র জোগান ঠিকমতো থাকলে ত্বক মসৃণ এবং ময়েশ্চারাইজার পর্যাপ্ত থাকবে। তাই শীতের শুরু থেকেই দরকার নিয়মিত লেবু খাওয়া। যে কোনও লেবু জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন‌ সি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই ত্বক ভালো থাকে।

    জল পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি

    ত্বকের শুষ্কতা (Dry skin) হোক কিংবা ব্রণ, যে কোনও রোগের মোকাবিলা সহজেই করে জল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই শীতে জল খুব কম পরিমাণে খান। আর এর জেরেই নানান ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত পাঁচ থেকে ছয় লিটার জল খাওয়া দরকার। শিশুদের প্রয়োজন অন্তত দেড় থেকে দু লিটার জল। তবেই ত্বক ভালো থাকবে। ত্বকের একাধিক সমস্যা কমবে।

    প্রতি সপ্তাহে মধু ত্বকে লাগালে শুষ্কতা কমবে (Dry skin)

    শীতের সবচেয়ে বড় সমস্যা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখা। অনেকের ত্বকের শুষ্কতা মারাত্মক বেড়ে যায়। এর ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সপ্তাহে অন্তত একদিন ত্বকে মধু লাগালো দরকার। মধু প্রাকৃতিকভাবেই ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে টক দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাখলে বাড়তি গুণ পাওয়া যায়। এতে ত্বকের একাধিক সমস্যা কমে।

    এক টুকরো কাঁচা হলুদ

    শীতে ত্বকে নানান ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দেখা যায়। ত্বকের সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ (Household ingredients) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন হলুদ অ্যান্টিসেপটিক। নিয়মিত সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।‌ এতে ত্বক ভালো থাকে।

    অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারে রাশ

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বক ভালো রাখার জন্য অন্ত্র ভালো রাখা জরুরি। হজমের গোলমাল ত্বকের সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়। উৎসবের মরশুমে অনেকেই খাবারে রাশ টানেন না। অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার নিয়মিত খান। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে ত্বকের নানান সমস্যা (Dry skin) বাড়তে পারে। তাই স্বাস্থ‌্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Vehicle exports India: বিশ্বে ব্যাপক চাহিদা মেড-ইন-ইন্ডিয়া গাড়ির, প্রথম ত্রৈমাসিকেই বিক্রি বৃদ্ধি ১৪ শতাংশ

    Vehicle exports India: বিশ্বে ব্যাপক চাহিদা মেড-ইন-ইন্ডিয়া গাড়ির, প্রথম ত্রৈমাসিকেই বিক্রি বৃদ্ধি ১৪ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে দ্রুত চাহিদা বাড়ছে মেড-ইন-ইন্ডিয়া গাড়ির (Vehicle exports India)। অটো শিল্পে বিরাট পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারতীয় উৎপাদনের উপর ক্রমেই ভরসা বাড়ছে বিশ্বের। ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক অর্থাৎ, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর, এই তিন মাসে ভারতে নির্মিত গাড়ির চাহিদা গত বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে ভারত থেকে মোট গাড়ি রফতানি করা হয়েছে ২৫,২৮,২৪৮টি। 

    ২০২৩-২৪ বর্ষে রফতানি কেমন ছিল গাড়ির (Vehicle exports India)?

    তবে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে গাড়ি রফতানি গত বছরের তুলনায় ৫.৫ শতাংশ কমেছিল। ওই বছর মোট রফতানি হয়েছিল ৪৫,০০,৪৯২৫টি গাড়ি। যানবাহনের চার প্রকারের মধ্যে তিন প্রকারেই মন্দা ছিল। তবে একমাত্র রফতানি বেড়েছিল যাত্রীবাহী গাড়ির (Made-in-India)। ওই বছর মোট ৬,৭২,১০৫টি যাত্রীবাহী গাড়ি রফতানি করা হয়েছিল। দুই চাকার গাড়ি রফতানি হয়েছিল ৩৪,৫৮,৪১৬টি। যার রফতানি কমেছিল ৫.৩ শতাংশ। তিন-চাকার গাড়ি রফতানি হয়েছিল ২,৯৯,৯৭৭টি। হার কমেছিল ১৭.৯ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক গাড়ি ৬৫,৮১৬টি রফতানি হয়েছিল। এর হার কমেছিল ১৬.৩ শতাংশ।

    ২০২৪-২৫ বর্ষে রফতানি কত হয়েছে (Vehicle exports India)?

    জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ বর্ষে ভারত থেকে মোট ৩,৭৬,৬৭৯টি যাত্রীবাহী গাড়ি (Vehicle exports India) রফতানি হয়েছে। আগের বারের তুলনায় বেড়েছে ১২ শতাংশ। এই যাত্রীবাহী গাড়িগুলির ৪৩ শতাংশ, বা ১,৬৭,৭৫৭টি ছিল ইউটিলিটি ভেহিকল। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার গাড়ি। টানা চার বার প্রথম হয়েছে এই সংস্থার গাড়ি। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১,৪৭,০৬৩টি যাত্রীবাহী গাড়ি রফতানি হয়েছে। এছাড়া হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া রফতানি করেছে ৬২,১৬২টি যাত্রীবাহী গাড়ি, ভোক্সওয়াগেন ইন্ডিয়া ৩৫,০৭৯টি গাড়ি।

    শেয়ারের বিচারে সবথেকে বেশি হন্ডা মোটর্স

    ভারতের টু-হুইলার মার্কেটে রয়েছে মোটরসাইকেল, স্কুটার, মোপেড। টু-হুইলার (Vehicle exports India) মার্কেট বেড়েছে ১৬ শতাংশ। তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাজাজ অটো। রফতানির বাজারে শেয়ার বেড়েছে হন্ডার। এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে মোটরসাইকেল রফতানি হয়েছে ১৬,৪১,৮০৪টি, স্কুটার রফতানি হয়েছে ৩,১৪,৫৩৩টি। ৭,৬৪,৮২৭টি টু-হুইলার রফতানি করে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাজাজ অটো। বাজাজের শেয়ার ৪৩ থেকে ৩৯ শতাংশে নেমেছে। আবার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টিভিএস মোটর্স। শেয়ারের বিচারে সব থেকে বেশি হয়েছে হন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়ার। ১০ থেকে ১৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে তাদের বিক্রির ভাগ।

    বাজাজ আটো থ্রি-হুইলার রফতানিতে শীর্ষে

    একই ভাবে আবার রফতানি কমেছে থ্রি-হুইলারের (Vehicle exports India)। বাজাজ আটো ৫৭ শতাংশ শেয়ার নিয়ে থ্রি-হুইলার রফতানিতে (Made-in-India) শীর্ষে রয়েছে। তাদের মোট রফতানি ইউনিট ৮৭,৯০৭টি। ২০২৪ অর্থবর্ষে থ্রি-হুইলার রফতানি হয়, অবশ্য তার আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ছয় মাসে ১,৫৩,১৯৯ ইউনিট রফতানি হয়েছে। এই বার গত বারের তুলনায় চাহিদা অনেক বেড়েছে। টিভিএস এবং ফোর্স মোটর্স ছাড়া বাকি সকল ওইএম-এরই গত বছরের তুলানয় বৃদ্ধি ঘটেছে। বাজারের ৫০ শতাংশ ছিল বাজাজ আটোর দখলে। এবার গত বছরের তুলানয় তাদের রফতানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ, বাজারের দখল বেড়ে হয়েছে ৫৭ শতাংশ। অপর দিকে টিভিএস মোটর কোম্পানির রফতানি ১৮ শতাংশ কেমছে। অপরদিকে, যানবাহনের এই বিভাগের নতুন করে চাহিদা বেড়েছে। ২০২৪ অর্থবর্ষে ৩৫,৭৩১টি বাণিজ্যিক যানবাহন রফতানি করা হয়েছে। গতবারের তুলনায় রফতানি বেড়েছে ১২ শতাংশ।

    আরও পড়ুনঃ ইতিহাস তৈরি বিজেপির, সদস্য সংখ্যা পৌঁছল ১০ কোটির ঘরে, এবার লক্ষ্য ১১ কোটি

    সরকার দেশীয় উৎপাদনে সক্রিয়

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকেই কেন্দ্রের মোদি সরকার আত্মনির্ভর ভারতের স্লোগান দিয়েছিলেন। এরপর দেশীয় উৎপাদনের উপর সরকার বিশেষ নজর দিতে শুরু করে। বাইরের বাজারকে ভারতের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একাধিক প্রকল্প এবং বিনিয়োগের জন্য বিশেষ ভাবে উৎসাহ দেখিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দেশীয় উৎপাদন এবং দেশীয় চাহিদাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াই বিকশিত ভারত নির্মাণের লক্ষ্য, আর একথা নরেন্দ্র মোদি একাধিক বার বলেছেন নিজের ভাষণে। তাই নিরাপত্তা সরঞ্জাম, অস্ত্র, গোলাবারুদ, আধুনিক বন্দুক, যানবাহন, মোবাইল, ইলেকট্রনিক দ্রব্য, বাচ্চাদের খেলনা, পোশাক, খাবার ইত্যাদির উপর দেশীয় (Made-in-India) উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। লোকাল ফর ভোকাল এবং এক জেলা এক পণ্যের আহ্বান জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Air Pollution: শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ১০ গুণ! শীতের আগেই উদ্বেগজনক দিল্লির বায়ুদূষণ

    Delhi Air Pollution: শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ১০ গুণ! শীতের আগেই উদ্বেগজনক দিল্লির বায়ুদূষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকারখানা ও জমির বর্জ্যপদার্থ দহন জনিত আগুনে দূষণ-সহ বিভিন্ন কারণে শীতের আগে প্রতিবছর দিল্লির বাতাসের গুণমান (Delhi Air Pollution) খারাপ হয়ে থাকে। এবছর দেশের রাজধানী অঞ্চলে (এনসিআর), বায়ুর গুণমান নাগরিকদের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মারাত্মক আকার নিচ্ছে শ্বাসকষ্ট (Respiratory Illness) এবং অন্যান্য প্রাণহানি জনিত রোগে যাঁরা ভুগছেন। হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন প্রচুর রোগী।

    রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে (Delhi Air Pollution)

    ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের ফুস্ফুস বিশেষজ্ঞ এবং ঘুমের ওষুধ বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ রাজেশ চাওলা জানিয়েছেন, “বায়ু দূষণের (Delhi Air Pollutant) মাত্রা আগের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে। যার ফলে শ্বাসকষ্টজনিত (Respiratory Illness) রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। প্রতি ১০০-তে  ১৫ জন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই মারণ ব্যাধিতে। শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের তীব্র ক্ষোভ ধরা পড়ছে হাসপাতালে, কারণ রোগীর সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পরিষেবা দিতে নাজেহাল হাসপাতালগুলি।

    সময় মতো এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন

    দিল্লিতে বায়ুদূষণ (Delhi Air Pollution) বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারা বলছেন, “শ্বাসকষ্টজনিত (Respiratory Illness)  আক্রমণের সংখ্যাও বহুগুণ বাড়ছে, যার কারণে হাঁপানি এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) নিয়ন্ত্রণ করে এমন ওষুধের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। জাতীয় রাজধানীতে বিষাক্ত বায়ুর গুণমান বৃদ্ধির কারণে জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। সংক্রমণের হার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসনও। তবে সময় মতো এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরও মারাত্মক হতে পারে।

    শিশু-বয়স্ক নাগরিকদের ঝুঁকি বাড়ছে

    দুর্ভাগ্যবশত, এবছর নভেম্বরের আগেই বায়ু দূষণের (Delhi Air Pollution) মাত্রা ব্যাপক ভাবে বাড়তে  শুরু করেছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে, শিশু এবং বয়স্ক নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকি বাড়ছে। বহু মানুষ নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে দৈনিক ভর্তি হচ্ছেন। তবে অধিকাংশ মানুষের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। তাঁদের হাঁপানি এবং সিওপিডি বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগ (Respiratory Illness)  নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধেরও চাহিদাও ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সঙ্কটক্রমশ জটিল রূপ নিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে। বাড়ির জানালা বন্ধ করে রাখতে বলা হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরের রাস্তায় অযথা বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে বলে মনে করেছেন অনেক চিকিৎসকরা। অসুস্থবোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ “কাশ্মীর কখনওই পাকিস্তান হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন ফারুক আবদুল্লা

    বিজেপির আন্দোলনের হুমকি

    এদিকে, দিল্লির আপ সরকারকে রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান দূষণ (Delhi Air Pollution) নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বলে দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তাদের মতে, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় যেভাবে দূষণরোধে বিজেপি কাজ করছে, সেই দিক থেকে আপের শেখা উচিত। মানুষের জীবন কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এই বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশি মারলেনা অত্যন্ত অজ্ঞ। আগামীদিনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ না করলে আপের বিরুদ্ধে বৃহৎ আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন দিল্লির বিজেপি নেতারা। অপর দিকে, নিজেদের বাঁচাতে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে দূষণের জন্য দায়ী করেছে আপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভারত মোদির মতো একজন মহান নেতা পেয়েছে”, প্রশংসায় কাঞ্চির শঙ্করাচার্য

    Narendra Modi: “ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভারত মোদির মতো একজন মহান নেতা পেয়েছে”, প্রশংসায় কাঞ্চির শঙ্করাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঈশ্বরের আশীর্বাদে মোদির (Narendra Modi) মতো একজন মহান নেতা পেয়েছে ভারত।” ঠিক এই ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন কাঞ্চির শঙ্করাচার্য (Kanchi Shankaracharya)। দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা বুঝতে পারেন এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন মোদি। একই ভাবে দেশের সঙ্কট, বিপত্তি এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদাকে বড় করে দেখেন দেশের এই নেতা। হিন্দু সনাতন ধর্মগুরুর একাধিক মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সুখ্যাতি আরও বৃদ্ধি হল বলে মনে করেছেন একাংশ মানুষ।

    ২০১৪ সাল থেকে দেশের উন্নয়নে এনডিএ (Narendra Modi)

    রবিবার বারাণসীতে একটি চক্ষু হাসপাতালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে ওই রাজ্য এবং দেশের জন্য একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের শুভ সূচনা করেন। বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাসও করেছেন এদিন। একই ভাবে এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চির শঙ্কারাচার্য (Kanchi Shankaracharya)। তিনি মোদিকে প্রশংসা করে বলেন, “২০১৪ সাল থেকে দেশের এনডিএ জোট উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে। মোদিজি (Narendra Modi) সুচারু ভাবে এই কাজে বিশেষ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।” একই ভাবে এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল।

    আরও পড়ুনঃ ইতিহাস তৈরি বিজেপির, সদস্য সংখ্যা পৌঁছল ১০ কোটির ঘরে, এবার লক্ষ্য ১১ কোটি

    মডেল এনডিএ সরকার

    শঙ্করাচার্যদের মধ্যে দক্ষিণ ভারতের কাঞ্চির এই জগতগুরু শঙ্করাচার্য (Kanchi Shankaracharya) শঙ্করা বিজয়েন্দ্র সরস্বতী স্বামীগল আরও বলেন, “করোনা অতিমারির সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা গভীর ভাবে অনুভব করেন। গরিব মানুষের জন্য গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা শুরু করেছিলেন, এটা খুব মানবিকতার প্রতীক। মোদির মাধ্যমে ঈশ্বর ভাল কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। দেশের অগ্রগতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি (Narendra Modi)। বিশ্বজুড়ে সুশাসনের মডেল হয়েছে কেন্দ্রের জাতীয়তাবাদী এনডিএ সরকার। এই মডেলকে যে কোনও দেশ অনুসরণ করতে পারে। সার্বিক ভাবে ভারত বিশ্বগুরুর আসনে অধিষ্ঠান হবে। দেশ বিকশিত ভারতের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: জয়পুরে স্বয়ংসেবকদের ওপর ছুরিকাঘাত! অভিযুক্তের ভবনে বুলডোজার চালাল ভজনলালের প্রশাসন

    RSS: জয়পুরে স্বয়ংসেবকদের ওপর ছুরিকাঘাত! অভিযুক্তের ভবনে বুলডোজার চালাল ভজনলালের প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে শারদ পূর্ণিমায় আরএসএস স্বয়ংসেবকদের (RSS) ওপর হামলার অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। মোট ১০ জনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অভিযুক্ত হলেন নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল সরকারের পুলিশ-প্রশাসন। একই ভাবে মন্দিরের জমি অবৈধভাবে দখল করার জন্য অভিযুক্তদের বেআইনি একটি ভবনকে বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    হিংসাত্মক আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত (RSS)

    জয়পুরে গত ১৭ অক্টোবর লক্ষ্মীপূর্ণিমার দিনেই শারদ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। এই সময় আরএসএসের পক্ষ থেকে কর্নি বিহারের একটি শিব মন্দিরে ফসল কাটার শুভ মুহূর্তে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে মহাপ্রসাদ বিতরণের সঙ্গে হনুমান চাল্লিশা পাঠও চলছিল। ঠিক এমনই আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে মন্দির চত্বরে নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে ভীষম চৌধুরী আচমকা সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করার হুমকি দেন। এরপর তর্কবিতর্ক হতেই প্রায় দশজন স্বয়ংসেবকের উপর আচমকা এলোপাথাড়ি ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালান। ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলে অনেকের পায়ে, বুকে, পিঠে, হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এই হিংসাত্মক আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি আরএসএস-এর। এরপর আহতদের দ্রুত জয়পুর সওয়াই মান সিং হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

    বৈধ নথি নেই, তাই বুলডোজার

    একই ভাবে আরএসএস স্বয়ংসেবকরা (RSS) অভিযোগ করে, এলাকায় এবং মন্দিরের বেশ কিছু জমি ওই অভিযুক্তরা জোর করে দখল করে রেখেছে। এরপর জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে মন্দিরের অবৈধ জমি জরিপ করা হয় এবং অভিযুক্ত নসিব চৌধুরী বেআইনি ভাবে জমি দখল করেছে বলে নোটিশ জারি করা হয়। সেই সঙ্গে এই নির্মাণ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু বৈধ নথি না দেখাতে পারায় অবৈধ একটি ভবনকে ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজার দিয়ে। জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের বক্তব্য, “নির্ধারিত সময় দেওয়ার পরও অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কোনও তথ্য দিতে না পারায় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।” উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে প্রতিমা বিসর্জনের সময় এক হিন্দু যুবককে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করলে, মূল অভিযুক্তদের অবৈধ নির্মাণের উপর বুলডোজার চালায় যোগী প্রশাসন। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যোগীর দেখানো পথে এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার পথে অগ্রসর হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ছেলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনেরও দাবি, হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, এমন কোনও প্রামাণ্য নথি তাঁর কাছে নেই। সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মাস। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারউজ জামান জানিয়েছেন, হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও হাসিনার ছেলে কিংবা রাষ্ট্রপতির দাবি ভিন্ন।

    কী বলছেন রাষ্ট্রপতি? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭(ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হলে ইস্তফাপত্র পাঠাতে হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের দৈনিক ‘মানবজমিন’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শাহবুদ্দিন জানান, হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে কিছুই জানাননি। সেনাপ্রধান ওয়াকারকেও তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনিও সুস্পষ্টভাবে তাঁকে কিছু জানাতে পারেননি বলেই দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির। শাহবুদ্দিন বলেন, “ওয়াকারও জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।” তবে সেটা হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে জানানোর সময় পাননি বলেই অনুমান ওয়াকারের।

    শাহবুদ্দিনের দাবি

    শাহবুদ্দিন জানান, ৫ অগাস্ট (এদিনই দেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বঙ্গভবনে আসবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পরেই আবারও ফোন এসেছিল। এবার তাঁকে জানানো হয় হাসিনা আর যাচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি ভবনে (বঙ্গভবন)।

    হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, “আমার মা কোথাও লিখিতভাবে পদত্যাগ করেননি।” হাসিনা নিজেও এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। এবার রাষ্ট্রপতিও জানিয়ে দিলেন, হাসিনার পদত্যাগের প্রামাণ্য কোনও নথি বঙ্গভবনে নেই। প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার খবর।

    আরও পড়ুন: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গিয়েছেন, এটাই সত্য। এই বিষয়ে যাতে কখনও কোনও প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য (Bangladesh Crisis) সুপ্রিম কোর্টের মতামতও নেওয়া হয়েছে (Sheikh Hasina)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Organ Donor: শরীর থেকে বের করা হচ্ছিল হৃদযন্ত্র, আচমকা জেগে উঠলেন ‘মৃত’ অঙ্গদাতা!

    Organ Donor: শরীর থেকে বের করা হচ্ছিল হৃদযন্ত্র, আচমকা জেগে উঠলেন ‘মৃত’ অঙ্গদাতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর থেকে হৃদযন্ত্র (Organ Donor) বের করার সময় হঠাৎই জেগে উঠলেন ‘মৃত’। অঙ্গদান করতে গিয়ে এখন খবরের শিরোনামে আমেরিকা (America)। অপারেশন টেবিলেই ‘মৃত’ ব্যক্তি আচমকা নড়েচড়ে বসেন। কিন্তু তারপরেও অস্ত্রোপচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবার। এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে চিকিৎসক মহলে।

    টেবিলেই ছটফট করতে থাকেন (Organ Donor)

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে। আমেরিকার (America) কেন্টাকিতে এই ঘটনা ঘটেছিল। টিজে হুভার নামের এক ব্যক্তি বেশি পরিমাণে মাদক সেবন করেছিলেন। এরপর নিজে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর হুভারকে ব্যাপটিস্ট হেলথ রিচমন্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়। এরপর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি (Organ Donor) প্রতিস্থাপন যোগ্য কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপর অপারেশন টেবিলে তোলা হলে আচমকা নড়েচড়ে বসেন তিনি। আমেরিকার নিউ ইয়র্ক (America) পোস্ট এই বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, অস্ত্রোপচার করতে গেলে হুভারের শরীরে প্রাণের অস্তিত্ব মেলে বলে জানান হাসপাতালের কর্মীরা। রীতিমতো টেবিলেই ছটফট করতে থাকেন তিনি। এমন কী তাঁর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন হাসপাতালের কর্মীরা। এক কর্মী আরও বলেন, “অঙ্গদানকারী ওই রোগীর অবস্থা দেখে দুই চিকিৎসক পিছু হটেন। কিন্তু তখনও রোগীর শরীর থেকে অঙ্গ বের করতে রাজি হননি দুই চিকিৎসক। তবুও কেন্টাকি অর্গ্যান ডোনার অ্যাফিলিয়েটস-এর পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমন কী রোগীর দেহে ওষুধ প্রয়োগ করে নিস্তেজ করে শরীর থেকে অঙ্গ বের করে নেওয়া হয়।” উল্লেখ্য এই ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মী।

    আরও পড়ুনঃ এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    চোখ খোলার অর্থ বেঁচে থাকা নয়

    এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক নাতাশা মিলার বলেন, “ওই সময় অত্যন্ত ছটফট করছিলেন হুভার। আমি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি ওর চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। হৃদযন্ত্র (Organ Donor) অঙ্গদানের উপযুক্ত কিনা যখন পরীক্ষা করা হচ্ছিল, সেই সময় জেগে উঠেছিলেন হুভার।” আবার হুভারের দিদি ডনা বোরার বলেন, “আইসিইউ থেকে যখন বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় ভাই চোখ খুলেছিলেন। হাসপাতালে জানালে ওরা আমায় বলে, চোখ খোলা রিফ্লেক্স মাত্র। চোখ খোলার অর্থ বেঁচে থাকা নয়। হয় তো বেঁচে ছিলেন দাদা, বোঝাতে চেয়েছিলেন।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত শরীরের সব অঙ্গ কেটে বের করা হয়নি। কোডা-র কর্মীদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন। কেউ কেউ আবার হাসপাতাল থেকে পদত্যাগও করেন।

    তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন। কেন্টাকির অ্যাটার্নি জেনারেল বলেন, গোয়েন্দারা তদন্ত করছেন। তবে হুভার এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তবে সবকিছু স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: আতঙ্ক কাটাতে হাসপাতালের লাশকাটা ঘরেই শুরু হয়েছিল মা কালীর আরাধনা!

    Kali Puja 2024: আতঙ্ক কাটাতে হাসপাতালের লাশকাটা ঘরেই শুরু হয়েছিল মা কালীর আরাধনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শবদেহ রাখা হত। হাসপাতাল অন্যত্র সরে গেলেও ঘরটি রয়ে যায় পুরনো জায়গাতেই। তাই শবঘর বা লাশকাটা ঘর নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের বেশ ভালোরকম আতঙ্ক ছিল। সেই ভয়ের জন্য বালুরঘাটের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকা এড়িয়ে চলতেন বাসিন্দারা। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটাতেই শুরু হয় কালীপুজো। সেই থেকে কালিকাই ভয়-ভীতি কাটিয়েছেন সাধারণের। বালুরঘাট শহরের এই দেবী জাগ্রত (Kali Puja 2024) হিসেবে পরিচিত। চৈত্র সংক্রান্তিতে বাৎসরিক পুজো হলেও, কার্তিক মাসের প্রথম অমাবস্যায় মায়ের পুজো ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি হয়।

    বছর ৫০ আগে এই পুজোর সূচনা (Kali Puja 2024)

    বালুরঘাট শহরের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার এই পুজো মোটরকালী পুজো নামে পরিচিত। এটি তেমন প্রাচীন না হলেও এর অতীত বেশ সমৃদ্ধ। প্রায় বছর ৫০ আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন গাড়ি অর্থাৎ মোটর মালিকরা। স্থানীয়ভাবে আগে গাড়ির প্রচলিত শব্দ ছিল মোটর। বর্তমানে যেখানে মোটরকালী পুজো হয়, সেখানে আগে ছিল ফুটানিগঞ্জের হাট। এর কিছুটা দূরে ছিল পশ্চিম দিনাজপুরের জেলা হাসপাতালটি। আর হাসপাতালের লাশকাটা ঘরটি ছিল ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে। পরবর্তীতে জেলা হাসপাতালটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথপুর এলাকায়। কিন্তু ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে থাকা লাশকাটা ঘর এবং লাশ বহনকারী গাড়ি থেকে যায় পরিত্যক্ত অবস্থায়। এই লাশকাটা ঘরের অদূরে ছিল একটি প্রাইভেট গাড়ির স্ট্যান্ড। দিনের বেলা কিছু গাড়ি চলাচল করত। সপ্তাহে হাটের দিন বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষ ওই চত্বরে যাওয়ার সাহস পেত না। ভূতের ভয় সাংঘাতিকভাবে কাজ করত সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    লাশকাটা ঘরে মা কালীর মুর্তি

    আতঙ্ক কাটাতে এগিয়ে আসেন এলাকার প্রবীণরা। জুজু সরাতে স্ট্যান্ডের বাস মালিকরা পরিত্যক্ত লাশকাটা ঘরে মা কালীর মুর্তি (Kali Puja 2024) স্থাপন করেন। নাম দেওয়া হয় মোটরকালী। এরপর থেকে পাঁঠাবলি ও অনান্য নিয়ম মেনে নিষ্ঠা সহকারে পূজিতা হয়ে আসছেন মোটরকালী। তবে মন্দিরে মায়ের পুজোর আগে ঘাটপু্জো দিতে হয় পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী খাঁড়িতে। সেখানেই নাকি ঈশ্বরীয় কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বহু মানুষ। কথিত আছে যেখানে ঘাটকালীর পুজো দেওয়া হয়, সেখানকার জল নাকি শুকোয় না কখনও। পরীক্ষামূলক ভাবে সেচ লাগিয়েও তা সম্ভব হয়নি বলে প্রমাণ হয়েছে। খরার সময় আশেপাশে জল শুকিয়ে গেলেও জল থেকে যায় আত্রেয়ী খাঁড়িতে।

    বছরে দু’বার মায়ের পুজো (Kali Puja 2024)

    এই বিষয়ে মন্দিরের পুরোহিত বলেন, এই মন্দির বহু পুরনো। মানুষের মধ্যে ভুতের ভয় কাটাতে এইখানে (Balurghat) এই মায়ের পুজো শুরু হয়েছিল। মায়ের পুজো দেবার পর মানুষের মধ্যে ভুতের ভয় কাটে। তারপর থেকে বছরে দুবার মায়ের পুজো হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে মায়ের বাৎসরিক পুজো হয় ও কার্তিক মাসের প্রথম অমাবস্যায় মায়ের পুজো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share